গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ে প্রস্তুত ইয়েমেনের হুতি বাহিনী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইয়েমেনের সশস্ত্র সংঠন, হুতি। সেই লক্ষ্যে নিজেদের সামরিক শাখায় নিয়োগ দিয়েছে নতুন সদস্য। গোষ্ঠিটিতে যোগ দেয়া যোদ্ধাদের নিয়ে রাজধানী সানায় হয় নজরকাড়া কুচকাওয়াজ।

নিজেদের শক্তিমত্তা আর ফিলিস্তিনিদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন প্রদর্শন করতে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিশাল এই কুচকাওয়াজের আয়োজন সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতির। হাতে রাইফেল আর ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে যাতে অংশ নেন সংগঠনের নতুন সদস্যরা। মূলত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে নিজেদের সামরিক শক্তি আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় গোষ্ঠীটি। তাদের সে ডাকে সাড়া দিয়ে সামরিক শাখায় যোগ দিয়েছে তরুণ-যুবক থেকে শুরু করে নানা শ্রেনিপেশার মানুষ।

গাজায় ইহুদিদের আগ্রাসনের জবাবে মধ্যপ্রাচ্যের যেকয়টি সংগঠন সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হামাসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের মধ্যে হুতিরা অন্যতম। ইয়েমেন থেকেই ছুড়েছে দূরপাল্লার মিসাইল, ড্রোন। লোহিত সাগর থেকে আটক করেছে তেলআবিবের মালিকানাধীন পণ্যবাহী একটি জাহাজও। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ না বাড়িয়ে আবারও ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা শুরু করেছে ইহুদি সেনারা। এর একদিন পরই প্যারেডের আয়োজন করে শত্রু পক্ষকে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিলো হুতিরা।

এ ব্যাপারে হুতির রাজনৈতিক শাখার নেতা মুহাম্মদ আলি আল হুতি বলেন, আব্দুল মালিক আল হুতির ডাকে ইয়েমেনের হাজার হাজার নাগরিক পবিত্র আল আকসা রক্ষায় ফিলিস্তিনে তাদের মুজাহিদিন ভাইদের সাথে যোগ দিতে প্রস্তুত। এই জনসমাগম তাদের সেই প্রস্তুতি এবং ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থানের বর্তমান পরিস্থিতির প্রতি তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

তিনি বলেন, ইয়েমেনের ভূমিতে একদল বিশ্বস্ত সেনাবাহিনী রয়েছে। আমরা, আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের কখনই পরিত্যাগ করবো না। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এবং দখলদারদের ফিলিস্তিনের ভূমি থেকে বিতারিত না করা পর্যন্ত আমরা এই লড়াই চালিয়ে যাবো।

সম্প্রতি হুতিদের সামরিক শক্তি কয়েক গুণ বেড়েছে। ইরানের সহায়তায় যোগ হয়েছে দূরপাল্লার নানা সমরাস্ত্র। এখন বাড়াচ্ছে লোকবলও।




আলেম প্রার্থীদের কে কোথায় মনোনয়ন জমা দিলেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। ইতোমধ্যেই জল্পকল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কওমি মাদরাসা ভিত্তিক ইসলামী দুই রাজনৈতিক দল।

দল দু’টি হলো- হাফেজ্জী হুজুর রহ. প্রতিষ্ঠিত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী নেতৃত্বাধীন মুফতি আমিনী রহ. এর দল ইসলামি ঐক্যজোট।

এছাড়াও স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল থেকে বেশ কয়েকজন আলেম প্রার্থী আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে গতকাল মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই আলেম প্রার্থীরা কে কোথা থেকে মনোনয়ন জমা দিলেন?

শেষ সময়ে চমক দেখিয়ে নির্বাচনী ট্রেনে চড়া দল বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম তার দলে কে কোথায় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন? তিনি জানান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের চেয়ারম্যান মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। আমি (মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী) ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৩, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন কুমিল্লা-২ থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

তার দলের আরো বেশ কয়েকজন আলেম প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তবে নিজ নির্বাচনী এলাকায় তিনি ব্যস্ত থাকায় সে তথ্য বিস্তারিত দিতে পারেন নি।

এদিকে মুফতি আমিনী রহ. এর দল ইসলামি ঐক্যজোট থেকে দলের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই আসন থেকে মুফতি আমিনী রহ. সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এছাড়া দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন জানান, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ তৈয়ব হোসাইন ময়মনসিংহ-২, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান গাজীপুর-১, আমি (যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন) কুমিল্লা-২, সহকারী মহাসচিব মাওলানা শেরজান কিশোরগঞ্জ-৪, মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী সিলেট-১, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মেহেদী হাসান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), মাওলানা খোরশেদ আলম কুমিল্লা-১১ থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এছাড়াও আমাদের প্রায় ১শ’ জনের মতো প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

অপরদিকে এই দুই দলের বাইরেও আওয়ামী লীগ থেকে মাওলানা আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী চট্টগ্রাম-১৫, জাতীয় পার্টি থেকে মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী কুষ্টিয়া-২, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী সুনামগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

এছাড়াও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে কয়েকজন আলেম মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

অপরদিকে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যায়নি নিবন্ধিত চারটি ইসলামী দল। দলগুলো হলো- চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, শায়খ জিয়াউদ্দীন নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল গতকাল। এরপর বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। এরপর ৩০০ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।




যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাসের যেসব শর্ত মানতে বাধ্য হল ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। তারাও জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দিদের মুক্তির কথা জানিয়েছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) বিবিসির এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের তথ্য কেন্দ্র জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অন্যদিকে এর বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন। এ পর্বে মুক্তিপ্রাপ্তরা হবেন নারী ও শিশুরা।

হামাস জানিয়েছে, চুক্তিতে আরও বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যারমধ্যে অন্যতম হলো গাজায় প্রতিদিন শত শত মানবিক সহায়তার ট্রাক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে এ যু্‌দ্ধবিরতির সময়ে গাজার কোথাও আক্রমণ বা কাউকে আটক করতে পারবে না। এ ছাড়া চারে দিনের এ যুদ্ধবিরতিতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা করে বিমান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। এ সময়টা হবে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত।

এর আগে টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় অনুমোদন করেছে ইসরায়েল। দেশটির মন্ত্রিসভা বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোরে এক অভূতপূর্ব ভোটের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়ার অনুমোদন করেছে। এ চুক্তির আওতায় ৫০ জিম্মিকে মুক্তির বিষয়টি ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। তবে চুক্তির বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

হাবরিউ মিডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির আগে বিরোধিতা করলেও দেশটির অতি ডানপন্থি ইহুদিবাদী দল এর পক্ষে ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের দল ওতজমা ইয়েহুদিত এ চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

বুধবার সকালে এ ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলের সরকার জানিয়েছে, এ চুক্তির আওতায় ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির আশা করা হচ্ছে। যেখানে বেশিরভাগই হবে নারী ও শিশু। এর আওতায় প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ জনের একটি করে দল মুক্তি পাবে।




কাল থেকে চরমোনাই’র বার্ষিক মাহফিল শুরু. আখেরি মোনাজাত ২৫ নভেম্বর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে আগামী বুধবার (২২ নভেম্বর) জোহরের পর বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের বয়ানের মধ্য দিয়ে চরমোনাইয়ের তিনদিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে।
এবারের মাহফিলে আগত দেশি-বিদেশি শ্রোতাদের জন্য ইতোমধ্যে দুটি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। আগত শ্রোতাদের যাতে মাহফিল শুনতে সমস্যা না হয় সেজন্য টানানো হয়েছে সামিয়ানা, লাগানো হয়েছে প্রয়োজনীয় লাইট ও মাইক। ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যাপ্ত বাথরুমেরও।

সড়ক পথে গাড়ি রিজার্ভ করে যারা আসবেন তাদের গাড়ি পার্কিংয়ের নির্ধারিত যায়গা প্রস্তুত করা হয়েছে।
এদিকে, গত ১০ নভেম্বর থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শ্রোতারা রিজার্ভ ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে মাহফিল মাঠে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। লঞ্চ ও ট্রলারে করে মানুষের আগমন শুরু হয়েছে ১৮ নভেম্বর থেকে।

গতকাল ২০ নভেম্বর ও আজ ২১ নভেম্বর ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন নদী বন্দর থেকে রিজার্ভ লঞ্চে এ শ্রোতাদের উল্লেখযোগ্য অংশ মাহফিলস্থলে উপস্থিত হবেন।

চরমোনাই বার্ষিক মাহফিল বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ইসলামী জমায়েত। নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে নেককার ও আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজকে গড়ে তুলতে ১৯২৪ সাল থেকে চরমোনাই মাহফিলে মুসল্লিদের আগমন শুরু হয়।

তিনদিনের মাহফিলে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ও নায়েবে আমীরুল মুজাহিদিন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম সাতটি বয়ান শ্রোতাদেরকে দ্বীনের পথে পরিপূর্ণভাবে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। এছাড়া দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য ওলামা মাশায়েখদের বয়ান শ্রোতাদেরকে দ্বীনের পথে চলতে উৎসাহ যোগায়।

মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বেলা ১০টা ৩০ মিনিটে এ চরমোনাই মাহফিলে আগত ওলামা মাশায়েখ ও বুদ্ধিজীবীদেরকে নিয়ে ওলামা মাশায়েখ বুদ্ধিজীবী সম্মেলন, তৃতীয় দিন বেলা ১০টা ৩০ মিনিটে আগত ছাত্রদের নিয়ে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এছাড়া মঞ্চের বাইরে সুবিধাজনক স্থান ও সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সমাবেশ, শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষক সমাবেশ, যুবকদের নিয়ে যুব সমাবেশ, শ্রমজীবী মানুষের অংশগ্রহণে শ্রমিক সমাবেশ, মুয়াল্লালিমদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।

মাহফিলে আগত শ্রোতাদেরকে তিন দিনে হাতে কলমে নামাজসহ জরুরি মাসআলা-মাসায়েল প্রশিক্ষণ, সুরা ক্বেরাত প্রশিক্ষণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কয়েক হাজার ভাগে ভাগ করে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন মাদরাসাসমূহের মোয়াল্লিমদের মাধ্যমে এই হাতে কলমে প্রশিক্ষণের কাজ করা হয়।

মাহফিলে শ্রোতাদের জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য ১০০ বেডের অস্থায়ী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ও রোগীদের বিনমূল্যে ঔষধ দেয়া হয়।

আগামী ২৫ নভেম্বর সকাল ৮-৯ টার দিকে আখেরি বয়ানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে চরমোনাই পীরের মোনাজাতের মাধ্যমে তিনদিন ব্যাপী মাহফিলের কার্যক্রম সমাপ্ত করবেন।




ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করল বাংলাদেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো যুদ্ধাপরাধ তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) নালিশ করেছে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ। এসব দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়ে সেগুলো যেন তদন্ত করা হয়।

আর সাধারণ ফিলিস্তিনিদের পক্ষ হয়ে পাঁচ দেশের আন্তর্জাতিক আদালতের দারস্থ হওয়ার বিষয়কে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা আইসিসিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে করা অভিযোগকে স্বাগত জানাই। ফিলিস্তিনিরা সবচেয়ে ভয়াবহ বছর পার করার পর এবং রোমান সংবিধিতে থাকা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর এ ধরনের অভিযোগ করা হলো।’

বাংলাদেশ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নালিশ করা অন্য দেশগুলো হলো— দক্ষিণ আফ্রিকা, বলিভিয়া, কমোরোস এবং জিবুতি।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) আইসিসির জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর করিম আহমেদ খান জানিয়েছেন, ৫ দেশের প্রতিনিধিদের এই যৌথ আবেদন গ্রহণ করেছে আইসিসি।

ইসরায়েল আইসিসির সদস্য নয়, এই আদালতকে স্বীকৃতিও দেয়নি এখন পর্যন্ত; তবে ফিলিস্তিন আইসিসির সদস্য।

করিম খান জানিয়েছেন, ২০০২ সালে যে রোমান সংবিধির ওপর ভিত্তি করে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই সংবিধি অনুযায়ী কোনো সদস্যরাষ্ট্র যদি বাইরের কোনো রাষ্ট্রের হামলার শিকার হয় এবং ওই হামলাকারী রাষ্ট্র যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সনদে স্বাক্ষরকারী কিংবা স্বীকৃতি দানকারী দেশ না ও হয়— তাহলেও ওই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে আইসিসি।

ইউক্রেনীয় শিশুদের জোরপূর্বক রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ায় গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। যদিও রাশিয়া এই আদালতের সদস্য নয়। তবে যেসব দেশ এটির সদস্য— সেসব দেশে যদি পুতিন যান তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের হাতে সোপর্দ করতে হবে।

সূত্র: আল জাজিরা




নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল পুলিশের বাধায় পণ্ড হওয়ার পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, বৃহস্পতিবার প্রতিটি জেলা, প্রতিটি মহানগরে ইসলামী আন্দোলন মিছিল করবে। সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন আমরা মেনে নেব না।

এর আগে, তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম থেকে ইসি অভিমুখে গণমিছিল শুরু করে ইসলামী আন্দোলন। মিছিলটি পল্টন-কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর মোড়ে আসলে পুলিশ সেখানে ব্যারিকেড দেয়। পরবর্তীতে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করে দলটি।

এ সময় মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ ভাইদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিবাদ নেই। আমরা চাইলেই এই ব্যারিকেড ভাঙতে পারি। কিন্তু আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি।

এদিকে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নগরীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তফসিল ঘিরে বিরোধীদলগুলো আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন হলে পুলিশ সহযোগিতা করবে। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

টঙ্গীর তুরাগ তীরে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণজমায়েত বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে ৫৭ তম বিশ্ব ইজতেমা।

আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে তাবলিগের দুই পক্ষের মুরব্বিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি জানান, তাবলিগ জামাতের আগামী বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার প্রথম পর্ব ২০২৪ সালের ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের ইজতেমায় আলমী শূরাপন্থী মুসল্লিরা অংশ নেবেন। তিন দিনের প্রথম পর্বের ইজতেমা শেষ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারী মুসল্লিরা অংশ নেবেন।

এর আগে, ৫৭ তম বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে যান তাবলিগের দুই পক্ষের মুরব্বিরা। এদের মধ্যে আলমী শূরাপন্থী মুরব্বিদের মধ্যে রয়েছেন মাওলানা কারী জুবায়ের আহমাদ, মাওলানা উমর ফারুক ও ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ আহমেদ। এছাড়া মাওলানা সাদ কান্ধলভি অনুসারীদের পক্ষে রয়েছেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলামসহ তিন জন।

প্রসঙ্গত, সাধারণত জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে এবছর জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নির্বাচন শেষে ফেব্রুয়ারিতে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরে টঙ্গীর বিশাল ময়দানে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা ১৯৬৭ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আগামী ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমার ৫৭তম আয়োজন।




গাজ্জার জন্য বাংলাদেশের পাঠানো ত্রাণের প্রথম চালান রেড ক্রিসেন্টের কাছে হস্তান্তর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজ্জার জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঠানো মানবিক সহায়তার চালানটি মিশরের রেড ক্রিসেন্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) মিশরীয় রেড ক্রিসেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. রামি এল নাজেরের কাছে এ ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ।

কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, মানবিক সহায়তার মধ্যে ছিল ৩২ কার্টন শুকনো খাদ্যসামগ্রী। গত ২২ অক্টোবর মানবিক সহায়তার চালানটি ইজিপ্ট এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কায়রো বিমানবন্দরে পৌঁছে। মিশরীয় সরকারের অনুমতি এবং অন্যান্য দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ৮ নভেম্বর বিমানবন্দর থেকে চালানটি সংগ্রহ করে দূতাবাসে আনা হয়।

দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ সরকারের পাঠানো দ্বিতীয় ও তৃতীয় মানবিক সহায়তা (ওষুধ সামগ্রী) কায়রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। যা দূতাবাসের সব ধরনের কূটনৈতিক ও দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রয়াসে নিয়োজিত আছে। খুব শিগগিরই সহায়তা সামগ্রী গাজ্জায় পাঠানো হবে।

কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, বিভিন্ন দেশ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে আসা বিপুলসংখ্যক মানবিক সহায়তার চাপের কারণে কায়রো বিমানবন্দরে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সব দেশ ও সংস্থাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মিসর থেকে রাফাহ সীমান্তের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য গাজ্জায় সহায়তা পাঠানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছে মিশরীয় রেড ক্রিসেন্ট। ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে মিশর সরকারের নিয়োজিত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে সংস্থাটি।
সূত্র: ইনসাফ




গাজায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের বৈধতা নেই: ম্যাক্রন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন আবারো অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণহত্যা এবং বর্বর অপরাধযজ্ঞের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরাইল যা করছে তার কোনো বৈধতা বা যৌক্তিকতা নেই।

প্রেসিডেন্টের ম্যাক্রনের এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে মূলত ইহুদিবাদী ইসরাইলের ওপর পশ্চিমা চাপ প্রকাশ্য হলো। এর আগে গত শুক্রবার বিবিসি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হাতে শিশু হত্যার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।

নতুন এক সাক্ষাৎকারের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন পরিষ্কার করে বলেছেন, “এইসব শিশু, নারী এবং বৃদ্ধদের বোমা মেরে হত্যা করছে ইসরাইল। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের কোনো বৈধতা নেই। ফলে আমরা শিগগিরই এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাই।”

গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে ইসরাইল-বিরোধী জনমত গড়ে উঠেছে এবং ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এর আগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে একই ধরনের বক্তব্য দিলেও ইসরাইলের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে অনেকটাই পিছু হটেন। তারপরেও ম্যাক্রন নতুন করে গাজা যুদ্ধের ব্যাপারে ইসরাইলকে সমালোচনা করে বক্তব্য দিলেন।#

সুত্র: পার্সটুডে




আজ বিকালে ইসি অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

একতরফা তফশিল ঘোষণার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বুধবার বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত হবেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল শুরু করবেন তারা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমাধ্যম সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আজ এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমিছিলে নেতৃত্ব দিবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।

এর আগে গত রোববার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম নির্বাচনি তফশিল ঘোষণার দিন নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করার ঘোষণা দেন।