এটা মাদরাসা নয় বলে করোনা ওয়ার রুম থেকে মুসলিমকর্মীদের বের করে দিলেন বিজেপি এমপি তেজস্বী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের হিন্দুত্ববাদের অন্যতম প্রধান প্রচারক বেঙ্গালুরুর বিজেপি এমপি তেজস্বী সূর্য একটি কভিড ওয়ার রুম থেকে মুসলিমদের বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা কোনো মাদরাসা বা হজ ভবন নয় যে এখানে মুসলিমদের নিয়োগ করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গের এনবি নিউজের বরাতে জানা যায়, দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর BBMP covid war Room এ মোট ২০৫ জন কর্মীর মধ্যে মাত্রই ১৭ জন মুসলিম ছিল। তাদেরকে বিতাড়িত করে তাদের বিরুদ্ধে বিজেপির আইটি সেল ব্যবহার করে তাদেরকে হত্যাকারী, সন্ত্রাসবাদী ইত্যাদি ভুয়া অপমানজনক তকমা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে বলেছেন এ এমপি।

কর্মীদের কেন সরানো হলো সে ব্যাপারে BBMP কমিশনার কোনো জবাব দেননি। তবে এই এমপি এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে, তাতে দেখা যাচ্ছে তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছেন মুসলিম কর্মীদের তাদের মুসলিম পরিচয়ের কারণে যথাশিগ্রই অপসারণ করতে।

এমনকি কারা তাদেরকে নিয়োগ করেছে তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তার এই আচরণে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, কর্নাটকে করনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে বেড এবং অক্সিজেনের সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখতে ওই কভিড ওয়ার রুম গঠন করে সরকার।




বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষাবোর্ডের ১৯ তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাজধানীর মাতুয়াইল যাত্রাবাড়ী ঢাকায় এ ফলাফল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বোর্ডের সদর দপ্তর চরমোনাই থেকে ভার্চূয়ালের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুরআন শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্রীয় সদস্যগন।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বোর্ডটির চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, আমার পিতা সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. বাংলাদেশে ৬৮ হাজার গ্রামে ৬৮ হাজার মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপেন বাস্তবায়ন করে চলেছে বাংলাদেশে কুরআন শিক্ষা বোর্ড। করোনা মহামারীর মধ্যেও আমরা যথাসময়ে ফলাফল প্রকাশ করতে পেরে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।

কুরআন শিক্ষা বোর্ড ১২ টি স্তরে পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এগুলো হলো, সানাবিয়া আম্মা কাফিয়া জামাত, সানাবিয়া আম্মা কুদুরী জামাত, মুতাওয়াসসিতাহ মিজান পুরুষ, মুতাওয়াসসিতাহ মিজান মহিলা, ইবতিদাইয়া উর্দু পুরুষ, ইবতিদাইয়া উর্দু মহিলা, ইবতিদাইয়া কেরাতুল কুরআন দ্বিতীয়, ইবতিদাইয়া কেরাতুল কুরআন খাস, হিফজ ৫ পারা, হিফজ ১০ পারা, হিফজ ২০ পারা, হিফজ ৩০ পারা। বোর্ডটির গড় পাসের হার ৯৫.৮৪%।




দুর্গাপুর সরকারি কলেজে উপবৃত্তি প্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

ডিএবনি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেনীর সরকার কর্তৃক ঘোষিত শিক্ষা উপবৃত্তি প্রাপ্তির নির্ধারিত আবেদন ফরম কলেজের অবহেলায় নির্ধারিত সময়ে অনলাইনে পোস্টিং না করায় বৃত্তিপ্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজারো শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন স্থানীয় শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদরের সুসঙ্গ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর উপবৃত্তির ফরম নিয়ে কলেজ আঙ্গিনায় শিক্ষার্থীরা ঘোরাফিরা করছে। কলেজ থেকে একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, আগামী ২৬ এপ্রিল বিকাল ২ঘটিকা পর্যন্ত ফরম জমা দেয়া যাবে। অথচ সরকার কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২৭ এপ্রিল রাত ১২ঘটিকার মধ্যে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের সকল আবেদন পোস্টিং করতে হবে। বিশ্বস্ত সুত্রে খবর নিয়ে জানাগেছে, এ পর্যন্ত ঐ কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মানবিক শাখায় ৮শত, বিজ্ঞান শাখায় ১৫০ ও বানিজ্য শাখায় ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য প্রায় ৯শত ৭১ জন ফরম জমা দিলেও এখন পর্যন্ত অনলাইনে একজনের ফরমও পোস্টিং দেয়া হয়নি। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, উপবৃত্তির টাকা পেতে অনলাইনে ফরম পূরনের জন্য ১০০ টাকা করে চেয়েছে অফিসের লোকজন। কয়েকজন অভিভাবক বলেন, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দিতে সেখানেও চাঁদা দিতে হবে আমাদের। আমরা দরিদ্র মানুষ টাকা কোথায় যাব। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের উপবৃত্তির ফরম গত ২৭ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে পোস্টিং দেয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়া ছিলো। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ফরম অনলাইনে পোস্টিং দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের ফরম এখনো পোস্টিং দিতে পারেননি। ফরম পোস্টিং নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, উপবৃত্তির বিষয়ে ফরম পূরণ করতে কারও নিকট থেকে কোনো টাকা নেয়া হয়নি। সার্ভার সমস্যা থাকার কারণে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের ফরম পোস্টিং দেয়া যায়নি তবে তিনি আশাবাদী, অচিরেই এ সমস্যার সমাধন করতে পারবেন।




১২ এপ্রিল শেষ হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের দু’দিন আগে ১২ এপ্রিল শেষ হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। শনিবার (১০ এপ্রিল) সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদকে উদ্ধৃত করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সাল হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বইমেলা চলার কথা ছিল।

সাধারণত প্রতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলা শুরু হয়ে চলে পুরো মাস। এবার করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে অনিশ্চয়তায় পড়ে বইমেলা। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর একুশে বইমেলা ভার্চুয়াল বা অনলাইনে করার কথা উঠেছিল। পরে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে গত ১৮ মার্চ উদ্বোধন করা হয় ৩৭তম অমর একুশে বইমেলার। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং অন্যান্য দিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলছিল। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এখন সময় কমিয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত করা হয়। পরে ৫ এপ্রিল থেকে সাতদিনের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলেও বইমেলা বন্ধ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতেও প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একুশে বইমেলা চলছে।

উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ১ এপ্রিল চলমান বইমেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদনকেন্দ্র ও অন্যান্য মেলা অবিলম্বে বন্ধের সুপারিশ করেছিল জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।




লকডাউনে মাদরাসা খোলা রাখার দায়ে দশ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নীলফামারীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে মাওলানা মিজানুর রহমান নামে এক অধ্যক্ষের দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে শহরের নিউ ওয়াপদা এলাকার আল ফালাহ নুরানি ইসলামিয়া একাডেমিতে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার(ভূমি) মফিজুর রহমান।

এদিকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, মাস্ক ব্যবহারে নিশ্চিতকরণে ইউএনও এলিনা আকতারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।




দুর্গাপুরে বিশ্ববান্ধব কবি সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জেলার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নে মানবকল্যানকামী অনাথালয় মিলনায়তনে ৪র্থ বিশ্ববান্ধব কবি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের কবিদের অংশগ্রহনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে বিশ্ববান্ধব কবি সম্মেলনের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন খান এর সঞ্চালনায়, মানবকল্যানকামী অনাথালয়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র মো. আলা উদ্দিন আলাল। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন, অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার, কবি আবুল বাশার, দেবব্রত দাস, পহেলী দে, জামাল তালুকদার, নাজমুল হুদা সারোয়ার, এনায়েরত কবীর, আবুল কালাম আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, ছিদ্দিকুর রহমান, বিদ্যুৎ সরকার, কাজল তালুকদার প্রমুখ।

আলোচনা শেষে, বরাবরের মতো এবারেও সমাজে বিশেষ অবদানের জন্য ৩ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সমাজসেবায় দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র মো. আলা উদ্দিন আলাল, মানবতায় রিক্সাওয়ালা তারা মিয়া এবং কবিতায় কবি লোকান্ত শাওনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।




লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার, থাকছে যেসব বিধি-নিষেধ

ডেস্ক রেোপর্ট: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

রোববার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার সকালের দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার।

‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ’ শিরোনামের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক গত ২৯ মার্চ তারিখের ১৮ দফা নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

ওই স্মারকের ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত মেয়াদে প্রতিপালনের জন্য প্রজ্ঞাপনে ১১টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

১. সকল প্রকার গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া, বিদেশগামী/বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

২. আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।

৩. সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে। শিল্প-কারখানা ও নির্মাণ কার্যাদি চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে শিল্প-কারখানা এলাকায় কাছাকাছি সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

৫. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না।

৬. শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে দোকান, পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে কেনাবেচা করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের মধ্যে আবশ্যিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা স্বশরীরে যেতে পারবে না।

৭. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

৮. ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

৯. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সুবিধাজনক স্থানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

১০. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।

১১. এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




আজ লকডাউনের ঘোষণা আসতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ: দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। নতুন করে এই অবস্থা সামাল দিতে বিভিন্ন টাইপের লকডাউনের ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সাধারণ চলাফেরা ও লোক সমাগমের ক্ষেত্রে সরকার নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

গতকাল রোববার রাতে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেখানে আজ সোমবার দেশের কিছু এলাকার জন্য এ ধরনের ঘোষণা ‘আসতে পারে’ বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) হয়ত বিভিন্ন টাইপের লকডাউনের ঘোষণা আসবে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি- এসব এলাকায় যাওয়া-আসা বন্ধ করা, বিয়ে-শাদী অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পিকনিক এগুলোও বন্ধ করা, যেখানে জনসমাগম হয় সেসব অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ আসতে পারে।’ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কিছু প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব গেছে। এতে অনেকগুলো প্রস্তাব ছিল। সেগুলো দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা জারি করবেন। তার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের লকডাউন থাকবে।’




আজ পবিত্র শবে বরাত; করণীয় ও বর্জনীয়

শবেবরাত শব্দ দুটি হাদিসে নেই। হাদিসের ভাষায় এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ তথা ১৫ শাবানের রাত বলা হয়। ‘শবেবরাত’ ফারসি শব্দ। ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত, ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই শব্দ মিলে অর্থ হয় মুক্তির রজনী।

যে রাতে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ : মধ্য শাবানের রাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস শরিফে নির্ভরযোগ্য সনদ বা বর্ণনাসূত্রে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত সাহাবি মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তাঁর সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৬৬৫)

হাদিসবিশারদদের ভাষ্যমতে, হাদিসটির মান সহিহ তথা বিশুদ্ধ। এ জন্যই ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ.) তাঁর প্রসিদ্ধ হাদিসে রচিত কিতাব ‘কিতাবুস সহিহ’-এ হাদিসটি উল্লেখ করেছেন।

ভিত্তিহীন কাজ পরিহার : বিভিন্ন হাদিস থেকে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়, এই রাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) বিশেষ পদ্ধতিতে কোনো ইবাদত করেননি এবং সাহাবায়ে কেরামকেও তা করার নির্দেশ দেননি। সুতরাং আমাদের সমাজে প্রচলিত শবেবরাতের বিশেষ পদ্ধতির যে নামাজের কথা বলা হয় তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট। এগুলো বিশ্বাস করা এবং এগুলোর ওপর আমল করা কোনোভাবেই জায়েজ নেই; বরং ফজিলতপূর্ণ এই রাতের আমলের ব্যাপারে হাদিসের যেসব নির্দেশনা-ইঙ্গিত পাওয়া যায় তা সবই ব্যক্তিগত নফল ইবাদত। তাই আমাদের উচিত মনগড়া ইবাদত-আমল পরিহার করে যথাসম্ভব রাত্রি জাগরণের মাধ্যমে বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, তাওবা-ইস্তিগফার ও জিকির-আজকারে মশগুল থাকা।

দীর্ঘ নফল নামাজ আদায় : বেশি বেশি নফল নামাজ ও দীর্ঘ ইবাদত প্রসঙ্গে আয়েশা (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) রাতে নামাজে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সিজদা করেন যে আমার ধারণা হলো তিনি হয়তো মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সিজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা, তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে আল্লাহর রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি জবাবে বললাম, না, হে আল্লাহর রাসুল, আপনার দীর্ঘ সিজদা থেকে আমার এই আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন! নবীজি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভালো জানেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করলেন, ‘এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত (শাবানের ১৪ তারিখের দিবাগত রাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে তাঁর বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থায়।’ (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৩৫৫৪)

এই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে নফল নামাজে দীর্ঘ কিরাত পড়া এবং লম্বা সিজদা করা এ রাতের বিশেষ একটি আমল।

আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা : এই রাতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে বেশি বেশি তাওবা-ইস্তিগফার করা। কারণ বরকতময় এই রাতে আল্লাহ তাআলা প্রথম আকাশে নেমে বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন। তাদের গুনাহ মাফ করেন। এই মর্মে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন অর্ধ শাবানের রাত আগমন করে তখন আল্লাহ তাআলা প্রথম আকাশে অবস্থান করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষপোষণকারী ছাড়া অন্যদের ক্ষমা করে দেন।’ (মুসনাদে বাজজার, হাদিস : ৮০)

তাই সংকটময় পরিস্থিতিতে এই রাতে আমাদের আল্লাহর দিকে মনোযোগী হওয়া, আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং করোনাভাইরাস থেকে হেফাজতের দোয়া করা উচিত।

শবে বরাতের পরদিন রোজা রাখা : এ প্রসঙ্গে আলী (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘১৫ শাবানের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলা রোজা রাখো।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৮৮)

এই বর্ণনাটির সনদ দুর্বল হলেও তা গ্রহণযোগ্য। হাদিস বিশারদদের মতে, ফজিলতপূর্ণ বিষয়ে জয়িফ হাদিস আমলযোগ্য। তা ছাড়া শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখার কথা সহিহ হাদিসে এসেছে এবং আইয়ামে বীজ অর্থাৎ প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার বিষয়টিও সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

তাই আসুন, বিশুদ্ধ আমলের মাধ্যমে এ রাতের ফজিলত, বরকত ও মাগফিরাত অর্জনে সচেষ্ট হই। সব ধরনের বিদআত বর্জন করি।

আল্লাহ তাআলা আমাদের এ রাতে সব ধরনের কল্যাণ দান করুন। আমিন।




স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শহীদ স্মরণ

১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দমন অভিযানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালিরা।

বরাবরের মতোই রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটিকে পালন করা হচ্ছে জাতীয় দিবস হিসাবে। তবে বাংলাদেশের জন্মের ৫০ বছর পূর্তিতে এবারের স্বাধীনতা দিবস এসেছে অনন্য এক উদযাপনের মুহূর্ত হয়ে।

সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গেই বাংলাদেশ উদযাপন করছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, যার হাত ধরে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে শুক্রবার ভোর ৬টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়, বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

 

পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা জানানোর পর রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।

এই জোড়া উদযাপনে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে। শুক্রবার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিনে তা শেষ হবে।

প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুরোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশের এই আয়োজনে। শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।