বরিশালকে যারা বুড়োদের দল বলেছিলেন, তাদের ধারনা ভুল: মুশফিকুর রহমান

তামিম ইকবাল (৩৪ বছর ৩৪৫ দিন), মুশফিকুর রহিম (৩৬ বছর ২৯৫ দিন) আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩৮ বছর ২৪ দিন)- ফরচুন বরিশালের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের গড় বয়স ৩৬‘র বেশি।

কেউ কেউ এই মধ্য তিরিশ পেরিয়ে যাওয়া তিনজনার গড়া ফরচুন বরিশালকে ‘বুড়োদের দল’ বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন। আজ রংপুর রাইডার্সকে হারানোর পর তাদের রীতিমতো একহাত নিয়ে ছাড়লেন মুশফিকুর রহিম।

৩৮ বলে ৪৭ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিয়ে বরিশালকে ফাইনালে তোলার নায়ক মুশফিক রাতে খেলা শেষে শেরে বাংলার কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলে দিলেন, ফরচুন বরিশালকে যারা বুড়োদের দল বলে বিদ্রুপ করেছিলেন, তারা ভুল বলেছিলেন।

মুশফিক মনে করেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বয়স্ক ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা কার্যকর নন বলে যারা ভাবেন ও বলেন, তারা ভুল করেন।

মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ভাষায়, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বরং বয়স্করা অনেক বেশি কার্যকর। কারণ এই ফরম্যাটে অভিজ্ঞতার দরকার অনেক বেশি।’

বয়স হয়ে গেছে, এমন কথা শুনে রীতিমতো ত্যক্ত-বিরক্ত মুশফিক। এক পর্যায়ে নিজের ফিটনেসকে মানদণ্ড ধরে উদাহরণ টানেন মুশফিক। চোয়াল শক্ত করে বলে ওঠেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে পারি এখনো অনেক তরুণের চেয়ে আমার ফিটনেস লেভেল অনেক ভালো। আমি তাদের অনেকের চেয়ে বেশি কার্যকর।’

মুশফিক যোগ করেন, ‘বয়স আসলে সংখ্যা মাত্র। ফিটনেস, ভালো খেলার দৃঢ় সংকল্প ও আত্মনিবেদনটাই বড়।’




ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের সারি সারি মরদেহ, স্বজনদের আহাজারিতে ভারী পুরো এলাকা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সারি সারি পড়ে আছে বেইলি রোডের ভবনে লাগা আগুনে নিহতদের মরদেহ। আপনজনদের মরদেহ নিতে মর্গের পাশেই অপেক্ষা করছেন নিহতদের স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা যেন ভারী হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সরেজমিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ ও জরুরি বিভাগের সামনে দেখা যায়, আগুনে পুড়ে নিহতদের মরদেহ নিতে স্বজনরা অপেক্ষা করছেন। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। কেউ কেউ নিহত স্বজনের স্মৃতি মনে করে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশেই অস্থায়ী তথ্য ও সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে স্বজনরা পূর্ণ ঠিকানাসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিয়ে মরদেহ বুঝে নেওয়ার প্রক্রিয়ার শেষ করছেন। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলের মর্গ থেকে কোনো মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।

ডিএমপির রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ সালমান ফারসী বলেন, এখনো মর্গ থেকে কোনো মরদেহ বের করা হয়নি। নিহতের স্বজনরা এসেছেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের কেএফসি ভবনের পাশে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১২ ইউনিট। এতে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন নিহতের তথ্য মিলেছে।

>>কপিরাইট জাগো নিউজ>>




সাকিব-তামিম যদি ভুয়া হয় তাহলে আমরা কী: প্রশ্ন মুশফিকুর রহমানের

শুধু মিরপুরের শেরে বাংলা নয়, সিলেট ও চট্টগ্রামের গ্যালারিতেও আজকাল প্রায়ই সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে নিয়ে নানা ব্যঙ্গবিদ্রুপ ও তির্যক কথাবার্তা শোনা যায়।

ক্রিকেটারদের মাঠের পারফরমেন্স ভালো হলে প্রশংসা আর খারাপ খেললে তিরস্কার, খেলার মাঠের চিরচেনা দৃশ্য। পৃথিবীর সব দেশেই এ রীতি প্রচলিত। কিন্তু দেশের সেরা ও সফলতম তারকাদের ‘ভুয়া-ভুয়া’ বলার নজির সারা পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ।

কিন্তু এবারের বিপিএলে সে ‘ভুয়া- ভুয়া’ স্লোগানটাই বেশি শোনা গেছে। আজ বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচের আগেও দর্শকদের একটা অংশ ‘সাকিব ভুয়া-ভুয়া’ লিখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে এসে উপস্থিত হন শেরে বাংলায়। যদিও ওই প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

তারপরও মুখে ‘সাকিব ভুয়া’ স্লোগান ছিল অনেকের। দেশের সেরা তারকাদের নিয়ে এমন ব্যঙ্গবিদ্রুপ ও দুয়োধ্বনি বেশ দৃষ্টিকটু ও শুনতেও খারাপ লাগে।

এসব বন্ধের কোনো উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি। তবে আজ বুধবার রাতে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচের পর এক প্রশ্নের জবাবে সাকিব-তামিমের দীর্ঘদিনের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম এমন ‘ভুয়া-ভুয়া’ বলাকে রীতিমতো অনৈতিক কাজ বলে মন্তব্য করেছেন।

মুশফিক প্রেস কনফারেন্স বলেন, ‘এমন ব্যঙ্গ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। এগুলো রীতিমতো অনৈতিক কাজ।’

সাকিব আর তামিমকে দেশের ক্রিকেটের দুই সেরা ও সফলতম তারকা হিসেবে অভিহিত করে মুশফিক বলে ওঠেন, ‘সাকিব আর তামিম যদি ভুয়া হয়, তাহলে আমরা কী?????????????




দুর্গাপুরে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

‘‘জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে-থাকবো মোরা এক আবেশে’’ এই প্রতিপাদ্যে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহনে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে ২নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ইউপি সচিব মাজহারুল ইসলাম এর সঞ্চালনায়, ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাদেকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য হযরত আলী, হাবিবুর রহমান হৃদয়, প্রধান শিক্ষক চন্দন দাস, দুলাল চক্রবর্ত্তী, হাজ্বী জামাল উদ্দিন, স্বাস্থ্য সহকারি আব্দুল মালেক, হাফেজ শিহাব উদ্দিন, নারী নেত্রী সুচনা সাংমা, দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল্ ফাহাদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, পরিকল্পিত ভাবে দেশের উন্নয়নের ধারাকে নষ্ট করতে এবং ইউনিয়নের সুনাম বিনষ্ট করতে কাউকেই সুযোগ দেয়া হবে না। এদেশের হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান একে অপরের পরিপূরক। কিন্তু একটি মহল এই সম্প্রীতিকে নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এলাকায় সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ওই সকল জনগনকে প্রতিহত করতে সকলকে এক হয়ে কাজ করার আহবান জানানো হয়।




সাংবাদিকদের সাথে নেত্রকোণা জেলা পুলিশ সুপারের শুভেচ্ছা বিনিময়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন নেত্রকোণা জেলা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি। শনিবার (২২ মে) বেলা ১১টায় জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সম্পাদক এম. মুখলেছুর রহমান খান এর সঞ্চালনায় জেলা প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে প্রেসক্লাবে কর্মরত সকল সাংবাদিকদের সাথে পরিচয় পর্ব শেষে প্রত্যেকের মতামত ও অভিযোগ শোনেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। এ সময় বক্তব্য রাখেন নেত্রকোণা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট আবদুল হান্নান রঞ্জন, যুগ্ম সম্পাদক এ.কে.এম আব্দুল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ আলতাবুর রহমান কাসেম, ম কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম, দপ্তর ও লাইব্রেরি সম্পাদক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক দিলওয়ার খান, মাই টিভির আনিসুর রহমান, যমুনা টেলিভিশনের কামাল হোসাইন, জনকণ্ঠের সঞ্জয় সরকার, গোলাম কিবরিয়া সোহেল, পাপ্পু মজুমদার প্রমুখ।

সাংবাদিকরা এসময় পুলিশ সুপারকে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ও ট্রাফিক সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। পরে সকল সাংবাদিক দের প্রশ্নের উত্তরে আইনশৃংখলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টার কথা জানান।




আজ লকডাউনের ঘোষণা আসতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ: দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। নতুন করে এই অবস্থা সামাল দিতে বিভিন্ন টাইপের লকডাউনের ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সাধারণ চলাফেরা ও লোক সমাগমের ক্ষেত্রে সরকার নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

গতকাল রোববার রাতে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেখানে আজ সোমবার দেশের কিছু এলাকার জন্য এ ধরনের ঘোষণা ‘আসতে পারে’ বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) হয়ত বিভিন্ন টাইপের লকডাউনের ঘোষণা আসবে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি- এসব এলাকায় যাওয়া-আসা বন্ধ করা, বিয়ে-শাদী অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পিকনিক এগুলোও বন্ধ করা, যেখানে জনসমাগম হয় সেসব অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ আসতে পারে।’ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কিছু প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব গেছে। এতে অনেকগুলো প্রস্তাব ছিল। সেগুলো দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা জারি করবেন। তার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের লকডাউন থাকবে।’




শাল্লায় হিন্দুদের গ্রামে হামলা: ‘মূল আসামি’ স্বাধীন মেম্বার গ্রেপ্তার

শনিবার ভোর রাতে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সিলেটে পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. খালেদ উজ জামান জানান।

তিনি বলেন, “শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামে হামলায় মূল আসামি শহীদুল ইসলাম স্বাধীন। গ্রেপ্তার করার পর তাকে কুলাউড়া থেকে পিবিআইয়ের সিলেট কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।”

শহীদুল ইসলাম স্বাধীনের বাড়ি শাল্লার পাশের দিরাই উপজেলার নাচনি গ্রামে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। গত ১৭ মার্চ শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দুদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার পর হামলাকারীদের ‘মদদদাতা’ হিসেবে স্বাধীন মেম্বারের নাম আসে।

হামলার পরদিন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়ের করা মামলাতেও স্বাধীনকে আসামি করা হয়।

ফেইসবুকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে বুধবার সকালে হামলা চালিয়ে ৬০-৭০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও আসবাবপত্র তছনছ করা হয়। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ সে সময় বলেছিল, ‘হেফাজতে ইসলামীর অনুসারীরা’ ওই হামলা চালায়।

শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হক বলেছিলেন, গত সোমবার দিরাই উপজেলায় হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত সম্মেলনে যান হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। সম্মেলনে মামুনুল হকের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে স্থানীয় এক হিন্দু যুবক ফেইসবুকে একটি পোস্ট দেন।

“ওই ঘটনাকে ধর্মীয় উসকানি আখ্যায়িত করে ওই এলাকার মামুনুল হকের অনুসারীরা মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে। এরপর বুধবার সকালে কাশিপুর, নাচনী, চণ্ডিপুরসহ কয়েকটি মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামের হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কয়েক হাজার অনুসারী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালায়। হাজারো মানুষের আক্রমণে গ্রাম ছেড়ে আত্মগোপনে যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এই সুযোগে হেফাজত নেতার অনুসারীরা গ্রামে প্রবেশ করে তছনছ করে। লুটপাট করে বিভিন্ন বাড়িতে।”

পরদিন শাল্লা থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে পুলিশের করা মামলায় ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়। আর হবিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুলের করা মামলায় ৮০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০ জনকে আসামি করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হামলাকারীদের বেশিরভাগই আসে স্বাধীনের গ্রাম দিরাইয়ের নাচনি থেকে। স্বাধীনের ‘উপস্থিতিতেই’ সেদিন হামলা হয়।

তদন্তকারীরা বলছেন, স্বাধীন মেম্বারের সাথে জলমহাল নিয়ে নোয়াগাঁওবাসীর পুরনো বিরোধ রয়েছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ব্যক্তির কথায় স্বাধীন মেম্বারের নাম এসেছে।

শহীদুল ইসলাম স্বাধীনসহ মোট ২৩ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।




মসজিদের ইমামকে মুসল্লিদের পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল উপহার

কানাইঘাট উপজেলার ১নং লক্ষ্মীপ্রসাদ পুর্ব ইউনিয়নের মুলাগুল সাউদগ্রাম জামে ইমামকে মোটরসাইকেল উপহার দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এলাকার যুব সমাজ ও মহল্লাবাসী।

গত শনিবার (১৩ মার্চ) এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতে আনুষ্ঠানিকভাবে মোটরসাইকেলের চাবি তুলে দেয়া হয়।

জানা যায়, ওই মসজিদের ইমাম সাহেব দীর্ঘদিন ধরে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ইমামতির দায়িত্ব পালনের ফলে তার প্রতি এলাকার সর্বসাধারণের একটি আলাদা ভালবাসা গড়ে ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইমাম সাহেবকে সবসময়ই সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে মহল্লাবাসী ও যুব সমাজ।

সর্বশেষ গত শনিবার ইমাম সাহেবের চলাফেরার সুবিধার্থে মহল্লাবাসী ও যুব সমাজের যৌথ উদ্যোগে একটি মোটরসাইকেল উপহার দিয়ে তাদের ভালোবাসার জানান অব্যাহত রাখে। যুব সমাজের এই ভালোবাসা পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ কামনা করেন ইমাম সাহেব।




ইসলামের কথা বলতে এসেছি, সেলফি ওঠাতে নয়: মাওলানা মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ইসলামের কথা বলার জন্য আজ দিরাই এসেছি। সেলফি ওঠাতে আসিনি।

সোমবার শানে রিসালাত সম্মেলনে যোগ দিতে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আসেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় একদল তরুণ সেলফি তুলতে আসলে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে টিকটক, সেলফি আর ফেসবুক লাইভ নিয়ে সবাই ব্যস্ত। কেন ভাই? ওইসব ছাড়া কি আপনাদের কোনো কাজ নাই? আপনাদের কি সমস্যা যে, লাইক পাওয়ার জন্য সব জায়গায় সেলফি তুলতে হবে?

উল্লেখ্য, শানে রিসালাত সম্মেলনে যোগ দিতে হেলিকপ্টারে চড়ে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় যান হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী।

এ সময় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির আল্লামা নুরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জুনাইদ আল-হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দিন মুনিরসহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।