শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কবে, জানালেন মন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে আগামী মাসেই স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার (১১ আগস্ট) মিন্টো রোডের বাসভবনে একান্ত আলাপচারিতায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্কুল-কলেজ খুলছে না। তবে সেপ্টেম্বরেই স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে সরকারের। এছাড়া এখনই অটোপাসের চিন্তা নয়, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নভেম্বর -ডিসেম্বরে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

এর আগে গত শুক্রবার (৬ আগস্ট) শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের একটি সংগঠন আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, সরকারি পর্যায়ের শিক্ষকদের প্রায় সবাই করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। অপরদিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ লাখ ৬৩ হাজার ২২২ শিক্ষক ও কর্মচারীর মধ্যে দুই লাখ ৭৮ হাজার ৪২৬ জনই ইতোমধ্যে টিকার আওতায় এসেছে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩৪ হাজার শিক্ষকের মধ্যে ভ্যাকসিন নিয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষক। এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি সব শিক্ষক করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে বলে জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী এ সময় আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ এবং ৬ হাজার ৭২ জন দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন।




হাইয়াতুল উলিয়ার ফল প্রকাশ, গড় পাশ ৭৩.২৫ শতাংশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের ১৪৪২ হিজরি/২০২১ খ্রিস্টাব্দের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষার গড় পাসের হার ৭৩.২৫। ছাত্রদের পাশের হার ৭৯.৪২ আর ছাত্রীদের পাশের হার ৬৩.৬৩।

আজ (১৮ জুলাই) রবিবার ফলাফল ঘোষণা করেন হাইআতুল উলইয়ার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা মাহমুদুল হাসান। এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন হাইয়াতুল উলইয়ার সদস্য মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মুফতি রুহুল আমিন, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা শামছুল হক, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, ড. মুশতাক আহমদ, মাওলানা নূরুল আমিন, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মুফতি জসীমুদ্দীন প্রমূখ।

হাইয়াতুল উলইয়ার কেন্দ্রীয় পরীক্ষা উপকমিটির সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মুহাম্মদ যুবায়ের, মুফতি আমিনুল হক, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মুফতী নাসীরুদ্দীন, মুফতি আহমদ আলী, মুফতী নূরুল ইসলাম, মুফতী ওবায়দুল্লাহ হামজা,মাওলাানা মুহিব্বুলহ হক গাছকাড়ী, মুফতি এনামুল হক কাসেমী, মুফতি এমদাদুল্লাহ কাসেমী, হাইয়াতুল উলইয়ার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা মুহাম্মদ ঈসমাইল বরিশালী, অফিস সম্পাদক মাওলানা অছিউর রহমান প্রমুখ।

এবারের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২২,৩৪২ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬,২৩২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১১,৩৮০ জন এবং ছাত্রী ৪,৮৫২ জন। পাসের হার ছাত্র ৮২.১০, ছাত্রী ৫৭.২১। মুমতায (স্টার মার্ক) পেয়েছে ছাত্র ৯৩৩ জন এবং ছাত্রী ৫৬ জন। জায়্যিদ জিদ্দান (১ম) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ৩,৫০০ জন, ছাত্রী ৭৭১ জন। জায়্যিদ (২য়) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ৪,৮৯১ জন, ছাত্রী ২,২৮১ জন এবং মাকবূল (৩য়) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ২,০৫৬ জন, ছাত্রী ১,৭৪৪ জন।




দুর্গাপুরে বিশ্ব বাবা দিবস পালিত

 

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকানার দুর্গাপুরে সাহিত্য সংঘঠন ‘‘পথ পাঠাগার’’ এর আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালিত হয়েছে বিশ্ব বাবা দিবস। রোববার নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে পথ পাঠাগার এর মিলনায়তনে সংগঠনের সভাপতি কবি ও সাংবাদিক নাজমুল হুদা সারোয়ার এর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা এর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, কবি সকাল রায়, কবি শাওন হাসান, মানবতার ফেরিওয়ালা সাদা মনের মানুষ রিকসা চালক তারা মিয়া, সাংবাদিক পলাশ সাহা, মাহাবুব আলম প্রমূখ।

বক্তারা বলেন সকল ধর্মেই পিতা মাতার সেবার কথা বলা হয়েছে, তাঁদের মনে কষ্ট দিলে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠে। সে আলোকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সকলকে বাবা-মায়ের সেবা ও নৈতিক শিক্ষা গ্রহনের আহাবান জানান।




দুর্গাপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন দুর্গাপুর উপজেলা শাখা। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধনে উপজেলা শাখার সহ:সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে, সাধারন সম্পাদক আলী উসমান এর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোনা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সাকির মাহমুদ, ইসলামী আন্দোলন দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সহ:সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারন সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, ইসলামী যুব আন্দোলনের দফতর সম্পাদক মাও. মুফতি জামাল উদ্দিন , সাবেক কওমি মাদ্রাসার সম্পাদক কেফায়েতুল্লাহ, কুল্লাগড়া ইউপির সদস্য হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

রক্তারা বলেন, মহামারি করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষার সঙ্গে জড়িত সবকিছুতেই বিপর্যয় নেমে এসেছে। দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তাই কালবিলম্ব না করে দ্রæততম সময়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।




৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশের জেলা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার ৫০টি মডেল মসজিদ-সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে গণভবন থেকে একযোগে আধুনিক ও সুসজ্জিত এসব মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে আট হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৩৬ বর্গমিটার আয়তনের নির্মিতব্য এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় অন্তত ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কোটি টাকা। এসব মসজিদে প্রতিদিন চার লাখ ৪০ হাজার ৪৪০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারীর নামাজ পড়ার সুবিধা থাকবে। পবিত্র কোরআন হাদিসের জ্ঞান অর্জনের জন্য এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ৩৪ হাজার মানুষ লাইব্রেরিতে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন।

সূত্র জানায়, প্রতিদিন ৬ হাজার ৮০০ জন গবেষকের গবেষণার সুযোগ, ৫৬ হাজার মুসল্লির দ্বীনি দাওয়াতের কার্যক্রম পরিচালনা, প্রতিবছর ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর কোরআন হেফজ করার সুবিধা, প্রতিবছর ১৬ হাজার ৮০০ শিশুর প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন এবং ২ হাজার ২৪০ জন অতিথির আবাসনের সুযোগ থাকবে। এছাড়া মসজিদের খতিব ও ইমামদের মাধ্যমে প্রতিবছর সন্ত্রাস ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জনসচেতনামুলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

যে ৫০টি উপজেলায় মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে- ঢাকার সাভার, ফরিদপুরে মধুখালী, সালথায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও কুলিয়ারচর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, রাজবাড়ী সদর, শরীয়তপুর সদর ও গোসাইরহাট, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর ও কাহালু, নওগাঁর সাপাহার ও পোরশা, সিরাজগঞ্জ জেলা সদর ও উপজেলা সদর, পাবনার চাটমোহর, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও পবা, দিনাজপুরের খানসামা ও বিরল, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ ও উপজেলা সদর, রংপুর জেলা সদর, মিঠাপুকুর, উপজেলা সদর, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও তারাকান্দা, চট্টগ্রাম জেলা সদর, লোহাগড়া, মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, জামালপুরের ইসলামপুর ও উপজেলা সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বিজয়নগরে, ভোলা সদর, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, কুমিল্লার দাউদকান্দি, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, কুষ্টিয়া সদর, খুলনার জেলা সদর, চাঁদপুরের কচুয়া, ঝালকাঠির রাজাপুর এবং চুয়াডাঙ্গা সদর।




শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গো-বিচরণ বন্ধে মানা হচ্ছেনা কঠোর নির্দেশনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরেও মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল স্কুলের ভবন খালি পড়ে আছে। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পাঠদানের পরিবেশ। শুধু তাই নয়, এই সুযোগে স্কুলের কক্ষ থেকে শুরু করে বারান্দা এবং মাঠে বেঁধে রাখা হচ্ছে গরু-ছাগল। ভেঙ্গে পড়ছে শিক্ষাঙ্গনের অবকাঠামোগত পরিবেশও।

এ নিয়ে বুধবার এলাকার বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, করোনা কালিন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়, স্কুলের কক্ষ, বারান্দা এবং মাঠে বেঁধে রাখা হয়েছে গরু-ছাগল। ইতোমধ্যে সরকারি কঠোর নির্দেশনা থাকায় স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানগন নজরদারিতে নিয়ে আসলেও কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা আমলে নিচ্ছেনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রাথমিক শিক্ষক বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী ও দলীয় লোকজন প্রতিষ্ঠান না খোলায় বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা ও স্কুলের বারান্দায় বৃষ্টি হলেই গরু-ছাগল বেধে রাখতো। স্কুলের প্রহরীগন নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করায় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এখনো গো-বিচরণ করতে দেখা যায়।

এ নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার  বলেন, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গো-বিচরণ করছে এমন খবর পেয়ে ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কঠোর সতকর্তা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খোলার আভাস পেয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজও চলছে। স্কুল খোলা হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদানে প্রস্তত রয়েছে প্রতিষ্ঠান গুলো।




শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে দুর্গাপুরে ছাত্র ইউনিয়নের মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দুর্গাপুর উপজেলা শাখা। বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপে গত বছর মার্চ মাস থেকে সারাদেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে। দেশে করোনার প্রকোপে প্রচুর মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে, নতুন কোন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি, দারিদ্রাতার হার বেড়েছে। দীর্ঘকাল শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর অংশটিকে মহামারী শেষে আবার শিক্ষা কার্যক্রমে ফেরত আনা সহজসাধ্য হবে না। অথচ শিক্ষক কর্মচারীরা প্রতি মাসেই বেতন তুলে নিচ্ছেন। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের এই টালবাহানা আমরা মেনে নিতে পারি না। অচিরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাই। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি উপজেলা শাখার সভাপতি আলকাছ উদ্দিন মীর, সাধারণ সম্পাদক রুপন সরকার রুপক, সিপিবি নেতা শামছুল আলম খান, কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আলমগীর হোসেন, সহঃসভাপতি হাফিজুল ইসলাম প্রমুখ।

 




আলেম-ওলামাদের মুক্তির দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আটককৃত সকল আলেম-ওলামাদের মুক্তি দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

আজ রবিবার (৩০ মে) রাজধানীর পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মো. রেজাউল করিম এ দাবি জানান। বাংলাদেশী পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শব্দ বাদ, আসন্ন জাতীয় বাজেট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়াসহ দেশব্যাপী চলমান জেল জুলুম ও মামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণাও করে দলটি।

অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে আগামী ২ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং ৩ জুন দেশব্যাপী প্রতিটি জেলা ও মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া পাসপোর্ট থেকে একসেপ্ট ইজরাইল শব্দ বাদ দেয়ার প্রতিবাদে ও সংযোজনের দাবিতে ৫ই জুন শনিবার বিকেল তিনটায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া টিকা সংগ্রহ ও বিতরণকে দুর্নীতিমুক্ত করার পাশাপাশি একটি সার্বজনীন কমিটি গঠন করারও দাবি জানান তারা।




দুর্গাপরের গাছে গাছে আল্লাহ নাম

দুর্গাপরের গাছে গাছে আল্লাহ নাম
নেত্রকোণার দুর্গাপুরের গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া-সংকরপুর আঞ্চলিক সড়কটি সব সময়ই মানুষ চলাচলে ব্যস্ত থাকে। রাস্তার দুই পাশে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় অসংথ্য গাছ। সেইসব গাছে শোভা পাচ্ছে আল্লাহর জিকির সম্বলিতফ্যাস্টুন। মহান আল্লাহর গুণবাচক নাম সম্বলিত ফ্যাস্টুন পেরেক দিয়ে সাঁটানো হয়েছে এসব গাছে। এমন নজরকাড়া দৃশ্য যে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করবে অনায়াসে। ঝড়, বৃষ্টি থেকে ফ্যাস্টুন গুলোকে বাঁচাতে লেমিনেটিং করে সাঁটানো হয়েছে গাছে। এসব ফ্যাস্টুন গুলোতে লিখা রয়েছে আলহামদু লিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, বিসমিল্লাহ সহ আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নাম।এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন দুর্গাপুরের জাগিরপাড়া গ্রামের ডাঃ ইদ্রিস আলী সরকারের ছেলে মোঃ খাইরুল ইসলাম। তিনি নিজ খরচে সড়কের পাশে মহান আল্লাহ তায়ালার নামগুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে কাগজে লিখে লেমিনেটিং করে গাছে গাছে সাঁটিয়েছেন।জাগিরপাড়া বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওঃ আ্জজিুল হক বলেন, গাছে বা দেয়ালে অনেক ফ্যাস্টুন দেখেছি এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এই প্রথম দেখলাম। আল্লাহর নাম সম্বলিত ফ্যাস্টুন গাছে সাঁটানো সত্যিই প্রশংসনীয়।
মোঃ খাইরুল ইসলাম ডিএনবি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একজন মুসলমান হিসেবে সবসময় আল্লাহর নাম স্মরণ রাখা দরকার। চলার পথে মানুষ যেন আল্লাহর নাম স্মরণ রাখে । ফ্যাস্টুন নজরে পড়লেই যেন মানুষ আল্লাহর জিকির করে অভ্যাসে পরিণত করে তাই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।




মডেল মসজিদে নিয়োগ পাবেন কওমি সনদধারী আলেমরাও

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সারাদেশে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ। এর মধ্যে প্রথমধাপে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই উদ্বোধন হবে ৫০ টি। এই মসজিদগুলোতে নিয়োগ পাচ্ছেন কওমি মাদ্রাসা পড়ুয়া আলেমরাও।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে পাঠানো জনবল নিয়োগ বিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আপাতত প্রতিটি মসজিদে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে ৪ জন জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। একজন পেশ ইমাম, একজন মোয়াজ্জিন ও দুজন খাদেম।

প্রকাশিত সেই বিজ্ঞপ্তিতে পেশ ইমামের যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, সর্বনিম্ন দ্বিতীয় শ্রেণীর কামিল ডিগ্রী অথবা দ্বিতীয় শ্রেণীর দাওরায়ে হাদিস। এছাড়াও ন্যূনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে।

No description available.

তবে হাফেজে কোরআন ও ইলমে কিরাতের উপর স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত হাফেজ অগ্রাধিকার পাবেন। আরবিতে কথা ও আরবিতে উপস্থিত খুতবা দিতে পারে এবং ইসলামের উপর গবেষণাধর্মী প্রকাশনা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

মুআজ্জিনের যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ আলিম পাশ বা সমমানের কওমি শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন স্বীকৃত বোর্ড বা প্রতিষ্ঠান থেকে সনদধারী। পাশাপাশি নুন্যতম তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিশেষতঃ হাফেজে কুরআন ও ইলমে কিরাতের উপর স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সনদ প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

এছাড়াও এসব মডেল মসজিদের জন্য দু’জন খাদেম নিয়োগ দেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণীর আলিম পাস অথবা সমমান এর কওমি শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন স্বীকৃত বোর্ড বা প্রতিষ্ঠান থেকে সনদধারী। এছাড়া শারীরিকভাবে সুস্থ-সক্ষম হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে খাদেম হিসেবে নুন্যতম এক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।