দুর্গাপুরে ৩৪০ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনি জব্দ,আটক ১

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা ৩৪০ বস্তুায় ১৬ হাজার ৯৮৫ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে পুলিশ। জব্দ করা চিনির বর্তমান বাজারমূল্য ২০ লাখ ৩৮ হাজার ২০০ টাকা।

এ সময় বড় একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করতে পারলেও অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও কয়েকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে আটককৃত ব্যক্তিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে রবিবার রাতে দুর্গাপুর পৌর শহরের এম.কে.সি.এম স্কুল মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ-সব জব্দ করা হয়।আটকৃত ব্যক্তির নাম জুবাইদ হোসেন (১৬)। সে ট্রাকের হেল্পার ও নোয়াখালীর কামাল উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা চিনির একটি বড় কাভার্ড ভ্যান পৌর শহরের এম.কে.সি.এম স্কুল মোড় এলাকায় সড়কেই দাড়িয়ে রাখা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মোহাম্মদ আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব ও পুলিশের একটি দল রবিবার রাতে সেখানে অভিযানে যান। এ সময় বাংলাদেশী ৫০ কেজির বস্তুায় ভরা ভারতীয় ১৬ হাজার ৯৮৫ কেজি চিনি,একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দসহ একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সলিমউদ্দিন বাদী হয়ে আটককৃত ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পুলিশ আরও জানায়,ভারত থেকে চোরাই পথে এনে ওই চিনি দেশিয় কোম্পানির চিনির বস্তায় ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়।

দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মোহাম্মদ আক্কাছ আলী জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ-সব ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। সোমবার আটককৃত ব্যক্তিকে আদালতে সোর্পদ করা হয়।




দুর্গাপুরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপি নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে সকাল ১০টা থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে, স্থানীয় শহীদ সন্তোষপার্কে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি ও ভাষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরবর্তিতে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায় ইউএনও এম রকিবুল হাসান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভার:) পারভীন আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সোহরাব হোসেন তালুকদার সহ নানা দপ্তরে কমর্রত অফিসারবৃন্দ।

আলোচনা শেষে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া ‘‘মুক্তিযুদ্ধকে জানি’’ শীর্ষক প্রামান্য চিত্র ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শনী শেষে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। এছাড়া বিরিমিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি‘র পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজং এর সভাপতিত্বে অনুরুপ কর্মসুচী পালন করা হয়েছে।




ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের সারি সারি মরদেহ, স্বজনদের আহাজারিতে ভারী পুরো এলাকা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সারি সারি পড়ে আছে বেইলি রোডের ভবনে লাগা আগুনে নিহতদের মরদেহ। আপনজনদের মরদেহ নিতে মর্গের পাশেই অপেক্ষা করছেন নিহতদের স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা যেন ভারী হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সরেজমিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ ও জরুরি বিভাগের সামনে দেখা যায়, আগুনে পুড়ে নিহতদের মরদেহ নিতে স্বজনরা অপেক্ষা করছেন। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। কেউ কেউ নিহত স্বজনের স্মৃতি মনে করে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশেই অস্থায়ী তথ্য ও সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে স্বজনরা পূর্ণ ঠিকানাসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিয়ে মরদেহ বুঝে নেওয়ার প্রক্রিয়ার শেষ করছেন। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলের মর্গ থেকে কোনো মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।

ডিএমপির রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ সালমান ফারসী বলেন, এখনো মর্গ থেকে কোনো মরদেহ বের করা হয়নি। নিহতের স্বজনরা এসেছেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের কেএফসি ভবনের পাশে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১২ ইউনিট। এতে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন নিহতের তথ্য মিলেছে।

>>কপিরাইট জাগো নিউজ>>




হাড় কাঁপানো শীতেও  ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় মাঘ মাসের শুরুতেই ঘনকুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীত উপক্ষো করে ইরি-বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষাণ-কৃষানিরা নিজেদের খাবার জোগার করতে ধান চাষের জন্য মাঠে নেমেছেন। মাঠের পর মাঠ জুড়ে কেউ চারা তুলছেন, কেউ জমি তৈরির কাজ করছেন আবার কেউবা ক্ষেতে পানি সেচের জন্য শ্যালো মেশিনে সেচ দিচ্ছেন। এনিয়ে বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ সীমান্তবর্তী আদিবাসী এলাকা গুলোতে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।
এ নিয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ১৮ হাজার ৬শত হেক্টর। শীতের তীব্রতার কারনে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার হেক্টরের মতো রোপন হয়েছে। উপজেলার কুল্লাগড়া, দুর্গাপুর, গাওকান্দিয়া, চন্ডিগড়, বাকলজোড়া ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ধুম পড়েছে বোরো আবাদের। স্থানীয় জাতের বীজের চেয়ে হাইব্রীড এবং উচ্চ ফলনশীল উপসী ধান আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন এলাকার কৃষকগন।
গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কৃষক এইচ এম সাইদুল ইসলাম বলেন, আগাম বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় এবার আগে-ভাগেই ধানের ক্ষেত তৈরী করে চারা রোপন শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত সার, কিটনাশক ও ডিজেলের সমস্যায় পড়তে হয়নি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ আমাদের এলাকায় বোরো আবাদ ভালো করার জন্য সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। অত্র এলাকায় গত আমন ফসল বাম্পার হওয়ায় খুব আগ্রহ নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছি। আশা করছি এবারেও বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার নিপা বিশ^াস  বলেন, এবার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ১৮ হাজার ৬শত হেক্টর। শীতের তীব্রতা থাকলেও এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার হেক্টরের মতো রোপন করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রীড এবং উচ্চ ফলনশীল উপসী ধান আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন কৃষকগন। এবার শৈত্য প্রবাহ, ঘনকুয়াসা ও হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেও বীজ তলার কোন ক্ষতি হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইরি বোরো চারা রোপনের লক্ষ্য মাত্রা শেষ করা যাবে বলে তিনি আশা করছেন।



কার্ড পেয়েও দেড় বছরে জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা!

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে প্রতিবন্ধী কার্ড হয়েছে তবে হাতে কার্ড থাকলেও দেড় বছরে ভাগ্যে জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা। সমাজসেবা অফিসের লোকজনের পেছনে দিনের পর দিন ঘুরলেও ব্যবস্থা হয়নি ভাতার। বদলে পেয়েছেন কেবলই অবহেলা আর আশ্বাস।
ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের দেশওয়ালীপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফুলন ঋষি (১০) এর সঙ্গে। তার পরিবারের সদস্যরা সমাজ সেবা অফিসে দীর্ঘদিন ঘুরতে ঘুরতে এবার হতাশ হয়ে যেন বাড়ি ফিরছেন।
প্রতিবন্ধী কার্ড সূত্র বলছে,ফুলন ঋষি নামের প্রতিবন্ধী কার্ডটি ২০২২ সালের আগস্ট মাসের ৮ তারিখ প্রদান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ বছর ৪ মাস ২৬ দিন পেরিয়ে গেলেও তার ভাগ্যে জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,২০১৪ সালের নভেম্বর মাসের ১৯ তারিখ জন্ম ফুলন ঋষির। জন্মের পর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটেছে শারীরিক পরিবর্তন। ছোট থেকে এযাবতকাল কোনো দিনও কথা বলতে পারেনি সে। অর্থ অভাবে হয়নি চিকিৎসা।
বাবা পরেশ ঋষি জানান,দীর্ঘদিন চেষ্টার পর একটি প্রতিবন্ধী কার্ড হয়। তবে সমাজসেবা অফিসে দিনের পর দিন ঘুরলেও মেলেনি ভাতার ব্যবস্থা। কেবল পেয়েছেন শুধুই আশ্বাস। ঋণ করে মোবাইল ও সিম কিনেছেন তবে আজও দেখা মেলেনি সেই ভাতার। এখন হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন তিনি। প্রতিবন্ধী এই শিশুকে নিয়ে বর্তমানে খুবই কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
নিদারুণ কষ্ট নিয়ে তিনি বলেন,”বাঁইচ্চা রে লইয়ে অফিসে গিয়ে কাইনধা আইছি কয়েকবার। তারা কই সামনের বিলে পাইয়াম,পরের মাসে গেলে কই পরের মাসে পাইয়াম পরে আবার গেলে কই ছয় মাসের টাকা একেবারে পাইয়াম,এমন করতে করতে আজগা এক বছরের বেশি হইবো ঘুরাইতেছে। আমি এহন কি করবাম? সবাইগো লইয়া বিরাট কষ্টে খাইয়া আনা খাইয়া বাঁইচা আছি”
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোহাম্মদ মুজাম্মেল হক বলেন,অনেক আগের যারা তাদের গুলো গেল ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখ আমরা পেরুড দিয়েছি। এক মাসের মধ্যে পেয়ে যাবে সবাই। তারপরও না পেলে আমার কাছে আসলে আমি দ্রæত ব্যবস্থা নেব।




সাবেক এমপি জালাল তালুকদারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুর্গাপুরে শোকর‌্যালি

dnb news :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নেত্রকোনা-১ আসন থেকে তিন বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও এক শোকর‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে এ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে মরহুমের কন্যা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার এর আয়োজনে মরহুমের কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পন, কোরআন খতম, কাঙ্গালীভোজ, মিলাদ মাহফিল শেষে ঝুমা তালুকদারের সভাপতিত্বে মরহুমের জীবনীর উপর আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ খান জনি, উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি উসমান গণি তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, মেয়র আলহাজ¦ মাও: আব্দুস সালাম, কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যার আব্দুল খালেক, সাবেক মেয়র শ.ম জয়নাল আবেদীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান পারভীন আক্তার, পৌর আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, আ‘লীগ নেতা মো. আলী আসগর, একেএম ইয়াহিয়া প্রমুখ। আলোচনা শেষে জালাল তালুকদার হত্যার বিচারের দাবীতে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।

বক্তারা বলেন, উত্তর ময়মনসিংহের সিংহ পুরুষ জননন্দিত নেতা এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদারকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে, এ হত্যা নিয়ে দীর্ঘসময় অতিবাহিত হলেও প্রকৃত দোষিরা এখনো অধরায় থেকে যাচ্ছে। আমরা প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে দ্রæত বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। উল্লেখ্য, সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদার ২০১২সালের ২৫সেপ্টেম্বর নিজ বাসভবনে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদার।




কথিত সাংবাদিক মামুনের চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে দুর্গাপুরে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

dnb news:

ময়মনসিংহে বসবাসরত কথিত সাংবাদিক মামুনুর রশিদ মামুন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিরীহ জনগন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে পৌর শহরের প্রেসক্লাব মোড়ে উপজেলার সাধারন জনগনের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন হয়।
বক্তারা বলেন,দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের গন্ডাবের গ্রামের কথিত সাংবাদিক আলী ছোবানের ছেলে মামুন দীর্ঘদিন যাবত সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জনগনের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে। অনেক জনের নামে মামুন মামলা করেছে।

গ্রামের সহজ সরল মানুষদের সরকারি চাকরির কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করেছে সে। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়েও চাঁদাবাজি করে এ মামুন।

তারা আরও বলেন,দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি,সিনিয়র সাংবাদিক এস এম রফিকুল ইসলাম রফিক নিরীহ মানুষদের হয়রানির প্রতিবাদ করায় কথিত সাংবাদিক মামুন কিছু নিউজ পোর্টালে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে এ সিনিয়র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। এ মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সিনিয়র সাংবাদিক রফিক সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামুনের বিরুদ্ধে মানহানিকর মামলা করেন।
তাঁর এহেন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার সর্বশ্রেনীর জনগন মানববন্ধন করে প্রশাসনের কাছে এ কথিত সাংবাদিক মামুনের শাস্তি দাবি করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,ভুক্তভোগী কাকৈরগড়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মুক্তার হোসেন, ভুক্তভোগী আবু জাফর, সাইকুল ইসলাম,নাঈম,উমর ফারুক, নিজাম প্রমুখ ।




দুর্গাপুরে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল নারীর

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ট্রাকের ধাক্কায় এক নারী পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই নারীর নাম হাজেরা খাতুন (৫০)। তিনি উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানের স্ত্রী।
আজ শুক্রবার দুপুরে দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝানজাইল নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ-সময় ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করে স্থানীয়রা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুরের দিকে গ্রামের বাড়ি থেকে অটো করে নিজ বাসায় ফিরছিলেন হাজেরা খাতুন। বাসার সামনে এসে অটো থেকে নেমে রাস্তা পার হচ্ছিলেন তিনি। এ সময় দ্রুতগতির একটি বালুবাহী ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। ট্রাকের ধাক্কায় তিনি ছিটকে পড়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় স্থানীয়রা সড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব বলেন, ট্রাকচাপায় একজন নারী নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা সড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আইনী কার্যক্রম চলমান রয়েেছে ।




দুর্গাপুরের পারিবারিক কলহের জের ধরে হামলা-ভাংচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে হামলা-ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। রবিবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মাহমুদুল হাসান।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, পৌর শহরের দেশওয়ালীপাড়া এলাকার মৃত নুরুল হক ফকিরের পুত্র মাও: সিরাজুল হক, এহতেসাম ও সদর ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছ ,কামরুজ্জামান,মহসিনদের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। পূর্বেও বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। এছাড়াও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিগন মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। পরবর্তীতে তারা অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ ও প্রকাশ্যে বলে বেড়ায় যে গ্রাম্য মড়ল দিয়ে কিছুই করতে পারস নাই,থানা ওয়ালা দিয়ে কী করতে পারিস দেখবাম নে।

তিনি আরো বলেন,ওই বিরোধের জের ধরে মাওলানা সিরাজুল ইসলাম এক পযার্য়ে পথ চলাচলের রাস্তার উপর কাটা দিয়ে বেড়া দিয়ে দেন। গত ০৭ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জুবেদা খাতুন,তাসলিমা,মাসুদা খাতুন,ভাগিনা আবু ইউসুফকে তিনি ডেনে নেন। এ-সময় বাকবিতন্ডা শুরু হয় এক পযার্য়ে লাটিসোটা দিয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়। মহিলাদের শরীরে রক্ষিত স্বর্ণের গয়না ছিনিয়ে নেন। মারধর করার পর রাগীকে হাসপাতালে আনতে বাধাও প্রদান করে। পরে পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করি। গুরুতর আহত তাসলিমা বেগমকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত ডাক্তার। আহতদের বাড়িঘ অন্যান্য বসতিরা অভিযুক্তদের ভয়ে থাকতে পারছেন না। প্রকাশ্যে হুমকী দিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা। যেকোন সময় প্রানণাশের ঘটনা ঘটতে পারে। এমন অবস্থায় ভয়ে দিনাতিপাত করছি। এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এ-সময় উপস্থিত ছিলেন,আঃ লতিফ,মুবাশ্বির হাসান,হাসান আলী,খোকন মিয়া প্রমুখ।




খানাখন্দ-কাঁদায় সড়কের বেহাল দশা, জনভোগান্তি চরমে

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিক মহাসড়কের বিরিশিরি হতে শান্তিপুর এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশায় চরম জনভোগান্তি দেখা দিয়েছে। এই ভোগান্তি এক দিনের নয়,বছরের পর বছরের।
প্রধান এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই লাখো মানুষের জেলা শহর,বিভাগসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত। এই দুর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়কের খানাখন্দ-কাদা ও যানজট। ভেজা ও অতিবোঝাই বালু পরিবহনে সড়ক নষ্ট হয়ে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্ত। এতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকছে। অন্যদিকে এইসব বালুর গাড়ি থেকে চুইয়ে পড়া পানিতে সবসময়ই সড়কটি কাদাপানিতে একাকার থাকে। ফলে সবাইকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ সড়ক দিয়ে যেমন যেতে হয় জেলাশহর ও বিভাগ শহরে অপরপথে যেতে হয় উপজেলা সদর,অফিস-আদালতসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তাছাড়া সোমেশ্বরী নদী,সাদামাটির পাহাড় ও পাহাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে সারাবছরই বেড়াতে আসেন বিপুলসংখ্যক পর্যটক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে তাঁদেরও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এ পথের উপজেলার ১২ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কই বেহাল। খানাখন্দ আর কোথাও কোথাও প্রায় দুই ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই গর্তে জমেছে পানি। আর পুরো সড়ক জুড়ে কাদা আর কাদা। যেন পা ফেলাই দায়। ওই সড়কটি দিয়েই শত শত যানবাহনসহ মানুষ চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন।
এদিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায় সড়ক সংস্কারের অংশ হিসেবে ২৪শত মিটার পৃথক পৃথক স্থানে আরসিসি সড়ক নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। তবে সড়কের কিছু স্থানে এক পাশের কাজ শেষ হলেও ফেলে রাখা হয়েছে অন্যপাশের অংশটি। এতে সড়কের একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলে দীর্ঘ সময়ের যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অসংখ্য যানবাহন চলাচল থাকায় সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রেখে এক সঙ্গে দুইপাশের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভেজা ও অতিরিক্ত বালু বহন করায় সড়কের বারটা বেজে গেছে। সর্বদাই কাদায় ডুবে থাকছে এবং দীর্ঘ সময় যানজট লেগে থাকে। এতে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন জানান, কাঁদা আর ট্রাকের জ্যামে অতিষ্ঠ সবাই। আমার বাড়ি লক্ষীপুর থেকে দুর্গাপুর যেতে ২০ মিনিটের রাস্তা এখন দুই ঘন্টাও লাগে। এই দুরাবস্থা যেন দেখার কেউ নেই।
আব্দুল আলী জানান, সড়কটি দিয়ে অসুস্থ রোগী নিয়ে উপজেলা সদর হাসপাতালে যেতে হয়। তাছাড়াও জরুরি রোগীদের ময়মনসিংহ নিয়েও যেতে হয়। কিন্তু সড়কের এই অবস্থায় সময় মতো পৌঁছানোটাই ঝুঁকি হয়ে যায়।
এইচএসসি পরিক্ষার্থী উজ্জ্বল মিয়া জানান,বাড়ি থেকে সকাল সাড়ে ছয়টায় বের হই। সড়কের এই পরিস্থিতিতে অটোরিক্সাও যেতে চায় না । যার কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে আর কতক্ষনে কেন্দ্রে পৌঁছাবো এই টেনশনে থাকি।
এ প্রসঙ্গে নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আলনূর সালেহীন জানান, ওই সড়কে বালুর ট্রাক চলাচলে রাস্তা টিকিয়ে রাখায় মুসকিল হয়ে পড়েছে। মানুষের কষ্ট তো থাকছেই। সড়কের পৃথক পৃথক স্থানে মোট ২৪শত মিটার আর সিসি’র কাজ চলমান রয়েছে।
আরও জানান,সড়কের এক পাশের কাজ শেষ করে ২৮দিন পর অপর পাশের কাজ ধরতে হচ্ছে। এ সড়কে অনেক গাড়ি চলাচল রয়েছে তাই সড়ক বন্ধ রেখে কাজ করা যায় না।

আল নোমান শান্ত
০১৮১৪৬১৭৮৩৪