দুর্গাপুরে শিক্ষার্থীদের দেয়াল লিখন কর্মসূচি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুগাপুরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পর এবার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থীদের হাতে রং-তুলি। রোববার দিনব্যপি পৌরশহরের বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে ছাত্র আন্দোলনের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। এতে স্কুল-কলেজের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

পৌর শহর ঘুরে দেখা গেছে, পৌর শহরের রাস্তার সাথে মৎস্য খামারের দেয়ালে শিক্ষার্থীরা রং-তুলির মাধ্যমে আন্দোলনের বিভিন্ন দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলেন। এসব দৃশ্যে আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ, মুগ্ধ সহ অন্যান্য শহীদদের ছবি আঁকানো হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশকে নতুন করে সাজানোর স্লোগানও লেখা হয়েছে দেয়ালে।

শিক্ষার্থী রাতুল খান রুদ্র বলেন, আবু সাঈদ এ প্রজন্মকে দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে বুক চিতিয়ে লড়াই করা হয়। তাকে পুলিশ যেভাবে হত্যা করেছে, আমরা সে চিত্র এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যাতে আবু সাঈদ সম্পর্কে সবাই জানতে পারে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখানে এসেছে। তারা সুন্দর অঙ্কনের মাধ্যমে দেয়াল গুলো ফুটিয়ে তুলছে। শিক্ষার্থী বিয়াদ হোসেন বলেন, স্বৈরাচার থেকে দেশ স্বাধীন করেছি, এবার দেশকে সংস্কার করব। দেয়ালে লিখন কর্মসূচি চলছে যাতে আগামীর প্রজন্ম ২৪ এর যোদ্ধাদের অবদান দেখেই স্মরণ করতে পারে। শিক্ষার্থী আলিফ বলেন, দেয়ালে দেয়ালে যে ভাষা ফুটে উঠেছে তা তাদের প্রতিবাদের ভাষা। যে ভাই ও বোনেরা রক্ত দিয়েছে তাদের স্মরণ করে রাখতে আমাদের এই কর্মসূচি।

শিক্ষার্থী আফসারা ও মহুয়া বলেন, ছাত্র আন্দোলন থেকে স্বৈরাচার পতন এ সময়টা শিক্ষার্থীরা যেভাবে পার করেছে সে বিষয়গুলো বিভিন্ন দেয়াল চিত্রের মাধ্যমে আমরা ফুটিয়ে তুলছি। এদেশ সবার, এদেশে বৈষম্যের জায়গা নেই। সকল ধর্মের, সকল বর্ণের, সকল শ্রেণি পেশার মানুষ একত্রে বসবাস করবে এমন একটা সুন্দর দেশ আমরা গড়তে চাই।

স্থানীয় সংবাদিক তোবারক হোসেন খোকন বলেন, কিছুদিন আগে দেখলাম তারা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এর কাজ করেছে। শহরে পরিস্কার, পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছে। এখন তারা দেয়াল লিখন কর্মসূচি পালন করছে। এভাবে সর্বত্র সচেতনভাবে সবাই এগিয়ে আসলে দেশটা আসলেই সুন্দর হবে। এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এমন প্রশংসনীয় কার্যক্রমে খুশি স্থানীয় লোকজন।




কোটা আন্দোলন : দুর্গাপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার ও নিহত ছাত্রদের বিচারের দাবিতে উপজেলা ছাত্র সমাজের আয়োজনে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। বুধবার সকালে থেকেই পৌর শহরের ব্যস্ততম বিভিন্ন সড়ক গুলো অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।

সড়ক অবরোধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা মেধা দিয়েই সমাজ গড়তে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের যৌক্তিক দাবীগুলো না শুনেই, সকল শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে আখ্যায়িত করে দিলেন। সারাদেশে কোটা সংস্কারপন্থি ৬জন নিরপরাধ ভাই মারা গেছেন, তাদের তো কোন অপরাধ ছিলো না। আমরা কোটা বিলুপ্ত চাই না, কোটা সংস্কার চাই। রাতের আঁধারে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয় সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেয়েদের ওপর হামলা ও নিরপরাধ ছাত্রদের লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে ছাত্রলীগ ও পুলিশবাহিনী, আমরা এর দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার। আমরা সরকার বা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী নই, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানিরা, সেই হামলাকে হার মানিয়েছে ছাত্রলীগ ও পুলিশের এই হামলা। সরকার আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কর্মসুচী মোতাবেক আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।




দুর্গাপুরে বেকারির বিষ খাচ্ছে মানুষ! আইনের তোয়াক্কাই করছে না মালিক পক্ষ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি-

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী কিংবা কোমলমতি শিশুদের সুস্বাদু খাবার হিসেবে প্রধান পছন্দ বেকারির খাদ্য পণ্য। ক্ষুধা মেটাতে বয়স্ক মানুষদেরও খাবারের তালিকায় থাকে বেকারিতে তৈরি হওয়া মুখরোচক বিভিন্ন পণ্য। তবে এসব কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই কারোরই। তবে সাধারণ মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। সরেজমিনে গেলে ভৈরব বেকারি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য তৈরির চিত্র দেখা যায়।
নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭টি বেকারি কারখানা রয়েছে। কনফেকশনারির দোকানও রয়েছে অসংখ্য। দীর্ঘ দিন ধরে এসব বেকারি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা বিভিন্ন পণ্য বাজারজাত করে আসছে। কোনো প্রকার ভেজালবিরোধী অভিযান না থাকায় ব্যবসা পরিচালনা করতে মালিকদের কোনও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বিভিন্ন স্থানের বাজারগুলোতে নামে-বেনামে গড়ে ওঠা বেকারি কারখানা গুলোতে আইন না মেনে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন খাদ্য পণ্য। এই গুলো বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়াই পরিচালনা হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নি¤œমানের ভেজাল পণ্য তৈরি করে এরা দেদারসে বাজারজাত করছে তাদের বিভিন্ন পণ্য। বেশিরভাগ খাদ্যের প্যাকেটে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ স্টিকার নেই। এতে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
অভিযোগ রয়েছে,শহরসহ গ্রামের বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায় কেক,বিস্কুট,পাউরুটি,বাটারবন,মিষ্টিসহ হরেকরকমের পণ্য। এসবের বেশিরভাগ প্যাকেটে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ না থাকায় দোকানগুলোতে বেশিদিন রেখে বিক্রি হচ্ছে তা। আর এসব খেয়ে অনেক মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ যেন বেকারির বিষ খাচ্ছে মানুষ।
গতকাল দুর্গাপুর পৌর শহরের ঠাকুরবাড়িকান্দা এলাকার ভৈরব বেকারীতে গেলে এই বেহাল চিত্র উঠে এসেছে। ভেতরে নোংরা পরিবেশের দুর্গন্ধের ছড়াছড়ি। স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্ন মানের উপকরণ এবং বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করে বেকারিতে অবাধে তৈরি করা হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী। বেকারি পণ্য উৎপাদনের কাজের লোকজন কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছে না। কারিগরদের গাঁয়ের ঘাম ঝরে পরছে খাদ্যতে,নেই কারো হাতে গø্যাভস, মেঝে সহ খাদ্য পণ্যের সাথে পড়ে রয়েছে বিড়ি সিগারেটের খোলস। বিভিন্ন খাদ্যে তৈরির সরঞ্জামে কীটপতঙ্গ থাকতে দেখা গেছে। তবুও এভাবেই পরিবেশে উৎপাদিত হচ্ছে বেকারি পণ্য। তাছাড়া কারখানায় পাওয়া গেছে মানব দেহের চরম ক্ষতিকর বিষাক্ত ক্যামিকেল,ক্ষতি কারক রং,পচা ডিমসহ নানান ক্ষতিকর পন্যের পাশাপাশি উৎপাদন ও মেয়াদ বিহীন পণ্য।
হান্নান মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন,‘বেকারির তৈরি এসব খাবার মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ দেখার বাও নাই। আর ক্রেতারা তো আর এসব জিজ্ঞেস করে না। পরে বাড়িতে নেওয়ার পর মাঝেমধ্যে খাবার থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।’
জানতে চাইলে ভৈরব বেকারি মালিক স্বপন মিয়া বলেন, আজকের পর থেকে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে খাবার বানাবো। ‘আমাদের বিএসটিআই এর কাগজপত্র নাই। নিউজ করার দরকার নাই।’
উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মো. আলী আকবর জানান  বেকারি মালিকদের একাধিকবার বলা হয়েছে,কিছুদিন আগেও পরিদর্শন করে রিপোর্ট পাঠিয়েছি এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে ভেজাল মুক্ত খাদ্যদ্রব্য প্রস্তত করতে বলেছি। কিন্তু তারা কিছুই মানছেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন,ভেজাল কেমিক্যাল ও নি¤œমানের উপকরণ দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা খাবার খেলে যে কেউ আমাশয়,ডায়রিয়াসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসান জানান,এসিল্যান্ড এর মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. হাবিবুর রহমান বলেন,মনিটরিং করতে গিয়ে দেখেছি খুবই বাজে অবস্থা। ভেজাল পণ্য তৈরি না করা নির্দেশনা দিয়ে এসেছি এরপরও তারা নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আল নোমান শান্ত




দুর্গাপুরে ৩৪০ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনি জব্দ,আটক ১

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা ৩৪০ বস্তুায় ১৬ হাজার ৯৮৫ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে পুলিশ। জব্দ করা চিনির বর্তমান বাজারমূল্য ২০ লাখ ৩৮ হাজার ২০০ টাকা।

এ সময় বড় একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করতে পারলেও অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও কয়েকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে আটককৃত ব্যক্তিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে রবিবার রাতে দুর্গাপুর পৌর শহরের এম.কে.সি.এম স্কুল মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ-সব জব্দ করা হয়।আটকৃত ব্যক্তির নাম জুবাইদ হোসেন (১৬)। সে ট্রাকের হেল্পার ও নোয়াখালীর কামাল উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা চিনির একটি বড় কাভার্ড ভ্যান পৌর শহরের এম.কে.সি.এম স্কুল মোড় এলাকায় সড়কেই দাড়িয়ে রাখা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মোহাম্মদ আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব ও পুলিশের একটি দল রবিবার রাতে সেখানে অভিযানে যান। এ সময় বাংলাদেশী ৫০ কেজির বস্তুায় ভরা ভারতীয় ১৬ হাজার ৯৮৫ কেজি চিনি,একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দসহ একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সলিমউদ্দিন বাদী হয়ে আটককৃত ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পুলিশ আরও জানায়,ভারত থেকে চোরাই পথে এনে ওই চিনি দেশিয় কোম্পানির চিনির বস্তায় ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়।

দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মোহাম্মদ আক্কাছ আলী জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ-সব ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। সোমবার আটককৃত ব্যক্তিকে আদালতে সোর্পদ করা হয়।




দুর্গাপুরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপি নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে সকাল ১০টা থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে, স্থানীয় শহীদ সন্তোষপার্কে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি ও ভাষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরবর্তিতে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায় ইউএনও এম রকিবুল হাসান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভার:) পারভীন আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সোহরাব হোসেন তালুকদার সহ নানা দপ্তরে কমর্রত অফিসারবৃন্দ।

আলোচনা শেষে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া ‘‘মুক্তিযুদ্ধকে জানি’’ শীর্ষক প্রামান্য চিত্র ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শনী শেষে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। এছাড়া বিরিমিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি‘র পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজং এর সভাপতিত্বে অনুরুপ কর্মসুচী পালন করা হয়েছে।




কার্ড পেয়েও দেড় বছরে জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা!

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে প্রতিবন্ধী কার্ড হয়েছে তবে হাতে কার্ড থাকলেও দেড় বছরে ভাগ্যে জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা। সমাজসেবা অফিসের লোকজনের পেছনে দিনের পর দিন ঘুরলেও ব্যবস্থা হয়নি ভাতার। বদলে পেয়েছেন কেবলই অবহেলা আর আশ্বাস।
ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের দেশওয়ালীপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফুলন ঋষি (১০) এর সঙ্গে। তার পরিবারের সদস্যরা সমাজ সেবা অফিসে দীর্ঘদিন ঘুরতে ঘুরতে এবার হতাশ হয়ে যেন বাড়ি ফিরছেন।
প্রতিবন্ধী কার্ড সূত্র বলছে,ফুলন ঋষি নামের প্রতিবন্ধী কার্ডটি ২০২২ সালের আগস্ট মাসের ৮ তারিখ প্রদান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ বছর ৪ মাস ২৬ দিন পেরিয়ে গেলেও তার ভাগ্যে জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,২০১৪ সালের নভেম্বর মাসের ১৯ তারিখ জন্ম ফুলন ঋষির। জন্মের পর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটেছে শারীরিক পরিবর্তন। ছোট থেকে এযাবতকাল কোনো দিনও কথা বলতে পারেনি সে। অর্থ অভাবে হয়নি চিকিৎসা।
বাবা পরেশ ঋষি জানান,দীর্ঘদিন চেষ্টার পর একটি প্রতিবন্ধী কার্ড হয়। তবে সমাজসেবা অফিসে দিনের পর দিন ঘুরলেও মেলেনি ভাতার ব্যবস্থা। কেবল পেয়েছেন শুধুই আশ্বাস। ঋণ করে মোবাইল ও সিম কিনেছেন তবে আজও দেখা মেলেনি সেই ভাতার। এখন হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন তিনি। প্রতিবন্ধী এই শিশুকে নিয়ে বর্তমানে খুবই কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
নিদারুণ কষ্ট নিয়ে তিনি বলেন,”বাঁইচ্চা রে লইয়ে অফিসে গিয়ে কাইনধা আইছি কয়েকবার। তারা কই সামনের বিলে পাইয়াম,পরের মাসে গেলে কই পরের মাসে পাইয়াম পরে আবার গেলে কই ছয় মাসের টাকা একেবারে পাইয়াম,এমন করতে করতে আজগা এক বছরের বেশি হইবো ঘুরাইতেছে। আমি এহন কি করবাম? সবাইগো লইয়া বিরাট কষ্টে খাইয়া আনা খাইয়া বাঁইচা আছি”
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোহাম্মদ মুজাম্মেল হক বলেন,অনেক আগের যারা তাদের গুলো গেল ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখ আমরা পেরুড দিয়েছি। এক মাসের মধ্যে পেয়ে যাবে সবাই। তারপরও না পেলে আমার কাছে আসলে আমি দ্রæত ব্যবস্থা নেব।




দুর্গাপুরে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল নারীর

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ট্রাকের ধাক্কায় এক নারী পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই নারীর নাম হাজেরা খাতুন (৫০)। তিনি উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানের স্ত্রী।
আজ শুক্রবার দুপুরে দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝানজাইল নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ-সময় ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করে স্থানীয়রা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুরের দিকে গ্রামের বাড়ি থেকে অটো করে নিজ বাসায় ফিরছিলেন হাজেরা খাতুন। বাসার সামনে এসে অটো থেকে নেমে রাস্তা পার হচ্ছিলেন তিনি। এ সময় দ্রুতগতির একটি বালুবাহী ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। ট্রাকের ধাক্কায় তিনি ছিটকে পড়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় স্থানীয়রা সড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব বলেন, ট্রাকচাপায় একজন নারী নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা সড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আইনী কার্যক্রম চলমান রয়েেছে ।




ডেঙ্গু এখন চোখ রাঙা”েছ দুর্গাপুরে

dnb news :

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

দেশের বিভিন্ন জায়গার মতো এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু এখন চোখ রাঙা”েছ নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায়। কেবল ঢাকা থেকে আসা নই এখন ¯’ানীয়ভাবেও আক্রান্ত হ”েছন মানুষ। দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ফলে রোগটির ভয়াবহতা ঝুঁকির দিকে এগো”েছ।

উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়,গত তিন সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ জন। তার মধ্যে ১৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত সু¯’ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ জন। এরই মধ্যে শিশুসহ ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতালের বহি বিভাগের ২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি বাসায় চিকিৎসা নি”েছন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে হাসপাতালটিতে ৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে এখনো কোনো রোগী মারা যায়নি।

এদিকে ৫০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে প্রতিদিনই প্রায় ৮০ জনের উপরে রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নি”েছন। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। যার কারণে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা কোন ওয়ার্ড না থাকায় সাধারণ ওয়ার্ডেই আলাদা বেডে মশারি টানিয়ে চলছে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা। তবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়লে বিকল্প ব্যব¯’া নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

উপজেলার বালিচান্দা গ্রাম থেকে আসা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত পারভীন আক্তার (৩০)। তার মা সালেহা বেগম জানান,গত কয়েকদিন ধরে জ্বর ও পাতলা পায়খানা। ¯’ানীয়ভাবে ঔষধে না কমলে হাসপাতালে আসেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শে পরিক্ষা নিরিক্ষার পর জানতে পরেন পারভীন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে আসা কিশোর মোশারফ জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর ও পাতলা পায়খানা। এরপর গত শনিবার হাসপাতালে এসে পরিক্ষা নিরিক্ষার পর ডেঙ্গু আক্রান্ত জানতে পারেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বা¯’্য ও প:প: কর্মকর্তা ডাঃ সজীব রায় কালের কন্ঠকে বলেন,৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য নারী-পুরুষ আলাদা আলাদা ওয়ার্ড খোলার জায়গা নেই। আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে আলাদা বেডে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার প্রদানের। তবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়লে বিকল্প ব্যব¯’া নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন,সারাদেশেই এখন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে অবশ্যই সচেতনতার বিকল্প নেই। নিজ নিজ উদ্যেগে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরি”ছন্ন থাকার পাশাপাশি বাড়ির আশপাশে কোথাও যাতে পানি জমে না থাকে সে দিকে লক্ষ রাখতে সচেতন করা হ”েছ বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান কালের কন্ঠকে বলেন,ডেঙ্গু মোকাবেলায় ইতিমধ্যে মিটিং করা হয়েছে। এডিস মশা প্রতিরোধে পৌরমেয়রসহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের স্ব-স্ব এলাকা পরিস্কার-পরিছন্ন করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও মশা নিধক যন্ত্র দিয়ে স্প্রে করা হ”েছ বলেও জানান তিনি।

আল নোমান শান্ত
০১ আগষ্ট ২০২৩




দুর্গাপুরে অটো চালকের লাশ মিলল ব্রিজের নিচে

dnd news :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ব্রিজের নিচ থেকে এরশাদুল হক (৪০) নামের এক অটো চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বড়বাট্টা গ্রামের একটি ব্রিজের নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত এরশাদুল হক একই ইউনিয়নের শুকনাকুড়ি গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে। সে পেশায় অটো চালক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,সকালে বড়বাট্রা গ্রামের ডেওটুকোন সড়কের গাবিনা নামক একটি ব্রিজের নিচে পানিতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মৃতের লাশ উদ্ধার করে।

দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাদেক মিয়া বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।




দুর্গাপুরের ইলহাম পেলো জাতীয় পুরস্কার

dnb news :

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে কেরাত প্রতিযোগিতায় দুর্গাপুর উপজেলার আহমাদ ইলহাম পেলো জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় পুরস্কার। সে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার দ্বীনি আলিম মাদরাসার ৮ম শ্রেনির ছাত্র।

সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সষ্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। এসময় অন্যদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাউশি‘র মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাউশি‘র সচিব সোলেমান খান সহ শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও মাউশি‘র সিনিয়র কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

ইলহাম এর আগে একই বিষয়ের প্রতিযোগিতায় উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এবার জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার আহমাদ ইলহাম।