শোক দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

আজ বুধবার সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনার কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, জাতীয় পতাকা বিধি অনুসরণে পতাকার রং হবে গাঢ় সবুজ এবং ১০:৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তাকার ক্ষেত্রের গাঢ় সবুজ রঙের মাঝখানে লাল বৃত্ত থাকবে। বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে পতাকার দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ। ভবনে উত্তোলনের জন্য পতাকার তিন ধরনের মাপ হচ্ছে দশ ফুট বাই ছয় ফুট, পাঁচ ফুট বাই তিন ফুট এবং আড়াই ফুট বাই দেড় ফুট।

আরও বলা হয়, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় প্রথমে পতাকা দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে। এরপর নামিয়ে অর্ধনমিত অবস্থায় বাঁধতে হবে। দিনশেষে পতাকা নামানোর সময় আবার দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উঠাতে হবে, তারপর ধীরে ধীরে নামাতে হবে।




মন্ত্রীর মর্যাদা পাচ্ছেন দুই সিটি মেয়র।

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের মেয়ররা পাবেন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে রোববার (০৭ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সচিবালয়কে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্বাহী সেলের মহাপরিচালক আল মামুন মুর্শেদের সই করা নির্দেশনায় ওই চার সিটির মেয়রদের নামের পাশে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা প্রদানপূর্বক গেজেট প্রকাশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ নির্দেশনার ফলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এখন থেকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা পাবেন।

এছাড়াও সিদ্ধান্ত হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটির মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পাবেন। এর আগে ঢাকার সাবেক দুই মেয়র মন্ত্রীর পদমর্যাদা ভোগ করেছেন।

২০১৫ সালের নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবং ঢাকা উত্তর সিটিতে (প্রয়াত) আনিসুল হক মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৬ সালের ২১ জুন তাদের মন্ত্রীর পদমর্যাদা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল

পরে আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর ২০১৯ সালের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ওই মেয়াদে ৯ মাস ডিএনসিসির মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন আতিকুল ইসলাম। তিনিও তখন মন্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছিলেন।




শেখ কামাল’র জন্মদিনে দুর্গাপুরে ভাইস চেয়ারম্যানের আয়োজনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাদ্দাম আকঞ্জি’র আয়োজনে বিরিশিরি নিজ বাসভবনে এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন বিরিশিরি বড় মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. বরকত উল্লাহ। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আকরাম আলী মন্ডল, দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আহম্মদ মড়ল, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি রাজন শেখ, মো. শাহীন মিয়া, মোঃ সাইফুল ইসলাম সহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।

 




পদ্মা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও বঙ্গবন্ধুর ম্যূরাল-১ উন্মোচনের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১২টায় সেতু উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধন শেষে তিনি ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দেন।

এর আগে, হেলিকপ্টারে করে সেখানে আয়োজিত সুধী সমাবেশস্থলে পৌঁছান তিনি। সমাবেশে তিনি বক্তব্য দেন। সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।

উদ্বোধনের আগে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি মাওয়ায় স্থাপিত টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের পর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন।

গত ২৪ মে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই দৃঢ় মনোবলের কারণে শেষ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী মূল সেতুর পাইলিং ও নদীশাসনের কাজ উদ্বোধন করেন। এরপর একে একে সব ধাপ পেরিয়ে পদ্মার বুকে গড়ে ওঠে স্বপ্নের সেতু।

সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। দ্বিতল এ সেতুর এক অংশ পদ্মা নদীর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত এবং অপর অংশ নদীর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যুক্ত।

একইসঙ্গে ট্রেন ও গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে এ সেতুতে। চার লেন বিশিষ্ট ৭২ ফুট প্রস্থের এ সেতুর নিচতলায় রয়েছে রেল লাইন। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।




দুর্গাপুরে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে দেশ-জাতির ও বন্যা কবলিত এলাকায় কল্যানে দোয়া, প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তেলনের মাধ্যমে উপজেলা আ‘লীগের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনে দলীয় কার্যলয়ে নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে আওয়ামীলীগ‘র দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে এক বর্নাঢ্য র‌্যালি পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ এর সঞ্চালনায় উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আলা উদ্দিন আল আজাদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় আ‘লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য রেমন্ড আরেং।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ‘লীগের সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার, সহ:সভাপতি বাবু স্বপন সান্যাল, মো. এমদাদুল হক খান, এড. মজিবুর রহমান, শ.ম জয়নাল আবেদীন, যুগ্নসাধারণ সম্পাদক বিভাস সরকার, সাবেক মেয়র ও পৌর আ‘লীগের সভাপতি মাও: আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কবি আব্দুল্লাহ হক, যুবলীগ সভাপতি আব্দুল হান্নান সহ ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা শেষে দেশের কল্যানে দোয়া ও কেক কাটা হয়।

প্রধান অতিথি রেমন্ড আরেং বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সা¤প্রতিক উন্নয়নের ধারা ও সফলতা সহ দলীয় ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। বর্তমানে বন্যা কবলিত এলাকা ও দেশের সাধারণ মানুষের জান মাল রক্ষায়, দিনে রাতে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।




জামালপুরে ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

জামালপুরে নিখোঁজের ৩ দিন পর শনিবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ ফয়সাল ফাহিমের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।নিখোঁজ ফাহিম সদর উপজেলার কানিল গ্রামের আমজাদ হোসেনের পুত্র এবং নান্দিনা  উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি। সে সম্প্রতি ত্রিশাল কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছে। ছাত্রলীগ নেতা ফাহিমের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় চলছে শোকের মাতম।

নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান, ফাহিমসহ পাঁচ বন্ধু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিঙি নৌকা নিয়ে ভ্রমনের সময় সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলায় নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় চার বন্ধু সাঁতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ হয় ফাহিম। ডুবুরিরাও খোজাখুজি অব্যাহত রাখেন।

আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে একটি ড্রেজার মেশিনের কাছে তার মৃতদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।

 




বাঙালির মুক্তিই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর পশ্চিম পাকিস্তানিদের শোষণ-বঞ্চনা থেকে বাংলার জনগণকে মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার জীবনের লক্ষ্যই ছিল বাংলার জনগণকে এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দেওয়া।

তিনি বলেন, সব সময়ই বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্ক্ষা ছিল বাঙালি জাতিগোষ্ঠীকে একটি মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।

মঙ্গলবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছয় দফা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন। ছয় দফার প্রণয়ক বঙ্গবন্ধু নিজেই। তিনি তখন আলফা ইন্সুরেন্সে চাকরি করতেন। হানিফ সাহেব তখন বিএ পাস করেছেন। তাকে নিয়ে আসেন জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধু যখন বলতেন তখন হানিফ সাহেব ছয় দফা ড্রাফট করতেন। ছয় দফা সম্পর্কে জানলে শুধু জানতেন হানিফ। কারণ তিনিই এই ছয় দফা বাংলা ও ইংরেজিতে টাইপ করে দিয়েছিলেন।’




কথিত গণকমিশনের শ্বেতপত্র ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বৃটেনে নেতৃস্থানীয় আলেম উলামা,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সরব উপস্থিতিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার ঈদ প্রীতি সমাবেশ গত ২২ মে রবিবার পূর্ব লন্ডনের লী মেডিসন রেস্টুরেন্ট এর কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদ প্রীতি সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন লন্ডনের প্রবীণ আলেম মাওলানা শায়খ সাঈদ আলী, বাংলাদেশী টিচার্স এসোসিয়েশন (বি,টি,এ) ইউকের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিছবাহ উদ্দিন কামাল,টানেস রোড মসজিদের খতিব ও মাদরাসাতুল হাসানাইন সিলেট এর প্রিন্সিপাল মাওলানা শাব্বীর আহমাদ,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ,ইমাম ক্বারী মাওলানা আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বার্মিংহাম শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, লন্ডন মহানগর শাখার সহ সভাপতি হাফিজ শহীর উদ্দিন,সহ সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা নোমান হামিদী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা লিয়াকত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ বুলু মিয়া,টাওয়ার হ্যামলেটস শাখার সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, মাওলানা আশরাফ খান,ইমাম মাওলানা শরীফ আহমদ, মুহাম্মদ শিশু মিয়া আলহাজ্ব সৈয়দ আরজুর ইসলাম, আলহাজ্ব মুস্তাফিজুর রহমান,মাওলানা আফসার উদ্দিন,প্রমুখ। সমাবেশ পবিত্র কোরআনে কারীম থেকে তিলাওয়াত করেন বিশিষ্ট ক্বারী মাওলানা আহমদ রবি ও হাফিজ মাওলানা আসাদ আহমদ। কবিতা পাঠ করেন কবি সৈয়দ রফিকুল হক।

ইসলাম বিদ্বেষী এই চক্রের সকল ষড়যন্ত্র কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। ইসলাম প্রিয় জনতার বাংলাদেশে ইসলাম বিদ্বেষীদের কোন স্থান হবে না।

বক্তারা আরো বলেছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক সহ অসংখ্য আলেম উলামাদের অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করে মাসের পর মাস কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে জুলুম ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। মনে রাখতে হবে জেল জুলুম ও নির্যাতন করে হকের আওয়াজ কে বন্ধ করা যাবে না। বক্তারা অবিলম্বে নিরপরাধ সকল আলেম উলামাদের মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

বক্তারা আরো বলেছেন,সিলেট অঞ্চলে বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা আজ বড়ই অসহায় হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বন্যায় বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সকলের ঈমানী ও‌ মানবিক দায়িত্ব। বক্তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ আগামী ১১ জুন শনিবার রাজধানী ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ৭তম কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের অধিবেশন সফল করতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি শায়খুল হাদীস প্রিন্সিপাল মাওলানা রেজাউল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মুফতি ছালেহ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ইউকে শাখার সভাপতি মাওলানা শুয়াইব আহমদ,মাজাহিরুল উলুম লন্ডন এর প্রিন্সিপাল বিশিষ্ট আলেম শায়খ মাওলানা ইমদাদুর রহমান আল মাদানী, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর ওয়াহিদ আহমেদ, মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওত লন্ডন এর জেনারেল সেক্রেটারি বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুফতি আব্দুল মুন্তাকিম, ইউ,কে বিএনপি এর সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ চৌধুরী,বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যুক্তরাজ্য শাখার সহ সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আতাউর রহমান, জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অন্যতম সহ সভাপতি আশিকুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাষ্টার আমির উদ্দিন আহমদ, লেখক ও সাংবাদিক আবু সুফিয়ান চৌধুরী, মাইলেন্ড মসজিদে ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা নাজির উদ্দিন, বিশিষ্ট সংগঠক ও আইনজীবী লিয়াকত সরকার, দ্যা সানরাইজ টুডের সম্পাদক এনাম চৌধুরী,কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব আলহাজ্ব নুর বক্স। অন্যানের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শাহীনূর মিয়া,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউ কে এর সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ,কমিউনিটি এক্টিভিস্ট আলহাজ্ব সৈয়দ জিল্লুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক ও বার্মিংহাম শাখার সভাপতি ব্যারিষ্টার মাওলানা বদরুল হক,সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শায়খ নাজিম উদ্দিন, সহ সাধারণ সম্পাদক ও লন্ডন মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, যুক্তরাজ্য শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মিছবাহুজ্জামান হেলালী, সহকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি সালাতুর রহমান মাহবুব প্রমূখ।




শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আজ ১৭ মে, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালের এ দিনে দেশে ফেরেন তিনি। তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি ওই দিন বিকেলে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে ঢাকায় নামে। বিমানবন্দরে লাখো মানুষ তাকে স্বাগত জানান।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যা করা হয়। এরপর স্বামী-সন্তানসহ ছয় বছর বিভিন্ন দেশে কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরতে সক্ষম হন শেখ হাসিনা। তার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ছোট বোন শেখ রেহানার কাছে রেখে দেশে ফেরেন তিনি।

দেশে ফিরে লাখো জনতার উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমার আর হারাবার কিছু নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেলসহ সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদের ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে চলে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি আনতে চাই।’

আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, ওই দিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। সেদিনের মেঘের গর্জন, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ প্রকৃতি যেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বদলা নেওয়ার লক্ষ্যে গর্জে উঠেছিল। আর অবিরাম মুষলধারে ভারী বর্ষণে যেন ধুয়ে-মুছে যাচ্ছিল বাংলার মাটিতে পিতৃহত্যার জমাট বাঁধা পাপ আর কলঙ্কের চিহ্ন। সেদিন জনতার কণ্ঠে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম, পিতৃ হত্যার বদলা নেব’; ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’।




নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না ইসলামী আন্দোলন: চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইভিএম ও আওয়ামী লীগের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

চরমোনাই পীর বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, কোনো দলীয় সরকারের অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বিগত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনে এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে।

আগামী সংসদ নির্বাচন ইভিএমে ভোটগ্রহণ নিয়ে আলোচনা আছে। এ নিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ইভিএম আন্তর্জাতিকভাবে প্রত্যাখ্যাত। আর ইভিএমের মাধ্যমে সারা দেশে ভোট অনুষ্ঠিত হবে—এমন কথা প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। নির্বাচন কোনো প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে, তা নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন তা ঠিক করবে—এটাই জনগণের প্রত্যাশা।

আজ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের এক যৌথ সভায় বলেছেন, তাঁদের দল ৩০০ আসনেই ইভিএম চায়। এ প্রসঙ্গে চরমোনাইয়ের পীর বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যেও প্রমাণিত হয়, তাদের অধীন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।