নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল পুলিশের বাধায় পণ্ড হওয়ার পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, বৃহস্পতিবার প্রতিটি জেলা, প্রতিটি মহানগরে ইসলামী আন্দোলন মিছিল করবে। সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন আমরা মেনে নেব না।

এর আগে, তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম থেকে ইসি অভিমুখে গণমিছিল শুরু করে ইসলামী আন্দোলন। মিছিলটি পল্টন-কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর মোড়ে আসলে পুলিশ সেখানে ব্যারিকেড দেয়। পরবর্তীতে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করে দলটি।

এ সময় মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ ভাইদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিবাদ নেই। আমরা চাইলেই এই ব্যারিকেড ভাঙতে পারি। কিন্তু আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি।

এদিকে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নগরীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তফসিল ঘিরে বিরোধীদলগুলো আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন হলে পুলিশ সহযোগিতা করবে। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




সামনে নির্বাচন, এখন আর সংলাপের সুযোগ নেই: কাদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। তাই এখন সংলাপের আর সময় নেই। বিএনপিকে আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছিলাম, শর্ত ছাড়া সংলাপে আসলে তখন আমরা বিবেচনা করব। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে ওবায়দুল কাদেরের কাছে একটি চিঠি দেন। পরে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু একটি চিঠি আমার কাছে পাঠিয়েছেন। সেই চিঠি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আমার কাছে পৌঁছে দিতে এসেছিলেন। চিঠি পেয়েছি। এখন দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ব্যাপারে কথা বলতে পারব। ‌এক পৃষ্ঠার একটি চিঠি আমি পড়েছি। তাতে লেখা আছে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার বিষয়টি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কারো পক্ষে নয়।

তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশের কোন রাজনৈতিক দল যারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে, তারা সংলাপকে অ্যাভোয়েড করতে পারে না। যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। ফলে এই সময়ের মধ্যে এখন আর বিএনপির সঙ্গে সংঘাতের কোনো সুযোগ নেই। সেই সময় নেই। আমরা যখন তাদেরকে বলেছিলাম শর্ত ছাড়া সংলাপে জন্য। তারা তখন সেটিতে রাজি হয়নি।




আজ বিকালে ইসি অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

একতরফা তফশিল ঘোষণার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বুধবার বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত হবেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল শুরু করবেন তারা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমাধ্যম সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আজ এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমিছিলে নেতৃত্ব দিবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।

এর আগে গত রোববার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম নির্বাচনি তফশিল ঘোষণার দিন নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করার ঘোষণা দেন।




তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবনে কড়া নিরাপত্তা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবনের চারপাশে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৫ নভেম্বরে) সকাল থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাত থেকেই বসানো হয় কাঁটাতারের ব্যারিকেড।

নির্বাচন ভবনের বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সামনের রাস্তা ব্যতীত সব প্রবেশ পথ বন্ধ করেছে দিয়েছে পুলিশ। অবস্থান নিয়েছে র‌্যাব, বিজিবি, আনসার ও পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স।

ইতোমধ্যে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এতে থাকবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলও।




আগামী নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দেবে: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। হয়তো দু’এক দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ও সময় (তফসিল) ঘোষণা করবে। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। কাজেই জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে।’

প্রধানমন্ত্রী তাঁর নামে নামকরণ করা শেখ হাসিনা স্বরনী (পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে) এবং চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৪১টি স্থাপনা ও ঘরের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে একথা বলেন।

তিনি বিএনপি’র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, অনেকে নির্বাচনে আসতে চায়না। কারণ, যারা ৩০টি সিট পেয়েছিল (২০০৮ সালে) স্বাভাবিকভাবে তাদের নির্বাচনে আসার কোন আকাঙ্খাই থাকবে না। নির্বাচন বানচাল করে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে আবার বাংলাদেশের মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলাই তাদের চেষ্টা।

তিনি আজ সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ৯ হাজার ৯৯৫টি অবকাঠামো নির্মাণ সমাপ্ত কাজের উদ্বোধন এবং ৪৬টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এ সময় দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ১০১টি প্রান্ত ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিল।

প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সারাদেশে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ১ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৬৪৪ টি বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো এবং ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৫৩৯৭টি গৃহ নির্মাণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি এদেশের মানুষ একটু শান্তিতে ছিল, স্বস্তিতে ছিল, উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে এই অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস-জালাও পোড়াও। গাড়িতে আগুন বাসে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা যেমন ব্যাহত করা হচ্ছে, স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা ঠিকভাবে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারছে না। তাদের লেখাপড়া নষ্ট হচ্ছে।

অথচ বিএনপি’র আমলে যেখানে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৪৫ ভাগ সেখান থেকে বর্তমানে আমরা সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬ ভাগে উন্নীত করেছি। আজকে সমস্ত ছেলে-মেয়ে, প্রায় ৯৮ ভাগ ছেলে-মেয়ে স্কুলে যাচ্ছে। সেসব কিছু আজকে ব্যাহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের শুভবুদ্ধির উদয় হবার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমি এটুকু বলবো যে ওদের সুমতি হোক। এই ধ্বংসযজ্ঞ তারা বন্ধ করুক। অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করুক।

অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেশবাসীকেও বলবো যে এই অগ্নিসন্ত্রাস আপনাদের প্রতিরোধ করতে হবে। সকলেরই জানমাল আছে। ২০১৩,১৪ ও পরবর্তী সময়ে যে অগ্নিসন্ত্রাস, ভূক্তভোগীদের যন্ত্রণা ও কষ্ট আমরা দেখেছি। কাজেই এই ভোগান্তি যেন মানুষের আর না হয়।

অনুষ্ঠানে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং খাদ্য মন্ত্রী সাধান চন্দ্র মজুমদার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি তা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সে জন্য সরকারের ধারাবাহিকতাও প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী সরকারের ধারবাহিকতা রক্ষার প্রয়োজন হিসেবে তাঁর ’৯৬ থেকে ২০০১ পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দু:শাসনের চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ’৯৬ সালে তিনি সরকারের এসে দেশকে খাদ্য ঘাটতির একটি দেশ হিসেবে পেয়েছিলেন, ৪০ লাখ মেট্রিক টন ছিল খাদ্য ঘাটতি। উৎপাদন হতো ৬৯ বা ৭৯ লাখ মেট্রিক টন। সে সময় তাঁর সরকার গবেষণা ও খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে আলাদা বরাদ্দ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলে। সে সময় চালের দাম ছিল মাত্র ১০ টাকা। মূল্যস্ফীতি ছিল ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। যখন তাঁর মেয়াদ শেষে দেশে প্রথমবারের মত শান্তিপূর্ণ ভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তখন ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য দেশে উবৃত্ত রেখে যান। পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দেশকে আবার খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত করে।

দেশের গ্যাস বিক্রির দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে রাজি না হওয়ায় ভোট বেশি পেলেও পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, এরপর বাংলাদেশে দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-বাংলাভাই-বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, একইসাথে ৫শ’ জায়গায় বোমা হামলা-এগুলো বাংলাদেশের মানুষকে মোকাবেলা করতে হয়। ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের পর থেকে ’৭১ এর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বর্বরতার ন্যয় বর্বরতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীও এরকম নির্যাতনের শিকার হয়। আইনজীবী হত্যা, জেলা জজকে বোমা মেরে হত্যা এমনকি ছয় বছরের ছোট্ট রজুফাও গ্যাং রেপ থেকে রেহাই পায়নি। অনেক মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এদের বিরুদ্ধে মামলা করায় ভিটিমাটি থেকে উৎখাত হতে হয়। দুর্নীতিতে বাংলাদেশ পাঁচবার বিশ^ চ্যাম্পিয়ন হয়। আর এই অবস্থার জন্যই দেশে জরুরি অবস্থা আসে।

২০০৮ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টি আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে যেখানে বিএনপি ৩০ আসন পেয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় যখন নির্বাচন বানচালের অনেক চেষ্টা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে। এরপর ২০১৮’র নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটায় তারা।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা জনগণের ভোটেই বারবার নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আওয়ামী লীগ কোনদিন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া সরকার গঠন করে নাই।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য আইনকরে নির্বাচন কমিশন গঠন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন তথা নির্বাচন ব্যবস্থার যাবতীয় সংস্কার আওয়ামী লীগের প্রস্তাবেই করা হয়েছে। কারণ, রাতের অন্ধকারে অস্ত্র তুলে ক্ষমতা দখল করে জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

আজ দেশের যে প্রভূত উন্নয়ন তা দীর্ঘসময় একটানা ক্ষমতায় থাকতে পারার জন্যই বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে সক্ষমতা ১৬শ’ মেগাওয়াট ছিল তা বর্তমানে ২৮ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে উন্নীত হয়েছে। প্রতি ঘরে বিদ্যুতের আলো জে¦লেছে সরকার। অথচ তাঁর সরকার ’৯৬ সালে পাওয়া ১৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকে উৎপাদন বাড়িয়ে ক্ষমতা ছাড়ার সময় ৪ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াটে রেখে যায়। কিন্তু পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত সরকার এক ইউনিটও উৎপাদন না বাড়িয়ে উল্টো বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৩ হাজার মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের সাড়ে ১৪ বছরে আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশকে আর কেউ অবহেলার চোখে দেখে না। বাংলাদেশ আজকে বিশে^ একটি মর্যাদাশীল দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সেই মর্যাদাটা আমরা আবার ফিরিয়ে আনতে পেরেছি যেটা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর আমরা পেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ায় কাজ করে যাবার আহবান জানান।

সূত্র: বাসস




সংবাদ সম্মেলনে চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে যা বললেন চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

চলতি সংসদ ভেঙে দিয়ে সব প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দিন নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিলসহ ৪ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (১২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পুরানা পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সকল কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপনও করা হয়।

চরমোনাই পীর বলেন, আমাদের দাবি হচ্ছে অনতিবিলম্বে চলতি সংসদ ভেঙে দিয়ে সব প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতারকৃত বিরোধী দলের সব নেতাকর্মী এবং আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতির মধ্যস্থতায় সংলাপের আয়োজন করতে হবে। দলীয় এই নির্বাচন কমিশনকে বাতিল করতে হবে। রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির আগে কোনো অবস্থাতেই তফসিল ঘোষণা করা যাবে না।

চার দফা কর্মসূচি:

নির্বাচন কমিশন একতরফা তপশিল ঘোষণা করতে চাইলে তফসিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে।

তফশিল ঘোষণার পর দিন সারাদেশে প্রতিটি জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।

আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সকল কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন।

জাতীয় সংকট নিরসনে সকল রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিকে নিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিলো ইসলামী আন্দোলন। এই দাবি মানা না হলে আন্দোলনরত সকল বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে কঠোর ও বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণার কথা জানানো হয়।




দুর্গাপুরে অবরোধ বিরোধী মিছিল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপি-জামায়াতের টানা অবরোধ ও জ¦ালাও-পোড়া কর্মকান্ডের প্রতিবাদে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অবরোধ বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় আ‘লীগের কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং এর নির্দেশে পৌর শহর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় আ‘লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, মজিবুর রহমান ফকির, রোকনুজ্জামান রোকন, মতিউর রহমান, আজিজুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা টিটু পত্রনবীস, বাবন সরকার, ছাত্রলীগ নেতা, কায়েস, আনিসুজ্জামান রনি, জহিরুল হক, সোহেল রানা, মামুনুর রশিদ প্রমুখ। মিছিলে অংশগ্রহনকারী নেতা-কর্মীরা অবরোধ বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার আহবান জানান।

মিছিল শেষে বিভিন্ন এলাকায় পথসভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী যে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে রাজপথে থেকে আমরা তা প্রতিহত করবো। দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‘র হাত ধরে বাংলাদেশে যে নজীর বিহীন উন্নয়ন হয়েছে, তা নস্যাৎ করতেই জ¦ালাও-পোড়াও চালাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। দেশের জনগন হরতাল অবরোদ প্রত্যাখান করেছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা সহ কেন্দ্রীয় আ‘লীগ নেতা রেমন্ড আরেং এর নির্দেশে আমরা এসকল ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি প্রতিহত করবো।




নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সিইসি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে জানানো হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি এবং তফশিলের সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানাতে বঙ্গভবনে যান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা বঙ্গভবনে যান। আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেন।

ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিক তফশিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের রেওয়াজ রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দুপুর ১২টায় ইসি সদস্যরা বঙ্গভবনে যান।




দুর্গাপুরে বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির ৩ নেতা গ্রেপ্তার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির ৩ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের সাব রেজিস্টার কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ইমাম হাসান আবুচাঁন,দুর্গাপুর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হারেজ গণি,বাকলজোড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহŸায়ক সাদেকুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়,২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে দুর্গাপুর থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক মামলায় আজ বুধবার দুপুরে ৩ জনকে আটক করা হয়। পরে বিকেলে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপির নেতাদের দাবী,তাদের এক দফা দাবির আন্দোলন দমনের উদ্দেশে বিএনপির নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক বজলুর রহমান পাঠান বলেন,দেশে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে কোর্ট আঙ্গিয়াও বিএনপির লোকজন নিরাপদ না। আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে,আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নেতারা কোর্টে গিয়েছিল হাজিরা দেওয়া জন্য। পরে হাজিরা দিয়ে বের হলে পথে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং তাদের মুক্তি দাবী করছি।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরুল আলম জানান,বিস্ফোরক মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতে পাঠানো হয়।




বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ নিবিড় ও অব্যাহতভাবে যুক্তরাষ্ট্র মনিটরিং করছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সহকারী প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেল। এসব ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (৬ নভেম্বর) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্পষ্টভাবে তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র।’

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ থেকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও পুলিশ সদস্যকে হত্যার মাধ্যমে দলটির নেতাকর্মীদের সহিংসতা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় টানা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। এসব কর্মসূচিতে অবরোধকারীরা একাধিক গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করেছে। এতে বেশ কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক নিহতের খবরও গণমাধ্যমে এসেছে। অগ্নি সংযোগসহ এসব সহিংসতার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীরাই সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ এরই মধ্যে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।

ব্রিফিংয়ে মুশফিক ফজল আনসারী প্রশ্ন করলে স্পষ্টভাবে বেদান্ত প্যাটেল জানিয়ে দেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার, বিরোধী দলসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে ওয়াশিংটন।’

এদিকে সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে- সেটি নিয়ে কোনো পক্ষই মুখ খোলেনি।