প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে মার্কিন ফেডারেল জজ হলেন বাংলাদেশি নুসরাত

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালতের বিচারক হিসেবে প্রথমবারের মতো একজন মুসলিম-আমেরিকান নারীকে মনোনীত করেছেন।

গতকাল বুধবার বিভিন্ন বিচার বিভাগীয় মনোনীতদের তালিকা ঘোষণা করার সময় হোয়াইট হাউস এই খবর দিয়েছে।

মার্কিন সিনেটের অনুমোদন পেলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিক অধিকার আইনজীবী নুসরাত জাহান চৌধুরী নিউইয়র্ক রাজ্যের একটি ফেডারেল জেলা আদালতে দায়িত্ব পালন করবেন।

হোয়াইট হাউস বুধবার এক বিবৃতিতে নুসরাত চৌধুরীর কথা উল্লেখ করে বলেছে, ‘তিনি প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান, প্রথম মুসলিম-আমেরিকান নারী এবং দ্বিতীয় মুসলিম-আমেরিকান ব্যক্তি হিসেবে ফেডারেল আদালতের বিচারক হতে যাচ্ছেন’।

নুসরাত চৌধুরী বর্তমানে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) এর ইলিনয় অধ্যায়ের আইনী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। এটি মূলত একটি নাগরিক অধিকার আদায়ের সংগঠন। তিনি এর আগে নিউইয়র্কে এসিএলইউ-এর জাতিগত বিচার কর্মসূচির উপ-পরিচালক সহ বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।

তিনি ফেডারেল সরকারের নো ফ্লাই লিস্ট এবং নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের শহরের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নজরদারির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে মামলা সহ অসংখ্য নাগরিক অধিকারের মামলায় জড়িত ছিলেন।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ডেমোক্র্যাটিক সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার আনুষ্ঠানিকভাবে নুসরাত চৌধুরীকে নিউইয়র্কের ফেডারেল বেঞ্চে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলেন এবং তাকে ‘নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতার বিশেষজ্ঞ’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

মুসলিম-আমেরিকান ওকালতি গ্রুপ মুসলিম অ্যাডভোকেটস শুমার এবং তার সহযোগী নিউইয়র্কের সিনেটর কার্স্টেন গিলিব্র্যান্ডকে সেই বছরের শুরুতে নুসরাত চৌধুরীর মনোনয়নের জন্য চাপ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল।

বুধবার গ্রুপটি ‘এই ঐতিহাসিক মনোনয়ন দেওয়ার জন্য’ বাইডেন এবং শুমারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

মুসলিম অ্যাডভোকেটস বলছে, ‘নুসরাত চৌধুরী এমন এক সময়ে মুসলিম এবং অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নাগরিক অধিকার রক্ষার জন্য তার কর্মজীবন উৎসর্গ করেছেন যখন বিচার ব্যবস্থায় স্পষ্টতই বৈষম্য চলছিল। তিনি বিচার ব্যবস্থাকে ন্যায়বিচারের দিকে ঠেলে নিয়ে যাবেন’।

‘এবং এমন এক সময়ে নুসরাত চৌধুরী প্রথম মুসলিম নারী, প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান এবং দ্বিতীয় আমেরিকান মুসলিম হিসেবে একজন ফেডারেল বিচারক হিসেবে কাজ করবেন যখন ঘৃণা এবং বিভাজন আমাদের আলাদা করে দিচ্ছে’।

ইউএস ফেডারেল আদালত ফেডারেল অপরাধ এবং দেওয়ানী মামলার আইনি প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করে। বিচারিক পর্যালোচনা করার এবং মার্কিন সংবিধানের লঙ্ঘন করলে রাষ্ট্র ও ফেডারেল আইনগুলো রদ করারও ক্ষমতা রয়েছে তাদের।

সমস্ত মার্কিন ফেডারেল মামলা প্রথমে জেলা আদালতে শুরু হয় এবং মার্কিন আপিল আদালতে আপিল করতে পারে। আর দেশের শীর্ষ আদালত হিসেবে ফেডারেল বিচার ব্যবস্থায় আপিলের তৃতীয় এবং চূড়ান্ত স্তর হল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট।

মার্কিন রাষ্ট্রপতি সমস্ত ফেডারেল বিচারক নিয়োগ করেন। তবে তার মনোনয়নের পর সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে তাদের নিয়োগ নিশ্চিত হতে হয়।

বুধবার হোয়াইট হাউস বাইডেনের বিচার বিভাগীয় মনোনয়নের বৈচিত্র্য তুলে ধরেছে। ফেডারেল পাবলিক ডিফেন্ডার হিসেবে আরিয়ানা ফ্রিম্যান নামে একজনকে নিয়োগ দিয়েছেন বাইডেন। যিনি তৃতীয় সার্কিটের জন্য ফিলাডেলফিয়া-ভিত্তিক আপিল আদালতে প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী হিসাবে কাজ করবেন।

সিনেটে নিশ্চিত হলে নুসরাত চৌধুরী দ্বিতীয় মুসলিম মার্কিন ফেডারেল বিচারক হবেন। গত বছর নিউ জার্সির জেলা আদালতের প্রথম মুসলিম বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন জাহিদ এন কুরাইশি।




নিবন্ধনবিহীন আইপি টিভি বন্ধে জেলা প্রশাসকদের তথ্যমন্ত্রীর নির্দেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

যেসব ইউটিউব চ্যানেল ও নিবন্ধনবিহীন আইপি টিভিতে সংবাদ প্রচার করা হয় সেগুলো বন্ধে দেশের সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‌দেশের কোনও কোনও জায়গায় এখনও আইপি টিভির মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হয়। কিন্তু সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী তারা এইসব সংবাদ প্রচার করতে পারে না। ইউটিউবের মাধ্যমেও সংবাদের বুলেটিন প্রচার করা হয়। এটি আমাদের সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী করতে পারে না।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন এক অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, জেলা প্রশাসকদের আমরা বলেছি, অনেক আইপি টিভি স্থানীয়ভাবে অনেক পপুলার। মানুষ তাদের চেনে এবং নিয়মিত তাদের খবর প্রচার করছে। আমি বলছি, সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী তারা এটা পারে না এবং তারা যেন এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়।

জেলা প্রশাসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, গত বছর ক্লিন ফিড বাস্তবায়নের যেভাবে ডিসিরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে, এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি। গত বছরের পহেলা অক্টোবর থেকে ক্লিন ফিড বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এখনও তাদের এ ব্যাপারে নজর রাখতে বলেছি। যারা কেবল নেটওয়ার্ক প্রচার করেন তারা যেন স্থানীয়ভাবে টেলিভিশন চ্যানেল হিসেবে কোনও অনুষ্ঠান প্রচার না করে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে বলেছি জেলা প্রশাসকদের।




‘সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এলে চুপ থাকবে না বাংলাদেশ’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চায়, কারও সঙ্গে বৈরীতা চায় না। তবে আঘাত এলে বাংলাদেশ প্রতিঘাত করবে ​বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কারও সঙ্গে যুদ্ধ নয়। তবে সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এলে চুপ করে বসে থাকবে না বাংলাদেশ।

আজ বুধবার সকালে সোয়া ১০টার দিকে ডিএসসিএসসি কোর্স-২০২১-২২ সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি গণবভন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

সেনাবাহিনীর সদস্যের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশেকে ভালোবাসতে হবে, দেশে জন্য নিবেদিত হতে হবে। মাথা উঁচু করে চলতে হবে।

নিজেকে সেনাপরিবারের সদস্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমার দুই ভাই আর্মি অফিসার ছিল। ক্যাপ্টেন শেখ কামাল একজন উদ্যমী সৃজনশীল ও প্রাণবন্ত সেনা অফিসার ছিলেন। ঢাকা সেনানিবাসস্থ দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন শেখ জামাল।

বক্তব্যে সেনা নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের প্রতি তাগাদা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত আছে।




মালির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম আর নেই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মালির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বাউবাকার কেইতা মারা গেছেন। ৭৬ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। খবরটি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার ও সাবেক সহকর্মীরা।

দুই বছর আগে মাইনর স্ট্রোক করেন কেইতা। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানানো হয়নি। রবিবার রাজধানী বামাকাওয়ে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন কেইতা। এএফপি নিউজ এজেন্সিকে এমনটাই জানায় তার পরিবারের এক সদস্য।

সাত বছর মালির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সরকার বিরোধী বিক্ষোভের পর এক সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন কেইতা। অর্থনৈতিক সংকট ও বিতর্কিত নির্বাচন কেইতা শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকে উস্কে দিয়েছিল।

তিনি তিন দশকের বেশি সময় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৪ থেকে ২০০০ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন কেইতা।




আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির শপথ গ্রহণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের (এবিপিসি) নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ইটজি চাইনিজের পার্টি হলে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর ই ওয়াজিদ শিবলীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় নব নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কবি মিশুক সেলিম। এই সময় নির্বাচন কমিশনের অন্যতম সদস্য জাহিদ শরিফ উপস্থিত ছিলেন।

যারা শপথ নিয়েছেন- সভাপতি মীর ই ওয়াজিদ শিবলী, সিনিয়র সহ সভাপতি আকবর হায়দার কিরণ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, প্রচার সম্পাদক নিহার সিদ্দিকী, কার্যকরি সদস্য শহীদুল ইসলাম, মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, আমজাদ হোসেন। এ ছাড়াও ভার্চ্যুয়ালি শপথ গ্রহণ করেন সহ সভাপতি শিব্বির আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ সাজ্জাদ হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা চৌধুরী।

শপথ গ্রহণের পূর্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কবি মিশুক সেলিম বলেন, আমাদের উপর যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমরা নির্বাচন পরিচালনা করেছি। নির্বাচন পরিচালনায় যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

নির্বাচন কমিশনের সদস্য জাহিদ শরিফ বলেন, আমাদের ভুল বুঝার কোন কারণ নেই। কারণ আমরা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করেছি। ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্তি সৃষ্টিরও প্রয়োজন নেই। তিনি নব নির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আশা করি এই কমিটি সংগঠনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের স্বচ্ছ একটি কমিটি উপহার দিয়েছেন। তবে আমাদের এই সংগঠনের কিছু উচ্চাভিলাসী কর্মকর্তা নিজেদের কারণে সংগঠনে ভাঙ্গন সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। আমি ৫ বছর এই সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছি। এই ৫ বছরে আমাদের অনেক সফলতা এবং ব্যর্থতা রয়েছে। তারপরেও বলতে পারি একটি সুন্দর মনোভাব নিয়ে এবং সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বজায় রেখে এই সংগঠন পরিচালনা করেছি। আজকে আমার কাছে ভাল লাগছে একটি সুন্দর পরিবেশে দায়িত্ব হস্তান্তর করছি। তিনি নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সকলকে ধন্যবাদ জানান।

দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি মীর ই ওয়াজিদ শিবলী এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। নব নির্বাচিত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক তাদের দায়িত্ব দেয়ার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতে এই সংগঠনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবার আহ্বান জানান।

তারা বলেন, আমরা সৌহার্দ্য সম্প্রীতি বজায় রেখে সাংবাদিকদের পেশাদারিত্বে পাশাপাশি এই সংগঠনকে একটি পরিবারের সংগঠনে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সভায় কার্যকরি কমিটির সদস্য পদে একজনকে কো-অপারেটিভ করার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আগামী বর্ণাঢ্য আয়োজনে অভিষেক অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।




যে ফলাফলই হোক না কেন মেনে নেব: আইভী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোট হলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত। যে ফলাফল হোক না কেন মেনে নেব’।

ভোটে যেন কোনো ধরনের কারচুপি কিংবা সহিংসতা না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোববার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ শিশুবাগ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।

আইভী বলেন, অবশ্যই জয়ী হব। এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট চলছে। সবাইকে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার অনুরোধ রইল।

এর আগে বেলা পৌনে ১১ টার দিকে কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন নৌকার এই প্রার্থী। এ সময় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ভিড় ঠেলে তিনি কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

এদিকে ভোট শুরুর পরপরই কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। নির্বাচনে মেয়র পদে হাতি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে নগরীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।




ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলের মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

 ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও একজন।

শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভোমরাদহ চিলাপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত করিমুল ও তার ছেলে আরমান উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা। আহত হন পয়গাম আলী নামে একজন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) বিদ্যুৎ কুমার চৌধুরী জানায়, সন্ধ্যায় উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের করিমুল ও তার ছেলে আরমান মোটরসাইকেলে নিয়ে ঠাকুরগাঁও থেকে পীরগঞ্জে আসছিল। পীরগঞ্জ-ঠাকুরগাঁও পাকা সড়কের চিলাপাড়া এলাকায় বিপরীত দিক থেকে একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে করিমুল ঘটনাস্থলেই বাবা এবং ছেলে পীরগঞ্জ হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায়। পুলিশ পিকআপ ভ্যানটি আটক করেছে বলে জানান ওসি।




আগামীকাল নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

 ভোটের দিন নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাড়া কেউ চলাচল করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জায়েদুল আলম।

তিনি বলেছেন, আমাদের তরফ থেকে নির্বাচনী কোনো সহিংসতার আশঙ্কা নেই। নির্বাচনের দিন কোনো বহিরাগতকে নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে দেবো না। ভোটের দিন সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে চলাচল করতে দেওয়া হবে। এজন্য রোববার (১৫ জানুয়ারি) নগরবাসীকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে চলাচল করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রোববার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এসপি জায়েদুল আলম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী লিখিতভাবে অভিযোগ করেননি। মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা সেসব অভিযোগ পেয়েছি সেগুলো নিয়ে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত করে দেখছি। কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে বা কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশেই প্রার্থীরা প্রচারণা চালিয়েছেন।’




বিধিনিষেধ অমান্য করলে লকডাউন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ড্ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান ১১ দফা বিধিনিষেধ অমান্য করলে লকডাউন দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ইউনিট ও সিটি স্ক্যান মেশিন উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলছে। সরকারের দেওয়া ১১ দফা বিধিনিষেধ না মানলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। লকডাউন দিলে দেশের অনেক ক্ষতি হবে। আমরা সেদিকে যেতে চাই না, তাই সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। যদি বিধিনিষেধ অমান্য করা হয় তাহলে লকডাউন দেওয়া হবে।

এর আগে দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১০ জানুয়ারি ১১টি বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গত ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।




কাঁদায় ভাসছে দুর্গাপুর

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

শীতের এই শুষ্ক তাপমাত্রায় চারপাশের পরিবেশে প্রভাব পরলেও পুরোপুরি বিপরীত নেত্রকোনার দুর্গাপুরের চিত্র। কনকনে শীতের মাঝেও কাঁদায় ভাসছে শহরের প্রতিটি সড়ক। দেখে বোঝার উপায় নেই এখন শীত নাকি বর্ষাকাল?
অথচ পর্যটন সম্ভাবনাময় এই নগরীর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভৌগলিক নির্দেশক স্বীকৃতি বা জি-আই সনদ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিজয়পুরের সাদা মাটির পাহাড় সহ অসংখ্য পর্যটন স্পট। প্রতিদিনই এই স্পটগুলো দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। প্রকৃতির টানে পর্যটকরা আসলেও তাদের ভাগ্যে জোটে কাঁদা ভরা সড়ক।
২০১০ সাল থেকে শহরটি প্রাণ ও নানা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সোমেশ্বরী নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বালুখেকোদের তান্ডব। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র বালু উত্তোলন সহ অপরিকল্পিত পরিবহনে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে দুর্গাপুর। এই নিয়ে বেশ কয়েক বার পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সর্তক করলেও সুফল আনতে পারেননি তারা।
পৌর শহরের পথঘাট সহ বহুল কাক্সিক্ষত দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ মহাসড়ক নিয়ে প্রতিনিয়ত ভেজা বালু পরিবহনে কাঁদায় জরাজীর্ণ থাকে সারা বছরই। শহরের প্রেসক্লাব মোড়,তেরি বাজার, কালীবাড়ি মোড়, কলেজ রোড, হাসপাতাল মোড়, উপজেলা মোড়, কাচারি মোড় সহ অলিগলিতেও স্তূপ বেঁধে থাকে কাঁদা। একদিকে যেমন ব্যাহত হচ্ছে পথচারীদের যাতায়াত তেমনি লোকসানের মুখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
পৌর শহরের ভেতর দিয়ে বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ সহ কয়েক দফা দাবি নিয়ে গেল বছর স্থানীয়রা লাগাতার আন্দোলন করেও কোন সুফল আসেনি। স্থানীয়দের দুর্ভোগ কাটাতে স্থানীয় প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ বালুবাহী ট্রাকের জন্য বাইপাস সড়কের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি গেল এক বছরেও। উল্টো বেড়েছে দুর্ভোগ আরও কয়েকগুণ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর কোন সমীক্ষা যাচাই ছাড়াই জেলা প্রশাসকএর মাধ্যমে সোমেশ্বরী নদী থেকে পাঁচটি বালুমহাল ইজারা প্রদান করে আসছে। অথচ বালু ট্রাক চলাচলের জন্য অধ্যাবদি পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাই করতে পারেনি প্রশাসন। নামেমাত্র মাইকিং করে ভেজা বালু পরিবহন নিষেধাজ্ঞা দিলেও এর তোয়াক্কা করে না কেউ। যে যার মত করে যাচ্ছে বালু পরিবহন। আইন থাকলেও নেই এর প্রয়োগ! যার ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়রা আরো জানান, বালু ব্যবসায়ীরা তাদের আখের গোছাতে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে না। তাদের কাছে সবাই অসহায়। কারণ আইন প্রণেতারাই আইন অমান্য করে। তাহলে আইন কিভাবে সঠিক পথে চলবে। প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি দুর্গাপুর পৌর শহরের ভিতর দিয়ে চলাচল করছে। এমন একটা গাড়িও মিলবে না যারা ভেজা বালু পরিবহন করে না। দুর্গাপুরে শীত, গ্রীস্ম, বর্ষা সবসময়ই রাস্তাঘাটে দেখা মিলবে কাঁদা ও ময়লা পানি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও ঠিকমতো করতে পারেনা। সড়কের ময়লা পানি, কাঁদা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভিতরে ছিটে নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র সহ মালামাল। এই অভিশাপ থেকে আমরা কবে রক্ষা পাবো। এই দুর্গাপুর কে বাঁচাতে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নিরাপদ সড়ক চাই দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি নুরুল আলম জানান, পৌর শহরের ভেতর দিয়ে বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধের দাবিতে আমরা কয়েক বার মানববন্ধন কর্মসূচি সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কিন্তু এর কোন বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পারিনি। সড়ক দিয়ে চলাচল করা যায় না কাঁদার কারণে। এতদিন করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এখন সবগুলো প্রতিষ্ঠান খুলেছে। ফলে শিক্ষার্থীরাও বিদ্যালয়ে যেতে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যেতেও নষ্ট হচ্ছে স্কুল ড্রেস সহ পোশাক-আশাক। আসলে এই দুর্ভোগ আমাদের সবার। বাহির থেকে পর্যটকরা অনেক আশা নিয়ে আমাদের দুর্গাপুরে আসেন। অথচ সড়কের বেহাল দশার কারণে দুর্ভোগ ছাড়া কোন কিছুই দেখতে পারেন না তারা। আমরা এই দুর্ভোগের পরিত্রাণ চাই। আর কতদিন মানুষ এভাবে কষ্ট করবে?

ভেজা বালু পরিবহন বন্ধে প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব উল আহসান। তিনি বলেন, ভেজা বালু পরিবহন দুর্গাপুর বাসীর জন্য একটি দুর্ভোগের কারণ আমরা চেষ্টা করছি এই দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে। এর জন্য আমরা সবসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ছোট-বড় বিভিন্ন ট্রাককে জরিমানার আওতায় আনছি, ১৩জানুয়ারী বৃহস্পতিবারও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ভেজাবালু পরিবহনকারীকে জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে।বালু মহালের ঠিকাদারদের ভেজা বালু পরিবহন বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করি সকলের আন্তরিকতা থাকলে ভেজা বালু পরিবহন বন্ধ করা যাবে। মেয়রের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি কি করতে পারি পরামর্শদেন।