প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস শুরু ১৫ মার্চ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ১৫ মার্চ শুরু হচ্ছে। বুধবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে দুইদিন রোববার ও মঙ্গলবার ক্লাস হবে বলে জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মো. মনসুরুল আলম, অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

করোনা মহামারির কারণে দুই বছর ধরে বন্ধ প্রাক-প্রাথমিকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান। প্রথম শ্রেণির আগের এই শ্রেণিগুলোতে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির কয়েক মাস পরই শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়। আবার অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে এই বন্ধ থাকা অবস্থাতেই। এই দুই বছর প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের কাছে ক্লাস মানেই ছিল মোবাইল ফোন কিংবা কম্পিউটার-ট্যাব, মানে ভার্চুয়াল ক্লাসের মাধ্যমেই তাদের শিক্ষাজীবন শুরু হয়।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ কমে আসায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সীমিত পরিসরে খুললেও প্রাক প্রাথমিকে খোলেনি। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবার জানুয়ারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন সংক্রমণ আবার কমে যাওয়ায় ধীরে ধীরে সব ক্লাস খুলছে। সবশেষে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদেরও ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার।




‘মাধ্যমিকেও শিগগিরই স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে’

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতি হওয়ায় মাধ্যমিক পর্যায়েও শিগগিরই নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।

বুধবার সকালে ঢাকা কলেজে নতুন শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ওরিয়েন্টেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে একথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

আজ থেকেই প্রাথমিক স্তরে পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আর ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষাস্তরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়। তবে মাধ্যমিকে সীমিত সংখ্যক ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত দুই বছর তাদের পড়াশোনায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেকে পারিবারিক-সামাজিক এক ধরনের ট্রমার মধ্যে ছিল। তারা সেই সময়টাকে পার করে এসেছে। আমরা আশা করবো আগামী দিনগুলোতে আগের যে ঘাটতি সেটা পুষিয়ে নেওয়ার। এখানে শিক্ষকরাও যেমন চেষ্টা করবেন, তেমনি শিক্ষার্থীদেরও চেষ্টা করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের আজকে প্রাথমিকের ক্লাস শুরু হলো। আমরা আশা করছি আমাদের মাধ্যমিকেও শিগগিরই স্বাভাবিক জায়গায় যাবে।

মন্ত্রী বলেন, যেখানে ঘাটতি রয়েছে সেখানে নজর দেব বেশি। আমরা হয়তো এক শিক্ষাবর্ষে সব ঘাটতি পূরণ করতে পারবো না কিন্তু আগামী শিক্ষাবর্ষে সেটুকু পূরণ করতে পারবো।




বদলে গেল ফেসবুক ‘নিউজ ফিড’

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

বদলে গেল ফেসবুক ‘নিউজ ফিড’। এখন শুধু ‘ফিড’ নামে এই সেবা দেবে ফেসবুক।

ফেসবুক জানিয়েছে, ব্যবহারকারীরা আগের মতই ফিডে বৈচিত্রময় বিষয়বস্তু দেখবেন। শুধু নাম পরিবর্তন হচ্ছে।

এমন পরিবর্তন ফেসবুকে আগেও হয়েছে। একসময় এই ফিড টাইমলাইন হিসেবে পরিচিত ছিল।

মার্ক জুকারবার্গ বলছেন, ব্যবহারকারীরা তাদের ফিডে যে বৈচিত্রময় কনটেন্ট দেখেন তাকে আরও ভালভাবে প্রতিফলিত করতেই তারা এই পরিবর্তনের পথে হাটছেন।

তবে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ফেসবুক থেকে অনেক সময়ই ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠছে। তাই নিউজ ফিড নাম থেকে নিউজ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এই নামকরণ করে ফেসবুক বোঝাতে চাইছে এটা কোনও মতেই খবরের ফিড নয়। জুকারবার্গ কখনই ফেসবুককে খবরের উৎস হিসেবে পরিচিত করতে চান না।




খুলনায় স্কুলছাত্রের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার দ্বিতীয় ফেজের ১৪নং রোডে একটি মাঠে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে মাথা, গলাসহ শরীরের একাধিক স্থানে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশের ধারণা।

নিহত শুভ হাওলাদার নগরীর আনিস বিশ্বাস আদর্শ স্কুলের ২য় শ্রেণীর ছাত্র।

স্থানীয় ও পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ১৪ নম্বর রোডের একটি খোলা মাঠের কোনায় রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটির মরদেহ পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তার মাথা, গলা, হাতসহ একাধিক স্থানে ইটের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। হত্যার সময় দুর্বৃত্তদের সাথে শিশুটির ধস্তাধস্তির আলামত পেয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে রক্তমাখা একটি ইট উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলটি নির্জন হওয়ায় হত্যাকারীরা নির্বিঘ্নে শিশুকে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে পুলিশের ধারণা।

নিহতের বাবা ভাঙ্গারী বিক্রেতা ইব্রাহিম হাওলাদার জানান, শুভ তাদের একমাত্র সন্তান। সকালে ছেলেকে নাস্তা খাইয়ে ভ্যান নিয়ে তিনি বাইরে বের হন। মাও ঘরের বাইরে যায়। নিজ সন্তানের হত্যার খবরে বারবার মুচ্ছা যাচ্ছিলেন বাবা-মা। ১১ বছরের শিশুর এমন নৃশংস হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকাবহ অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ময়না তদন্তের জন্য লাশ খুমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না পুলিশ।

তবে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মমতাজুল হক।




শেখ হাসিনা, শেখ রেহানার ফোন পেয়ে কাঁদলেন তামান্না

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

যশোরের ঝিকরগাছায় পা দিয়ে লিখে পরীক্ষায় টানা চতুর্থবার জিপিএ-৫ পাওয়া অদম্য তামান্না আক্তার নূরার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। গত ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাসহ দুটি স্বপ্নের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি লিখেছিলেন তামান্না। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে গত সোমবার সন্ধ্যায় ও বিকেলে পৃথক দুটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে কল দিয়ে তামান্নাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। একই সঙ্গে তামান্নার স্বপ্নপূরণে সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন।


বাঁকড়ার আলীপুরের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় তামান্না আক্তার নূরা। তামান্না যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে তামান্না নূরার সাথে কথা হলে তিনি বলেন- গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৬ মিনিট। হঠাৎ হোয়াটসঅ্যাপে ফোন। ফোন রিসিভ করতেই তামান্নার ফোনের ওপাশ থেকে এক নারী বলে উঠলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছিলাম। আমি কি তামান্নার সঙ্গে কথা বলছি? ফোনের ওপাশের কণ্ঠস্বর শুনে তামান্নার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী তাকে অভিনন্দন দিচ্ছেন!

এ সময় তামান্নার মুখে আর কথা বলতে পারছিলেন না। আবেগের চাপ সামলাতে না পেরে কেঁদেই ফেললেন তামান্না। একপর্যায়ে কান্না থামাতে বললেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কান্না থামিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সালাম দেন তামান্না।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তামান্নাকে “বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে” একটা আবেদন করার পরামর্শ দেন। ওই ট্রাস্টের মাধ্যমে তাকে সব সহযোগিতা দেবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তামান্নার সঙ্গে টানা চার মিনিটের কথোপোকথনে প্রধানমন্ত্রী তামান্নাকে সাহস হারাতে নিষেধ করেন। সাহস আর মনোবল থাকলে তামান্না অন্য উচ্চতায় পৌঁছাতে পারবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে তামান্নার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা। ফোন রিসিভ করতেই তামান্নার ফোনের ওপাশের নারী বলেন, আমি লন্ডন থেকে শেখ রেহানা বলছি। আমি কি তামান্না নূরার সঙ্গে কথা বলছি? তখন কান্না করতে থাকেন তামান্না। কান্না থামাতে বলে শেখ রেহানা বলেন, কেঁদো না। টানা ভালো রেজাল্ট করায় তোমাকে অভিনন্দন। তোমার সংগ্রামের কথা শুনেছি। তুমি খুব সাহসী। তুমি এগিয়ে যাও। আমরা দুই বোন বেঁচে থাকা পর্যন্ত তোমার সহযোগিতা করে যাব। যারা সাহস রেখে চলে তাঁরা কখনো হেরে যায় না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পেরে দারুন খুশি তামান্না। তিনি বলেন, প্রথমে দুইজনের সঙ্গে কথা বলতেই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে আমার জীবনে সৃষ্টি হয়েছে ইতিহাস। সেই অনুভূতি তো আপনাদের বুঝাতে পারব না।

এ বিষয়ে তামান্না নূরার পিতা রওশন আলীর সাথে মঙ্গলবার সকালে সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার মেয়ের লেখা চিঠির সাড়া দিয়ে, পরম করুণাময় আল্লাহর অসীম রহমতে তামান্নার সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা কথা বলেছেন। আশা করি সবার দোয়ায় তামান্নার স্বপ্ন পূরণ হবে।




দুর্গাপুরে মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের আয়োজনে ৮দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে উপজেলা শাখার সহসভাপতি মাওলানা মো. নূরুদ্দিনের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান খান, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক মো. এমদাদুল হক, শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন, মাওলানা আলাউদ্দিন, শিক্ষিকা স্বর্না আক্তার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ১৯৭৮ সাল থেকে আজও পর্যন্ত সারাদেশে ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকগণ বিনা বেতনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। এখনও মাদ্রাসাগুলোকে কোন প্রকার সুযোগ সুবিধার আওতায় আনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি শিগগিরই আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেনো জাতীয়করন করে।

মানববন্ধন শেষে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব উল আহসানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষকরা।




আজ থেকে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২২’। এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।

বিকেল ৩টায় গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে মেলার ভার্চুয়াল উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করবেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় প্রদান করা হবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২১।

এবার বইমেলা হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২ প্রতিষ্ঠানকে ১৪২ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩২ প্রতিষ্ঠানকে ৬৩৪ ইউনিট- মোট ৫৩৪ প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় থাকছে ৩৫টি প্যাভিলিয়ন। এর মধ্যে বাংলা একাডেমির প্যাভিলিয়ন থাকছে তিনটি।

গতকাল বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় বইমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি। সংবাদ সম্মেলনে মেলার বিস্তারিত তুলে ধরেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে চারটি প্রবেশ ও তিনটি বাইর পথ থাকবে। বিশেষ দিনগুলোয় লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো ও রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এম্ফি থিয়েটারের পুব দিকে মেলার মূল প্রাঙ্গণে। সেখানে ১২৭টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বইমেলায় বাংলা একাডেমি ও মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫% কমিশনে বই বিক্রি করবে।

অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০২২ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ ও ২০২২ সালের বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে শৈল্পিক বিচারে সেরা বই প্রকাশের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ২০২২ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং এ বছরের মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত প্রতিষ্ঠানকে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ প্রদান করা হবে।




এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিকতা ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। গতবারের চেয়ে এবার ৩৩ হাজার ৯০১ জন পরীক্ষার্থী বেশি ছিল।

গ্রুপভিত্তিক ৩টি বিষয়ে নম্বর ও সময় কমিয়ে দেড় ঘণ্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) ও সৃজনশীল (সিকিউ) অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি ছিল না।

যেভাবে জানবেন ফল: আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষার্থীরা মোবাইলের মাধ্যমে ফল পেতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখতে হবে। এরপর তা ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস আকারে পাঠাবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।

মাদরাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে MAD স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।

এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে TEC লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।




১৩১টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে কোন শিক্ষার্থীই ভর্তি হননি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

 

দেশের ১৩১টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হননি কোনো শিক্ষার্থী। কলেজের মান নিয়ে প্রশ্ন,বলছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

দেশের ১৩১টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে কোনো শিক্ষার্থীই ভর্তি হননি। আরেকদিকে এসএসসি ও সমমানের ফলাফলে জিপিএ ফাইভ পেয়েও পছন্দের ভালো মানের কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি ১২ হাজার ১৬০ জন শিক্ষার্থী।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড বলছে, প্রথম দফায় না পারলে পরবর্তী দুই দফায় সুযোগ রয়েছে, এমনকি চতুর্থবার বিশেষ সুযোগের চিন্তাও করছে সরকার। আর ঐ ১৩১টি কলেজের মান নিয়ে প্রশ্ন নিয়ে থাকায় সেখানে কেউ ভর্তি হয়নি বলে মনে করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য কলেজ রয়েছে ৪ হাজার ৭৬২টি, ভর্তিযোগ্য আসন রয়েছে ২৫ লাখ ৩০ হাজার ৩০৩টি। অথচ গেল ৮ই জানুয়ারি ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর পর প্রথম দফার ফলাফলে দেখা গেছে, একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী পায়নি ১৩১টি কলেজ।

একাদশে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন ৫টি কলেজ ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তারা তুলনামূলক ভালো কলেজগুলোতে আবেদন করায় বেঁধেছে বিপত্তি।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় উপ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, প্রত্যেক বিষয়ে ৮০ এর উপরে নাম্বার পেলেও জিপিএ-৫ আবার ৯০ এর উপরে নাম্বার পেলেও জিপিএ-৫।

কেউ যদি নাম্বারটা দেখে বিবেচনা করতো যে সে কোন কলেজে ভর্তি হতে পারবে তাহলে আর কোন সমস্যা হতো না। ঢাকা বোর্দের চারটা কলেজে প্রায় চার হাজারের মত ভর্তি হয়ে গেছে, এরা আমাদের অ্যাপস এর মধ্যে আসে নাই। তাদের আসনগুলো আমাদের অ্যাপসে ফাঁকা দেখাচ্ছে। এরা জিপিএ-৫ পাওয়া,কিন্তু তারা কোন আবেদনই করে নাই।

ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর পর প্রথম দফার ফলাফলে আরও দেখা গেছে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ১২ হাজারের ওপর শিক্ষার্থীই জিপিএ ফাইভ পাওয়া।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২১-এর ফলাফলে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পাস করেছে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন। সেক্ষেত্রে মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর চেয়ে কলেজগুলোতে একাদশ শ্রেণিতে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭৫৭টি আসন বেশি রয়েছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় উপ কমিটির সভাপতি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো আসলে কোচিং সেন্টারের মত। এগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না। এ কারণে শিক্ষার্থীদের সেসব কলেজ পছন্দ না। কেউ যদি আবেদনই না করে বা কলেজের নামই না দেয় সেখানে আমাদের কিছু করার নাই।

৭ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করা যাবে, ফল প্রকাশ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। ১৩ই ফেব্রুয়ারি তৃতীয় দফায় আবেদন গ্রহণের পর ১৫ই ফেব্রুয়ারি ফল প্রকাশ হবে। ১৯ থেকে ২৪শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলেজগুলোতে ভর্তি কার্যক্রম চলবে। দোসরা মার্চ থেকে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।




সেলফ আইসোলেশনে শিক্ষামন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সেলফ আইসোলেশনে আছেন । শিক্ষামন্ত্রীর স্বামী বিশিষ্ট আইনজীবী ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ড. তৌফিক নেওয়াজ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি আইসোলেশনে গেছেন বলে জানা গেছে।

স্বামীর করোনা পজিটিভ ফল আসার পরই দীপু মনি আইসোলেশনে চলে যান বলে রোববার দুপুরে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের জানান, শিক্ষামন্ত্রীর স্বামীর (ড. তৌফিক নেওয়াজ) কোভিড উপসর্গ ছিল। টেস্ট করানোর পর শনিবার রাতে করোনা পজিটিভ আসে। তিনি এখন নার্সদের তত্ত্বাবধানে আছেন। স্বামীর করোনা শনাক্ত হওয়ার খবরে গতকাল (২৯ জানুয়ারি) রাত থেকে মন্ত্রী আইসোলেশনে আছেন।

এমএ খায়ের জানান, আগামীকাল সোমবার দুপুরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর। এখন আইসোলেশনে থাকায় সশরীরে অংশ না নিয়ে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হবেন তিনি।