গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে পশ্চিমারা স্পষ্ট ভণ্ডামি করছে : মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো স্পষ্ট ভণ্ডামি করছে বলে অভিযোগ করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। সউদী আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের ‘ফ্র্যাংকলি স্পিকিং’ অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে আনোয়ার ইব্রাহিম এই অভিযোগ করেন।

গত সপ্তাহে সউদী আরবে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে আনোয়ার ইব্রাহিম আরব নিউজের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের উপস্থাপিকা ক্যাটি জ্যানসেনের সঙ্গে আলাপকালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে বর্বর বলে আখ্যা দেন এবং নির্বিচারে শিশু ও নারী হত্যার নিন্দা করেন।

গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে উল্লেখ করে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, গাজায় চলমান গণহত্যা বর্বরতাকে আরও উসকে দেবে। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (ইসরায়েলকে) গণহত্যা বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে বিবৃতি জারি করেছি।’

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের কিছু দেশগুলোর এই বিষয়ে স্পষ্ট ভণ্ডামির আশ্রয় নিয়েছে। তাঁরা শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডকে ক্রমাগত অস্বীকার করে যাচ্ছে।’

আনোয়ার ইব্রাহিম আরও বলেন, ‘আপনার রাজনৈতিক অবস্থান যাই হোক না কেন, আমি বিশ্বাস করি না যে—এই সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের ভাই-বোনদের ওপর এ ধরনের অমানবিক, বর্বর কাজগুলোকে প্রশ্রয় দিতে পারি। এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার।’

এ সময় তিনি গাজা ইস্যুতে আরব বিশ্ব, তুরস্ক ও ইরানের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি আরব দেশগুলো, তুরস্ক, ইরান এবং সেই সব দেশগুলোর ভূমিকার প্রশংসা করি যারা তাদের ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছে এবং আমি মনে করি আমরা মালয়েশিয়া এবং এই অঞ্চলের বাইরের অন্যান্য অনেক দেশেও চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।’

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা এটি (গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন) দীর্ঘায়িত করতে চাই না। কারণ, এটি কেবল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার অনুপস্থিতিতে ধর্মান্ধ চরমপন্থি বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কর্মকাণ্ডকেই উৎসাহিত করবে।’




রেকর্ড সংখ্যক হাজিদের বরণে প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

এ বছর জুনের মাঝামাঝি সময়ে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে মে মাসের শেষ সময় থেকেই পবিত্র নগরী মক্কায় ভিড় জমানো শুরু করবেন হজ যাত্রীরা।

আর এ বছর মক্কায় রেকর্ড সংখ্যক ২০ লাখ হাজির সমাগম হতে পারে— এমন ধারণা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব।

সুন্দর ও আরামদায়কভাবে যেন হাজিরা হজ সম্পন্ন করতে পারেন সে বিষয়টি মাথায় রেখে সৌদির সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করছে।

হজ সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো ধারণা করছে, এবারের রমজান মাসে রেকর্ড সংখ্যক ৩ কোটি মানুষ ওমরাহ পালন করার পর— হজেও মুসল্লিদের ঢল নামবে।

সদ্যই বিদায় নেওয়া পবিত্র রমজান মাসে মদিনার মসজিদে নববীতে ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ নামাজ আদায় করেছিলেন। রমজানে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আব্দুলআজিজ বিমানবন্দর দিয়ে ৯০ লাখ মানুষ মদিনায় আসেন। হজের আগে ও পরে অনেক মানুষ মদিনায় যান।

এদিকে গত বছর হজ পালন করেছিলেন ১৮ লাখের বেশি মানুষ। করোনা মহামারির কারণে এর আগের তিন বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে হজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু গত বছর সব বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়। এতে করে মক্কায় ১৮ লাখের বেশি মানুষ হজ করতে আসেন। যদিও সৌদির কর্মকর্তারা ২৫ লাখ মুসল্লির সমাগম হবে এমন ধারণা করেছিলেন।

তাদের প্রত্যাশা এবার গতবারের তুলনায় আরও বেশি মানুষ হজ করতে আসবেন। আর তাই হজের প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই নেওয়া শুরু হয়েছে।

সূত্র: গালফ নিউজ




খাগড়াছ‌ড়িতে বজ্রপা‌তে মাদরাসার ছাত্র নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

খাগড়াছ‌ড়ির মা‌টিরাঙ্গা ফজলুল ক‌রিম নূরানী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্র আরফাত হো‌সেন (১০) না‌মে এক শিশু খেলা করার সময় বজ্রপা‌তে মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে।

বৃহস্প‌তিবার (২‌ মে) সকা‌লে উপ‌জেলার বর্ণাল ইউ‌পির ৯নং ওয়ার্ড ইব্রাহীমপুর এলাকা  এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আরাফাত স্থানীয় ইউসুপ মিয়ার ছে‌লে ও ফজলুল ক‌রিম নূরানী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্র।

স্থানীয় ইউ‌পি সদস্য মো. আবু বক্কর বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে জানান, সকা‌লে বাতা‌সের মধ্যে বা‌ড়ির আঙ্গিনায় ৩/৪জন শিশুসহ খেলা করার সময় বজ্রপা‌তে আরাফা‌তের মৃত্যু হয়।




গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুর ওপর ইরাকি যোদ্ধাদের হামলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইরাকি যোদ্ধারা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবাদে ইরাকি যোদ্ধারা এই হামলা চালিয়েছে।

গতকাল (বুধবার) টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক বিবৃতিতে এই হামলার কথা ঘোষণা করেছে ইরাকের সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠনগুলোর জোট পপুলার মবিলাইজেশন ইউনিট বা পিএমইউ। ইরাকি যোদ্ধারা ড্রোন দিয়ে ইসরাইলি অবস্থানে এই হামলা চালায়। গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে বলে তারা ঘোষণা করেছে।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল ইরাকি যোদ্ধারা অধিকৃত গোলান মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ ইসরাইলি অবস্থানে হামলা চালিয়েছিল।
ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতেও হামলা চালিয়ে আসছে।
গত ৭ অক্টোবর ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকার ওপর যে বর্বর আগ্রাসন শুরু করেছে তার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধকামী যোদ্ধারা মার্কিন অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে।#

পার্সটুডে




হজযাত্রীদের এ বছর ‘নুসুক কার্ড’ প্রদর্শন করতে হবে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বৈধ ও অবৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে এবার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে এবারের হজ মৌসুমে প্রত্যেককে আলাদা করে ‍‘নুসুক’ নামে বিশেষ কার্ড দেওয়া হবে। মূলত, অবৈধভাবে হজপালন নিরুৎসাহিত করতেই দেশটির এই উদ্যোগ।

গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বিদেশি হজযাত্রীদের প্রথম দলটি সৌদি আরবে পৌঁছাবে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে। ঠিক তার আগেই অবৈধ বিদেশি হজযাত্রীদের রুখতে নতুন উদ্যোগ নিল দেশটি। চলতি সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় ‘নুসুক কার্ড’ প্রকল্প উদ্বোধন করেন সৌদি আরবের হজবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ।

বিভিন্ন দেশে হজযাত্রীদের জন্য ভিসা ইস্যু করার পর এই কার্ডটি সংশ্লিষ্ট হজ অফিস বিদেশি হজযাত্রীদের কাছে হস্তান্তর করবেন। আর সৌদির স্থানীয় হজযাত্রীরা হজ পারমিট ইস্যু হওয়ার পর দেশটির সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যালয় থেকে এই কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

হজ মন্ত্রণালয় ‘নুসুক কার্ড’কে একটি সরকারি মুদ্রিত কার্ড হিসাবে বর্ণনা করেছে, যা বৈধ হজযাত্রীদেরকে অন্যান্যদের থেকে আলাদা করবে। সৌদি অ্যাপ ‘নুসুক’ ও ‘তাওয়াক্কলানা’র মাধ্যমে কার্ডটির ডিজিটাল ভার্সন ব্যবহার করা যাবে।

হজ মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, হজযাত্রীদের অবশ্যই নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হজ পারমিট নিতে হবে। কারণ সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ইসলামী কর্তৃপক্ষ সিনিয়র স্কলার কাউন্সিলের মতে, সরকারি অনুমতি ছাড়া হজ করা পাপ বলে বিবেচিত হয়।

বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য এ বছর নতুন কৌশলের আওতায় হজ প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব।




ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জ্যামাইকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকা।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘নিরন্তর গভীরতর মানবিক সংকট’ নিয়ে চরম উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।

জ্যামাইকান সরকার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্যামাইকা। সিদ্ধান্তটি জাতিসংঘ সনদের নীতিগুলোর প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানকে সমর্থন করে।”

জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ বলেছেন, তার দেশ ‘সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান’ দেখতে চায়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১৪২তম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে জ্যামাইকা। সূত্র: আল জাজিরা, জ্যামাইকা অবজার্ভার, টিআরটি ওয়ার্ল্ড




সকালে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়, রাতেই নামল বৃষ্টি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

টানা কয়েক দিনের দাবদাহের পর গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তির বৃষ্টি পড়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১টা ১০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জেলায় ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে এদিন সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা ওলামা কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় শেষে বৃষ্টির জন্য মহান আল্লাহর নিকট বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

মুসল্লিরা চোখের পানি ফেলে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বৃষ্টি কামনা করেন। এরপর রাতে কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই মধ্যরাতে ২৫ মিনিট ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। মূলত ভারতে মেদিনিপুরে বৃষ্টি হবার কথা ছিল। মেঘটি জেলার ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বৃষ্টি হয়ে ঝড়েছে এবং ছোটখাটো কালবৈশাখী ঝড়ও হয়েছে। অন্য কোনো জেলায় বৃষ্টি হয়নি। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।




ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২০০০ ফিলিস্তিনি নিখোঁজ

ডিএনবি আন্তর্জাতিক নিউজ:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর সেনাদের প্রত্যাহার করার পর সে সমস্ত এলাকায় শত শত ফিলিস্তিনি নাগরিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল গতকাল (রোববার) এক বিবৃতিতে জানান, দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহর থেকে ইহুদিবাদী সেনাদের প্রত্যাহারের সময় ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ এবং প্রায় ৫০০ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

তিনি জানান, গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের সময় দখলদার সেনারা বুলডোজার দিয়ে মাটি খুঁড়ে বহু মৃতদেহ চাপা দিয়েছে। এসব নিহত ব্যক্তির বেশিরভাগই নারী ও শিশু ছিল।

গাজা উপত্যকা জুড়ে দখলদার সেনারা জাতিগত নিধন অভিযান চালিয়েছে মন্তব্য করে বাসাল জানান, ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হত্যার আগে তাদেরকে স্বজনদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে ইহুদিবাদী সোনারা। হত্যার পর গাজার বহু মানুষকে দখলদাররা পুড়িয়ে ছাই করে ফেলেছে বলেও জানান তিনি।#

পার্সটুডে




ইসরায়েলে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ইসরায়েলি। আগাম নির্বাচন আয়োজন ও গাজায় হামাসের হাতে বন্দী জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে শনিবার তেল আবিবে এই বিক্ষোভে হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামাসের হাতে বন্দী থাকা ১৩৩ জিম্মিকে মুক্ত করতে ইসরায়েল সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ জানান। জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরাও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেন।

তেল আবিবে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইয়ালন পিকম্যান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা এখানে এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এসেছি। এই সরকার আমাদের শুধু অধঃপতনের দিকে নিচ্ছে।’

বিভিন্ন জরিপে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, বেশিরভাগ ইসরায়েলি নাগরিক নিরাপত্তা ব্যর্থতার জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করছেন। তবে ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী বারবার আগাম নির্বাচনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

জনমত জরিপগুলোতে বলা হচ্ছে, এখন ইসরায়েলে নির্বাচন হলে নেতানিয়াহু হেরে যাবেন। আর তাই নেতানিয়াহুর দাবি, যুদ্ধের মাঝখানে নির্বাচনে যাওয়া কেবল হামাসকেই পুরস্কৃত করবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। গত নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে কিছু জিম্মিকে মুক্ত করা হয়। তবে এখনও ১৩৩ জন জিম্মি হামাসের হাতে বন্দী রয়েছে।

অপরদিকে ৭ অক্টোবরের পর থেকে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে নিহত হয়েছে। তবে সমস্ত জিম্মিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা এবং হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত গাজায় অভিযান চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।




জাতিসংঘে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার দাবি ইরান ও ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে ইরান ও ইসরায়েল। একে অন্যকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির জন্য হুমকি হিসেবে দোষারোপ করেছে দেশ দুটি।

পাশাপাশি দুই দেশই তাদের চিরশত্রু হিসেবে একজন আরেকজনকে উল্লেখ করে নিরাপত্তা পরিষদকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য দাবি জানিয়েছে।

ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার পর রবিবার নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ জরুরি বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত গিলাদ আরডান ইরানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এই হামলার মধ্য দিয়ে মুখোশ খুলে গেছে তাদের। ইরান হল বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী তৎপরতার মদতদাতা। এই অঞ্চল ও বিশ্বকে অস্থিতিশীল করতে তাদের সত্যিকার চেহারা বেরিয়ে এসেছে।”
এ সময় তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানান।

আরডান নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে অনেক দেরি হওয়ার আগেই সম্ভাব্য সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানান।

এদিকে, নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি বলেন, “ইরান আত্মরক্ষার সহজাত অধিকার চর্চা করছে। নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।”

ইরাভানি বলেন, “তাই আত্মরক্ষায় সাড়া দেওয়া ছাড়া ইরানের সামনে আর কোনও উপায় ছিল না।”

তিনি জানান, যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটুক তা ইরান চায় না। তবে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তার দেশ সাড়া দেবেই। সময় এসেছে নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব পালন করার, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার হুমকিকে মোকাবিলা করার।পরিষদকে অবশ্যই গাজা উপত্যকায় গণহত্যা বন্ধে জরুরি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।

এদিকে, ইসরায়েলের মাটিতে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ‘অতি জরুরি’ বৈঠক ডেকেছেন ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। আগামী মঙ্গলবার তারা এ বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বেরেল জরুরি এই বৈঠক ডাকেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জোসেপ বোরেল লিখেছেন, ওই অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমনে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে যাতে অবদান রাখতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

সূত্র: এনডিটিভি, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল