দুর্গাপুরে বিশ্ব শিশু দিবস পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

শিশুর অধিকার, সুরক্ষা, উন্নয়ন এবং বিকাশে সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পালিত হয়েছে বিশ্ব শিশু দিবস। সোমবার দুপুরে নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায় ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এর সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, প্রেসক্লাব সভাপতি এসএম রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ।

বক্তরা বলেন, আজকে শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত, সরকারের বিভিন্ন লক্ষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের মধ্যে শিশু অধিকার রক্ষা অন্যতম। শিশুদের উন্নয়ন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, সুরক্ষা ও অধিকার বিষয়ে ক্যাম্পেইন এবং উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের উপস্থিতিতে এ নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা করার জন্য উপস্থিত সকলকে আহবান জানানো হয়।




নেত্রকোনা জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও দুর্গাপুরের রাজীব-উল-আহসান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোণা জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হয়েছেন দুর্গাপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য জেলা বাছাই কমিটি তাকে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে নির্বাচন করেন।

কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও সদস্য সচিব তাহমিনা খাতুন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই মেধা, যোগ্যতা আর দায়িত্ববোধের প্রমাণ দিয়ে তিনি জয় করে নিয়েছেন উপজেলাবাসীর মন। একজন শিক্ষাবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে ইতোমধ্যে ছাত্রছাত্রীদের দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার জন্য উপজেলার অন্য কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষার মান বাড়াতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ, মাদকমুক্ত যুবসমাজ গড়তে খেলাধুলার,শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক সহ বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছেন। শিক্ষার মানোন্নয়নে উপজেলার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করেন তিনি।

শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, শুধুমাত্র শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন নয় আমি দুর্গাপুর উপজেলার শিক্ষাকে আরও এগিয়ে নিতে চাই। এজন্য সকলের সহেযোগিতা প্রয়োজন। করোনা কালীন সময়ে শিশুদের লেখাপড়া যাতে ব্যহত না হয় বিধি মোতাবেক সে দিকে লক্ষ রেখেছি। লেখা পড়ার পাশাপাশি শিশুরা যাতে করে খেলাধুলা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কে জানতে পারে সেদিকে সকল অভিভাবক ও শিক্ষকদের নজর দেয়ার জন্য আহবান জানান তিনি। কারণ প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমেই একটি জাতিকে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

শিক্ষাবান্ধব এ কর্মকর্তা সেরা নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ও সংগঠন তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।




সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হলেন সেই বেলায়েত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অবশেষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হলেন গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার  ৫৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থী বেলায়েত শেখ। রোববার (২ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় অবস্থিত স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন তিনি।

নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এতথ্য জানান বেলায়েত। একই সঙ্গে তিনি তার অসুস্থ মায়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।

ফেসবুকে স্ট্যাটাসে বেলায়েত লেখেন, ‘আল্লাহর রহমতে সাংবাদিকতা অনার্স কোর্সে ভর্তি হয়েছি। আমার বাবা না থাকায় বাবার দায়িত্ব পালন করেন, আমার ভাতিজা উপসচিব ডক্টর এস এম সেলিম রেজা। সবার কাছে আমার অসুস্থ মায়ের জন্য দোয়া চাই।’

বেলায়েত শেখ এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হতে পারেননি। পরে রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

বেলায়েত শেখ লেখেন, ‘অনেক ব্যর্থতার পর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সফলতার মুখ দেখেছিলাম। সেখানে আমি ৬৮ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। কিন্তু বাড়ি থেকে বাবা রাজি না হাওয়ায় এতো দূরে গিয়ে ভর্তি হইনি। তাছাড়া সেখানকার খরচও আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব ছিলো না।

১৯৬৮ সালে জন্ম নেওয়া বেলায়েত শেখের ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি ছিল প্রবল আগ্রহ। তবে দারিদ্র্যের কারণে যথাযথ সুযোগ পাননি। ১৯৮৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন বেলায়েত। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হয় তাকে। ২০১৭ সালে ৫০ বছর বয়সে ভর্তি হন নবম শ্রেণিতে। এ বছর বেলায়েত ঢাকা মহানগর কারিগরি কলেজ থেকে জিপিএ ৪.৫৮ পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি-ভোকেশনাল) পাস করেন। এর আগে ২০১৯ সালে বাসাবোর দারুল ইসলাম আলিম মাদরাসা থেকে জিপিএ ৪.৪৩ পেয়ে মাধ্যমিক সমমান দাখিল (ভোকেশনাল) পাস করেন বেলায়েত।




আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ১১১ দেশের মধ্যে ৩য় বাংলাদেশের তাকরিম

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: আবারো আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় দেশের নাম উজ্জ্বল করলো হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম।

সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় অনুষ্ঠিত ‘৪২তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা’য় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে সে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে মক্কার পবিত্র হারাম শরিফে একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিজয়ীদের মধ্যে তৃতীয় বিজয়ী হিসেবে তাকরিমের নামও ঘোষণা করা হয়। এ সময় তার হাতে এক লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার, সনদ ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
সালেহ আহমদ তাকরিম গুলশান সোসাইটি জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম প্রতিষ্ঠিত মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকা’র ছাত্র।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তার উপদেষ্টা ও মক্কা নগরীর গভর্নর খালেদ আল ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ এবং দেশটির ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আলে শেখসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

কুরআন হিফজের বড় এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি দেশের ১৫৩ জন হাফেজ অংশ নেয়। তাদের মধ্যে তাকরিম এই গৌরব অর্জন করল।
সালেহ আহমাদ তাকরিম টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ভাদ্রা গ্রামের হাফেজ আব্দুর রহমানের ছেলে।

এর আগে গত মে মাসে লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান অর্জনের পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে বিশেষ সম্মাননাও অর্জন করে তাকরিম।

তারও আগে তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় তাকরিম বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা বিশ্ব দরবারে সমুন্নত করে।

 

-এম আর




ঢাবিতে পর্দানশীন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাসহ সবধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্দানশীন শিক্ষার্থীদের ভাইভা পরীক্ষাসহ সবধরনের হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘পর্দা করায়’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ভাইভা পরীক্ষায় হয়রানি ও অনুপস্থিত দেখানোর ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তা বন্ধের আহ্বান জানান।

এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে নারীরা বোরকা পরবে, এটাই স্বাভাবিক। একজন শিক্ষার্থীর স্বাধীনতা কোথায়? সে হিজাব করতে পারবে না, তার নাগরিক অধিকার কোথায়? ওই নারী শিক্ষার্থীকে যে মানসিক নির্যাতন করা হলো, তার বিচার করতে হবে। তাকে ভাইবায় উপস্থিত দেখাতে হবে।

অন্যথায় বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ধর্মীয় আবেগ-অনুভুতিতে আঘাত হানার দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। তথাকথিতরা বলে থাকেন, সবার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু কোথায় সেই স্বাধীনতা? দাঁড়ি-টুপি দেখলেই বলা হয় জঙ্গি। এটি কোন ধরনের স্বাধীনতা? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা একজন মুসলিম।

মুসলমানদের স্বার্থের কথা ভেবেই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অথচ আজ মুসলমানরাই অবজ্ঞার শিকার। বোরকাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরমাল ড্রেস ঘোষণা, বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে শনাক্ত, ওই শিক্ষার্থীকে ভাইভায় উপস্থিত দেখানো এবং কেউ ধর্মীয় পোশাকের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে।

অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র। এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী পর্দা করেন। বিভিন্নভাবে তাদের হেনস্তা করা হয়। বোরকা, দাড়ি-টুপি দেখলেই তাকে জঙ্গি তকমা দেয়া হয়। এ ধরনের মানসিকতা পরিহার করতে হবে। সংবিধানে একজন নাগরিককে সকল ধরনের অধিকার দেয়া আছে।

একজন নারী যদি শর্ট পোশাক পরলে এটা তার স্বাধীনতা হয়, তাহলে একজন নারী বোরকা পরলে এটা তার স্বাধীনতা কেন হবে না? বিশ্ববিদ্যালয়ে লেলিন, কালমার্কস, মাও সেতুং-এর আদর্শ চর্চার হতে পারলে ইসলামের চর্চা কেন হতে পারবে না? তার জবাব সংশ্লিষ্টদের দিতে হবে। কেউ ধর্মীয় বিধিনিষেধ মেনে চললে তার সঙ্গে কেন এমন আচরণ করা হবে? ঢাবি প্রতিষ্ঠা হয়েছে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষাকে কেন্দ্র করে।

 

-এম আর




সুনামগঞ্জের ছাতকে ব্রীজ একাডেমীর ছাত্র আকিবের উপর  হামলার ঘটনায় মানববন্ধন

জুনেদ আহমেদ,সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় ব্রীজ একাডেমীর ৯ম শ্রেনীর ছাত্র ইসফাক হোসেন আকিবসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার জাউয়া বাজার, চরমহল্লা, সিংচাপইড়, দক্ষিণ খুরমা ও ভাতগাঁও ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে জাউয়া বাজারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে  আব্দুল মুকিত শহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, জাউয়া ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিশংকর ভৌমিক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কদর মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ তকুদ্দুছ আলী পীর, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ রেজা মিয়া তালুকদার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালিক, আখলুছ মিয়া, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাষ্টার জসিম উদ্দিন, জাউয়া বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আসাদুর রহমান আছাদ, সাধারন সম্পাদক নূর মিয়া, ব্যবসায়ী আসক উদ্দিন, লায়েক মিয়া তালুকদার, আলহাজ্ব উকিল আলী, আকবর আলী, প্রভাষক নাজমুল হোসেন, প্রভাষক গৌছুল হক নাঈম, হেলাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য আমতর আলী, আলমগীর হোসেন, ব্যবসায়ী শাহীন মিয়া তালুকদার, আনোয়ার হোসেন আলী, লোকমান হোসেন, লিমন মিয়া, আজির উদ্দিন, আমজাদ হোসেন, আবুল মাল প্রমুখ।
মানববন্ধনে জাউয়া বাজার, চরমহল্লা, সিংচাপইড়, দক্ষিণ খুরমা ও ভাতগাঁও ইউনিয়নের সর্বস্থরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ব্রীজ একাডেমীর ৯ম শ্রেনীর ছাত্র ইসফাক হোসেন আকিবকে বেধড়ক মারপিট করেছে। এ ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে আকিবের স্বজন ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। হামলাকারীরা তাদের গাড়তেও ভাংচুর করে।
আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সৃষ্ট ঘটনার সুষ্টু বিচার করা না হলে রোববার বিকেল ৩টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত একঘন্টা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করার ঘোষনা দেন বক্তারা।
স্থানীয়রা জানান, ১১ সেপ্টেম্বর ব্রীজ একাডেমীতে জাউয়া বাজার ইউনিয়নের খিদ্রাকাপন গ্রামের আমজদ হোসেনর পুত্র, ব্রীজ একাডেমীর ৯ম শ্রেনীর ছাত্র ইসফাক হোসেন আকিবকে মারধোর করে একই একাডেমীর দশম শ্রেনীর ছাত্র হাসান, রাহাত, নিয়াজ, শুভ, আরিফ, হৃদয় সহ আরো কয়েকজন। এ ঘটনায় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে আকিবের পরিবারের লোকজন বিচার চাইতে গেলে তারাও হামলার শিকার হন। এ সময় হামলাকারীরা তাদের ব্যবহৃত গাড়িটিও ভাংচুর করে।



নামাজরত অবস্থায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নামাজরত অবস্থায় রিদমি আক্তার নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এসএসসির প্রথম দিনের পরীক্ষা খারাপ হওয়ার হতাশা থেকেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার চরফলকন মাতাব্বরহাট এলাকার গফুর উদ্দিন হাজিবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

রিদমি উপজেলার তোয়াহা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। ওই বাড়ির ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হকের মেয়ে।

জানা গেছে, বেলা ১১টা থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। তোয়াহা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল ছিল হাজিরহাট মিল্লাত একাডেমি। অন্যান্য সহপাঠীর সঙ্গে রিদমিও বাংলা প্রথম বিষয়ে পরীক্ষায় বসে। নির্ধারিত সময় শেষের মুহূর্তেও তার লেখা শেষ করতে পারেনি। বাড়িতে গিয়ে রিদমি অনেক কান্না করে। পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় সে খাবারও খায়নি।

রিদমির এক চাচা বলেন, পরীক্ষার হলে শেষ সময়ে তার লেখা শেষ হয়নি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উত্তরপত্র জমা দিতে হয়েছে। এতে সে পরীক্ষা নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। বাড়িতে এসে অনেক কান্নাকাটি করেছে। দুপুরের খাবারও খায়নি। মাগরিবের নামাজরত অবস্থায় হঠাৎ দাঁড়ানো থেকে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক আনা হয়। চিকিৎসক এসে রিদমির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তোয়াহা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জায়েদ বিল্লাহ বলেন, রিদমি ভালো ছাত্রী ছিল। তার মৃত্যু বেদনাদায়ক। পরীক্ষার হতাশায় দুপুরে খাবারও খায়নি শুনেছি। শারীরিক দুর্বলতা ও পরীক্ষা নিয়ে হতাশার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

-এম আর




এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন কলরবের জনপ্রিয় দুই নাশিদ শিল্পী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আজ বৃহস্পতিবার শুরু হলো চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন কলরবের জনপ্রিয় দুই নাশিদ শিল্পী ফজলে এলাহি সাকিব ও নাসরুল্লাহ ইরফান।

জানা যায়, এবার মিরপুর গভমেন্ট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরিক্ষায় অংশ নিচ্ছে কলরবের কিশোরশিল্পী ফজলে এলাহী সাকিব। আর মুরাদনগরের একটি আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল পরিক্ষায় অংশ নিচ্ছে নাসরুল্লাহ ইরফান ।

এ বছর ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৭৯০। মোট প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৫৯১টি। বিদেশে আট কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে ৩৬৭ শিক্ষার্থী। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওযার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। কেন্দ্রসচিব ব্যতীত কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে কেন্দ্রসচিবকে ছবি তোলা যায় না এমন ফোন ব্যবহার করতে হবে।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রশ্ন ফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

প্রসঙ্গত, সিলেট বিভাগসহ ময়মনসিংহ অঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের কিছু জেলাতে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির কারণে এই পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। যেসব এলাকার পরীক্ষার্থীদের পাঠ্যবই বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, এসব পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে নতুন বই।

-এম আর




দুর্গাপুরে এই প্রথম শৌচাগার পরিচ্ছন্ন কর্মীর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে শত বছরের মধ্যে হরিজন সম্প্রদায়ের (সুইপার) এক মেয়ে বেবী বাস্পর ২০২২ সনের এস,এস,সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করায় হরিজন সম্প্রদায়ের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। বেবী স্থানীয় জহুরা জালাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
এ নিয়ে বেবী বাস্পর এর মা মালা বাস্পর জানান, আমরা হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ। আমাদের সম্প্রদায় থেকে কেউ পড়াশোনা করবে এটা ভাবতেও পারিনা। বেবী পরীক্ষা দেওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বীত।

পরীক্ষার্থী বেবী বাষ্পর জানান, আমার মা ইউএনও অফিসের ঝাড়ুদার। আমরা নীচু সম্প্রদায়ের লোক বিধায় আমাদের সবাই নীচু চোখে দেখে। আমার ইচ্ছা আমি প্রশাসনের একজন বড় কর্মকর্তা হবো। আমি চাকরি করে আমার সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করাতে সহায়তা করবো। আমার বাবা নির্মল বাষ্পর আমায় ছোট রেখেই মৃত্যুবরণ করেছেন, আমার এক ভাই সেও বেকার। খুব কষ্টে আমাদের সংসার চলছে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মেহের উল্লাহ বলেন, বেবী বাস্পরের মা ইউএনও অফিসের ঝাড়ুদার। তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে শুনে খুবই ভালো লাগলো। সে অত্যন্ত বিনয়ী এবং মেধাবী। আমরা তার সফলতা ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।




দুর্গাপুরে রবীন্দ্র-নজরুল কে স্মরণ করলেন পথ পাঠাগার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সাহিত্য সংগঠন পথ পাঠাগারের আয়োজনে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের কুমার দীজেন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীরাদের অংশগ্রহনে কবিতা আবৃওি প্রতিযোগিতা শেষে পথ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমুল হুদা সারোয়ার এর সভাপতিত্বে, পথ পাঠাগার সদস্য জিয়াউল হক শুভর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সুসং আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সাবেক প্রধান শিক্ষক বীরেশ্বর চক্রবর্ওী, প্রেসক্লাবের সহঃসভাপতি তোবারক হোসেন খোকন, সাধারন সম্পাদক জামাল তালুকদার, সাংবাদিক নিতাই সরকার, ডা. কামরুল ইসলাম, কবি আবুল বাশার, লোকান্ত শাওন, মানবতার ফেরিওয়ালা তারা মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল তাঁদের লেখনীর মধ্য দিয়ে চাষী-মজুরদের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর সাহিত্যকর্মের উৎস ও প্রেরণাস্থল এই সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ। অন্যদিকে নজরুলও বাংলাদেশের প্রকৃতি, মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসা ও শ্রদ্ধায় আকৃষ্ট হয়েছিলেন। আলোচনা সভা শেষে কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।