মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ইইউ

মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত ১১ সামরিক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। আগামী সোমবার দেশগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ পদক্ষেপে অনুমোদন দেবেন।

ইউরোপের কূটনীতিকদের বরাতে আলজাজিরা বলছে, জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা শনিবার অভ্যুত্থানের নেতাদের অর্থ ও অস্ত্র সংক্রান্ত অনুপ্রবেশ বন্ধে আরজি জানিয়েছেন। এরপরই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত মাসে মিয়ানমারের সামরিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থকে লক্ষ্যবস্তু করতে সম্মত হয় ২৭ দেশের এই জোট।

এর আওতায় ১১ সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ইউরোপের থাকা সম্পত্তি জব্দ ও ভিসা কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। তবে শুরুতেই সেনা বাহিনীর সঙ্গে থাকা বাণিজ্য চুক্তিকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে না। তবে সামনে এ ধরনের পদক্ষেপ আসতে পারে। এক কূটনীতিকের বরাতে এ খবর জানানো হয়।

মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ শনিবার দেশটিতে চলমান সহিংসতা রোধে অভ্যুত্থানের নেতাদের অর্থ ও অস্ত্র সংক্রান্ত অনুপ্রবেশ বন্ধের আহ্বান জানান।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস দেশটিতে চলমান সহিংসতা রোধে ঐকমত্যে পৌঁছতে বিশ্ব নেতাদের একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছেন।




সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস অসুস্থ

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের (একাংশ) সভাপতি ও বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস অসুস্থ। বিষয়টি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল ও ফরিদপুরের বিভিন্ন মাদরাসার খতমে বুখারী ও আলোচনায় অংশ নেয়ার পর নিজ বাড়ী যশোরে ফিরেন মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস। দীর্ঘ দিনের সফরের ক্লান্তির কারণে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বর্তমানে মেনিস্টোক রোগ ধরা পড়েছে তার।

জানা গেছে, ডাক্তারের পরামর্শে নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। খুব শীঘ্রই যশোর থেকে ঢাকায় এনে চিকিৎসা করা হবে তার।




বিনা ভুলে পুরো কুরআন শরীফ শুনিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করলো হাফেজ যাকারিয়া

এক বৈঠকে বিনা ভুলে পবিত্র কুরআনুল কারিমের পুরো ৩০ পারা তার উস্তাদকে শুনিয়েছেন মৌলভীবাজার নুরুল কুরআন মাদরাসার হিফজুল কোরআন বিভাগের ছাত্র হাফেজ শরীফ আহমদ যাকারিয়া।

প্রিয় ছাত্রের এ অনন্য দক্ষতায় অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে হাফেজ যাকারিয়ার উস্তাদ হাফেজ মাওলানা লোকমান আল মাহমুদ বলেন, ‘নামাজের সময়টুকু আর খাবারের সংক্ষিপ্ত বিরতি ছাড়া ফজরের পর থেকে টানা ১৭ ঘন্টায় পূর্ণ কুরআনুল কারিম শুনালো শরীফ আহমদ যাকারিয়া। হদর শুনেছি। গড়ে প্রতি পারায় ২৫ মিনিটের মতো সময় লেগেছে।

তিনি বলেন, তাকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, খতম শুরু করলে শেষ হবার আগ পর্যন্ত কুরআন শরীফ আর দেখতে পারবে না। আর আমি মনে মনে নিজেকে শর্ত দিয়েছিলাম, নিজের হিফজ বা মুখস্তের উপর ভিত্তি নয়; বরং হারফান হারফান দেখে দেখে তার পূর্ণ কুরআন শরিফ শুনবো। আলহামদুলিল্লাহ সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।




মসজিদের ইমামকে মুসল্লিদের পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল উপহার

কানাইঘাট উপজেলার ১নং লক্ষ্মীপ্রসাদ পুর্ব ইউনিয়নের মুলাগুল সাউদগ্রাম জামে ইমামকে মোটরসাইকেল উপহার দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এলাকার যুব সমাজ ও মহল্লাবাসী।

গত শনিবার (১৩ মার্চ) এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতে আনুষ্ঠানিকভাবে মোটরসাইকেলের চাবি তুলে দেয়া হয়।

জানা যায়, ওই মসজিদের ইমাম সাহেব দীর্ঘদিন ধরে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ইমামতির দায়িত্ব পালনের ফলে তার প্রতি এলাকার সর্বসাধারণের একটি আলাদা ভালবাসা গড়ে ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইমাম সাহেবকে সবসময়ই সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে মহল্লাবাসী ও যুব সমাজ।

সর্বশেষ গত শনিবার ইমাম সাহেবের চলাফেরার সুবিধার্থে মহল্লাবাসী ও যুব সমাজের যৌথ উদ্যোগে একটি মোটরসাইকেল উপহার দিয়ে তাদের ভালোবাসার জানান অব্যাহত রাখে। যুব সমাজের এই ভালোবাসা পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ কামনা করেন ইমাম সাহেব।




মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় যুবক গ্রেফতার

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও ইসলাম ধর্মীয় বিষয়ে অশালীন পোস্ট করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার যুবকের নাম ঝুমন দাস আপন (২৪)। তিনি সুনামগঞ্জের শাল্লা থানার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের গুপেন্দ্র দাসের ছেলে। মঙ্গলবার রাত ১১টায় শাল্লার শাঁসকাই বাজারে তাকে আটক করে গ্রামবাসী।পরে তাকে শাল্লা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যে কারণে অভিযুক্ত ঝুমন দাস আপনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। এরপর আপনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ইসলামধর্ম ও মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ হয়। পরে এনিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। আপনকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে এলাকাবাসী৷




কোরআন আবমাননার প্রতিবাদে রাজধানীতে বি’ক্ষো’ভ মিছিল

ভা’রতে কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে রাজধানীর কুড়িলে মঙ্গলবার বিশাল এক বি’ক্ষো’ভ মিছিল বের হয়।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় প্রগতি সরণির বসুন্ধ’রা গেট থেকে বি’ক্ষো’ভ মিছিলটি শুরু হয়ে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

পরে সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত একটি সমাবেশ করেন। ভা’রতের সুপ্রিমকোর্টে পবিত্র কোরআন শরিফ সংশোধনের দাবিতে মা’ম’লা দায়েরকারী ওয়াসিম রিজভিকে গ্রে’প্তা’রের দাবি জানান তারা।

তার ছবি পদদলিত করার পাশাপাশি পোস্টারে আ’গু’ন দিয়ে বি’ক্ষো’ভ প্রদর্শনের ঘটনাও ঘটেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধ’র্মপ্রা’ণ মু’সলমানদের মতো বাংলাদেশেও এ নিয়ে বি’ক্ষো’ভ চলছে।

ভা’রতের উত্তরপ্রদেশ শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান রিজভির অ’ভিযোগ, কোরআন শরিফের ২৬টি আয়াতে নাকি সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করা হয়েছে। তাই সেগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ওয়াসিম রিজভির ওই আবেদন বাতিল করার দাবি জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া মু’সলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের মহাসচিব মা’ওলানা মাহমুদ দরিয়াবাদী।

তিনি বলেন, ‘বিগত ১৪০০ বছর ধরে পবিত্র কোরআন শরিফ অবি’কৃ’ত অবস্থায় রয়েছে। এই ঐশী গ্রন্থের একটি শব্দও পরিবর্তন করার অ’পচেষ্টা কেউ করেনি। কোরআন শরিফের কোনো আয়াতেই স’হিং’সতাকে সম’র্থন করা হয়নি।

ভা’রতের শিয়া পার্সোনাল ল’ বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— কোরআনের প্রত্যেকটি আয়াত চিরন্তন সত্য। এর সত্যতা নিয়ে কোনো বিতর্ক চলতে পারে না। প্রখ্যাত শিয়া আলেম মা’ওলানা কালবে জাওয়াদ তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘ভা’রতের আইনশৃঙ্খলা খা’রা’প করার জন্য এবং মু’সলিম’দের মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য ওই চেষ্টা নিন্দনীয়। ওয়াসিম রিজভির বি’রু’দ্ধে গুরুতর অ’ভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় ত’দ’ন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি ওই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

মা’ওলানা কালবে জাওয়াদ আরও বলেন, এ ধরনের ব্যক্তির ই’স’লা’ম ধ’র্মে কোনো স্থান নেই। কেননা শিয়া সম্প্রদায় পবিত্র কোরআনকে চিরন্তন ও শাশ্বত সত্য বলে মনে করেন। কেয়ামত পর্যন্ত তা অবি’কৃ’ত অবস্থায় থাকবে। কারও কোনো অধিকার নেই যে, এই পবিত্র ধ’র্মগ্রন্থে সামান্যতম কোনো পরিবর্তনের দাবি জানানোর।’

ভা’রতের মুম্বাইয়ের রাজা একাডেমি রিজভির ওই আবেদন বাতিল করার দাবি জানিয়েছে।




আড়ংয়ের সব পণ্য ফিরিয়ে দিলেন কিশোরগঞ্জের এক ব্যবসায়ী

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়কট আড়ং আন্দোলন সক্রিয়মান। এরই সূত্র ধরে কিশোরগঞ্জের স্টেশন রোডস্থ নেয়ামত স্টোরের মালিক মো. মিজানুর রহমান শাহীন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অর্ডারকৃত আড়ংয়ের সকল পণ্য ফেরত দিয়েছেন।
আওয়ার ইসলামের পক্ষ থেকে এর কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান শাহীন বলেন, গতরাতে আমি একটি ভিডিও দেখেছি। যেখানে দাড়ি থাকায় একটি ছেলেক চাকুরী দেয়নি ‘আড়ং’ কর্তৃপক্ষ। যা দেখে অবাক হয়েছি। মুসলমানদের এই দেশে আমার নবীর সুন্নতের জন্য চাকরি দেবে না তা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, আড়ং কর্তৃপক্ষ নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে দাড়িওয়ালা ব্যক্তিকে চাকরি দিলে তবেই আমরা তাদের পণ্য গ্রহণ করব। অন্যথায় আড়ংয়ের পণ্য বর্জন করলাম।
এদিকে গত দুইদিন আগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আট মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায় এক যুবক, নিজেকে ইমরান হোসেন ইমন নামে পরিচয় দিয়ে বলছেন, তিনি আড়ংয়ে বিক্রয়কর্মীর একটি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, মুখে মাস্ক পরেই তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা তার সাথে সন্তুষ্ট বলে তার মনে হয়েছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে সাক্ষাৎকারগ্রহীতাদের চাহিদা মোতাবেক তিনি মাস্ক খোলেন এবং তার মুখভর্তি দাড়ি প্রকাশিত হয়ে পড়লে সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা তাকে বলেন, তাদের নীতিমালা অনুযায়ী তারা দাড়িওয়ালা ব্যক্তিদের বিক্রয়কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন না।
‘তারা বললো আপনি যদি ক্লিন শেভ করতে পারেন তাহলে আপনার জবটা আমরা এখানে কনফার্ম করতে পারবো, সাক্ষাৎকারগ্রহীতাদের বক্তব্যের বরাত দিয়ে ভিডিওটিতে বলেন এই যুবক। এরই সূত্র ধরে সারা দেশে ‘বয়কট আড়ং’আন্দোলন সক্রিয়মান।



সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করুন, সরকারকে ফয়জুল করীম

রমজানকে সামনে রেখে চাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

তিনি বলেছেন, সরকারের মাঝে ঘাপটি মেরে থাকা মুনাফাখোর ও বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেটের কারণে চাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য আজ আকাশচুম্বি। ভোট ডাকাতির সরকার এদেরকে পুষে রাখার কারণে চালের বাজার কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না।

সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে মুফতী ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আজ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ চরম বিপাকে পড়ছে। গত একদিনে চালের দাম প্রতি বস্তায় পাইকারি বেড়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। যে কারণে খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে; যা স্পষ্টতই সরকারের চরম ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে। বর্তমান চালের দাম বৃদ্ধিতে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে; যা দেশবাসীকে বিস্মিত করেছে।

জনগণকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, জনবিরোধী সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করুন। তাদের শাস্তির আওতায় আনুন। বাজারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করে জনগণকে অন্তত সাধ্যের মধ্যে খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা করুন। মাহে রমজানে যেন সাধারণ মানুষের কোনো ভোগান্তি না হয়।




ইসলামের কথা বলতে এসেছি, সেলফি ওঠাতে নয়: মাওলানা মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ইসলামের কথা বলার জন্য আজ দিরাই এসেছি। সেলফি ওঠাতে আসিনি।

সোমবার শানে রিসালাত সম্মেলনে যোগ দিতে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আসেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় একদল তরুণ সেলফি তুলতে আসলে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে টিকটক, সেলফি আর ফেসবুক লাইভ নিয়ে সবাই ব্যস্ত। কেন ভাই? ওইসব ছাড়া কি আপনাদের কোনো কাজ নাই? আপনাদের কি সমস্যা যে, লাইক পাওয়ার জন্য সব জায়গায় সেলফি তুলতে হবে?

উল্লেখ্য, শানে রিসালাত সম্মেলনে যোগ দিতে হেলিকপ্টারে চড়ে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় যান হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী।

এ সময় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির আল্লামা নুরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জুনাইদ আল-হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দিন মুনিরসহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।