দুর্গাপুরে ব্রিজের বেহাল অবস্থা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ২৩ গ্রামের মানুষের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরস্থ বিরিশিরি ইউনিয়নের হারিয়াউন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালে সেতুটি প্রায় ৯ বছর ধরে মুখ থুবরে পরে আছে। এতে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহতে হচ্ছে দু’টি ইউনিয়নের অন্তত ২৩ গ্রামের জনগনের। শুষ্ক মৌসুমে এ পথে সেতুর স্থানটি ধান ক্ষেত দিয়ে ঘুরে যাওয়া গেলেও বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতকারীদের ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়াও নারী-পুরুষ,বয়স্ক মানুষ ও রোগীসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এ নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার দাবী জানালেও এত দিনেও সেতুটি সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা জানান, ২০১৪ সালে বন্যার পানির তোড়ে আশপাশের ২৩ গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র সেতুটি ধসে পড়ে। এরপর ২০২০ সালের বন্যায় সড়ক থেকে বিছিন্ন হয়ে যায় সেতুটি। ফলে গ্রামীণ জনপদের লোকজন ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ঐ ধসে পড়া সেতুটি বছরের পর বছর পার হলেও নির্মাণের এখনও কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। এতে দক্ষিন

জাগিরপাড়া,নাওদ্বারা,জাঙ্গালিয়াকান্দা,চরপাড়া,ভাদুয়া,মুন্সিপাড়া,হাতিমারাকান্দা,নন্দেরছটি,পূর্বনন্দেরছটি,বন্ধউসান,গৌরাখালী,কান্দাপাড়া,কৃষ্ণপুর,আটলা,নিশ্চিন্তপুর,বারইপাড়া,হারিয়াউন্দ সহ প্রায় ২৩টি গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরম আকারে ধারণ করেছে। প্রায় ৯ বছর ধরে এভাবে পড়ে থাকা সেতুটি কবে নির্মিত হবে এমন আশঙ্কা ভুক্তভোগীদের। এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,দীর্ঘদিনের ধসে পড়া সেতুটি সংস্কার বা পূণঃনিম্মান না হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। দীর্ঘদিন ধরেই এভাবেই সেতুটি মুখ থুবরে পরে থাকায় গাঁওকান্দিয়া ও বিরিশিরি এই দুই ইউনিয়নের লোকজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অপরদিকে ধসে পড়া সেতু ও রাস্তা-ঘাটের অবস্থা খারাপ থাকার কারণে যানবাহন ঢুকতে না পারায় এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে।

জাগিরপাড়া বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওঃ আজিজুল হক বলেন,’ছেলেমেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটা অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য শহরে নেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হলে আর ভোগান্তি থাকবে না’। কৃষক মোঃ হযরত আলী বলেন,এখানে সেতু না থাকায় তাঁদের মতো কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাঁরা কৃষিপণ্য শহরে সহজে নিয়ে যেতে পারেন না। কৃষিপণ্য গ্রামেই বিক্রি করতে হচ্ছে তাতে ভালো মূল্যও মিলছে না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী সেতুটি পুননির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। শিক্ষার্থী মোমেন আহাম্মেদ বলেন, ‘এ সড়কে প্রতিদিন কয়েকশত ছাত্রছাত্রী স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। শুষ্ক মৌসুমে বেশি অসুবিধা না হলেও বর্ষা মৌসমে এদিক দিয়ে আমরা কলেজে যেতে পারি না। অন্য সড়কে অনেক ঘুরে যেতে বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। সঠিক সময়ে কলেজে যেতে হলে সময়ের অনেক আগেই বাড়ি থেকে বের হতে হয়’। স্থানীয় ইউপি সদস্য হাতেম আলী বলেন,সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় এলাকার মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানিয়েছি এরপরও কোন সুরাহা মেলেনি।
বিরিশিরি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রুহু বলেন,ওই সেতুর ওপর দিয়ে শহরে যেতে মানুষ চলাচল করত। সেতু ভাঙা থাকার কারণে এলাকার লোকজন দুর্ভোগে পড়েছে। আমি অনেকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে জানিয়েছি ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন ব্রিজ সেংশন হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ খোয়াজুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন,এই সেতুটি আমাদের না। সেতুটি(এলজিইডি)করেনি। তিনি আরও বলেন,ওই এলাকার সড়কটিই এলজিইডি’র আইডিভুক্ত না তাহলে সেখানে সেতু নির্মাণ কিভাবে করবে। তবে ওই সড়কটি (এলজিইডি) আইডি ভুক্ত করার প্রস্তাবনা দিয়েছি এবং উল্টে থাকা ব্রীজটির জায়গায় একটি তিন ব্যাল্ড কালভাট তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।




দুর্গাপুরে পিকনিক বাস উল্টে নিহত ১ আহত ৩৭

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ সড়কের লক্ষীপুর নামক স্থানে একটি পিকনিকের বাস উল্টে ১ জন নিহত ও অন্তত ৩৭ জন আহত হয়েছে। বুধবার সকালে এ দ‚র্ঘটনা ঘটে। নিহত মাদ্রাসার ছাত্র হিমেল শেখ (১২) বলে নিশ্চিত করেছেন লক্ষিপুর মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা রুস্তম আলী।

স্থানীয়রা জানান, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা নন্দীবাড়ির দারুল উলুম আল ইসলামিয়া হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থী সহ ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে একটি বাস সকালে দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থী।

মুক্তাগাছার ওই মাদরাসার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইদুল ইসলাম জানান, আমরা মুক্তাগাছা থেকে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে পিকনিক করার জন্য দুর্গাপুরে রওনা হই। সকাল ১০টার দিকে বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ সড়কের লক্ষীপুর নামক স্থানে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের ধানক্ষেতে উল্টে যায়। এ সময় স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে লক্ষীপুর মাদ্রাসায় প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিক্ষার্থী হিমেলের। গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার ও চিকিৎসা পরিচালনা করছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার, ডা. মাকসুদা আক্তার রিমি বলেন, সকাল থেকেই দুর্ঘটনার রোগি হাসপাতালে আসা শুরু করেছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত সারা আক্তার (৫) নামের এক শিশুকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে প্রায় ১১ জন কে, অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।




৫৫ বছর বয়সে বেফাক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন রেজাউল আমিন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

৫৫ বছর বয়সে বেফাক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচড়ন সৃষ্টি করেছেন মুহাম্মদ রেজাউল আমিন। এই বয়সে তার আলেম হওয়ার অভিপ্রায়কে স্বাগত জানিয়েছে অনেকেই।

মুহাম্মাদ রেজাউল আমিন আন নূর ইসলামিয়া নৈশ মাদরাসার শিক্ষার্থী। পিতা আ. মজিদের ঘরে তিনি ১৯৬৮ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। কওমি মাদরাসাভিত্তিক শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের ৪৬তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় তিনি  সানাবিয়া উলইয়া’র পরীক্ষার্থী। তার পরীক্ষা কেন্দ্র ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আজিজিয়া।

জানা যায়, তিনি দুই হাফেজ আলেম সন্তানের পিতা। একটি কোম্পানির চাকুরী ছেড়ে সম্পূর্ণ অবসর হয়ে এখন একাগ্রচিত্তে ইলম অর্জন করছেন।

প্রসঙ্গত, বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় দেশের কওমি মাদরাসাভিত্তিক শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের ৪৬তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা। এতে অংশ নেয় মাদরাসার বালিক ও বালিকা শাখার ছয় স্তরের শিক্ষার্থীরা। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই পরীক্ষা চলবে শুক্রবারসহ ৮দিন ব্যাপী। পরীক্ষা চলছে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। তবে আজ (২৪ মার্চ) শুক্রবার শুধু ফযিলতের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা শেষ হয় বেলা সাড়ে ১১টায়।

এবারের বেফাক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছে বাংলাদেশের ১২,৮৬০ টি পুরুষ ও মহিলা মাদ্রাসা। ছাত্র-ছাত্রী মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২,৮২,৯২৬ জন। চলতি বছরে বিগত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৯,৭১০ জন বেশি। দাওরায়ে হাদীস মাস্টার্স সমমান পরীক্ষা আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে বেফাকভুক্ত মাদরাসাগুলোর পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২৩,৫৬০ জন।

এর আগে ২০২২ সালে বেফাক বোর্ডের আওতায় অনুষ্ঠিত ছয় স্তরের পরীক্ষায় মোট অংশ নেয় দুই লাখ ২৫ হাজার ৬৩১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ছিল এক লাখ তিন হাজার ৪৯২ এবং ছাত্রী ছিল এক লাখ পাঁচ হাজার ৫০২ জন।




এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রাজনীতি বন্ধ চান ডিসিরা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রাজনীতি বন্ধ চান ডিসিরা
এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা এখন মূল বেতনের পুরোটা সরকার থেকে পান। এর সঙ্গে সামান্য কিছু ভাতা দেওয়া হয় তাঁদের। তবে বেসরকারি হওয়ায় তাঁরা সরাসরি রাজনীতি করার সুযোগ পান। এই সুযোগ বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসকেরা (ডিসি)।

তাই সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্যও সুনির্দিষ্ট বিধিমালা করার প্রস্তাব এসেছে ডিসিদের পক্ষ থেকে।

২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন (ডিসি সম্মেলন)। সেখানে আলোচনার জন্য এ প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। এ ছাড়া উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চেয়ারম্যান করাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কে এ রকম অন্তত ২৪৪টি প্রস্তাব এসেছে ডিসিদের পক্ষ থেকে। সম্মেলনে তিন দিনে ২৪টি অধিবেশনে এসব প্রস্তাবসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তার ভিত্তিতেই নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এটাই শেষ ডিসি সম্মেলন। এই সম্মেলনে সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও সচিবেরা সরাসরি উপস্থিত থেকে ডিসিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।




দুর্গাপুরে বিশ্ব শিশু দিবস পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

শিশুর অধিকার, সুরক্ষা, উন্নয়ন এবং বিকাশে সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পালিত হয়েছে বিশ্ব শিশু দিবস। সোমবার দুপুরে নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায় ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এর সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, প্রেসক্লাব সভাপতি এসএম রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ।

বক্তরা বলেন, আজকে শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত, সরকারের বিভিন্ন লক্ষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের মধ্যে শিশু অধিকার রক্ষা অন্যতম। শিশুদের উন্নয়ন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, সুরক্ষা ও অধিকার বিষয়ে ক্যাম্পেইন এবং উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের উপস্থিতিতে এ নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা করার জন্য উপস্থিত সকলকে আহবান জানানো হয়।




নেত্রকোনা জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও দুর্গাপুরের রাজীব-উল-আহসান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোণা জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হয়েছেন দুর্গাপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য জেলা বাছাই কমিটি তাকে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে নির্বাচন করেন।

কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও সদস্য সচিব তাহমিনা খাতুন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই মেধা, যোগ্যতা আর দায়িত্ববোধের প্রমাণ দিয়ে তিনি জয় করে নিয়েছেন উপজেলাবাসীর মন। একজন শিক্ষাবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে ইতোমধ্যে ছাত্রছাত্রীদের দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার জন্য উপজেলার অন্য কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষার মান বাড়াতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ, মাদকমুক্ত যুবসমাজ গড়তে খেলাধুলার,শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক সহ বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছেন। শিক্ষার মানোন্নয়নে উপজেলার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করেন তিনি।

শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, শুধুমাত্র শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন নয় আমি দুর্গাপুর উপজেলার শিক্ষাকে আরও এগিয়ে নিতে চাই। এজন্য সকলের সহেযোগিতা প্রয়োজন। করোনা কালীন সময়ে শিশুদের লেখাপড়া যাতে ব্যহত না হয় বিধি মোতাবেক সে দিকে লক্ষ রেখেছি। লেখা পড়ার পাশাপাশি শিশুরা যাতে করে খেলাধুলা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কে জানতে পারে সেদিকে সকল অভিভাবক ও শিক্ষকদের নজর দেয়ার জন্য আহবান জানান তিনি। কারণ প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমেই একটি জাতিকে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

শিক্ষাবান্ধব এ কর্মকর্তা সেরা নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ও সংগঠন তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।




সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হলেন সেই বেলায়েত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অবশেষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হলেন গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার  ৫৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থী বেলায়েত শেখ। রোববার (২ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় অবস্থিত স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন তিনি।

নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এতথ্য জানান বেলায়েত। একই সঙ্গে তিনি তার অসুস্থ মায়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।

ফেসবুকে স্ট্যাটাসে বেলায়েত লেখেন, ‘আল্লাহর রহমতে সাংবাদিকতা অনার্স কোর্সে ভর্তি হয়েছি। আমার বাবা না থাকায় বাবার দায়িত্ব পালন করেন, আমার ভাতিজা উপসচিব ডক্টর এস এম সেলিম রেজা। সবার কাছে আমার অসুস্থ মায়ের জন্য দোয়া চাই।’

বেলায়েত শেখ এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হতে পারেননি। পরে রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

বেলায়েত শেখ লেখেন, ‘অনেক ব্যর্থতার পর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সফলতার মুখ দেখেছিলাম। সেখানে আমি ৬৮ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। কিন্তু বাড়ি থেকে বাবা রাজি না হাওয়ায় এতো দূরে গিয়ে ভর্তি হইনি। তাছাড়া সেখানকার খরচও আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব ছিলো না।

১৯৬৮ সালে জন্ম নেওয়া বেলায়েত শেখের ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি ছিল প্রবল আগ্রহ। তবে দারিদ্র্যের কারণে যথাযথ সুযোগ পাননি। ১৯৮৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন বেলায়েত। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হয় তাকে। ২০১৭ সালে ৫০ বছর বয়সে ভর্তি হন নবম শ্রেণিতে। এ বছর বেলায়েত ঢাকা মহানগর কারিগরি কলেজ থেকে জিপিএ ৪.৫৮ পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি-ভোকেশনাল) পাস করেন। এর আগে ২০১৯ সালে বাসাবোর দারুল ইসলাম আলিম মাদরাসা থেকে জিপিএ ৪.৪৩ পেয়ে মাধ্যমিক সমমান দাখিল (ভোকেশনাল) পাস করেন বেলায়েত।




আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ১১১ দেশের মধ্যে ৩য় বাংলাদেশের তাকরিম

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: আবারো আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় দেশের নাম উজ্জ্বল করলো হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম।

সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় অনুষ্ঠিত ‘৪২তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা’য় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে সে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে মক্কার পবিত্র হারাম শরিফে একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিজয়ীদের মধ্যে তৃতীয় বিজয়ী হিসেবে তাকরিমের নামও ঘোষণা করা হয়। এ সময় তার হাতে এক লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার, সনদ ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
সালেহ আহমদ তাকরিম গুলশান সোসাইটি জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম প্রতিষ্ঠিত মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকা’র ছাত্র।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তার উপদেষ্টা ও মক্কা নগরীর গভর্নর খালেদ আল ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ এবং দেশটির ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আলে শেখসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

কুরআন হিফজের বড় এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি দেশের ১৫৩ জন হাফেজ অংশ নেয়। তাদের মধ্যে তাকরিম এই গৌরব অর্জন করল।
সালেহ আহমাদ তাকরিম টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ভাদ্রা গ্রামের হাফেজ আব্দুর রহমানের ছেলে।

এর আগে গত মে মাসে লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান অর্জনের পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে বিশেষ সম্মাননাও অর্জন করে তাকরিম।

তারও আগে তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় তাকরিম বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা বিশ্ব দরবারে সমুন্নত করে।

 

-এম আর




ঢাবিতে পর্দানশীন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাসহ সবধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্দানশীন শিক্ষার্থীদের ভাইভা পরীক্ষাসহ সবধরনের হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘পর্দা করায়’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ভাইভা পরীক্ষায় হয়রানি ও অনুপস্থিত দেখানোর ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তা বন্ধের আহ্বান জানান।

এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে নারীরা বোরকা পরবে, এটাই স্বাভাবিক। একজন শিক্ষার্থীর স্বাধীনতা কোথায়? সে হিজাব করতে পারবে না, তার নাগরিক অধিকার কোথায়? ওই নারী শিক্ষার্থীকে যে মানসিক নির্যাতন করা হলো, তার বিচার করতে হবে। তাকে ভাইবায় উপস্থিত দেখাতে হবে।

অন্যথায় বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ধর্মীয় আবেগ-অনুভুতিতে আঘাত হানার দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। তথাকথিতরা বলে থাকেন, সবার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু কোথায় সেই স্বাধীনতা? দাঁড়ি-টুপি দেখলেই বলা হয় জঙ্গি। এটি কোন ধরনের স্বাধীনতা? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা একজন মুসলিম।

মুসলমানদের স্বার্থের কথা ভেবেই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অথচ আজ মুসলমানরাই অবজ্ঞার শিকার। বোরকাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরমাল ড্রেস ঘোষণা, বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে শনাক্ত, ওই শিক্ষার্থীকে ভাইভায় উপস্থিত দেখানো এবং কেউ ধর্মীয় পোশাকের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে।

অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র। এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী পর্দা করেন। বিভিন্নভাবে তাদের হেনস্তা করা হয়। বোরকা, দাড়ি-টুপি দেখলেই তাকে জঙ্গি তকমা দেয়া হয়। এ ধরনের মানসিকতা পরিহার করতে হবে। সংবিধানে একজন নাগরিককে সকল ধরনের অধিকার দেয়া আছে।

একজন নারী যদি শর্ট পোশাক পরলে এটা তার স্বাধীনতা হয়, তাহলে একজন নারী বোরকা পরলে এটা তার স্বাধীনতা কেন হবে না? বিশ্ববিদ্যালয়ে লেলিন, কালমার্কস, মাও সেতুং-এর আদর্শ চর্চার হতে পারলে ইসলামের চর্চা কেন হতে পারবে না? তার জবাব সংশ্লিষ্টদের দিতে হবে। কেউ ধর্মীয় বিধিনিষেধ মেনে চললে তার সঙ্গে কেন এমন আচরণ করা হবে? ঢাবি প্রতিষ্ঠা হয়েছে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষাকে কেন্দ্র করে।

 

-এম আর




সুনামগঞ্জের ছাতকে ব্রীজ একাডেমীর ছাত্র আকিবের উপর  হামলার ঘটনায় মানববন্ধন

জুনেদ আহমেদ,সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় ব্রীজ একাডেমীর ৯ম শ্রেনীর ছাত্র ইসফাক হোসেন আকিবসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার জাউয়া বাজার, চরমহল্লা, সিংচাপইড়, দক্ষিণ খুরমা ও ভাতগাঁও ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে জাউয়া বাজারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে  আব্দুল মুকিত শহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, জাউয়া ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিশংকর ভৌমিক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কদর মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ তকুদ্দুছ আলী পীর, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ রেজা মিয়া তালুকদার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালিক, আখলুছ মিয়া, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাষ্টার জসিম উদ্দিন, জাউয়া বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আসাদুর রহমান আছাদ, সাধারন সম্পাদক নূর মিয়া, ব্যবসায়ী আসক উদ্দিন, লায়েক মিয়া তালুকদার, আলহাজ্ব উকিল আলী, আকবর আলী, প্রভাষক নাজমুল হোসেন, প্রভাষক গৌছুল হক নাঈম, হেলাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য আমতর আলী, আলমগীর হোসেন, ব্যবসায়ী শাহীন মিয়া তালুকদার, আনোয়ার হোসেন আলী, লোকমান হোসেন, লিমন মিয়া, আজির উদ্দিন, আমজাদ হোসেন, আবুল মাল প্রমুখ।
মানববন্ধনে জাউয়া বাজার, চরমহল্লা, সিংচাপইড়, দক্ষিণ খুরমা ও ভাতগাঁও ইউনিয়নের সর্বস্থরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ব্রীজ একাডেমীর ৯ম শ্রেনীর ছাত্র ইসফাক হোসেন আকিবকে বেধড়ক মারপিট করেছে। এ ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে আকিবের স্বজন ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। হামলাকারীরা তাদের গাড়তেও ভাংচুর করে।
আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সৃষ্ট ঘটনার সুষ্টু বিচার করা না হলে রোববার বিকেল ৩টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত একঘন্টা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করার ঘোষনা দেন বক্তারা।
স্থানীয়রা জানান, ১১ সেপ্টেম্বর ব্রীজ একাডেমীতে জাউয়া বাজার ইউনিয়নের খিদ্রাকাপন গ্রামের আমজদ হোসেনর পুত্র, ব্রীজ একাডেমীর ৯ম শ্রেনীর ছাত্র ইসফাক হোসেন আকিবকে মারধোর করে একই একাডেমীর দশম শ্রেনীর ছাত্র হাসান, রাহাত, নিয়াজ, শুভ, আরিফ, হৃদয় সহ আরো কয়েকজন। এ ঘটনায় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে আকিবের পরিবারের লোকজন বিচার চাইতে গেলে তারাও হামলার শিকার হন। এ সময় হামলাকারীরা তাদের ব্যবহৃত গাড়িটিও ভাংচুর করে।