ভারতের উত্তরাখণ্ডে বন্ধ করে দেয়া হল আরও ৭ মাদ্রাসা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতের উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা বোর্ড বা রাজ্য শিক্ষা বিভাগের নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল অভিযোগে রোববার (১৩ এপ্রিল) হলদোয়ানির কর্মকর্তারা কমপক্ষে সাতটি মাদ্রাসা সিল করে দিয়েছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

যদিও দ্য সিয়াসাত ডেইলি ও মুসলিম মিরর বলছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে উত্তরাখণ্ডজুড়ে কমপক্ষে ১৭০টি মাদ্রাসা সিল করে দেয়া হয়েছে। একই তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিলও।

প্রতিবেদন মতে, জেলা প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ দল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বনভুলপুরা এলাকায় ‘বিশেষ পরিদর্শন অভিযান’ পরিচালনা করে।

এসময় প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ নিবন্ধন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক প্রয়োজনীয়তা মেনে চলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। দাবি করা হচ্ছে, পরিদর্শনকালে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা অনিবন্ধিত পাওয়া যায়, যার ফলে তাদের মধ্যে সাতটি সিলগালা করা হয়েছে।

হলদোয়ানির সিটি ম্যাজিস্ট্রেট এ পি বাজপেয়ী বলেছেন, আমরা হলদোয়ানির মাদরাসাগুলো পরিদর্শনের জন্য একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি। বেশ কিছু মাদ্রাসা রাজ্য সরকারের নিয়ম লঙ্ঘন করে, যথাযথ নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে, আমরা এখন পর্যন্ত সাতটি মাদ্রাসা সিল করে দিয়েছি।

কর্মকর্তাদের মতে, জেলা প্রশাসন গত মাসে বনভুলপুরা এলাকার মাদ্রাসাগুলোর একটি প্রাথমিক জরিপ পরিচালনা করেছিল। জরিপে অবস্থান, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং উপলব্ধ সুযোগ-সুবিধার মতো বিশদ বিবরণ নথিভুক্ত করা হয়।

গত ২৬ মার্চ উত্তরাখণ্ড সরকার জানায়, তারা রাজ্যজুড়ে সিল করে দেয়া ‘অবৈধ’ মাদ্রাসাগুলোর তহবিল তদন্ত করবে এবং এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেয়া হবে। কর্মকর্তারা বলছেন, রাজ্যে প্রায় ৪৫০টি নিবন্ধিত মাদরাসা রয়েছে, যারা সরকারকে তাদের নথি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং আয়-ব্যয়ের সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়েছে। কিন্তু ৫০০টিরও বেশি মাদরাসা কোনো স্বীকৃতি ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।




ভারতে ওয়াকফ আইন পাস : পান্না জেলায় বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মাদ্রাসা। 

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ভারতে সম্প্রতি পাস হয়েছে ওয়াকফ আইন। এ নিয়ে দেশটির নানা প্রান্তে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে। পাশাপাশি দেশের শীর্ষ আদালতেও আইনটি বাতিলের দাবিতে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে।

তবে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও এরই মধ্যে ওই আইনের অধীনে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবেই বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মাদ্রাসা।

প্রশাসনের দাবি, অবৈধভাবে জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছিল ওই মাদ্রাসা। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ওই প্রতিষ্ঠানটি ভেঙে ফেলেছে।

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবৈধভাবে নির্মাণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক মুসলিম ব্যক্তি। সেই অভিযোগের পর মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি বিষ্ণু দত্ত শর্মা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর মাদ্রাসা কমিটির কাছে নোটিশ পাঠায় প্রশাসন। সেই নোটিশের ভিত্তিতে মাদ্রাসা কমিটিই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলডোজার নিয়ে আসে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- স্থানীয় প্রশাসন এটি ভেঙে ফেলার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই সদ্য পাস হওয়া ওয়াকফ আইনের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি নিজে থেকেই ব্যবস্থা নিয়েছে। পান্নার বিডি কলোনিতে গত ৩০ বছর ধরে অবৈধভাবে চলছিল মাদ্রাসাটি। বছরের পর বছর ধরে একাধিক নোটিশ জারি করা সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। তবে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রণয়ন এবং কঠোর প্রয়োগের সতর্কতা জারির পর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যরা স্বেচ্ছায় কাঠামোটি ভেঙে ফেলার জন্য বুলডোজার ব্যবহার করে।

মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি বিষ্ণু দত্ত শর্মা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে এই ধরনের অপব্যবহার রোখা যাবে। এই ধরনের সম্পত্তিগুলোকে সরাসরি কাজে লাগানো হবে। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের আড়ালে সংগৃহীত তহবিল এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া




 ‘মার্চ ফর গাজা’ ফিলিস্তিনের পতাকায় ছেয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ পুরো ঢাকা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলিদের আগ্রাসন ও নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই যোগ দিচ্ছেন এ মুক্তির মিছিলে। প্যালেস্টাইনবাসীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনের পতাকায় ছেয়ে গেছে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশেপাশে এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর চারপাশ থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করছে মুসলমানরা। হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা আর কপালে কালিমার পতাকা নিয়ে ফিলিস্তিন বাসীদের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে যখন বিক্ষোভ- প্রতিবাদের ঢেউ উঠছে, তখন বাংলাদেশেও ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে আয়োজিত হচ্ছে  ‘মার্চ ফর গাজা’। এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী গণসমাবেশ।

এই কর্মসূচির লক্ষ্য গাজার নিরস্ত্র জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ, বিশ্বজনমত গঠন, এবং মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে সোচ্চার হওয়া।

আজ বিকেল ৩টা থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এতে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। সারা দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক লাখ লোকের সমাগম হতে পারে আজকের এই আয়োজনে।

এই আয়োজনে বিশিষ্টজনদের মধ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট দাঈ শায়খ আহমাদুল্লাহ, প্রখ্যাত বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল করীম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদির, এনসিপির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনূস আহমদ, গাজী আতাউর রহমান, জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম বুলবুল, শিবির সভাপতি জাহিদুর রহমান, সাদিক কায়্যিম, কবি মুহিব খান, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা রেজাউল কারীম আবরার, মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ অনেক বিশিষ্টজন উপস্থিত থাকবেন।




মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে দলমত নির্বিশেষে অংশ নেওয়ার আহবান : খতিব মুফতি আবদুল মালেক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে যে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে তাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঈমানের তাগিদে অংশ নেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক। আগামী শনিবার (১২ এপ্রিল) মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক’র সভাপতিত্বে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে এই কর্মসূচি পালিত হবে।

আজ (১০এপ্রিল বৃহষ্পতিবার) সোস্যাল মিডিয়া (ফেইসবুক)-এ একটি অডিও বার্তায় তিনি সবাইকে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

জাতীয় মসজিদের খতিব বলেন, জায়নবাদী ইসরায়েল ফিলিস্তিনের নিরপরাধ মানুষের ওপর বিশেষ করে নারী শিশুর ওপর যে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে একে গণহত্যা বললেও কম বলা হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এর দ্বারা তারা গোটা মানবতার শত্রুতে পরিণত হয়েছে। এমন অমানবিক পরিস্থিতিতে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করার লক্ষ্যে এবং বর্বরোচিত গণহত্যা ও জাতিগত নিধন বন্ধের দাবিতে আগামী শনিবার ১২ এপ্রিল প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মার্চ ফর গাজার ডাক দেওয়া হয়েছে। দল-মত নির্বিশেষে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করি। আল্লাহ তায়ালা এই প্রচেষ্টা সফল করুন এবং কবুল করুন।
‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিরোনামে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে দেশের শীর্ষ আলেম, দাঈ, স্কলার, ওয়ায়েজ এবং বিভিন্ন অঙ্গনের সেলিব্রেটিরা অংশ নেবেন।

ইতোমধ্যে এই আয়োজন সফল করতে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিশিষ্ট দাঈ শায়েখ আহমাদুল্লাহ, খ্যাতিমান স্কলার মিজানুর রহমান আজহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, বিশিষ্ট ওয়ায়েজ ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, ড. আসাদুল্লাহ আল গালিব, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ শামছুল আলম, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়ক হাসানাত আব্দুল্লাহ, সেলেব্রেটিদের মধ্যে আরজে কিবরিয়া, আইমান সাদিক, তামিম মৃধা, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাহিদ রানা প্রমুখ।

আরও ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বিশিষ্ট স্কলার মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজা, ড. মুখতার আহমদ, ইসলামি আলোচক মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমদ, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের গাজী আতাউর রহমান, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, হেফাজতে ইসলামের আজিজুল হক ইসলামাবাদী, গণপরিষদ আন্দোলনের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুর রহমান শিবলী, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি,

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. ফয়জুল হক, ইসলামিক স্কলার ড. হারুন আজিজী নদভী, শায়খ ওসমান গনি সালেহী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতি আরিফ বিন হাবিব, ড. মুফতি ইউসুফ সুলতান, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মুফতী রেজাউল কারীম আবরার, শায়খ আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা ইয়াহইয়া তাকী, আস-সুন্নাহ ট্রাস্টের উসামা খোন্দকার, মাস্তুল ফাউন্ডেশনের কাজী রিয়াজ রহমান, জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক সাদিক কায়িম প্রমুখ।




মার্চ ফর গাজা’ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মানবতাবিরোধী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে বাংলাদেশের মানুষ। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দেশটির চলমান বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। এবার এই ইস্যুতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন দেশের শীর্ষ আলেম, দাঈ, স্কলার ও নানা অঙ্গনের সেলিব্রেটিরা। আগামী শনিবার (১২ এপ্রিল) ফিলিস্তিনের জন্য সবচেয়ে বড় মার্চ হবে ঢাকার রাজপথে। শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত পালিত হবে এই কর্মসূচি।

ইতোমধ্যে এই কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। আলেম স্কলার ও সেলিব্রেটিরা স্বতন্ত্রভাবে ভিডিও বার্তা দিয়ে সর্বস্তরের মানুষকে এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তাদের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ এই কর্মসূচির বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন এবং নিজেরা তাতে অংশ নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  এই কর্মসূচি সফল করতে শায়খ আহমাদুল্লাহ, শায়খ আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ, মাওলানা রেজাউল কারীম আবরারসহ বেশ কয়েকজনন জনপ্রিয় দাঈ ও স্কলার নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। স্মরণকালের বৃহৎ জনসমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি চলছে। প্রত্যেকেই নিজ নিজ ভক্ত-অনুরাগীদের এতে অংশ নেওয়ার দাওয়াত দিচ্ছেন। অভিন্ন কর্মসূচিতে অনেক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের সম্মিলন ঘটায় সেখানে ব্যাপক জনসমাগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আয়োজকরা জানান, সেদিন সর্বসাধারণের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই কর্মসূচি দ্বারা তারা বিশ্ববাসীকে বার্তা দিতে চাইবেন। অবৈধ ও বর্বর রাষ্ট্র ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধের জোর দাবি জানাবেন। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড এবং ফিলিস্তিনের পতাকা শোভা পাবে।

ইতোমধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করা এই কর্মসূচিতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সব দল-মত এবং ঘরানার মানুষ একসঙ্গে এই প্রতিবাদে জড়ো হবেন। কর্মসূচি সফল করতে আয়োজকরা দুই এক দিনের মধ্যে রাজধানীতে একসঙ্গে বসবেন বলে জানা গেছে। কর্মসূচি থেকে কী কী দাবি জানানো হবে সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে।

আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে Palestine Solidarity Movement, Bangladesh শীর্ষক এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন বরেণ্য দাঈ শায়েখ আহমাদুল্লাহ, খ্যাতিমান স্কলার মিজানুর রহমান আজহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতী রেজাউল কারীম আবরার, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়ক হাসানাত আব্দুল্লাহ ও সাদিক কায়িম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ প্রমুখ।




দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক : 

ধর্মীয় ভাব-গাম্ভির্যের মধ্যদিয়ে নেত্রকেনার দুর্গাপুরে সম্মানীত সুধীজন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আলেম-উলামা এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মানে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেসক্লাব সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ এর সঞ্চালনায় এ সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল আলম ভুইয়া, যুগ্ন-আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক, আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন মাস্টার, বিএনপি নেতা সাবেক অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ্ খান, ওসি মাহমুদুল হাসান, পৌর বিএনপি‘র আহবায়ক আবু ছিদ্দিক রুক্কু, সদস্য সচিব সম্রাট গণি, এডভোকেট মানেশ সাহা, সমাজসেবা অফিসার মাসুল তালুকদার, একাডেমিক সুপারভাইজার নাসির উদ্দিন, সামাজসেবক হাজী মনজুরুল হক, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি দিলোয়ার হোসেন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক রাজেশ গৌড়, সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব ডা. রমজান হোসেন, হাফেজ মোস্তফা কামাল, মাওলানা ডাঃ মতিউর রহমান ও প্রেসক্লাবের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে দেশ ও জাতির কল্যানে দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা ওয়ালি উল্লাহ।




সম্প্রীতির মেলবন্ধনে সুসঙ্গ দুর্গাপুর সমিতি ঢাকা’র ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

ঢাকায় বসবাসকারী নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার নাগরিকদের সংগঠন ‘সুসঙ্গ দুর্গাপুর সমিতি’ ঢাকা’র ইফতার মাহফিল ও দুর্গাপুর উন্নয়ন ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে শনিবার (২২ মার্চ) এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকায় বসবাসকারী দুর্গাপুরের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নাগরিকগণ অংশগ্রহণ করেন। রাজনীতি যার যার,দুর্গাপুর সবার – ভাবনাকে সামনে রেখে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এতে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ,বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য, বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবক কমরেড ডা.দিবালোক সিংহ। উন্নয়ন ভাবনা,মতবিনিময় ও সম্প্রীতির এই মিলনমেলার আলোচনা পর্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ সম্মানিত অতিথি ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন,এই ইফতার আয়োজনে এসে সম্মানিত বোধ করছি। এটা আমাদের প্রত্যেকের জন্য এক আনন্দের উপলক্ষ।

ঈদের যেমন আনন্দ তেমনি ঈদের আগে আরেকটি আনন্দ হচ্ছে এই মিলনমেলা। প্রকৃত অর্থে দুর্গাপুর একটি অনন্য সাধারণ উপজেলা। কৃষ্টি-সংস্কৃতি-শিক্ষা-পরিবেশ- মানুষের কর্ম-পাহাড়-সমতল- নদী সবকিছু মিলে দুর্গাপুর একটি অনন্য সাধারণ উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। সেই উপজেলাকে আমরা প্রত্যেকেই আমাদের মায়ের সাথে তুলনা করে গড়ে তুলতে হবে। অপার সম্ভাবনার জায়গা হচ্ছে দুর্গাপুর। প্রত্যেকের স্বপ্নকে আলিঙ্গণ করে আগামীর দুর্গাপুর গড়ে তুলতে হবে। অনুষ্ঠানে ডা. দিবালোক সিংহ বলেন,আমাদের প্রাণের দুর্গাপুরকে সকল নাগরিক সম্মিলিতভাবে চমৎকার কর্মসৃজনের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।




নামাজের সময় মসজিদে গুলি করে ৪৪ জনকে হত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আফ্রিকার দেশ নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। শুক্রবারের ওই হামলায় আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২২ মার্চ) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বুরকিনা ফাসো এবং মালি লাগোয়া নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোকোরো শহরের ফোমিতা গ্রামের মসজিদে শুক্রবার নামাজের সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিম আফ্রিকার সশস্ত্র গোষ্ঠী ইআইজিএস এই হামলা চালিয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এ হামলার জন্য নাইজারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী ইআইজিএস গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে। তবে এই হামলার বিষয়ে গোষ্ঠীটির মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারী অস্ত্রে সজ্জিত লোকেরা একটি মসজিদ ঘিরে রাখে। সেখানে পবিত্র রমজান মাসে নামাজের জন্য জড়ো হওয়া লোকজনের ওপর ‘বিরল নিষ্ঠুর গণহত্যা’চালায়।

এই হামলার ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেশটিতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।




দুর্গাপুরে শেষ হলো ৩দিন ব্যাপি হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে শুরু হওয়া হিফজুল কুরআন, হামদ-নাত ও আজান প্রতিযোগিতা। বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলা বিএনপি‘র আয়োজনে ৩দিন ব্যাপি এ প্রতিযোগিতা শেষ হয়।

বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সার্বিক ব্যবস্থাপনায়, স্থানীয় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে, উপজেলার ৮৩টি মাদরাসা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে আগত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুইশত ছিষট্রি জন শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে। তিনদিন ব্যাপি প্রতিযোগিতায় হামদ্ নাত, আযান এবং পবিত্র কুরআন তেলোয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুর্গাপুর উপজেলায় প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে এমন আয়োজন দুটি উপজেলার শিশু-কিশোরদের মাঝে ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা। ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করার জন্য আয়োজকদের প্রতি আহবান জানানো হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহের আলেম সমাজের পথিকৃত সায়খুল হাদিস, আল্লামা জিয়া উদ্দিন (দা: বা:)। এছাড়া প্রতিযোগিতায় উপজেলা বিএনপি‘র আহবায়ক জহিরুল আলম ভুইয়া, যুগ্ন-আহবায়ক আলহাজ¦ জামাল উদ্দীন মাস্টার, সদস্য সচিব আব্দুল আওয়াল, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আতাউর রহমান ফরিদ, সদস্য সচিব হারেজ গণি, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক রুক্কু, সদস্য সচিব আল ইমরান সম্রাট গণি সহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগণ এবং দুর্গাপুর উপজেলা বিভিন্ন মাদরাসার সম্মনীত মাওলানা, মুফতিগণ সহ অভিজ্ঞ শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

হামদ-নাত বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে মাহবুবুর রহমান, ২য় স্থান মুমিন হাসান ও ৩য় স্থান অধিকার করেছে মোফাজ্জল হোসাইন।

আজান বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে মোবারক হোসাইন, ২য় স্থান আলমগীর হোসাইন ও ৩য় স্থান অধিকার করেছে কাওসার আহমদ।

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনকারী পেয়েছে ১০ হাজার টাকা ও সম্মাননা স্মারক, ২য় স্থান অর্জনকারী পেয়েছে ৮ হাজার টাকা ও সম্মাননা স্মারক এবং ৩য় স্থান অর্জনকারী পেয়েছে ৬ হাজার টাকা ও সম্মাননা স্মারক। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন মুফতি সাব্বির আহমাদ এবং হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মারুফ।

প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন : হামদ-নাত, আজান : শাইখুল হাদিস ইবরাহিম হাসান, মুফতি হাবিবুর রহমান, মুফতি অলি উল্লাহ, মাওলানা ইমরান হোসাইন, মুফতি মজিবুর রহমান, হাফেজ মো: মাসুদ।

হিফজুল কোরআন : হাফেজ মোঃ আব্দুল কাদির, হাফেজ মাওঃ অলি উল্লাহ, হাফেজ মাওঃ আফফান, হাফেজ নাজমুল হক, হাফেজ আব্দুস সামাদ এবং হাফেজ রইস উদ্দিন।

উপজেলা বিএনপি‘র যুগ্ন-আহবায়ক আলহাজ্ব জামাল উদ্দীন মাস্টার বলেন, পবিত্র রমজান মাসে এই আয়োজন কে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। তারা খুব উৎসাহ নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। এমন আয়োজনের জন্য ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি সকলেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। আগামীতে আরো বড়পরিসরে এ প্রতিযোগিতা শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সম্মানিত বিচারক মন্ডলী ও আমন্ত্রীত মেহমানদের প্রতি আমি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । সেইসাথে কোমলমতি বিজয়ী শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিনন্দন । প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ । দায়িত্বপ্রাপ্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই সুন্দর আয়োজন সফল ভাবে শেষ করার জন্য । আগামীতেও এ ধরনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হউন ।




চবিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মুসলিমদের প্রাণের স্পন্দন রাসুলুল্লাহ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাঁকে নিয়ে কটুক্তি করলে সকল মুসলিমের অন্তরে আঘাত লাগবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সানবিম সিফাত ফেসবুকে রাসুলুল্লাহ (স) কে নিয়ে কটুক্তিসহ ইসলাম অবমাননাকর মন্তব্য করে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী মাহদী হাসান বলেন, “আমাদের সহপাঠী সানবিম সোশ্যাল মিডিয়াতে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটুক্তি করে। এছাড়াও সে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনবরত ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে আসছে। তাকে ক্ষমা চাইতে বলা হলে সে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। আমরা তার বিচার চাই। তাকে আজীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। তাকে বহিষ্কারের আগ পর্যন্ত আমরা নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের সকল শিক্ষার্থী ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করলাম। তাকে বহিষ্কার না করলে আমাদের পুরো ব্যাচকে বহিষ্কার করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (স) এর অবমাননাকারী শাতিমের ব্যাপারে কোনো আপোষ নাই।”

আইন বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব বলেন, “কেউ ব্যক্তিগতভাবে কোনো বিশ্বাস অবলম্বন করতে পারে। কিন্তু, রাসুলুল্লাহ (স) এর ব্যাপারে অবমাননাকর কোনো মন্তব্য করার কোনো অধিকার কারো নাই। কেউ এমনটা করলে কোটি মুসলিমের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হবে। তাদের পক্ষে এটা সহ্য করা সম্ভব নয়। এসব উজ্জ্বল দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটতে থাকবে। এমন অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে দমন করতে হবে। অন্যথায় সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। আমরা আমাদের জীবনের চেয়ে প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বেশি ভালোবাসি। আমাদের ভালোবাসায় আঘাত করা হয়েছে। আমরা দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে এর সমাধানের দাবী জানাচ্ছি।”

শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহিদ মিনার থেকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ হয়ে প্রক্টর অফিসে যান। এসময় তারা “বিশ্বনবীর অপমান, সইবে না রে মুসলমান”, ” শাতিমের ঠিকানা, এই জমিনে হবে না”, “নবি অবমাননাকারীকে বহিষ্কার করো, করতে হবে”, “নারায়ে তাকবির, আল্লাহ আকবার”, “ইসলামের শত্রুরা, হুঁশিয়ার সাবধান” স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীদের হাতে এসময় “Defending the honor of the Prophet (Sm) is our duty.”, “যে ক্যাম্পাস মহানবী (স.) এর সম্মান রক্ষা করতে পারে না, সে ক্যাম্পাস সঠিক শিক্ষাও প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।”, “We stand united against any insult to our beloved Prophet (Sm)” প্রভৃতি লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।