বরিশালকে যারা বুড়োদের দল বলেছিলেন, তাদের ধারনা ভুল: মুশফিকুর রহমান

তামিম ইকবাল (৩৪ বছর ৩৪৫ দিন), মুশফিকুর রহিম (৩৬ বছর ২৯৫ দিন) আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩৮ বছর ২৪ দিন)- ফরচুন বরিশালের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের গড় বয়স ৩৬‘র বেশি।

কেউ কেউ এই মধ্য তিরিশ পেরিয়ে যাওয়া তিনজনার গড়া ফরচুন বরিশালকে ‘বুড়োদের দল’ বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন। আজ রংপুর রাইডার্সকে হারানোর পর তাদের রীতিমতো একহাত নিয়ে ছাড়লেন মুশফিকুর রহিম।

৩৮ বলে ৪৭ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিয়ে বরিশালকে ফাইনালে তোলার নায়ক মুশফিক রাতে খেলা শেষে শেরে বাংলার কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলে দিলেন, ফরচুন বরিশালকে যারা বুড়োদের দল বলে বিদ্রুপ করেছিলেন, তারা ভুল বলেছিলেন।

মুশফিক মনে করেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বয়স্ক ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা কার্যকর নন বলে যারা ভাবেন ও বলেন, তারা ভুল করেন।

মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ভাষায়, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বরং বয়স্করা অনেক বেশি কার্যকর। কারণ এই ফরম্যাটে অভিজ্ঞতার দরকার অনেক বেশি।’

বয়স হয়ে গেছে, এমন কথা শুনে রীতিমতো ত্যক্ত-বিরক্ত মুশফিক। এক পর্যায়ে নিজের ফিটনেসকে মানদণ্ড ধরে উদাহরণ টানেন মুশফিক। চোয়াল শক্ত করে বলে ওঠেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে পারি এখনো অনেক তরুণের চেয়ে আমার ফিটনেস লেভেল অনেক ভালো। আমি তাদের অনেকের চেয়ে বেশি কার্যকর।’

মুশফিক যোগ করেন, ‘বয়স আসলে সংখ্যা মাত্র। ফিটনেস, ভালো খেলার দৃঢ় সংকল্প ও আত্মনিবেদনটাই বড়।’




সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ১৮১ জনের নিয়োগ, আবেদন করতে ফি লাগবে ২২৩ টাকা

বাগেরহাট জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয় এবং এর অধীনে বিভিন্ন স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠানসমূহে ০৭টি পদে ১৮১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

 

প্রতিষ্ঠানের নাম: সিভিল সার্জনের কার্যালয়, বাগেরহাট

চাকরির ধরন: অস্থায়ী
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ। তবে বাগেরহাট জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
কর্মস্থল: বাগেরহাট

বয়স: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ ১৮-৩০ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে ৩২ বছর

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা এই লিঙ্ক এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সঙ্গে ৩০০-৩০০ সাইজের ছবি ও ৩০০-৮০ সাইজের স্বাক্ষর স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ১৯ মার্চ ২০২৪ তারিখ বিকেল ০৪টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

সূত্র: জনকণ্ঠ, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪




সাকিব-তামিম যদি ভুয়া হয় তাহলে আমরা কী: প্রশ্ন মুশফিকুর রহমানের

শুধু মিরপুরের শেরে বাংলা নয়, সিলেট ও চট্টগ্রামের গ্যালারিতেও আজকাল প্রায়ই সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে নিয়ে নানা ব্যঙ্গবিদ্রুপ ও তির্যক কথাবার্তা শোনা যায়।

ক্রিকেটারদের মাঠের পারফরমেন্স ভালো হলে প্রশংসা আর খারাপ খেললে তিরস্কার, খেলার মাঠের চিরচেনা দৃশ্য। পৃথিবীর সব দেশেই এ রীতি প্রচলিত। কিন্তু দেশের সেরা ও সফলতম তারকাদের ‘ভুয়া-ভুয়া’ বলার নজির সারা পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ।

কিন্তু এবারের বিপিএলে সে ‘ভুয়া- ভুয়া’ স্লোগানটাই বেশি শোনা গেছে। আজ বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচের আগেও দর্শকদের একটা অংশ ‘সাকিব ভুয়া-ভুয়া’ লিখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে এসে উপস্থিত হন শেরে বাংলায়। যদিও ওই প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

তারপরও মুখে ‘সাকিব ভুয়া’ স্লোগান ছিল অনেকের। দেশের সেরা তারকাদের নিয়ে এমন ব্যঙ্গবিদ্রুপ ও দুয়োধ্বনি বেশ দৃষ্টিকটু ও শুনতেও খারাপ লাগে।

এসব বন্ধের কোনো উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি। তবে আজ বুধবার রাতে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচের পর এক প্রশ্নের জবাবে সাকিব-তামিমের দীর্ঘদিনের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম এমন ‘ভুয়া-ভুয়া’ বলাকে রীতিমতো অনৈতিক কাজ বলে মন্তব্য করেছেন।

মুশফিক প্রেস কনফারেন্স বলেন, ‘এমন ব্যঙ্গ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। এগুলো রীতিমতো অনৈতিক কাজ।’

সাকিব আর তামিমকে দেশের ক্রিকেটের দুই সেরা ও সফলতম তারকা হিসেবে অভিহিত করে মুশফিক বলে ওঠেন, ‘সাকিব আর তামিম যদি ভুয়া হয়, তাহলে আমরা কী?????????????




আপনি আমাদের অনুপ্রেরণা, শেখ হাসিনাকে ঋষি সুনাক

dnb news desk :

বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে তাকে একজন সফল অর্থনৈতিক নেতা এবং অনুপ্রেরণা বলে মন্তব‌্য করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

শুক্রবার (৫ মে) লন্ডন পল মলে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের মার্লবোরো হাউসে দুই নেতার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি এ মন্তব‌্য করেন।

বৈঠকের পর যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম জানান, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ঋষি সুনাক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আমি আপনাকে অনেক বছর ধরে অনুসরণ করছি। আপনি একজন সফল অর্থনৈতিক নেতা।’

সাইদা মুনা তাসনিম আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে তার দুই মেয়ে এবং স্ত্রী শেখ হাসিনার ভক্ত। সুনাক চান তার মেয়েরা যেন শেখ হাসিনার মতো নেতা হন। সুনাক বলেন, আপনি আমার দুই মেয়ের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় এবং ভূমিহীন ও গৃহহীনদের সরকারি খরচে বাড়ি দেওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তার গৌরবময় ভূমিকারও প্রশংসা করেন ঋষি সুনাক। কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সময়ে ছয় শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার কথা উল্লেখ করে সুনাক বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে অভিহিত করেন।

৩৫ মিনিট ধরে চলা বৈঠকে দুই নেতা দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সুনাক বলেন, আমাদের সম্পর্ক ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চমৎকার। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্য দেয়। শেখ হাসিনা বলেন, আপনি এত অল্প বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন! এমন তরুণদের নেতৃত্বে দেখে আমার ভালো লাগছে।

বৈঠকের শুরুতে শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ঋষি সুনককে অভিনন্দন জানান।




দুর্গাপুরে বজ্রপাত প্রবন এলাকায় তালবীজ রোপন করছেন ‘‘রিক্সাচালক তারা মিয়া’’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বজ্রাঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে পরিবেশ বান্ধব এক হাজার তাল গাছের বীজ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত ‘‘রিক্সাচালক তারা মিয়া’’। শনিবার দিনব্যাপি দুর্গাপুর ইউনিয়নের ত্রিনালি গ্রামে এ বীজ রোপন করা হয়।

এ সময় তাল বীজরোপন কর্মসুচীর উদ্বোধন করেন দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাদেকুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পথ পাঠাগার এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি নাজমুল হুদা সারোয়ার, ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, সমাজসেবক রমিজ উদ্দিন প্রমুখ।

রিক্সাচালক তারা মিয়া বলেন, তাল গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় বজ্রাঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি নিরসনে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া মাটির ক্ষয় রোধ, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় তালগাছের জুড়ি নেই। এমন উপকারী একটি গাছের বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে, আমার স্বল্প আয় থেকে তালবীজ রোপনের উদ্দ্যেগ নিয়েছি। এছাড়া ইতেমধ্যে দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদরাসা, কবরস্থান ও শশ্মানঘাটে তাল বীজ, ঔষধী ও ফলদ বৃক্ষ রোপন করেছি।




সবাইকে এক সাথে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সকলকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে শামিল করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রোববার (২ জানুয়ারি) ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২২ উদযাপনের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে এবছরের জাতীয় সমাজসেবা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের সফলতা, ঘরেই পাবেন সকল ভাতা’ যথার্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে এবং দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য তিনি বিভিন্ন কল্যাণধর্মী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে সুদমুক্ত ঋণ কার্যক্রম প্রচলন করে দেশে ও সমসাময়িক বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার প্রতিবন্ধী, অসহায় ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদফতর ৫২টি কর্মসূচির সমন্বয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। যা সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সুদৃঢ়করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে প্রকৃত দরিদ্ররা যাতে সরকারের এসব কর্মসূচির সুফল ভোগ করতে পারে সে বিষয়ে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার জন্য সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশকে একটি আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হবো- এ প্রত্যাশা করি।




আজ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আসছে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস।আর মাত্র মাত্র দুই দিন বাকি। এরপরই জাতির সামনে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি দিবস। বিজয়ের সেই মাহেন্দ্রক্ষণের আগে জাতি স্মরণ করবে সূর্যসন্তানদের। আজ বাংলাদেশের মানুষের বেদনাবিধুর দিন।

১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠসন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

আজকের দিনে এদেশের জনসাধারণের আরেকবার উপলব্ধি-‘দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা/কারোর দানে পাওয়া নয়।/দাম দিছি প্রাণ লক্ষ কোটি/জানা আছে জগৎময়।’ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ আজ শ্রেষ্ঠসন্তানদের স্মরণ করবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

পাকিস্তানি বাহিনী ১৯৭১ সালে নির্বিচারে বাঙালি হত্যা, মাইলের পর মাইল ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, ভৌত অবকাঠামো ধ্বংস করা, নারীদের সম্ভ্রমহানি-সবকিছুই করেছে তারা। কিন্তু বাঙালির রণকৌশলের কাছে তারা টিকতে পারছিল না। তাই বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা বাংলার শ্রেষ্ঠসন্তানদের নিধনে মাঠে নামে। রাতের অন্ধকারে বাসা অথবা কর্মস্থল থেকে শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে তারা হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করা।

দেশের নানা জায়গায় হত্যাযজ্ঞ চললেও মূল হত্যাযজ্ঞ চলে রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রাখা হয়। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পরপরই বুদ্ধিজীবীদের নিকটাত্মীয়রা বধ্যভূমিতে অনেকের লাশ খুঁজে পান। তাদের নিথর দেহজুড়েই ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা। কারও কারও শরীরে একাধিক গুলিও ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে অনেককে হত্যা করা হয়েছিল। ক্ষতচিহ্নের কারণে অনেকের লাশ আবার তাদের প্রিয়জনরা শনাক্তও করতে পারেননি।

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন-অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. মোহাম্মদ মুর্তজা, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য, ডা. মোহাম্মদ শফি, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, নিজামুদ্দীন আহমদ, খোন্দকার আবু তালেব, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, শহীদ সাবের, সৈয়দ নাজমুল হক, জহির রায়হান, আলতাফ মাহমুদ, ড. আবদুল খায়ের, ড. সিরাজুল হক খান, ড. ফয়জল মহী, ডা. আবদুল আলীম চৌধুরী, সেলিনা পারভিন, কবি মেহেরুন্নেসা, গিয়াস উদ্দীন আহমদ প্রমুখ।




খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সরকার মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সরকার গৃহীত কৃষিবান্ধব নীতি ও কার্যক্রমে দানাদার খাদ্য, মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে।

আজ শনিবার বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বে পাট ও কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয়, ধান ও সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আম ও আলু উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদনে তৃতীয় এবং বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদনে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে আমাদের মোট খাদ্যশস্য উৎপাদন বেড়ে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১২ বছরে কৃষি উন্নয়নে কৃষিবান্ধব ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমরা কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে রূপকল্প-২০৪১ এর আলোকে জাতীয় কৃষিনীতি-২০১৮, নিরাপদ খাদ্য আইন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০সহ উল্লেখযোগ্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। কৃষির উন্নয়নে আমরা কৃষকদের জন্য সার, ডিজেল, বিদ্যুৎ ও কৃষিযান্ত্রিকীকরণে আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং কৃষি প্রণোদনা/কৃষি পুনর্বাসন, কৃষিঋণ, কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ, ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, ই-কৃষির প্রবর্তন, জলবায়ু ও ঝুঁকি সহনশীল ফসলের জাত/প্রযুক্তি উদ্ভাবন ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছি। কৃষি শিক্ষা-গবেষণা খাতে আরো বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছি। যার ধারাবাহিকতায় খোরপোশের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে এতে কৃষিনির্ভর শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও আধুনিক দেশ হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবো।

প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।




আজ থেকে ঢাকায় দুই সিটিতে গণটিকা শুরু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২৯টি কেন্দ্রে আজ মঙ্গলবার গণটিকা দেওয়া শুরু হবে।

এর মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ৫৪টি ওয়ার্ডের ৫৪টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডের ৭৫টি কেন্দ্রে দেওয়া হবে টিকা।

উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) আজ ও আগামীকাল বুধবার দুপুর আড়াইটা থেকে টিকা কার্যক্রম চলবে। প্রতি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৫০০ জন করে দুই দিনে ১০০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।

যারা এরই মধ্যে ডিএনসিসি এলাকার যেকোনো হাসপাতালে টিকার রেজিস্ট্রেশন করেছেন, কিন্তু এখনো এসএমএস পাননি শুধু তারাই এই কার্যক্রমের আওতায় টিকা নিতে পারবেন।

তবে ষাটোর্ধ্ব বয়সীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। ষাটোর্ধ্বরা রেজিস্ট্রেশন না করলেও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে নিয়ে গেলে টিকা নিতে পারবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা একই কেন্দ্র থেকে গ্রহণ করতে হবে।

এর আগে ডিএনসিসি ৫৪টি টিকাকেন্দ্রে গণটিকার আওতায় এক লাখ ১৩ হাজার ৪০০ জনকে দুই ডোজের টিকা দিয়েছিল। অন্যদিকে, ডিএসসিসি প্রতি কেন্দ্রে ৩৫০ জনকে টিকা দেবে।




দুর্গাপুরে ৬ষ্ঠ জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

‘‘বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ ও ৬ষ্ঠ জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার দুপুরে দ্বীনি আলীম মাদরাসা মিলনায়তনে এ প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়।

উপজেলা প্রশাসন ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২টি গ্রুপে উপজেলার ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুয়েল সাংমা, দুর্গাপুর দ্বীনি আলীম মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা, উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।