বসতবাড়ি লিখে না দেওয়ায় মায়ের পা ভাঙল ছেলেরা

বসতবাড়ি লিখে না দেওয়ায় নেত্রকোনা দুর্গাপুর উপজেলায় মজিদা খাতুন (৬৫) নামে এক নারীর পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে।

শনিবার রাত ১০টার দিকে এমন অভিযোগ করেন পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের দশাল গ্রামের মা মজিদা খাতুন। তিনি ওই এলাকার দিনমজুর সাহেব আলীর স্ত্রী।

এ বিষয়ে মজিদা খাতুন বলেন, প্রতিদিনের মতো সাংসারিক কাজ শেষে মাগরিবের নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

এমন সময় তার ছেলে মঞ্জুল মিয়া (৪৩) ও হালিম মিয়া (২৫) তার মায়ের বসতবাড়ি তাদের দুজনের নামে লিখে দেওয়ার জন্য বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু করে। এর একপর্যায়ে বাবার গায়ে আঘাত করে।

মা মজিদা এরই প্রতিবাদ করতে গেলে ঘরের বারান্দার সঙ্গে বেঁধে বেদম মারধর করে বাম পা ভেঙে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে দড়ি দিয়ে গলায় চাপ দিয়ে মেরে ফেলবে বলে জানায় ছেলেরা।

এ সময় বাবা-মায়ের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর আহতাবস্থায় মজিদাকে দুর্গাপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ নিয়ে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. মনির হোসেন মানিক বলেন, ছেলেরা এক টুকরো জমির জন্য বাবা-মায়ের গায়ে হাত তুলতে পারে— এটি সত্যিই দুঃখজনক; আমি এর শাস্তি দাবি করছি।

মারধরের বিষয় নিয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি শাহনুর-এ-আলম যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি সত্যিই অমানবিক, এ নিয়ে মামলার প্রস্তুতিও চলছে। অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।




মসজিদের ইমামকে মুসল্লিদের পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল উপহার

কানাইঘাট উপজেলার ১নং লক্ষ্মীপ্রসাদ পুর্ব ইউনিয়নের মুলাগুল সাউদগ্রাম জামে ইমামকে মোটরসাইকেল উপহার দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এলাকার যুব সমাজ ও মহল্লাবাসী।

গত শনিবার (১৩ মার্চ) এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতে আনুষ্ঠানিকভাবে মোটরসাইকেলের চাবি তুলে দেয়া হয়।

জানা যায়, ওই মসজিদের ইমাম সাহেব দীর্ঘদিন ধরে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ইমামতির দায়িত্ব পালনের ফলে তার প্রতি এলাকার সর্বসাধারণের একটি আলাদা ভালবাসা গড়ে ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইমাম সাহেবকে সবসময়ই সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে মহল্লাবাসী ও যুব সমাজ।

সর্বশেষ গত শনিবার ইমাম সাহেবের চলাফেরার সুবিধার্থে মহল্লাবাসী ও যুব সমাজের যৌথ উদ্যোগে একটি মোটরসাইকেল উপহার দিয়ে তাদের ভালোবাসার জানান অব্যাহত রাখে। যুব সমাজের এই ভালোবাসা পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ কামনা করেন ইমাম সাহেব।




ঢামেকের আইসিইউতে আগুন, তিনজনের মৃত্যু

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ নতুন ভবনের তৃতীয় তলার আইসিইউতে আগুন লেগেছে। অগ্নিকাণ্ডের পর রোগীদের স্থানান্তরিত করার সময় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহা. নাজমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকালে নতুন ভবনের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আইসিইউতে থাকা যত রোগী ছিল সবাইকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তাদের পুরাতন বার্ন ইউনিটের আইসিইউ, নতুন ভবনেরই সিসিইউসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণকক্ষের ডিউটি অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা সকাল ৮টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাই। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৪০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।




শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করবে ভলভো

বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, এই সময়ের মধ্যে হাইব্রিডসহ জীবাশ্ম জ্বালানি ইঞ্জিনের সব মডেলের গাড়ির উৎপাদন বন্ধ করবে প্রতিষ্ঠানটি। অনলাইন বিক্রি এবং পণ্য সরল করতেও প্রচুর বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে ভলভোর।

বৈদ্যুতিক গাড়ির বাড়তি চাহিদায় ভাগ বসানোর চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রে চীনেও নজর রয়েছে তাদের। এখনও প্রতিষ্ঠানের বড় বাজারগুলোর একটি চীন।

বৈদ্যুতিক গাড়ির পরিকল্পনায় জোর দিতে চাপ দিচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকারও। এতে সাড়া দিচ্ছে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও।

পুরোপুরি পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত কোনো গাড়ি বা ভ্যান ২০৩০ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বিক্রি হবে না বলে ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

ভলভো প্রধান হাকান স্যামুয়েলসন বলেছেন, “সাফল্য ধরে রাখতে আমাদের লাভজনক বৃদ্ধি দরকার। তাই, ছোট হয়ে আসা ব্যবসায় বিনিয়োগের বদলে আমরা ভবিষ্যতের দিকে বিনিয়োগকে বেছে নিয়েছি, বৈদ্যুতিক এবং অনলাইনের দিকে।”

হাইড্রোজেন চালিত গাড়িতেও বিনিয়োগ করবে না ভলভো। এই খাতে গ্রাহকের যথেষ্ট চাহিদা থাকবে বলে মনে করছে না প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগে প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের বিক্রির তালিকায় থাকা অর্ধেক মডেলের গাড়ি হবে পুরোপুরি বৈদ্যুতিক এবং বাকি অর্ধেক হবে হাইব্রিড।




শুধু পানি পান করেই আপনি থাকবেন সুস্থ ও তরতাজা

আপনি কি জানেন শুধুমাত্র নিয়মমাফিক পানি খেলেই আপনার অর্ধেক রোগ সমাধান হয়ে যাবে। শুধু পানি পান করেই আপনি থাকবেন সুস্থ ও তরতাজা। তবে অনেকেই জানেন না কখন পানি খাবেন আর কখন খাবেন না। চলুন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক। আমরা অনেকেই জানি, খালিপেটে একগ্লাস পানি পান করলেই বোধ হয় মিটে গেল। না, বিষয়টা ঠিক তেমন নয়। এখন জেনে রাখুন, শুধু খালি পেটেই নয়, ঘুম থেকে উঠে বাসি মুখে পানি খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। মানে, ব্রাশ করার আগেই খান পানি খেতে হবে। এতে করে উপকারিতাও অনেক বেশি। এটা যদি অভ্যেস করতে পারেন, তাহলে অনেক রোগ আপনার কাছে ঘেষতে পারবে না। প্রথমে একসাথে বেশি পানি খেতে না পারলে আস্তে আস্তে অভ্যেস করুন। ১-২ গ্লাস থেকে শুরু করে ৪-৫ গ্লাস পানি খাওয়া শুরু করুন। এতে শরীরের পেশি ভাল থাকবে, শরীরে নতুন কোষ তৈরি হবে। মেটাবলিজম রেটও বাড়বে শতকরা ২৪ ভাগ। আর পানি পানে আপনার রক্ত পরিষ্কার হবে। সব মিলিয়ে আপনি সারদিন ধরে তরতাজা থাকবেন। তবে রাতে যথাসম্ভব পানি খুব বেশি না খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে ঘুমাতে যাওয়ার পর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেবে।