বায়তুল মোকাররমের নতুন খতিব মুফতি আব্দুল মালেকের বর্ণাঢ্য জীবন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব নিযুক্ত হয়েছেন দেশের বরেণ্য আলেম ইসলামি আইন বিশেষজ্ঞ মুফতি আবদুল মালেক। হাদিসশাস্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণামূলক লেখালেখির জন্য তিনি দেশের গন্ডি পেরিয়ে পুরো মসলিম বিশ্বে সুপরিচিত।

জন্ম ও পরিবার:

মুফতি আবদুল মালেক ১৯৬৯ সালের ২৯ আগস্ট কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার সারাশপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তার পিতা শামসুল হক একজন আলেম ছিলেন। তাঁর বড় ভাই মুফতি আবুল হাসান আব্দুল্লাহ দেশের উচ্চতর গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার পরিচালক।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা:

মুফতি আব্দুল মালেক নিজের পরিবারে কুরআন ও প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন। তারপর তিনি চাঁদপুরের খিড়িহারা কওমি মাদ্রাসায় মিশকাত জামাত পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন।

উচ্চতর শিক্ষা:

১৯৮৮ সালে তিনি পাকিস্তানের জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়ায় দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন। এরপর তিনি এই মাদরাসার উচ্চতর হাদিস বিভাগে ভর্তি হয়ে তিন বছর আব্দুর রশীদ নোমানীর তত্ত্বাবধানে হাদিস অধ্যয়ন করেন। ১৯৯২ সালে তিনি দারুল উলুম করাচিতে ভর্তি হয়ে দুই বছর তাকি উসমানির তত্ত্বাবধানে উচ্চতর ফিকহ ও ফতোয়া অধ্যয়ন করেন।

১৯৯৫ সালে তিনি সৌদি আরব গমন করে আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহর তত্ত্বাবধানে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রায় আড়াই বছর হাদিসশাস্ত্রসহ অন্যান্য গবেষণামূলক কাজের গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবন:

১৯৯৬ সালে তিনি সহ আরও কয়েকজন আলেম ঢাকায় উচ্চতর ইসলামি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাসচিব ও উচ্চতর হাদিস গবেষণা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া ঢাকার শায়খুল হাদিস এবং ঢাকার শান্তিনগরের আজরুন কারিম জামে মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন। কওমি মাদ্রাসার সরকারি স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ২০১২ সালে বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন গঠিত হলে তিনি এর সদস্য মনোনীত হন। ২০১৯ সালে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের জাতীয় চাঁদ দেখা উপকমিটির প্রধান মনোনীত হন।

সাহিত্যকর্ম:

২০০৫ সালে তাঁর তত্ত্বাবধানে মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার মুখপত্র হিসেবে ‘মাসিক আলকাউসার’ প্রকাশিত হয়। এ পত্রিকায় হাদিসশাস্ত্রের নবউদ্ভাবিত বিভ্রান্তির নিরসনমূলক রচনাসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে তার লেখা প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত গ্রন্থাবলি:

মুফতি আব্দুল মালেক বাংলা ও আরবি ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ রচনা করেছেন। তন্মধ্যে উল্লখযোগ্য হলো:

★ আল মাদখাল ইলা উলুমিল হাদিসিশ শরিফ (আরবি: المدخل إلى علوم الحديث الشريف)

★উম্মাহর ঐক্য পথ ও পন্থা (আরবি: وحدة الأمة واتباع السنة)

★আল ওয়াজিজ ফি শাইয়ি মিন মুসত্বলাহিল হাদিসিশ শরিফ (আরবি: الوجيز في شيء من مصطلح الحديث الشريف)

★মুহাদিরাত ফি উলুমুল হাদিস (আরবি: محاضرات في علوم الحديث)

★ ইনায়াতুর রহমান ফি আদাদি আয় আল কুরআন (আরবি: عنايات الرحمن في عدد آي القرآن)

★ তাসাওউফ তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ (আরবি: التصوف بين عرض ونقد)

★ তালিবানে ইলম পথ ও পাথেয় (আরবি: زاد طلاب علم النبوة)

★ ঈমান সবার আগে (আরবি: الإيمان هو ا الأول)

★ প্রচলিত ভুল (আরবি: الأغلاط الشائعة)

★ তাওতিদ আল উখওয়াত আল ঈমানিয়াত বায়নাল মুসলিমিন আজদার বিআলমুহাওলাত মিন তাওহিদ আল আহলাত ওয়াল আয়াদ (আরবি: توطيد الأخوة الإيمانية بين المسلمين أجدر بالمحاولة من توحيد الأهلة والأعياد)

★ নির্বাচিত প্রবন্ধ (আরবি: مجموع البحوث والمقالات)

★ তাবলীগ জামাত: বর্তমান পরিস্থিতি ও উত্তরণের উপায় (আরবি: جماعة التبليغ : الأزمة الراهنة وطريق التقصي عنها)

সম্পাদিত গ্রন্থাবলি:

★ আররুয়াত আসসিকাত আল মুতাকাল্লিম ফিয়হিম বিমা লা ইউজিবু রাদাহুম (আরবি: الرواة الثقات المتكلم فيهم بما لا يوجب ردهم)

★ এসব হাদিস নয় (আরবি: ليس بحديث)[১১]
মাযহাব কী ও কেন? (আরবি: منزلة التقليد في الشريعة الإسلامية)

★ নবীজির নামাজ (আরবি: صلاة النبي)
হাদিসের আলো (আরবি: من صحاح الأحاديث القصار للناشئة الصغار)

★ তাওযীহুল কুরআন (আরবি: تفسير توضيح القرآن)

★ তাকসিম আল আখবার ওয়াদালালাতুহা ইনদাস সাআদাতাল হানাফিয়াহ (আরবি: تقسيم الأخبار ودلالتها عند السادة الحنفية)

★ কিতাবুল জিহাদ (আরবি: كتاب الجهاد)

★ ফজলুল বারী শরহে সহীহ বুখারী (আরবি: فضل الباري شرح صحيح البخاري)

★ ইঞ্জিল ও প্রচলিত ইঞ্জিল একটি পর্যালোচনা (আরবি: كفاية المغتذي في شرح جامع الترمذي)




ধর্ম উপদেষ্টার সাথে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) হেলেন লাফেভ।

আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে ধর্ম উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ সাক্ষাতে তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ। আগামীদিনে দু’দেশের এই সম্পর্ক আরো নিবিড় হবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া, তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন।

রোহিঙ্গা পুনর্বাসন সংক্রান্ত ধর্ম উপদেষ্টার এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জানান, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছে যাদের অনেকেই সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করছে। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবেশের পর থেকেই তাদের খাদ্য, চিকিৎসা, স্যানিটেশনসহ প্রভৃতি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করে আসছে। এছাড়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ড রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের বিষয়েও যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমি মায়ানমারে প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার বিষয়ে উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা ও সুদৃঢ় করতে তাঁর মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ সম্পর্কে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে অবহিত করেন। এছাড়া, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দূর্গোৎসবকে ঘিরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কেও তাঁকে বিস্তারিত জানান।

মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাথে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, মানবাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

এ বৈঠকে ধর্মসচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অফিসার অ্যান ডউরটি ও শ্রম বিষয়ক কর্মকর্তা জেমস এ স্টুয়ার্ট উপস্থিত ছিলেন।




হজের প্রাথমিক নিবন্ধনের শেষ দিন ২৩ অক্টোবর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

হজযাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ২৩ অক্টোবরের মধ্যেই প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ করার আহ্বান জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগ। রোববার এ সংক্রান্ত বিশেষ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুসারে মিনা ও আরাফায় তাবু নির্ধারণ ও সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন কার্যক্রম ২৩ অক্টোবর হতে শুরু হবে। তাবু বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ নীতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে। এ কারণে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হজযাত্রী নিবন্ধন শেষ না হলে মিনা ও আরাফায় কাঙ্খিত জোনে তাবু বরাদ্দ পাওয়া যাবে না।

এতে বলা হয়, তাবু গ্রহণ ও সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে দেরি হলে হজযাত্রীদের জামারাহ হতে অনেক দূরে পাহাড়ি এলাকা কিংবা নিউ মিনা এলাকায় অবস্থান করতে হবে। ফলে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে প্রখর রোদ ও গরমের মধ্যে দীর্ঘপথ হাঁটতে হবে যা হজযাত্রীদের জন্য কষ্টকর হবে। এ কারণে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হজগমনেচ্ছু ব্যক্তিদের তিন লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।




সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানো গেলে ৪০ শতাংশ খরচ কম পড়বে

ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, জাহাজে হাজিদের পাঠানো হলে চার্টার শিপ ভাড়া করতে হবে। এটা করতে গেলে আমাদের দুই হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি আমাদের কর্জ দেয়, তাহলে আমরা এটা করতে পারব।

সমুদ্রপথে জাহাজে হজযাত্রীদের পাঠানো গেলে বিমান থেকে ভাড়া ৪০ শতাংশ খরচ কম পড়বে বলেওম জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার নারায়ণগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘সৌদি সরকার থেকে অনুমোদন পেলে সরকারের অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করে দুই হাজার কোটি টাকা যদি তারা ঋণ দেন, তাহলে হাজিদের নেওয়া হবে। একটা শিপিং কোম্পানি জানিয়েছে, তারা লাভের আশায় নয়, সওয়াবের আশায় এটা করবে। এটা করা হলে বিমানের থেকে ৪০ শতাংশ ভাড়া কম লাগবে জাহাজে। আমাদের বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শিপিং কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’

‘আমরা বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে বৈঠক করেছি, তারা ভাড়া কমানোর ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। তবে কত কমাবে, তারা তা বলেনি। আমরা আশা করছি, হজ প্যাকেজ যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পারব।’




ধর্ম উপদেষ্টাকে পবিত্র কাবার গিলাফ উপহার দিলেন সৌদি হজমন্ত্রী




ভারতে মহানবী (সাঃ) এর কটূক্তিকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি দুর্গাপুরের শিক্ষার্থীদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতে মহানবী (সাঃ) এর কটূক্তিকারী হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ এবং তাকে সমর্থনকারী বিজেপির বিধায়ক নিতেশ নারায়কে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়। বিক্ষোভে অংশ নেয় বিভিন্ন মাদ্রাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীরাও। মিছিলটি কলেজ চত্বর থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূনরায় কলেজ চত্বরে এসে শেষ। সেখানে প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন, শিক্ষার্থী জুবায়ের আব্বাসী হীরা,মোঃ সানি, রাসেল মিয়া, জহিরুল ইসলাম, মোঃ আলিফসহ অনেকেই।

এই সময় বক্তব্যে তারা বলেন,বর্তমান সরকারের কাছে দাবী জানায় দ্রুত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে এই জঘন্য কর্মের শক্ত প্রতিবাদ করা। সেই সাথে কটূক্তিকারী হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ এবং তাকে সমর্থনকারী বিজেপির বিধায়ক নিতেশ নারায়কে দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনা হোক। তা নাহলে তারা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেয় তাঁরা।

 




বিশ্বনবীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
ভারতে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তিকারী পুরোহিতের ফাঁসির দাবিতে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ দুর্গাপুর উপজেলা শাখার ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পৌর শহরের কাচারি মসজিদের সামনে থেকে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে এক বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ঈদগাহ মাঠের সামনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজ,সাংগঠনিক সম্পাদক মাসউদুর রহমান ফকির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক আলী উসমান, ইসলামী যুব আন্দোলন দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুফতি নুরে আলম, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের অর্থ সম্পাদক মুফতি আবু ওয়াক্কাস, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন,  কলমাকান্দা ছাত্র আন্দোলন শাখার সাধারণ সম্পাদক আইনুন নাঈম প্রমূখ।
সমাবেশ শেষে দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি দুর্গাপুর উপজেলা শাখার নায়েবে সদর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মান্নান।



নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতে জড়িত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক শফিকুর রহমান সরকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক শফিকুর রহমান সরকার নেত্রকোনা জেলায় যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও বিভিন্ন কর্মসুচীর টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদরাসার শিক্ষক নিয়োগ, উঠান বৈঠক ও বিভিন্ন প্রনোদনার টাকা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও জানিয়েছেন বিভিন্ন মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষকগণ। দুর্নীতির আতুর ঘরে পরিণত জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন অফিসটি যেন দেখার কেউ নাই।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার উপ-পরিচালক শফিকুর রহমান সরকার ২০১৬ সালে নেত্রকোনায় যোগাদানের পর থেকেই অফিসটি দূর্নীতি ও টাকা আত্বসাৎ এর প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে শিক্ষকদের কাছে। তিনি ঢাকার একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করা কালীন ছাত্রলীগের সভাপতি ও ক্যাডার ছিলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তৎকালীন ডিজি শামীম মোঃ আফজাল সাহেবের সময় নামমাত্র নিয়োগ পরীক্ষা এবং যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে, আওয়ামীলীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি নেত্রকোনা জেলার সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন।

যোগদানের পরপরই দলীয় প্রভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রতি বছর শিক্ষক নিয়োগ ও কেন্দ্র প্রদান করে থাকেন। মোহনগঞ্জ উপজেলায় কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র, প্রাক-প্রাথমিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম নিয়োগে আত্মীয়করণ সহ হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। নাম প্রকাশে অনি”ছুক একজন কেন্দ্র শিক্ষক বলেন, নেত্রকোনা জেলার উপ-পরিচালক শফিকুর রহমান সরকার স্যার এতো ঘুষ খান আমার জানা ছিল না। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে এমন দুর্নীতি, এখন বলতে গেলে নিজেই লজ্জা পাই।

জেলার দশটি উপজেলায় মোট উনিশটি দারুল আরকাম মাদরাসায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রতিটি মাদরাসায় ৮০,০০০/- আশি হাজার টাকা করে মোট ১৫,২০০০০/- (পনের লক্ষ বিশ হাজার) টাকা বরাদ্দ ছিল। নামমাত্র কিছু টাকা প্রদান করে বাকী সম্পূর্ণ টাকা ডি.ডি ও প্রধান শিক্ষকগণ মিলে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা পর্যায়ে ক্রয় কমিটি থাকা সত্বেও কমিটির সভাপতিকে বাদ দিয়ে মাদরাসার প্রধান শিক্ষক এবং ডি.ডি শফিকুর রহমান সরকারের যোগসাজসে ওই টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়া প্রমোশন এবং বিশেষ প্রনোদনা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘরের এসি, মাছ, বিভিন্ন উপকরন সহ নগদ টাকা উৎকোচ হিসেবে গ্রহন করতেন। উনার ক্ষমতার দাপটে কোন শিক্ষক মূখ খুলে কথা বলার সাহস পেতেন না।

মোহনগঞ্জ, দুর্গাপুর ও কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন শিক্ষক বলেন, ইউনিসেফ এর উঠান বৈঠক, মডেল মসজিদের অতিরিক্ত বরাদ্দের টাকা, উপজেলা পর্যায়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কর্মসুচীর টাকা, শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার দক্ষতাবৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণের টাকা প্রায় সব সময়ই আত্মসাৎ করে থাকেন এই ডি.ডি শফিকুর রহমান সরকার। এ ব্যপারে কেন্দ্রের কোন শিক্ষক বা জেলা অফিসের কেউ কোনো কথা বললে তাকে বদলীর ভয়ভীতি দেখিয়েই ক্ষান্ত হতেন না প্রয়োজনে আওয়ালীগের নেতাদের দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করাতেন। ইতোপূর্বে এইসব ক‚কর্মের কারণে অন্যত্র বদলী আদেশ হলেও আওয়ামীগের নেতাদের মাধ্যমে তা বাতিল করে বহাল তবিয়তে থেকে যান এবং বলেন আমাকে এখানে থেকে কেউ বদলী করতে পারবে না।

নেত্রকোনা জেলায় উপ-পরিচালক পদে চাকুরি করা কালীন এতো অল্প সময়ের মধ্যে ময়মনসিংহের অভিজাত এলাকায় কোটি টাকার বাড়ী ক্রয়, নেত্রকোনার বিভিন্ন এলাকায় জায়গা কিনে বাসা নির্মান করেছেন। এই টাকার উৎস কোথায় নেত্রকোনাবাসী তা জানতে চায়। দেশ আজ নতুন করে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। এতো দুর্নীতি করেও বীরদর্পে হাটছেন শফিকুর রহমান সরকার। তার এসব কু-কর্মের ব্যাপারে সঠিক তদন্তপূর্বক বিচারের মাধ্যমে কঠিন শাস্তি ও অপসারণের জোরদাবি জানাচ্ছে জেলার আপামর জনগণ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ।




ত্রাণের কার্টন বিক্রি করেই আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পেল ২ লাখ টাকা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আলেমদের মাধ্যমে পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আস-সুন্নাহর ত্রাণ তহবিলে বিশাল অঙ্ক যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। এই বিশাল অঙ্ক বন্যা কবলিত অঞ্চলে ত্রাণ প্যাকিজিংয়ের পর বেঁচে যাওয়া কার্টন বিক্রি করে জমা হয়েছে। যার পরিমাণ ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪২০ টাকা। কার্টন বিক্রি করে পাওয়া এই বিশাল অঙ্ক আস-সুন্নাহর ত্রাণ তহবিলে জমা করা হয়েছে।

শায়খ আহমাদুল্লাহ জানিয়েছেন, বন্যা কবলিত অঞ্চলে ত্রাণ প্যাকিজিংয়ের পর বেঁচে যাওয়া কার্টন বিক্রি করে ৩৪ হাজার ৪২০ টাকা পেয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।

তার ফেসবুক পোস্টে কার্টন বিক্রির ছবি আপলোড করে বলা হয়েছে, এগুলো ক্রয়কৃত ত্রাণসামগ্রীর বিভিন্ন কার্টন। ত্রাণ প্যাকেজিংয়ের পর বেঁচে যাওয়া এই কর্টনগুলো আমরা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪২০ টাকায় বিক্রি করে ত্রাণ তহবিলে জমা করেছি।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে শায়খ আহমাদুল্লাহ পরিচালিত আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। এবারের বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থাও অর্জন করেছে সংগঠনটি। দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই অনুদান পাঠিয়েছেন এখানে।

মানুষের অনুদানের টাকা আমানতের সঙ্গে বন্যা কবলিতদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। নিজের একাধিক ফেসবুক পোস্টে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, এবারের বন্যায় মাত্র ১২ দিনে ১৫ লক্ষাধিক মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনুদান দিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় একক অনুদানের পরিমাণ ২০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে খাদ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ সম্পন্ন করেছে আস-সুন্নাহ। দ্বিতীয় ধাপে ২ লাখ ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের শুরু করেছে সংগঠনটি। ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ পরিবারের মাঝে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করেছে।




দুর্গাপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত

 

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আয়োজনে ‘‘মুক্তির মুলমন্ত্র, ইসলামী শাসনতন্ত্র’’ এই প্রতিপাদ্যে এক গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে দুর্গাপুর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্ত্বরে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ আজিজুল হক এর সভাপতিত্বে মাওলানা মামুনুর রশীদ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নেত্রকোনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাও: মুফতি অলিউল্লাহ। প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা বিভাগের উপদেস্টা মাওঃ মামুনুর রশিদ রব্বানী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা কমিটির নেতা ক্বারী নুরুল ইসলাম, মুফতি মতিউর রহমান, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল তালুকদার, ইসলামী আন্দোলন দুর্গাপুর উপজেলা শাখার নেতা হাফেজ আব্দুল কাদির, মাওলানা ডাঃ আলী আকবর, ইউনিয়ন শাখার নেতা মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মুফতি আবু ওয়াক্কাছ, হাফেজ মোস্তফা কামাল, মাওঃ রফিকুল ইসলাম, মাও: মতিউর রহমান, মাও: আব্দুল হাদী, মুফতি তাজুল ইসলাম, সাংবাদিক মাসুদুর রহমান ফকির, ছাত্র আন্দোলন শাখার নেতা মোজাম্মেল হক, আব্দুল হান্নান, যুব আন্দোলন শাখার নেতা মাওঃ উসমান গনি, মুফতি নুরে আলম, মুফতি জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত পাঁচই আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের মাধ্যমে এক নতুন বাংলাদেশের সুচনা হয়েছ। আমরা আর কোন স্বৈরশাসকের আবির্ভাব দেখতে চাইনা। আগামীর বাংলাদেশে যেন একটি ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করা যায়, সে কারণে নেতাকর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান। আসুন আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখে ইসলামী ধারায় জীবন গড়ার চেষ্টা করি।