জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে ইজতেমা ময়দান

ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মুসলিমদের অন্যতম বড় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। দেশের লাখ লাখ মুসলমানদের পাশাপাশি কয়েক হাজার বিদেশি মুসলিমও এসেছেন ইজতেমায় অংশ নিতে।

ইজতেমাকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও গুজব প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১০ থেকে ইজতেমা মাঠের বিভিন্ন ব্লক ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি তাবুতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুসল্লীরা ইবাদত-বন্দেগি করছেন। অনেকেই ইজতেমার সহযাত্রীদের জন্য খাবার রান্না করছেন। সবাই আগে রান্না শেষ করে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পল্টন থেকে ইজতেমার মাঠে এসেছেন আহমেদ রাফি। তিনি বলেন, আমরা প্রায় ৩০০ জন এসেছি। এবারের পরিবেশ আগের চেয়ে ভালো। আমাদের সবারই চাওয়া দেশে শান্তি বিরাজ করুক। আমরা যেনো ইসলামের পথে সঠিকভাবে চলতে পারি।

১৫০ জন সাথী নিয়ে পুরান ঢাকার লালবাগ থেকে আগত জামিল বলেন, আমি ইজতেমায় আগেও এসেছি। এবারের পরিবেশ ও নিরাপত্তা অনেক ভালো। বর্তমানে তাবলীগ জামায়াত ঘিরে যে সমস্যা চলছে আল্লাহর পক্ষ থেকে এর সমাধান চাই।

ভারত, সৌদি আরব ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের ৭০ টি দেশ থেকে দুই হাজারের বেশি মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে। নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে তাদের জন্য আলাদা তাবুর ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ চাইলেই তাদের সংস্পর্শে আসতে পারবে না।

পাকিস্তানের পেশোয়ার থেকে এসেছেন জিয়াউর রহমান ফারুকী। তিনি বলেন, আমি এপর্যন্ত ৫ বার এই বিশ্ব ইজতেমায় এসেছি। বাংলাদেশের মানুষ অনেক অতিথিপরায়ন। আল্লাহর পথে দাওয়াতি কাজে মেহনত করতে এসেছি। বাংলাদেশিদের আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দেবেন। কারণ তারা আমাদের মতো বিদেশি মেহমানদের জন্য ভালো ব্যবস্থা করেছেন। মেহমানদারিতে বাংলাদেশের মানুষ অনেক এগিয়ে।

বাংলাদেশি নাগরিক হয়েও বিদেশি কামরায় অবস্থান করেন দীন ইসলাম। তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি কুয়েত প্রবাসী। সেখান থেকে ২০ জনের একটি জামায়াত নিয়ে এসেছেন ইজতেমায় অংশগ্রহন করতে।

তিনি বলেন, আমাদের মত যেসব বাংলাদেশী বিদেশে আছেন তারা কাকরাইল মসজিদের মাধ্যমে ম্যাসেজ পেয়ে যান। আমরা সময় মতো চলে আসি। আমরা আরব তাবুতে অবস্থান করছি। এখানে অনেক সুন্দর আয়োজন। প্রতিটি টেন্ড ও খিমায় আমল হচ্ছে। কোনো কোনো খিমায় তালিম হচ্ছে। সবাই আমলের মধ্যে সময় পার করছেন।

ইজতেমা মাঠে হামলার বিষয়টি নিয়ে বিদেশি মুসল্লিদের ভাবনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা খুব আন্তরিকতার সঙ্গে ইজতেমায় অংশ গ্রহণ করি। একটা গ্রুপ আছে ইজতেমার এই সুন্দর আয়োজনকে নষ্ট করার জন্য কাজ করছে। তারা ভয় দেখিয়ে বিদেশি মেহমানদের না-আসার চক্র করে যাচ্ছে। দাওয়াত ও তাবলীগের এই কাজটি তো হকের কাজ। কিন্তু এই কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা নিরীহ ও ঘুমন্ত মুসল্লীদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে। এটা ন্যক্কারজনক ঘটনা।

জানা গেছে, ইজতেমার মাঠের নিরাপত্তায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজারের বেশি পুলিশ এবং প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও কাজ করছেন।

ইজতেমা মাঠের নিরাপত্তার বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড.নাজমুল করিম খান বলেন, ইজতেমার মাঠে খুবই শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। ইজতেমা ঘিরে কোনো যানজট নেই। দূরপাল্লার গাড়ি চলছে। মানুষ চলাচল করছে। নিরাপত্তা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। ইজতেমার মাঠে আসা হকারদের আমরা বুঝিয়ে সরিয়ে দিচ্ছি।




৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা, বিশ্বের সর্ববৃহৎ দ্বিতীয় মুসলিম জমায়েত শুরু হতে যাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি)। সুষ্ঠুভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। শুক্রবার ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়ে শেষ হবে ২ ফেব্রুয়ারি।

গতকাল (২৯জানুয়ারী) বুধবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ৩ ফেব্রুয়ারী শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এরপর আট দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ধাপের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন সাদপন্থিরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব প্রশাসনের নিকট ময়দান বুঝিয়ে দিবেন সাদ অনুসারীরা।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের পানি, টয়লেট সুবিধা, পয়ঃনিষ্কাশন ও ইলেকট্রিসিটি সরবরাহের জন্য কাজ চলমান রয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ইজতেমার জন্য ময়দান প্রস্তুত করা হবে।

এছাড়া, ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে ময়দানের চারিদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরায় নজরদারির ব্যাবস্তা করা হয়েছে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা ইজতেমা ময়দানের সামনের রাস্তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করেছেন। শেষ মুহূর্তের কিছু কাজ আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে জানান ইজতেমা কর্তৃপক্ষ।




আগামী কাল ঐতিহ্যবাহী জামিয়া শাহিদিয়া ইমদাদিয়া ঝাঞ্জাইল মাদ্রাসার ইসলামী মহা সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া শাহিদিয়া ইমদাদিয়া ঝাঞ্জাইল মাদ্রাসার আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা ২ ঘটিকা হইতে বাৎসরিক ইসলামী মহা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হইবে ।

উক্ত মহা সম্মেলনে পীরে কামেল, আলহাজ্ব আল্লামা জিয়াউদ্দিন সাহেব এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন, কারানির্যাতিত মজলুম আলেমে দ্বীন, শাইখুল হাদীস ইবনে শাইখুল হাদীস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সম্মানিত আমীর, আল্লামা মামুনুল হক, অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখবেন মাওলানা মুফতি খালেদ সাইফুল্লাহ্ আইয়ুবী, মাওলানা মুফতি মুজিবুর রহমান চাটগামী, মাওলানা মুফতি ইলিয়াছ হামিদী , মাওলানা মুফতী অলিউল্লাহ্, মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান আশরাফী, মাওলানা মুফতি সালমান ফার্সী, মাওলানা মুফতি আনিসুর রহমান, মাওলানা মুফতি উবায়দুর রহমান হোজাইফী, মাওলানা মুফতি আবুল কালাম তৈয়্যবী, মাওলানা মুফতি আব্দুল মালেক, মাওলানা মুফতি এনামুল হক আইয়ুবী প্রমূখ। আরোও দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরাম ওয়াজ ও নছীহত পেশ করবেন।

মাহফিল কর্তৃপক্ষ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। ।




ইমাম খোমেনী (রহ.) বৈষয়িক অগ্রগতির পাশাপাশি আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতা রক্ষার ওপর জোর দিতেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইমাম খোমেনী (রহ.) মনে করতেন সুস্থ মত-বিনিময় ও নানা ধরনের চিন্তার পারস্পরিক অনুধাবনই হচ্ছে ইসলামী সংস্কৃতি প্রসারের সঠিক পন্থা। কোনো একটি ধারণা ছড়িয়ে দেয়ার সবচেয়ে ভালো ভিত্তি হল চিন্তাশীলদের সঙ্গে নিয়মতান্ত্রিক সংলাপ, যুদ্ধ, বিতর্ক বা হৈ-চৈ করা নয়।

বিশ্ব দর্শন দিবস উপলক্ষে সংস্কৃতির দর্শন সংক্রান্ত এক সেমিনারে ইমাম খোমেইনীর এই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন সাইয়্যেদ মোহসেন শারিফি নামক একজন গবেষক।

তিনি বলেছেন, ইমাম খোমেনীর মতে সংস্কৃতি হচ্ছে সমাজের মাথা ও চিন্তাশীলদের মগজ এবং সংস্কৃতি হচ্ছে সব সুখ ও দুর্ভাগ্যের উৎস। সংস্কৃতি সমাজের নির্মাতা, সমৃদ্ধির মূল ও দুর্ভাগ্যের গোড়া।

ইমাম খোমেনীর মতে সংস্কৃতিরও রয়েছে নানা ধরণ। যেমন, ইসলামী সংস্কৃতি, উপনিবেশবাদী সংস্কৃতি, নির্ভরশীলতার সংস্কৃতি, রাজকীয় সংস্কৃতি, স্বাধীনতার সংস্কৃতি ইত্যাদি। ইসলামী ও পশ্চিমা সংস্কৃতি উভয়ই বৈশ্বিক মিশনের দাবিদার, কিন্তু ইমাম খোমেইনীর মতে অবিকৃত ইসলামী সংস্কৃতি পশ্চিমা সংস্কৃতির চেয়ে উন্নত। পশ্চিমা সভ্যতা ও সংস্কৃতি নানা রোগের কারণে ভেঙ্গে যাচ্ছে ও বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি মনে করতেন।

শারিফি আরও বলেছেন, মুসলিম চিন্তাবিদদের কেউ কেউ বলছেন প্রগতির একমাত্র পথ পশ্চিমা সংস্কৃতি, তাদের আরেক দল মনে করেন, পশ্চিমা সংস্কৃতিকে পুরোপুরি পরিহার করা উচিত ও এ সংস্কৃতির কোনো সাফল্য নেই, আর ইসলামী ও পশ্চিমা সংস্কৃতির মধ্যে বন্ধন বা সম্পর্ক ইসলামী সভ্যতাকে বিচ্যুত ও দুষিত করবে। অন্য এক দল মনে করেন সভ্যতা ও সংস্কৃতিগুলোর মধ্যে সম্পর্ক যদি যৌক্তিক হয় ও সমালোচনা-ভিত্তিক তাহলে তা বয়ে আনবে উন্নতি ও প্রগতি। ইমাম খোমেনী এই তৃতীয় ধারার চিন্তার ভিত্তিতেই কাজ করতেন ও কথা বলতেন।

তিনি আরও বলেছেন, ইমাম খোমেনী মনে করতেন পশ্চিমা সংস্কৃতির কিছু দুর্বলতা হল উপনিবেশবাদ ও পশ্চিমা-বিকারবাদ। আর এর ভালো দিক তথা বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিকে ভিন্নভাবে নেয়া উচিত। বৈষয়িকতা ও বস্তুতান্ত্রিক উন্নতির পাশাপাশি নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতারও বিকাশ ঘটানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি একটি তৃতীয় বা মধ্যবর্তী চিন্তার অনুসরণ করতেন।

ইমাম খোমেনী (র) মনে করতেন সুস্থ মত-বিনিময় ও নানা ধরনের চিন্তার পারস্পরিক অনুধাবনই হচ্ছে ইসলামী সংস্কৃতি প্রসারের সঠিক পন্থা। কোনো একটি ধারণা ছড়িয়ে দেয়ার সবচেয়ে ভালো ভিত্তি হল চিন্তাশীলদের সঙ্গে নিয়মতান্ত্রিক সংলাপ, যুদ্ধ, বিতর্ক বা হৈ-চৈ করা নয়। আর এই ছিল ইমাম খোমেনীর সংলাপের সংস্কৃতি।

শারিফি আরও বলেছেন, ইমাম খোমেনী পশ্চিমা সংস্কৃতির নেতিবাচক দিক মোকাবেলার জন্য ও পশ্চিমা আধিপত্যবাদ মোকাবেলার জন্য ইসলামের দিকে ফিরে আসার ওপর গুরুত্ব দিতেন। এভাবে ইমাম পশ্চিমা সংস্কৃতির সঙ্গে সংঘাতের বিষয়টিকে বিবেচনা করতেন যে পশ্চিমা সংস্কৃতি ও চিন্তাধারা সমসাময়িক যুগে কথিত মানবতাবাদ, ব্যক্তি স্বাতন্ত্রবাদ ও ভোগবাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত।




শিক্ষা সিলেবাসে ইসলামপন্থিদের নিয়ে বৈষম্যমূলক ইতিহাস বাতিলের দাবি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সাধারণ শিক্ষায় সবক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও কওমি শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়াসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কওমি ছাত্র আন্দোলন। মঙ্গলবার ( ৭ জানুয়ারি ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

বৈষম্যবিরোধী কওমি ছাত্র আন্দোলনের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— জাতীয় শিক্ষা সিলেবাসে ইসলামপন্থিদের নিয়ে বৈষম্যমূলক ইতিহাস বাতিল করে সঠিক ইতিহাস ও অবদান অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; যারা কৌশলে ইসলামপন্থিদের ইতিহাস ও অবদান এড়িয়ে গেছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে; কওমি সনদের যথাযথ মূল্যায়ন এবং রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে কওমি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহি:বিশ্বে কওমি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

মানববন্ধনে আন্দোলনের সমন্বয়ক তোফায়েল আহমেদ বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকে জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শ্রেণির অবদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

কিন্তু ৭০-এর অধিক শাহাদাত বরণকারী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাহসিকতার কথা তুলে ধরা হয়নি। আমরা মনে করি এটি এক ধরনের বৈষম্য ও ইতিহাস গোপনের অপচেষ্টা। যা কওমি শিক্ষার্থীরা কখনোই মেনে নেবে না।

তিনি আরও বলেন, এমন পদক্ষেপের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, আপনারা সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরবেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন— বৈষম্যবিরোধী কওমি ছাত্র আন্দোলনের সহকারী সমন্বয়ক মাকসুদুর রহমান, মোস্তফা হোসাইন, জসিম উদ্দীন প্রমুখ।




মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল হক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ নুরুল হক। তিনি সরকারি মাদ্রাসা-ই আলীয়া ঢাকার হেড মাওলানা।

আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগে ন্যাস্তকৃত বি সি এস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে প্রেষণে বদলী/পদায়ন করা হলো।




গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মসজিদের ইমামের মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় জাহিদ হাসান (৩০) নামে এক মসজিদের ইমাম নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের পশ্চিম চৌমাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহিদ হাসান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দাড়িদহ কালুগাড়ী গ্রামের ছোলায়মান আলীর ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাফেজ জাহিদ হাসান সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে বগুড়ায় নিজের কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম চৌমাথা এলাকায় পৌঁছালে তিনি মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খান। এতে তার মাথা ও মুখ থেঁতলে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও আলেমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, “নিহত জাহিদ হাসান বগুড়ার একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।”

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।




ইজতেমা ময়দান দখলের পর লাঠি হাতে ফিরেছে সাদপন্থীরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

হামলা চালিয়ে দখলের পর টঙ্গী ইজতেমা ময়দান ছেড়ে লাঠি হাতে ফিরে গেছে তাবলীগ জামাতের সাদপন্থীরা।

টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ ও আশপাশের তিন কিলোমিটারের মধ্যে সভা-সমাবেশের ওপর পুলিশের নিষেধাজ্ঞা জারির পর ময়দান ছাড়ে তারা।

টঙ্গীতে সরেজমিনে থেকে আবদুল্লাহ বিন মুস্তফার ধারণ করা ভিডিওতে এমন তথ্য জানা গেছে।

ফেসবুকে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, লাঠি হাতে ফিরে যাচ্ছে হামলা করে নিরীহদের খুন করা সাদপন্থীরা।

এর আগে বুধবার গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার কথা বলা হয়েছে।

এরপর থেকেই হামলা করে দখলকারী সাদপন্থীদের মাঠ ছেড়ে চলে যেতে দেখেন স্থানীয়রা।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। ময়দান ও আশপাশে কোনো জমায়েত করা যাবে না। কোনো ধরনের মাইক ব্যবহারও করা যাবে না।”

মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদের অনুসারী সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত তাবলীগ জামাতের মূলধারা আলেমওলামাদের পরিচালিত শূরায়ি নেজামের তিনজন মুসল্লি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে আজ বাদ মাগরিব টঙ্গী ময়দানে সাদপন্থীদের হামলায় নিহত কাকরাইল মারকাযে শূরায়ি নেজামের একজন শহীদের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে।




ভারতে সাম্প্রদায়িকতার নতুন নজির: মুসলমানের নিকট ফ্ল্যাট বিক্রিতে হিন্দুদের বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সাম্প্রদায়িকতার নতুন নজির সৃষ্টি করল ভারত। দেশটির মুরাদাবাদে টিডিআই সোসাইটিতে এক মুসলিম চিকিৎসকের ফ্ল্যাট বিক্রি করায় বিক্ষোভে নেমেছেন সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এসময় সোসাইটির কলোনি গেটে সোসাইটি সভাপতি অমিত শর্মাসহ অনেকে বিক্ষোভে অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীরা জানায়, ড. আশোক বাজাজ তার বাড়ি ড. ইকরা চৌধুরী নামে এক মুসলিম চিকিৎসককে বিক্রি করেছেন। তাই তারা বিক্ষোভে নেমেছেন। এসময় সোসাইটির সদস্যরা স্লোগান দিতে থাকেন- ‘ড. আশোক বাজাজ, আপনার বাড়ি ফেরত নিন।’

এনডিটিভিকে সোসাইটির এক বাসিন্দা বলেন, এটি একটি হিন্দু সমাজ, এখানে ৪০০-এরও বেশি হিন্দু পরিবার বাস করে। আমরা চাই না- মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক এখানে বসবাস করুক।

সোসাইটির আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা ভীত যে, মালিকানা পরিবর্তন হলে সমাজের গঠন পরিবর্তন হবে। মুসলিমরা এখানে বসবাস করতে শুরু করলে হিন্দুরা চলে যেতে পারে।

এ বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জ কুমার সিংহ বলেন, সোসাইটির সদস্যরা এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তারা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা করছেন।




বাংলাদেশে ‘ইসকনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

উগ্র সন্ত্রাসী ও জঙ্গী সংগঠন ইসকন কর্তৃক মসজিদ ও আদালতের স্থাপনা ভাঙচুর ও ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং আদালতপ্রাঙ্গণে শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার বিচার ও দেশবিরোধী উগ্র সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ রংপুর জেলা শাখা।

রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ থেকে শুরু হয়ে পায়রাচত্বর, জাহাজ কোম্পানী মোড় ও প্রেসক্লাব ঘুরে কাচারি বাজারস্থ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত মিছিল করে সংগঠনটি। সেখানে ‘উগ্রবাদী জঙ্গী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি’ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে আবার একই জায়গায় এসে মিছিলটি শেষ হয়।

এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মুহাম্মাদ ইউনুছ ও রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক হাফেজ ইদ্রীস আলীসহ জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের পরাজিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ভারতের মাধ্যমে হিন্দুদের একটি অংশকে ব্যবহার করে এদেশে শান্তি বিনষ্টের ঘৃণ্য অপচেষ্টা করছে। ভারতের প্রত্যক্ষ মদদেই ইসকন বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।

তারা বলেন, বাংলাদেশে ইসকনের ইতিহাসের পুরোটাই মারামারি, হানাহানি এবং উগ্রতায় ভরপুর। বিভিন্নভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় ভূমি দখল, মন্দির দখল ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনা অহরহই ঘটিয়ে চলেছে তারা।

সমাবেশে বলা হয়, দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের পাশাপাশি সরকার ও বিভিন্ন সংস্থাগুলো যখন জানাচ্ছে যে, বর্তমানে হিন্দুরা পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি নিরাপত্তায় রয়েছে, তখন ভারতের ইশারায় ইসকন মিথ্যা তথ্য ও গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্র করছে।

বক্তারা বলেন, আমরা মনে করি, ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে ইসকনের মাধ্যমে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে চট্টগ্রামের আদালত পাড়ায় মুসলমানদের পবিত্রতম স্থান মসজিদ ভাঙচুর করে সংখ্যাগরিষ্ট নাগরিকদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। পূর্বপরিকল্পিত ছক অনুযায়ীই আদালতপ্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও জবাই করে শহীদ করেছে ইসকন সদস্যরা।

দাবি জানিয়ে তারা বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জোরালো দাবি, এমন ভয়াবহ অবস্থায় অনতিবিলম্বে ইসকনের সকল কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং মসজিদ ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

সমাবেশে হেফাজত নেতারা বলেন, বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসনকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। সরকার যদি ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে গরিমসি করে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আগামীতে ধারাবাহিক আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন হেফাজত নেতৃবৃন্দ।