বেসরকারিভাবে হজে যেতে খরচ ৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

এবার বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।

হাবের সভাপতি বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য ‘সাধারণ প্যাকেজ’ নামে একটি প্যাকেজ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেক এজেন্সি নিজ নিজ স্পেশাল প্যাকেজ করতে পারবে। তবে কোনো প্যাকেজই হাব ঘোষিত সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্য থেকে কম হবে না। হজযাত্রীদের প্যাকেজের পুরো টাকা আগামী ১৮ মে’র মধ্যে নিজ নিজ এজেন্সির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করার অনুরোধ জানিয়ে শাহাদাত হোসাইন বলেন, কোনো মধ্যস্বত্বভোগীর হাতে টাকা দিয়ে প্রতারিত হবেন না। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পরিশোধ করতে হবে। তিনি বলেন, সাধারণ প্যাকেজের হজযাত্রীদের পবিত্র হারাম শরীফের বাইরের চত্বরের সীমানার এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ মিটার দূরত্বে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। সৌদি আরব প্রান্তের অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জের তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি জানিয়ে তসলিম বলেন, প্যাকেজ ঘোষণার পর সৌদি সরকার অতিরিক্ত কোনো ফি আরোপ করলে তা প্যাকেজের মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং তা হজযাত্রীকে পরিশোধ করতে হবে। শাহাদাত হোসাইন আরও বলেন, কোরবানি খরচ বাবদ প্রত্যেক হজযাত্রীকে ৮১০ সৌদি রিয়ালের সম পরিমাণ টাকা আলাদাভাবে নিজ দায়িত্বে সঙ্গে নিতে হবে।

হজ প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে হাব সভাপতি বলেন, বাড়ি ভাড়া, সৌদি আরবের সার্ভিস চার্জ, ভ্যাট, মুদ্রার রেট অব এক্সচেঞ্জ এবং বিমান ভাড়া বাড়ানোর জন্য হজের খরচ বেড়ে গেছে। ডেডিকেটেড ফ্লাইটে হজযাত্রীদের পরিবহনের জোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ডেডিকেটেড ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহন করা না গেলে ঢাকায় হজযাত্রীদের প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন করা সম্ভব নয়। প্যাকেজের মূল্য পরিশোধের পর হজযাত্রীদের নিবন্ধন, আন্তঃএজেন্সি সমন্বয়, মোনাজ্জেম নির্ধারণ, ভিসা- এসব কাজ এখনো বাকি আছে। ৩১ মে হজ ফ্লাইট দিলে ঝুঁকি হয়ে যাবে। আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমরা আগামী ১০ জুন থেকে হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। এর আগে গত বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সরকারিভাবে দুটি ও বেসরকারিভাবে হজ পালনের ক্ষেত্রে একটি প্যাকেজ অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে ব্রিফ করেন। সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩০ টাকা। প্যাকেজ-১ এর ক্ষেত্রে খরচ বেড়েছে এক লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা, প্যাকেজ-২ এর ক্ষেত্রে এবার খরচ বেড়েছে ১ লাখ ২ হাজার ১৫০ টাকা। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি সরকারের বিধিনিষেধের মুখে গত দুই বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীরা হজ পালন করতে পারেননি। সবশেষ ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন হজযাত্রীরা। ২০২০ সালে প্যাকেজ ঘোষণা হলেও বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি। তখন হজ পালনে প্যাকেজ-১ এ ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ খরচ ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্যাকেজ-৩ এর খরচ ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। তখন হজ প্যাকেজগুলো বেসরকারি হজযাত্রীদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল।




গণকমিশনের তালিকায় দেশের ১১৬ আলেম ও ওয়েজিনের নাম

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

জঙ্গি অর্থায়ন ও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগে ১১৬ ওয়ায়েজিনের একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে ‘গণকমিশন’।

বুধবার (১১ মে) দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার হাতে একটি শ্বেতপত্র তুলে দেন গণকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

এ তালিকা থেকে বাদ পড়েননি বর্ষীয়ান আলেমেদ্বীন আল্লামা মুফতি আব্দুল হালিম বুখারী, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর মতো দেশের শীর্ষ আলেমরাও। তালিকায় আছেন বেশ কয়েকজন কারাবন্দি আলেম।

দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া ২২শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ৭৬০ ও ৭৬১ পৃষ্ঠায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জঙ্গি অর্থায়ন ও ওয়াজের মাধ্যমে তারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করছেন।

দুদকের কাছে দেওয়া ১১৬ আলেমের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তারা হলেন, ১. মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, ২. মাওলানা সাজিদুর রহমান, ৩. মুফতি রেজাউল করিম, ৪. মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম, ৫. মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী, ৬. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (বাশার), ৭. মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, ৮. মুফতি দিলওয়ার হোসাইন সাইফী, ৯. মাওলানা সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী, ১০. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ভূজপুরী, ১১. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, ১২. মাওলানা মুহিব খান, ১৩. মুফতি সাঈদ আহমদ কলরব, ১৪. মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, ১৫. মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী, ১৬. মাওলানা আব্দুর রহিম বিপ্লবী, ১৭. মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, ১৮. মাওলানা বজলুর রশিদ, ১৯. মুফতি নাজিবুল্লাহ আফসারী, ২০. মাওলানা ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানী, ২১. মুফতি নূর হোসেন নুরানী, ২২. মুফতি কাজী ইব্রাহিম, ২৩. মাওলানা গোলাম রাব্বানী, ২৪. মাওলানা মুজাফফর বিন মহসিন, ২৫. মাওলানা মোস্তফা মাহবুবুল আলম, ২৬. মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবি, ২৭. মাওলানা শায়েখ সিফাত হাসান, ২৮. মাওলানা মোহাম্মদ রাকিব ইবনে সিরাজ, ২৯. মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, ৩০. মাওলানা মতিউর রহমান মাদানী, ৩১. মাওলানা মুজিবুর রহমান, ৩২. মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ৩৩. মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিদ্দীকী, ৩৪. মাওলানা আজিজুল ইসলাম জালালী, ৩৫. মাওলানা মেরাজুল হক কাসেমী, ৩৬. মুফতি মুহসিনুল করিম, ৩৭. মাওলানা আব্দুল বাসেত খান, ৩৮. মাওলানা আবদুল খালেক  শরিয়তপুরী, ৩৯. মুফতি মাহমুদ উল্লাহ আতিকী, ৪০. মুফতি উসমান গণি মুছাপুরী, ৪১. মাওলানা আবু নাঈম মুহাম্মাদ তানভীর, ৪২. মুফতি শিহাবুদ্দীন, ৪৩. মুফতি মুসতাঈন বিল্লাহ আল-উসওয়ায়ী, ৪৪. মাওলানা আশরাফ আলী হরষপুরী, ৪৫. মাওলানা জাকারিয়া, ৪৬. মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফী, ৪৭. মুফতি আনোয়ার হোসাইন চিশতী, ৪৮. মাওলানা আতিকুল্লাহ, ৪৯. মাওলানা বশির আহমদ, ৫০. মাওলানা সিরাজুল ইসলাম মিরপুরী, ৫১. মাওলানা রিজওয়ান রফিকী, ৫২. মাওলানা আবরারুল হক হাতেমী, ৫৩. মাওলানা রাফি বিন মুনির, ৫৪. মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম জাবেরী, ৫৫. মাওলানা মোতাসিম বিল্লাহ আতিকী, ৫৬. মুফতি শেখ হামিদুর রহমান সাইফী, ৫৭. মাওলানা আজহারুল ইসলাম আজমী, ৫৮. মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী, ৫৯. মাওলানা কামাল উদ্দিন কাসেমী, ৬০. মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন নুরী, ৬১. মাওলানা মাজহারুল ইসলাম মাজহারী, ৬২. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদাউস, ৬৩. মুফতি এহসানুল হক জিলানী, ৬৪. মাওলানা মাহবুবুর রহমান জিহাদি, ৬৫. মুফতি আব্দুল হক, ৬৬. মুফতি শাহিদুর রহমান মাহমুদাবাদী, ৬৭. মাওলানা ইসমাঈল বুখারী, ৬৮. মাওলানা জয়নুল আবেদীন হাবিবী, ৬৯. মাওলানা ইউসুফ বিন এনাম, ৭০. মাওলানা শাববীর আহমদ উসমানী, ৭১. মুফতি জাহিদুল ইসলাম যায়েদ, ৭২. মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম জামী, ৭৩. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ৭৪. মাওলানা ইসমাইল হোসাইন, ৭৫. মুফতি আব্দুর রহিম হেলালী, ৭৬. মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, ৭৭. মাওলানা মুশাহিদ আহমদ উজিরপুরী, ৭৮. মাওলানা কাজিম উদ্দীন (অন্ধ হাফেজ), ৭৯. মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, ৮০. মুফতি হারুনুর রশিদ, ৮১. মাওলানা আবুল কাসেম, ৮২. মুফতি ওয়ালী উল্লাহ, ৮৩. মাওলানা আবু নাঈম মুহাম্মাদ তানভীর, ৮৪. মাওলানা জাকারিয়া নাটোর, ৮৫. মাওলানা আবুল হাসান (সাদী), ৮৬. মুফতি রুহুল আমিন নুরী, ৮৭. মুফতি মামুনুর রশিদ কামালী, ৮৮. মাওলানা আবদুল কালাম আজাদ, ৮৯. মাওলানা ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী (নওমুসলিম), ৯০. মাওলানা শামসুল হক যশোরী (নওমুসলিম), ৯১. মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ, ৯২. মাওলানা মুফতি ওলিউল্লাহ, ৯৩. মাওলানা বেলাল হুসাইন ফারুকী, ৯৪. মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, ৯৫. মাওলানা আমির হামজা, ৯৬. মাওলানা মিজানুর রহমান আযহারী, ৯৭. মাওলানা তারেক মনোয়ার, ৯৮. মাওলানা আব্দুল হালিম বোখারী, ৯৯. মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, ১০০. মাওলানা আফম খালিদ হোসেন, ১০১. মাওলানা মামুনুল হক, ১০২. মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ১০৩. মাওলানা মুশতাকুন্নবী, ১০৪. মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, ১০৫. মাওলানা কুতুব উদ্দীন নানুপুরী, ১০৬. মাওলানা বেলাল উদ্দীন, ১০৭. মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, ১০৮. মাওলানা রুহুল আমিন যুক্তিবাদী, ১০৯. মাওলানা আবুল কালাম বয়ানী, ১১০. মাওলানা রফিকুল্লাহ আফসারী, ১১১. মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-আমিন, ১১২. মাওলানা মোয়াজ্জেম হোসাইন সাইফী, ১১৩. মাওলানা আলাউদ্দীন জিহাদি, ১১৪. মাওলানা আবু বকর মোহাম্মদ জাকারিয়া, ১১৫.  মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, ১১৬. মাওলানা মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী প্রমুখ।




নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না ইসলামী আন্দোলন: চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইভিএম ও আওয়ামী লীগের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

চরমোনাই পীর বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, কোনো দলীয় সরকারের অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বিগত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনে এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে।

আগামী সংসদ নির্বাচন ইভিএমে ভোটগ্রহণ নিয়ে আলোচনা আছে। এ নিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ইভিএম আন্তর্জাতিকভাবে প্রত্যাখ্যাত। আর ইভিএমের মাধ্যমে সারা দেশে ভোট অনুষ্ঠিত হবে—এমন কথা প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। নির্বাচন কোনো প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে, তা নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন তা ঠিক করবে—এটাই জনগণের প্রত্যাশা।

আজ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের এক যৌথ সভায় বলেছেন, তাঁদের দল ৩০০ আসনেই ইভিএম চায়। এ প্রসঙ্গে চরমোনাইয়ের পীর বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যেও প্রমাণিত হয়, তাদের অধীন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।




বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে শাওন মিয়া (১২) নামের এক মাদরাসার ছাত্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে।

রোববার (৮ মে) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নিহত শাওন শায়েস্তাগঞ্জ পৌরএলাকার পশ্চিম বড়চর গ্রামের জমির আলীর ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জের কুতুবের চক মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণি ছাত্র শাওন তার ঘরে মোবাইল ফোন চার্জে দেয়। এ সময় অসাবধানতাবশত তার হাত সুইচে লেগে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষ অবস্থায় হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. রজব আলী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।




দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের প্রাক্কালে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক মাস সিয়াম সাধনার পর আবার এসেছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঈদ-উল-ফিতর মানেই খুশি ও আনন্দ, আসুন আমরা সবাই মিলে ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দ উপভোগ ও ভাগাভাগি করি। প্রধানমন্ত্রী ঈদ-উল-ফিতরের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। ‘ভাল থাকুন এবং নিরাপদ থাকুন, ঈদ মোবারক’ বলে বার্তাটি শেষ করেন।

বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৪৩ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় মঙ্গলবার (৩ মে) দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (আইএফ) সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, ‘দেশের আকাশে রোববার কোথাও ১৪৪৩ হিজরির শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।’

গতকাল সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে আইএফের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান । এক মাস সিয়াম সাধনার পর উদযাপিত হয় ঈদুল ফিতর।




‘নিবন্ধিত ৬৫ বছরের বেশি বয়সিরা হজে যেতে পারবেন না’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

‘আগে নিবন্ধন করেছেন, কিন্তু বয়স ৬৫ পার হয়ে গেছে, এমন নাগরিকেরা হজে যেতে পারবেন না’ বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে আজ সোমবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় পুরো বিশ্বের পরিস্থিতিই পাল্টে গেছে। সেখান থেকে আমরা ধীরে ধীরে বের হয়ে আসছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিরাজমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে হজযাত্রীদের বিষয়ে একটি নিয়ম করে দিয়েছে সৌদি সরকার। যাঁরা আগে নিবন্ধন করেছিলেন, কিন্তু এখন বয়স ৬৫ অতিক্রম করেছে, তারা হজে যেতে পারবেন না। এ নিয়ম সব দেশের হজযাত্রীদের বেলায় প্রযোজ্য।’




‘টিএসসিতে ছাত্রীদের নামাজে বাধা প্রদান ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমান অধ্যুষিত রাষ্ট্র বাংলাদেশ। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই দেশে পবিত্র রমজান মাসেও মুসলমানদের ধর্ম পালনে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রীদের নামাজের স্থানে তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) লালবাগস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত মুফতী ফজলুল হক আমিনী রহ. স্মরণে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মিডিয়ায় দেখলাম, পার্শ্ববতী দেশ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে রমজান মাসে স্থানীয় হিন্দুরা মুসলমানদের নামাজ ও ইফতারের ব্যবস্থা করছে। কয়েকটি পশ্চিমা দেশে বিশ্ব বিদ্যালয় প্রশাসন মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও তারাবীহ পড়ার ব্যবস্থা করেছে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে টিএসসির এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা মুসলমান ছাত্রীদের ধর্মীয় অধিকার ও স্বাধীনতার উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ। অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলমান ছাত্রীদের নামাযের উপর এমন অন্যায্য হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।

ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, পবিত্র রমজান মাস এলে মুফতী আমিনী রহ. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক আরো গভীর করার জন্য ব্যাকুল হয়ে যেতেন। প্রতিদিন আসরের পর তিনি দরজা বন্ধ করে মহান রবের দরবারে শিশুদের মত কান্নাকাটি করতেন। মুফতী আমিনী রহ.-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমাদেরকেও রমজানে আল্লাহভীতি অর্জন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যমে মানব জীবনে বিপ্লব আসে। আর ব্যক্তির জীবনের বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজ এবং রাষ্ট্রেও বিপ্লব আসবে ইনশাল্লাহ।

ইফতার মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- লালবাগ মাদরাসার সদরে শুরা মাওলানা হাবিবুর রহমান (হাজী সাহেব হুজুর), ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রশিদ মজুমদার, যুগ্ম মহাসচিব মুফতী তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আবুল কাশেম, মুফতী আব্দুল কাইয়্যুম, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা জিয়াউল হক মজুমদার, মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা জুনায়েদ গুলজার, মাওলানা বেলায়েত হোসাইন আল-ফিরোজী, মুফতী তাসলিম আহমদ, মাওলানা কাজী আজিজুল হক, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মাওলানা নুরুজ্জামান, মাওলানা আবুল হাশিম শাহীসহ আরো অনেকে।




হিজাব-নামাজ নিয়ে কেন বার বার আঘাত করা হচ্ছে: চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

কতিপয় নাস্তিক-বেঈমান ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিষোদগার করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইসলাম ও মহানবী সা. এর ওপর কোন আঘাত সহ্য করা হবে না’ তাহলে ইসলাম, হিজাব, নামাজ ইত্যাদি নিয়ে কেন বার বার আঘাত করা হচ্ছে?

বুধবার (১৩ এপ্রিল) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত বিশাল তালিম তারবিয়াতের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসলামের আবশ্যক পালনীয় বিধান হিজাব পরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের নামাজ পড়া নিয়ে বিরূপ ধারণা পোষণ মুসলিম হিসেবে আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।

তিনি আরও বলেন, কতিপয় ইসলামবিরোধী শক্তি বাংলাদেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর দেশ হিসেবে বিশ্বে তুলে ধরার চক্রান্ত করছে।

মুফতী রেজাউল করীম বলেন, ইসলাম ও মুসলামনদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশও সে ষড়যন্ত্র থেকে খালি নেই। সরকারের ভিতর ও বাইরে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় নাস্তিক-বেঈমান ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিষোদগার করে যাচ্ছে।

আলোচনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম, চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীমসহ মাদরাসার শিক্ষকগণ এবং অংশ নেন।




ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ:
 আজ রবিবার (৩ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে রমজান মাস। বছর ঘুরে মুসলিম উম্মাহর মাঝে আবার ফিরে এসেছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের এই মাস। এই মাসেরই কদরের রাতে নাজিল হয়েছিল মানব জাতির হেদায়েতের গ্রন্থ আল কোরআন। আগামী ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র শবেকদর।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে চাঁদ দেখার এই ঘোষণা দেওয়া হয়।



মসজিদে কুবা আরো দশ গুণ বড় করবে সৌদি আরব

ডিএববি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 
ইসলামের ইতিহাসের প্রথম মসজিদ ‘মসজিদে কুবা’। মহানবী (সা.)-এর নির্মিত মদিনার সন্নিকটে অবস্থিত ঐতিহাসিক মসজিদে কুবা বর্তমানের চেয়ে ১০ গুণ সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি সরকার। প্রথম হিজরিতে নির্মাণের পর এবারই প্রথম এত বড় সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান মদিনা মুনাওয়ারা সফরকালে বিখ্যাত কুবা মসজিদ সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
আরব নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, মসজিদটি ৫০ হাজার বর্গমিটার সম্প্রসারণ করা হবে। যেখানে একসঙ্গে ৬৬ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। বর্তমানে এর পরিধি পাঁচ হাজার ৩৫ বর্গমিটার।
কুবা সেন্টারে এখানকার ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্যগুলো নথিভুক্ত করার পাশাপাশি মসজিদের আশপাশের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণ করা হবে। কুবা মসজিদ ঘিরে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ সম্প্রসারণ প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কূপ, খামার, বাগান ও মহানবীর তিনটি পথসহ মোট ৫৭টি স্থান রয়েছে। সৌদি ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হজযাত্রীদের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য এ প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
মসজিদে কুবায় নামাজ পড়ার অনেক ফজিলতের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এক বর্ণনায় এসেছে, ‘নবী কারিম (সা.) প্রতি শনিবার কুবা মসজিদে আসতেন,  কখনও পায়ে হেঁটে, কখন আরোহণ করে।’ (সহিহ বুখারি, খণ্ড : ০২, হাদিস : ১১১৯)
উসাইদ ইবনে খুদাইর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, ‘মসজিদে কুবায় নামাজ, ওমরাহর সমতুল্য।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২২৪; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪১১)
সাহাল ইবনে হানিফ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি নিজের ঘরে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করে (সুন্নত মোতাবেক অজু করে) মসজিদে কুবায় আগমন করে নামাজ আদায় করে তাকে একটি ওমরার সমপরিমাণ সওয়াব দান করা হবে।’ (সুনান ইবনে মাজাহ, খণ্ড : ০১, হাদিস : ১৪১১)