৪০ হাজার টাকা নিয়ে শিশুকে দিলেন দত্তক, এক মাস পর থানায় অভিযোগ করে ফেরত!

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সাত মাস বয়সের শিশু সন্তানকে দত্তক দিয়েছেন বাবা-মা। বিনিময়ে নিয়েছেন ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু এক মাস পার হতেই সেই সন্তানকে ফিরে পেতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা। অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এমনি ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের কেট্টা গ্রামে । দত্তক দেওয়া দম্পতির দাবী সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেছেন তারা টাকার বিষয়েও জানতেন না, তাদের ব্যাগে টাকা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল ষড়যন্ত্র করে।

জানা গেছে ,দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের কেট্টা গ্রামের রকিবুল হাসান রাব্বি ও সসলিমা আক্তার দম্পতির এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু অভাবের তাড়নায় সেই সন্তানকে লালন পালন করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে সেই শিশু সন্তান কে দত্তক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। পরবর্তীতে একই উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম ও মালেকা খাতুন নিঃসন্তান দম্পতি চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর স্ট্যাম্পের মাধ্যমে চল্লিশ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে দত্তক নেন। কিন্তু ১ মাস ৭ দিন পার হতেই গতকাল বুধবার (০৬ নভেম্বর) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রকিবুল হাসান রাব্বি ও সসলিমা আক্তার দম্পতি। অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) দুপুরে দুই পক্ষের আলোচনার মধ্য দিয়ে দত্তক দেওয়া প্রথম বাবা-মায়ের কাছেই শিশুটিকে ফেরত দেয় পুলিশ।

নিজের বাচ্চাকে ফেরত পেয়ে রকিবুল হাসান রাব্বি বলেন, ভুল করেছি এখন বাচ্চা পাইছি। ৪০ হাজার না, ৩৫ হাজার টাকা ব্যাগে ঢুুকিয়ে দিছিলো ,ফেরত চাইলে তো দিতেই হবে।
দত্তক নেওয়া নিঃসন্তান আমিনুল ইসলাম বলেন, ১৪ বছর ধরে আমার বাচ্চা নাই তাই একটা ছেলে বাচ্চা দত্তক নিছিলাম এবং তাদের ৪০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম কিন্তু গতকাল পুলিশ গিয়ে বাচ্চাসহ আমাকে থানায় নিয়ে আসে এবং বাচ্চা তাদের দিয়ে দেয়। আমার টাকাও ফেরত দেয়নি । আমার স্ত্রী অসুস্থ এখন তাকেই বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

নিঃসন্তান দম্পতির স্বজন আব্দুল আজিজ বলেন, পুলিশ বাচ্চা তাদের দিতে বলেছে আমরা দিয়ে দিছি। আমাদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা তারা ফেরত দেয়নি। তিনি আরও বলেন, ভাতিজা আমিনুল ইসলাম ও বউ মালেকা খাতনের বিয়ের পর একটি বাচ্চা হয় কিন্তু আড়াই বছর বয়সে পানিতে ডুবে মারা যায়। পরবর্তী সময়ে আর বাচ্চা হয়নি প্রায় ১৪ বছর। এমন অবস্থায় মালেকা বাচ্চার জন্য কান্নাকাটি করে। অবশেষে একটা বাচ্চা লালান পালন করতে পারে না তাই পালক (দত্তক) দিবে খোঁজ পাওয়া গেলে পরে চারজনে সাক্ষী ও জন্মদাতা বাচ্চার বাবা-মায়ের স্ট্যাম্পে সই স্বাক্ষরে বাচ্চা নিয়ে আসি।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, বাবা-মা ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের বাচ্চাকে একজনকে দত্তক দিয়েছিল কিন্তু এখন বাচ্চা ছাড়া থাকতে পারে না আবার যারাও নিয়েছে তারাও বাচ্চাকে দেখতে দেয়না, যেনো দেখতে না পারে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখতো । পরে গতকাল রাতে কান্নাকাটি করে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করে। পরে পুলিশ পাঠিয়ে বাচ্চাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরে আজকে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসেছিলাম ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামনেই আসল বাবা-মায়ের কাছে বাচ্চাটিকে দেওয়া হয়েছে। টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ওরা নিজেরা নিজেরা আত্মীয় হয়।




দুর্গাপুরে বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ, হাসপাতালে ২

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মারধর ও লুটপাট করে বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ মো. শাহজাহান ও তারই ভাই সম্রাট মিয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর পৌর শহরের মধ্যে বাজার সোমেশ^রী নদীর পাড় এলাকায়। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে মো. উছমান আলী জানান, পৌর শহরের মধ্যবাজার নদীর পাড় এলাকায় বিগত ১৬-১৭ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন কিন্তু তাদের বসতবাড়ি দখলের জন্য শত্রুতা করে আসছিলেন অভিযুক্তরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার ১০-১৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বসতবাড়ি দখলের জন্য অতর্কিত মারধর শুরু করে।

জোরপূর্বক আমাদের বসত বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং বাসার অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের বাহির করে দেয়।

তিনি আরো বলেন, তাদের মারপিটে আমরা আহত হলে এলাকাবাসী আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কয়েকজন কে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয় এবং আমার ছেলে, ভাতিজা ও আমার শ্যালক কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এমতাবস্থায় বাসা বাড়ি উদ্ধার সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলে আকুতি জানান তারা। এ সময় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের মধ্যে, আব্দুর রশীদ, আব্দুল লিটন, রনি হোসেন, মনির হোসেন, জনি হোসেন উপস্থিত ছিলেন।




দুর্গাপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত

 

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আয়োজনে ‘‘মুক্তির মুলমন্ত্র, ইসলামী শাসনতন্ত্র’’ এই প্রতিপাদ্যে এক গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে দুর্গাপুর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্ত্বরে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ আজিজুল হক এর সভাপতিত্বে মাওলানা মামুনুর রশীদ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নেত্রকোনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাও: মুফতি অলিউল্লাহ। প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা বিভাগের উপদেস্টা মাওঃ মামুনুর রশিদ রব্বানী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা কমিটির নেতা ক্বারী নুরুল ইসলাম, মুফতি মতিউর রহমান, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল তালুকদার, ইসলামী আন্দোলন দুর্গাপুর উপজেলা শাখার নেতা হাফেজ আব্দুল কাদির, মাওলানা ডাঃ আলী আকবর, ইউনিয়ন শাখার নেতা মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মুফতি আবু ওয়াক্কাছ, হাফেজ মোস্তফা কামাল, মাওঃ রফিকুল ইসলাম, মাও: মতিউর রহমান, মাও: আব্দুল হাদী, মুফতি তাজুল ইসলাম, সাংবাদিক মাসুদুর রহমান ফকির, ছাত্র আন্দোলন শাখার নেতা মোজাম্মেল হক, আব্দুল হান্নান, যুব আন্দোলন শাখার নেতা মাওঃ উসমান গনি, মুফতি নুরে আলম, মুফতি জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত পাঁচই আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের মাধ্যমে এক নতুন বাংলাদেশের সুচনা হয়েছ। আমরা আর কোন স্বৈরশাসকের আবির্ভাব দেখতে চাইনা। আগামীর বাংলাদেশে যেন একটি ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করা যায়, সে কারণে নেতাকর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান। আসুন আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখে ইসলামী ধারায় জীবন গড়ার চেষ্টা করি।




দুর্গাপুরে সাবেক এমপি, মেয়র, আ‘লীগ নেতা সহ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সাবেক এমপি, মেয়র, আ‘লীগ নেতা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১৯০৮ সনের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত দুর্গাপুর চৌকিতে পৌর যুবদলের আহবায়ক আবু সিদ্দিক রুক্কু বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০২৩ সনের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে স্থানীয় শহীদ মিনারে উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পন করতে যাওয়ার সময় পৌরশহরের কাচারী মোড় এলাকায় মামলায় উল্লেখিত আসামীগণ শান্তিপ্রিয় মিছিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে বিএনপি‘র উপর হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভেঙ্গে মোবাইল ফোন গুলো ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপি‘র নেতাকর্মীদের রক্ষা না করে উল্টো তাদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে। ওই সময় আ.লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি‘র নেতাকমীদের উপর হামলা ও গুলি ছুড়লে, এতে বিএনপি‘র অসংখ্য নেতাকর্মীরা গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে আবু সিদ্দিক রুক্কু‘র ডান পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায় এছাড়া পুলিশ সদস্যদের অতর্কিত গুলিতে বিএনপি নেতা শিশির ও স¤্রাট গণি গুরুতর আহত হয়।
উক্ত মামলায় নেত্রকোনা -১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ রুহী, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সফিক, দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আ‘লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, যুবলীগ সভাপতি আব্দুল হান্নান, দুর্গাপুর থানার এসআই সুভাশিষ গাঙ্গুলী, সানোয়ার হোসেন, মো. আসাদুজ্জামান সহ ৪৭ জন আ.লীগের নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ২শত জনকে আসামী করা হয়।



দুর্গাপুরে শিক্ষার্থীদের দেয়াল লিখন কর্মসূচি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুগাপুরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পর এবার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থীদের হাতে রং-তুলি। রোববার দিনব্যপি পৌরশহরের বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে ছাত্র আন্দোলনের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। এতে স্কুল-কলেজের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

পৌর শহর ঘুরে দেখা গেছে, পৌর শহরের রাস্তার সাথে মৎস্য খামারের দেয়ালে শিক্ষার্থীরা রং-তুলির মাধ্যমে আন্দোলনের বিভিন্ন দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলেন। এসব দৃশ্যে আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ, মুগ্ধ সহ অন্যান্য শহীদদের ছবি আঁকানো হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশকে নতুন করে সাজানোর স্লোগানও লেখা হয়েছে দেয়ালে।

শিক্ষার্থী রাতুল খান রুদ্র বলেন, আবু সাঈদ এ প্রজন্মকে দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে বুক চিতিয়ে লড়াই করা হয়। তাকে পুলিশ যেভাবে হত্যা করেছে, আমরা সে চিত্র এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যাতে আবু সাঈদ সম্পর্কে সবাই জানতে পারে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখানে এসেছে। তারা সুন্দর অঙ্কনের মাধ্যমে দেয়াল গুলো ফুটিয়ে তুলছে। শিক্ষার্থী বিয়াদ হোসেন বলেন, স্বৈরাচার থেকে দেশ স্বাধীন করেছি, এবার দেশকে সংস্কার করব। দেয়ালে লিখন কর্মসূচি চলছে যাতে আগামীর প্রজন্ম ২৪ এর যোদ্ধাদের অবদান দেখেই স্মরণ করতে পারে। শিক্ষার্থী আলিফ বলেন, দেয়ালে দেয়ালে যে ভাষা ফুটে উঠেছে তা তাদের প্রতিবাদের ভাষা। যে ভাই ও বোনেরা রক্ত দিয়েছে তাদের স্মরণ করে রাখতে আমাদের এই কর্মসূচি।

শিক্ষার্থী আফসারা ও মহুয়া বলেন, ছাত্র আন্দোলন থেকে স্বৈরাচার পতন এ সময়টা শিক্ষার্থীরা যেভাবে পার করেছে সে বিষয়গুলো বিভিন্ন দেয়াল চিত্রের মাধ্যমে আমরা ফুটিয়ে তুলছি। এদেশ সবার, এদেশে বৈষম্যের জায়গা নেই। সকল ধর্মের, সকল বর্ণের, সকল শ্রেণি পেশার মানুষ একত্রে বসবাস করবে এমন একটা সুন্দর দেশ আমরা গড়তে চাই।

স্থানীয় সংবাদিক তোবারক হোসেন খোকন বলেন, কিছুদিন আগে দেখলাম তারা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এর কাজ করেছে। শহরে পরিস্কার, পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছে। এখন তারা দেয়াল লিখন কর্মসূচি পালন করছে। এভাবে সর্বত্র সচেতনভাবে সবাই এগিয়ে আসলে দেশটা আসলেই সুন্দর হবে। এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এমন প্রশংসনীয় কার্যক্রমে খুশি স্থানীয় লোকজন।




ছারছীনার পীর শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ এর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আধ্যাত্মিক রাহবার বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লার আমির মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ পীর সাহেব ছারছীনার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

পীর সাহেব ছারছীনার ইন্তেকালে পৃথক পৃথক শোক বার্তায় দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম শোক প্রকাশ করে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেন।

আজ বুধবার (১৭ জুলাই) এক শোকবার্তায় পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘মরহুম পীর সাহেব ছারছীনা বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদাররেসিনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মসজিদে গাউসুল আজম কমপ্লেক্সের মুতাওয়াল্লি ছিলেন। তিনি লক্ষ লক্ষ পথভোলা মানুষকে আলোর পথের সন্ধান দিয়ে গেছেন। সারাদেশে শত শত মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে নায়েবে নবী তৈরির কারাখানা গড়ে গেছেন। মহান রব্বুল আলামিন হযরত পীর সাহেব ছারছীনার সকল নেক কাজকে কবুল করুন। মরহুমের সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। সেই সাথে পরিবার-পরিজন, আত্মীয় স্বজন, ভক্ত-অনুরক্ত, মুরিদ, খোলাফা ও ছাত্র-শিক্ষকসহ সকল স্তরের মুহ্বিবীনদেরকে সবরে জামিল এখতিয়ার করার তাওফিক দিন, আমিন।

উল্লেখ্য, পীর সাহেব ছারছীনা বুধবার (১৭ জুলাই) রাত ২:১১ মিনিটে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না-লিল্লাহী ওয়াইন্না ইলাইহী রাজিউন।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় ছারছীনা দরবার শরীফে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। ইন্তেকালের সময় মরহুমের বয়স হয়েছিল ৭০ এর কাছাকাছি। এসময় তিনি স্ত্রী, দুইপুত্র, তিন কন্যা ও অনেক নাতি নাতনি রেখে যান।

তিনি ফুরফুরার মুজাদ্দেদে জামান আল্লামা আবু বকর সিদ্দিকী আল কুরাইশী রাহিমাহুল্লাহর পৌত্র ফুরফুরার মরহুম পীর  আবুল আনসার মুহাম্মাদ আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী আল- কুরাইশী রাহিমাহুল্লাহর বড় জামাতা ছিলেন।

দেশে ছারছীনা দারুস সুন্নাহ কামিল মাদরাসা, দারুন্নাজাত কামিল মাদরাসাসহ বহু মাদরাসা, মক্তব, খানকাহ, মাসজিদ ও দ্বীনি ইদারা তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।




কোটা আন্দোলন : দুর্গাপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার ও নিহত ছাত্রদের বিচারের দাবিতে উপজেলা ছাত্র সমাজের আয়োজনে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। বুধবার সকালে থেকেই পৌর শহরের ব্যস্ততম বিভিন্ন সড়ক গুলো অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।

সড়ক অবরোধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা মেধা দিয়েই সমাজ গড়তে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের যৌক্তিক দাবীগুলো না শুনেই, সকল শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে আখ্যায়িত করে দিলেন। সারাদেশে কোটা সংস্কারপন্থি ৬জন নিরপরাধ ভাই মারা গেছেন, তাদের তো কোন অপরাধ ছিলো না। আমরা কোটা বিলুপ্ত চাই না, কোটা সংস্কার চাই। রাতের আঁধারে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয় সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেয়েদের ওপর হামলা ও নিরপরাধ ছাত্রদের লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে ছাত্রলীগ ও পুলিশবাহিনী, আমরা এর দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার। আমরা সরকার বা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী নই, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানিরা, সেই হামলাকে হার মানিয়েছে ছাত্রলীগ ও পুলিশের এই হামলা। সরকার আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কর্মসুচী মোতাবেক আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।




দুর্গাপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে বরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে বরণ করে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার দুপুরে নানা আয়োজনে তাদের বরণ করে নেয়া হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম রকিবুল আহসান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আদিবাসী নেতা সায়মন তজু, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি দিলোয়ার হোসেন তালুকদার, প্রেসক্লাব সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ তালুকদার, শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান আনছারি, ওসি (তদন্ত) মাহফুজ আলম, ভাইস চেয়ারম্যান শারমীন আক্তার কাকলী, গোলাম ফাহমী ভুইয়া, সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুস ছালাম, নব-নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নীরা। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের অফিস প্রধান, সুধী সমাজ, ব্যবসায়ীবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নীরা বলেন, দুর্গাপুরবাসী আমাকে অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে নির্বাচিত করায় আমি উপজেলা বাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি সকলের মতামতের ভিত্তিতে উপজেলা পরিষদের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাতে চাই। দুর্গাপুর উপজেলাকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত একটি মডেল উপজেলা পরিষদ হিসেবে গড়ে তুলতে সকলকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোদ জানান।




দুর্গাপুরে বেকারির বিষ খাচ্ছে মানুষ! আইনের তোয়াক্কাই করছে না মালিক পক্ষ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি-

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী কিংবা কোমলমতি শিশুদের সুস্বাদু খাবার হিসেবে প্রধান পছন্দ বেকারির খাদ্য পণ্য। ক্ষুধা মেটাতে বয়স্ক মানুষদেরও খাবারের তালিকায় থাকে বেকারিতে তৈরি হওয়া মুখরোচক বিভিন্ন পণ্য। তবে এসব কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই কারোরই। তবে সাধারণ মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। সরেজমিনে গেলে ভৈরব বেকারি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য তৈরির চিত্র দেখা যায়।
নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭টি বেকারি কারখানা রয়েছে। কনফেকশনারির দোকানও রয়েছে অসংখ্য। দীর্ঘ দিন ধরে এসব বেকারি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা বিভিন্ন পণ্য বাজারজাত করে আসছে। কোনো প্রকার ভেজালবিরোধী অভিযান না থাকায় ব্যবসা পরিচালনা করতে মালিকদের কোনও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বিভিন্ন স্থানের বাজারগুলোতে নামে-বেনামে গড়ে ওঠা বেকারি কারখানা গুলোতে আইন না মেনে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন খাদ্য পণ্য। এই গুলো বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়াই পরিচালনা হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নি¤œমানের ভেজাল পণ্য তৈরি করে এরা দেদারসে বাজারজাত করছে তাদের বিভিন্ন পণ্য। বেশিরভাগ খাদ্যের প্যাকেটে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ স্টিকার নেই। এতে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
অভিযোগ রয়েছে,শহরসহ গ্রামের বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায় কেক,বিস্কুট,পাউরুটি,বাটারবন,মিষ্টিসহ হরেকরকমের পণ্য। এসবের বেশিরভাগ প্যাকেটে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ না থাকায় দোকানগুলোতে বেশিদিন রেখে বিক্রি হচ্ছে তা। আর এসব খেয়ে অনেক মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ যেন বেকারির বিষ খাচ্ছে মানুষ।
গতকাল দুর্গাপুর পৌর শহরের ঠাকুরবাড়িকান্দা এলাকার ভৈরব বেকারীতে গেলে এই বেহাল চিত্র উঠে এসেছে। ভেতরে নোংরা পরিবেশের দুর্গন্ধের ছড়াছড়ি। স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্ন মানের উপকরণ এবং বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করে বেকারিতে অবাধে তৈরি করা হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী। বেকারি পণ্য উৎপাদনের কাজের লোকজন কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছে না। কারিগরদের গাঁয়ের ঘাম ঝরে পরছে খাদ্যতে,নেই কারো হাতে গø্যাভস, মেঝে সহ খাদ্য পণ্যের সাথে পড়ে রয়েছে বিড়ি সিগারেটের খোলস। বিভিন্ন খাদ্যে তৈরির সরঞ্জামে কীটপতঙ্গ থাকতে দেখা গেছে। তবুও এভাবেই পরিবেশে উৎপাদিত হচ্ছে বেকারি পণ্য। তাছাড়া কারখানায় পাওয়া গেছে মানব দেহের চরম ক্ষতিকর বিষাক্ত ক্যামিকেল,ক্ষতি কারক রং,পচা ডিমসহ নানান ক্ষতিকর পন্যের পাশাপাশি উৎপাদন ও মেয়াদ বিহীন পণ্য।
হান্নান মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন,‘বেকারির তৈরি এসব খাবার মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ দেখার বাও নাই। আর ক্রেতারা তো আর এসব জিজ্ঞেস করে না। পরে বাড়িতে নেওয়ার পর মাঝেমধ্যে খাবার থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।’
জানতে চাইলে ভৈরব বেকারি মালিক স্বপন মিয়া বলেন, আজকের পর থেকে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে খাবার বানাবো। ‘আমাদের বিএসটিআই এর কাগজপত্র নাই। নিউজ করার দরকার নাই।’
উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মো. আলী আকবর জানান  বেকারি মালিকদের একাধিকবার বলা হয়েছে,কিছুদিন আগেও পরিদর্শন করে রিপোর্ট পাঠিয়েছি এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে ভেজাল মুক্ত খাদ্যদ্রব্য প্রস্তত করতে বলেছি। কিন্তু তারা কিছুই মানছেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন,ভেজাল কেমিক্যাল ও নি¤œমানের উপকরণ দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা খাবার খেলে যে কেউ আমাশয়,ডায়রিয়াসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসান জানান,এসিল্যান্ড এর মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. হাবিবুর রহমান বলেন,মনিটরিং করতে গিয়ে দেখেছি খুবই বাজে অবস্থা। ভেজাল পণ্য তৈরি না করা নির্দেশনা দিয়ে এসেছি এরপরও তারা নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আল নোমান শান্ত




নরসিংদীতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ২

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নরসিংদীতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। শনিবার (১১ মে) ভোরে ড্রিম হলিডে পার্কের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মাইক্রোবাস চালক সালাম (৪৩) ও যাত্রী পিয়াল (২৬)। আহতরা হলেন, আকিব(২৬), সাকিব (২৬) ও অমিত (২৭)। তারা প্রত্যেকেই মাইক্রোবাসের যাত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাস ড্রিম হলিডে পার্কের সামনে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ২ জন মারা যান।

ইটাখোলা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াছ আহমেদ বলেন, ঘাতক বাসটি পালিয়ে যাওয়ার সময় ভুলতা এলাকা থেকে আটক করেছে হাইওয়ে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।