অতিথি

ফারুক আহমেদ

 

মেঘালয়ের কোলে জন্মেই শুনেছি

বুনো পাখির ডাক

সুমেশ্বরীর চঞ্চল ধারায়

বুঝে উঠার আগেই কেটে গেছে

শৈশব!

ভাগ্যচক্রে মগ্রার আলো বাতাস

গায়ে মেখেছি,

গুর” বলেছিল মানুষের ভিতর

আর এক মানুষ

তার দর্শন মাত্রই দেখি পরে ইষ্টিশন।




ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি ছাড়া যত্রযত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করা যাবে না: মন্ত্রণালয়

ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি ছাড়া যত্রযত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না। সারা দেশের ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার জন্য সমন্বিত পথনকশা (রোডম্যাপ) প্রণয়ন করছে সরকার। এই পথনকশা প্রণয়ের আগে কোথাও কোনো ধর্মীয় স্থাপনা বা বাড়ি নির্মাণ করতে হলে সংশ্লিস্টদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি বা ছাড়পত্র নিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, রেবেকা মমিন, মো. শাহে আলম, মো. ছানোয়ার হোসেন ও আব্দুস সালাম মূর্শেদী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ আওতাধীন এলাকাকে একটি পরিকল্পিত পরিকল্পনার আওতায় আনতে একটি পথনকশা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এই পথনকশা প্রণয়ন করার আগে কোন ব্যক্তি চাইলেই যত্রযত্র কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা বসতভিটা বা কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। যদি কোন ব্যক্তি কোন স্থাপনা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন -সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

সূত্র আরো জানায়, এর আগে সংসদীয় কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়নে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে যাতে অনুসরণ করা হয় সেজন্য সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ইতোপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়।

এদিকে কমিটির আগামী বৈঠকে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’-এর কার্যক্রম বাস্তবায়নের হালনাগাদ তথ্য প্রজেকশনের মাধ্যমে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে।




কলমাকান্দার দ্বীপক বিসিএস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার কলমাকান্দার কৃতি সন্তান কৃষিবিদ দ্বীপক কুমার পাল বিসিএস (কৃষি) এ্যাসোসিয়েশন ২৮তম ব্যাচের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডির ফরেষ্ট লাউঞ্জ রেস্টুরেন্টে বার্ষিক সভায় সদস্যদের ভোটে সভাপতি হিসেবে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি) এ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি কলমাকান্দা সদরের চানপুর রোড এলাকার ডা. দীনেশ কুমার পালের ছেলে। কৃষিবিদ দ্বীপক বর্তমানে ঢাকার খামারবাড়ি উপপ্রকল্প পরিচালক হিসেবে লেবু জাতীয় ফসলের স¤প্রসারণ, ব্যাবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন।




দুর্গাপুরে পানি সংকট অতি চরমে

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলা পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। গ্রীষ্মের শুরুতে দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। চতুর্দিকে সুপেয় পানির হাহাকার থাকায় নানা রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে এলাকায়। সমস্যা সমাধানের জন্য জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। গোপালপুর, ভবানীপুর, গুজিরকোনা ঐসব এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ টিউবয়েলে রয়েছে আর্সেনিক। নদী-খাল, পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বোরো চাষে ঘটছে বিপর্যয়।

এ নিয়ে শনিবার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম গুলো ঘুরে জানা গেছে, প্রতি বছর এই মৌসুমে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানি ও ক্ষেতে চাষের পানির অভাব চরম আকার ধারণ করেছে। শত শত লোকজন নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। সুপেয় পানির এ সংকট যেন এলাকাবাসীর নিত্য দিনের সমস্যা। বোরো আবাদে পানি না পেয়ে সাধারণ কৃষকগন দিশেহারা হয়ে উঠেছে। এলাকায় ধনাঢ্য ব্যক্তিদের বাড়ীতে সাব-মার্সেবল থাকায়, সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকলেও সমস্যা থেকে যায় এলাকার নি¤œ আয়ের মানুষ গুলোর। গত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার আদিবাসী গ্রাম গুলোতে এ সমস্যা চলতে থাকলেও সরকারিভাবে এটি সমাধানের জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এলাকার বেশিরভাগ নদী-খাল ও পুকুর শুকিয়ে যাওয়ায় গোসল ও খাবার পানি মিলছে না কোথাও। ফলে লোকজনকে আর্সেনিকযুক্ত টিউবয়েলের পানি দিয়েই সাংসারিক সকল কাজ করতে হচ্ছে। এ ছাড়া চন্ডিগড় উচ্চ বিদ্যালয়, মাকরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বারমারি উচ্চ বিদ্যালয়, বিরিশিরি ইউনিয়ন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাব-মার্সেবল টিউবওয়েল না থাকায় শিক্ষার্থীদের বিপাকে পড়ে আর্সেসিকযুক্ত পানিই পান করতে হচ্ছে। এ ছাড়া এখানকার বাসাবাড়ি ও হোটেল-রেষ্টুরেন্টে সুপেয় পানির অভাবে বিভিন্ন পুকুরের পানি ব্যবহার করতেও শুনাগেছে। বিভিন্ন লোক ভ্যানযোগে দূর থেকে সাব-মার্সেবল টিউবওয়েল এর পানি তুলে বিভিন্ন হোটেল-রেঁস্তোরায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। পানির এ প্রকট সমস্যায় যেন দিশেহারা হয়ে উঠেছে লোকজন।

বানিয়াপাড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পল্টন হাজং জানান, তার বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ শতাধিক ছাত্রী রয়েছে। তাদের জন্য সুপেয় কোন পানির ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে দুষিত পানি পান করতে হয় আমাদের। এর ফলে নানা ধরণের পানিবাহিত রোগ-ব্যাধিতে ভুগতে হয় অনেককেরই।

চন্ডিগড় ইউপি চেয়ারম্যান আলতাবুর রহমান কাজল প্রতিবেদক কে জানান, বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। প্রকল্পটি পাশ হলে অনেক বাড়ীতে সাব-মার্সেবল টিউবওয়েল স্থাপন করা হবে, এতে সুপেয় পানির সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হবে।

বিশুদ্ধ পানি নিয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, এ সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। নতুন বরাদ্দ পেলেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম গুলোতে সাব-মার্সেবল টিউবওয়েল স্থাপন করে পানির সমস্যা অকোংশে দুরকরা সম্ভব।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব-উল-আহসান প্রতিবেদককে কে জানান, এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ছড়ানোর আগেই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর দপ্তরের মাধ্যমে প্রকল্প অনুযায়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাব-মার্সেবল টিউবওয়েল স্থাপন করার জন্য অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হাতে নেয়া হবে।




ঢামেকের আইসিইউতে আগুন, তিনজনের মৃত্যু

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ নতুন ভবনের তৃতীয় তলার আইসিইউতে আগুন লেগেছে। অগ্নিকাণ্ডের পর রোগীদের স্থানান্তরিত করার সময় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহা. নাজমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকালে নতুন ভবনের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আইসিইউতে থাকা যত রোগী ছিল সবাইকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তাদের পুরাতন বার্ন ইউনিটের আইসিইউ, নতুন ভবনেরই সিসিইউসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণকক্ষের ডিউটি অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা সকাল ৮টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাই। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৪০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।




কলমাকান্দায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান

কলমাকান্দা বাজারকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্যোগ নিয়েছেন ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সহযোগীতায় কলমাকান্দা নারী উন্নয়ন ফোরাম।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ১১ টায় উপজেলার নারী উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে এ উপলক্ষে মধ্যবাজার এলাকা থেকে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি আফরোজা বেগম।
এই কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করেন ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি কাজল দে সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহবাজ মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাফর আহম্মেদসহ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দও নারী উন্নয়ন ফোরামের সদস্যরা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে সড়কের দু পাশে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার কাজে অংশ নেন। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।



শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করবে ভলভো

বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, এই সময়ের মধ্যে হাইব্রিডসহ জীবাশ্ম জ্বালানি ইঞ্জিনের সব মডেলের গাড়ির উৎপাদন বন্ধ করবে প্রতিষ্ঠানটি। অনলাইন বিক্রি এবং পণ্য সরল করতেও প্রচুর বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে ভলভোর।

বৈদ্যুতিক গাড়ির বাড়তি চাহিদায় ভাগ বসানোর চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রে চীনেও নজর রয়েছে তাদের। এখনও প্রতিষ্ঠানের বড় বাজারগুলোর একটি চীন।

বৈদ্যুতিক গাড়ির পরিকল্পনায় জোর দিতে চাপ দিচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকারও। এতে সাড়া দিচ্ছে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও।

পুরোপুরি পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত কোনো গাড়ি বা ভ্যান ২০৩০ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বিক্রি হবে না বলে ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

ভলভো প্রধান হাকান স্যামুয়েলসন বলেছেন, “সাফল্য ধরে রাখতে আমাদের লাভজনক বৃদ্ধি দরকার। তাই, ছোট হয়ে আসা ব্যবসায় বিনিয়োগের বদলে আমরা ভবিষ্যতের দিকে বিনিয়োগকে বেছে নিয়েছি, বৈদ্যুতিক এবং অনলাইনের দিকে।”

হাইড্রোজেন চালিত গাড়িতেও বিনিয়োগ করবে না ভলভো। এই খাতে গ্রাহকের যথেষ্ট চাহিদা থাকবে বলে মনে করছে না প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগে প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের বিক্রির তালিকায় থাকা অর্ধেক মডেলের গাড়ি হবে পুরোপুরি বৈদ্যুতিক এবং বাকি অর্ধেক হবে হাইব্রিড।