বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা সালাহউদ্দিন আর নেই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান।

জানা গেছে, অনেক দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন মাওলানা সালাহউদ্দিন। তার হার্টে রিংও পরানো হয়েছিল।

২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে মাওলানা সালাহউদ্দিনকে নিয়োগ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে শারীরিক অসুস্থতা ও বার্ধক্যজনিত কারণে কয়েক বছর ধরে তিনি নামাজ পড়াতে পারননি।

এদিকে ১৯৪৪ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজরাদী গ্রামে জন্মগ্রহন করেন মাওলানা সালাহউদ্দিন। ১৯৬৬ সালে স্থানান্তর হয়ে বন্দর ইউনিয়নের কলাবাগ গ্রামে বসবাস শুরু করেন।

১৯৬৪ সালে পূর্বপাকিস্তান মাদ্রাসা বোর্ড হতে কামিল প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান ও ১৯৬৫ সালে একই বোর্ড হতে যথাক্রমে আদব ও আদব কামিল প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি।

১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানে উত্তীর্ণ হন। তিনি উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য সৌদি আরবের মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ও ১৯৮৪ সালে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ডিপ্লোমা প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন।

তিনি এক্সিম ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক সাউথ ইস্ট ব্যাংক, যমুনা ব্যাংকের শরিয়াহ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক শরিয়া কাউন্সিলের সদস্য ও ইসলামি ব্যাংক কেন্দ্রীয় শরিয়া বোর্ডের সদস্য ছিলেন।

এছাড়াও সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স ইসলামি তাকাফুলের শরিয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। ঢাকা সিটি কলেজ ও কাকলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শ্রীপুর বাগনাহাটি কামিল মাদরাসার পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

মাওলানা সালাহউদ্দিনের বৈবাহিক জীবনে ৩ কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করলেও, তারা বর্তমানে ঢাকার ঝিগাতলায় স্থায়ী হয়েছেন।

মাওলানা সালাউদ্দিন ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একই মাদরাসার হেড মাওলানা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি মহাখালী মসজিদে গাউসুল আজমের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এদিকে জাতীয় মসজিদের খতিবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর তার প্রথম জানাজা হবে। এরপর জিগাতলায় দ্বিতীয় জানাজা ও মিরপুরে তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে। মরহুম সালাহউদ্দিনের অসিয়ত অনুযায়ী মিরপুর এলাকায় তার একজন পীরের পাশে দাফন করা হবে বলে জানান তার শ্যালক হাবিবুর রহমান।

-এম আর




হজরত হাসান বসরি রহ এর পরকাল ভাবনা ও কিছু উপদেশ

মুযযাম্মিল হক উমায়ের

তিনি বলতেন, প্রকৃত বিনয়ী হলো ওই ব্যক্তি যে, ঘর থেকে বের হওয়ার পর যার সাথেই দেখা হয়, তাকেই সে নিজের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করে৷

তিনি বলতেন, যে ব্যক্তি গুনাহের কাজ করে তওবা করে নেয়, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে নিকটে নিয়ে নেন৷ এভাবে সে যতো তওবা করবে, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে নিকটবর্তী করতে থাকেন৷

তিনি বলতেন, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধীকারীদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হলো সেসব লোক, যারা মৃত ব্যক্তির জন্য কান্না তো ঠিকই করে কিন্তু মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া ঋণ থেকে মৃত ব্যক্তিকে মুক্ত করে না৷

তিনি বলতেন, একজন মানুষের সাথে শত্রুতা পোষণ করে এক হাজার মানুষের ভালোবাসা ক্রয় করো না৷ শত্রুতা এমন খারাপ জিনিস৷

তিনি বলতেন, লোভ-লালসা আলেমদেরকে ত্রুটিযুক্ত বানিয়ে দেয়৷ সুতরাং এই রোগ থেকে বিশেষকরে আলেমদের পরহেজ করা উচিত৷

তিনি কসম খেয়ে বলতেন, যে ব্যক্তি অর্থ-সম্পদকে সম্মান করেছে, আল্লাহ তায়ালা তাকে অপমান-অপদস্ত করেছেন৷

তিনি বলতেন, দুনিয়া হলো তোমাদের বাহন৷ যদি তোমরা তাকে বাহন হিসাবে ব্যবহার করতে পারো, তাহলে সে তোমাদেরকে উপরে ওঠিয়ে রাখবে৷ আর যদি দুনিয়া তোমাদের উপর চড়ে বসে, তখন সে তোমাদেরকে ধ্বংস করে ছাড়বে৷

তিনি বলতেন, আমি এমন কাউকে দেখিনি যে দুনিয়া সন্ধান করে পরকাল পেয়ে গেছে৷ তবে এমন অনেক মানুষ দেখিছি, যারা পরকাল সন্ধান করে দুনিয়াও পেয়ে গেছেন৷

তিনি বলতেন, যদি আল্লাহ তায়ালার কোন বাধ্যগত বান্দার সাথে তোমাদের শত্রুতা সৃষ্টি হয়ে যায়, তাহলে তাঁর সাথে শত্রুতা করা থেকে বিরত থাকো৷ কারণ, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে তোমাদের হাতে সপর্দ করবেন না৷

আর যদি আল্লাহ তায়ালার নাফরমান কোন বান্দার সাথে তোমাদের শত্রুতা সৃষ্টি হয়ে যায়, তবেও তার সাথে শত্রুতা করা থেকে বিরত থাকো৷ কারণ, আল্লাহ তায়ালার নাফরমানি করার কারণে আল্লাহ তায়ালা নিজেই তার থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য যতেষ্ট৷ তোমরা অযথা তার সাথে শত্রুতা করে নিজেদেরকে কষ্টে ফেলো না৷

সূত্র: আকওয়ালে সালফ




সামাজিক-ধর্মীয়-রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সোমবার এ নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সর্বপ্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশসমূহ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে , করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কাৰ্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।




ফিলিস্তিনি যুবকের হাতে জার্মান তরুণীর ইসলাম গ্রহণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সদ্য বিদায়ী বছরের শেষ দিন শুক্রবার ইসলাম গ্রহণ করেছেন জার্মান এক তরুণী। ফিলিস্তিনি এক যুবকের মাধ্যমে বার্লিনের একটি মসজিদে ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি।

গতকাল শনিবার আলজাজিরা জানায়, মোহাম্মদ তিমরাজ নামের ফিলিস্তিনি যুবকই তরুণীটিকে ইসলামের দিকে আহ্বান জানায়। ইসলাম সম্পর্কে তার সাথে ব্যাপক আলাপ-আলোচনার পর তরুণীটি মুসলিম ওয়ার আহগ্রহ প্রকাশ করেন।

মোহাম্মদ তিমরাজ ফেসবুকের একটি পোস্টে লিখেন, বছরের সমাপ্তি এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে? আলহামদুলিল্লাহ! এক আল্লাহর প্রতি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যিনি আমাকে এক বান্দির ইসলাম গ্রহণের মাধ্যম বানালেন। একইসাথে তাকে এ কাজে যারা সহায়তা করেছেন ফিলিস্তিনি যুবকটি তাদের প্রতিও শুকরিয়া জানিয়েছেন।

তরুণীর ইসলাম গ্রহণের একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করেছেন মোহাম্মদ তিমরাজ। সেখানে তাকে জার্মান ও আরবি ভাষায় কালিমায়ে শাহাদাত পাঠরত দেখা গেছে।

তরুণীর ইসলাম গ্রহণ উপলক্ষে তাকে ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী পোশাক কেফিয়্যাহ (কালো ডোরাযুক্ত সাদা রুমাল) ও বেশকিছু জিনিসপত্র উপহার দেন মোহাম্মদ তিমরিজ এবং মসজিদে উপস্থিত সবার মধ্যে মিষ্টান্ন বিতরণ করেন। সূত্র: আলজাজিরা




আল কারীম দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল আগামী ৮ নভেম্বর ২০২১ইং

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুরের দক্ষিণ জাগিরপাড়া আল কারীম দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার ২য় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল আগামী ৮ নভেম্বর ২০২১ইং সোমবার বিকাল ৩টা হইতে মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হইবে।

উক্ত মাহফিলে আলহাজ্ব মাওঃ হারিছ উদ্দিন ও সহ সভাপতি হাফেজ মোস্তফা সাহেবের যৌথ সভপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বয়ান পেশ করবেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, উত্তরা ঢাকার অ্যারাবিক মিডিয়াম মাদ্রাসা ‘দারুল আরকাম আল ইসলামিয়া-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শায়খ ড. সা্নাউল্লাহ আযহারী, বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করবেন বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষাবোর্ড নেত্রকোণা জেলা শাখার সভাপতি, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আলহাজ্ব মাওঃ মামুনুর রশিদ রব্বানী।

এছাড়াও আলোচনা করবেন, আলহাজ্ব মাওঃ মুফতি আব্দুল লতিফ, আলহাজ্ব ডাঃ মাওঃ আলী আকবর, হাফেজ মাওঃ অলিউল্লাহ, মাওঃ ক্বারী মোস্তফা কামাল সাহেব।

বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, এস, এম রফিকুল ইসলাম, সভাপতি-দুর্গাপুর প্রেসক্লাব।

আল কারীম দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, এইচ. এম সাইদুল ইসলাম বলেন, নব প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসার উন্নয়ন ও ২য় বার্ষিক মাহফিল সফল ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে এলাকাবাসীসহ ধর্মপ্রাণ সকলের নিকট দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। উক্ত মাহফিলে সকলের প্রতি দ্বীনি দাওয়াত রইল।

সাধারণ সম্পাদক মাওঃ মতিউর রহমান ডিএনবি নিউজ-কে বলেন, আল কারীম দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসাটি অতি অল্প সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের লেথাপড়ার চাহিদা পূরণ করে আসছে। অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী ও দক্ষ কমিটির পরিচালনায় হাটি হাটি করে নূরাণী ১ম জামাত হইতে জামাতে মেশকাত (স্নাতক) পর্যন্ত পাঠদান চলছে। আল।রাহর মেহেরবাণীতে সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা শিঘ্রই দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত চালূ করতে পারবো ইনশা আল্লাহ।




ইসলামী বইমেলা’য় আজ সন্ধ্যায় আলেম লেখকদের মিলন মেলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে দেশব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে বাইতুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘ইসলামী বইমেলা’ অন্যতম। ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই বই মেলা দুই সপ্তাহ পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।

আজ বুধবার ( ২৭ অেক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘ইসলামী বইমেলা’য় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, জনপ্রিয় লেখক ও আলোচক শায়েখ আহমদুল্লাহর।

তিনি জানিয়েছেন, বই কিনতে মেলায় যাবো ইনশা আল্লাহ।

তার দেওয়া তথ্যমতে, আজ বই মেলায় আরো থাকবেন জনপ্রিয় আলোচক শায়খ আবদুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ, আন্তর্জাতিক ক্বারী শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ, আলোকিত জ্ঞানীর উপস্থাপক ও তাকওয়া মসজিদ ধানমন্ডির খতীব মুফতি সাইফুল ইসলাম, ইসলামিক ফাইন্যান্স বিশেষজ্ঞ মুফতি ইউসুফ সুলতান, উস্তায শায়খ মুহিউদ্দীন ফারুকী, বিশিষ্ট্য আলোচক রাফি বিন মুনির এবং কলরবের জনপ্রিয় নাশীদ শিল্পী বদরুজ্জমান প্রমুখ।

দেশের পরিচিত লেখক ও ইসলামিক ব্যক্তিত্বকে মেলায় এসে পাঠকদের বই কিনতে উৎসাহিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন শায়েখ আহমদুল্লাহ।

তিনি বলেছেন, ‘আশা করছি, সবাই যার যার সুবিধা অনুযায়ী একেক দিন মেলায় আসবেন।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি যে বৃহস্পতিবার কলরবের সাঈদ আহমাদ, শুক্রবার বিশিষ্ট্য লেখক সাইমুম সাদী, মুহাদ্দিস ও টিভি উপস্থাপক মাহমুদুল হাসান, টিভি উপস্থাপক মুফতী হেদায়েতুল্লাহ প্রমুখ থাকবেন। শনিবার আলেম লেখক ও সাংবাদিক আলি হাসান তৈয়ব প্রমুখ থাকবেন ইন শা আল্লাহ’।

শায়েখ আহমদুল্লাহ তার আহ্বানে আরো বলেন, আপনিও চলে আসুন ইসলামী বইমেলায়। খুঁজে খুঁজে নির্ভরযোগ্য বই কিনে আলোকিত হোন, আলোকিত করুন পরিবার ও সমাজক ‘।




রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করার সাহস কারও নেই: জিএম কাদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে কটূক্তি করে এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করার ঘোষণা দিয়ে গর্হিত কাজ করেছেন। এজন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।

তিনি বলেন, ওই প্রতিমন্ত্রী সংবিধান সংরক্ষণের শপথ ভঙ্গ করেছেন। জননন্দিত সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু এরশাদ এবং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন।

জিএম কাদের বলেন, ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনী করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। তাতেও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সমুন্নত আছে। তাই কটূক্তি করে ওই প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলাও ভঙ্গ করেছেন। তাকে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে, তা না হলে দেশের মানুষ একদিন এর বিচার করবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণার সঙ্গে সব ধর্মের অধিকার সাংবিধানিকভাবেই নিশ্চিত করেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করার সাহস আর ক্ষমতা কারও নেই।

শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গাজীপুর মহানগর ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিক চর্চা সম্ভব নয়। বর্তমান সংবিধান গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি বলেন, গণতন্ত্র চর্চা করতে হলে সংবিধানের অনেক ধারা সংশোধন করতে হবে। সংবিধানের ৭০ ধারার কারণে সরকারদলীয় কোনো সংসদ সদস্য সরকারের কোনো সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে পারে না। এতে এক ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে। দেশের নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রায় ৯০ ভাগই সরকারপ্রধানের নিয়ন্ত্রণে। তাই সরকারপ্রধান যা চাইবেন, তার বাইরে কিছুই সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংবিধান অনুযায়ী আইন করতে হবে। আইন না করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে, ফুটবল খেলায় একটি দলের পক্ষ থেকে রেফারি নিয়োগ দেওয়ার মতো। আইন করে, উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করে সংবিধান অনুযায়ী সব ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে।

জিএম কাদের বলেন, নিবন্ধিত প্রায় ৪০টি দলের মধ্যে মাত্র আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি সক্রিয় আছে। বাকি দলগুলো সাইনবোর্ড বা নেতা সর্বস্ব রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপি নেত্রী মুচলেকা দিয়ে জেল থেকে বের হয়ে রাজনীতির মাঠে নেই। আবার তাদের আরেক নেতা দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে অবস্থান করছেন। বাকি নেতাদের মধ্যে বিভেদ ও বিভাজনের অভাব নেই।

আবার আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত।রাজনীতির মাঠেও আওয়ামী লীগ নেই বললেই চলে। কিন্তু গণমানুষের দাবি আদায়ে রাজনীতিতে সোচ্চার আছে শুধু জাতীয় পার্টি। ৩১ বছর রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থেকেও জাতীয় পার্টি রাজনীতিতে টিকে আছে। নানা অপবাদ ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে জাতীয় পার্টি এগিয়ে চলছে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মকাণ্ডে রাজনীতি নিয়ে হতাশাগ্রস্ত। দেশের মানুষ আগামী দিনে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র পরিচালনায় দেখতে চায়। গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে জাতীয় পার্টি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে এগিয়ে যাবে। তাই দলকে আরও শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এমএম নিয়াজ উদ্দিন বক্তব্য দেন।

উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মনিরুল ইসলাম মিলন, অ্যাডভোকেট লাকী বেগম, অ্যাডভোকেট জহিরুল হক জহির, ভাইস চেয়ারম্যান এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. বেলাল হোসেন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আনোয়ার হোসেন তোতা, মাখন সরকার, এমএ রাজ্জাক খান, আহাদ চৌধুরী শাহীন, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নুরুল হক নুরু, জাকির হোসেন মৃধা, মামুনুর রহিম সুমন, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাঈদ স্বপন, আবদুল বাতেন, শেখ মো. মাসুদ, সাফিয়া পারভীন, জাকির হোসেন, জিয়াউর রহমান বিপুল, এমএ কাদির, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, তরুণ পার্টির জিয়াউর রহমান মোড়ল ও কেএম সুজন।




কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় দুর্গাপুরে আলেম-ওলামাদের ক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন কে অবমাননা করায় সারাদেশের ন্যায় দুর্গাপুরেও আলেম-ওলামাদের মাঝে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ নিয়ে বুধবার রাতে স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ৪দফা দাবি জানিয়েছেন উপজেলা ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটি।

এ উপলক্ষে দুর্গাপুর কাচারী মাদরাসা মিলনায়তনে ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মুফতি মামুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে ওলামাগন বলেন, কুমিল্লার নানুয়ার দিঘীরপাড় পূজামন্ডপে মূর্তির পায়ের নিচে পবিত্র কোরআন রেখে অবমাননা করার ঘটনায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দেশে নব্বই ভাগ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নম্প্রদায় যে নিরাপত্তা নিয়ে নাগরিক সুবিধা ভোগ করছেন বিশ্বে এমন দৃষ্টান্ত নজিরবিহীন। তারপরও কিছু স্বার্থান্বেষীরা বারবার ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে ৪দফা কর্মসুচী ঘোষনা করেন এবং সকলকে শান্ত থাকার জন্য আহবান জানান।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সহ:সভাপতি মাও: অলি উল্লাহ, সহ:সভাপতি হাফেজ আব্দুল কাদির, মাও: আব্দুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও: হাবিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন, সম্মনিত সদস্য মাও: সিরাজুল হক, অলি উল্লাহ, মাও: আমিনুল এহছান প্রমুখ। #

 




যেসব জেলায় মোতায়েন করা হলো বিজিবি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা রক্ষার্থে সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হচ্ছে ।

আজ বৃহস্পতিবার বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের চাহিদার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দুর্গাপূজায় নিরাপত্তার রক্ষার্থে দেশব্যাপী বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত কুমিল্লা, নরসিংদী ও মুন্সীগঞ্জসহ ২২টি জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চাহিদা থাকলে রাজধানী ঢাকায়ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে।




ওয়াজ মাহফিলে কোন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া যাবে না: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ওয়াজ মাহফিলে কোরআনের বাইরে উসকানিমূলক কোন বক্তব্য দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তিনি বলেছেন, ‘নীতি-নৈতিকতা-মূল্যবোধ লালন ও ধারণা করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য। সবাইকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে এবং এটি তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িতে দিতে হবে।’

সোমবার (১১ অক্টোবর) ভোলা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের চিন্তা করতে হবে যেন কেউ ধর্মকে ব্যবহার করে জঘন্য অপরাধ করতে না পারে। সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফেসবুক, ইউটিউবে এ ধরনের অপপ্রচার বেশি ঘটছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলছি, যেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে যারা ধর্ম নিয়ে কটূক্তি ছড়ায় এই ধরনের অপরাধীদের ধরার চেষ্টা করছি। যারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অন্যায়কারী, অপরাধের সঙ্গে লিপ্ত এবং সংবিধানের মূলনীতি ভঙ্গ করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইন হয়ে গেছে। যে ধর্মের লোক হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

এ সময় প্রতিমন্ত্রী জনগণকে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতার আহ্বান জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে হজ যাত্রীদের ইমিগ্রেশন দেশেই হবে।’

ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গোলদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুন আল ফারুক, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অসীম সাহাসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।