সততার রাজনীতির বিরল দৃষ্টান্ত বঙ্গবন্ধুর পরিবার: ওবায়দুল কাদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মীরা অনেকেই বলেন মূল্যায়ন হয়নি, কিছু পায়নি। এ ধরনের হাহাকার শুনতে পাই। একটু বঙ্গবন্ধু পরিবারের দিকে চেয়ে দেখুন। বঙ্গবন্ধু যখন জেলে ছিলেন কীভাবে এ পরিবার চলেছে। কীভাবে বেগম মুজিব একটা পরিবারকে আগলে ধরেছেন। সেই ইতিহাস পড়ুন। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। সততার রাজনীতির বিরল দৃষ্টান্ত বঙ্গবন্ধুর পরিবার। এ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।

দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কৃষি ও সমবায় উপ-কমিটি আয়োজিত এক আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে  মন্তব্য করেন তিনি।

কাদের বলেন, ‘আগামী বছর যখন একে একে মেগা প্রকল্পগুলো উদ্বোধন হবে, তখন বিএনপি চোখে সর্ষেফুল দেখবে। বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতি বড় জটিল। মানুষ এখন উন্নয়ন চায়। মানুষ এখন চরিত্রবান লোককে ক্ষমতায় দেখতে চান। তিনি হলেন একমাত্র শেখ হাসিনা।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছেলে-মেয়েদের দিয়ে বিকল্প কোনো পাওয়ার হাউস বা হাওয়া ভবন নির্মাণ করেননি। তিনি তাদের জ্ঞানে গরিমায়, মেধায়-পড়াশোনায় সমৃদ্ধ করেছেন।

কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আমি বলবো হাহাকার করছেন কেন? বাংলাদেশে এখন উপার্জনে, বেঁচে থাকার অনেক পথ, অনেক দুয়ার শেখ হাসিনা খুলে দিয়েছেন। টাকা-পয়সার দিকে চোখ দিয়ে লাভ নেই। বঙ্গবন্ধু পরিবারের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করুন। নেত্রীর দিকে তাঁকান। টাকা-পয়সা সম্পদের দিকে তাকাবেন না।

তিনি বলেন, আমার অবাক লাগে কিছু কিছু মানুষ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। শুধু টাকা আর টাকা। সম্পদ আর সম্পদ। দেশে সম্পদ, বিদেশে সম্পদ। এদের এ বেপরোয়া লোভ-লালসার যেন কোনো শেষ নেই। আমি মাঝে মাঝে ভাবি জীবন উপভোগের জন্য এদের আর কত টাকা দরকার? কত সম্পদের দরকার।

সবাইকে আদর্শের রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, বেঁচে থাকার জন্য টাকা ও সম্পদ বানানোর প্রয়োজন নেই। দুনিয়া থেকে চলে গেলে এগুলো কে খাবে? এত টাকা এত সম্পদের কি প্রয়োজন। মিনিমাম যেটুকু প্রয়োজন সচ্ছলতার জন্য, সেইটুকু অর্জন করেন।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনার সততা থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান করেন কাদের। বলেন, ‘যার টাকা-পয়সার প্রতি লোভ নেই। বাংলাদেশের বহু গরিব মানুষ শেখ হাসিনার সাহায্যে চলে। বহু অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন।’

কাদের বলেন, ‘এ দেশের রাজনীতিতে পঁচাত্তর পরবর্তীতে সবচেয়ে ঝুঁকিময় জীবন যে রাজনৈতিকের তার নাম শেখ হাসিনা। বার বার ষড়যন্ত্রের রাজনীতির শিকার হয়েছেন তিনি। তার জীবনের ওপর বারে বারে আঘাত করা হয়েছিলো। অন্তত ২০ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এখনও ষড়যন্ত্রের বুলেট তার পিছু ছাড়েনি। কিন্তু শেখ হাসিনা ভয়কে জয় করেছেন। বাবা বঙ্গবন্ধুর মতো ভয়কে জয় করে, স্মিতহাস্যে সব ষড়যন্ত্র মাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতা কে হবেন তা জানতে চেয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপিকে প্রশ্ন করতে চাই এবং বলতে চাই। আগামী নির্বাচনে আপনাদের নেতা কে? আন্দোলনে আপনাদের নেতা কে? কাকে ঘিরে আন্দোলন করবেন? কাকে ঘিরে সরকার গঠন করবেন? আমরা বলে দিচ্ছি আমাদের নেতা হচ্ছেন শেখ হাসিনা।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার বিকল্প একজন নেতা আপনারা (বিএনপি) দেখান। একজনকে দেখাবেন। পলাতক, দণ্ডিত আসামি। তিনি আপনাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। এটা কি বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে? মানুষ এতো বোকা নয়। মানুষ জানে বিএনপিকে ভোট দিয়ে লাভ নেই।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য বিভিন্ন দলকে ডাক দিয়েছেন। গতবারও ড.কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একটা ঐক্য করেছিলেন। সেই ঐক্যের ফলাফলও এ দেশের মানুষ দেখেছে।’

কৃষি ও সমবায় উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মির্জা আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফরিদুন্নাহার লাইলীর পরিচালনায় আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।




দুর্গাপুরে এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদারের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে তিন বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামীলীগ‘র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদার এর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে জালাল তালুকদার হত্যার প্রতিবাদ পরিষদ ও জালাল সেনা পরিষদের আয়োজনে দোয়া, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও গরীবদের মাঝে খাদ্য বিতরণের মাধ্যমে এ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জালাল সেনা পরিষদের আহবায়ক আব্দুস সাত্তার, পৌর কাউন্সিলর মো. আল আমিন, আওয়ামীলীগ নেতা জাকির ভুইয়া, আওমীলীগ নেতা আঃ রাজ্জাক প্রমুখ।

উল্লেখ্য: ২০১২ সালের এই দিনে সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদার নিজ বাসভবনে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছেন। এই হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন।




ইউপি-পৌরসভায় ২০ সেপ্টেম্বর থেকে আবার ভোট

ওই দিন ১৬১ ইউনিয়ন পরিষদ এবং ৯টি পৌরসভায় একযোগে ভোটগ্রহণ চলবে।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সভা শেষে এই তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে জুন মাসে ইউপি ভোট শুরু করেও এগিয়ে নিতে পারেনি ইসি।

ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২১ জুন ২০৪টি ইউনিনে নির্বাচন হয়েছিল। তখন ১৬৭ ইউপির নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়।

তবে প্রার্থী মারা যাওয়ায় পাঁচটি ইউপি এবং সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নে ভোট এই দফায়ও হচ্ছে না।

২০ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ১৬১ ইউপি এবং ৯টি পৌরসভায় ভোট হবে।

নয়টি পৌরসভার সবকটিতে এবং ১৬১ ইউপির মধ্যে ১১টিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে বলে ইসি সচিব জানান।

প্রায় চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদের বাকি সাধারণ নির্বাচন কয় ধাপে এবং কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।

ইসি সচিব বলেন, “এ বছরের মধ্যে বাকি নির্বাচনগুলো সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ মাসের শেষে আরেকটি কমিশন বৈঠক হবে। সেখানে ইউপি ভোটগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার কমিশন সভায় বসে।

এই সভায় কুমিল্লা-৭ উপনির্বাচন, সিটি, জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়।

কুমিল্লা-৭ আসনে উপনির্বাচনে ৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণের তারিখ রেখে তফসিল ঘোষণা হয়েছে।

আলী আশরাফের আসনে উপনির্বাচন ৭ অক্টোবর

ইসি সচিব জানান, একই তফসিলে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে উপনির্বাচনও হবে।

এই উপনির্বাচনে উপজেলা পরিষদের ৯টি চেয়ারম্যান, ৬টি ভাইস চেয়ারম্যান; পৌরসভায় মেয়র পদে ১টি, কাউন্সিলর পদে ৫টি এবং বিভিন্ন সিটি করপোরেশেনের ৫টি কাউন্সিলর পদের জন্য ভোটগ্রহণ হবে ৭ অক্টোবর।

কমিশনের সিদ্ধান্ত জানাতে ইসির প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর, যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান, যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।




বরিশালে ইউএনও-পুলিশের মামলায় আ. লীগের ৯ নেতাকর্মীর জামিন

ডিএনবি নিউজ  ডেস্ক:

বরিশালে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মীকে জামিন দিয়েছে আদালত।

আসামি পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ্ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- ইকতিয়ার উদ্দিন, আব্দুল সালাম মনু, আলো গাজী, মো. মমিন উদ্দিন কালু, মো. কবির তালুকদার, হুমায়ুন হাওলাদার, ইলিয়াস, জমির উদ্দিন ও নাসির উদ্দিন।

এদের মধ্যে ইকতিয়ার উদ্দিন, সালাম মনু, আলো গাজী উভয় মামলা থেকে জামিন পেয়েছেন। বাকি ছয়জন পুলিশের দায়েরকৃত জিআর- ৫৯৭/২১ নম্বর মামলার আসামি।

আদালতের সরকারি নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই খোকন চন্দ্র দে এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম ঝন্টু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা এবং পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে পুলিশ এবং ইউএনও পৃথক দুটি মামলা করেন। দুটি মামলায় সিটি মেয়রকে প্রধান আসামি করে মোট ৬০২ জনকে আসামি করা হয়।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ছাড়া বিসিসি’র ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইয়েদ আহম্মেদ মান্নাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ২। গত সোমবার গ্রেপ্তারকৃত ১৮ আসামির জামিন আবেদন করা হলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন।

এ ছাড়া গত ২১ আগস্ট রাতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্থতায় ১৮ আগস্টের ঘটনায় সিটি মেয়র এবং প্রশাসনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে। সবশেষ বুধবার ১২ আসামির জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম ঝন্টু বলেন, আমরা আদালতের নিয়ম মেনে জামিনের আবেদন করেছি। বাকি আসামিদের জামিনের জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন জানানো হবে। আশা করছি আদালত বাকি আসামিদের জামিন মঞ্জুর করবেন।




শোকের মাস আগস্ট শুরু, মাসজুড়েই থাকছে কর্মসূচি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

শোকের মাস আগস্ট। করোনার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এবারের শোকাবহ এ মাসটিতে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচির আয়োজন শুরু হয়েছে।

আজ শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন। এ দিন থেকেই আগস্ট মাসজুড়ে বাঙালি জাতি স্মরণ করবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্বাধীনতার স্থপতি মহান এই নেতার প্রতি হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা নিবেদন করবে বাঙালি জাতি। ঘৃণা, ধিক্কার জানাবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যাকারী এ দেশীয় দোসর ও একাত্তরে পরাজিত ঘৃণিত শত্রুদের।

যদিও বরাবরের মতো এবারের আগস্টের প্রথম প্রহর তথা গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটেই মোমবাতি প্রজ্বালন, আলোর মিছিল, শপথগ্রহণ ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দল ও সংগঠন শোকের মাসের কর্মসূচি সূচনা করেছে। অবশ্য করোনাভাইরাসের অব্যাহত সংকটের মুখে সব কর্মসূচিই ছিল সংক্ষিপ্ত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর মাসব্যাপী কর্মসূচির সূচনাও ঘটেছে আগস্টের প্রথম প্রহরেই। যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবন অভিমুখে আলোর মিছিল, শপথগ্রহণ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছে।

বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত শোকাবহ মাস হচ্ছে আগস্ট। এই আগস্টেই জাতির ইতিহাসের চরমতম শোকবিধুর ও কলঙ্কিত এক অধ্যায়ের সূচনা ঘটেছিল। ১৯৭৫ সালের এই আগস্টের মধ্যভাগে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল বাঙালির স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সেদিন হাজার বছরের ইতিহাসের এই মহানায়কের বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল শ্যামল বাংলার মাটি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে জাতির পিতা হত্যার সঙ্গে একাত্তরের পরাজিত শত্রুদের কূট ষড়যন্ত্র আর হামলার শিকার হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং চেতনাও। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে এর বিচারের পথ রুদ্ধ করে আরেক কলঙ্কিত ইতিহাস রচনা করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কলঙ্কিত সেই অধ্যাদেশ বাতিল ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া ও নানা কূটকৌশলের জাল ছিন্ন করে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা এবং পাঁচ ঘাতকের ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হয়েছে। তবে পুরো জাতি এখনও প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে বঙ্গবন্ধুর বাকি ছয় পলাতক খুনির ফাঁসি কার্যকরের সেই মাহেন্দ্রক্ষণের।

এই আগস্টেই ঘটেছিল জাতির ইতিহাসের আরও একটি বিয়োগান্তক ঘটনা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছিল ইতিহাসের ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলা। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে চালানো ওই গ্রেনেড হামলা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও ঝরে গিয়েছিল মহিলা আওয়ামী লীগ নেতা আইভি রহমানসহ ২৪টি তাজা প্রাণ।

আজকের কর্মসূচি: বিভিন্ন দল ও সংগঠন শোকের মাসের প্রথম দিনে আজ রোববার দেশজুড়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করবে। সারাদেশের মানুষ বুকে শোকের প্রতীক কালোব্যাজ ধারণ করবে। রয়েছে শোক র‌্যালি, টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার কবর ও বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে তার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, স্বেচ্ছায় রক্তদান, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা প্রভৃতি। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আজ বেলা সাড়ে ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে বঙ্গবন্ধু স্মরণে প্রদীপ প্রজ্বালন অনুষ্ঠান করবে।




চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিলেন মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ আজাদী

ডিএনবি নিউজ ড্কে:

বরিশাল সদর ৬ নম্বর জাগুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিয়েছেন নব নির্বাচিত আলেম মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ আজাদী। আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) জাগুয়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ শপথ নেন তিনি। এ সময় তাকে উপজেলার দায়িত্বশীল ব্যক্তি শপথবাক্য পাঠ করান। এর আগে গত ২১ জুন ২০২১ অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল সদর ৬ নম্বর জাগুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন তিনি।

শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যেন আমার দায়িত্ব সৎ ও নিষ্ঠার সাথে, সঠিকভাবে ইবাদাত মনে করে পালন করতে পারি, এ জন্য সকলের দোয়া চাই।’

মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ আজাদী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে হাতপাখা প্রতীকে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মুফতি হেদায়াতুল্লাহ আজাদী শৈশব থেকেই ইসলামী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি হয় মুক্তিযোদ্ধা দাদার মাধ্যমে।

মুফতি হেদায়াতুল্লাহ আজাদী জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা থেকে দাওরা এবং জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া থেকে ইফতা পাস করেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন খতিব, শিক্ষক ও বক্তা। তিনি ঢাকার ধোলাইপাড়ের পুকুরপাড় জামে মসজিদের খতিব ও ইসলামী একাডেমি বাংলাদেশ নামক একটি ইসলামী স্কুলের পরিচালক।




দুর্গাপুরে নানা আয়োজনে আ’লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে উপজেলা আ‘লীগ ও তাঁর অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে নানা আয়োজনে বাংলাদেশ আ‘লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে আওয়ামীলীগ অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, কেক কাটা, আলোচনাসভা সহ দেশ ও জাতীর কল্যানে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিন আল আজাদ এর সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক মো. সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ‘লীগের সহ:সভাপতি মো. এমদাদুল হক খান, মো. উসমান গনি তালুকদার, শ. ম জয়নাল আবেদীন, পৌর মেয়র মো. আলা উদ্দিন, উপজেলা আ‘লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ হক, উপজেলা আ‘লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক বিভাস সরকার, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল হান্নান সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে সব আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। বিশ্বের দরবারে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বাংলাদেশকে। আজকে বাংলাদেশ দুনিয়ায় উন্নয়নের বিস্ময়কর রোল মডেল। দেশের উন্নয়ন মুলক কাজে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।




দুর্গাপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরশহরের দক্ষিন ভবানীপুর এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ সায়েদুর রহমান আকঞ্জি (দুদু মিয়া) (৮০) রোববার দুপুরে উনার নিজ বাড়ীতে বার্ধক্য জনিত কারনে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ……….. রাজিউন) মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ মেয়ে ও ২ ছেলে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

রোববার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন বিরিশিরি ঈদগাহ মাঠে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার প্রদান, বাদ আছর নামাজে যানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার, পৌর মেয়র মো. আলা উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ‘র কার্যনিবাহী সদস্য রেমন্ড আরেং, উপজেলা আওয়ামীলীগ‘র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিন আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. সোহরাব তালুকদার, ওসি শাহনুর এ আলম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

 




হেফাজত নেতা মামুনুলের ১৮ দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে আজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাউসার আলম শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই আদেশ দেন।

গত ২৮ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে সাইনবোর্ড এলাকায় সহিসংতা ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলা হয় মামুনুলের বিরুদ্ধে। তাছাড়া তার কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলা, সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে হামলা ও ভাংচুরের মামলা, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ঘটনার ছয় মামলায় মামুনুলক ১৮ দিনের রিমান্ডে পেয়েছিল পুলিশ।

২০১৩ সালে রাজধানীর শাপলা চত্বরে সমাবেশের সময় হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় মতিঝিল থানার মামলা ও চলতি বছরের মার্চে বায়তুল মোকারমে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।

প্রথমে তাকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও গত ১১ মে রাতে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।




হেফাজতের কাউকেই হয়রানি করা হবে না: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

হেফাজতে ইসলামের কোনো নেতাকর্মীকে অযথা হয়রানি না করার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৬ষ্ঠ বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বুধবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৬ষ্ঠ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া হেফাজতে ইসলামের কোনো নেতাকর্মীকে ভবিষ্যতে গ্রেফতার করা হবে না। এখনো কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। তবে তারা যাতে আইনের অপব্যবহার করতে না পারেন সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। যারা অপকর্ম করাচ্ছে তারা খুবই নগণ্য সংখ্যক। কয়েকজন হাতেগোনা। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাদের চিহ্নিত করেছে। অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, প্রমাণ হলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি ও সশরীরে ছিলেন।