ওসিদের পর এবার সব ইউএনও-কে বদলির নির্দেশ ইসির

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে । ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর পাঠানো ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব ইউএনওকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের মেয়াদকাল এক বছরের বেশি হয়ে গেছে, তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিতে পাঠানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।

এর আগে দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরও (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলির নির্দেশ দেয় ইসি।




আলেম প্রার্থীদের কে কোথায় মনোনয়ন জমা দিলেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। ইতোমধ্যেই জল্পকল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কওমি মাদরাসা ভিত্তিক ইসলামী দুই রাজনৈতিক দল।

দল দু’টি হলো- হাফেজ্জী হুজুর রহ. প্রতিষ্ঠিত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী নেতৃত্বাধীন মুফতি আমিনী রহ. এর দল ইসলামি ঐক্যজোট।

এছাড়াও স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল থেকে বেশ কয়েকজন আলেম প্রার্থী আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে গতকাল মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই আলেম প্রার্থীরা কে কোথা থেকে মনোনয়ন জমা দিলেন?

শেষ সময়ে চমক দেখিয়ে নির্বাচনী ট্রেনে চড়া দল বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম তার দলে কে কোথায় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন? তিনি জানান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের চেয়ারম্যান মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। আমি (মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী) ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৩, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন কুমিল্লা-২ থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

তার দলের আরো বেশ কয়েকজন আলেম প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তবে নিজ নির্বাচনী এলাকায় তিনি ব্যস্ত থাকায় সে তথ্য বিস্তারিত দিতে পারেন নি।

এদিকে মুফতি আমিনী রহ. এর দল ইসলামি ঐক্যজোট থেকে দলের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই আসন থেকে মুফতি আমিনী রহ. সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এছাড়া দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন জানান, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ তৈয়ব হোসাইন ময়মনসিংহ-২, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান গাজীপুর-১, আমি (যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন) কুমিল্লা-২, সহকারী মহাসচিব মাওলানা শেরজান কিশোরগঞ্জ-৪, মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী সিলেট-১, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মেহেদী হাসান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), মাওলানা খোরশেদ আলম কুমিল্লা-১১ থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এছাড়াও আমাদের প্রায় ১শ’ জনের মতো প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

অপরদিকে এই দুই দলের বাইরেও আওয়ামী লীগ থেকে মাওলানা আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী চট্টগ্রাম-১৫, জাতীয় পার্টি থেকে মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী কুষ্টিয়া-২, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী সুনামগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

এছাড়াও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে কয়েকজন আলেম মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

অপরদিকে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যায়নি নিবন্ধিত চারটি ইসলামী দল। দলগুলো হলো- চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, শায়খ জিয়াউদ্দীন নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল গতকাল। এরপর বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। এরপর ৩০০ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।




পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে পিটার হাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ।বৈঠকটি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে শ্রম ইস্যুতে তাদের নীতি জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারকে এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

তবে পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে পিটার হাসের আজকের বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। উল্লেখ্য, ১১ দিন ছুটি কাটিয়ে গত সোমবার ঢাকায় ফিরেছেন পিটার হাস।




আওয়ামী লীগের কোনো জোট বা সঙ্গী দরকার নেই: কাদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের কোনো জোট বা সঙ্গী দরকার নেই মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গীর দরকার নেই, আমাদের শক্তি জনগণ। দুস্কর্মের বন্ধু খুঁজে বেড়ায় বিএনপি।

তিনি বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে কৌশল পরিবর্তন করে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। নেত্রীর গাইডলাইন ফলো করে ডামি প্রার্থী হতে বাধা নেই।’

সোমবার সকালে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে ডা. মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

দেশে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়ে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছেন। নির্বাচনে দেশের মানুষ ও নেতা কর্মীদের আগ্রহ আছে।

বিএনপির নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা নির্বাচন বানচাল করার নানা পাঁয়তারা করছে। সেজন্য তারা নানা জায়গায় চোরাগোপ্তা হামলা করছে। তাদের নির্বাচন বানচাল করার স্বপ্ন পূরণ হবে না। বিক্ষিপ্ত বোমাবাজি করে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না। নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ তাতে বোমাবাজি, অগ্নিসন্ত্রাস করে নির্বাচন ঠেকানো যাবে না।




‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ভোটকেন্দ্রে যাবেন না’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনে যাবে না। ২০১৪-১৮ সালে আমরা দেখেছি দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। তাই এই নির্বাচনও দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে না। তাই আমরা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

একই সাথে চরমোনাই পীর দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।

চরমোনাই পীর তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফিলিস্তিনের পক্ষের ভূমিকাসমূহ জানেন না। অথচ আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে সব সময়ই সোচ্চার ছিলাম। তিনি আওয়ামীলীগের শাসনামলে বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে “এক্সসেপ্ট ইসরায়েল” উঠিয়ে দেয়ার প্রতিবাদ করে বলেন, এই সরকার ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছে তারাই অন্যদের ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলা নিয়ে সমালোচনা করছে। যা খুবই হাস্যকর।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ঐতিহাসিক চরমোনাই ময়দানে অনুষ্ঠিত বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, দেশে এখন নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। অর্থনৈতিক সংকট আজ বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে। এই সংকট, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা ও অশান্তি এজন্য দায়ী বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার। আ.লীগের সীমাহীন ক্ষমতালিপ্সার কারণে দেশে আজ চরম সংকট। এরা দেশকে ভালোবাসেনা তাই দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জগদ্দল পাথরের মত টিকে থাকতে চায়। এই অবৈধ সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং প্রত্যেকটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসবিবের দিল্লি সফরের সমালোচনা করে বলেন, দিল্লী কী বাংলাদেশের রাজধানী? সেখানে গিয়ে কেন অন্যান্য দেশের কুটনৈতিকদের সাথে বৈঠক করতে হবে?

তিনি বলেন- দিল্লী ওবায়দুল কাদের সাহেবদের রাজধানী হতে পারে। ভারতবর্ষের কাছে হাসিনা সরকারকে পূণরায় ক্ষমতায় বসানোর অনুরোধ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সমালোচনা করে গাজী আতাউর রহমান আরো বলেন, এদের কথা-বার্তা ও আচরণে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ কোন স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র নয়। বাংলাদেশের জনগন আর এক মূহুর্তও এই অবৈধ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায়না। সুতরাং- আমাদের মুহতারাম আমীরের ঘোষিত দাবির আলোকে দ্রুততম সময়ে অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় দেশের চলমান সংকট আরো তীব্রতর হওয়ার আশঙ্কা করছি।

একই সাথে তিনি সারাদেশ থেকে আগত ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিতে গিয়ে বলেন, আমাদের এখন প্রথম কাজ হলো এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটানোর আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করা এবং একই সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যেহেতু নির্বাচনমুখী দল সেহেতু আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতিও রাখতে হবে। যদি নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয় তবে আমীরের নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচনে ঝাপিয়ে পরে হাতপাখাকে বিজয়ী করতে হবে।

ওলামা সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম, জামিয়া ইসলামিয়া মদিনাতুল উলুম তিলপাপাড়া-ঢাকা এর মুহাতামীম মাওলানা ইউনুছ ঢালী প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

আজ বাদ ফজর মূল বয়ানের তৃতীয় বয়ান পেশ করেন আমীরুল মুজাহদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এবং আজ বাদ মাগরীব মূল বয়ানের তৃতীয় বয়ান পেশ করবেন নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।

আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় মাহফিল স্টেজে সারাদেশ থেকে আসা ছাত্রদের নিয়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার চরমোনাই ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ অংশগ্রহণ করবেন।

এদিকে মাহফিলে অংশগ্রহণকারী মুসল্লীদের মধ্যে (একজন) ফতুল্লা-নারায়ণগঞ্জ নিবাসী মোঃ কারামত আলী (৭৫) পিতা- মৃত মারফত আলী গতকাল ২২ নভেম্বর রাত ৭.৪৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে লাশ তার স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করা হয়। চরমোনাই অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতালে গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫শতাধিক মুসল্লীর চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।




বিএনপি ভোটে এলে আলোচনা করবে ইসি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপি নির্বাচনে ফিরতে চাইলে নির্বাচন কমিশন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা।

সোমবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশনারের কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান, বিএনপিসহ অনেক দল এখনো নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে আছে। তারা যদি ভোটে ফিরতে চায়, এই তফসিলে কি ফেরা সম্ভব বা নাকি বিএনপির জন্য বিশেষ বিবেচনা থাকবে?

জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমার জানা মতে পূর্বেও ওনারা একটু পরেই নির্বাচনে এসেছিলেন এবং সুযোগটা পেয়েছিলেন। এবারও ওনারা যদি ফিরতে চান, কীভাবে কী করা যাবে নিশ্চয়ই আমরা আলোচনা করব। ওনারা সিদ্ধান্ত নিলে, আসতে চাইলে অবশ্যই আমরা ওয়েলকাম করব। ওনারা আসতে চাইলেন আর আমরা ফিরিয়ে দেব, এমনটা হবে না।

তিনি বলেন, বিস্তারিত এখন কিছুই বলব না। ওনারা যদি আসেন আমরা কমিশনাররা বসব, আইনকানুন দেখব। তারপর যেটা সিদ্ধান্ত হয়, হবে। অগ্রিম কিছু বলতে পারব না।

তার মানে আপনারা বিবেচনা করবেন– প্রতি উত্তরে রাশেদা বলেন, এলে তো বিবেচনা করবই, অবশ্যই করব। আমরা তো চাই সব দল এসে একটা সুন্দর নির্বাচন হোক।

এই বিবেচনার মধ্যে কী পন্থা আছে জানতে চাইলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কী পন্থা আছে এই মুহূর্তে আমি বিস্তারিত বলতে পারব না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার জানা মতে ওনারা এসেছিলেন। ওই নির্বাচনে ওনাদের জন্য একটু স্পেস তৈরি করা হয়েছিল। আমরা যেভাবে আইনে আছে, সেভাবেই করব। আমি ডিটেইল আর কিছু বলব না।

জাতীয় পার্টি তফসিল পেছানোর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে। তফসিল একটু পেছানো যায় কি না– এ প্রশ্নের জবাবে রাশেদা বলেন, এ বিষয়ে আমরা কিছুই বলব না। অগ্রিম বলার সময় এখনো আসেনি। যখন আসবে, যেটা হবে, সেটাই বলব। পরিস্থিতি যখন আসবে, পরিস্থিতি দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। অগ্রিম এ বিষয়ে কোনও কথাই বলব না। বলা উচিত নয়। ওনারা এলে আমরা ওয়েলকাম করব। এটার জন্য, ওনাদের জন্য আইন অনুযায়ী যেভাবে পথ সৃষ্টি করতে হবে সেভাবে করব। কিন্তু আগেই বলব না।

রাশেদা সুলাতানা বলেন, সংকট সৃষ্টি হওয়ার আগেই যদি ওনারা আসেন? কাজেই এখনই কিছু বলব না। অতীতে যেভাবে হয়েছে আমরা দেখব। যদি সময় বাড়ানো প্রয়োজন হয়, আমরা বাড়াব। যদি বাড়ানোর প্রয়োজন না হয়, এভাবেই হয়, তাহলে হবে। কোনো অসুবিধা নেই। যদি এই তফসিলের মধ্যেই আসে, তাহলে তো তফসিলে হাত দেওয়ার দরকার নেই।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, নিশ্চয়ই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের এখনো স্পেস আছে। মাঠের রাজনীতিতে যখন বিভাজন তৈরি হয়েছে, তখন শান্ত নাকি অশান্ত তা আমার বলতে হবে না। আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন। জনগণও দেখতে পাচ্ছে। পরিবেশ অশান্ত আছে, তাই বলে শান্ত হবে না– এমন তো কোনো কথা নেই। যেকোনো মুহূর্তে শান্ত হতে পারে।

তিনি দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, আমাদের প্রতি আস্থা রাখুন। আসুন, নির্বাচন করুন। নিঃসন্দেহে আপনারা একটা ভালো, সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন। ভোটাররা এসে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন। নিশ্চয়ই আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করব।




তফসিল ঘোষণা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করল: চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম নির্বাচনী তফসিল ঘোষণায় এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, জন আকাঙ্খার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা জনগনের সাথে তামাশার শামিল। একতরফা তফসিল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করল।

তিনি বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে দলীয় সরকারের বাইরে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে তা দেশের জনগণ কোনভাবেই মেনে নিবে না।

প্রতিক্রিয়ায় চরমোনাই পীর বলেন, আজকের নির্বাচনী তফসিলে দেশের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন আরো একটি প্রহসনের নির্বাচনের পথে হাটার যে ঘোষণা দিয়েছে তা জনগণ সফল হতে দিবে না।

চরমোনাই পীর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আজ (১৬ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সরকার এই ইসিকে দিয়ে একতরফা নির্বাচন করতে চেয়েছে। বিরোধী আন্দোলনকে সহিংস আখ্যা দিয়ে দমন করতে চেয়েছে। সরকার একতরফা নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতার বৈতরণি পার হতে চায়। জনগণ এবার তা গ্রহণ করবে না। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন আগেও হয়নি, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না, এটি প্রমাণ হয়েছে।




নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল পুলিশের বাধায় পণ্ড হওয়ার পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, বৃহস্পতিবার প্রতিটি জেলা, প্রতিটি মহানগরে ইসলামী আন্দোলন মিছিল করবে। সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন আমরা মেনে নেব না।

এর আগে, তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম থেকে ইসি অভিমুখে গণমিছিল শুরু করে ইসলামী আন্দোলন। মিছিলটি পল্টন-কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর মোড়ে আসলে পুলিশ সেখানে ব্যারিকেড দেয়। পরবর্তীতে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করে দলটি।

এ সময় মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ ভাইদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিবাদ নেই। আমরা চাইলেই এই ব্যারিকেড ভাঙতে পারি। কিন্তু আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি।

এদিকে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নগরীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তফসিল ঘিরে বিরোধীদলগুলো আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন হলে পুলিশ সহযোগিতা করবে। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




সামনে নির্বাচন, এখন আর সংলাপের সুযোগ নেই: কাদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। তাই এখন সংলাপের আর সময় নেই। বিএনপিকে আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছিলাম, শর্ত ছাড়া সংলাপে আসলে তখন আমরা বিবেচনা করব। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে ওবায়দুল কাদেরের কাছে একটি চিঠি দেন। পরে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু একটি চিঠি আমার কাছে পাঠিয়েছেন। সেই চিঠি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আমার কাছে পৌঁছে দিতে এসেছিলেন। চিঠি পেয়েছি। এখন দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ব্যাপারে কথা বলতে পারব। ‌এক পৃষ্ঠার একটি চিঠি আমি পড়েছি। তাতে লেখা আছে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার বিষয়টি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কারো পক্ষে নয়।

তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশের কোন রাজনৈতিক দল যারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে, তারা সংলাপকে অ্যাভোয়েড করতে পারে না। যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। ফলে এই সময়ের মধ্যে এখন আর বিএনপির সঙ্গে সংঘাতের কোনো সুযোগ নেই। সেই সময় নেই। আমরা যখন তাদেরকে বলেছিলাম শর্ত ছাড়া সংলাপে জন্য। তারা তখন সেটিতে রাজি হয়নি।




আজ বিকালে ইসি অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

একতরফা তফশিল ঘোষণার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বুধবার বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত হবেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল শুরু করবেন তারা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমাধ্যম সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আজ এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমিছিলে নেতৃত্ব দিবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।

এর আগে গত রোববার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম নির্বাচনি তফশিল ঘোষণার দিন নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করার ঘোষণা দেন।