ছারছীনার পীর শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ এর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আধ্যাত্মিক রাহবার বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লার আমির মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ পীর সাহেব ছারছীনার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

পীর সাহেব ছারছীনার ইন্তেকালে পৃথক পৃথক শোক বার্তায় দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম শোক প্রকাশ করে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেন।

আজ বুধবার (১৭ জুলাই) এক শোকবার্তায় পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘মরহুম পীর সাহেব ছারছীনা বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদাররেসিনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মসজিদে গাউসুল আজম কমপ্লেক্সের মুতাওয়াল্লি ছিলেন। তিনি লক্ষ লক্ষ পথভোলা মানুষকে আলোর পথের সন্ধান দিয়ে গেছেন। সারাদেশে শত শত মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে নায়েবে নবী তৈরির কারাখানা গড়ে গেছেন। মহান রব্বুল আলামিন হযরত পীর সাহেব ছারছীনার সকল নেক কাজকে কবুল করুন। মরহুমের সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। সেই সাথে পরিবার-পরিজন, আত্মীয় স্বজন, ভক্ত-অনুরক্ত, মুরিদ, খোলাফা ও ছাত্র-শিক্ষকসহ সকল স্তরের মুহ্বিবীনদেরকে সবরে জামিল এখতিয়ার করার তাওফিক দিন, আমিন।

উল্লেখ্য, পীর সাহেব ছারছীনা বুধবার (১৭ জুলাই) রাত ২:১১ মিনিটে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না-লিল্লাহী ওয়াইন্না ইলাইহী রাজিউন।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় ছারছীনা দরবার শরীফে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। ইন্তেকালের সময় মরহুমের বয়স হয়েছিল ৭০ এর কাছাকাছি। এসময় তিনি স্ত্রী, দুইপুত্র, তিন কন্যা ও অনেক নাতি নাতনি রেখে যান।

তিনি ফুরফুরার মুজাদ্দেদে জামান আল্লামা আবু বকর সিদ্দিকী আল কুরাইশী রাহিমাহুল্লাহর পৌত্র ফুরফুরার মরহুম পীর  আবুল আনসার মুহাম্মাদ আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী আল- কুরাইশী রাহিমাহুল্লাহর বড় জামাতা ছিলেন।

দেশে ছারছীনা দারুস সুন্নাহ কামিল মাদরাসা, দারুন্নাজাত কামিল মাদরাসাসহ বহু মাদরাসা, মক্তব, খানকাহ, মাসজিদ ও দ্বীনি ইদারা তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।




বরিশালে প্রতীক পেয়ে প্রচারণায় নেমেছেন মুফতি ফয়জুল করীম

dnb news :

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে নগরীর নথুল্লাবাদে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির এ প্রতীক বরাদ্দ করেন।

মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস থেকে বরাদ্দ করা প্রতীক নিয়ে প্রচার ও গণসংযোগ শুরু করেছেন।

মেয়রপ্রার্থীরা হলেন— আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান (ঘড়ি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ)।

কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের বেলায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে প্রতীক নিয়ে মিছিল সহকারে গণসংযোগ শুরু করেন তারা। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাত মেয়র পদপ্রার্থীকে প্রতীক দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১১৬ জনের মধ্যে ১১৫ জনকে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।

একজন প্রার্থী হওয়ায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ১০ পদে ৪২ নারী প্রার্থীকে প্রতীক দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু করার আগে প্রার্থীদের দিকনির্দেশনা দেন।

এ সময় তিনি সবাইকে নির্বাচনি আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশনা দেন। প্রতীক বরাদ্দের শুরুতেই সাত মেয়রপ্রার্থীর হাতে দলীয় প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হাতে নির্ধারিত প্রতীক তুলে দেন।

উল্লেখ্য, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৬ মে এর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা। আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১২৬ কেন্দ্রের ৮৯৪ কক্ষে দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ ভোটার ভোট দেবেন।




মাওলানা তারেক জামিলের বিশেষ ১০ উক্তি

 

ইসলামের প্রচার-প্রসার ও দেশের অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও দায়ী আলেম মাওলানা তারেক জামিলকে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও  ২০১৩ সালে জর্ডানের রয়্যাল আল-বাইত ইনস্টিটিউট থেকে ফর ইসলামিক থট কতৃক বিশ্বের ৫০০ জন প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তির মধ্যে একজন নির্বাচিত হন মাওলানা তারেক জামিল।

নিজের বয়ানের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার-প্রসারে জনপ্রিয় মার্কিন অনলাইন ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে  ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবারের মাইলস্টোন পার করে ২০১৯ সালে ৩০ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ‘গোল্ডেন প্লে বাটন’ সম্মাননাও পেয়েছেন মাওলানা তারেক জামিল

উপমহাদেশের জনপ্রিয় ও প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা তারেক জামিল তার বয়ানের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ভালোবাসা ছড়িয়ে থাকেন। তার বয়ানে কল্যাণ আত্মশুদ্ধি ও  ইসলামের পথে অবিচল থাকার অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকেন বর্তমান সময়ের  কিশোর, তরুণ,  যুৃব সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ।

প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় এই ইসলামি ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন বয়ান থেকে বিশেষ ১০টি উক্তি তুলে ধরা হল আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য:

১. সফলতা কোথায় খুঁজছো? সফলতা তোমাকে দিনে পাঁচবার ডাকে, ‘ এসো সফলতার দিকে।’ অবশ্যই নামাজই সঙ্গী হবে, দুনিয়া থেকে কবর পর্যন্ত, কবর থেকে হাশর পর্যন্ত এবং হাশর থেকে জান্নাত পর্যন্ত। তুমি তোমার জীবনে নামাজ নিয়ে আসো, নামাজ তোমার জীবনে শান্তি নিয়ে আসবে।

২. কেউ তোমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বললে তার সাথে তর্কে না জড়িয়ে উল্টো তার জন্য দোয়া কর। নিশ্চয় তুমি যা করবে, তার অনুরূপ পাবে।

৩. ঘৃণা গুনাহকে করো, যে গুনাহ করেছে তাকে নয়। হতে পারে তোমার ভালোবাসার কারণে সে গুনাহ করাই ছেড়ে দিবে।

৪. চারটি বিষয়ে লজ্জা পাবেন না।-

১. পুরাতন কাপড়।

২. বয়স্ক মা-বাবা।

৩. দরিদ্র বন্ধু বান্ধব।

৪. সাধারণ জীবন যাপন।

৫. জীবনে ভালো মানুষের খোঁজে না থেকে তুমি নিজেই ভালো হয়ে যাও, হয়তো কারো খোঁজ পূরণ হয়ে যাবে।

৬. শুধু টাকার নাম রিজিক নয়, নেক সন্তান, উত্তম আখলাক, নেককার বন্ধুও রিজিকের অন্তর্ভুক্ত।

৭. তোমার মালিক আল্লাহ তায়ালা। তার কাছেই চাও, তার কাছেই হাত তোলো, তার কাছেই পাবে, তিনিই একমাত্র তোমার আশা পূরণ করতে পারেন।

৮. নামাজকে ভালোবাসার সহিত আদায় করলে দেখবে, আল্লাহ পাক নিজেই তোমাকে পরবর্তী নামাজের জন্য দাঁড় করিয়ে দিবেন।

৯. এমন নামাজী হও যেন এক মুহুর্তও নামাজ বিহীন থাকতে না পারো।

১০. কত আফসোস! জানাজার নামাজ পড়ার জন্য মানুষ অন্য দেশ থেকে এসে পড়ে কিন্তু ফজরের নামাজের জন্য মহল্লার মসজিদেও যায় না।




বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ: বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতাকে রাখা হলো শীর্ষে

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নামের চূড়ান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করেন। ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নামের তালিকাও একই সঙ্গে প্রকাশ করা হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানের নাম।

তালিকায় ঢাকা বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৩৭ হাজার ৩৮৭ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০ হাজার ৫৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ৫৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ১৭ হাজার ৬৩০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ হাজার ৫৮৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ হাজার ৮৯৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৫ হাজার ১৫৮ জন, সিলেট বিভাগে ১০ হাজার ২৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।

তৃণমূল থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার প্রথমটি প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেটা অপূর্ণাঙ্গই থাকছে।

মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে এন্ট্রি করেছি ১ লাখ ৮২ হাজার ৮৩৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম। তবে প্রায় ৩৫ হাজার জনের বেসামরিক গেজেট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অনুমোদন না থাকায় এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে।’

ইতিমধ্যে এসব গেজেট নিয়মিতকরণের উদ্দেশ্যে ৪৩৪ উপজেলার প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে মন্ত্রণালয়। যাচাই-বাছাই ও আপিল শুনানি শেষে চলতি বছরের ৩০ জুন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ন প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করলেও তাঁদের কোনো তালিকা করতে পারিনি। বিলম্ব হলেও সে তালিকা করা শুরু করেছি।’

স্বাধীনতার পর থেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে বারবারই। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হলে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ আবেদন আসে। কিন্তু যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন থেকে শুরু করে পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় শেষ পর্যন্ত নতুন তালিকা প্রকাশ স্থগিত করতে হয় সরকারকে।




৩ লাখ মিটার কারেন্ট জালসহ ১০ মণ জাটকা জব্দ

পটুয়াখালীর রাবনাবাদ নদীর মোহনায় অভিযান চালিয়ে তিন লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট ও বেড় জালসহ ১০ মণ জাটকা জব্দ করেছে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ১০টা থেকে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত রাবনাবাদ ও আন্ধারমানিক নদী থেকে এসব মাছ ও জাল জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার দুপরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগৎবন্ধু মন্ডলের নির্দেশক্রমে এসব অবৈধ জাল কলাপাড়া হেলিপ্যাড মাঠে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এসব জালের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৯০ লাখ টাকা। জব্দকৃত জাটকা ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসার ছাত্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জ‌্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা জহিরুন্নবী, কুয়াকাটা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ এস আই মাহমুদ হোসেন মোল্লা ও এএস আই কামরুল ইসলাম।

কুয়াকাটা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ এসআই মাহমুদ হোসেন মোল্লা জানান, রাতভর অভিযান চালিয়ে এসব মাছ ও জাল জব্দ করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।




অমানবিক নির্যাতন: ভিডিও ভাইরালের পর অপহৃত যুবক উদ্ধার

পটুয়াখালীর মহিপুরে হাত পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিলো। অপহৃত যুবক রায়হানকে (২২) ৬ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় উপজেলার লতাচাপলী স্লুইজগেট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি মনিরুজ্জামান জানান, সকালে একটি ডিঙ্গি নৌকা ফাতরার বনে বালু আনতে যায়। এসময় বালুবাহী নৌকা দেখে রায়হান তাদের কাছে সাহায্য চাইলে তারা রায়হানকে উদ্ধার করে মহিপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। উদ্ধারের সময় রায়হানের হাত বাঁধা ছিল বলে জানিয়েছেন নৌকার শ্রমিকরা।

ওসি আরও জানান, এ সংক্রান্ত এক মামলা করার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রায়হান উদ্ধার হলেন। মামলার ৯ আসামির মধ্যে দুইজনকে মদ তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন‌্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উল্লেখ‌্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন যুবক রায়হান। পরে শুক্রবার সকালে রায়হানকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।




সুগন্ধা নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

ঝালকাঠির নলছিটি থেকে রাসেদুল হক (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) রাত সারে ৯টায় উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বারইকরন নামক এলাকায় সুগন্ধা নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি,তদন্ত) আবদুল হালিম তালুকদার।

রাসেদুল হক নরসিংদী জেলার রায়াপুরা উপজেলার মৃত. শাহজাহান মিয়ার ছেলে। তিনি প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির বরিশাল ডিপোতে স্টোর কিপার পদে চাকরি করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি আবদুল হালিম তালুকদার জানায়, বিকেলে নদীর চরে অচেনা এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে  রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।  রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি (তদন্ত) আরও জানান, মোবাইল ফোনের সিম চালু করে নিহত রাশেদুল হকের পরিচয় পাওয়া যায়। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। গত  ২৪ জানুয়ারি নিখোঁজ হন রাশেদুল। বরিশাল কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এব্যাপারে নলছিটি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

 




জাতিসংঘের কার্যক্রমে অধিক বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান

বিশ্বে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অধিক সংখ্যক বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল প্রতিশ্রুতি ও অব্যাহত সমর্থনের কথা পূনর্ব্যক্ত করে এই আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি এই কার্যক্রম ও জাতিসংঘ সদরদপ্তরের শান্তিরক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিক সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের পদায়নের জন্যও অনুরোধ জানান। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রিক্স ও অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারের সঙ্গে বৈঠককালে সেনাবাহিনী প্রধান এ আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীগণের পেশাগত জ্ঞান, নিয়মানুবর্তিতা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রিক্স। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এছাড়াও ভবিষ্যতে আরও বেশি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েনের বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন ল্যাক্রিক্স। উল্লেখ্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সৈন্য ও পুলিশ প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করছে।

এদিকে অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারের সাথে সেনাবাহিনী প্রধানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সোমবার বিকেলে। বৈঠককালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পরিবহনে বাংলাদেশ বিমানকে তালিকাভূক্ত করার জন্য অতুল খারেকে ধন্যবাদ জানান সেনা প্রধান। শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়নসহ মানবাধিকার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বশীল ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান অতুল খারে। এছাড়া কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ বিমান সফলতার সাথে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পরিবহণে ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ নৌ, বাংলাদেশ বিমান ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অংশগ্রহণ সংক্রান্ত বিবিধ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

এছাড়া মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মিলিটারি অ্যাডভাইজর লেফটেন্যান্ট জেনারেল কার্লোস হামবার্টো লয়টের সঙ্গেও বৈঠক করেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান।

একই দিনে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার সঙ্গেও সেনাবাহিনী প্রধানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে স্থায়ী প্রতিনিধি সেনাপ্রধানকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ সার্বিকভাবে জাতিসংঘে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাকে ধন্যবাদ জানান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

এ সকল বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল জুবায়ের সালেহীন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ছাদেকুজ্জামান।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আমন্ত্রণে সরকারি সফরে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান গত ২৯ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।