দুর্গাপুরে বজ্রপাত প্রবন এলাকায় তালবীজ রোপন করছেন ‘‘রিক্সাচালক তারা মিয়া’’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বজ্রাঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে পরিবেশ বান্ধব এক হাজার তাল গাছের বীজ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত ‘‘রিক্সাচালক তারা মিয়া’’। শনিবার দিনব্যাপি দুর্গাপুর ইউনিয়নের ত্রিনালি গ্রামে এ বীজ রোপন করা হয়।

এ সময় তাল বীজরোপন কর্মসুচীর উদ্বোধন করেন দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাদেকুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পথ পাঠাগার এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি নাজমুল হুদা সারোয়ার, ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, সমাজসেবক রমিজ উদ্দিন প্রমুখ।

রিক্সাচালক তারা মিয়া বলেন, তাল গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় বজ্রাঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি নিরসনে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া মাটির ক্ষয় রোধ, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় তালগাছের জুড়ি নেই। এমন উপকারী একটি গাছের বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে, আমার স্বল্প আয় থেকে তালবীজ রোপনের উদ্দ্যেগ নিয়েছি। এছাড়া ইতেমধ্যে দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদরাসা, কবরস্থান ও শশ্মানঘাটে তাল বীজ, ঔষধী ও ফলদ বৃক্ষ রোপন করেছি।




এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন কলরবের জনপ্রিয় দুই নাশিদ শিল্পী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আজ বৃহস্পতিবার শুরু হলো চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন কলরবের জনপ্রিয় দুই নাশিদ শিল্পী ফজলে এলাহি সাকিব ও নাসরুল্লাহ ইরফান।

জানা যায়, এবার মিরপুর গভমেন্ট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরিক্ষায় অংশ নিচ্ছে কলরবের কিশোরশিল্পী ফজলে এলাহী সাকিব। আর মুরাদনগরের একটি আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল পরিক্ষায় অংশ নিচ্ছে নাসরুল্লাহ ইরফান ।

এ বছর ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৭৯০। মোট প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৫৯১টি। বিদেশে আট কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে ৩৬৭ শিক্ষার্থী। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওযার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। কেন্দ্রসচিব ব্যতীত কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে কেন্দ্রসচিবকে ছবি তোলা যায় না এমন ফোন ব্যবহার করতে হবে।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রশ্ন ফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

প্রসঙ্গত, সিলেট বিভাগসহ ময়মনসিংহ অঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের কিছু জেলাতে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির কারণে এই পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। যেসব এলাকার পরীক্ষার্থীদের পাঠ্যবই বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, এসব পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে নতুন বই।

-এম আর




দুর্গাপুরে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের দায়ে জরিমানা

আল নোমান শান্ত, স্টাফ রিপোর্টার

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের দায়ে তিনটি নৌকাকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সোমেশ্বরী নদীর ১নং ঘাটের শ্মশান ঘাট এলাকার নদীতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সময় এসব নৌকাগুলোকে ধরেন করেন থানা পুলিশ। পরে এসব নৌকার শ্রমিকদেরকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা ও কঠোরভাবে সর্তক করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান।

এ অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন, থানা উপ-পরিদর্শক শফিউল্লাহ মির্জা।

জানা গেছে, দুপুরে ১নং ঘাটের শ্মশান ঘাট এলাকায় বেশকিছু নৌকা অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করছে এ খবরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এর নির্দেশনায় থানা পুলিশ গেলে তাদের উপস্থিতিতে বাকি গুলো পালিয়ে গেলে ৩টি নৌকাকে ধরা হলে পরে তাদের জরিমানা ও কঠোরভাবে সর্তক করা হয় এবং পাথরগুলো নদীতে ফেলে নৌকাগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হয়।




দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীর পাথর নিলামে সরকারি রাজস্ব আদায়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীর ইজারাকৃত ১ ও ২ নং বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলনের সময় সাথে আসা অতিরিক্ত নুড়িপাথর নিলাম করে ৩৮ লক্ষ টাকার রাজস্ব আদায় করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন উন্মুক্তভাবে এ নিলামের আয়োজন করেন।

পাথর নিলাম বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিগত দিনে বালুর সাথে উঠে আসা উপজাত হিসেবে নুড়ি পাথর গুলো নিলাম না হওয়ার ফলে বিভিন্নভাবে ওই গুলো চুরি হয়ে যেতো।

এতে করে সরকার বঞ্চিত হতো বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় থেকে। এবিষয় গুলো আমলে নিয়ে ৫টি বালু মহালের মধ্যে দুটি বালু মহাল থেকে উত্তোলিত নুড়ি পাথর গুলো সরকারি রাজস্ব আদায়ের লক্ষে বিধি:মোতাবেক উন্মুক্ত নিলাম দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করেন ইউএনও। এর পর থেকে প্রতি ৩মাস অন্তর পাথর নিলাম দিয়ে বিপুল পরিমান রাজন্ব পাচ্ছেন সরকার।

নিলাম অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ওসি শিবিরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নীরা, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবল রঞ্জন কর, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ সরকারের খনিজ সম্পদ বিভাগের উপপরিচালক মামুনুর রশীদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান প্রমুখ।

 




প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে দুর্গাপুরে কর্মশালা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ১০টি উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসন ও গর্ভন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার। প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ প্রান্তিক পর্যায়ে বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ এবং নতুন সম্ভাবনা চিহ্নিত করার পাশাপাশি উদ্যোগ সমূহের বহুল প্রচারে আমাদের করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে নতুন সুপারিশ প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১০টি গ্রুপের মাধ্যমে এ ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, শিক্ষা সহায়তা, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, ডিজিটাল বাংলাদেশ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশুর বিকাশ, বিনিয়োগ বিকাশ, পরিবেশ সুরক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও সবার জন্য বিদ্যুৎ নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে নতুন নতুন পরিকল্পনা বিষয়ক সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে গুরুত্বপুর্ন আলোচনা করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ হক, প্রেমক্লাব সভাপতি এসএম রফিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ দুর্গাপুর থানা শিবিরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক একেএম ইয়াহিয়া প্রমুখ।

দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি বে-সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ডাক্তার, প্রকৌশলী, প্রেসক্লাব প্রতিনিধি, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, ইমাম, পুরোহিত, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও কলেজ শিক্ষার্থী অংশ নেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা যেমন আমাদের সোনালি অতীতকে স্মরণ করিয়ে দেয়, তেমনি প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ আমাদের সোনালি ভবিষ্যতের সম্ভাবনাও জাগিয়ে দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের জীবন, সমাজ ও দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে শক্তি যোগাবে।




দুর্গাপুরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাঝে ভেড়া বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ সমাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় সুফলভোগীদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুদান হিসেবে ভেড়া বিতরণ করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে  উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসব ভেড়া বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব -উল -আহসান’র সভাপতিত্বে ও একাডেমিক সুপারভাইজার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলাউদ্দিন আল আজাদ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, প্রেসক্লাব সভাপতি এসএম রফিকুল ইসলাম রফিক, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শিমু দাস, আওয়ামীলীগ নেতা বিপ্লব মজুমদার, ডাঃ জেরিন সহ প্রকল্পের উপকারভোগী ও প্রাণিসম্পদ অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এ সময় সুফলভোগি ৪০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে ২টি করে মোট ৮০টি ভেড়া বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত অণগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুফল ভোগীদের মাঝে সর্বমোট ২০০টি ভেড়া বিতরণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব- উল- আহসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুদান হিসেবে  অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে প্রতিটি পরিবারকে ২টি করে সর্বমোট ২০০টি পরিবারকে ভেড়া দেওয়া হবে। এছাড়াও যারা ভেড়া পেয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ভেড়া পালনের জন্য ঘর তৈরির উপকরণ দানাদার খাবারসহ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। তবে সুফলভোগীরা বিনামূল্যে প্রাপ্ত এসব ভেড়া ৩ বছরের মধ্যে বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবে না।



কাঁদায় ভাসছে দুর্গাপুর

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

শীতের এই শুষ্ক তাপমাত্রায় চারপাশের পরিবেশে প্রভাব পরলেও পুরোপুরি বিপরীত নেত্রকোনার দুর্গাপুরের চিত্র। কনকনে শীতের মাঝেও কাঁদায় ভাসছে শহরের প্রতিটি সড়ক। দেখে বোঝার উপায় নেই এখন শীত নাকি বর্ষাকাল?
অথচ পর্যটন সম্ভাবনাময় এই নগরীর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভৌগলিক নির্দেশক স্বীকৃতি বা জি-আই সনদ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিজয়পুরের সাদা মাটির পাহাড় সহ অসংখ্য পর্যটন স্পট। প্রতিদিনই এই স্পটগুলো দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। প্রকৃতির টানে পর্যটকরা আসলেও তাদের ভাগ্যে জোটে কাঁদা ভরা সড়ক।
২০১০ সাল থেকে শহরটি প্রাণ ও নানা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সোমেশ্বরী নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বালুখেকোদের তান্ডব। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র বালু উত্তোলন সহ অপরিকল্পিত পরিবহনে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে দুর্গাপুর। এই নিয়ে বেশ কয়েক বার পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সর্তক করলেও সুফল আনতে পারেননি তারা।
পৌর শহরের পথঘাট সহ বহুল কাক্সিক্ষত দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ মহাসড়ক নিয়ে প্রতিনিয়ত ভেজা বালু পরিবহনে কাঁদায় জরাজীর্ণ থাকে সারা বছরই। শহরের প্রেসক্লাব মোড়,তেরি বাজার, কালীবাড়ি মোড়, কলেজ রোড, হাসপাতাল মোড়, উপজেলা মোড়, কাচারি মোড় সহ অলিগলিতেও স্তূপ বেঁধে থাকে কাঁদা। একদিকে যেমন ব্যাহত হচ্ছে পথচারীদের যাতায়াত তেমনি লোকসানের মুখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
পৌর শহরের ভেতর দিয়ে বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ সহ কয়েক দফা দাবি নিয়ে গেল বছর স্থানীয়রা লাগাতার আন্দোলন করেও কোন সুফল আসেনি। স্থানীয়দের দুর্ভোগ কাটাতে স্থানীয় প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ বালুবাহী ট্রাকের জন্য বাইপাস সড়কের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি গেল এক বছরেও। উল্টো বেড়েছে দুর্ভোগ আরও কয়েকগুণ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর কোন সমীক্ষা যাচাই ছাড়াই জেলা প্রশাসকএর মাধ্যমে সোমেশ্বরী নদী থেকে পাঁচটি বালুমহাল ইজারা প্রদান করে আসছে। অথচ বালু ট্রাক চলাচলের জন্য অধ্যাবদি পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাই করতে পারেনি প্রশাসন। নামেমাত্র মাইকিং করে ভেজা বালু পরিবহন নিষেধাজ্ঞা দিলেও এর তোয়াক্কা করে না কেউ। যে যার মত করে যাচ্ছে বালু পরিবহন। আইন থাকলেও নেই এর প্রয়োগ! যার ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়রা আরো জানান, বালু ব্যবসায়ীরা তাদের আখের গোছাতে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে না। তাদের কাছে সবাই অসহায়। কারণ আইন প্রণেতারাই আইন অমান্য করে। তাহলে আইন কিভাবে সঠিক পথে চলবে। প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি দুর্গাপুর পৌর শহরের ভিতর দিয়ে চলাচল করছে। এমন একটা গাড়িও মিলবে না যারা ভেজা বালু পরিবহন করে না। দুর্গাপুরে শীত, গ্রীস্ম, বর্ষা সবসময়ই রাস্তাঘাটে দেখা মিলবে কাঁদা ও ময়লা পানি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও ঠিকমতো করতে পারেনা। সড়কের ময়লা পানি, কাঁদা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভিতরে ছিটে নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র সহ মালামাল। এই অভিশাপ থেকে আমরা কবে রক্ষা পাবো। এই দুর্গাপুর কে বাঁচাতে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নিরাপদ সড়ক চাই দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি নুরুল আলম জানান, পৌর শহরের ভেতর দিয়ে বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধের দাবিতে আমরা কয়েক বার মানববন্ধন কর্মসূচি সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কিন্তু এর কোন বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পারিনি। সড়ক দিয়ে চলাচল করা যায় না কাঁদার কারণে। এতদিন করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এখন সবগুলো প্রতিষ্ঠান খুলেছে। ফলে শিক্ষার্থীরাও বিদ্যালয়ে যেতে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যেতেও নষ্ট হচ্ছে স্কুল ড্রেস সহ পোশাক-আশাক। আসলে এই দুর্ভোগ আমাদের সবার। বাহির থেকে পর্যটকরা অনেক আশা নিয়ে আমাদের দুর্গাপুরে আসেন। অথচ সড়কের বেহাল দশার কারণে দুর্ভোগ ছাড়া কোন কিছুই দেখতে পারেন না তারা। আমরা এই দুর্ভোগের পরিত্রাণ চাই। আর কতদিন মানুষ এভাবে কষ্ট করবে?

ভেজা বালু পরিবহন বন্ধে প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব উল আহসান। তিনি বলেন, ভেজা বালু পরিবহন দুর্গাপুর বাসীর জন্য একটি দুর্ভোগের কারণ আমরা চেষ্টা করছি এই দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে। এর জন্য আমরা সবসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ছোট-বড় বিভিন্ন ট্রাককে জরিমানার আওতায় আনছি, ১৩জানুয়ারী বৃহস্পতিবারও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ভেজাবালু পরিবহনকারীকে জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে।বালু মহালের ঠিকাদারদের ভেজা বালু পরিবহন বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করি সকলের আন্তরিকতা থাকলে ভেজা বালু পরিবহন বন্ধ করা যাবে। মেয়রের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি কি করতে পারি পরামর্শদেন।




হে দয়াময় প্রভু

হে দয়াময়-

তোমাকে খুঁজেছি পর্বত চূঁড়ায়

খুঁজেছি সমুদ্র গর্ভে,

খুঁজেছি তোমায় দিক-দিগন্তে

নিঃলীম নিলীমা নভে।

বিন্দু থেকে বিশালতায়

খুঁজেছি বারবার,

আঁথার খেকে আলোর মাঝে

দেখি তুমিই নিরাকার।

হে করুনাময়-

তুমি করেছো সৃজন এ নশ্বর ধরনী

প্রেরণ করেছো আমায় করতে তোমার গোলামী

তুমি ব্যতিত উপাস্য নাহি আর,

দু’নয়নে দেখেছি তোমার কুদরতি খেলা

শুধু দেখিনি তোমার অদৃশ্য কায়া

তুমিই এ গুলবাগের অনিন্দ্য রূপকার

প্রভু তুমি নিরাকার।

এইচ এম সাইদুল ইসলাম

সম্পাদক- ডিএনবি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম




বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

৬ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হচ্ছে স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা। তিন দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা যায়, দেশের স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারকারীদের সর্বশেষ মডেলের স্মার্টফোন ও ট্যাব পরখ করে দেখার সুযোগ থাকছে এই মেলায়। স্যামসাং, অপ্পো, রিয়েলমি, শাওমি, টেকনো, ভিভো, ওয়ালটন, ওয়ান প্লাসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়া যাবে এখানে।

এ ছাড়া স্মার্টফোনের জন্য আনুষঙ্গিক গ্যাজেট ও এক্সেসরিজ নিয়ে থাকবে বেশ কয়েকটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন। থাকছে প্রথমবারের মতো ৫জি এক্সপিরিয়েন্স জোন।

মেলায় দর্শকরা ঢুকতে পারবেন বিনামূল্যে। তবে মাস্ক না পরলে কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। মেলার প্রবেশদ্বারে তাপমাত্রা মেপে তা গ্রহণযোগ্য হলেই প্রবেশ করা যাবে মেলায়।




পথ পাঠাগার’কে বই ও অর্থ সহায়তা দিলেন ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সাহিত্যের ধারক ও বাহক ‘‘পথ পাঠাগার’’কে বই ও নগদ অর্থ প্রদান করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে পথ পাঠাগার’কে এ সামগ্রী প্রদান করা হয়।

পথ পাঠাগার এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমুল হুদা সারোয়ার  প্রতিনিধি কে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রতিটি মানুষ যখন ফেসবুক সহ নানান বিষয় নিয়ে সময় কাটাচ্ছে, তখনই সাহিত্যের সকলকে ফিরিয়ে আনতে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সেলুন, হোটেল ও রেস্তোরায় প্রতিষ্ঠা করেছি ‘‘পথ পাঠাগার’’।

এ পর্যন্ত ১৫টি পাঠাগার উদ্বোধনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার চেস্টা করছি পুঁথিগত বিদ্যা। উপজেলা প্রশাসনের এই মহান উদ্দ্যেগ পাঠাগারের পাঠকদের উপস্থিতি অনেকটা বেড়ে যাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক তোবারক হোসেন খোকন, পথ পাঠাগার এর সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, আদিবাসী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অপুর্ব রাংসা প্রমুখ।

ইউএনও রাজীব বলেন, মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব। তার অনন্ত জিজ্ঞাসা, অসীম কৌতূহল বিষয়ে সকল প্রশ্নের সমাধান ধরে রাখার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে বই। শতাব্দী থেকে শতাব্দী ধরে মানুষের সকল জ্ঞান জমা হয়ে রয়েছে বইয়ের ভেতরে। আর সেই বইয়ের আবাসন্থল হলো পাঠাগার। মানুষের হাজার বছরের ইতিহাস পুঞ্জিভূত হয়ে রয়েছে পাঠাগারের একেকটি তাকের ভেতর। পাঠাগার হলো সময়ের খেয়াঘাট, যার মাধ্যমে মানুষ বইয়ের প্রতিটি পাতায় পাতায় ভ্রমন করতে পারে। দুর্গাপুরে ‘‘পথ পাঠাগার’’ নামক সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্য নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। সে লক্ষ্যে সংগঠনটির অদম্য উদ্দ্যেগ বাড়িয়ে দিতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষহতে জাতীয় গ্রন্থাগার থেকে বই ও পাঠাগারের রেগ কেনার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। আমি পথ পাঠাগারের সাফল্য কামনা করি।