স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শহীদ স্মরণ

১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দমন অভিযানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালিরা।

বরাবরের মতোই রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটিকে পালন করা হচ্ছে জাতীয় দিবস হিসাবে। তবে বাংলাদেশের জন্মের ৫০ বছর পূর্তিতে এবারের স্বাধীনতা দিবস এসেছে অনন্য এক উদযাপনের মুহূর্ত হয়ে।

সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গেই বাংলাদেশ উদযাপন করছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, যার হাত ধরে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে শুক্রবার ভোর ৬টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়, বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

 

পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা জানানোর পর রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।

এই জোড়া উদযাপনে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে। শুক্রবার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিনে তা শেষ হবে।

প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুরোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশের এই আয়োজনে। শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।




মাওলানা তারেক জামিলের বিশেষ ১০ উক্তি

 

ইসলামের প্রচার-প্রসার ও দেশের অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও দায়ী আলেম মাওলানা তারেক জামিলকে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও  ২০১৩ সালে জর্ডানের রয়্যাল আল-বাইত ইনস্টিটিউট থেকে ফর ইসলামিক থট কতৃক বিশ্বের ৫০০ জন প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তির মধ্যে একজন নির্বাচিত হন মাওলানা তারেক জামিল।

নিজের বয়ানের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার-প্রসারে জনপ্রিয় মার্কিন অনলাইন ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে  ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবারের মাইলস্টোন পার করে ২০১৯ সালে ৩০ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ‘গোল্ডেন প্লে বাটন’ সম্মাননাও পেয়েছেন মাওলানা তারেক জামিল

উপমহাদেশের জনপ্রিয় ও প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা তারেক জামিল তার বয়ানের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ভালোবাসা ছড়িয়ে থাকেন। তার বয়ানে কল্যাণ আত্মশুদ্ধি ও  ইসলামের পথে অবিচল থাকার অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকেন বর্তমান সময়ের  কিশোর, তরুণ,  যুৃব সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ।

প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় এই ইসলামি ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন বয়ান থেকে বিশেষ ১০টি উক্তি তুলে ধরা হল আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য:

১. সফলতা কোথায় খুঁজছো? সফলতা তোমাকে দিনে পাঁচবার ডাকে, ‘ এসো সফলতার দিকে।’ অবশ্যই নামাজই সঙ্গী হবে, দুনিয়া থেকে কবর পর্যন্ত, কবর থেকে হাশর পর্যন্ত এবং হাশর থেকে জান্নাত পর্যন্ত। তুমি তোমার জীবনে নামাজ নিয়ে আসো, নামাজ তোমার জীবনে শান্তি নিয়ে আসবে।

২. কেউ তোমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বললে তার সাথে তর্কে না জড়িয়ে উল্টো তার জন্য দোয়া কর। নিশ্চয় তুমি যা করবে, তার অনুরূপ পাবে।

৩. ঘৃণা গুনাহকে করো, যে গুনাহ করেছে তাকে নয়। হতে পারে তোমার ভালোবাসার কারণে সে গুনাহ করাই ছেড়ে দিবে।

৪. চারটি বিষয়ে লজ্জা পাবেন না।-

১. পুরাতন কাপড়।

২. বয়স্ক মা-বাবা।

৩. দরিদ্র বন্ধু বান্ধব।

৪. সাধারণ জীবন যাপন।

৫. জীবনে ভালো মানুষের খোঁজে না থেকে তুমি নিজেই ভালো হয়ে যাও, হয়তো কারো খোঁজ পূরণ হয়ে যাবে।

৬. শুধু টাকার নাম রিজিক নয়, নেক সন্তান, উত্তম আখলাক, নেককার বন্ধুও রিজিকের অন্তর্ভুক্ত।

৭. তোমার মালিক আল্লাহ তায়ালা। তার কাছেই চাও, তার কাছেই হাত তোলো, তার কাছেই পাবে, তিনিই একমাত্র তোমার আশা পূরণ করতে পারেন।

৮. নামাজকে ভালোবাসার সহিত আদায় করলে দেখবে, আল্লাহ পাক নিজেই তোমাকে পরবর্তী নামাজের জন্য দাঁড় করিয়ে দিবেন।

৯. এমন নামাজী হও যেন এক মুহুর্তও নামাজ বিহীন থাকতে না পারো।

১০. কত আফসোস! জানাজার নামাজ পড়ার জন্য মানুষ অন্য দেশ থেকে এসে পড়ে কিন্তু ফজরের নামাজের জন্য মহল্লার মসজিদেও যায় না।




অতিথি

ফারুক আহমেদ

 

মেঘালয়ের কোলে জন্মেই শুনেছি

বুনো পাখির ডাক

সুমেশ্বরীর চঞ্চল ধারায়

বুঝে উঠার আগেই কেটে গেছে

শৈশব!

ভাগ্যচক্রে মগ্রার আলো বাতাস

গায়ে মেখেছি,

গুর” বলেছিল মানুষের ভিতর

আর এক মানুষ

তার দর্শন মাত্রই দেখি পরে ইষ্টিশন।




ঈদের পর স্কুল-কলেজ খোলার ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর

তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি এরকম থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মত অন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও মে মাসে ঈদের পর খুলতে পারে। জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে শুক্রবারের মধ্যে সে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ‘গণগত্যা দিবসের’ আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রীর এই উত্তর আসে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক- সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তার দিকেই সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

যেভাবে আমাদের দেশে সংক্রমণ কমে গিয়েছিল, তাতে আমরা খুব আশাবাদী হয়েছিলাম যে আমরা আমাদের মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দিতে পারব এবং পর্যায়ক্রমে আমরা খুলব। কিন্তু হঠাৎ করেই সারা বিশ্বে, শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে নতুন যে ঢেউ এসেছে, তাতে আমাদের এখানেও খুব দ্রুততার সঙ্গে গত কয়দিনে সংক্রমণের হার বেড়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে।”

কবে নাগাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা রয়েছে- এ প্রশ্নের উত্তরে দীপু মনি বলেন, ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে এবং বৃহস্পতিবারই জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। “আশা করছি আগামীকালের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত জানাতে পারব। এই মুহূর্তে যেটুকু বলতে পারি যে… যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় আমরা খুলছি ঈদের পরে, আমাদের এই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক হয়ত বা সেই সময়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে। কারণ আমরা অবশ্যই চাই, আমাদের কেউ যেন সংক্রমিত না হয়।”

মহামারীর শুরুতে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডিসেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি না হওয়ায় এইচএসসির পাশাপাশি পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী এবং কোনো ক্লাসের বার্ষিক পরীক্ষাও নেওয়া যায়নি।

এ বছরের শুরুর দিকে সংক্রমণের হার কমে এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামী ৩০ মার্চ স্কুল ও কলেজ খোলার তারিখ ঠিক করেছে সরকার।

এছাড়া রোজার ঈদের পর ২৪ মে থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার সিদ্ধান্ত জানানো হয় তার আগেই।

কিন্তু মার্চের শুরু থেকে দেশে সংক্রমণের হার আবার বাড়ছে এবং দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে গেছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে সরকারকেও নতুন করে স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, “সবাই যেন মাস্ক পরিধান করি এবং সবাই যেন নিরাপদ দূরত্ব রাখি। এর কোনোটাই কোনো জায়গায় হচ্ছে না। কিন্তু আমরা সবাই যেন এটি করি। কারণ এই সংক্রমণ কমানোর এটিই একমাত্র উপায়।”




ধোবাউড়ার মনসা পাড়া মিশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ময়মনসিংহ এর আয়োজনে ধোবাউড়ার মনসা পাড়া এ্যাডভেন্টিস্ট সেমিনারী এ- স্কুল, দুর্গাপুরের ডন বস্কো স্কুল ও- কলেজ, রাণীখং উচ্চবিদ্যালয় এর সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং শিক্ষকবৃন্দের সাথে “মানসম্মত শিক্ষা অর্জন” শীর্ষক সেমিনার ২৩ মার্চ দুপুরে নানা আয়োজনে মনসা পাড়া এ্যাডভেন্টিস্ট সেমিনারী এ- স্কুল সেমিনার কক্ষে উদযাপিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ময়মনসিংহ এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল। আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন প্রফেসর ফিরীট কুমার দত্ত-সচিব, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড, মোহাম্মদ আবদুল হক-ক্রীড়া কর্মকর্তা ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। ওই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক শেখ মোঃ হাবিবুর রহমান-কলেজ পরিদর্শক, ড. মোঃ দিদারুল ইসলাম- বিদ্যালয় পরিদর্শক, প্রফেসর সারোয়ার জাহান সিদ্দিকী– উপ-পরিচালক, প্রফেসর মিজানুর রহমান-সুসং সরকারী ডিগ্রী কলেজ, দুর্গাপুর, পাঃ দিলীপ হাগিদক প্রেসিডেন্ট নর্থ বাংলাদেশ, ফাঃ পাওয়েল, ডনবস্কো, বিরিশিরি, অধ্যক্ষ ফাঃ জর্জ কমল রোজারিও-নটরডেম কলেজ, অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার- দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ, অধ্যক্ষ রুম্মন রাফায়েল রাংসা-সেন্ট জেভিয়ার্স বিদ্যালয় ও ডন বস্কো কলেজ, সিস্টার লিওবা- প্রধান শিক্ষক রাণীখং উচ্চ বিদ্যালয়, অধ্যক্ষ সুজন সাংমা, মনসাপাড়া এ্যাডভেন্টিস্ট সেমিনার এ- স্কুল, মনসাপাড়া এ্যাডভেন্টিস্ট সেমিনার এ- স্কুল ও সেন্ট জেভিয়ার্স বিদ্যালয় ও ডন বস্কো কলেজের শিক্ষকমন্ডলী, এস.এম রফিকুল ইসলাম রফিক সভাপতি দুর্গাপুর প্রেসক্লাব, মোঃ জামাল তালুকদার সাধারণ সম্পাদক দুর্গাপুর প্রেসক্লাব এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।




ফজিলতের মাস শাবান: যেভাবে নেব রমজানের প্রস্তুতি

হিজরি বর্ষের অষ্টম মাস হলো ‘শাবান’। এটি বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলতপূর্ণ মাস। হিজরতের প্রায় দেড় বছর পর এ মাসেই কিবলা পরিবর্তন হয়; অর্থাৎ পূর্ব কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসের পরিবর্তে কাবা শরিফ কিবলা হিসেবে নির্ধারিত হয়। (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৪৪)

কোরআনের ঘোষণায় রজব হল সম্মানিত চার মাসের একটি। তাই সচেতন মুমিনেরা এর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। জাহেলিয়াতের যুগেও পুরো বছরের মধ্যে তারা রজব মাসকে অধিক গুরুত্ব দিত। অন্যদিকে মুসলিম সমাজ রমযান মাসকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। কিন্তু দুইয়ের মধ্যখানে শাবান মাস সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই গাফেল থাকে। অনেকের ভাবনা, রমযান হল ইবাদত ও রোজার মাস। কাজেই শাবান মাসে খাওয়া-দাওয়া করে শরীরে শক্তি যোগানো দরকার।

ইসলাম এ চিন্তাধারাকে অগ্ৰাহ্য করে শাবান মাসকে নফল রোজা পালনের সেরা সময় বলে ধার্য করলো। নবীজি এ মাসেই সবচেয়ে বেশি নফল রোজা রাখতেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি নবীজিকে রমযান ছাড়া পুরো মাস রোজা রাখতে আর কখনো দেখিনি। আর শাবান ছাড়া অধিক (নফল) রোজা রাখতে আর কোন মাসে দেখিনি। -সহিহ বুখারি ও মুসলিম

তাই রমযানের ফরজ রোজা পালনে যাতে কোন ত্রূটি না হয় এজন্য রমযানের প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির মাস হল শাবান। অতএব রমযান হলো ফরজ রোজার মাস এবং শাবান হলো তার প্র্যাকটিস করার মাস।

হযরত উসামা বিন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু নবীজিকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, শাবান মাসে আপনাকে যত রোজা রাখতে দেখি, অন্য মাসে এতো পরিমাণ রোজা রাখতে দেখিনি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এটি রজব এবং রমযানের মধ্যবর্তী একটি (গুরুত্বপূর্ণ) মাস, অধিকাংশ মানুষ তা সম্পর্কে উদাসীন থাকে। এটি এমন একটি মাস, যে মাসে আল্লাহর সামনে (বান্দাদের) আমলগুলো পেশ করা হয়। তাই আমি পছন্দ করি রোযাদার অবস্থায় আমার আমল আল্লাহর কাছে উঠানো হোক ।-সুনানে নাসাই,২:২০৪

লক্ষণীয় হল, মুমিন বান্দার আমলের বার্ষিক রিপোর্টিং হয়ে থাকে শাবান মাসে। সুতরাং ভালো রিপোর্টের জন্য নফল রোজায় ব্যস্ত থাকতে নবীজিও পছন্দ করতেন।

উল্লেখ্য যে, ৩ পদ্ধতিতে মুমিন বান্দাদের আমলের রিপোর্টিং হয়ে থাকে অর্থাৎ ফেরেশতারা আল্লাহর সামনে বান্দাদের আমল দৈনিক, সাপ্তাহিক ও বার্ষিক তিনভাবে পেশ করে থাকেন।

হযরত আবু মুসা আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর কাছে দিনের আগেই রাতের আমল এবং রাতের আগেই দিনের আমল পেশ করা হয়। (সহিহ মুসলিম-১/৩১৯)

হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমলগুলো দিনের শেষে পেশ করা হয়। সুতরাং এ সময় কেউ ভাল কাজে লিপ্ত থাকলে তার রিজিক ও আমলে বরকত দান করা হয়।-ফাতহুল বারি, ২:৩৩০)

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেন, প্রতি সোমবার এবং বৃহস্পতিবার আমলগুলো পেশ করা হয়। তাই আমি পছন্দ করি যে, রোজাদার অবস্থায় আমার আমল পেশ করা হোক।-জামিউত তিরমিযি, সুনানে ইবনে মাজাহ

ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আল্লাহর সামনে আমলগুলো বিস্তারিত ও সংক্ষেপে দুরকমই পেশ করা হয়।রাতের আগেই দিনের আমল এবং দিনের আগেই রাতের আমল ও সোমবারেও বৃহস্পতিবারে দৈনিক ও সাপ্তাহিক বিস্তারিত পেশ করা হয়।-মাজমুউল ফাতাওয়া ৪:২৫২

আর পুরো বছরের আমল সমষ্টিগতভাবে শাবান মাসে পেশ করা হয়।

লেখক- প্রধান শিক্ষিকা, মানারাতুল উলুম মহিলা মাদরাসা, সিলেট।




দুর্গাপুরে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে ইউএনও’র উদ্যেগ

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে নব উদ্যেগ হাতে নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। রোববার মুজিব জন্মবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ১০দিন ব্যাপি অনুষ্ঠানে এ ঘোষনা দেন।

শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানাতে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘চেতনায় বঙ্গবন্ধু ও ৭১’ এই প্রতিপাদ্যে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ ১০দিন ব্যপি প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নানা বিষয়ের উপর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

এতে সকল বিভাগের বিজয়ী প্রতিযোগিদের মাঝে দেশের সেরা লেখকের ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ বিষয়ে বই উপহার দেয়ার উদ্দ্যেগ গ্রহন করেন ইউএনও রাজীব। এতে করে বাংলাদেশ কীভাবে স্বাধীন হলো, শেখ মুজিবুর রহমান থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা, বঙ্গবন্ধু কে হত্যা, গণ-অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে সব বিষয় গুলো নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের জানাতে এ উদ্দ্যেগ গ্রহন করেছেন।

এ প্রতিযোগিতায় পুরস্কার হিসেবে স্ক্রেষ্ট, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই দেয়া হবে। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি করোনা পরবর্তি সময়ে এ কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্দ্যেগ গ্রহন করবে। ইউএনও রাজীব-উল-আহসান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সঠিক ইতিহাস জানাতেই এ উদ্যোগ গ্রহন করেছি। শুধু তাই নয়, করোনা পরবর্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে, প্রায় প্রতিটি স্কুলে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে এ বিষয়ে চলচিত্র প্রদর্শন করা হবে। আমি চাই, নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে এগিয়ে আসুক।




মক্তব থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু

মক্তব থেকে বাসায় ফেরার পথে তাকিয়া নামে এক শিশু মাহিন্দ্রের নিচে পড়ে নিহত হয়। রোববার সকালে ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌরসভার ইন্দিরাপাড় বাঁশবাড়ি জামে মসজিদ সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, প্রথমে তাকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের সময় সে মারা যায়।

তাকিয়া পৌরসভার কাজিয়াকান্দা বাঁশবাড়ি গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তোলা মিয়ার শিশু কন্যা। ৪ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে সবার ছোট।

তাকিয়ার উস্তাদ বাঁশবাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও মক্তবের শিক্ষক মাওলানা শফিকুল ইসলাম জানান, তাকিয়া মক্তব শেষে বাড়ি যাওয়ার সময় মাহিন্দ্রের নিচে পড়ে যায়। পরে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের সময় সে মারা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে। আইনি প্রক্রিয়ায় লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সিএনজিটি জব্দ করা হয়েছে তবে চালক পালিয়ে গেছে। চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।




দুর্গাপুরে পুলিশের মাক্স বিতরণ

বাংলাদেশ পুলিশ দুর্গাপুর থানার উদ্যোগে বর্তমান করোনা কালীন সময়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতাবৃদ্ধির লক্ষে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ শুরু করেছে। রোববার পৌরশহরের ব্যস্ত এলাকা প্রেসক্লাব মোড় থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

এ সময় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(সার্কেল) মাহমুদা শারমীন নেলী, ওসি শাহ নুর-এ আলম, প্রেসক্লাব সভাপতি এস.এম রফিকুল ইসলাম-রফিক, সাবেক সভাপতি মো. মোহন মিয়া, নির্মলেন্দুর সরকার বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল তালুকদার, এইচ. এম সাইদুল ইসলাম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগন সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।

বিতরণ পুর্ব আলোচনায় পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমীন নেলী বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রানঘাতি করোনা পুনরায় আমাদের মাঝে হানা দেয়া শুরু করেছে, গ্রামের সাধারণ মানুষ অনেকেই এ খবর রাখেন না। সে বিষয়টি মাথায় রেখে গ্রামে কৃষক, শ্রমিক, অসচেতন হতদরিদ্র মানুষদের করোনা কালীন সময়ে আমাদের কি করনীয় সে বিষয়ে ধারণা দেয়া সহ বিনা মুল্যে মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম চলবে। এ কাজে সহযোগিতা করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।




দুর্গাপুরে ফায়ার সার্ভিসের মহড়া অনুষ্ঠিত

জেলার দুর্গাপুরে ফায়ার সার্ভিস এর আয়োজনে অগ্নিনির্বাপনে করনীয় কি ? এ বিষয়ে এক বিশেষ মহড়া বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিস এর কর্মীরা এ জনসচেতনতামূলক মহড়া ফায়ার সার্ভিস দুর্গাপুর এর টিম লিডার মো. শফিকুল ইসলাম, ফায়ার ফাইটার মো. হারুন অর রশীদ, মো. মোজাম্মেল হক, মো. আরিফ হোসেন, প্রেম মোহাম্মদ, মো. মইনুল হক, মো. সুমন মিয়া আয়োজন করেন।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা, উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক তোবারক হোসেন খোকনসহ অসংখ্য জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।