ঢাকায় কখন কোথায় ঈদ জামাত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানীতে বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিরা আদায় করবেন ঈদের জামাত। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে অন্যান্য সময়ের মতো এবার ঈদগাহে বা উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত হচ্ছে না।

আগামীকাল শুক্রবার (১৪ মে) দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এবার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত হবে না। তবে প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২৬ এপ্রিল ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনার কারণে এবারও ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আদায় করা যাবে না। মসজিদে পড়তে হবে ঈদের নামাজ। একইসঙ্গে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারী কাজী মাসুদুর রহমান। দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারী হাবিবুর রহমান মেশকাত।

৯টার তৃতীয় জামাতের ইমাম হবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির মুয়াজ্জিন মাওলানা ইসহাক। চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান। মুকাব্বির হবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম হাফেজ মো. শহীদুল্লাহ।

পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত না থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। অপরদিকে ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা ও সকাল ৯টায়, ধানমন্ডির বায়তুল আমান মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, ঈদগাহ মাঠ মসজিদে ৮টায় এবং সোবহানবাগ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত হবে। রাজধানীর গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদে সকাল ৬টা, সাড়ে ৭টা এবং সাড়ে ৯টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পুরান ঢাকার চকবাজার শাহী মসজিদে সকাল ৮টা ও ৯টায় দুটি জামাত হওয়ার কথা রয়েছে। বড় কাটারা মাদরাসা মসজিদে ঈদ জামাত হবে সকাল ৮টায়। লালবাগ শাহী মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় একটি জামাত হবে।

মহাখালীর মসজিদে গাউসুল আজমে তিনটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং শহীদুল্লাহ হল জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত হওয়ার কথা রয়েছে। নবাবগঞ্জ বড় মসজিদে ঈদের জামাত হবে সকাল ৭টায়, ৮টায় ও ৯টায়। আজিমপুর কবরস্থান মসজিদে সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা ও ১০টায় চারটি জামাত হবে। মিরপুর দারুস সালাম লালকুঠি বড় মসজিদে সকাল ৭টায় একটি জামাত হবে এবার। পুরান ঢাকা তারা মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা ও ৯ টায়, রায়সাহেব বাজার জামে মসজিদে সাড়ে ৮টায়, নিমতলী ছাতা মসজিদে সকাল ৮টা ও ৯টায়, আগামছি লেন জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা ও সাড়ে ৮টায় এবং বায়তুল মামুর জামে মসজিদে সকাল সোয়া ৮টা ও ৯টায় ঈদের জামাত হওয়ার কথা রয়েছে।




ঈদের দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত, নারী-শিশুসহ নিহত বেড়ে ৬৯

ডিএনবি নিউজ  ডেস্ক:

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আজ বৃহস্পতিবার উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। তবে আরব দেশগুলোতে যখন ঈদের আনন্দ, ঠিক তখন মধ্যপ্রাচ্যেরই আরেক দেশ ফিলিস্তিন করছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। ঈদুল ফিতরের দিনেও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বোমা বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় গাজার বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় দেশটি।

বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৭ শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাসহ আট নারী রয়েছেন।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, অব্যাহত হামলায় ৩৯০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। আলজাজিরা আরও জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর দফায় দফায় বিমান হামলায় ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটি। বৃহস্পতিবার সকালেও বোমা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আর এর মধ্যেই উদযাপনহীন রক্তাক্ত এক ঈদ পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। গত সোমবার তৃতীয় দিনের মতো মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের ওপর তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। অবরুদ্ধ করে রাখা হয় মুসল্লিদের। আল-আকসা মসজিদ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রকেট হামলার হুমকি দেয় গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সেখান থেকে বাহিনী সরিয়ে না নিলে ইসরায়েলে রকেট ছোড়ে সংগঠনটি।

ইসরায়েলি উগ্রবাদীদের ‘জেরুসালেম দখল দিবস’ উদ্‌যাপন এবং শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ঘিরে এ উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এরপর আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কয়েকশ’ স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি আহত হন। ফিলিস্তিনের সংবাদমাধ্যম ওয়াফা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতদের সম্মানে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ঈদ উদযাপন সীমিত করা ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ফিলিস্তিনবাসী এবার শুধু ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।




সিদ্ধিরগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উদ্যোগে গরীব অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

আজ বুধবার (১২ মে) থানার আওতাধীন ২নং ওয়ার্ড শাখার আয়োজনে ওয়ার্ড সভাপতি মুহা বাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুহাম্মদ আক্তার হোসেনের সঞ্চালনায় ২নং ওয়ার্ডের মাঝে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সংগ্রামী জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, দেশের মানুষ আজ মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে দিন দিন অসহায় হয়ে পড়ছে। যুবকদের বেকারত্ব বাড়ছে। সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মানুষগুলোর ঘরে ঈদের আমেজ থাকলেও নিম্ন শ্রেণীর মানুষগুলোর ঘরে সেমাই, চিনিও জুটছে না। তাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীর সাহেব চরমোনাইয়ের আহবানে পাড়া মহল্লার ঘরে ঘরে ইসলামী আন্দোলন ঈদ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সংখ্যালগু বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহা রহমত উল্লাহ, যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ মাসুদ রানা, থানা ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মুহা. খালেদ সাইফুল্লাহ সানভীরসহ প্রমুখ।




এটা মাদরাসা নয় বলে করোনা ওয়ার রুম থেকে মুসলিমকর্মীদের বের করে দিলেন বিজেপি এমপি তেজস্বী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের হিন্দুত্ববাদের অন্যতম প্রধান প্রচারক বেঙ্গালুরুর বিজেপি এমপি তেজস্বী সূর্য একটি কভিড ওয়ার রুম থেকে মুসলিমদের বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা কোনো মাদরাসা বা হজ ভবন নয় যে এখানে মুসলিমদের নিয়োগ করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গের এনবি নিউজের বরাতে জানা যায়, দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর BBMP covid war Room এ মোট ২০৫ জন কর্মীর মধ্যে মাত্রই ১৭ জন মুসলিম ছিল। তাদেরকে বিতাড়িত করে তাদের বিরুদ্ধে বিজেপির আইটি সেল ব্যবহার করে তাদেরকে হত্যাকারী, সন্ত্রাসবাদী ইত্যাদি ভুয়া অপমানজনক তকমা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে বলেছেন এ এমপি।

কর্মীদের কেন সরানো হলো সে ব্যাপারে BBMP কমিশনার কোনো জবাব দেননি। তবে এই এমপি এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে, তাতে দেখা যাচ্ছে তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছেন মুসলিম কর্মীদের তাদের মুসলিম পরিচয়ের কারণে যথাশিগ্রই অপসারণ করতে।

এমনকি কারা তাদেরকে নিয়োগ করেছে তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তার এই আচরণে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, কর্নাটকে করনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে বেড এবং অক্সিজেনের সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখতে ওই কভিড ওয়ার রুম গঠন করে সরকার।




বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষাবোর্ডের ১৯ তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাজধানীর মাতুয়াইল যাত্রাবাড়ী ঢাকায় এ ফলাফল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বোর্ডের সদর দপ্তর চরমোনাই থেকে ভার্চূয়ালের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুরআন শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্রীয় সদস্যগন।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বোর্ডটির চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, আমার পিতা সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. বাংলাদেশে ৬৮ হাজার গ্রামে ৬৮ হাজার মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপেন বাস্তবায়ন করে চলেছে বাংলাদেশে কুরআন শিক্ষা বোর্ড। করোনা মহামারীর মধ্যেও আমরা যথাসময়ে ফলাফল প্রকাশ করতে পেরে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।

কুরআন শিক্ষা বোর্ড ১২ টি স্তরে পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এগুলো হলো, সানাবিয়া আম্মা কাফিয়া জামাত, সানাবিয়া আম্মা কুদুরী জামাত, মুতাওয়াসসিতাহ মিজান পুরুষ, মুতাওয়াসসিতাহ মিজান মহিলা, ইবতিদাইয়া উর্দু পুরুষ, ইবতিদাইয়া উর্দু মহিলা, ইবতিদাইয়া কেরাতুল কুরআন দ্বিতীয়, ইবতিদাইয়া কেরাতুল কুরআন খাস, হিফজ ৫ পারা, হিফজ ১০ পারা, হিফজ ২০ পারা, হিফজ ৩০ পারা। বোর্ডটির গড় পাসের হার ৯৫.৮৪%।




দুর্গাপুরে নিজ অর্থায়নে ৭ হাজার পরিবারকে ঈদ সামগ্রী বিতরন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিজ অর্থায়নে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৭ হাজার অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার মুজিবনগর আবাসন প্রকল্প এলাকায় এ সামগ্রী বিতরন শুরু করেন পৌর মেয়র মো. আলা উদ্দিন।

স্থানীয় আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সরকারি নির্দেশনা মেনে ঈদ সামগ্রীর প্যাকেট পৌর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে প্যানেল মেয়র মশিউজ্জামান বাদল, পৌর সচিব তৌহিদুল ইসলাম, প্রকৌশলী নওশাদ আলম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনার ইব্রাহিম খলিল টিপু, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য: পৌর মেয়র আলা উদ্দিন প্রতিবছরই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য পৌরবাসীর মাঝে নিজ অর্থায়নে ঈদ সামগ্রী বিতরন করে আসছেন।




পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ভোটেই বিপুল বিজয় মমতার

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে মুসলিম ভোটার ঐক্যবদ্ধ হয়ে মমতার দল তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। আর মূলত তাদের ভোটের মমতা এই ঐতিহাসিক বিজয়।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নির্বাচনে মুসলিম ভোটই মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার আসনগুলোর মধ্যে ৬৩টি আসনে মুসলিমরা প্রাধান্যপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। এর মধ্যে ৬১টি আসনে এবার নির্বাচন হয়েছে। প্রার্থদের মৃত্যুর কারণে দুটি আসনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এই ৬১টি আসনের মধ্যে মমতার তৃণমূল পেয়েছে ৫৮টি আসন, বিজেপি দুটি, সংযুক্ত মোর্চা একটি। মুসলিম মিরর পত্রিকায় এ পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে। মুসলিম প্রাধান্যপূর্ণ আসনগুলোর বেশির ভাগই চারটি জেলায়- মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগানা। মুর্শিদাবাদে রয়েছে ১৬টি আসন। বাকি তিনটি জেলার প্রত্যেকটিতে আছে ৯টি করে আসন। মজার ব্যাপার হলো, মুসলিম প্রাধান্যপূর্ণ ৬১টি আসনের মধ্যে যে ৫৮টি তৃণমূল জিতেছে, তার মধ্যে ৩০টিতে তারা জয় পেয়েছে ৪০ হাজার বা তার চেয়ে বেশি ভোটে। আবার মালদার সুজাপুরের এস কে জিয়াউদ্দিন, ফারাক্কার মনিরুল ইসলাম, ভাঙ্গাবনগোলার ইদ্রিস আলীর মতো প্রার্থীরা ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন।

বিজেপি মুসলিম প্রাধান্যপূর্ণ আসনগুলোর মধ্যে মাত্র দুটিতে জয়ী হয়েছে। এ দুটির একটি হলো উত্তর দিনাজপুর, অপরটি হলো মুর্শিদাবাদে। আর সংযুক্ত মোর্চার সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট জিতেছে একটি আসনে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে মুসলিম ভোট ব্যাংক সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুসলিমদের ভোটের ওপর ভর করেই বাম ফ্রন্ট ৩৪ বছর রাজত্ব করে পশ্চিমবঙ্গ। পরে সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম বিক্ষোভের জের ধরে মুসলিমরা বাম ফ্রন্ট ত্যাগ করে তৃণমূলে ভোট দিতে থাকে। অন্যদিকে কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির পাশেই থেকেছেন রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটাররা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ওই ভোটাররাই হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের পর পর তিনবার সরকার গড়ার অন্যতম কারিগর। তবে যে যে কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম, সেখানে তৃণমূলের থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও, চমকপ্রদভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি।

নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংখ্যালঘু প্রভাবিত কেন্দ্রগুলো নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এক নজরে তা দেখে নেওয়া যাক। রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে ৭৪টিতে সংখ্যালঘু ভোটার ৪০ শতাংশ বা তার বেশি। ওই সব কেন্দ্রের বেশির ভাগেই বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবির ওই ৭৪টি আসনের মধ্যে ৬৯টি দখল করেছে। বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২টি আসন। ভাঙড় আসনটি পেয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। অবশ্য মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জ আসনে ভোট এখনও বাকি রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড় মুর্শিদাবাদে ধস নেমেছে হাতশিবিরের। সংখ্যালঘু ভোটের সমীকরণে ওই জেলার একাধিক কেন্দ্র দখল নিজের ঝুলিতে পুরেছে তৃণমূল। মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র।

রাজ্যের মোট ৫৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট ২৫ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে। ওই ৫৭টি আসনের মধ্যে ৪৬টি পেয়েছে জোড়াফুল শিবির। আবার ওই রকম ১১টি আসন দখল করেছে বিজেপি-ও। রাজ্যের সার্বিক ফলে তৃণমূল এবং বিজেপি— এই দুই শক্তিধরের লড়াইয়ের মাঝে তৃতীয় পক্ষের কোনও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। সেই ধারা বজায় রয়েছে মালদহ, কোচবিহারসহ কয়েকটি জেলার এমন আসনগুলিতে এই ৫৭টি কেন্দ্রগুলোতে।




বগুড়ায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে গুলি করে হত্যা

শাহজাহানপুর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, উপজেলার কৃষি কলেজ এলাকায় বগুড়া- নাটোর মহাসড়কে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত মোজাফফর হোসেন (৫৫) বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকায় ‘আল জামিয়া আল আরাবিয়া জারুল হেদায়া কওমি হাফিজিয়া মাদ্রাসার’ প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে মোজাফফর নিশিন্দারা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। এসআই রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, “বগুড়া থেকে অটোরিকশায় করে সিংড়া যাচ্ছিলেন মোজাফফর। কয়েকজন তার পথ রোধ করে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।” কারা কেন মোজাফফরকে হত্যা করে থাকতে পারে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেনি পুলিশ। মোজাফফর সম্পর্কেও বিস্তারিত বলতে পারেননি এসআই রাজ্জাক।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “কারা কী কারণে হত্যা করেছে তা জানতে পুলিশ মাঠে নেমেছে। মোজাফফর হোসেনের সঙ্গে অটোরিকশায় থাকা এক নারী ও এক পুরুষ যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ”আজমল হোসেন নামের এক প্রতিবেশী জানান, মোজাফফরের স্ত্রী দুইজন। মাদ্রাসার কাজের পাশাপাশি তিনি ঝাড়ফুঁক করতেন এবং ‘কবিরাজি চিকিৎসা’ দিতেন। তবে কারও সঙ্গে তার কোনো বিরোধ ছিল কি না, সে বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়নি ওই প্রতিবেশীর কথায়।




ই’তিকাফে বসে যা করা যাবে, যা করা যাবে না

সারিব সুইজা,

ইবাদতের মাস রমজান মাস। আল্লাহর রহমত,মাগফেরাত,নাজাতবেষ্টিত এই মাস। বেশি বেশি আমল করে নিজের নেকির থলে সমৃদ্ধ করার মাস এটি। এই মাসের প্রধান আমল হচ্ছে রোযা আদায় করা। এর পাশাপাশি আরো কিছু আমল রয়েছে। তন্মধ্যে ইতেকাফ অন্যতম। আজ থেকে দেশের মসজিদে ও বাসাবাড়িতে ধর্মপ্রাণ মানুষ বসবে ই’তিকাফে। কিন্তু এ ই’তিকাফে বসে কী করা যাবে? কী করা যাবে না? তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক তখন কী করা যাবে, কী করা যাবে না-

যেসব কারণে ই’তেকাফ ভেঙে যায়-
যেসব কাজ করলে ই’তেকাফকারীর ইতেকাফ ভেঙে যায় তা হলো;
১.যেসব জরুরতের কারণে মসজিদ থেকে বের হওয়া যায় সেসব ক্ষেত্রে বের হয়ে বাইরে সেই জরুরত ছাড়া একটু বেশি সময় অবস্থান করলে।
২.শরয়ী জরুরত ছাড়া মসজিদ থেকে বের হলেই ইতেকাফ ভেঙে যাবে।চাই তা ইচ্ছে করে হোক অথবা ভুলে হোক।
৩.ই’তেকাফকারী ব্যক্তি মসজিদের সীমানা মনে করে বের হয়েছে,পড়ে জানতে পারলো এটা মসজিদের সীমানার বাইরে ছিলো তাহলে সেক্ষেত্রেও ইতেকাফ ভেঙে যাবে।
৪.ই’তেকাফের জন্য রোযা শর্ত।তাই কেউ যদি রোযা ভেঙে ফেলে তাহলে তার ইতেকাফও ভেঙে যাবে।
৫.স্ত্রীর সাথে সহবাস করার দ্বারা ইতেকাফ ভেঙে যাবে,চাই সহবাস ইচ্ছে করে হোক বা অনিচ্ছাকৃত। ৬.স্ত্রীকে চুমু বা স্পর্শ করলে যদি ‘মনি’ বের হয়,তাহলে সেক্ষেত্রেও ইতেকাফ ভেঙে যাবে।
৭.ওযুর কারণ ছাড়া শুধু এমনিতেই ব্রাশ, মেসওয়াক করতে বের হলে।
৮. বিড়ি খাওয়ার জন্য বের হলে।
৯.খাবার খাওয়ার পর হাত পরিষ্কার করার জন্য বের হলে ইতেকাফ ভেঙে যাবে।

যেসব কারণে ই’তেকাফকারী মসজিদ থেকে বের হতে পারবেন-
বর্তমানে অনেক মানুষ ই’তেকাফ করে যে কোনো ঠুনকো অজুহাতে মসজিদ থেকে বের হয়। অযথা মসজিদের বাহিরে সময় নষ্ট করে। অথচ ই’তেকাফকারীর জন্য যে কোনোও কারণেই মসজিদ থেকে বের হওয়ার অনুমতি নেই। বরং তার বের হওয়ার নির্দিষ্ট কিছু কারণ আছে। নিম্মে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
ই’তেকাফকারী ব্যক্তি ‘শরয়ী জরুরত’,’মানবীয় জরুরত’ বা একান্তই জরুরি কাজ ছাড়া মসজিদ থেকে বের হতে পারবেন না।যেমন;

১. মলত্যাগ করার জন্য। ২.ফরয গোসল করার জন্য, যদি মসজিদে সম্ভব না হয়।কিন্তু ফরয গোসল ছাড়া অন্য যেকোনো গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হলে ইতেকাফ ভেঙে যাবে। হ্যাঁ এটা করা যেতে পারে যে, ঠাণ্ডার জন্য, জুমার দিন জুমার জন্য গোসল করতে চাইলে মসজিদের সীমানার ভেতরে থেকে শরীরে তাড়াতাড়ি হালকা পানি দিয়ে নিতে পারবে তবে খেয়াল রাখতে হবে, যেনো মসজিদের ভেতর পানি না যায়।৩.ওযু করার জন্য, যদি মসজিদের সীমানার ভেতর থেকে সম্ভব না হয়।৪.খাবার আনার জন্য বাড়িতে যাওয়া, যদি খাবার এনে দেওয়ার কেউ না থাকে।৫.মোয়াজ্জেন আজান দেওয়ার জন্য। ৬.যেই মসজিদে ইতেকাফ অবস্থায় আছে সেই মসজিদ জুমার মসজিদ না হলে জুমা আদায় করার জন্য। ৭.মসজিদের ক্ষয়ক্ষতি হলে,জালেম মসজিদ থেকে বের করে দিলে তিনি সেই মসজিদ থেকে বের হয়ে অন্য মসজিদে গিয়ে ইতেকাফ করতে পারবেন।
এখানে আরেকটি বিষয় জনসাধারণের জন্য জেনে নেওয়া জরুরি যে, জানাযা এবং অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া।

আল্লামা তাকী উসমানি হাফিজাহুল্লাহ বলেন,এক্ষেত্রে হুকুম হলো সর্বাবস্থায় অর্থাৎ শুধু জানাযার জন্য বা অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়ার জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েয নেই।কিন্তু কেউ যদি মলত্যাগ করার উদ্দেশ্যে বের হয়ে রাস্তার পাশেই চলা অবস্থায় কোন জানাযা বা অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ নেয় তাহলে কোন সমস্যা নেই। তবে শর্ত হলো বের হওয়ার সময় মলত্যাগ করার উদ্দেশ্যে বের হতে হবে।জানাযা বা অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখার উদ্দেশ্যে বের হলে ইতেকাফ ভেঙে যাবে।আরেকটি শর্ত হলো রাস্তা থেকে দূরে যাওয়া যাবে না এবং রাস্তার ভেতর দাঁড়ানো যাবে না।
এগুলো ছাড়া আর কোন কারণে মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না। বের হলে ই’তেকাফ ভেঙ্গে যাবে।

ই’তেকাফ ভেঙে গেলে করণীয়-
১.কোন ব্যক্তির যদি সুন্নাত ইতেকাফ ভেঙে যায় তাহলে সেই ব্যক্তি শুধু ওই দিনের ইতেকাফ কাযা করবে।পুরো দশ দিনের কাযা করতে হবে না। তবে যেদিন কাযা করবে সেদিন রোযাও রাখতে হবে।
২.কোন কারণে ভেঙে গেলে উচিৎ মসজিদই অবস্থান করা।সুন্নাত ইতেকাফ না হলেও নফল ই’তেকাফের ফজিলত পাওয়া যাবে।

ইতেকাফ ভাঙা জায়েজ যে কারণে-
১.ইতেকাফকারী যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে, যার চিকিৎসা মসজিদের বাইরে যাওয়া ছাড়া সম্ভব নয় তবে তার জন্য ইতেকাফ ভেঙে দেওয়ার অনুমতি আছে। (শামী)
২.বাইরে কোনো লোক ডুবে যাচ্ছে বা আগুনে দগ্ধ হচ্ছে তাকে বাঁচানোর আর কেউ নেই, অনুরূপ কোথাও আগুন লেগেছে, নেভানোর কেউ নেই তবে অন্যের প্রাণ বাঁচানোর এবং আগুন নেভানোর জন্য ইতেকাফকারীর ইতেকাফ ভেঙে দেওয়ার অনুমতি আছে।
৩ জোরপূর্বক মসজিদ থেকে ইতেকাফকারীকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় যেমন ওয়ারেন্ট এসে গেলে ইতেকাফ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। সেরূপ ইতেকাফকারীর যদি এমন সাক্ষ্য দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে, যা শরিয়তানুযায়ী তার জন্য ওয়াজিব সেরূপ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ইতেকাফ ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি আছে।
৪.মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তান-সন্ততির কঠিন অসুস্থতার কারণেও ইতেকাফ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। তেমনি পরিবারের কারো প্রাণ, সম্পদ বা ইজ্জত আশঙ্কার সম্মুখীন হলে এবং ইতেকাফ অবস্থায় তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা সম্ভব না হলে ইতেকাফ ভেঙে দেওয়া জায়েজ।
৫.এ ছাড়া যদি কোনো জানাজা হাজির হয় এবং জানাজা পড়ানোর কেউ না থাকে তখনো ইতেকাফ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। (ফতহুল কবীর) উল্লিখিত প্রয়োজন পূরণ করতে বের হলেই ইতেকাফ ভেঙে যাবে, তবে গোনাহ হবে না। (বাহরুর রায়েক)

ইতেকাফ অবস্থায় যেসব কাজ মাকরূহ-
ইতেকাফ অবস্থায় চুপ থাকলে সওয়াব হয় এই মনে করে চুপ থাকা মাকরূহে তাহরীমী।
বিনা প্রয়োজনে পার্থিব কোনো কাজে লিপ্ত হওয়া যেমন ;বেচাকেনা করা মাকরূহ। তবে একান্ত প্রয়োজনে মসজিদে মালামাল উপস্থিত করা ব্যতিত বেচাকেনার চুক্তি করা যাবে।

ইতেকাফ অবস্থায় করণীয়-
ইতেকাফ অবস্থায় ভালো এবং নেক কথা বলা। অতিরিক্ত কথাবার্তা না বলা। বেকার বসে না থেকে নফল নামাজ পড়া কোরআন তেলাওয়াত করা। তাসবিহ-তাহলীলে মশগুল থাকা। বেশি বেশি দোয়া করা।আল্লাহর দরবারে রোনাজারি করা।শবে কদরের রাত্র খোঁজ করা।তবে ইতেকাফ অবস্থায় বিশেষ কোনো ইবাদত নেই। তাই যেকোনো ইবাদত মন চাইলে করা যাবে।
সুতরাং আমাদের ভালো করে ই’তেকাফের বিষয় গুলো বুঝতে হবে।সমাজে অহরহ দেখা যাচ্ছে মানুষ ই’তেকাফে বসছে কিন্তু মাসয়ালা না জানার কারণে তার সুন্নাত ইতেকাফ আদায় হচ্ছে না।ই’তেকাফ যেমন অনেক ফজিলতের তেমনিভাবে বিষয়টি অনেক সুক্ষ্ম। তাই সোচ্চার হয়ে কাজ করতে হবে।তখনই না আমরা ই’তেকাফের ফজিলত পাবো।

মহিলাদের ই’তেকাফ-
ই’তেকাফের ফজিলত শুধু পুরুষদের জন্য নির্ধারিত নয়,মহিলাদের জন্যও রয়েছে এর ফজিলত।
১.তবে মহিলারা মসজিদে ইতেকাফ করতে পারবে না।তারা ঘরের একটি জায়গাকে ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করে সেখানে অবস্থান করবে।
২.বিবাহিত মহিলা হলে স্বামীর অনুমতি নিয়ে ই’তেকাফে বসতে হবে।
৩.স্বামীর অনুমতি নিয়ে ই’তেকাফে বসার পর যদি স্বামী আবার নিষেধ করে তাহলে স্বামীর কথা মানা জরুরি নয়।
৪.মাসিক দিনগুলো থেকে পবিত্র হয়ে ই’তেকাফে বসতে হবে।অর্থাৎ মহিলা খেয়াল করবে যে, ই’তেকাফের দিনগুলোতে তার মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা।
৫.কোনো মহিলা ইতেকাফ শুরু করে দেওয়ার পর মাসিক শুরু হলে ওইদিনের ই’তেকাফ ভেঙে যাবে এবং সেইদিনের ইতেকাফ কাযা করতে হবে।
৬.মহিলা ঘরের যেই জায়গায় ই’তেকাফে বসবে সেই জায়গা তার জন্য মসজিদের হুকুমে হবে।সুতরাং কোনো শরয়ী বা একান্ত মানবীয় জরুরত ছাড়া সেখান থেকে বের হলে তার ই’তেকাফ ভেঙে যাবে।
৭.পুরুষদের জন্য যেসব কারণে মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েয আছে তেমনিভাবে সেই সকল কারণে মহিলাদের জন্যও ঘরের সেই নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বের হওয়া জায়েয আছে। যেসব কাজ করলে পুরুষের ই’তেকাফ ভেঙে যায়, একজন ই’তেকাফকারী মহিলা সেই কাজ করলেও তার ইতেকাফ ভেঙে যাবে।

আমাদের সমাজে মহিলাদের এই ফজিলতের কাজটি করতে কম দেখা যায়।এক্ষেত্রে তাদের অবহেলা দেখা যায়।যাদের বিশেষ কোনো জরুরি নেই তাদের জন্য ই’তেকাফে বসে ইবাদতে কাটিয়ে দিয়ে উল্লিখিত ফজিলত গুলো পাওয়াই কাম্য।
জ্ঞাতব্য – অনেক এলাকায় দেখা যায় কেউ মসজিদে ইতেকাফে বসে না বিধায় এলাকার কোন এক ব্যক্তিকে সকলে টাকা দিয়ে মসজিদে বসায়।যা কোনভাবেই জায়েয নয়।এভাবে ই’তেকাফে বসালে ই’তেকাফ আদায় হবে না উলটো গুনাহগার হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে পবিত্র মাহে রমজানে মসজিদে ইতিকাফ করার মাধ্যমে গুনাহের পাপরাশি থেকে বেঁচে থেকে অশেষ নেকি লাভের মোক্ষম সুযোগ দান করুন।




করোনা: গুজরাটের পর দিল্লির মসজিদে ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টার’ স্থাপন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ভারতের গুজরাটের পর রাজধানী দিল্লির গ্রিন পার্ক মহল্লার একটি মসজিদে সাময়িক কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে দশটি বেড দেয়া হয়েছে। এছাড়া রোগীদের জন্য খাবার, ওষুধ, মাস্ক ও স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এতে করা হয়েছে। মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সেলিম জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তারা মসজিদে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করেন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে তারা এখানে রোগীদের ভর্তি করাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা রোগীদের জন্য ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পিপিইর ব্যবস্থা করছি। যদিও বর্তমানে আমাদের কাছে অক্সিজেন নেই তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরবরাহের চেষ্টা করছি।’ ভারতে দ্বিতীয় ধাপের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ধাক্কায় দেশটির বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসাকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারে কাজে লাগাচ্ছেন মুসলমানরা।