সুনামগঞ্জের ছাতকে ব্রীজ একাডেমীর ছাত্র আকিবের উপর  হামলার ঘটনায় মানববন্ধন

জুনেদ আহমেদ,সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় ব্রীজ একাডেমীর ৯ম শ্রেনীর ছাত্র ইসফাক হোসেন আকিবসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার জাউয়া বাজার, চরমহল্লা, সিংচাপইড়, দক্ষিণ খুরমা ও ভাতগাঁও ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে জাউয়া বাজারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে  আব্দুল মুকিত শহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, জাউয়া ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিশংকর ভৌমিক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কদর মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ তকুদ্দুছ আলী পীর, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ রেজা মিয়া তালুকদার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালিক, আখলুছ মিয়া, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাষ্টার জসিম উদ্দিন, জাউয়া বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আসাদুর রহমান আছাদ, সাধারন সম্পাদক নূর মিয়া, ব্যবসায়ী আসক উদ্দিন, লায়েক মিয়া তালুকদার, আলহাজ্ব উকিল আলী, আকবর আলী, প্রভাষক নাজমুল হোসেন, প্রভাষক গৌছুল হক নাঈম, হেলাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য আমতর আলী, আলমগীর হোসেন, ব্যবসায়ী শাহীন মিয়া তালুকদার, আনোয়ার হোসেন আলী, লোকমান হোসেন, লিমন মিয়া, আজির উদ্দিন, আমজাদ হোসেন, আবুল মাল প্রমুখ।
মানববন্ধনে জাউয়া বাজার, চরমহল্লা, সিংচাপইড়, দক্ষিণ খুরমা ও ভাতগাঁও ইউনিয়নের সর্বস্থরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ব্রীজ একাডেমীর ৯ম শ্রেনীর ছাত্র ইসফাক হোসেন আকিবকে বেধড়ক মারপিট করেছে। এ ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে আকিবের স্বজন ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। হামলাকারীরা তাদের গাড়তেও ভাংচুর করে।
আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সৃষ্ট ঘটনার সুষ্টু বিচার করা না হলে রোববার বিকেল ৩টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত একঘন্টা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করার ঘোষনা দেন বক্তারা।
স্থানীয়রা জানান, ১১ সেপ্টেম্বর ব্রীজ একাডেমীতে জাউয়া বাজার ইউনিয়নের খিদ্রাকাপন গ্রামের আমজদ হোসেনর পুত্র, ব্রীজ একাডেমীর ৯ম শ্রেনীর ছাত্র ইসফাক হোসেন আকিবকে মারধোর করে একই একাডেমীর দশম শ্রেনীর ছাত্র হাসান, রাহাত, নিয়াজ, শুভ, আরিফ, হৃদয় সহ আরো কয়েকজন। এ ঘটনায় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে আকিবের পরিবারের লোকজন বিচার চাইতে গেলে তারাও হামলার শিকার হন। এ সময় হামলাকারীরা তাদের ব্যবহৃত গাড়িটিও ভাংচুর করে।



সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ছাতকে সদস্য প্রার্থী আব্দুস শহিদ মুহিত ও মোঃ সায়েদ মিয়া

জুনেদ আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচনে ছাতক উপজেলা থেকে এখন পর্যন্ত দুজন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। আব্দুস শহিদ মুহিত ও মোঃ সায়েদ মিয়া এ ২জন প্রার্থী নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্রও ক্রয় করেছেন বলে জানা গেছে। আব্দুস শহিদ মুহিত হচ্ছেন আওয়ামীলীগ নেতা ও ১২ নং ওয়ার্ডের সাবেক জেলা পরিষদ সদসস্য। অপর প্রার্থী হচ্ছেন কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অদুদ আলমের বড় ভাই, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী মোঃ সায়েদ মিয়া।
তিনি উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের কালারুকা গ্রামের হাজী আকবর আলীর পুত্র ও শহরের হাজী আকবর আলী মার্কেটের স্বত্তাধিকারী। মোঃ সায়েদ মিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে ছাতক উপজেলা থেকে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করার আগ্রহ ব্যক্ত করে উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছন।
বুধবার তিনি ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জনপ্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় করেছেন। পাশাপাশি বন্ধু-বান্ধব, মুরব্বিয়ান সহ উপজেলার সকল নাগরিকবৃন্দের কাছে  সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।
সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস শহিদ মুহিত ১৪ অক্টোবর তার মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এ সংক্রান্ত বিষয় তার নিজ নামীয় ফেইসবুক আইডিতে উল্লেখ করেছেন। প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়ে উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের কাছে ভোট প্রার্থনা সহ সহযোগিতা ও দোয়া প্রার্থনা করেন।



সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার  ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা।

জুনেদ আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেনের ভাই ভাতিজা কর্তৃক কলেজ অধ্যক্ষকে পেটানোর ঘটনার একদিন পর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে  পরিষদের ১০ সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এ অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেন তারা। শিক্ষককে মারধোরের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে  নিন্দার ঝড় উঠেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ সোমবার এক প্রতিবাদ সভা ও করেছেন। তারা আগামী বুধবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালনেরও ডাক দিয়েছেন।
অন্যদিকে একই পরিষদের ১০ ইউপি সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ,বকুল আক্তার, আবদুল কাদির, আল আমিন, আবু হানিফ, মোশাররফ হোসেন, আবদুল কাদির-২, নুরুল ইসলাম, ছফিউল্লাহ, জয়নব বিবি অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেন।
অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেন বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়টি আমার জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়মের  অভিযোগ এনে ১০ ইউপি সদস্যের একটি অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



সুনামগঞ্জের  ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে সিএনজি ভাড়া বৃদ্ধি ও  যাত্রী হয়রানীর প্রতিবাদে নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত

জুনেদ আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় কোন কারণ ছাড়াই অযৌক্তিকভাবে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে সিএনজি ভাড়া বৃদ্ধি, যাত্রী হয়রানী ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে যাত্রী সাধারনের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অদুদ আলমের সভাপতিত্বে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৩ দিনের মধ্যে বর্ধিত ভাড়া বাতিল না করা হলে যাত্রী সাধারন ও এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি প্রদান করেন বক্তারা। বিষয়টি সমন্বয় করার জন্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে যাত্রীকল্যাণ পরিষদ নামে ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তরা বলেন, ছাতক থেকে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক হলেও ছাতক সিএনজি ষ্টেশন থেকে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত মুলত ১২ কিলোমিটার সড়ক ব্যবহৃত হয় যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে। এই ১২ কি.মি. সড়কে বিভিন্ন অজুহাতে ১৩ টাকার ভাড়া বর্তমানে ৩০ টাকায় উন্নীত করা হয়। যা চলে আসছে গত কয়েক বছর ধরে। সম্প্রতি কোন কারন ছাড়াই আকষ্মিক ছাতক থেকে গোবিন্দগঞ্জ পযর্ন্ত ভাড়া বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়। সিএনজি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা তাদের ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়িয়ে যাত্রী সাধারনের উপর অতিরিক্ত চাপিয়ে দিয়েছেন। ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে যাত্রী সাধারনের সাথে সিএনজি চালকদের প্রায়ই বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটছে।
সিএনজি চালকরা তাদের নির্ধারিত বর্ধিত ভাড়া আদায়ে যাত্রীদের হয়রানী ও লাঞ্চিত করে আসছে। ভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারী নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে সিএনজি সংগঠনের নেতারা তাদের মতো করে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। সিএনজি চালকদের নৈরাজ্যের কাছে অনেকটা জিম্মী হয়ে পড়েছেন যাত্রী সাধারন। অযৌক্তিক সিএনজি ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ছাতক-গোবিন্দঞ্জের সিএনজি ভাড়া কমিয়ে ৩৫ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। পুলিশ প্রশাসনের চাপে তাদের নির্ধারন করা ছাতক-গোবিন্দঞ্জের ভাড়া থেকে ৫ টাকা কমালেও ছাতক-মাধবপুর, ছাতক-কালারুকা, ছাতক-হাসনাবাদ ও ছাতক-তাজপুরের জন্য তাদের বৃদ্ধি করা ভাড়া বহাল রেখেছে।
এতে করে কোন যাত্রী যদি ছাতক থেকে মাধবপুর, কালারুকা, হাসনাবাদ ও তাজপুর নেমে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত যেতে চায় তবে তাদের নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করতে ওই যাত্রীকে  অন্তত ৫০ টাকা গুনতে হবে। সিএনজি সংগঠনের বর্ধিত ভাড়া থেকে ৫ টাকা কমালেও শুভংকরের ফাঁকির মতো অন্যান্য স্থানের  তাদের নির্ধারিত ভাড়াই বহাল রেখেছে। বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্ধিত ভাড়া দিয়ে তারা সিএনজিতে উঠবেন না এবং সড়কে সিএনজি চলাচল করতে দেবেন না। বিষয়টি আগামী ৩দিনের মধ্যে সমাধান না হলে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক অবরোধ করার হুমকি দেন তারা।
বিষয়টি সমন্বয় করার জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব উদ্দিনকে আহবায়ক ও কামরুজ্জামানকে সদস্য সচিব করে ৪৩ সদস্য বিশিষ্টি যাত্রীকল্যাণ পরিষদের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
যুবনেতা বুরহান উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য তাজ উদ্দিন, সদর আমিন, দুলাল মিয়া, ছায়েদ আহমদ জাবেদ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফতাব উদ্দিন, ব্যবসায়ী আমরু মিয়া, কামরুল হাসান, সাবেক মেম্বার লুতফুর রহমান মানিক, মখলিছ আলী, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ নজমুল হোসেন, আমিরুল হক, ছালিক মিয়া, আব্দুল কাইয়ূম, ছাত্রলীগের নেতা আতিকুর রহমান রিয়াদ ও তোফায়েল আহমদ মিনার প্রমুখ।