সাবেক এমপি জালাল তালুকদারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুর্গাপুরে শোকর‌্যালি

dnb news :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নেত্রকোনা-১ আসন থেকে তিন বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও এক শোকর‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে এ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে মরহুমের কন্যা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার এর আয়োজনে মরহুমের কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পন, কোরআন খতম, কাঙ্গালীভোজ, মিলাদ মাহফিল শেষে ঝুমা তালুকদারের সভাপতিত্বে মরহুমের জীবনীর উপর আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ খান জনি, উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি উসমান গণি তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, মেয়র আলহাজ¦ মাও: আব্দুস সালাম, কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যার আব্দুল খালেক, সাবেক মেয়র শ.ম জয়নাল আবেদীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান পারভীন আক্তার, পৌর আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, আ‘লীগ নেতা মো. আলী আসগর, একেএম ইয়াহিয়া প্রমুখ। আলোচনা শেষে জালাল তালুকদার হত্যার বিচারের দাবীতে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।

বক্তারা বলেন, উত্তর ময়মনসিংহের সিংহ পুরুষ জননন্দিত নেতা এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদারকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে, এ হত্যা নিয়ে দীর্ঘসময় অতিবাহিত হলেও প্রকৃত দোষিরা এখনো অধরায় থেকে যাচ্ছে। আমরা প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে দ্রæত বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। উল্লেখ্য, সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদার ২০১২সালের ২৫সেপ্টেম্বর নিজ বাসভবনে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদার।




নেত্রকোনা ১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী- রোটারিয়ান আতাউর রহমান খান আঁখির

dnb news:

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ১৫৭ নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্তত: ডজন পেড়িয়ে যাবে। অনেক আগে থেকেই যার যার অবস্থান থেকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

তম্মধ্যে এই আসনের কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী গ্রামের বাসিন্দা রোটারিয়ান মোঃ আতাউর রহমান খান আঁখির দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ দলীয় নেতা-কর্মীসহ দুই উপজেলার সাধারণ মানুষের সাথে মিশে আছেন তিনি। বন্যাসহ যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থেকে ঘর,শুকনো খাবার,নগদ অর্থ সহ বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন তিনি,তার যথেষ্ট প্রমানও রয়েছে। তাছাড়া প্রতি বছর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,এতিমখানায় ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপন করারও দৃষ্টান্ত রয়েছে। তিনি কেন্দ্রীয়ভাবে একজন সফল ব্যবসায়ী,স্থানীয়ভাবে কোন ব্যবসার সাথে জরিত নন। তিনি কলমাকান্দা উপজেলার জন্মগতভাবে আওয়ামী এবং সনামধন্য সম্ভান্ত পরিবারের সন্তান, আঁচার-আঁচরণের দিকথেকেও প্রসংসার দাবী রাখেন সে এবং দৈর্যশীল,পারিবারিকভাবে তারা ৫ভাই ৫বোন সে দ্বিতীয়, তাঁর স্ত্রী একজন আইনজীবি, সবাই উচ্চ শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত। তাঁর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সুলতান আহম্দে খান(প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান)এবং একজন প্রবীন আওয়ামীলীগার। তার রাজনীতির সংক্ষিপ্ত পরিচয়ে দেখাগেছে সে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, ঢাকা কলেজ। সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটি। তাছাড়া লিডারশীপ ফর সোসাল ডেভেলপমেন্ট এর চেয়ারম্যান এবং ম্যাকটেক্স গ্রুপ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৭ নেত্রকোনা-১(দুর্গাপুর-কলমাকান্দা)আসনে তিনিই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতার অধীকারী,দুই উপজেলার বেশীরভাগ মানুষের প্রত্যাশা এবং দাবী তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হউক।

দুই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে স্খানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মনোনয়ন প্রাপ্তি প্রত্যাশায় তার কর্মকান্ডের সংক্ষিপ্ত ফিরিস্থি তুলে ধরেণ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার যোগ্যতার মাপকাঠি বিবেচনা করে নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিবেন বলে আমি আশাবাদী। মনোনয়ন পেলে সকলের সহযোগিতায় আমি বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। পরে তিনি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেণ।

এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন উলামালীগ সাবেক সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লা আলমামুন (সাহান), পৌর আওয়ামী লীগ সদস্য ফয়জুর রহমান বাবুল,ছাত্রলীগ কর্মী হ্নদয় হাসান, অ্যাডভোকেট জাকির খান, মোঃ এমদাদ খান প্রমুখ।




‘হাফেজ রেজাউল হত্যাকারীদের শাস্তি ও পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে’

dnb news desk :

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, হাফেজ রেজাউল করীম একজন পথচারী ও নিরীহ নিরপরাধ মাদ্রাসাছাত্র। সে কোন দলীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত নয়। তারপরেও তার উপরে যারা হামলা করে হত্যা করেছে তারা মানবতার শত্রু। শান্তি সমাবেশে নিজেরা নিজেরা সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনারও নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। ঘৃণিত এই হত্যাকাণ্ডের চারদিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার তো দূরের কথা, সরকারের সরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কারো থেকে এখন পর্যন্ত দোষীদের গ্রেফতার এবং বিচারের কোন আশ্বাসবাণীও শোনা যায়নি। অবিলম্বে রেজাউল করীম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শহীদ রেজাউল করীমের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনসমূহের শান্তি সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় নিরীহ মাদ্রাসাছাত্র হাফেজ রেজাউল করিমের হত্যার বিচার ও যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ জাকির বিল্লাহর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোফাচ্ছির হোসাইন, ঢাকা মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আবুল হাসান কাসেমী, ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুর আলম, ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর সভাপতি হাফেজ আব্দুর রহমান, জামিয়া নূরিয়া শাখা সভাপতি মেরাজুল ইসলাম, সহসভাপতি আলী হোসাইন প্রমূখ।




বিএনপির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত: কাদের

dnb news :

নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকার প্রবেশপথ অবরোধের কর্মসূচি দেওয়ায় বিএনপির মার্কিন ভিসানীতির আওতায় পড়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, গোলাপবাগে হোঁচট খেয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই গেলো। অনুমতি নিয়েই তো গেলো। অনুমতি আর নেবো না। দখল করে ফেলছি ঢাকা, বাংলাদেশ। এত সোজা রাজনীতি? তাদের উদ্দেশ্য তারা একটি লাশ ফেলবে। পুলিশের ওপর যে হামলাটা, পুলিশ তো বাধা দেবেই।

তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড বন্ধ করে দিলে পুলিশ চোখ বন্ধ করে রাখবে? আমি পুলিশকে দোষ দেবো না। জনগণের জানমাল রক্ষা করার দায়িত্ব পুলিশের।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমরা কোনো উত্তেজনায় যাবো না। আমরা নির্বাচন চাই। উত্তেজনা হলে তো আমাদের চলবে না। নির্বাচনে জনগণ চাইলে আমরা আবারও থাকবো, না চাইলে থাকবো না।




দেশ আমাদের এখানে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: মুফতি ফয়জুল করিম

dnb news:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে সিনিয়র আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, ‘দেশ আমাদের, নির্বাচনও আমাদের। সুতরাং আমার দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কীভাবে হবে? এখানে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।’

তিনি বলেছেন, ‘ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সরকার জনগণের ভোট ও নাগরিক অধিকার হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাপ্রেমী। তাই যেকোনোভাবে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।’

সোমবার (২৪ জুলাই) বিকাল ৩টায় খুলনার খালিশপুর গোয়ালখালী সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ) ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ওলামা সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, ‘দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রয়োজন। দেশে এখন কোথাও কোনও জবাবদিহিতা নেই, ভেঙ্গে পড়েছে চেইন অব কমান্ড। বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।’

তিনি অবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগসহ জাতীয় সরকার গঠন করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে। কেউ কাউকে মানছে না। বিদেশিদের কাছে যেয়ে কোনও লাভ নেই। আমাদের সমস্যার সমাধান আমাদেরই করতে হবে। বিদেশিরা আজ বলছে আমাদের সেন্টমার্টিন দাও, কাল বলবে আমাদের পুরো দেশটাই দিয়ে দাও। তাই একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হবে।’

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে ও নগর সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া ও মুফতি ইমরান হুসাইনের সঞ্চালনায় ওলামা সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির আব্দুল আউয়াল, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতি গোলামুর রহমান, দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মোসতাক আহমেদ, খুলনা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ আ খ ম জাকারিয়া প্রমুখ।

মুফতি ফয়জুল করিম রাতে নিউমার্কেট সংলগ্ন টেক্সটাইল মিল জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল ও হালকা জিকিরে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করবেন।




জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে মানুষের ঢল

dnb news :

কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শায়খুল হাদীস পরিষদের জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন চলছে। এতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের আলেম ওলামা অংশ নিয়েছে। সম্মেলনস্থ কানায় কানায় ভর্তি।

শনিবার (২২ জুলাই) সকাল নয়টায় রাজধানীর কাজী বশির মিলনায়তনে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনা‌ইদের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।

মামুনুল হকসহ কারাবন্দি ওলামায়ে কেরামের মুক্তি, দেশব্যাপী আলেম-উলামাসহ তাওহিদী জনতার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও উলামায়ে কেরামের মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠায় করণীয় নির্ধারণে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।

কারাবন্দি উলামায়ে কেরামের মুক্তি ও সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সম্মেলন থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা হবে।

সম্মেলনে শায়খুল হাদীস পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আছেন হেফাজত আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।




নিবন্ধন পাচ্ছে না গণঅধিকার পরিষদসহ ১০ দল

dnb news :

শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ পড়ল নানাভাবে আলোচিত ও সমালোচিত গণঅধিকার পরিষদ। সেই সঙ্গে আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ (এবি পার্টি) আরও ৯টি দল ছিটকে পড়ছে নিবন্ধনের তালিকা থেকে।

মাত্র দুটি দল এবার ইসির নিবন্ধন পাচ্ছে। দল দুটি হলো— বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। নতুন দুটি দলের বিষয়ে আগামীকাল সোমবার (১৭ জুলাই) পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে ইসি।

আজ রোববার ইসির সভায় আলোচনার জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২টি দলকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ১০টি দলের নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মাঠের তথ্যের মিল পায়নি নির্বাচন কমিশন। ফলে দলগুলোকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে ইসি।

কমিশনসভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

এদিকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পতন ঘটিয়ে দলের নিবন্ধন নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

নিবন্ধন পাওয়ার দৌড় থেকে গণঅধিকার পরিষদের ছিটকে পড়ার পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আমরা এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পতন ঘটিয়েই আগামী নির্বাচনের আগে নিবন্ধনও নিব এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।’

নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে চাওয়া ১২টি দলের মধ্যে দুটি দল টিকেছে পরবর্তী ধাপের বাছাইয়ের জন্য। অর্থাৎ প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে যাওয়া ১২টি দলের মধ্যে ১০টি দলই বাদ পড়েছে নিবন্ধন পাওয়ার দৌড় থেকে।

জানা গেছে, নতুন দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২টি রাজনৈতিক দল ছিল। সেগুলো হচ্ছে— আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডি)।

ওইসব রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও মাঠপর্যায়ের কার্যালয় সক্রিয় রয়েছে কিনা তা দুই দফা যাচাই করেছে ইসি। ওই দুই দফার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নতুন দল নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে।




‘ঈদের পর নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে ইসলামী আন্দোলন’

DNB NEWS :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ- এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে। সরকারের প্রতি জনগণের কোন প্রকার আস্থা না থাকলে যা হয়, এখন তাই হচ্ছে, দেশ এখন হুমকির মুখে। এমতাবস্থায় চলমান সঙ্কট নিরসনকল্পে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই একমাত্র সমাধান। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ইতিহাস নেই। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জাতীয় সরকার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে রাজনৈতিক সংকট ঘনিভূত হচ্ছে। সরকার যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় পুনরায় যওয়ার ফন্দি ফিকির করছে। তিনি বলেন, সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে দেশের জনগণের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনতে পারে এবং দেশে আরও একবার সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মজলিসে আমেলার এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, জি এম রুহুল আমীন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা শোয়াইব হোসেন, উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, এডভোকেট এম হাসিবুল ইসলাম, বরকত উল্লাহ লতিফ, অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খাঁন, মাওলানা নূরুল করীম আকরাম, মাওলানা নুরুল ইসলাম আল-আমিন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সদস্য ডা: দেলোয়ার হোসেন, আল-ইকবাল প্রমুখ।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করবে না। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়েও আপত্তি করেছেন তিনি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে আয়োজনের পাঁয়তারা চলছে। মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দলীয় সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনই সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হয় নাই। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে এক তরফা নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করাই দলীয় সরকারের মূল উদ্দেশ্য থাকে। ভবিষ্যতেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আশা করা যায় না। ঈদের পর নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে ইসলামী আন্দোলন। সে লক্ষ্যে শীঘ্রই কর্মসূচি প্রণয়ন করা হবে।




নির্বাচন কমিশনের এক মূহুর্তও দায়িত্বে থাকার অধিকার নেই : ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

দলদাস নির্বাচন কমিশন সিটি নির্বাচনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এই দলদাস ও মাজাভাঙ্গা কমিশন দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই’র উপর সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে ১৬ জুন, শুক্রবার সারাদেশে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। গতকাল বিকেলে বরিশালে অনুষ্ঠিত দলের প্রেস কনফারেন্স থেকে দলের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। শীঘ্রই বৃহত্তর কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে।

আজ এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, নির্বাচন কমিশন একজন মেয়র প্রার্থীর নিরাপত্তা দিতে পারলেন না। তিনি ভোট চোরদের সহযোগিতার জন্যই নিরাপত্তা দেননি। তাছাড়া সিইসি তার বক্তব্যে বলেছেন ‘হাতপাখার মেয়র প্রার্থী কি ইন্তেকাল করেছেন?’ এ বক্তব্য দিয়ে দলদাসে পরিণত হয়েছেন। তার বক্তব্য আওয়ামী লীগের বক্তব্যের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এই দলদাস ও গৃহপালিত ইসি’র এক মুহুর্তও কমিশনের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কোনভাবেই থাকতে পারে না। ভাল চাইলে মান সম্মান নিয়ে পদত্যাগ না করলে জনগণের আন্দোলনে করুণ পরিণত ভোগ করতে হবে।

অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, একজন মেয়র প্রার্থীর রক্ত ঝরিয়ে, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে এবং ভোটারদের উপর হামলার ঘটনা ঘটিয়ে নৌকার বিজয় করা মানে আওয়ামী লীগের দন্যদশা জাহির করা। সরকার দলীয় দস্যু দিয়ে ক্ষমতায় টিতে থাকা যাবে না। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার দলদাস সিইসিকে পদত্যাগে বাধ্য করেন।

এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা দক্ষিণ সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ মোঃ জয়নুল আবেদীন, সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারী মুহাম্মদ শাহিন আহমাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই’র উপর সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন কমিশন বড় বড় বুলি আওড়িয়ে এখন নিজেদের ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণিত করলেন। নির্বাচন কমিশন একজন মেয়র প্রার্থী আলেমকে নিরাপত্তা দিতে পারলেন না এর চেয়ে নির্লজ্জ আর কী হতে পারে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনও পূর্বের কমিশনের মতো গৃহপালিত কমিশনে পরিণত হয়েছে। নেতৃবন্দ মুফতী ফয়জুল করীমসহ ভোটারদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সেইসাথে নির্বাচন কমিশনেরও পদত্যাগ দাবি করেন তারা।




এরদোয়ানের ভাগ্য নির্ধারণ কাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

দুই সপ্তাহের অপেক্ষা শেষ। আগামীকাল রোববার (২৮ মে) তুরস্কে হবে রান-অফ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর এ নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে- আরও পাঁচ বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান থাকতে পারবেন কিনা।

তুরস্কে গত ১৪ মে প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন হয়। এতে মোট ভোটের ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট পান এরদোয়ান। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলো পান ৪৪ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট। যেহেতু তাদের কেউই এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট পাননি ফলে এ নির্বাচন রান-অফে গড়ায়।

তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা শনিবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রান-অফ নির্বাচন নিয়ে দেশটিতে তেমন উত্তাপ লক্ষ্য করে যাচ্ছে না। যেমনটি দেখা গিয়েছিল দুই সপ্তাহ। যদিও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট শাসন প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো (রান-অফ) ভোট দিতে যাচ্ছেন দেশটির ভোটাররা।