পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে মৃত বেড়ে ৩২

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও আট জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নিখোঁজদের উদ্ধারে আবারও কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

রংপুর থেকে আসা ডুবুরি দলের প্রধান মিজানুর রহমান এসব তথ‌্য নিশ্চিত করে জানান, রোববার সর্বশেষ ২৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম দিনের মতো উদ্ধারকাজ স্থগিত হয়। আবার সকাল থেকেই আমরা উদ্ধার কাজে নেমেছি। এখন পর্যন্ত আরও আট জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এছাড়া, জরুরি তথ্য কেন্দ্রে নিখোঁজদের তালিকায় আরও ২৫ জনের নাম যুক্ত হয়েছে।

এদিকে, রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহত ২৪ জনের পরিচয় নিশ্চিতের তালিকা প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসনের জরুরি তথ্য কেন্দ্র।

তালিকা অনুযায়ী ২৪ জনের মধ্যে ২৩ জনই হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলে নিশ্চিত করেন তথ্য কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসিল্যান্ড ইমরানুজ্জামান। নিহতদের মধ‌্যে একজন মুসলিম। তার নাম  হাশেস আলী (৭০)। তার বাবা মৃত আহম্মদ আলী। বাড়ি পঞ্চগড়ের বড়শশী বোদার কুমার পাড়ায়।

নিহতদের মধ‌্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, শ্যামলী রানি (১৪), লক্ষী রানি (২৫), অমল চন্দ্র (৩৫) শোভা রানি (২৭), দিপঙ্কর (৩) পিয়ন্ত (২.৫)  রুপালি ওরোফে খুকি রানি (৩৫), প্রমিলা রানি (৫৫) ধনবালা (৬০) সুনিতা রানি (৬০), ফাল্গুনী (৪৫) প্রমিলা দেবী, জ্যোতিশ চন্দ্র (৫৫), তারা রানি (২৫),  সানেকা রানি (৬০), সফলতা রানি (৪০) বিলাশ চন্দ্র (৪৫), শ্যামলী রানি ওরফে শিমুলি (৩৫),  উশোশি (৮) তনুশ্রী (৫), শ্রেয়সী, প্রিয়ন্তী(৮)। তাদের সবার বাড়ি পঞ্চগড়ে।

বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোলেমান আলী বলেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া, আহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়া উপলক্ষে সন্ধ‌্যায় আউলিয়া ঘাট থেকে একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। ঘাট থেকে নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পরই ডুবে যায়।




বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ: বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতাকে রাখা হলো শীর্ষে

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নামের চূড়ান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করেন। ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নামের তালিকাও একই সঙ্গে প্রকাশ করা হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানের নাম।

তালিকায় ঢাকা বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৩৭ হাজার ৩৮৭ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০ হাজার ৫৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ৫৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ১৭ হাজার ৬৩০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ হাজার ৫৮৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ হাজার ৮৯৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৫ হাজার ১৫৮ জন, সিলেট বিভাগে ১০ হাজার ২৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।

তৃণমূল থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার প্রথমটি প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেটা অপূর্ণাঙ্গই থাকছে।

মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে এন্ট্রি করেছি ১ লাখ ৮২ হাজার ৮৩৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম। তবে প্রায় ৩৫ হাজার জনের বেসামরিক গেজেট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অনুমোদন না থাকায় এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে।’

ইতিমধ্যে এসব গেজেট নিয়মিতকরণের উদ্দেশ্যে ৪৩৪ উপজেলার প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে মন্ত্রণালয়। যাচাই-বাছাই ও আপিল শুনানি শেষে চলতি বছরের ৩০ জুন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ন প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করলেও তাঁদের কোনো তালিকা করতে পারিনি। বিলম্ব হলেও সে তালিকা করা শুরু করেছি।’

স্বাধীনতার পর থেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে বারবারই। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হলে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ আবেদন আসে। কিন্তু যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন থেকে শুরু করে পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় শেষ পর্যন্ত নতুন তালিকা প্রকাশ স্থগিত করতে হয় সরকারকে।




৩ লাখ মিটার কারেন্ট জালসহ ১০ মণ জাটকা জব্দ

পটুয়াখালীর রাবনাবাদ নদীর মোহনায় অভিযান চালিয়ে তিন লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট ও বেড় জালসহ ১০ মণ জাটকা জব্দ করেছে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ১০টা থেকে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত রাবনাবাদ ও আন্ধারমানিক নদী থেকে এসব মাছ ও জাল জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার দুপরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগৎবন্ধু মন্ডলের নির্দেশক্রমে এসব অবৈধ জাল কলাপাড়া হেলিপ্যাড মাঠে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এসব জালের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৯০ লাখ টাকা। জব্দকৃত জাটকা ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসার ছাত্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জ‌্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা জহিরুন্নবী, কুয়াকাটা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ এস আই মাহমুদ হোসেন মোল্লা ও এএস আই কামরুল ইসলাম।

কুয়াকাটা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ এসআই মাহমুদ হোসেন মোল্লা জানান, রাতভর অভিযান চালিয়ে এসব মাছ ও জাল জব্দ করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।




অমানবিক নির্যাতন: ভিডিও ভাইরালের পর অপহৃত যুবক উদ্ধার

পটুয়াখালীর মহিপুরে হাত পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিলো। অপহৃত যুবক রায়হানকে (২২) ৬ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় উপজেলার লতাচাপলী স্লুইজগেট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি মনিরুজ্জামান জানান, সকালে একটি ডিঙ্গি নৌকা ফাতরার বনে বালু আনতে যায়। এসময় বালুবাহী নৌকা দেখে রায়হান তাদের কাছে সাহায্য চাইলে তারা রায়হানকে উদ্ধার করে মহিপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। উদ্ধারের সময় রায়হানের হাত বাঁধা ছিল বলে জানিয়েছেন নৌকার শ্রমিকরা।

ওসি আরও জানান, এ সংক্রান্ত এক মামলা করার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রায়হান উদ্ধার হলেন। মামলার ৯ আসামির মধ্যে দুইজনকে মদ তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন‌্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উল্লেখ‌্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন যুবক রায়হান। পরে শুক্রবার সকালে রায়হানকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।




সুগন্ধা নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

ঝালকাঠির নলছিটি থেকে রাসেদুল হক (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) রাত সারে ৯টায় উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বারইকরন নামক এলাকায় সুগন্ধা নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি,তদন্ত) আবদুল হালিম তালুকদার।

রাসেদুল হক নরসিংদী জেলার রায়াপুরা উপজেলার মৃত. শাহজাহান মিয়ার ছেলে। তিনি প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির বরিশাল ডিপোতে স্টোর কিপার পদে চাকরি করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি আবদুল হালিম তালুকদার জানায়, বিকেলে নদীর চরে অচেনা এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে  রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।  রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি (তদন্ত) আরও জানান, মোবাইল ফোনের সিম চালু করে নিহত রাশেদুল হকের পরিচয় পাওয়া যায়। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। গত  ২৪ জানুয়ারি নিখোঁজ হন রাশেদুল। বরিশাল কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এব্যাপারে নলছিটি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

 




জাতিসংঘের কার্যক্রমে অধিক বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান

বিশ্বে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অধিক সংখ্যক বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল প্রতিশ্রুতি ও অব্যাহত সমর্থনের কথা পূনর্ব্যক্ত করে এই আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি এই কার্যক্রম ও জাতিসংঘ সদরদপ্তরের শান্তিরক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিক সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের পদায়নের জন্যও অনুরোধ জানান। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রিক্স ও অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারের সঙ্গে বৈঠককালে সেনাবাহিনী প্রধান এ আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীগণের পেশাগত জ্ঞান, নিয়মানুবর্তিতা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রিক্স। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এছাড়াও ভবিষ্যতে আরও বেশি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েনের বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন ল্যাক্রিক্স। উল্লেখ্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সৈন্য ও পুলিশ প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করছে।

এদিকে অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারের সাথে সেনাবাহিনী প্রধানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সোমবার বিকেলে। বৈঠককালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পরিবহনে বাংলাদেশ বিমানকে তালিকাভূক্ত করার জন্য অতুল খারেকে ধন্যবাদ জানান সেনা প্রধান। শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়নসহ মানবাধিকার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বশীল ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান অতুল খারে। এছাড়া কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ বিমান সফলতার সাথে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পরিবহণে ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ নৌ, বাংলাদেশ বিমান ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অংশগ্রহণ সংক্রান্ত বিবিধ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

এছাড়া মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মিলিটারি অ্যাডভাইজর লেফটেন্যান্ট জেনারেল কার্লোস হামবার্টো লয়টের সঙ্গেও বৈঠক করেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান।

একই দিনে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার সঙ্গেও সেনাবাহিনী প্রধানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে স্থায়ী প্রতিনিধি সেনাপ্রধানকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ সার্বিকভাবে জাতিসংঘে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাকে ধন্যবাদ জানান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

এ সকল বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল জুবায়ের সালেহীন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ছাদেকুজ্জামান।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আমন্ত্রণে সরকারি সফরে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান গত ২৯ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।