গাজায় একদিনে ইসরায়েলের ৯ সেনা খতম

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একদিনে ৯ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (৮ জানুয়ারি) সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় প্রাণ হারান তারা।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। আইডিএফ দুই দফায় গাজায় ৯ সেনার মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। প্রথমে মঙ্গলবার সকালে তারা জানায়, চার সেনার মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে আরও পাঁচজনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়।

গতকাল ৯ জন নিহত হওয়ার মাধ্যমে গাজায় সবমিলিয়ে ১৮৭ দখলদার সেনার মৃত্যু হয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলের বুরেজিতে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে নিহত হয়েছেন তারা।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সর্বশেষ যেসব সেনা নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের। তারা গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে হামাসের সুড়ঙ্গগুলো নিয়ে কাজ করছিলেন।

গাজার উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর— ইসরায়েলি সেনারা এখন দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে। ফলে সেখানে তারা হতাহতের শিকার হচ্ছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, উত্তরাঞ্চলে হামাসকে পুরেপুরি নির্মূল করতে সমর্থ হয়েছে তারা। উত্তরাঞ্চলে হামাসের আট হাজার যোদ্ধাকে হত্যার কথাও বলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৬০ হাজার। যুদ্ধের শুরুর দিকে বোমা হামলার যে তীব্রতা ছিল— সেটি এখন অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, যুদ্ধের পরবর্তী ধাপে রয়েছে তারা। যেখানে তীব্র হামলার বদলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হচ্ছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল




গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেও ইসরাইল বলছে তারা সফল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে উত্তর গাজা থেকে ইসরাইলের সেনা প্রত্যাহার

ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা উত্তর গাজা থেকে তাদের সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। তারা দাবি করেছেন, এই সেনা প্রত্যাহার ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে পরাজিত করার প্রকল্পের সমাপ্তি।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা শহরের উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ আবাসিক এলাকা থেকে সরে যাওয়ার পর সেনা কর্মকর্তারা গাজা থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ৭ অক্টোবর আল-আকসা তুফান অভিযান শুরু হওয়ার পর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধকামী গোষ্ঠীগুলো ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় ইসরাইলি কর্মকর্তারা গাজায় তাদের হত্যা ও ধ্বংযজ্ঞকে বৈধতা দেয়ার জন্য পশ্চিম মিডিয়ার সহায়তায় গাজা ইস্যুতে ব্যাপক অপপ্রচার শুরু করে। ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তারা দাবি করেছে, তারা গাজায় প্রবেশ করে এই শহরটিকে উত্তর ও দক্ষিণ ভাগে ভাগ করেছে।  তবে তাদের এই দাবির সত্যতা নিয়ে শুরু থেকেই সন্দেহ ছিল। এখন ইহুদি বিশ্লেষকরা ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে তাদের সামরিক বাহিনীর অক্ষমতার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি হামাস সম্পর্কে বলেছেন, গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ শক্তিগুলোর দুর্বলতা বা পশ্চাদপসরণের কোনো লক্ষণ নেই এবং গাজায় শত শত কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ টানেল এখনো টিকে আছে।

সম্প্রতি গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায় যে, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ বাহিনী আমেরিকাসহ পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে এমনভাবে পরাজিত করেছে যে, গাজা থেকে তারা সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ইসরাইলি কর্মকর্তারা পশ্চিমা মিডিয়ার সহায়তায় ব্যাপক প্রচার চালিয়ে নিজেদেরকে অপরাজেয় শক্তি হিসাবে প্রচার চালিয়েছে। কিন্তু আল-আকসা তুফান অভিযান এবং এর আগে লেবানন ও ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ শক্তির  অভূতপূর্ব সাফল্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ইসরাইলের এসব দাবি মিথ্যা প্রমাণ করেছে। মোটকথা, ফিলিস্তিনিদের এসব প্রতিরোধ ইসরাইলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি ডেকে এনেছে  এবং তাদের দুর্বলতা বিশ্ববাসীর সামনে প্রকাশ হয়ে পড়েছে।

হামাস ছাড়াও ফিলিস্তিনের অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীর দৃঢ় অবস্থানের কারণেও ইসরাইল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। ইসরাইলের প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তারাও ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাফল্যের কথা স্বীকার করেছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সামরিক গোয়েন্দা গবেষণা বিভাগের সাবেক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়োসি কোপারওয়াসার স্বীকার করেছেন যে, এটি একটি কলঙ্কজনক ব্যর্থতা, ইসরায়েলের সব গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা, তারা হামাসকে এতটাই অবমূল্যায়ন করেছিল যে তারা এটি সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে মনোযোগ দেয়নি।

যাইহোক বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজা থেকে ইসরাইলি সৈন্যদের প্রত্যাহারের ঘটনাকে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ শক্তির অব্যাহত সাফল্যের প্রতীক হিসাবে দেখা উচিত।#

পার্সটুডে




ইসরায়েলি সন্ত্রাসী হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়াল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরপর ২৮ অক্টোবর শুরু হয় স্থলঅভিযান।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিগত তিন মাসের হামলায় ওই উপত্যকায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৩ হাজার ৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫৯ হাজার। নিহতদের মধ্যে ৯ হাজার ৬০০ শিশু।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ দখলদারি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অতর্কিত এক নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। তাতে এক হাজার ১৩৯ জন। ওই দিন ২৪০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি হিসেবে গাজা ভূখণ্ডে নিয়ে আসে। এরপর ওই দিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সূত্র: আল-জাজিরা




আরুরির হত্যাকাণ্ড হামাস যোদ্ধাদের আরো বেশি দৃঢ়সংকল্প করবে: আইআরজিসি

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের উপ প্রধানকে হত্যা করার ফলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার লক্ষ্যে এই সংগঠনের যোদ্ধাদের সংকল্প আরো দৃঢ় হবে। হামাস নেতা সালেহ আল-আরুরির হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি এ মন্তব্য করেছে।

ওই বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, আরুরি এবং দুই হামাস কমান্ডারসহ ছয় জনের হত্যাকাণ্ড ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে ইসরাইল বিরোধী মানসিকতা আরো শক্তিশালী করবে। বিশেষ করে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে ইসরাইলবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রাম আরো তীব্র হবে।

বিবৃতিতে আইআরজিসি জোর দিয়ে বলেছে যে, ৭ অক্টোবর হামাস এবং গাজা-ভিত্তিক অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনের বহুমুখী হামলায় ইসরাইলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তার পুষিয়ে নেয়ার জন্য অবৈধ তেল আবিব সরকার হত্যা এবং নৃশংসতার পথ বেছে নিয়েছে।  ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা তুফান অভিযানে ইসরাইলের যে ভরাডুবি হয়েছে তার গ্লানি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে তেল আবিব।

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মঙ্গলবার রাতে এক ড্রোন হামলায় হামাসের উপ প্রধান সালেহ আল-আরুরি শহীদ হন। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিনিসহ হামাসের সকল প্রবাসী নেতাকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছিল তেল আবিব। তবে বৈরুতে মঙ্গলবার রাতের হামলার দায়িত্ব স্বীকার বা অস্বীকার করেনি ইহুদিবাদী ইসরাইল। ওই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করলে তার অর্থ হবে লেবাননের সার্বভৌমত্ব তথা আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘনের দায়িত্ব স্বীকার করা।

তবে আইআরজিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরুরিকে হত্যা করে ইহুদিবাদী ইসরাইল লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।  আইআরজিসি আরো বলেছে,  আল-আকসা তুফান অভিযানে ইসরাইলের অপমানজনক পরাজয়ের ক্ষতি এ ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধী তৎপরতার মাধ্যমে পুষিয়ে নেয়া যাবে না।  ইহুদিবাদী ইসরাইল ও সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা প্রতিরোধ ফ্রন্টের হিসাবনিকাশ উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।#

পার্সটুডে




আমি মুসলিমদের পাহারাদার : মমতা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

এবার নিজেকে মুসলিমদের পাহারাদার বলে ঘোষণা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যের মুসলিমদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মনে রাখবেন, আমরা যতদিন আছি, আপনাদের ওপরে কেউ কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আমি আপনাদের পাহারাদার ছিলাম আছি ও থাকব।

বৃহস্পতিবার এক দলীয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মমতা বলেন, ‘দয়া করে ভোটটা সিপিএমকে, বিজেপিকে, বা কোনো সাম্প্রদায়িক বিভেদকারীদের কথা শুনে ভোট দেবেন না। এরা বিজেপির টাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কাটার জন্য। একদল বসন্তের কোকিল এসেছে। তারা এলাকায় এলাকায় ঘুরে ধর্মীয় সভা করার নাম করে তৃণমূলের ভোট কাটার চেষ্টা করছে।

মুসলিমদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনাদের আর্থিক নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তা সব কিন্তু আমরা করেছি। আর যদি আপনারা যারা বিজেপির টাকা নিয়ে ভাঁওতা দিচ্ছে তদের কথায় ভুলে যান তাহলে মনে রাখবেন ধর্ম আলাদা, রাজনীতি আলাদা।

মমতা বলেন ‘সব ধর্মকে আমরা ভালোবাসি। কিন্তু মনে রাখবেন, পশ্চিমবঙ্গটা কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে রাখতে হবে। আর আমরা যদি আসন কম পাই তাহলে কিন্তু বিজেপির অত্যাচার আরও বাড়বে।




গাজায় আবাসিক ভবনে হামলা: নিহত ২০

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

উত্তর গাজায় কুয়েত হাসপাতালের কাছে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ২০ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে রাফাহ আবু ইউসুফ আল নাজ্জার হাসপাতালের পরিচালক মারওয়ান আল-হামস উপহাস ও গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ হাজার ৩২০ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছে ৫৫ হাজার ৬০৩ জন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন ১১৩৯ জন ইসরায়েলি।

আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী মিশর গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে তিন ধাপের একটি পরিকল্পনা পেশ করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে
ফের মধ্যপ্রাচ্যে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার এই আগমনকে সামনে রেখে প্রস্তাব দিয়েছে মিশর।

এর আগে লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের বেশ কিছু জায়গায় রকেট ও ড্রোন হামলার খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব রকেট ও ড্রোন ভূ-পাতিত করা হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, উত্তর ইসরায়েলে লেবাননের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে রকেট ও ড্রোন ভূ-পাতিত করা হয়েছে।

সূত্র: আল-জাজিরা




গাজায় নিহত ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা বেড়ে ১৬৭

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের আরও তিন সৈন্য নিহত হয়েছে।

ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এই তথ্য জানিয়েছে।

এ নিয়ে ইসরায়েলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, গত ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করা স্থল অভিযানে নিহত সেনার সংখ্যা ১৬৭ জনে দাঁড়াল।
তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের দাবি, এই সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি।

আইডিএফ জানিয়েছে, সর্বশেষ নিহত তিন সেনা হল- আসাফ পিনহাস তুবুল (২২), নেরিয়া জিস্ক (২৪) এবং মেজর ডিভির ডেভিড ফিমা (৩২)।।

এছাড়াও আরও কয়েকজন অফিসার ও সৈন্য গুরুতরভাবে আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল




যুদ্ধবিরতির সংলাপে যোগ দিতে মিশর যাচ্ছেন হামাস প্রধান

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজায় দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি বিনিময় প্রসঙ্গে আলোচনা করতে মিশর যাচ্ছেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ।

স্থানীয় সময় আজ বুধবার তার কায়রোতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কায়রোতে হামাসের একটি উচ্চপর্যায়ে প্রতিনিধিদল এ সংলাপে অংশ নেবে এবং সেই দলটির নেতৃত্ব দেবেন ইসমাইল হানিয়া। এছাড়া মিশরের গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান আব্বাস কামেলের সঙ্গেও দেখা করবেন হানিয়া।
এবারের বৈঠকে অবরুদ্ধ গাজাবাসীকে মুক্ত করা, ইসরায়েলে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তি, গাজায় ইসরায়েলি হামলার অবসান এবং হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করবেন নেতারা। এছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তার বিষয়েও আলোচনা হবে ওই বৈঠকে।

এর আগে কাতারের মধ্যস্থতায় এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। সেই চুক্তির মাধ্যমে ৮০ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ২৪০ কারাবন্দি ফিলিস্তিনির মুক্তি নিশ্চিত করেছিল ওই স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলিদের মুক্ত করতে সোমবার ইউরোপে ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান নির্বাহী ডেভিড বার্নিয়া এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র পরিচালক বিল বার্নর্সের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আবদুলরহমান আল থানি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। ওই দিন থেকেই গাজায় প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৬৬৭ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। আর আহতের সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি। সূত্র: বিবিসি




বিশ্ব ইজতেমার প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হলো

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল রবিবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল আনুষ্ঠানিকভাবে এ কাজের উদ্বোধন করেন।

প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব ইজতেমা মাঠে প্যান্ডেলের খুঁটি পুঁতে এই কাজের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, ‘আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন করতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নির্ধারিত সময়ে সব কাজ শেষ করতে এখন থেকেই প্যান্ডেলের কাজ শুরু হলো।

মাওলানা যোবায়ের আহমেদ পন্থীদের আয়োজনে ২০২৪ সালের ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

মাওলানা সাদ পন্থীদের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।

এর আগে ১৫ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাওলানা যোবায়ের আহমেদ পন্থীদের প্রথম পর্ব ও মাওলানা সাদ পন্থীদের দ্বিতীয় পর্বের তারিখ জানানো হয়।




‘ভুল করে’ তিন জিম্মিকে হত্যা করলো ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গাজায় অভিযান চালানোর সময় ভুল করে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর হাতে জিম্মি থাকা ওই তিনজনকে দূর থেকে হুমকি ভেবে গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তারা।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিহতদের পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা বলেছে, এই ঘটনা ‘সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে’ তদন্ত করা হবে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, শুজাইয়া এলাকায় যুদ্ধের সময় সেনারা ভুল করে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। ফলস্বরূপ, সেনারা তাদের দিকে গুলি চালায় এবং তারা নিহত হন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘটনাটি অবিলম্বে পর্যালোচনা শুরু করে… এই ঘটনা থেকে তাৎক্ষণিক শিক্ষা নেওয়া হয়েছে, যা যুদ্ধক্ষেত্রের সব সেনার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জন্য গভীর অনুশোচনা প্রকাশ করছে সেনাবাহিনী।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ধারণা করা হচ্ছে, ওই তিনজন হয় তাদের অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এসেছিল অথবা তাদের ফেলে যাওয়া হয়েছিল।

সূত্র: আল-জাজিরা, এএফপি