খুলনায় ২৪ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

খুলনায় ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন তিনি।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর তিনি খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন।

এর আগে, দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে খুলনায় পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিন বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শুরু হয়। জনসভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। এতে সভাপতিত্ব করছেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা ঘিরে খুলনা পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকেই খুলনাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিলসহ সার্কিট হাউজ মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন।




দুর্গাপুরে রোটারী ক্লাবের ঘর পেলেন ১০ পরিবার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে রোটারী ক্লাব অব গুলশান সেন্ট্রাল এর পক্ষ থেকে ‘‘রোটারী আলয়’’ শীর্ষক পরিবেশ বান্ধব ঘর পেলেন ১০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের মাঝে এ ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

ঘর হস্তান্তরের পুর্বে স্থানীয় জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প উদ্বোধন এবং দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নেত্রকোনা – ১ আসনের নানা মুখি উন্নয়ন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় করা হয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী রোটারিয়ান আতাউর রহমান খান আখির এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর কমিশনার রোটারিয়ান ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রোটারিয়ান মিয়া মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ, এস এম এমদাদ হোসোইন, মহসীনা আহমেদ দীনা, মনজুরুল হক সোহেল, মহিউদ্দিন আলম, দীলিপ চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, রোটারি ক্লাব অব গুলশান, দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে মানবতার সেবায় কাজ করে আসছে। দেশের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি নানামুখি উন্নয়ন কার্যক্রমে সহায়তা করে থাকে রোটারি ক্লাব। নেত্রকোনা ১ আসনের বিভিন্ন এলাকায় রোটারিয়ান আখির এর দিক-নির্দেশনায় যুব সমাজ তথা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবন-মান উন্নয়নের লক্ষে নানামুখি কার্যক্রম গ্রহন করা হবে। এ কাজে সহায়তা করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন রোটারিয়ান ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী।




বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন আজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত স্বপ্নের টানেল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশের যোগাযোগ খাতে আরেকটি নতুন দিগন্তের সূচনা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে নদীর তলদেশে টানেল যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। আজ সকালে টানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানেল উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। আজ টানেল উদ্বোধন হলেও আগামীকাল তা যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘গেম চেঞ্জার’ হতে চলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এ টানেলের মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন, পর্যটন, অর্থনীতিসহ অন্যান্য খাতে নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে। টানেল চালু হওয়ার ফলে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ। এ ছাড়া ফিন্যানশিয়াল এবং ইকোনমিক্যাল ‘বেনিফিট কস্ট রেশিও (বিসিআর)’-এর পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ১ দশমিক ০৫ এবং ১ দশমিক ৫০।

অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু টানেলকে অত্যন্ত দূরদর্শী একটি প্রকল্প বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, টানেলের কারণে চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত অনেক শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। যদিও এ টানেলের সুফল পেতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু টানেল দেশের অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। এ টানেলের কারণে শিল্পায়ন, পর্যটন এবং অর্থনীতিসহ অন্যান্য খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

এই টানেলের মাধ্যমে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ হিসেবে রূপ নেবে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলকে দেশের অর্থনীতির জন্য গেম চেঞ্জার হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এ টানেল চালুর মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন, অর্থনীতি, পর্যটনসহ অন্যান্য খাতে নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। টানেলকে কেন্দ্র করে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড় আনোয়ারা উপজেলায় গড়ে উঠছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। নদীর অপর প্রান্তে শিল্পায়নের ফলে এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হবে। পূর্ব প্রান্তে শিল্প-কারখানার কাঁচামাল ও প্রস্তুতকৃত পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর, বিমানবন্দর এবং দেশের উত্তর- পশ্চিমাঞ্চলে পরিবহন প্রক্রিয়া সহজ হবে। নদীর পূর্বাঞ্চলে নতুন করে গড়ে উঠবে জাহাজশিল্প, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, ফার্নেস ও সিমেন্ট শিল্প- কারখানাসহ নানা প্রতিষ্ঠান। টানেলের মাধ্যমে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর ও মহেশখালীর আগামীর বাণিজ্যিক হাবের সঙ্গে যুক্ত হবে পুরো দেশ। এ ছাড়া নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন এলএনজি টার্মিনাল, এলপিজি টার্মিনাল, অয়েল টার্মিনাল, গ্যাস ট্রান্সমিশন, অয়েল রিফাইনারি, এনার্জি ও ফুড স্টোরেজ, ট্যুরিজম, এমব্যাঙ্কমেন্ট ও ওয়াটারফ্রন্ট ইকোনমিক জোন। এসব মেগা প্রকল্পে বিভিন্ন এলাকা থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য প্রতিদিন চলাচল করবে শত শত গাড়ি। বঙ্গবন্ধু টানেলকে যাতায়াতের সহজ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এ টানেলে শুধু দেশের যোগাযোগব্যবস্থা নয়, দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগব্যবস্থায়ও প্রভাব ফেলবে। এ টানেলের মাধ্যমে দেশ যুক্ত হবে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে। এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়- টানেল পুরোদমে চালু হলে প্রতিদিন গড়ে ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি চলাচল করবে। বছরে সে সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৬৩ লাখ। ২০২৫ সালে টানেল দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন চলাচল করবে। যার মধ্যে অর্ধেক থাকবে পণ্যবাহী যানবাহন। ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতিদিন গড়ে ৩৭ হাজার ৯৪৬টি এবং ২০৬৭ সাল নাগাদ ১ লাখ ৬২ হাজার যানবাহন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে। টোলের পরিমাণ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ভিতর দিয়ে ১২ ধরনের যানের জন্য টোলের হার চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। তবে টানেলের ভিতর দিয়ে মোটরসাইকেল কিংবা তিন চাকার কোনো যান চলাচল করতে পারবে না। গত জুলাই মাসে সেতু কর্তৃপক্ষের উপসচিব মো আবুল হাসান স্বাক্ষরিত গেজেট অনুযায়ী পিকআপ, কার ও জিপকে দিতে হবে ২০০ টাকা। মাইক্রোবাসকে পরিশোধ করতে হবে ৩০০ টাকা, ৫ টন ট্রাক, ৩২ আসন কিংবা বেশি বাসগুলোকে পরিশোধ করতে হবে ৪০০ টাকা। বাস (৩ এক্সেল) ৫০০ টাকা। ৫ থেকে ৮ টনের ট্রাকের ৫০০ টাকা, ৮ থেকে ১১ টনের ট্রাক ৬০০ টাকা, ৩ এক্সেলের ট্রাক বা ট্রেইলার ৮০০ টাকা, ৪ এক্সেলের ট্রাক বা ট্রেইলার ১০০০ টাকা, ৪ এক্সেলের বেশি হলে প্রতি এক্সেলের জন্য বাড়তি ২০০ টাকা করে টোল দিতে হবে।

চীনের সাংহাইয়ের ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’র আদলে চট্টগ্রাম শহর ও আনোয়ারাকে এক সূত্রে যুক্ত করতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দিয়ে টানেল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৫ সালের নভেম্বরে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলের নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। বাংলাদেশ সরকার ও চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক এ প্রকল্পে যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা।




খানাখন্দ-কাঁদায় সড়কের বেহাল দশা, জনভোগান্তি চরমে

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিক মহাসড়কের বিরিশিরি হতে শান্তিপুর এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশায় চরম জনভোগান্তি দেখা দিয়েছে। এই ভোগান্তি এক দিনের নয়,বছরের পর বছরের।
প্রধান এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই লাখো মানুষের জেলা শহর,বিভাগসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত। এই দুর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়কের খানাখন্দ-কাদা ও যানজট। ভেজা ও অতিবোঝাই বালু পরিবহনে সড়ক নষ্ট হয়ে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্ত। এতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকছে। অন্যদিকে এইসব বালুর গাড়ি থেকে চুইয়ে পড়া পানিতে সবসময়ই সড়কটি কাদাপানিতে একাকার থাকে। ফলে সবাইকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ সড়ক দিয়ে যেমন যেতে হয় জেলাশহর ও বিভাগ শহরে অপরপথে যেতে হয় উপজেলা সদর,অফিস-আদালতসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তাছাড়া সোমেশ্বরী নদী,সাদামাটির পাহাড় ও পাহাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে সারাবছরই বেড়াতে আসেন বিপুলসংখ্যক পর্যটক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে তাঁদেরও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এ পথের উপজেলার ১২ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কই বেহাল। খানাখন্দ আর কোথাও কোথাও প্রায় দুই ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই গর্তে জমেছে পানি। আর পুরো সড়ক জুড়ে কাদা আর কাদা। যেন পা ফেলাই দায়। ওই সড়কটি দিয়েই শত শত যানবাহনসহ মানুষ চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন।
এদিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায় সড়ক সংস্কারের অংশ হিসেবে ২৪শত মিটার পৃথক পৃথক স্থানে আরসিসি সড়ক নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। তবে সড়কের কিছু স্থানে এক পাশের কাজ শেষ হলেও ফেলে রাখা হয়েছে অন্যপাশের অংশটি। এতে সড়কের একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলে দীর্ঘ সময়ের যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অসংখ্য যানবাহন চলাচল থাকায় সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রেখে এক সঙ্গে দুইপাশের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভেজা ও অতিরিক্ত বালু বহন করায় সড়কের বারটা বেজে গেছে। সর্বদাই কাদায় ডুবে থাকছে এবং দীর্ঘ সময় যানজট লেগে থাকে। এতে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন জানান, কাঁদা আর ট্রাকের জ্যামে অতিষ্ঠ সবাই। আমার বাড়ি লক্ষীপুর থেকে দুর্গাপুর যেতে ২০ মিনিটের রাস্তা এখন দুই ঘন্টাও লাগে। এই দুরাবস্থা যেন দেখার কেউ নেই।
আব্দুল আলী জানান, সড়কটি দিয়ে অসুস্থ রোগী নিয়ে উপজেলা সদর হাসপাতালে যেতে হয়। তাছাড়াও জরুরি রোগীদের ময়মনসিংহ নিয়েও যেতে হয়। কিন্তু সড়কের এই অবস্থায় সময় মতো পৌঁছানোটাই ঝুঁকি হয়ে যায়।
এইচএসসি পরিক্ষার্থী উজ্জ্বল মিয়া জানান,বাড়ি থেকে সকাল সাড়ে ছয়টায় বের হই। সড়কের এই পরিস্থিতিতে অটোরিক্সাও যেতে চায় না । যার কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে আর কতক্ষনে কেন্দ্রে পৌঁছাবো এই টেনশনে থাকি।
এ প্রসঙ্গে নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আলনূর সালেহীন জানান, ওই সড়কে বালুর ট্রাক চলাচলে রাস্তা টিকিয়ে রাখায় মুসকিল হয়ে পড়েছে। মানুষের কষ্ট তো থাকছেই। সড়কের পৃথক পৃথক স্থানে মোট ২৪শত মিটার আর সিসি’র কাজ চলমান রয়েছে।
আরও জানান,সড়কের এক পাশের কাজ শেষ করে ২৮দিন পর অপর পাশের কাজ ধরতে হচ্ছে। এ সড়কে অনেক গাড়ি চলাচল রয়েছে তাই সড়ক বন্ধ রেখে কাজ করা যায় না।

আল নোমান শান্ত
০১৮১৪৬১৭৮৩৪




জারিয়া হইতে দুর্গাপুর রেললাইন সম্প্রসাণের দাবিতে মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনা জেলার জারিয়া হইতে দুর্গাপুর রেললাইন সম্প্রসাণ ও ঢাকা টু জারিয়া-ঝাঞ্জাইল আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।

সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে দুর্গাপুরবাসীর আয়োজনে পৌরশহরের প্রেসক্লাব মোড়ে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুলের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জামাল তালুকদারের সঞ্চালনায় ট্রেনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন-দুর্গাপুর হিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার,উপজেলা সিপিবি’র সভাপতি আলকাছ উদ্দিন মীর,দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ড. আব্দুর রাশীদ,নিরাপদ সড়ক চাই উপজেলা শাখার সভাপতি মো. নুরুল আলম,এনজিও কর্মকর্তা মো. সামছুল আলম খান,কৃষক নেতা মো. মোরশেদ আলম,সাংবাদিক জুয়েল রানা,আদিবাসী নেতা অবণী হাজং প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য,অবিলম্বে জারিয়া ঝাঞ্জাইল – ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চালু ও জারিয়া হতে দুর্গাপুর পর্যন্ত ট্রেনলাইন সম্প্রসাণের দাবিতে আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে । এরই ধারাবাহিকতায় দুর্গাপুরবাসী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।

নিজস্ব প্রতিনিধি:
আল নোমানশান্ত
৩১ জুলাই ২০২৩
০১৮১৪৬১৭৮৩৪




কারখানায় বিস্ফোরণ, ১৫ শ্রমিক দগ্ধ

dnb news:
গাজীপুর মহানগরীতে এক পোশাক কারখানায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে ১৫ জন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। সোমবার সকালে ৯টার দিকে কাশিমপুরের জরুন এলাকার কটন বিডি নামের কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।

দগ্ধদের মধ্যে ৭ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে ও ৮ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন- কারখানার সুপার ভাইজার সবুর (৩৫), লাইন ম্যানেজার সাহাবুল ইসলাম (৪৪), কাটিং মাস্টার আসলাম আলী (২৭), ক্লিনার ফজলুর (৬০), নিরাপত্তা প্রহরী চাঁন মিয়া (৪৫), পথচারী মো. সোহেল, ও আলমগীর (৩০)।

ঢামেক বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন- তৌসিফ (৩২), আরিফ (২২), আবুল হোসেন (৩৫), রাকিব (৪০), রাশেদ (৩০), রফিকুল (৩২) ও বাবুল (৩৫)। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, কারখানার একটি কক্ষে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে প্রথমে আগুন ও পরে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।




দুর্গাপুরে মে দিবস পালিত

dnbnews24.com :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা শ্রমিক লীগ, মটরযান শ্রমিক ইউনিয়ন, নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন সহ অন্যান্য শ্রমিক অঙ্গ সংগঠনের উদ্দ্যোগে নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা আওয়ালী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উওোলন শেষে এক বর্নাঢ্য র‌্যালী পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ উদ্দিন খোকন এর সঞ্চালনায়, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, সাবেক সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস, উপজেলা

আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সাবেক মেয়র শ.ম জয়নাল আবেদীন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ হক, আ‘লীগ নেতা নাজমুল সায়াদাৎ বাবুল, আবুল কাশেম, মো. মোবারক হোসেন, শ্রমিক নেতা আবু সাইদ সহ বিভিন্ন শ্রমিক শাখার নেতৃবৃন্দ।




দীর্ঘ চার বছর পর আজ ময়মনসিংহে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘ চার বছর পর আজ (শনিবার) ময়মনসিংহ আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১১ মার্চ) দুপুর ১টায় প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টারে ময়মনসিংহ স্টেডিয়াম মাঠে নামার কথা রয়েছে।

শেখ হাসিনার আগমন ঘিরে ময়মনসিংহে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় প্রশাসন সকল আয়োজন ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নেওয়া হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা।

প্রধানমন্ত্রী বিকেলে সার্কিট হাউজ মাঠে জনসভায় বক্তব্য দেবেন। সেখানে থেকে তিনি ১০৩টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের ৭৩টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ময়মনসিংহের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসংলগ্ন জায়গায় ছবির ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, ময়মনসিংহ সদরের চরসিরতায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ডা. মুশফিকুর রহমান শুভ মেমোরিয়াল ইসলামিক মিশন হাসপাতাল, ত্রিশাল উপজেলায় এক হাজার আসনবিশিষ্ট অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, ময়মনসিংহ জেলায় ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয় উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নকে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন থেকে রক্ষার্থে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদে নতুন হাসপাতাল নির্মাণ, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় গোরবাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর, জেলা আইনজীবী সমিতির মূল ভবন শহীদ অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ভবন ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ উদ্বোধন।

এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল নির্মাণ, শেখ রেহানা হল নির্মাণ, রোজী জামাল হল নির্মাণ, সরকারি আনন্দ মোহন কলেজে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট পাঁচতলা ছাত্র হোস্টেল নির্মাণ, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর ময়মনসিংহ এসেছিলেন।




সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হাসান আর নেই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

উপজেলার সদর ইউনিয়নের আগাড়পাড়া গ্রামের আলহাজ্ব রজব আলী মাষ্টার এর ছোট ছেলে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, উত্তরা নাট্য গোষ্ঠীর সভাপতি আনোয়ার হাসান (৫০) বুধবার রাত এক টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হৃদযন্ত্রেরক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি …রাজিউন)। মৃত্যু কালে পিতা, দুই ভাই, স্ত্রী ও দুই পুত্র সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। বাদ জোহর নিজ বাড়ীতে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

তাঁর মৃত্যুতে স্থানীয় এমপি মানু মজুমদার, সিপিবি কেন্দ্রীয় নেতা ডাঃ দিবালোক সিংহ, উপজেলা চেয়ারম্যান ঝুমা তালুকদার, ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান, উপজেলা আ‘লীগ সভাপতি ওসমান গণি তালুকদার, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান সাদ্দাম আকঞ্জি, সাবেক মেয়র শ. ম জয়নাল আবেদীন, বীর মুক্তিযোদ্দা সোহরাব হোসেন তালুকদার, ইউপি চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যার শাহীনুর আলম সাজু, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব, শিল্পকলা একাডেমি সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন তার প্ররিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।




এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রাজনীতি বন্ধ চান ডিসিরা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রাজনীতি বন্ধ চান ডিসিরা
এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা এখন মূল বেতনের পুরোটা সরকার থেকে পান। এর সঙ্গে সামান্য কিছু ভাতা দেওয়া হয় তাঁদের। তবে বেসরকারি হওয়ায় তাঁরা সরাসরি রাজনীতি করার সুযোগ পান। এই সুযোগ বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসকেরা (ডিসি)।

তাই সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্যও সুনির্দিষ্ট বিধিমালা করার প্রস্তাব এসেছে ডিসিদের পক্ষ থেকে।

২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন (ডিসি সম্মেলন)। সেখানে আলোচনার জন্য এ প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। এ ছাড়া উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চেয়ারম্যান করাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কে এ রকম অন্তত ২৪৪টি প্রস্তাব এসেছে ডিসিদের পক্ষ থেকে। সম্মেলনে তিন দিনে ২৪টি অধিবেশনে এসব প্রস্তাবসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তার ভিত্তিতেই নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এটাই শেষ ডিসি সম্মেলন। এই সম্মেলনে সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও সচিবেরা সরাসরি উপস্থিত থেকে ডিসিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।