মুক্তি পেয়েছেন মাও. রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণা

রাজধানীর মতিঝিলে যুব অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ থেকে আটক বক্তা রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণা মুক্তি পেয়েছেন। কিছুক্ষণ পূর্বে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।

বিষয়টি বক্তা রফিকুল ইসলাম তার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে এক লাইভে এসে নিশ্চিত করেছেন। লাইভে তিনি বলেন, ‘আমি এখন সম্পূর্ণ মুক্ত। আমি কিছুক্ষণ ছিলাম পল্টন থানায়। এখন আমি অনেক টায়ার্ড (ক্লান্ত)। আমি সব বিষয় পরে বলবো। তিনি আরও বলেন, আমি কাউকে দেখানোর জন্য মিছিলে যাইনি। বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই গিয়েছি। আমার গ্রেফতারের খবরে অনেকেই সমবেদনা জানিয়েছেন। আমাদের পাশে ছিলেন। সবার জন্য আমি দোয়া করি। আমাদের ভালবাসা হোক আল্লাহর জন্যই।’

এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে মাওলানা রফিকুল, নুরুজ্জামানসহ বেশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের প্রিজনভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের ভ্যানে বসেই আটক নুরুজ্জামান নামে একজনের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভেও এসেছিলেন বক্তা রফিকুল ইসলাম।

প্রিজনভ্যান থেকে মাত্র ২৯ সেকেন্ডের ওই লাইভে রফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ, সম্মানিত দেশবাসী আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমাদের পুলিশ প্রিজনভ্যানে নিয়ে এসেছে। এই যে আমাদের আরও কিছু ভাই। আমরা বলব- আমরা আসলে দেশের বিরুদ্ধে না, ইসলামের বিরুদ্ধে না, আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা আহত করেছেন, আঘাত করেছেন, আমরা তাদের বলব- আমাদের আঘাত করা আর দেশকে আঘাত করা একই কথা। আমরা ইসলামবিরোধী না দেশবিরোধী না।’

বক্তা রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণা রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসায় লেখাপড়া করেছেন। সেখান থেকে ২০১৯ সালে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপণ করেছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘরে রাজধানীর মতিঝিল শাপলাচত্বরে যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ডাকা হয়। মিছিলে যুব, ছাত্র অধিকারসহ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেন। পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করতে চাইলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। মিছিলকারীরাও পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।




নেত্রকোণায় পিকআপভ্যান ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

ডেস্ক রেোপর্ট:

নেত্রকোণায় পিকআপভ্যান-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ সড়কের সদর উপজেলার বাগড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা হয়।

নিহত পুলিশ সদস্য কনষ্টেবল মো: সাইফুল (৮১৪) নেত্রকোণা আদালতে কর্মরত ছিলেন । তার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায়।

নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান , কনষ্টেবল সাইফুল মোটরসাইকেলে করে নেত্রকোণার দিকে আসছিলেন। আর পিকআপভ্যানটি নেত্রকোণা থেকে ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। পথে বাগড়া এলাকায় পৌছলে সড়কে একটি ছাগলকে বাঁচাতে গিয়ে পিকআপ ও মোটরসাইকেলটি মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

এ সময় পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেল ছিটকে সড়কের পাশে গিয়ে পড়ে। মোটরসাইকেলে থাকা সাইফুলও ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

 




দুর্গাপুরে ১৪৪ বোতল ভারতীয় মদ আটক

ডেস্ক রিপোর্ট :

নেত্রকোনার সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অভিযান চালিয়ে ১৪৪ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) এর অতিরিক্ত অধিনায়ক মেজর নুরুদ্দীন মাকসুদ।

প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গত বুধবার দিনগত রাত সোয়া ১১টার দিকে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নে বিজয়পুর বিওপি’র (বর্ডার অবজারবেশন পোষ্ট) বিজিবি’র একটি দল টহলে নিযুক্ত ছিল। এসময় টহল দল অভিযান পরিচালনা করে সীমান্ত পিলার ১১৪৮/২-এস হতে ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আড়াপাড়া নামক এলাকা থেকে ১৪৪ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করে।
জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক বাজার মূল্য দু্ই লক্ষ ১৬ হাজার টাকা এবং এ বিষয়ে দুগার্পুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তবে এ অভিযানে চোরাকারবারী আটক করা সম্ভব হয়নি ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান বিজিবি’র এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।




ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর আহত

স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমণ বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজের একটি পোস্ট থেকে তার গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এদিকে একই মিছিল থেকে আলোচিত ওয়ায়েজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গ্রেফতারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই মিছিল চলাকালীন একটি লাইভে দেখা যায়, রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন শাপলা চত্বর এলাকা থেকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করছে এবং তাকে থানায় নেয়ার জন্য পুলিশ ভ্যান সন্ধান করছে।

গ্রেফতারের পর পর নিজের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশভ্যান থেকে তিনি তার ফেসবুক আইডিতে স্টেটাস দেন। এতে লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ধরা পরে গেছি সমস্যা নেই মরতেও রাজি আছি তবুও মোদি আসতে পারবে না!’

এ স্টেটাসের দু’মিনিট পর তিনি তার ফেসবুক থেকে লাইভে আসেন। লাইভে দেখা যায় তাকে ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার সঙ্গে আরো কয়েকজন সহযোদ্ধা। এ সময় তিনি লাইভে বলেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। সম্মানিত দেশবাসী! আপনার দেখছেন, পুলিশ আমাদেরকে গ্রেফতার করে প্রিজনভ্যানে নিয়ে এসেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, আমরা দেশের বিরুদ্ধে নই এবং ইসলামের বিরুদ্ধে নয়। আমাদেরকে পুলিশ ভাইয়েরা আঘাত করেছে। আমরা তাদেরকে বলবো, আমাদের আঘাত করা আর দেশকে আঘাত করা একই কথা। আমরা দেশের বিরুদ্ধে নই এবং ইসলামের বিরুদ্ধে নয় আমরা মোদির বিরুদ্ধে ’।




মতিঝিলে বিক্ষোভ থেকে ‘শিশুবক্তা’ মাওঃ রফিকুল ইসলাম আটক

রাজধানীর মতিঝিল শাপলাচত্বর এলাকায় বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে যুব অধিকার পরিষদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছে। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মাওঃ রফিকুল ইসলাম (নেত্রকোণা) ওরফে শিশুবক্তাকে আটক করেছে।

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার জেরে শাপলাচত্বর হয়ে দৈনিক বাংলা-গুলিস্তান সড়কটি বন্ধ রয়েছে। ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে বিকল্প রাস্তা হিসেবে শাপলাচত্বর থেকে ফকিরাপুল হয়ে গাড়ি চলাচল করছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত এই বিক্ষোভে পুলিশ পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা মশিউর রহমানের। তিনি জানান, পুলিশ মিছিলে লাঠিচার্জ, ক্যাদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। এ সময় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা মতিঝিল শাপলা চত্ত্বর পার হচ্ছিলাম এই সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এখান থেকে শিশু বক্তা রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
তবে রফিকুল ইসলামকে আটকের বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মতিঝিল থানায় ফোন করা হলে ডিউটি অফিসার আরাফাত জানান, তার কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ঘিরে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের একটি মিছিল রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় শুরু হয়। এতে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি মতিঝিলে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি শাপলা চত্বরে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাব, ইট ছুড়তে থাকে। পুলিশও টিয়ারশেল ছোড়ে। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন।

বর্তমানে শাপলা চত্বর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

মতিঝিল জোনের এডিসি নুরুল আমিন বলেন, তারা মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বর এলে আমাদের পুলিশ সদস্যরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ শুরু করে। আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। এখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।




ধোবাউড়ার মনসা পাড়া মিশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ময়মনসিংহ এর আয়োজনে ধোবাউড়ার মনসা পাড়া এ্যাডভেন্টিস্ট সেমিনারী এ- স্কুল, দুর্গাপুরের ডন বস্কো স্কুল ও- কলেজ, রাণীখং উচ্চবিদ্যালয় এর সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং শিক্ষকবৃন্দের সাথে “মানসম্মত শিক্ষা অর্জন” শীর্ষক সেমিনার ২৩ মার্চ দুপুরে নানা আয়োজনে মনসা পাড়া এ্যাডভেন্টিস্ট সেমিনারী এ- স্কুল সেমিনার কক্ষে উদযাপিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ময়মনসিংহ এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল। আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন প্রফেসর ফিরীট কুমার দত্ত-সচিব, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড, মোহাম্মদ আবদুল হক-ক্রীড়া কর্মকর্তা ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। ওই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক শেখ মোঃ হাবিবুর রহমান-কলেজ পরিদর্শক, ড. মোঃ দিদারুল ইসলাম- বিদ্যালয় পরিদর্শক, প্রফেসর সারোয়ার জাহান সিদ্দিকী– উপ-পরিচালক, প্রফেসর মিজানুর রহমান-সুসং সরকারী ডিগ্রী কলেজ, দুর্গাপুর, পাঃ দিলীপ হাগিদক প্রেসিডেন্ট নর্থ বাংলাদেশ, ফাঃ পাওয়েল, ডনবস্কো, বিরিশিরি, অধ্যক্ষ ফাঃ জর্জ কমল রোজারিও-নটরডেম কলেজ, অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার- দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ, অধ্যক্ষ রুম্মন রাফায়েল রাংসা-সেন্ট জেভিয়ার্স বিদ্যালয় ও ডন বস্কো কলেজ, সিস্টার লিওবা- প্রধান শিক্ষক রাণীখং উচ্চ বিদ্যালয়, অধ্যক্ষ সুজন সাংমা, মনসাপাড়া এ্যাডভেন্টিস্ট সেমিনার এ- স্কুল, মনসাপাড়া এ্যাডভেন্টিস্ট সেমিনার এ- স্কুল ও সেন্ট জেভিয়ার্স বিদ্যালয় ও ডন বস্কো কলেজের শিক্ষকমন্ডলী, এস.এম রফিকুল ইসলাম রফিক সভাপতি দুর্গাপুর প্রেসক্লাব, মোঃ জামাল তালুকদার সাধারণ সম্পাদক দুর্গাপুর প্রেসক্লাব এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।




নেত্রকোনায় অস্ত্র মামলার রায়ে দুইজনের ১০ বছরের কারাদন্ডাদেশ

নেত্রকোনায় অস্ত্র মামলার রায়ে দুইজনকে ১০ বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (২৪ মার্চে) বিকাল ৫টার দিকে এই রায় ঘোষনা করেন নেত্রকোনা যুগ্ম দায়রা জজ ২য় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। এসময় একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

আসামীরা হচ্ছে, জেলার দুর্গাপুর উপজেলা বাগিচাপাড়া গ্রামের মৃত আজিজুল ইসলামের ছেলে মো: তাজুল ইসলাম তাজু এবং একই উপজেলার বায়রাউড়া গ্রামের মৃত রাজ মাহমুদের ছেলে মো: মজিম। এর মধ্যে আসামী মো: তাজুল ইসলাম তাজু পলাতক রয়েছে। অপর আসামী মো: আনোয়ার হোসেন আনুকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুর্গাপুর উপজেলা সদরের সুসং বাজারে কতিপয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদল অস্ত্র বিক্রয় করার সংবাদ পায় র‍্যাব। খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের সদস্যরা ক্রেতা সেজে অস্ত্র কিনতে যায়। পরে ঘটনার সত্যতা পেয়ে র‍্যাবের টিম অভিযান পরিচালনা করে দুইজনকে আটক করে। এসময় মো: আনোয়ার হোসেন আনু পালিয়ে যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ২টি বিদেশী রিভলবার ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র‍্যাব। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে।

পরে ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৮ সনের অস্ত্র আইন (সংশোধনী ২০০২) এর 19(f) read with 19A ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে পুলিশ চার্জশীট প্রদান করলে বিজ্ঞ আদালত বুধবার এই রায় প্রদান করেন।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট মো: রফিকুল ইসলাম এপিপি এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, এডভোকেট মাজহারুল ইসলাম খান।




শহীদ মিনার সংস্কারের মাধ্যমে শুরু হলো পৌর শহরের উন্নয়নমুলক কাজ

ডেস্ক  রিপোর্ট: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে স্থানীয় শহীদ মিনার (শহীদ সন্তোষ পার্ক) সংস্কারের মাধ্যমে পৌরসভার নানা উন্নয়ন মুলক কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার উন্নয়নমুলক কাজের উদ্ধোধন করেন মেয়র আলা উদ্দিন।

 

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে থাকা স্থানীয় শহীদ সন্তোষ পার্কের  মাঠে ময়লার স্তুপ অপসারণ, শহীদ মিনারের ভাঙ্গা নানা অংশের সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে শুরু করেন এ কাজ। এছাড়া পৌর শহরের পান মহল থেকে সোমেশ্বরী নদী পর্যন্ত সিসি ড্রেন নির্মান কাজের শুভ উদ্বোধন সহ শহরের সকল ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখার কাজ উদ্বোধন করা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলাম, পৌর সচিব তৌহিদুল ইসলাম, পৌর প্রকৌশলী মো. নওশাদ আলম, নারী নেত্রী ও সাংবাদিক রাখী দ্রং প্রমুখ।

 

মেয়র আলা উদ্দিন বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহনের পর সকল ষ্টাফদের নিয়ে পৌরশহরের সমস্যা গুলো চিহ্নিত করেছি। সঠিক পরিকল্পনা মোতাবেক পর্যায়ক্রমে নতুন করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, মশক নিধন স্প্রে করণ সহ পৌর শহরের সকল নাগরিক সমস্যা গুলো সমধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ কাজ গুলো বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা ও দোয়া চেয়েছেন।




জামালপুরে মাদ্রাসা ছাত্রের মাথাহীন লাশ উদ্ধার

জামালপুরের সদর উপজেলায় অপহরণের ২৮ দিন পর এক মাদ্রাসাছাত্রের মাথাহীন দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দিগপাইতের গান্দাইল গ্রামের বামুনঝি বিল থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত হাবিবুর রহমান হবদেশ দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
তার চাচা দুলাল মিয়া জানান, বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিবেশী ময়নালের হকের স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলত হাবিবুর। বিষয়টি নিয়ে অনেকবার সালিশ-দরবার হয়। ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ময়নাল হককে তালাক দেন মোর্শেদা বেগম।
তিনি অভিযোগ করে জানান, এই রাগে ২২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করা হয় হাবিুবরকে। ময়নাল হকসহ চার-পাঁচজন মুখে গামছা পেঁচিয়ে হাবিবুরকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। অপহরণের পরপরই নারায়ণপুর তদন্ত কেন্দ্রে জিডি করেছিল হাবিবুরের বাবা।
নারায়ণপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মাথাহীন দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পরিবারের লোকজন প্যান্ট-শার্ট ও হাত-পায়ের আঙুল দেখে তাকে শনাক্ত করেন।
তিনি আরও জানান, লাশটি অর্ধগলিত অবস্থায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অনেক দিন আগে তাকে হত্যা করে বিলে ফেলে দেয়া হয়। তার মাথা পাওয়া যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
ওসি আব্দুল লতিফ জানান, হাবিবুরের পরিবার যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে তারা সবাই পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।




ভুয়া টিভি চ্যানেলে সাংবাদিক নিয়োগকারী ১০ প্রতারক আটক

অনলাইনভিত্তিক ভুয়া টিভি চ্যানেলে সাংবাদিক নিয়োগকারী প্রতারক চক্রের দুই মূল হোতাসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪। ফাঁদে ফেলতে চক্রটি ব্যবহার করত নামিদামি ব্রান্ডের গাড়ি। প্রতিষ্ঠিত চ্যানেলের লোগো ফটোশপ করে নিউজ করার ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

রোববার রাজধানীর হাতিরঝিল ও মতিঝিল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট টিভি (বিএসটিভি নিউজ ২৪)’ নামক একটি ভুয়া স্যাটেলাইট অনলাইন টিভির নামে প্রতারণা করছিল তারা।

সোমবার (২২ মার্চ) র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক মো. মোজাম্মেল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ চ্যানেলের কোনো অনুমোদন নেই, শুধুমাত্র একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে তারা এ ব্যবসায় জড়িত।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, ঢাকার শাহীন খান (৫০), শরীয়তপুরের নূর হোসেন ওরফে নুরুল ইসলাম নাহিদ (৩৭) ও মো. রিয়াদ মাহমুদ (২৪), গাজীপুরের মো. রিমন পারভেজ (২৬), নেত্রকোনার মো. জয়নুল আবেদীন (৫৫), নারায়ণগঞ্জের মো. আকবর হোসেন (৩৯), ঢাকার মো. রাজিব হোসেন (৩৯) ও রায়হান পারভেজ (২১), পটুয়াখালীর ইমরুল কাইয়েচ ওরফে ফয়েজ (২৫) ও নেত্রকোনার আইয়ুব খান (৩০)। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যান্ডসহ ক্যামেরা, কম্পিউটার, ভিজিটিং কার্ড ও ব্যানার উদ্ধার করা হয়।