লকডাউনে মাদরাসা খোলা রাখার দায়ে দশ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নীলফামারীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে মাওলানা মিজানুর রহমান নামে এক অধ্যক্ষের দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে শহরের নিউ ওয়াপদা এলাকার আল ফালাহ নুরানি ইসলামিয়া একাডেমিতে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার(ভূমি) মফিজুর রহমান।

এদিকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, মাস্ক ব্যবহারে নিশ্চিতকরণে ইউএনও এলিনা আকতারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।




দুর্গাপুরে বিশ্ববান্ধব কবি সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জেলার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নে মানবকল্যানকামী অনাথালয় মিলনায়তনে ৪র্থ বিশ্ববান্ধব কবি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের কবিদের অংশগ্রহনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে বিশ্ববান্ধব কবি সম্মেলনের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন খান এর সঞ্চালনায়, মানবকল্যানকামী অনাথালয়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র মো. আলা উদ্দিন আলাল। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন, অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার, কবি আবুল বাশার, দেবব্রত দাস, পহেলী দে, জামাল তালুকদার, নাজমুল হুদা সারোয়ার, এনায়েরত কবীর, আবুল কালাম আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, ছিদ্দিকুর রহমান, বিদ্যুৎ সরকার, কাজল তালুকদার প্রমুখ।

আলোচনা শেষে, বরাবরের মতো এবারেও সমাজে বিশেষ অবদানের জন্য ৩ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সমাজসেবায় দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র মো. আলা উদ্দিন আলাল, মানবতায় রিক্সাওয়ালা তারা মিয়া এবং কবিতায় কবি লোকান্ত শাওনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।




লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার, থাকছে যেসব বিধি-নিষেধ

ডেস্ক রেোপর্ট: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

রোববার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার সকালের দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার।

‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ’ শিরোনামের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক গত ২৯ মার্চ তারিখের ১৮ দফা নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

ওই স্মারকের ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত মেয়াদে প্রতিপালনের জন্য প্রজ্ঞাপনে ১১টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

১. সকল প্রকার গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া, বিদেশগামী/বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

২. আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।

৩. সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে। শিল্প-কারখানা ও নির্মাণ কার্যাদি চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে শিল্প-কারখানা এলাকায় কাছাকাছি সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

৫. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না।

৬. শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে দোকান, পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে কেনাবেচা করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের মধ্যে আবশ্যিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা স্বশরীরে যেতে পারবে না।

৭. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

৮. ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

৯. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সুবিধাজনক স্থানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

১০. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।

১১. এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




আজ লকডাউনের ঘোষণা আসতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ: দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। নতুন করে এই অবস্থা সামাল দিতে বিভিন্ন টাইপের লকডাউনের ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সাধারণ চলাফেরা ও লোক সমাগমের ক্ষেত্রে সরকার নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

গতকাল রোববার রাতে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেখানে আজ সোমবার দেশের কিছু এলাকার জন্য এ ধরনের ঘোষণা ‘আসতে পারে’ বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) হয়ত বিভিন্ন টাইপের লকডাউনের ঘোষণা আসবে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি- এসব এলাকায় যাওয়া-আসা বন্ধ করা, বিয়ে-শাদী অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পিকনিক এগুলোও বন্ধ করা, যেখানে জনসমাগম হয় সেসব অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ আসতে পারে।’ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কিছু প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব গেছে। এতে অনেকগুলো প্রস্তাব ছিল। সেগুলো দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা জারি করবেন। তার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের লকডাউন থাকবে।’




আজ পবিত্র শবে বরাত; করণীয় ও বর্জনীয়

শবেবরাত শব্দ দুটি হাদিসে নেই। হাদিসের ভাষায় এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ তথা ১৫ শাবানের রাত বলা হয়। ‘শবেবরাত’ ফারসি শব্দ। ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত, ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই শব্দ মিলে অর্থ হয় মুক্তির রজনী।

যে রাতে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ : মধ্য শাবানের রাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস শরিফে নির্ভরযোগ্য সনদ বা বর্ণনাসূত্রে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত সাহাবি মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তাঁর সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৬৬৫)

হাদিসবিশারদদের ভাষ্যমতে, হাদিসটির মান সহিহ তথা বিশুদ্ধ। এ জন্যই ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ.) তাঁর প্রসিদ্ধ হাদিসে রচিত কিতাব ‘কিতাবুস সহিহ’-এ হাদিসটি উল্লেখ করেছেন।

ভিত্তিহীন কাজ পরিহার : বিভিন্ন হাদিস থেকে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়, এই রাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) বিশেষ পদ্ধতিতে কোনো ইবাদত করেননি এবং সাহাবায়ে কেরামকেও তা করার নির্দেশ দেননি। সুতরাং আমাদের সমাজে প্রচলিত শবেবরাতের বিশেষ পদ্ধতির যে নামাজের কথা বলা হয় তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট। এগুলো বিশ্বাস করা এবং এগুলোর ওপর আমল করা কোনোভাবেই জায়েজ নেই; বরং ফজিলতপূর্ণ এই রাতের আমলের ব্যাপারে হাদিসের যেসব নির্দেশনা-ইঙ্গিত পাওয়া যায় তা সবই ব্যক্তিগত নফল ইবাদত। তাই আমাদের উচিত মনগড়া ইবাদত-আমল পরিহার করে যথাসম্ভব রাত্রি জাগরণের মাধ্যমে বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, তাওবা-ইস্তিগফার ও জিকির-আজকারে মশগুল থাকা।

দীর্ঘ নফল নামাজ আদায় : বেশি বেশি নফল নামাজ ও দীর্ঘ ইবাদত প্রসঙ্গে আয়েশা (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) রাতে নামাজে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সিজদা করেন যে আমার ধারণা হলো তিনি হয়তো মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সিজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা, তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে আল্লাহর রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি জবাবে বললাম, না, হে আল্লাহর রাসুল, আপনার দীর্ঘ সিজদা থেকে আমার এই আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন! নবীজি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভালো জানেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করলেন, ‘এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত (শাবানের ১৪ তারিখের দিবাগত রাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে তাঁর বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থায়।’ (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৩৫৫৪)

এই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে নফল নামাজে দীর্ঘ কিরাত পড়া এবং লম্বা সিজদা করা এ রাতের বিশেষ একটি আমল।

আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা : এই রাতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে বেশি বেশি তাওবা-ইস্তিগফার করা। কারণ বরকতময় এই রাতে আল্লাহ তাআলা প্রথম আকাশে নেমে বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন। তাদের গুনাহ মাফ করেন। এই মর্মে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন অর্ধ শাবানের রাত আগমন করে তখন আল্লাহ তাআলা প্রথম আকাশে অবস্থান করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষপোষণকারী ছাড়া অন্যদের ক্ষমা করে দেন।’ (মুসনাদে বাজজার, হাদিস : ৮০)

তাই সংকটময় পরিস্থিতিতে এই রাতে আমাদের আল্লাহর দিকে মনোযোগী হওয়া, আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং করোনাভাইরাস থেকে হেফাজতের দোয়া করা উচিত।

শবে বরাতের পরদিন রোজা রাখা : এ প্রসঙ্গে আলী (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘১৫ শাবানের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলা রোজা রাখো।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৮৮)

এই বর্ণনাটির সনদ দুর্বল হলেও তা গ্রহণযোগ্য। হাদিস বিশারদদের মতে, ফজিলতপূর্ণ বিষয়ে জয়িফ হাদিস আমলযোগ্য। তা ছাড়া শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখার কথা সহিহ হাদিসে এসেছে এবং আইয়ামে বীজ অর্থাৎ প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার বিষয়টিও সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

তাই আসুন, বিশুদ্ধ আমলের মাধ্যমে এ রাতের ফজিলত, বরকত ও মাগফিরাত অর্জনে সচেষ্ট হই। সব ধরনের বিদআত বর্জন করি।

আল্লাহ তাআলা আমাদের এ রাতে সব ধরনের কল্যাণ দান করুন। আমিন।




স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শহীদ স্মরণ

১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দমন অভিযানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালিরা।

বরাবরের মতোই রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটিকে পালন করা হচ্ছে জাতীয় দিবস হিসাবে। তবে বাংলাদেশের জন্মের ৫০ বছর পূর্তিতে এবারের স্বাধীনতা দিবস এসেছে অনন্য এক উদযাপনের মুহূর্ত হয়ে।

সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গেই বাংলাদেশ উদযাপন করছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, যার হাত ধরে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে শুক্রবার ভোর ৬টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়, বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

 

পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা জানানোর পর রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।

এই জোড়া উদযাপনে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে। শুক্রবার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিনে তা শেষ হবে।

প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুরোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশের এই আয়োজনে। শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।




মাওলানা তারেক জামিলের বিশেষ ১০ উক্তি

 

ইসলামের প্রচার-প্রসার ও দেশের অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও দায়ী আলেম মাওলানা তারেক জামিলকে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও  ২০১৩ সালে জর্ডানের রয়্যাল আল-বাইত ইনস্টিটিউট থেকে ফর ইসলামিক থট কতৃক বিশ্বের ৫০০ জন প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তির মধ্যে একজন নির্বাচিত হন মাওলানা তারেক জামিল।

নিজের বয়ানের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার-প্রসারে জনপ্রিয় মার্কিন অনলাইন ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে  ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবারের মাইলস্টোন পার করে ২০১৯ সালে ৩০ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ‘গোল্ডেন প্লে বাটন’ সম্মাননাও পেয়েছেন মাওলানা তারেক জামিল

উপমহাদেশের জনপ্রিয় ও প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা তারেক জামিল তার বয়ানের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ভালোবাসা ছড়িয়ে থাকেন। তার বয়ানে কল্যাণ আত্মশুদ্ধি ও  ইসলামের পথে অবিচল থাকার অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকেন বর্তমান সময়ের  কিশোর, তরুণ,  যুৃব সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ।

প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় এই ইসলামি ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন বয়ান থেকে বিশেষ ১০টি উক্তি তুলে ধরা হল আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য:

১. সফলতা কোথায় খুঁজছো? সফলতা তোমাকে দিনে পাঁচবার ডাকে, ‘ এসো সফলতার দিকে।’ অবশ্যই নামাজই সঙ্গী হবে, দুনিয়া থেকে কবর পর্যন্ত, কবর থেকে হাশর পর্যন্ত এবং হাশর থেকে জান্নাত পর্যন্ত। তুমি তোমার জীবনে নামাজ নিয়ে আসো, নামাজ তোমার জীবনে শান্তি নিয়ে আসবে।

২. কেউ তোমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বললে তার সাথে তর্কে না জড়িয়ে উল্টো তার জন্য দোয়া কর। নিশ্চয় তুমি যা করবে, তার অনুরূপ পাবে।

৩. ঘৃণা গুনাহকে করো, যে গুনাহ করেছে তাকে নয়। হতে পারে তোমার ভালোবাসার কারণে সে গুনাহ করাই ছেড়ে দিবে।

৪. চারটি বিষয়ে লজ্জা পাবেন না।-

১. পুরাতন কাপড়।

২. বয়স্ক মা-বাবা।

৩. দরিদ্র বন্ধু বান্ধব।

৪. সাধারণ জীবন যাপন।

৫. জীবনে ভালো মানুষের খোঁজে না থেকে তুমি নিজেই ভালো হয়ে যাও, হয়তো কারো খোঁজ পূরণ হয়ে যাবে।

৬. শুধু টাকার নাম রিজিক নয়, নেক সন্তান, উত্তম আখলাক, নেককার বন্ধুও রিজিকের অন্তর্ভুক্ত।

৭. তোমার মালিক আল্লাহ তায়ালা। তার কাছেই চাও, তার কাছেই হাত তোলো, তার কাছেই পাবে, তিনিই একমাত্র তোমার আশা পূরণ করতে পারেন।

৮. নামাজকে ভালোবাসার সহিত আদায় করলে দেখবে, আল্লাহ পাক নিজেই তোমাকে পরবর্তী নামাজের জন্য দাঁড় করিয়ে দিবেন।

৯. এমন নামাজী হও যেন এক মুহুর্তও নামাজ বিহীন থাকতে না পারো।

১০. কত আফসোস! জানাজার নামাজ পড়ার জন্য মানুষ অন্য দেশ থেকে এসে পড়ে কিন্তু ফজরের নামাজের জন্য মহল্লার মসজিদেও যায় না।




অতিথি

ফারুক আহমেদ

 

মেঘালয়ের কোলে জন্মেই শুনেছি

বুনো পাখির ডাক

সুমেশ্বরীর চঞ্চল ধারায়

বুঝে উঠার আগেই কেটে গেছে

শৈশব!

ভাগ্যচক্রে মগ্রার আলো বাতাস

গায়ে মেখেছি,

গুর” বলেছিল মানুষের ভিতর

আর এক মানুষ

তার দর্শন মাত্রই দেখি পরে ইষ্টিশন।




ঈদের পর স্কুল-কলেজ খোলার ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর

তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি এরকম থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মত অন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও মে মাসে ঈদের পর খুলতে পারে। জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে শুক্রবারের মধ্যে সে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ‘গণগত্যা দিবসের’ আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রীর এই উত্তর আসে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক- সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তার দিকেই সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

যেভাবে আমাদের দেশে সংক্রমণ কমে গিয়েছিল, তাতে আমরা খুব আশাবাদী হয়েছিলাম যে আমরা আমাদের মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দিতে পারব এবং পর্যায়ক্রমে আমরা খুলব। কিন্তু হঠাৎ করেই সারা বিশ্বে, শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে নতুন যে ঢেউ এসেছে, তাতে আমাদের এখানেও খুব দ্রুততার সঙ্গে গত কয়দিনে সংক্রমণের হার বেড়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে।”

কবে নাগাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা রয়েছে- এ প্রশ্নের উত্তরে দীপু মনি বলেন, ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে এবং বৃহস্পতিবারই জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। “আশা করছি আগামীকালের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত জানাতে পারব। এই মুহূর্তে যেটুকু বলতে পারি যে… যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় আমরা খুলছি ঈদের পরে, আমাদের এই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক হয়ত বা সেই সময়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে। কারণ আমরা অবশ্যই চাই, আমাদের কেউ যেন সংক্রমিত না হয়।”

মহামারীর শুরুতে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডিসেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি না হওয়ায় এইচএসসির পাশাপাশি পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী এবং কোনো ক্লাসের বার্ষিক পরীক্ষাও নেওয়া যায়নি।

এ বছরের শুরুর দিকে সংক্রমণের হার কমে এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামী ৩০ মার্চ স্কুল ও কলেজ খোলার তারিখ ঠিক করেছে সরকার।

এছাড়া রোজার ঈদের পর ২৪ মে থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার সিদ্ধান্ত জানানো হয় তার আগেই।

কিন্তু মার্চের শুরু থেকে দেশে সংক্রমণের হার আবার বাড়ছে এবং দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে গেছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে সরকারকেও নতুন করে স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, “সবাই যেন মাস্ক পরিধান করি এবং সবাই যেন নিরাপদ দূরত্ব রাখি। এর কোনোটাই কোনো জায়গায় হচ্ছে না। কিন্তু আমরা সবাই যেন এটি করি। কারণ এই সংক্রমণ কমানোর এটিই একমাত্র উপায়।”




ধোবাউড়ার মনসা পাড়া মিশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ময়মনসিংহ এর আয়োজনে ধোবাউড়ার মনসা পাড়া এ্যাডভেন্টিস্ট সেমিনারী এ- স্কুল, দুর্গাপুরের ডন বস্কো স্কুল ও- কলেজ, রাণীখং উচ্চবিদ্যালয় এর সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং শিক্ষকবৃন্দের সাথে “মানসম্মত শিক্ষা অর্জন” শীর্ষক সেমিনার ২৩ মার্চ দুপুরে নানা আয়োজনে মনসা পাড়া এ্যাডভেন্টিস্ট সেমিনারী এ- স্কুল সেমিনার কক্ষে উদযাপিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ময়মনসিংহ এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল। আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন প্রফেসর ফিরীট কুমার দত্ত-সচিব, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড, মোহাম্মদ আবদুল হক-ক্রীড়া কর্মকর্তা ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। ওই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক শেখ মোঃ হাবিবুর রহমান-কলেজ পরিদর্শক, ড. মোঃ দিদারুল ইসলাম- বিদ্যালয় পরিদর্শক, প্রফেসর সারোয়ার জাহান সিদ্দিকী– উপ-পরিচালক, প্রফেসর মিজানুর রহমান-সুসং সরকারী ডিগ্রী কলেজ, দুর্গাপুর, পাঃ দিলীপ হাগিদক প্রেসিডেন্ট নর্থ বাংলাদেশ, ফাঃ পাওয়েল, ডনবস্কো, বিরিশিরি, অধ্যক্ষ ফাঃ জর্জ কমল রোজারিও-নটরডেম কলেজ, অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার- দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ, অধ্যক্ষ রুম্মন রাফায়েল রাংসা-সেন্ট জেভিয়ার্স বিদ্যালয় ও ডন বস্কো কলেজ, সিস্টার লিওবা- প্রধান শিক্ষক রাণীখং উচ্চ বিদ্যালয়, অধ্যক্ষ সুজন সাংমা, মনসাপাড়া এ্যাডভেন্টিস্ট সেমিনার এ- স্কুল, মনসাপাড়া এ্যাডভেন্টিস্ট সেমিনার এ- স্কুল ও সেন্ট জেভিয়ার্স বিদ্যালয় ও ডন বস্কো কলেজের শিক্ষকমন্ডলী, এস.এম রফিকুল ইসলাম রফিক সভাপতি দুর্গাপুর প্রেসক্লাব, মোঃ জামাল তালুকদার সাধারণ সম্পাদক দুর্গাপুর প্রেসক্লাব এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।