দেশের বিভিন্ন স্থানে ১২ ঘণ্টায় ১০ বাসে আগুন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১২ ঘণ্টায় অন্তত ১০টি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয়েও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল এসব তথ্য জানিয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, শনিবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে আজ রোববার সকাল সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১২টি অগ্নিসংযোগের তথ্য পেয়েছে তারা।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের তথ্যানুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার গাউছিয়া মার্কেটের সামনে মিরপুর লিংক নামের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে গ্রিন ইউনিভার্সিটির একটি বাসে আগুন দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর সায়েদাবাদের জনপথ মোড়ে রাইদা পরিবহন নামের বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়।

রাত আটটায় রাজধানীর গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটের সামনে মনজিল পরিবহন নামের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

রাত ১১টা ৪২ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় অনাবিল নামের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় ভোলার চরফ্যাশনের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যমুনা এক্সপ্রেস নামের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

দিবাগত রাত ২টা ৫৫ মিনিটে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাদলপুর আওয়ামী লীগের অফিসে আগুন দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

দিবাগত রাত ৩টা ৫২ মিনিটে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের তিন রাস্তার মোড়ে গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ারে আগুন দেওয়া হয়।

আজ ভোর ৪টায় রাজধানীর ডেমরার মাতুয়াইলের সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

প্রায় একই সময় রাজধানীর শ্যামপুরের জুরাইন বালুর মাঠ এলাকায় তুরাগ নামের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বরে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

সকাল ৬টা ২৪ মিনিটে গাজীপুরের ভোগরায় একটি বাসে আগুন দেওয়ার তথ্য পায় ফায়ার সার্ভিস।




ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মৎস্য ভবন মোড় থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে চারদিকের রাস্তায় সারি সারি বাস পার্কিং করা। বাস থেকে নেমে স্লোগান উঠছে ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার।’ তারপর মিছিল নিয়ে বাসের লোকজন প্রবেশ করছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এছাড়া যারা ঢাকার আশপাশ থেকে পায়ে হেঁটে এসেছেন তারা সরাসরি মিছিল নিয়ে প্রবেশ করছেন উদ্যানে। মূলত এরা সবাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মী।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমাবেশের আয়োজন করেছে। সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

উদ্যান ঘুরে দেখা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতারা মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন। আর সকাল থেকে যেসব কর্মী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বা ঢাকা শহর থেকে এই সমাবেশ সফল করতে এসেছেন তারা মনোযোগ দিয়ে সেই বক্তব্য শুনছেন।

এছাড়া আরও দেখা গেছে, নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গাছ তলায় শুয়ে বসে বিশ্রাম করছেন। অনেকে উদ্যানের উত্তর দক্ষিণ অংশে অর্থাৎ ছবির হাট টিএসসি গেট অংশের ঘোরাফেরা করছে। কেউ কেউ সেলফি তোলাও ব্যস্ত।

সমাবেশ সূত্রে জানা গেছে, জুমা নামাজের পর মূল সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

এর আগে গত ১ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তাদের ২০ শর্তে সমাবেশ করতে অনুমতি দেয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ৩ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো।




আজ জেলহত্যা দিবস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আজ ৩ নভেম্বর। শোকাবহ কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস। মানবসভ্যতার ইতিহাসে বেদনাবিধুর একটি দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। শহীদ চার নেতা হলেন- বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান। একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন জাতির সেরা সন্তান এ চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল।

ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদের প্ররোচনায় একশ্রেণির উচ্চাভিলাষী মধ্যমসারির জুনিয়র সেনা কর্মকর্তা এ নির্মম হত্যাকান্ড ঘটায়। জাতীয় এ চার নেতা ১৯৭১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সামরিক জান্তার হাতে আটক বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দান করেন। বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। পরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

বঙ্গবন্ধুর অন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগী এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ এবং জাতির পিতার দুই খুনি কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান এবং লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশীদ জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার এ পরিকল্পনা করে। জাতি আজ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এ কালো অধ্যায়টি স্মরণ করবে। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের উদ্যোগে সারা দেশে পালিত হবে শোকাবহ এ দিনটি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা শহীদ জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জমায়েত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে শহীদ জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। একইভাবে রাজশাহীতে জাতীয় নেতা শহীদ কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।

এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া ধানমন্ডি ৩২ প্রাঙ্গণে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী হবে। ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর নাতি শেহেরিন সেলিম রিপন জানান, আজ প্রদর্শনীটির উদ্বোধন হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থেকে ৫ নভেম্বর অবধি চলবে।




আমার কাছে প্রধানমন্ত্রিত্ব কিছু না : শেখ হাসিনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন চেয়েছিলেন তেমন বাংলাদেশ গড়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমার কাছে প্রধানমন্ত্রিত্ব কিছু না। প্রধানমন্ত্রী হলে বহু আগেই হতে পারতাম। কিন্তু আমি সেভাবে চাইনি।

রোববার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, ক্ষমতা হবে জনগণের কল্যাণ সাধন করার। জাতির পিতা যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই দেশকে গড়ে তোলা। সেই প্রচেষ্টাই আমি চালিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে পথ চলায় আজকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। যা বাস্তবায়ন হবে ২০২৬ সাল থেকে। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে যদি রাষ্ট্র পরিচালনা হয়, তাহলে এই বাংলাদেশ আর পেছনে ফিরে তাকাবে না। অনেক দেশই আমাদের সঙ্গে হয়েছিল, অনেকেই পিছিয়ে গেছে। আমরা কিন্তু পিছিয়ে যাইনি।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর আমাদের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। অনেক ইতিহাস মুছে ফেলা হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা শুরু করি। ১৫ আগস্টের পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই ভাষণ বাঁজিয়েছিল এবং তা মানুষকে শুনিয়েছিল। আমি জানি না পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো ভাষণ এতোবার শোনা হয়েছে কি না। আজকে সেই ভাষণ ইউনেসকো কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব প্রামাণ্য দলিলে মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে; যা বাঙালি জাতির ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই আমাদের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক সবাই আমাদের এই যে অর্জনগুলো ধরে রাখেন। এর মাধ্যমেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জাতির পিতা এই বাংলাদেশের জন্য যে মহান আত্মত্যাগ করে গেছেন, সেটি আমাদের ভুললে চলবে না। কারণ তার ভাষা আন্দোলন, তার ইতিহাস আপনারা জানেন।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আমরা সরকার ক্ষমতায় আছি। ২০০৯ সাল থেকে আজকে ২০২৩, এটি এখন এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকের ছাত্র-ছাত্রীরা উপলদ্ধি করতে পারবে না ২০ বছর আগে কেমন বাংলাদেশ ছিল। সেখানে ক্ষুধা-দারিদ্র ছিল, বৈজ্ঞানিক কোনো কিছু ছিল না। আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিজ্ঞান ও কম্পিউটার শিক্ষা চালু করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিমিয়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। এই স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে আমরা পৌঁছে দেব। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম, সেটি বাস্তবায়ন করেছি। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যা যা করার আমরা করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ সমাবর্তনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বঙ্গবন্ধুকন্যা ও সমাবর্তন বক্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বঙ্গবন্ধুর এই ডিগ্রি তুলে দেন।




শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: মির্জা ফখরুল

dnb news :

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শুধু খালেদা জিয়াকে এ অবস্থায় (অসুস্থ) রেখে নয়, হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো ধরনের নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতন হবে।’

আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল প্রশ্ন তুলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য তিনি কীভাবে দিতে পারেন? আমাদের বোধগম্য নয়।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে নিতে হবে। নয়তো এর সব দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।’




নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল, ভোট জানুয়ারির শুরুতে

dnb news :

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, ‘নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এছাড়া জানুয়ারির শুরুতেই ভোটগ্রহণ করা হবে।’

আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের শ্রীপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুর্গম এলাকা ছাড়া অন্যান্য কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান।

শ্রীপুর উপজেলা সম্মেলন কক্ষে কার্ড বিতরণ কর্মসূচির প্রথম দিনে ৩০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্মার্ট কার্ড দেয়া হয়। একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফতেহ মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন বিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর, জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু হাসনাত মো. সায়েম, ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীরাজুল ইসলাম।

ইসি আনিছুর রহমান আরও বলেন, ‘কোন দল নির্বাচনে আসবে, কারা আসবে না সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়েই নির্বাচন সম্পন্ন হবে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

মার্কিন ভিসা নীতি নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘ভিসা নীতির বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই, এমনকি কোনো বক্তব্যও নেই। কারণ এটা সরকারের বিষয়। আমরা সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’




সাবেক এমপি জালাল তালুকদারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুর্গাপুরে শোকর‌্যালি

dnb news :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নেত্রকোনা-১ আসন থেকে তিন বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও এক শোকর‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে এ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে মরহুমের কন্যা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার এর আয়োজনে মরহুমের কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পন, কোরআন খতম, কাঙ্গালীভোজ, মিলাদ মাহফিল শেষে ঝুমা তালুকদারের সভাপতিত্বে মরহুমের জীবনীর উপর আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ খান জনি, উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি উসমান গণি তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, মেয়র আলহাজ¦ মাও: আব্দুস সালাম, কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যার আব্দুল খালেক, সাবেক মেয়র শ.ম জয়নাল আবেদীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান পারভীন আক্তার, পৌর আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, আ‘লীগ নেতা মো. আলী আসগর, একেএম ইয়াহিয়া প্রমুখ। আলোচনা শেষে জালাল তালুকদার হত্যার বিচারের দাবীতে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।

বক্তারা বলেন, উত্তর ময়মনসিংহের সিংহ পুরুষ জননন্দিত নেতা এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদারকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে, এ হত্যা নিয়ে দীর্ঘসময় অতিবাহিত হলেও প্রকৃত দোষিরা এখনো অধরায় থেকে যাচ্ছে। আমরা প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে দ্রæত বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। উল্লেখ্য, সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদার ২০১২সালের ২৫সেপ্টেম্বর নিজ বাসভবনে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদার।




নেত্রকোনা ১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী- রোটারিয়ান আতাউর রহমান খান আঁখির

dnb news:

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ১৫৭ নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্তত: ডজন পেড়িয়ে যাবে। অনেক আগে থেকেই যার যার অবস্থান থেকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

তম্মধ্যে এই আসনের কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী গ্রামের বাসিন্দা রোটারিয়ান মোঃ আতাউর রহমান খান আঁখির দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ দলীয় নেতা-কর্মীসহ দুই উপজেলার সাধারণ মানুষের সাথে মিশে আছেন তিনি। বন্যাসহ যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থেকে ঘর,শুকনো খাবার,নগদ অর্থ সহ বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন তিনি,তার যথেষ্ট প্রমানও রয়েছে। তাছাড়া প্রতি বছর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,এতিমখানায় ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপন করারও দৃষ্টান্ত রয়েছে। তিনি কেন্দ্রীয়ভাবে একজন সফল ব্যবসায়ী,স্থানীয়ভাবে কোন ব্যবসার সাথে জরিত নন। তিনি কলমাকান্দা উপজেলার জন্মগতভাবে আওয়ামী এবং সনামধন্য সম্ভান্ত পরিবারের সন্তান, আঁচার-আঁচরণের দিকথেকেও প্রসংসার দাবী রাখেন সে এবং দৈর্যশীল,পারিবারিকভাবে তারা ৫ভাই ৫বোন সে দ্বিতীয়, তাঁর স্ত্রী একজন আইনজীবি, সবাই উচ্চ শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত। তাঁর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সুলতান আহম্দে খান(প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান)এবং একজন প্রবীন আওয়ামীলীগার। তার রাজনীতির সংক্ষিপ্ত পরিচয়ে দেখাগেছে সে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, ঢাকা কলেজ। সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটি। তাছাড়া লিডারশীপ ফর সোসাল ডেভেলপমেন্ট এর চেয়ারম্যান এবং ম্যাকটেক্স গ্রুপ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৭ নেত্রকোনা-১(দুর্গাপুর-কলমাকান্দা)আসনে তিনিই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতার অধীকারী,দুই উপজেলার বেশীরভাগ মানুষের প্রত্যাশা এবং দাবী তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হউক।

দুই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে স্খানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মনোনয়ন প্রাপ্তি প্রত্যাশায় তার কর্মকান্ডের সংক্ষিপ্ত ফিরিস্থি তুলে ধরেণ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার যোগ্যতার মাপকাঠি বিবেচনা করে নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিবেন বলে আমি আশাবাদী। মনোনয়ন পেলে সকলের সহযোগিতায় আমি বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। পরে তিনি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেণ।

এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন উলামালীগ সাবেক সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লা আলমামুন (সাহান), পৌর আওয়ামী লীগ সদস্য ফয়জুর রহমান বাবুল,ছাত্রলীগ কর্মী হ্নদয় হাসান, অ্যাডভোকেট জাকির খান, মোঃ এমদাদ খান প্রমুখ।




‘হাফেজ রেজাউল হত্যাকারীদের শাস্তি ও পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে’

dnb news desk :

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, হাফেজ রেজাউল করীম একজন পথচারী ও নিরীহ নিরপরাধ মাদ্রাসাছাত্র। সে কোন দলীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত নয়। তারপরেও তার উপরে যারা হামলা করে হত্যা করেছে তারা মানবতার শত্রু। শান্তি সমাবেশে নিজেরা নিজেরা সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনারও নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। ঘৃণিত এই হত্যাকাণ্ডের চারদিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার তো দূরের কথা, সরকারের সরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কারো থেকে এখন পর্যন্ত দোষীদের গ্রেফতার এবং বিচারের কোন আশ্বাসবাণীও শোনা যায়নি। অবিলম্বে রেজাউল করীম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শহীদ রেজাউল করীমের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনসমূহের শান্তি সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় নিরীহ মাদ্রাসাছাত্র হাফেজ রেজাউল করিমের হত্যার বিচার ও যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ জাকির বিল্লাহর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোফাচ্ছির হোসাইন, ঢাকা মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আবুল হাসান কাসেমী, ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুর আলম, ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর সভাপতি হাফেজ আব্দুর রহমান, জামিয়া নূরিয়া শাখা সভাপতি মেরাজুল ইসলাম, সহসভাপতি আলী হোসাইন প্রমূখ।




বিএনপির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত: কাদের

dnb news :

নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকার প্রবেশপথ অবরোধের কর্মসূচি দেওয়ায় বিএনপির মার্কিন ভিসানীতির আওতায় পড়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, গোলাপবাগে হোঁচট খেয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই গেলো। অনুমতি নিয়েই তো গেলো। অনুমতি আর নেবো না। দখল করে ফেলছি ঢাকা, বাংলাদেশ। এত সোজা রাজনীতি? তাদের উদ্দেশ্য তারা একটি লাশ ফেলবে। পুলিশের ওপর যে হামলাটা, পুলিশ তো বাধা দেবেই।

তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড বন্ধ করে দিলে পুলিশ চোখ বন্ধ করে রাখবে? আমি পুলিশকে দোষ দেবো না। জনগণের জানমাল রক্ষা করার দায়িত্ব পুলিশের।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমরা কোনো উত্তেজনায় যাবো না। আমরা নির্বাচন চাই। উত্তেজনা হলে তো আমাদের চলবে না। নির্বাচনে জনগণ চাইলে আমরা আবারও থাকবো, না চাইলে থাকবো না।