‘নিবন্ধিত ৬৫ বছরের বেশি বয়সিরা হজে যেতে পারবেন না’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

‘আগে নিবন্ধন করেছেন, কিন্তু বয়স ৬৫ পার হয়ে গেছে, এমন নাগরিকেরা হজে যেতে পারবেন না’ বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে আজ সোমবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় পুরো বিশ্বের পরিস্থিতিই পাল্টে গেছে। সেখান থেকে আমরা ধীরে ধীরে বের হয়ে আসছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিরাজমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে হজযাত্রীদের বিষয়ে একটি নিয়ম করে দিয়েছে সৌদি সরকার। যাঁরা আগে নিবন্ধন করেছিলেন, কিন্তু এখন বয়স ৬৫ অতিক্রম করেছে, তারা হজে যেতে পারবেন না। এ নিয়ম সব দেশের হজযাত্রীদের বেলায় প্রযোজ্য।’




‘টিএসসিতে ছাত্রীদের নামাজে বাধা প্রদান ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমান অধ্যুষিত রাষ্ট্র বাংলাদেশ। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই দেশে পবিত্র রমজান মাসেও মুসলমানদের ধর্ম পালনে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রীদের নামাজের স্থানে তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) লালবাগস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত মুফতী ফজলুল হক আমিনী রহ. স্মরণে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মিডিয়ায় দেখলাম, পার্শ্ববতী দেশ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে রমজান মাসে স্থানীয় হিন্দুরা মুসলমানদের নামাজ ও ইফতারের ব্যবস্থা করছে। কয়েকটি পশ্চিমা দেশে বিশ্ব বিদ্যালয় প্রশাসন মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও তারাবীহ পড়ার ব্যবস্থা করেছে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে টিএসসির এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা মুসলমান ছাত্রীদের ধর্মীয় অধিকার ও স্বাধীনতার উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ। অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলমান ছাত্রীদের নামাযের উপর এমন অন্যায্য হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।

ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, পবিত্র রমজান মাস এলে মুফতী আমিনী রহ. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক আরো গভীর করার জন্য ব্যাকুল হয়ে যেতেন। প্রতিদিন আসরের পর তিনি দরজা বন্ধ করে মহান রবের দরবারে শিশুদের মত কান্নাকাটি করতেন। মুফতী আমিনী রহ.-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমাদেরকেও রমজানে আল্লাহভীতি অর্জন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যমে মানব জীবনে বিপ্লব আসে। আর ব্যক্তির জীবনের বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজ এবং রাষ্ট্রেও বিপ্লব আসবে ইনশাল্লাহ।

ইফতার মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- লালবাগ মাদরাসার সদরে শুরা মাওলানা হাবিবুর রহমান (হাজী সাহেব হুজুর), ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রশিদ মজুমদার, যুগ্ম মহাসচিব মুফতী তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আবুল কাশেম, মুফতী আব্দুল কাইয়্যুম, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা জিয়াউল হক মজুমদার, মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা জুনায়েদ গুলজার, মাওলানা বেলায়েত হোসাইন আল-ফিরোজী, মুফতী তাসলিম আহমদ, মাওলানা কাজী আজিজুল হক, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মাওলানা নুরুজ্জামান, মাওলানা আবুল হাশিম শাহীসহ আরো অনেকে।




হিজাব-নামাজ নিয়ে কেন বার বার আঘাত করা হচ্ছে: চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

কতিপয় নাস্তিক-বেঈমান ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিষোদগার করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইসলাম ও মহানবী সা. এর ওপর কোন আঘাত সহ্য করা হবে না’ তাহলে ইসলাম, হিজাব, নামাজ ইত্যাদি নিয়ে কেন বার বার আঘাত করা হচ্ছে?

বুধবার (১৩ এপ্রিল) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত বিশাল তালিম তারবিয়াতের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসলামের আবশ্যক পালনীয় বিধান হিজাব পরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের নামাজ পড়া নিয়ে বিরূপ ধারণা পোষণ মুসলিম হিসেবে আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।

তিনি আরও বলেন, কতিপয় ইসলামবিরোধী শক্তি বাংলাদেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর দেশ হিসেবে বিশ্বে তুলে ধরার চক্রান্ত করছে।

মুফতী রেজাউল করীম বলেন, ইসলাম ও মুসলামনদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশও সে ষড়যন্ত্র থেকে খালি নেই। সরকারের ভিতর ও বাইরে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় নাস্তিক-বেঈমান ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিষোদগার করে যাচ্ছে।

আলোচনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম, চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীমসহ মাদরাসার শিক্ষকগণ এবং অংশ নেন।




ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ:
 আজ রবিবার (৩ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে রমজান মাস। বছর ঘুরে মুসলিম উম্মাহর মাঝে আবার ফিরে এসেছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের এই মাস। এই মাসেরই কদরের রাতে নাজিল হয়েছিল মানব জাতির হেদায়েতের গ্রন্থ আল কোরআন। আগামী ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র শবেকদর।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে চাঁদ দেখার এই ঘোষণা দেওয়া হয়।



মসজিদে কুবা আরো দশ গুণ বড় করবে সৌদি আরব

ডিএববি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 
ইসলামের ইতিহাসের প্রথম মসজিদ ‘মসজিদে কুবা’। মহানবী (সা.)-এর নির্মিত মদিনার সন্নিকটে অবস্থিত ঐতিহাসিক মসজিদে কুবা বর্তমানের চেয়ে ১০ গুণ সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি সরকার। প্রথম হিজরিতে নির্মাণের পর এবারই প্রথম এত বড় সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান মদিনা মুনাওয়ারা সফরকালে বিখ্যাত কুবা মসজিদ সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
আরব নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, মসজিদটি ৫০ হাজার বর্গমিটার সম্প্রসারণ করা হবে। যেখানে একসঙ্গে ৬৬ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। বর্তমানে এর পরিধি পাঁচ হাজার ৩৫ বর্গমিটার।
কুবা সেন্টারে এখানকার ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্যগুলো নথিভুক্ত করার পাশাপাশি মসজিদের আশপাশের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণ করা হবে। কুবা মসজিদ ঘিরে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ সম্প্রসারণ প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কূপ, খামার, বাগান ও মহানবীর তিনটি পথসহ মোট ৫৭টি স্থান রয়েছে। সৌদি ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হজযাত্রীদের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য এ প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
মসজিদে কুবায় নামাজ পড়ার অনেক ফজিলতের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এক বর্ণনায় এসেছে, ‘নবী কারিম (সা.) প্রতি শনিবার কুবা মসজিদে আসতেন,  কখনও পায়ে হেঁটে, কখন আরোহণ করে।’ (সহিহ বুখারি, খণ্ড : ০২, হাদিস : ১১১৯)
উসাইদ ইবনে খুদাইর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, ‘মসজিদে কুবায় নামাজ, ওমরাহর সমতুল্য।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২২৪; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪১১)
সাহাল ইবনে হানিফ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি নিজের ঘরে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করে (সুন্নত মোতাবেক অজু করে) মসজিদে কুবায় আগমন করে নামাজ আদায় করে তাকে একটি ওমরার সমপরিমাণ সওয়াব দান করা হবে।’ (সুনান ইবনে মাজাহ, খণ্ড : ০১, হাদিস : ১৪১১)

 




‘শিক্ষাঙ্গনে ধর্ম পালনে বাধার সম্মুখীন হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে’

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

শিক্ষার্থীরা শিক্ষাঙ্গনে ধর্মীয় রীতি-নীতি মানার ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হলে দায়ভার সরকারকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

সোমবার (১১ এপ্রিল) নগরীর আইসিএবি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত ‘মহিমান্বিত মাহে রমজানের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সন্তানরা শিক্ষাঙ্গনে পর্দাসহ অন্যান্য ধর্মীয় বিধান পালনে বাধাগ্রস্ত হওয়া সরকারের ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ। মুসলিম নারী শিক্ষার্থীরা তাদের ধর্মীয় পোশাক পরে শিক্ষাঙ্গনে যাবে, এটা তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা হরণের পায়তারা করা হলে তা বরদাশত করা হবে না।

তিনি বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে একশ্রেণির কালোবাজারি ও অসাধু ব্যবসায়ী আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্যসামগ্রীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।

নগর সভাপতি নাঈম বিন জামশেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ সিরাজীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।

শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি,দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা দেশে একটি অস্বাভাবিক পরিবেশ তৈরী করতে চায়। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তা রুখে দিতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে নাঈম জামশেদ বলেন, আল্লাহ তায়ালা মাহে রমজানকে তাকওয়া অর্জনের অনুশীলন এবং ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য ভরা বসন্ত বানিয়েছেন। এ মাস শুধু একটি মাসই নয়; বরং গোটা বছরের জন্য এটা তাপকেন্দ্র। এ মাস থেকেই মুমিন গোটা বছরের তাকওয়া-তাহারাতের সঞ্চয় গ্রহণ করে। পুরো বছরের ঈমানি প্রস্তুতি গ্রহণের এটাই মোক্ষম সময়।

ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নগর উত্তরের তথ্য গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ আনাস আবদুল্লাহ, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক সুহাইল তানভীর, প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক মিযান বিন নাযির,কওমী মাদরাসা সম্পাদক মাহদী হাসান তাছনিম, স্কুল ও কলেজ সম্পাদক নুরুন্নবী ইসলাম, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুহাম্মাদ হাবিবুল্লাহ মেসবাহ, শুরা সদস্য নাঈমুল ইসলাম, এইচ এম মাহমুদ হাসান, আরিফুল ইসলাম ও ইমরান হুসাইনসহ নগরের আওতাধীন থানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শাখার নেতৃবৃন্দ।




ঈদে নৌপথে নিরাপত্তায় জাতীয় কমিটির ১২ সুপারিশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পবিত্র ঈদুল ফিতরে নৌপথে নিরাপদ যাতায়াতের স্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম আরও জোরদারের পাশাপাশি ১২ সুপারিশ করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব দাবি ও সুপারিশ উত্থাপন করা হয়।

ভরা দুর্যোগ মৌসুমে ঈদ উদযাপিত হবে-এই বিবেচনায় আগামী ১৫ রমজান (১৭ এপ্রিল) থেকে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন শুরু করে ঈদের পরেও ১০ দিন পর্যন্ত অব্যাহত রাখার আহ্বান জানায় এই কমিটি।

নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সুপারিশগুলো হলো:

১. বিদ্যমান অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা রোধে নদীবন্দর ও নৌপথগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরু করা।

২. নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএতে অস্থায়ী ভিত্তিতে অন্তত চারজন করে নির্বাহী হাকিম পদায়ন দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি।

৩. পদ্মার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচলে বিশৃঙ্খল এড়াতে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন।

৪. শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়াসহ সব নৌপথে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ।

৫. উপকূলীয়, হাওর ও পাহাড়ি জনপদে অবৈধ ও ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চ চলাচল বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করা।

৬. সারা দেশে যাত্রী ও পণ্যবাহীসহ যেকোনো ধরনের অনিবন্ধিত ও ত্রুটিপূর্ণ নৌযানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রাখা।

৭. গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলোতে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের তৎপরতা জোরদার করা।

৮. সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে টেলিভিশন ও বেতারে প্রতি ঘণ্টায় আবহাওয়ার সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার।

৯. যাত্রীদের সতর্কতার জন্য টার্মিনাল ও গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলোতে বড় পর্দায় ও লাউড স্পিকারে আবহাওয়া বার্তা প্রচার।

১০. লঞ্চ ও স্টিমারসহ সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ।

১১. যাত্রীভর্তি নৌযান ছাড়ার আগে ভিডিওচিত্র ধারণ করে টার্মিনাল বা ঘাট কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষণ।

১২. সব টার্মিনালে নিরাপত্তা এবং শৌচাগার ও অজুখানা পর্যাপ্ত পানিসহ পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দূরপাল্লার সড়কে তীব্র যানজটসহ লাগামহীন দুর্ঘটনার কারণে উপকূলীয় জনপদের মানুষ নৌপথকেই প্রাধান্য দেবে। এতে নৌযানে যাত্রীর চাপ বাড়বে।

অন্যদিকে ভরা দুর্যোগ মৌসুমের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই জননিরাপত্তার স্বার্থে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ১২ দফা সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।




২ বছর পর শোলাকিয়ায় হবে ঈদের জামাত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা পরিস্থিতিতে গত দুই বছর কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত হয়নি। এবার শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আয়োজিত শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে শোলাকিয়ার জামাত আয়োজন করা হবে। সকাল ১০টায় জামাত শুরু হবে। এতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। জামাতে জায়নামাজ ও মাস্ক ছাড়া আর কিছু সঙ্গে না আনতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মুসল্লিদের জন্য দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার, শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের সাধারণ সম্পাদক মেহাম্মদ আলী সিদ্দিকীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।




ফিলিস্তিনি মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা চীনের

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টার্স (সিএফএম)-এর ৪৮তম অধিবেশন গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানে শুরু হয়েছে।

‘একতা, ন্যায় ও উন্নয়নের জন্য অংশীদারত্ব গড়ে তোলা’ প্রতিপাদ্যে ৫৭ সদস্য বিশিষ্ট সংস্থাটির দুই দিনব্যাপী বার্ষিক এই সম্মেলন বুধবার শেষ হবে। বৈঠকে মন্ত্রী পর্যায়ের প্রায় ৪৬টি মুসলিম দেশ অংশ নিয়েছে। বাকিদের প্রতিনিধিত্ব করছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন। এই প্রথম কোনো চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিলেন। মুসলিম বিশ্বের এই সম্মেলনে চীনের অংশ নেয়াটাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য অটল সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বলেন, জাতিসংঘে ইসলামী বিশ্বের সমর্থন চীন কখনো ভুলতে পারবে না।

চীন দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। আফগানিস্তানের বিষয়ে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, চীন শান্তি, উন্নয়ন ও পুনর্গঠনের জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতার জন্য যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ৫৪টিরও বেশি দেশ ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড ইনিশিয়েটিভের একটি অংশ, যা ২০১৩ সালে চীনা সরকার কর্তৃক গৃহীত একটি বৈশ্বিক অবকাঠামো উন্নয়ন কৌশল।

চীনা মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, আলোচনা এবং সংলাপের মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ এড়ানো উচিত। চীন মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। রাশিয়া-ইউক্রেন দ্ব›দ্ব সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, চীন দুদেশের মধ্যে আলোচনা সমর্থন করে। সূত্র: ইকনা




ইরান আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম এর নতুন রেকর্ড

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ইরান আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিযোগী হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম বিজয়ী হয়েছেন।

ইরানের রাজধানী তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) হলে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় সারাবিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করেন। তিনি রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকার শিক্ষার্থী।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) হলে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয় এবং শনিবার জমকালো আয়োজনের মাধ্যদিয়ে তা সমাপ্ত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মাদ মাহদী ইসমাইলী, শিক্ষা মন্ত্রী ইউসুফ নুরী ও ইসলামীক দাওয়া সেন্টারের প্রধান সৈয়্যদ মাহদী খামুশীসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ।

উল্লেখ্য, গত আগস্টের শেষদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পরীক্ষায় হাফেজ তাকরিম বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়।

চূড়ান্ত রাউন্ডে প্রথমধাপে বিভিন্ন গ্রুপ থেকে ১৯০ জন প্রতিযোগির মধ্য থেকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য মনোনীত হয়। চূড়ান্ত পর্বে পাঁচ দেশের সেরা প্রতিযোগির মাঝে বাংলাদেশের প্রতিযোগী সালেহ আহমাদ তাকরীম সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে। ইতোপূর্বে ২০২০ এর রমজানে বাংলাভিশন টেলিভিশন আয়োজিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়। হাফেজ তাকরীমের পিতা হাফেজ আব্দুর রহমান মাদ্রাসা শিক্ষক ও মাতা গৃহিণী।

তার এই অসামান্য কৃতিত্বের জন্য মারকাযু ফয়জিল কুরআনের সম্মানিত প্রিন্সিপাল, গুলশান সোসাইটি মসজিদের খতিব মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

তিনি বলেন, অত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা গত দু’বছর কুয়েত, মিশর ও আলজেরিয়া আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার বাছাইয়ে চূড়ান্ত প্রতিনিধিত মনোনীত হলেও করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, হিফজ বিভাগের পাশাপাশি কিতাব বিভাগেও ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বছর কিতাব বিভাগের নাহবেমির ও শরহে বেকায়া জামাতের ৩০ জন ছাত্র বেফাক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২১জন মুমতাজসহ ১৪জন মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছে।