৫০ শতাংশের পরিবর্তে আগামীকাল থেকে শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

কোভিডের বিধিনিষেধ শিথিল করে যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনা এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার স্বার্থে ৫০ শতাংশের পরিবর্তে শতভাগ যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। এ কারণে দীর্ঘদিন পর আবারও শতভাগ টিকেট নিয়ে ট্রেন ভ্রমণ করতে পারবেন ট্রেনের সাধারণ যাত্রীরা।

আগামীকাল বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে শতভাগ যাত্রী নিয়েই আন্তঃনগরসহ বিভিন্ন ট্রেন চলাচল করবে। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করে আসছিল।

সোমবার ট্রেন ভ্রমণকারী বা যাত্রীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শতভাগ ট্রেন ভ্রমণের ক্ষেত্রে কঠোর নজরদারি রাখা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকেই শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেনে। করোনার মহামারির কারণে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে পুনরায় শতভাগ যাত্রী বহনের এই সিদ্ধান্ত দেয় রেলপথ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে এ জন্য আগামী বুধবার থেকে ৫০ শতাংশ টিকেট অনলাইনে ও ৫০ শতাংশ টিকেট কাউন্টারে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রেলওয়ের উপ-পরিচালক (টিসি) নাহিদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার স্বার্থে ৫০ শতাংশের পরিবর্তে শতভাগ যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রেলের নতুন এই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, কাউন্টার টিকিট ইস্যু ও ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা, আন্তঃনগর ট্রেনে শতভাগ যাত্রী পরিবহনে টিকিট ইস্যু, মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে ও ৫০ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে বিক্রি, আন্তঃনগর ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট ও স্টেশনের ফ্লাটফর্ম টিকিট সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা, রেলপথ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত ইমার্জেন্সি কোটা ও আন্তঃনগর ম্যানুয়াল অনুযায়ী পাশ কোটা ব্যতিত সব ধরনের কোটা বাতিল এবং স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনপূর্বক আন্তঃনগর ট্রেনে ক্যাটারিং ও ট্রেনে রাত্রীকালীন বেডিং সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে জারি করা স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি থাকবে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, সম্প্রতি করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ করোনাভাইরাস প্রতিরোধী বিভিন্ন টিকা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। ফলে ট্রেনে যাত্রী চাপ বেড়েছে। তাই দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার স্বার্থে যাত্রী চাহিদা পূরণ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সেজন্য সার্বিক দিক বিবেচনায় রেলওয়ে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসা যৌক্তিক বলে মনে করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

-এম আর




বাঘের সঙ্গে লড়াই করে জেলেকে জীবিত উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে কৈখালি ফরেস্ট স্টেশনের দাইগাং খালের পাড়ে বাঘের সঙ্গে ২০ মিনিট লড়াই শেষে পরাস্ত করে সহযোগীকে উদ্ধার করেছে রমজাননগর ইউনিয়নের দুই জেলে।

গতকাল রোববার সন্ধ্যার কিছু আগে এই ঘটনা ঘটে সুন্দরবনের শ্যামনগর উপজেলায়। টানা ২০ মিনিট ধরে নৌকার বৈঠা দিয়ে বাঘটিকে আঘাত করে কাবু করে তারা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। উদ্ধার হওয়া জেলে হায়াত আলী এখন শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

রোববার সন্ধ্যার কিছু আগে এই ঘটনা ঘটে সুন্দরবনের শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি ফরেস্ট স্টেশনের কাছে বনের দাইগাং খালের পাড়ে। বনবিভাগ সূত্র জানিয়েছে, জেলেরা তাদের অনুমতি নিয়ে নদীতে মাছ ধরছিল। এসময় এই ঘটনা ঘটে।

উদ্ধারকারী সহযোগী দুই জেলে বাবলু সানা ও নূর ইসলাম গাজী জানান, তারা ভাত রান্না করার জন্যে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে নদী থেকে বনে ওঠে সহযোগী জেলে হায়াত আলী। এ সময় একটি বাঘ তার ওপর হামলা করে।

বাবলু সানা বলেন, আমরা এ অবস্থা দেখে দ্রুত বৈঠা ও দা কুড়াল নিয়ে বাঘটির ওপর পাল্টা হামলা চালাই। অন্তত ২০ মিনিট ধরে টানাহেঁচড়া করার পর বাঘটি হায়াত আলীকে ছেড়ে গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়।

বাবলু সানা জানান, হায়াত আলীকে নিয়ে এসে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তিনি মোটামুটি সুস্থ আছেন। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তার মুখে বাঘের থাবার ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।

কৈখালী ফরেস্ট স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন-অর-রশিদ ব্যাপারী এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তারা পাস নিয়ে বনে গিয়েছিলেন। বাঘের হামলায় আহত হায়াত আলীকে উদ্ধার করে সহযোগী জেলেরা হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছেন।

-এম আর




দুই দিনের সফরে ঢাকা এসেছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে যোগ দিতে দু’দিনের সফরে ঢাকা এসেছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী।

আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে নেপাল এয়ারের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান।

এ সময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে নেপালের প্রেসিডেন্টকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
নেপালের কোনো প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। সফরে বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীর সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রয়েছেন।

সফরসূচী অনুযায়ী বিকেলে প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপরে তিনি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও নেপালের শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি সাংস্কৃতিক পর্বেরও আয়োজন করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় নেপালের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং পারস্পরিক দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। উভয় রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এবার ট্রানজিট ও প্রটোকল চুক্তিতে ‘অপারেশনাল লাইজেশন অব রহনপুর-সিঙ্ঘাবাদ রেলওয়ে ট্রানজিট’ চুক্তির বিষয়টি নতুন করে সংযোজন করা হতে পারে। এতে করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর-ভারতের মালদহের সিঙ্ঘাবাদ সীমান্ত দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন নেপালের বিরাটনগর পর্যন্ত যাবে। করিডোর হিসেবে  ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করবে নেপাল।

বর্তমানে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ট্রানজিট ও প্রটোকল চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় নেপালকে ৬টি পোর্ট অব কল দেয়া হয়। এগুলো হলো চট্টগ্রাম বন্দর, মোংলা বন্দর, বেনাপোল, বাংলাবান্ধা, বিরল ও চিলাহাটি। এসব পোর্ট অব কলে নেপালের যানবাহন পণ্য পরিবহন করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাবান্ধা ছাড়া আর কোনো বন্দর দিয়ে নেপালে নিয়মিত পণ্য আসা-যাওয়া করে না।

আজ রাতেই রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ নেপালের প্রেসিডেন্ট এবং তার প্রতিনিধিদলের সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করছেন।

আগামীকাল (২৩ মার্চ) নেপালের প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। দুপুরের পর ঢাকায় নেপাল দূতাবাসের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় তার ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে