সাংবাদিক তোয়াব খান আর নেই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশবরেণ্য সাংবাদিক তোয়াব খান (৮৭) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক ছিলেন।

শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। বার্ধক্যজনিত জটিলতায় অসুস্থ হয়ে তোয়াব খান হাসপাতালটির কার্ডিওলোজিস্ট ডা. কায়সার নাসরুল্লাহ খানের অধীনে ভর্তি ছিলেন।

ইউনাইটেড হাসপাতালে জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান শুভ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০১৬ সালে একুশে পদক পাওয়া তোয়াব খানের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে। দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান।

দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তিনি। এরপর নতুন আঙ্গিক ও ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তিনি। ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।




সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিলে সাজার কথা ভাবছে ইসি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নির্বাচনের খবর সংগ্রহে সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কারাদণ্ড ও জরিমানার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।

এরই মধ্যে সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডসহ বেশ কিছু সুপারিশ পাঠানো হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।

মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘আমরা কিছু কিছু আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছি। যেহেতু আপনারা (সাংবাদিক) আমাদের চোখ, কান এবং আমাদের বদলে আপনারা হাজির থেকে সঠিকভাবে নির্বাচন কাভার করেন। আপনাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা আইনে নতুন একটা বিধান সংযোজন করেছি। সেটা হচ্ছে—কেউ যদি আপনাদের বাধাগ্রস্ত করে, যদি আপনাদের অ্যাসল্ট করে, যদি আপনাদের ইকুইপমেন্ট এবং সঙ্গী-সাথী যারা আছেন, তাদের কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন বছর এবং ন্যূনতম এক বছর জেলের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া জরিমানার বিধান রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ক্যামেরাই আমাদের চোখ। আমাদের চোখে যেন প্রত্যেকটা অনিয়ম ধরা পড়ে। এজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। আমার (ইসির) অন্যায়গুলো আপনার চোখে ধরা পড়লে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অনিয়ম, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। এজন্য এই নির্বাচনে ২৬৫টি ভোটকক্ষে ৩৬৫টি সিসি ক্যামেরা রেখেছি। কন্ট্রোল রুম আমাদের ইসিতেই আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেখানে যেটা অনিয়ম ধরা পড়েছে, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। জোরপূর্বক একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, সেটা আমরা চিহ্নিত করেছি। মাঠ প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতিা নিশ্চিত হওয়া ছাড়াও যারা সন্ত্রাসী, জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে, তারা ভয়ের মধ্যে থাকে। ১১টা বুথে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা অনিয়মে জড়িতদের সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় এনেছি।’

আহসান হাবিব খান আরও বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনেও সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেওয়ার আন্তরিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা থাকবে। এটার সঙ্গে আর্থিক ও টেকনিক্যাল সাপোর্টের বিষয় আছে। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটও নাই। তবে আমাদের ইচ্ছা আছে।’

এ নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘বাজেট বরাদ্দের ঘাটতি থাকলে ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা দেব। ইচ্ছা আছে পুরো নির্বাচনটাই সিসি ক্যামেরার মধ্যে আনা। সংসদের আগে যত নির্বাচন হবে সবগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করবো এবং সিসি ক্যামেরা থাকবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজনীতা বাড়ছে। এটা লাক্সারি নয়, এটা এখন প্রয়োজন।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবিব খান বলেন, ‘আস্থা বিশ্বাস হচ্ছে নিজস্ব ব্যাপার। আমার ওপর আমার বিশ্বাস আছে। কিন্তু, আপনার কি আছে? আস্থা ফেরানোর চেষ্টা শেষ পর্যন্ত আমরা করব। আমাদের নিজের ওপর শতভাগ আত্মবিশ্বাস আছে।’




বরিশালে সন্ত্রাসী হামলার শিকার সাংবাদিক শফিউর রহমান কামাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বরিশাল সদর হাসপাতালে দালাল চক্রের বিরুদ্বে সংবাদ প্রকাশ করায় হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক শফিউর রহমান কামাল। আজ সকাল ১১টায় হাসপাতালে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটে। আহত কামাল স্থানীয় প্রাচীন দৈনিক সত্য সংবাদ পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক।  এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন কামাল। জানা যায় শফিউর রহমান কামাল অত্যন্ত সাহসীকতা ও সুনামের সাথে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করে আসছেন। সদর হাসপাতালে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে একাধিক সংবাদও প্রকাশ করেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে কামালকে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল দালাল চক্রের সদস্যরা।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল ১১টার দিকে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও কর্মচারীসহ তাদের পালিত দালাল চক্র পূর্বপরিকল্পিতভাবে অতর্কিত এই হামলা চালায় কামালের ওপর। এতে গুরুত্বর জখম হয় সাংবাদিক কামাল। পাশাপাশি তার সাথে থাকা ১৯ হাজার ৫০০ টাকা ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এদিকে সাংবাদিক শফিউর রহমান কামালের ওপর হামলায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।  অবিলম্বে তারা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান। এ বিষয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার  ওসি (তদন্ত)  লোকমান হোসেন জানান ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




দুর্গাপুরে সাপ্তাহিক সুসঙ্গ বার্তা পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ও সম্মাননা প্রদান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুর থেকে প্রকাশিত স্থানীয় সাপ্তাহিক সুসঙ্গ বার্তা পত্রিকা ৯ বছরে পর্দাপণ করেছে। এ উপলক্ষে রোববার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নানা আয়োজনে এ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রবীণ সাংবাদিক প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাহাদাত হোসেন কাজল, প্রেসক্লাব সভাপতি এসএম রফিকুল ইসলাম রফিক, সাবেক প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ মোহন মিয়া’কে সুসঙ্গ বার্তা’র পক্ষ থেকে সম্মাননা দেওয়া হয়। পূর্ব আলোচনায় প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাহাদাত হোসেন কাজল’র সভাপতিত্বে ও পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এবং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল তালুকদার এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান, দুর্গাপুর সার্কেল এর সিনিয়র এএসপি মাহমুদা শারমিন নেলী, ডাঃ দিবালোক সিংহ, একাডেমিক সুপারভাইজার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক পৌর মেয়র মোঃ শ.ম জয়নুল আবেদীন, অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার, প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন, কবি লোকান্ত শাওন। আরও উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক ও সাবেক সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, প্রেসক্লাব কোষাধ্যক্ষ ও ডিএনবি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সম্পাদক এইচ.এম সাইদুল ইসলাম, পথ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক নাজমুল হুদা সারোয়ার, সাংবাদিক মোঃ সফিউল্লাহ, ধ্রুব সরকার, মাইকেল প্রদীব, পল্টন হাজং, মাসুম বিল্লাহ, আল নোমান শান্ত প্রমুখ।




শোক দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

আজ বুধবার সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনার কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, জাতীয় পতাকা বিধি অনুসরণে পতাকার রং হবে গাঢ় সবুজ এবং ১০:৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তাকার ক্ষেত্রের গাঢ় সবুজ রঙের মাঝখানে লাল বৃত্ত থাকবে। বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে পতাকার দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ। ভবনে উত্তোলনের জন্য পতাকার তিন ধরনের মাপ হচ্ছে দশ ফুট বাই ছয় ফুট, পাঁচ ফুট বাই তিন ফুট এবং আড়াই ফুট বাই দেড় ফুট।

আরও বলা হয়, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় প্রথমে পতাকা দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে। এরপর নামিয়ে অর্ধনমিত অবস্থায় বাঁধতে হবে। দিনশেষে পতাকা নামানোর সময় আবার দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উঠাতে হবে, তারপর ধীরে ধীরে নামাতে হবে।




বর্তমান সরকার সম্পাদকদের হুমকি দিচ্ছে: ফখরুল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, বর্তমান সরকার পত্রিকার সম্পাদকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এতে খুব কষ্ট লাগে, দুঃখ লাগে। হুমকি দিয়ে সাংবাদিকদের সাহসিকতাকে কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র হত্যায় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ আইন, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ যে চারটি আইন করেছে, তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কফিনে পেরেক দেওয়ার মতো, এটা সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বড় কয়েকটি সমস্যার একটি। সারা বিশ্বই মুক্ত গণমাধ্যমের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশে।

আমরা যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি পালন করছি, তখন অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, গণমাধ্যমকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যারা স্বাধীনভাবে লিখতে চান, মত প্রকাশ করতে চান, তারা তা করতে পারছেন না।’

তিনি বলেন, ‘এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতন্ত্রের মৌলিক বিষয়গুলো তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। এটা করতে গিয়ে তারা ধরে নিয়েছে, সবার আগে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রায় প্রতিটি গণমাধ্যমকে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের নজরদারি এমন পর্যায়ে গেছে, কোন সাংবাদিক কখন কার সঙ্গে কথা বলছেন, দেখা করছেন, সেটাও তারা নজরদারি করছে এবং সুবিধামতো তাদের কথোপকথন প্রকাশ করে দিচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবারই সোচ্চার হওয়া উচিত, অন্যথায় আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দায়ী হয়ে থাকব।’

মতবিনিময় সভায় ‘মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের ক্রমাবনতির প্রেক্ষিত ও বিএনপির ভাবনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা।




সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: ‘

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা বিশিষ্ট সাংবাদিক, গীতিকার, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক স্বদেশ রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়ার চৌধুরীবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। তার বাবা হাজী ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা জহুরা খাতুন। ১৯৫০ সালে গাফফার চৌধুরী পরিপূর্ণভাবে কর্মজীবন শুরু করেন। এ সময়ে তিনি ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। মহিউদ্দিন আহমদ ও কাজী আফসার উদ্দিন আহমদ তখন ‍‘দৈনিক ইনসাফ’ পরিচালনা করতেন। ১৯৫১ সালে ‘দৈনিক সংবাদ’ প্রকাশ হলে গাফফার চৌধুরী সেখানে অনুবাদকের কাজ নেন। এরপর তিনি বহু পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন।

মাসিক সওগাত, দিলরুবা, মেঘনা, ইত্তেফাক, আজাদ, জেহাদ ও পূর্বদেশসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন বরেণ্য এই সাংবাদিক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সপরিবারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আগরতলা হয়ে কলকাতা পৌঁছান। সেখানে মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক জয়বাংলায় লেখালেখি করেন। এ সময় তিনি কলকাতায় দৈনিক আনন্দবাজার ও যুগান্তর পত্রিকায় কলামিস্ট হিসেবেও কাজ করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দৈনিক জনপদ বের করেন।

১৯৭৩ সালে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলজিয়ার্সে ৭২ জাতি জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যান তিনি। দেশে ফেরার পর তার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কলকাতা নিয়ে যান। সেখানে সুস্থ না হওয়ায় তাকে নিয়ে ১৯৭৪ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনে যান। এরপর তার প্রবাসজীবনের ইতিহাস শুরু হয়।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ছোটদের উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘সম্রাটের ছবি’, ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, ‘বাঙালি না বাংলাদেশী’সহ তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ৩০। এছাড়া তিনি কয়েকটি পূর্ণাঙ্গ নাটক লিখেছেন। এর মধ্যে আছে ‘পলাশী থেকে বাংলাদেশ’, ‘একজন তাহমিনা’ ও ‘রক্তাক্ত আগস্ট’।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন গাফফার চৌধুরী। ১৯৬৩ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া বাংলা একাডেমি পদক, একুশে পদক, শেরেবাংলা পদক, বঙ্গবন্ধু পদকসহ আরও অনেক পদকে ভূষিত হয়েছেন।




দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার বিগত তিন বছরের কার্যক্রম ও বরাদ্দ সঠিক ব্যয় হয়েছে কিনা তা নিয়ে জবাবদিহিমুলক মতবিনিময় সভা করেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা চেয়ারম্যান এর অফিসে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায়, সকল স্থানীয় সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী ও সুশীল সমাজের নেতাকর্মীগনের উপস্থিতিতে বিগত তিন বছরের কার্যক্রম তুলে ধরেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ‘লীগ নেতা মো. মফিজ উদ্দিন তালুকদার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার সোহরাব হোসেন তালুকদার, এডভোকেট মানেশ সাহা, প্রধান শিক্ষক একেএম ইয়াহিয়া, ব্যবসায়ী আবু রায়হান, যুবলীগ নেতা ষ্ট্যালিন মোমেন ইবনে সায়িদ প্রমুখ।

উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, দুর্গাপুরে উপজেলা পরিষদ সৃষ্টির পর থেকে এ ধরনের জবাবদিহি মুলক অনুষ্ঠান কেউ করেছেন কি না আমার জানান নাই। প্রতিটি কাজের স্বচ্ছতার লক্ষে আগামী দু‘ বছর এভাবেই জনতার মুখোমুখি হয়ে, দুর্গাপুর বাসীকে সাথে নিয়ে বাকী কাজ গুলো সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করতে চাই। আলোচনা শেষে এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

 




দুর্গাপুরে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামীলী‘র আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। সোমবার দিনব্যাপি নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে সকাল ৯টা থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা এর সঞ্চালনায় ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, এএসপি সার্কে মাহমুদা শারমীন নেলী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আরিফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিন আল আজাদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার সোহরাব হোসেন তালুকদার সহ নানা দপ্তরে কর্মরত অফিসারবৃন্দ। আলোচনা শেষে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে দিবস কেন্দ্রীক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধকে জানি শীর্ষক প্রামান্য চিত্র ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন করা হয়।




দুর্গাপুরে সাংবাদিক বিজন কৃষ্ণ রায়ের স্মরণ সভা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সদস্য সাংবাদিক বিজন কৃষ্ণ রায় (চন্দন) এর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার রাতে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রেসক্লাব সভাপতি এসএম রফিকুল ইসলাম রফিক এর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল তালুকদার এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন, সাবেক সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, সাংবাদিক ধ্রæব সরকার, ধনেশ পত্রনবীশ, ডাঃ মোঃ কামরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব কোষাধ্যক্ষ ুএইচএম সাইদুল ইসলাম, সুমন রায়, চারণ রনি, রিফাত আহমেদ রাসেল, আল নোমান শান্ত প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ০৬ মার্চ ২০২১ বিকেলে বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ সড়কের গাছতলা নামক এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সাংবাদিক বিজন কৃষ্ণ রায়ের।