সারাদেশে চলছে গণটিকা কার্যক্রম
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এলাকায় গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে আজ । শনিবার সকাল নয়টায় এই কার্যক্রম শুরু হয়। চলবে বিকাল তিনটা পর্যন্ত।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে ছয় দিনে ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এই ক্যাম্পেইনের আওতায় সারাদেশে চার হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে একযোগে করোনার টিকা দেওয়া হবে।
২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত।
করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য এরইমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক স্বাক্ষরিত নির্দেশনা পরিচালক (স্বাস্থ্য), বিভাগীয় কমিটির সদস্য, সিটি করপোরেশন কমিটির সদস্য সচিব, জেলা কমিটির সদস্য সচিব, উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ও সব পৌরসভার মেডিকেল কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।
টিকাগ্রহণের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-
১. ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হবে।
২. সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায়ও প্রতি ওয়ার্ডে ৭ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত টিকা দেয়া হবে।
৩. যাদের বয়স ১৮ বা তদূর্ধ্ব তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে এসে ভ্যাকসিন গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
৪. প্রথম দুই ঘণ্টা শুধু নারী ও ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে সকল পুরুষকে টিকা দেয়া হবে।
৫. যারা ইতোমধ্যে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন তাদের নিবন্ধনের সময় উল্লিখিত টিকাকেন্দ্রে এসে টিকা গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
৬. টিকা নেয়ার পর টিকাকেন্দ্রে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৭. টিকা নেয়ার পর যেকোনো রকম শারীরিক অসুবিধা হলে সাথে সাথে টিকাদানকর্মীকে খবর দিন। প্রয়োজনে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।