বাড়ি ফিরছে ফিলিস্তিনিরা, ঢুকছে ত্রাণের চালান

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পর ফিলিস্তিনে পৌঁছছে প্রথম ত্রাণের চালান। ইসরায়েলি বাহিনী সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার ত্রাণের ট্রাক ঢুকছে গাজায়। এসব ট্রাকে খাবার, জ্বালানি ও ওষুধ রয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর হাজারো ফিলিস্তিনি আশ্রয়শিবির থেকে বাড়ি ফিরছে।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ বলেছে, এই এলাকার এক লাখের বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল। সেখানকার আট লাখ মানুষ খাবার, পানি ও জ্বালানির সংকটে রয়েছে।

চলতি মাসে শেখ জারাহ দখল নিয়ে সংঘর্ষে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরু হয়। তারপর শুরু হয় ইসরায়েলের ওপর দমন-পীড়ন। অনেকে এলাকা ছাড়েন। অনেকের নামেই মামলা হয়, যা আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি কাড়ে।




মাহমুদ আব্বাসকে সৌদি বাদশাহর ফোন, জানালেন ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজায় টানা ১১ দিন বিমান হামলার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার রাত ২টায় ইসরাইল ও হামাস দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতিতে যায়।

একইদিন (শুক্রবার) ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ফোন করেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন সৌদি বাদশাহ।

মাহমুদ আব্বাসকে সালমান বিন আব্দুল আজিজ আশ্বস্ত করেন, সৌদি আরব দখলদার ইসরায়েলি সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান অব্যাহত রাখবে। আমরা জেরুসালেমে মুসলিমদের ওপর হামলা ও উচ্ছেদ বন্ধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সৌদি আরব সব সময় ফিলিস্তিনের জনগণের সুরক্ষা ও শান্তি কামনা করে।

জবাবে সৌদি বাদশাহকে ধন্যবাদ জানান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।  বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে সৌদি আরব বিশ্ব সম্প্রদায়, মুসলিম বিশ্ব ও আরব সংগঠনগুলোকে একত্রিত করতে কাজ করেছে। এজন্য ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষ থেকে আমি সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।




মডেল মসজিদে নিয়োগ পাবেন কওমি সনদধারী আলেমরাও

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সারাদেশে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ। এর মধ্যে প্রথমধাপে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই উদ্বোধন হবে ৫০ টি। এই মসজিদগুলোতে নিয়োগ পাচ্ছেন কওমি মাদ্রাসা পড়ুয়া আলেমরাও।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে পাঠানো জনবল নিয়োগ বিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আপাতত প্রতিটি মসজিদে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে ৪ জন জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। একজন পেশ ইমাম, একজন মোয়াজ্জিন ও দুজন খাদেম।

প্রকাশিত সেই বিজ্ঞপ্তিতে পেশ ইমামের যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, সর্বনিম্ন দ্বিতীয় শ্রেণীর কামিল ডিগ্রী অথবা দ্বিতীয় শ্রেণীর দাওরায়ে হাদিস। এছাড়াও ন্যূনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে।

No description available.

তবে হাফেজে কোরআন ও ইলমে কিরাতের উপর স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত হাফেজ অগ্রাধিকার পাবেন। আরবিতে কথা ও আরবিতে উপস্থিত খুতবা দিতে পারে এবং ইসলামের উপর গবেষণাধর্মী প্রকাশনা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

মুআজ্জিনের যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ আলিম পাশ বা সমমানের কওমি শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন স্বীকৃত বোর্ড বা প্রতিষ্ঠান থেকে সনদধারী। পাশাপাশি নুন্যতম তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিশেষতঃ হাফেজে কুরআন ও ইলমে কিরাতের উপর স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সনদ প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

এছাড়াও এসব মডেল মসজিদের জন্য দু’জন খাদেম নিয়োগ দেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণীর আলিম পাস অথবা সমমান এর কওমি শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন স্বীকৃত বোর্ড বা প্রতিষ্ঠান থেকে সনদধারী। এছাড়া শারীরিকভাবে সুস্থ-সক্ষম হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে খাদেম হিসেবে নুন্যতম এক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।




সাংবাদিক হেনস্থা ও গ্রেফতার দুঃশাসনের চূড়ান্ত রূপ: ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা, গ্রেফতার ও জেলে প্রেরণ সরকারের দূর্নীতি ও দুঃশাসনের চূড়ান্ত রূপ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম ও সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল আউয়াল। আজ (১৮মে) মঙ্গলবার  এক যুক্ত বিবৃতিতে উপরোক্ত এসব বলেন নেতৃদ্বয়।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, একটি স্বাধীনদেশে একজন সিনিয়র গণমাধ্যম কর্মীকে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্থা ও সুস্পষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণের মাধ্যমে সরকার দেশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্য করেছে। নিজেদের ক্ষমতাকে ধরে রাখতে নতুন নতুন আইনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকার ও বাকস্বাধীনতার অধিকার হরণ করেছে। যা কোন সভ্য দেশের কালচার হতে পারে না। বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, সরকারের প্রতিটি সেক্টরে দূর্নীতি চূড়ান্ত রূপলাভ করেছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষাখাতসহ সকল উন্নয়নমূলক কাজে দূর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে।যা দেশের অগ্রগতির জন্য অন্তরায়।

নগর সভাপতি বলেন, সাংবাদিকগণ দেশের আয়না, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। আমরা সাংবাদিক মহলের উপর এই ঘৃণ্য আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করছি। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন বর্জন করে গণমাধ্যমকর্মীরা যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে এজন্য তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান। এভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার রক্ষায় সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে সকল সাংবাদিকদের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা। সেই সাথে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামসহ গণমাধ্যম কর্মীদের নামে দায়েরকৃত হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।




গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ১৭১

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বোমা হামলায় রোববার (১৬ মে) ভোরে আরও ২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে টানা সপ্তম দিনের মতো দখলদার বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭১ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৪৯ জন শিশুও রয়েছে।

আল জাজিরা জানায়, রোববারের বোমা বর্ষণে অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা বর্ষণে দুইটি বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এদিকে গাজার হামাসের সামরিক শাখার প্রধান ইয়াহিয়া আল সিনওয়ারের বাড়ি লক্ষ্য করেও হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। বোমা হামলার পর ইয়াহিয়া আল সিনওয়ারের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। আল-আকসা টেলিভিশন জানায়, ওই হামলার জবাবে সকালেই তেল আবিব ও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোয় রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস।

গত সোমবার (১০ মে) থেকে শুরু হওয়া হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭১ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৪৯ শিশু রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন অধিকৃত পশ্চিম তীরের বাসিন্দা। বাকিরা গাজার বাসিন্দা।

এছাড়া এসব হামলায় এ পর্যন্ত হাজারের কাছাকাছি মানুষ আহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের অব্যাহত রকেট হামলায় ২ শিশুসহ ১০ জনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।




ঢাকায় কখন কোথায় ঈদ জামাত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানীতে বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিরা আদায় করবেন ঈদের জামাত। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে অন্যান্য সময়ের মতো এবার ঈদগাহে বা উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত হচ্ছে না।

আগামীকাল শুক্রবার (১৪ মে) দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এবার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত হবে না। তবে প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২৬ এপ্রিল ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনার কারণে এবারও ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আদায় করা যাবে না। মসজিদে পড়তে হবে ঈদের নামাজ। একইসঙ্গে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারী কাজী মাসুদুর রহমান। দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারী হাবিবুর রহমান মেশকাত।

৯টার তৃতীয় জামাতের ইমাম হবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির মুয়াজ্জিন মাওলানা ইসহাক। চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান। মুকাব্বির হবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম হাফেজ মো. শহীদুল্লাহ।

পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত না থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। অপরদিকে ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা ও সকাল ৯টায়, ধানমন্ডির বায়তুল আমান মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, ঈদগাহ মাঠ মসজিদে ৮টায় এবং সোবহানবাগ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত হবে। রাজধানীর গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদে সকাল ৬টা, সাড়ে ৭টা এবং সাড়ে ৯টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পুরান ঢাকার চকবাজার শাহী মসজিদে সকাল ৮টা ও ৯টায় দুটি জামাত হওয়ার কথা রয়েছে। বড় কাটারা মাদরাসা মসজিদে ঈদ জামাত হবে সকাল ৮টায়। লালবাগ শাহী মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় একটি জামাত হবে।

মহাখালীর মসজিদে গাউসুল আজমে তিনটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং শহীদুল্লাহ হল জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত হওয়ার কথা রয়েছে। নবাবগঞ্জ বড় মসজিদে ঈদের জামাত হবে সকাল ৭টায়, ৮টায় ও ৯টায়। আজিমপুর কবরস্থান মসজিদে সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা ও ১০টায় চারটি জামাত হবে। মিরপুর দারুস সালাম লালকুঠি বড় মসজিদে সকাল ৭টায় একটি জামাত হবে এবার। পুরান ঢাকা তারা মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা ও ৯ টায়, রায়সাহেব বাজার জামে মসজিদে সাড়ে ৮টায়, নিমতলী ছাতা মসজিদে সকাল ৮টা ও ৯টায়, আগামছি লেন জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা ও সাড়ে ৮টায় এবং বায়তুল মামুর জামে মসজিদে সকাল সোয়া ৮টা ও ৯টায় ঈদের জামাত হওয়ার কথা রয়েছে।




ঈদের দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত, নারী-শিশুসহ নিহত বেড়ে ৬৯

ডিএনবি নিউজ  ডেস্ক:

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আজ বৃহস্পতিবার উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। তবে আরব দেশগুলোতে যখন ঈদের আনন্দ, ঠিক তখন মধ্যপ্রাচ্যেরই আরেক দেশ ফিলিস্তিন করছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। ঈদুল ফিতরের দিনেও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বোমা বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় গাজার বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় দেশটি।

বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৭ শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাসহ আট নারী রয়েছেন।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, অব্যাহত হামলায় ৩৯০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। আলজাজিরা আরও জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর দফায় দফায় বিমান হামলায় ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটি। বৃহস্পতিবার সকালেও বোমা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আর এর মধ্যেই উদযাপনহীন রক্তাক্ত এক ঈদ পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। গত সোমবার তৃতীয় দিনের মতো মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের ওপর তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। অবরুদ্ধ করে রাখা হয় মুসল্লিদের। আল-আকসা মসজিদ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রকেট হামলার হুমকি দেয় গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সেখান থেকে বাহিনী সরিয়ে না নিলে ইসরায়েলে রকেট ছোড়ে সংগঠনটি।

ইসরায়েলি উগ্রবাদীদের ‘জেরুসালেম দখল দিবস’ উদ্‌যাপন এবং শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ঘিরে এ উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এরপর আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কয়েকশ’ স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি আহত হন। ফিলিস্তিনের সংবাদমাধ্যম ওয়াফা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতদের সম্মানে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ঈদ উদযাপন সীমিত করা ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ফিলিস্তিনবাসী এবার শুধু ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।




সিদ্ধিরগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উদ্যোগে গরীব অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

আজ বুধবার (১২ মে) থানার আওতাধীন ২নং ওয়ার্ড শাখার আয়োজনে ওয়ার্ড সভাপতি মুহা বাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুহাম্মদ আক্তার হোসেনের সঞ্চালনায় ২নং ওয়ার্ডের মাঝে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সংগ্রামী জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, দেশের মানুষ আজ মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে দিন দিন অসহায় হয়ে পড়ছে। যুবকদের বেকারত্ব বাড়ছে। সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মানুষগুলোর ঘরে ঈদের আমেজ থাকলেও নিম্ন শ্রেণীর মানুষগুলোর ঘরে সেমাই, চিনিও জুটছে না। তাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীর সাহেব চরমোনাইয়ের আহবানে পাড়া মহল্লার ঘরে ঘরে ইসলামী আন্দোলন ঈদ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সংখ্যালগু বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহা রহমত উল্লাহ, যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ মাসুদ রানা, থানা ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মুহা. খালেদ সাইফুল্লাহ সানভীরসহ প্রমুখ।




এটা মাদরাসা নয় বলে করোনা ওয়ার রুম থেকে মুসলিমকর্মীদের বের করে দিলেন বিজেপি এমপি তেজস্বী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের হিন্দুত্ববাদের অন্যতম প্রধান প্রচারক বেঙ্গালুরুর বিজেপি এমপি তেজস্বী সূর্য একটি কভিড ওয়ার রুম থেকে মুসলিমদের বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা কোনো মাদরাসা বা হজ ভবন নয় যে এখানে মুসলিমদের নিয়োগ করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গের এনবি নিউজের বরাতে জানা যায়, দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর BBMP covid war Room এ মোট ২০৫ জন কর্মীর মধ্যে মাত্রই ১৭ জন মুসলিম ছিল। তাদেরকে বিতাড়িত করে তাদের বিরুদ্ধে বিজেপির আইটি সেল ব্যবহার করে তাদেরকে হত্যাকারী, সন্ত্রাসবাদী ইত্যাদি ভুয়া অপমানজনক তকমা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে বলেছেন এ এমপি।

কর্মীদের কেন সরানো হলো সে ব্যাপারে BBMP কমিশনার কোনো জবাব দেননি। তবে এই এমপি এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে, তাতে দেখা যাচ্ছে তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছেন মুসলিম কর্মীদের তাদের মুসলিম পরিচয়ের কারণে যথাশিগ্রই অপসারণ করতে।

এমনকি কারা তাদেরকে নিয়োগ করেছে তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তার এই আচরণে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, কর্নাটকে করনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে বেড এবং অক্সিজেনের সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখতে ওই কভিড ওয়ার রুম গঠন করে সরকার।




বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষাবোর্ডের ১৯ তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাজধানীর মাতুয়াইল যাত্রাবাড়ী ঢাকায় এ ফলাফল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বোর্ডের সদর দপ্তর চরমোনাই থেকে ভার্চূয়ালের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুরআন শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্রীয় সদস্যগন।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বোর্ডটির চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, আমার পিতা সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. বাংলাদেশে ৬৮ হাজার গ্রামে ৬৮ হাজার মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপেন বাস্তবায়ন করে চলেছে বাংলাদেশে কুরআন শিক্ষা বোর্ড। করোনা মহামারীর মধ্যেও আমরা যথাসময়ে ফলাফল প্রকাশ করতে পেরে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।

কুরআন শিক্ষা বোর্ড ১২ টি স্তরে পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এগুলো হলো, সানাবিয়া আম্মা কাফিয়া জামাত, সানাবিয়া আম্মা কুদুরী জামাত, মুতাওয়াসসিতাহ মিজান পুরুষ, মুতাওয়াসসিতাহ মিজান মহিলা, ইবতিদাইয়া উর্দু পুরুষ, ইবতিদাইয়া উর্দু মহিলা, ইবতিদাইয়া কেরাতুল কুরআন দ্বিতীয়, ইবতিদাইয়া কেরাতুল কুরআন খাস, হিফজ ৫ পারা, হিফজ ১০ পারা, হিফজ ২০ পারা, হিফজ ৩০ পারা। বোর্ডটির গড় পাসের হার ৯৫.৮৪%।