সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ১০ সদস্য গ্রেফতার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রশ্নের উত্তর সরবরাহকারী চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ধারাবাহিক অভিযানে রাজধানীর মিরপুর, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও কাকরাইল এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার)।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- নোমান সিদ্দিকী, মাহমুদুল হাসান আজাদ, আল আমিন রনি, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, মাহবুবা নাসরীন রুপা, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসান।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ইয়ার ডিভাইস ৬টি, মাস্টার কার্ড মোবাইল সিম হোন্ডার ৬টি, ব্যাংকের চেক ৫টি, নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ৭টি, স্মার্ট ফোন ১০টি, বাটন মোবাইল ৬টি, প্রবেশপত্র ১৮টি ও চলমান পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ৩ সেট জব্দ করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান আজাদ সিজিএ অফিসের সরকারি কর্মকর্তা এবং মাহবুবা নাসরীন রুপা বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের অধীন ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের ৫৫০টি অডিটর পদে নিয়োগের জন্য শুক্রবার ৭০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়। ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, পূর্বে বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হওয়া কতিপয় ব্যক্তি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, মোবাইল অ্যাপস এবং ব্যক্তি পরিবর্তন করে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, উত্তর/সমাধান সরবরাহসহ অসদুপায় অবলম্বন করতে পারে।

তিনি বলেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ কাকরাইলে অবস্থিত নিউ শাহিন হোটেল থেকে অসাধু উপায় অবলম্বনকারী দুইজন পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্যমতে কাফরুল থানার সেনপাড়া পর্বতা এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ডিভাইস, প্রশ্নপত্র এবং উত্তর পত্রের খসড়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ডিবি পুলিশের অপর দল বিজিপ্রেস উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে পরীক্ষার্থী এবং অন্যতম পরিকল্পনাকারী মাহবুবা নাসরীন রুপাকে নগদ টাকা, ডিজিটাল ডিভাইসসহ গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে অপর আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান আজাদ, নাহিদ হাসান, আল আমিন সিদ্দিকী ইতোপূর্বেও প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত ২০১৩, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে গ্রেফতার হয়েছিল। গ্রেফতার ব্যক্তিরা অন্যদের যোগসাজশে বিভিন্ন সোশ্যাল অ্যাপস ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা হল থেকে প্রশ্ন ফাঁস করে। হলের বাইরে ওয়ানস্টপ সমাধান কেন্দ্র বসিয়ে স্মার্ট ওয়াচ, ইয়ার ডিভাইস, মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহ করার কাজ করে থাকে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা ইতোপূর্বে বিভিন্ন ব্যাংক, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন অধিদফতর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন, হিসাব নিরীক্ষক কার্যালয়, জ্বালানি অধিদফতর, সমবায় অধিদফতর, খাদ্য অধিদফতর, সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ অন্যান্য সংস্থার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং উত্তরপত্র সরবরাহ করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার করেছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সূত্র: ডিএমপি নিউজ।




দুর্ঘটনারোধে স্কুল-কলেজে ট্রাফিক রুল পড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দুর্ঘটনারোধে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ট্রাফিক রুল পড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এছাড়া রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের লোক রাখারও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়ার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চারটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

এগুলো হলো- ঢাকা এয়ারপোর্ট মহাসড়কে শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন পথচারী আন্ডারপাস, সিলেট শহর বাইপাস-গ্যারিসন লিংক ৪ মহাসড়ক, বালুখালী (কক্সবাজার)-ঘুনধুম (বান্দরবান) সীমান্ত সংযোগসড়ক এবং রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর চেংগী নদীর ওপর ৫০০ মিটার দীর্ঘ সেতু।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে সারাদেশের জাতীয় মহাসড়কে ২০১০ থেকে ২০১২ সালে ২০৯টি ব্ল্যাকস্পট (দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান) চিহ্নিত করা হয়েছে। তাতে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে আরও ২৫২টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করা হয়। এরমধ্যে ১৭২টির প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ৮০টি ব্ল্যাকস্পটেও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর ফলে সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে।

এসময় পথচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটা প্রবণতা আছে- দুর্ঘটনা হলেই গাড়ির ড্রাইভারকে পেটানো হয়। অনেক সময় গণপিটুনিতে তাকে মেরেই ফেলে। কেন দুর্ঘটনা ঘটলো, কার দোষে ঘটলো- সেটা খুঁজে বের করা দরকার। আর সবার ট্রাফিক রুল সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার এবং সেটা মেনে চলা দরকার। মোবাইল ফোন কানে দিয়ে সড়ক পার, রেললাইনে চলা বন্ধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ দৌড়ে রাস্তা পার হবেন না। রাস্তা পারাপারেই কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সব জায়গায় ফুটওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাস করা আছে। সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের বলবো, রাস্তায় চলাচলে ট্রাফিক রুল মানতে হবে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাফিক রুলটা শেখাতে হবে।

তিনি বলেন, স্কুলে যাতায়াতে নিরাপদে রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক পুলিশ সহায়তা করবে, তবে স্কুল কর্তৃপক্ষেরও লোক রাখতে হবে। অনেক সময় বাচ্চারা অন্যদের মানতে চায় না। স্কুল কর্তৃপক্ষের লোক থাকলে ঠিকই মানবে। প্রত্যেকটা স্কুলকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ দেবে, যাতে তাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারে উদ্যোগ নেয়।

আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই। দোষ কার, সেটা পরে দেখা যাবে। অনেক সময় ধাক্কা লেগে পড়ে যায়, সে হয়তো বেঁচে যেতো। কিন্তু ড্রাইভার গাড়ি থামালে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে এই ভয়ে সে পিষে চলে যায়। একটা মানুষের জীবন চলে যায়। কিছু হলেই ড্রাইভারকে ধরে পেটাবেন, গাড়িতে আগুন দেবেন, এটা ঠিক না। আইন কেউ হাতে তুলে নেবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, তারাই সেটা দেখবে।

এসময় গাড়ির চালক ও হেলপারদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি তারা অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে, ঝিমিয়ে পড়ে। সে জন্য মহাসড়কের পাশে চালক ও যাত্রীর জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা নিচ্ছি। সুনির্দিষ্ট দূরেত্ব একটি করে বিশ্রামাগার থাকবে। পাশাপাশি চালকদের ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করছি। গাড়ি বাড়ছে, চালক বাড়ছে না। সে জন্য সমস্ত উপজেলায় চালকদের ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। তাহলে এ সংকট কিছুটা কমবে। ড্রাইভার ক্লান্ত হলে গাড়ি থামাবেন, রেস্ট নেবেন। কিন্তু হেলপার দিয়ে চালানো ঠিক নয়, এটা অন্যায় কাজ।

করোনার সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ব্যাপক কর্মসূচি ছিল আমরা ভার্চুয়ালি করছি। কারণ করোনা নতুনভাবে হানা দিয়েছে। সকলে নিয়ম মেনে চলবেন। মাস্ক পরবেন। সবকিছু স্বাভাবিক চলুক আমরা চাই। উন্নয়নের নানা কাজ করছি। ফলে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাবো। ২২ সালে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প আছে উদ্বোধন করবো আমরা। দেশের মানুষের জন্য গত ১৩ বছরে আমরা নানা অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। এটি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।




হে দয়াময় প্রভু

হে দয়াময়-

তোমাকে খুঁজেছি পর্বত চূঁড়ায়

খুঁজেছি সমুদ্র গর্ভে,

খুঁজেছি তোমায় দিক-দিগন্তে

নিঃলীম নিলীমা নভে।

বিন্দু থেকে বিশালতায়

খুঁজেছি বারবার,

আঁথার খেকে আলোর মাঝে

দেখি তুমিই নিরাকার।

হে করুনাময়-

তুমি করেছো সৃজন এ নশ্বর ধরনী

প্রেরণ করেছো আমায় করতে তোমার গোলামী

তুমি ব্যতিত উপাস্য নাহি আর,

দু’নয়নে দেখেছি তোমার কুদরতি খেলা

শুধু দেখিনি তোমার অদৃশ্য কায়া

তুমিই এ গুলবাগের অনিন্দ্য রূপকার

প্রভু তুমি নিরাকার।

এইচ এম সাইদুল ইসলাম

সম্পাদক- ডিএনবি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম




শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না: দীপু মনি

Dnb News ডেস্ক:

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার পক্ষেই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না। বরং আমরা চাই আমাদের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন টিকা নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।‘

আজ শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের আরও অনেক বেশি সজাগ থাকতে হবে। করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। গত দেড় বছরে শিক্ষাখাতে যে ঘাটতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে সশরীরে ক্লাস করাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেকই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যেভাবে চলছে, তাতে শিক্ষাখাতের সমস্যাটাই বেশি হবে। সন্তানদের কথা মাথায় রেখে আমরা প্রত্যেকেই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।

তিনি বলেন, সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।




দুর্গাপুরে জলসিঁড়ি সম্মাননা পেলেন চার গুণীজন

ডিএনবি নিউজডেস্কঃ

প্রিয় নয়, সত্য যেন হই..এ প্রতিপাদ্যে দুর্গাপুরে সংস্কৃতির ধারক জলসিঁড়ি প্রাঙ্গণ ও ‘জলসিঁড়ি সম্মাননা’২০২১ উপলক্ষে সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা পেলেন চার গুণীজন।

উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের গাভীনা গ্রামে শুক্রবার বিকেলে জলসিঁড়ি মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অ্যাডভোকেট মানেশ সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন নেত্রকোনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়। উদ্বোধন পরবর্তি চার গুণীজন, লেখক ও অনুবাদক ফারুক মঈনউদ্দীন, লেখক ও সংবাদব্রতী কাজী আলিম উজ-জামান, কবিতাব্রতী
কুশল ভৌমিক কে সাহিত্যের বিভিন্ন ধারায় অবদান এবং সমাজ সেবায় মো. রফিকুল ইসলাম রুহু নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান বিরিশিরি ইউনিয়ন কে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে, লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মতীন্দ্র সরকার, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকার সুজন হাজং, অফিসার ইনচার্জ শাহ নুর এ আলম, জেলা পরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক, কবি মনোয়ার সুলতান, কবি রইস মনোরম, কবি তানভির জাহান চৌধুরী, কবি লোকান্ত শাওন, ‘জলসিঁড়ি পাঠকেন্দ্র’র প্রতিষ্ঠাতা দীপক সরকার সহ জেলা ও উপজেলার কবিতা প্রেমী গুণীজন উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, সমাজ থেকে সকল অবক্ষয় রোধ করতে সাহিত্য চর্চার কোন বিকল্প নাই। একজন সাহিত্য প্রেমী কখনো রক্ত ঝড়াতে পারে না, একজন সাহিত্য প্রেমী কখনো বেদনা দায়ক হতে পারে না। সাহিত্য প্রেমীদের লেখনী সকল ধুম্রজাল দুমরে-মুচরে এক মঞ্চে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এখন সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়ানোর। প্রতিটি বাড়ীতে শিশুদের হাতে অন্যান্য উপহার কিনে দেয়ার পাশাপশি একটি কবিতার বই তুলে দেয়ার আহবান জানানো হয়। আলোচনা শেষে আমন্ত্রীত কবিগন তাদের স্ব-রচিত কবিতা পাঠ সহ  ‘জলসিঁড়ি পাঠকেন্দ্র’র শিল্পীবৃন্দ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

 




ইসলামী বইমেলা’য় আজ সন্ধ্যায় আলেম লেখকদের মিলন মেলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে দেশব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে বাইতুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘ইসলামী বইমেলা’ অন্যতম। ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই বই মেলা দুই সপ্তাহ পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।

আজ বুধবার ( ২৭ অেক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘ইসলামী বইমেলা’য় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, জনপ্রিয় লেখক ও আলোচক শায়েখ আহমদুল্লাহর।

তিনি জানিয়েছেন, বই কিনতে মেলায় যাবো ইনশা আল্লাহ।

তার দেওয়া তথ্যমতে, আজ বই মেলায় আরো থাকবেন জনপ্রিয় আলোচক শায়খ আবদুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ, আন্তর্জাতিক ক্বারী শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ, আলোকিত জ্ঞানীর উপস্থাপক ও তাকওয়া মসজিদ ধানমন্ডির খতীব মুফতি সাইফুল ইসলাম, ইসলামিক ফাইন্যান্স বিশেষজ্ঞ মুফতি ইউসুফ সুলতান, উস্তায শায়খ মুহিউদ্দীন ফারুকী, বিশিষ্ট্য আলোচক রাফি বিন মুনির এবং কলরবের জনপ্রিয় নাশীদ শিল্পী বদরুজ্জমান প্রমুখ।

দেশের পরিচিত লেখক ও ইসলামিক ব্যক্তিত্বকে মেলায় এসে পাঠকদের বই কিনতে উৎসাহিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন শায়েখ আহমদুল্লাহ।

তিনি বলেছেন, ‘আশা করছি, সবাই যার যার সুবিধা অনুযায়ী একেক দিন মেলায় আসবেন।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি যে বৃহস্পতিবার কলরবের সাঈদ আহমাদ, শুক্রবার বিশিষ্ট্য লেখক সাইমুম সাদী, মুহাদ্দিস ও টিভি উপস্থাপক মাহমুদুল হাসান, টিভি উপস্থাপক মুফতী হেদায়েতুল্লাহ প্রমুখ থাকবেন। শনিবার আলেম লেখক ও সাংবাদিক আলি হাসান তৈয়ব প্রমুখ থাকবেন ইন শা আল্লাহ’।

শায়েখ আহমদুল্লাহ তার আহ্বানে আরো বলেন, আপনিও চলে আসুন ইসলামী বইমেলায়। খুঁজে খুঁজে নির্ভরযোগ্য বই কিনে আলোকিত হোন, আলোকিত করুন পরিবার ও সমাজক ‘।




দুর্গাপুরে ৬ষ্ঠ জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

‘‘বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ ও ৬ষ্ঠ জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার দুপুরে দ্বীনি আলীম মাদরাসা মিলনায়তনে এ প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়।

উপজেলা প্রশাসন ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২টি গ্রুপে উপজেলার ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুয়েল সাংমা, দুর্গাপুর দ্বীনি আলীম মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা, উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।




‘প্রাথমিক-মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল খুলবে ১২ সেপ্টেম্বর’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ১২ সেপ্টম্বর থেকেই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব। স্কুল-কলেজগুলো খোলার জন্য আমরা আগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, এজন্য আমরা ১২ সেপ্টেম্বরকে নির্ধারণ করেছি।

শুক্রবার চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ ও তথ্য কর্মকর্তা মো. আবুল খায়েরও গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও অ্যাসাইনমেন্ট প্রক্রিয়া চলমান থাকবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বেশিরভাগ শিক্ষকই টিকা নিয়েছেন। এছাড়া ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরও টিকার আওতায় আনা হবে।’

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আগের ঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষা হবে। অর্থাৎ নভেম্বরের মাঝামাঝি এসএসসি এবং ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরমেয়র অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল, ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউনুছ বিশ্বাস, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি থাকায় শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। পরে কয়েক দফা চেষ্টা করেও এই মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আর খোলা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে।

চলমান এই ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। সে অনুযায়ী, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান ছুটি অব্যাহত থাকবে। সম্প্রতি সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর থেকেই জোরেশোরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা।




শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খোলার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সংসদে অধিবেশন এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ যে ব্যবস্থা নিয়েছে; তা বিশ্বের অনেক দেশই পারেনি।

এর আগে গতকাল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি করোনা প্রতিরোধে গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এক কোটি ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ১৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জনকে দ্বিতীয় ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।

নওগাঁ-২ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

এ সময় করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা সংগ্রহ ও বিনামূল্যে টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের চতুর্দশ অধিবেশন শুরু হয়।

মুহা. শহীদুজ্জামান সরকার লিখিত প্রশ্নে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকার দেশের করোনা মহামারি রোধকল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এ পর্যন্ত কতজনকে প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে? দেশে কত টিকা মজুত আছে এবং আগামী কতদিনের মধ্যে কতটি টিকা আনার চূড়ান্ত চুক্তি হয়েছে?




করোনায় বাংলাদেশের ৪ কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনিসেফ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের চার কোটিরও  বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ইউনিসেফ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক এই সংস্থা জানায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ আছে। যা করোনার কারণে স্কুল বন্ধের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম।

ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারির পুরোটা সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চতর শিক্ষার স্তর পর্যন্ত বাংলাদেশে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, শিশুরা যত বেশি সময় ধরে স্কুলের বাইরে থাকবে, সহিংসতা, শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ের ঝুঁকি ততই বাড়বে। ফলে তাদের স্কুলে ফিরে আসার সম্ভাবনা কমে যাবে।

দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। আর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয় ওই বছরের ১৭ মার্চ। পরে সরকার করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে দফায় দফায় তা বাড়িয়ে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি বলেন, করোনার কারণে স্কুলে যেতে না পারায় শিশুদের শিক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে শিশুদের কেবল পড়াশোনার ক্ষেত্রে নয়, একইসঙ্গে তাদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক শিশুরা।