ইজতেমা ময়দান দখলের পর লাঠি হাতে ফিরেছে সাদপন্থীরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

হামলা চালিয়ে দখলের পর টঙ্গী ইজতেমা ময়দান ছেড়ে লাঠি হাতে ফিরে গেছে তাবলীগ জামাতের সাদপন্থীরা।

টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ ও আশপাশের তিন কিলোমিটারের মধ্যে সভা-সমাবেশের ওপর পুলিশের নিষেধাজ্ঞা জারির পর ময়দান ছাড়ে তারা।

টঙ্গীতে সরেজমিনে থেকে আবদুল্লাহ বিন মুস্তফার ধারণ করা ভিডিওতে এমন তথ্য জানা গেছে।

ফেসবুকে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, লাঠি হাতে ফিরে যাচ্ছে হামলা করে নিরীহদের খুন করা সাদপন্থীরা।

এর আগে বুধবার গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার কথা বলা হয়েছে।

এরপর থেকেই হামলা করে দখলকারী সাদপন্থীদের মাঠ ছেড়ে চলে যেতে দেখেন স্থানীয়রা।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। ময়দান ও আশপাশে কোনো জমায়েত করা যাবে না। কোনো ধরনের মাইক ব্যবহারও করা যাবে না।”

মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদের অনুসারী সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত তাবলীগ জামাতের মূলধারা আলেমওলামাদের পরিচালিত শূরায়ি নেজামের তিনজন মুসল্লি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে আজ বাদ মাগরিব টঙ্গী ময়দানে সাদপন্থীদের হামলায় নিহত কাকরাইল মারকাযে শূরায়ি নেজামের একজন শহীদের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে।




‘বদলে যাওয়া’ নতুন বাংলাদেশ, এক অন্য রকম বিজয় দিবস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ছত্রিশে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে এক নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। নতুন এই দেশে তাই এবারের বিজয় দিবসের আনন্দে নব নব মাত্রা যুক্ত হচ্ছে।

বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্য ও বীরত্বের অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন ১৬ ডিসেম্বর। আজ আমাদের বিজয় দিবস। এই দিনটি বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। আজ আমাদের বলার দিন, “বল বীর বল উন্নত মম শির।”

পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম সগৌরবে উচ্চারণের দিন আজ ১৬ ডিসেম্বর। আজ আমাদের বলার দিন-“পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল রক্ত লাল রক্ত লাল।”

বিজয় দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বিজয়ের দিনে তারা নতুন বাংলাদেশ গড়ার যাত্রাকে সমুন্নত রাখতে জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর বিজয় দিবসটা ঠিক কীভাবে উদ্‌যাপন করা হবে-তা নিয়ে বেশ কৌতূহল ছিল জনমনে। অবশ্য এবারের বিজয় দিবস সগৌরবে যথাযথ মর্যাদায় দেশে ও বিদেশে উদযাপন করছে বাংলাদেশিরা।

তবে পাল্টে গেছে বাস্তবতা। সরকার পাল্টেছে, শীর্ষ ব্যক্তিসহ সরকারি লোকগুলো বদলে গেছে। আর বদলে গেছে দেশের রাজনীতির হাওয়া; নতুন হাওয়ায় গণমানুষের প্রকৃত স্বাধীনতার বিজয় অর্জনের আকাঙ্ক্ষাকেই লক্ষ্য ধরা হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ফ্যাসিজমের অভিযোগ। তারা এখন বিচারের কাঠগড়ায়। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। সেদিন শেখ হাসিনা আশ্রয় নেন ভারতে। এরপর ৩ দিন সরকারবিহীন থাকে দেশ। ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশের ভার যায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ৪ মাস পর এলো মহান বিজয় দিবস। সব রাজনৈতিক দল, আপামর জনতা মিলে উদযাপন করছে এবারের বিজয় দিবস। শুধু নেই আওয়ামী লীগ। এবার আর বিজয় দিবসে বাজবে না আওয়ামী লীগের জয়গান। উল্টো মানবতাবিরোধী অপরাধে তাদের বিচারের দাবি দেশজুড়ে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।

যেভাবেই আর যে রূপান্তরের মধ্য দিয়েই সামনে যাক দেশ, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া বাংলাদেশ হোক উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ; এ-ই চাওয়া লাল-সবুজের পাতাকার জমিনে সর্বজনে।

বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন আজ। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের মাহেন্দ্রক্ষণ; চিরগৌরবে সমুজ্জ্বল মহান বিজয় দিবস। পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন ভূখণ্ড হিসেবে বাংলাদেশ নাম প্রতিষ্ঠার মাইলফলকের দিন। আজ বিজয়ের দিন, আজ বাঙালি জাতির গর্বের দিন।

১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাম সংযোজিত করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে।

পাকিস্তানের নৃশংস হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে যখন এ দেশের ঘুমন্ত নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর ট্যাংক-কামানের মতো ভয়ংকর মারণাস্ত্র নিয়ে গণহত্যার পৈশাচিকতায় মেতে উঠেছিল, তখন থেকেই শুরু হয়েছিল প্রতিরোধ সংগ্রাম। দীর্ঘ ৯ মাস হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মতো এক শক্তিমান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধ করেছিলেন দেশের সব ধর্ম, বর্ণ, ভাষার বীর সন্তানেরা।

৩০ লাখ মানুষের প্রাণ, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম আর বিপুল সম্পদহানির ভেতর দিয়ে মুক্তির সংগ্রামে সফল হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ছিনিয়ে এনেছিলেন চূড়ান্ত বিজয়। জাতিকে মুক্ত করেছিলেন পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে। ৫৩ বছর আগে ডিসেম্বরের এই দিনে কুয়াশাঢাকা বাংলার আকাশে উদিত হয়েছিল স্বাধীনতার সূর্য, উড্ডীন হয়েছিল লাল-সবুজ পতাকা।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেছেন, ‘‘১৬ ডিসেম্বর, আমাদের মহান বিজয় দিবস। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা অর্জন করেছি কাঙ্ক্ষিত বিজয়। আমরা পেয়েছি একটি সার্বভৌম দেশ, পবিত্ৰ সংবিধান, নিজস্ব মানচিত্র ও লাল-সবুজ পতাকা। পেয়েছি স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে নিজেদের অস্তিত্ব আর মর্যাদা। বিজয়ের আনন্দঘন এ দিনে আমি দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে জানাই বিজয়ের শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।’’

তিনি বলেন, ‘‘বিজয়ের এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি সব জাতীয় নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্ভ্রমহারা দুই লক্ষ মা-বোন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশি বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যারা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। আমি আরো স্মরণ করি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকে। জাতি তাদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।’’

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘এ বছর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন এ দেশের মানুষ দেখেছে তা অচিরেই বাস্তবায়িত হবে বলে আমি মনে করি। বীরের দেশ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা লাভ করবে-ইনশাআল্লাহ।’’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বাণীতে বলেন, ‘‘বিজয় দিবস কেবল আমাদের গর্বের উৎস নয়, এটি আমাদের শপথের দিনও। শপথ আমাদের একতাবদ্ধ থাকার, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করার।’’

তিনি বলেন, ‘‘আজকের এই দিনে, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি এবং তাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাই। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে সবাই মিলে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করছে।’’

‘‘দেশকে আরো উন্নত ও শক্তিশালী করতে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল ভোগ করতে আমরা বদ্ধপরিকর,’’ বলেও তিনি অঙ্গীকার করেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এবার প্রথমবারের মতো ঢাকাসহ সব জেলা-উপজেলায় বসছে ‘বিজয় মেলা’। রাজধানীতে ‘বিজয় মেলা’ হবে পুরান ঢাকার জনসন রোডের ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে। সেখানে এখন চলছে শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে ২২টি স্টল বসানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চারপাশের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে।

কর্মসূচি

যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয়ভাবে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠনিক সূচনা হবে।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

বিদেশি কূটনৈতিক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সব সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

মাসব্যাপী ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।

দেশের সব জেলা ও উপজেলায় দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

বঙ্গভবনে অপরাহ্নে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারগুলোকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ দিবসটি উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করছে।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হয়েছে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করার কথা।

চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) ও বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসির ঘাটে এবং চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখ হয়েছে।

দেশের সব শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে এবং সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ররাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।




ভারত সম্পর্ক চাইলে শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে: সারজিস আলম

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাইলে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী হবে সেটি তাদের কাজের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে ভারতকে খুনি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত দিতে হবে। এদেশের মানুষ তার বিচার করবে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, গুলি চালানো পুলিশ সদস্যদের শাস্তির বদলে বদলি করে নতুন পোস্টিংয়ের তদবির চলছে। মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সাথে বেঈমানি করলে কাউকেই ছাড়া দেওয়া হবে না। এমনকি গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেইমানি করলে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকেও ছাড় দেওয়া হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচারের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের প্রয়োজন না হলে জুলাই-আগস্টের শহীদদের লাশ কেন কবর থেকে তুলতে হবে? আর কোনো শহীদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না।

সারজিস আলম বলেন, শহীদদের হত্যা মামলাগুলোতে বিচারকার্য পর্যন্ত নিয়ে যেতে যারা অসহযোগিতা করবে তারাও হত্যাকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।

পরে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে রাজশাহী বিভাগের শহীদ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন। রাজশাহী বিভাগের ৬৩ শহীদ পরিবারের মধ্যে ৪৬ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে। প্রতিটি শহীদ পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়।




প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইইউ’র ২৭ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক আজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতদের এটাই হবে প্রথম সম্মিলিত সৌজন্য সাক্ষাৎ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন। রফিকুল আলম বলেন, সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশ ছাড়াও আরও একটি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইইউ’র সব সদস্যরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত একত্র হয়ে সরকারপ্রধানের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগটি এবারই প্রথম। এ উদ্যোগ বাংলাদেশ ও ইইউর সম্পর্কে আরও সুসংহত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

মুখপাত্র বলেন, আসন্ন বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউভুক্ত সদস্যরাষ্ট্রগুলো এবং ইইউর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক পর্যালোচনা, সহযোগিতার নতুন ও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র, এলডিসি উত্তরণ–পরবর্তী জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধাদি, জলবায়ু পরিবর্তন সৃষ্ট অস্তিত্ব সংকট মোকাবিলা, দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন এবং সর্বোপরি একটি টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।




দুর্গাপুর মুক্ত দিবস পালিত

দুর্গাপুর(নেত্রকোণা)প্রতিনিধি :

৬ ডিসেম্বর দুর্গাপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সনের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেদের এক রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলাকে মুক্ত করেছিলেন। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, সর্বস্তরের অংশগ্রহনে নানা কর্মসুচীর মাধ্যমে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে সকাল ১১টায় উপজেলা চত্বরে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে পায়রা উড়িয়ে এক বর্নাঢ্য র‌্যালি পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর এর সভাপতিত্বে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন‘র সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা মোছাম্মৎ জেবুনেচ্ছা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সোহরাব হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ¯িœগ্নেন্দু বাউল, ওসি মো. বাচ্চু মিয়া, আয়কর উপদেষ্ট অজয় সাহা, উপজেলা বিএনপি‘র সদস্য সচিব আব্দুল আওয়াল, পৌর বিএনপি‘র সদস্য সচিব হারেজ গনি, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জামাল তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বিকাশ সরকার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীগণ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, পাকিস্তানি মেজর সুলতানের নেতৃত্বে বিরিশিরিতে একটি শক্তিশালী পাকসেনা ঘাঁটি গড়ে উঠেছিল। এখান থেকেই বাংলার কুখ্যাত দালাল, আলবদর, রাজাকারদের সহযোগিতায় নিয়ন্ত্রন করতো দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার সীমান্ত এলাকা গুলো। সেইসাথে বুদ্ধিজীবি মানুষদের ধরে এনে রাতের আঁধারে বিরিশিরি‘র বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হতো। সর্বপ্রথম যাদের হত্যা করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে নেত্রকোনা সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক শহীদ আরজ আলী, এমকেসিএম পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আওয়াল, দুর্গাপুরের তদানিন্তন এমএনএ গৌরাঙ্গ চন্দ্র সাহা, কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলী হোসেন, শিক্ষক আশুতোষ সান্যাল, কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শিক্ষক জালাল উদ্দিন তালুকদার, সমাজসেবক ধীরেন্দ্র নাথ পত্রনবীশ, সুসং ডিগ্রি কলেজের ছাত্র দিলদার হোসেন, বিল্লাল হোসেন, কৃষক ইমাম হোসেন ও ছোট্রনী সহ নাম অজানা অনেককেই। এছাড়া ৫ মে গাঁওকান্দিয়া গ্রামে ১৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে এক সাথে গুলি করে হত্যা করেছিলো পাকসেনারা। নতুন প্রজন্মের কাছে এসকল তথ্যগুলো জানাতে সকলকে অনুরোদ জানানো হয়।




বাংলাদেশে ‘ইসকনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

উগ্র সন্ত্রাসী ও জঙ্গী সংগঠন ইসকন কর্তৃক মসজিদ ও আদালতের স্থাপনা ভাঙচুর ও ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং আদালতপ্রাঙ্গণে শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার বিচার ও দেশবিরোধী উগ্র সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ রংপুর জেলা শাখা।

রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ থেকে শুরু হয়ে পায়রাচত্বর, জাহাজ কোম্পানী মোড় ও প্রেসক্লাব ঘুরে কাচারি বাজারস্থ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত মিছিল করে সংগঠনটি। সেখানে ‘উগ্রবাদী জঙ্গী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি’ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে আবার একই জায়গায় এসে মিছিলটি শেষ হয়।

এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মুহাম্মাদ ইউনুছ ও রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক হাফেজ ইদ্রীস আলীসহ জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের পরাজিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ভারতের মাধ্যমে হিন্দুদের একটি অংশকে ব্যবহার করে এদেশে শান্তি বিনষ্টের ঘৃণ্য অপচেষ্টা করছে। ভারতের প্রত্যক্ষ মদদেই ইসকন বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।

তারা বলেন, বাংলাদেশে ইসকনের ইতিহাসের পুরোটাই মারামারি, হানাহানি এবং উগ্রতায় ভরপুর। বিভিন্নভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় ভূমি দখল, মন্দির দখল ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনা অহরহই ঘটিয়ে চলেছে তারা।

সমাবেশে বলা হয়, দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের পাশাপাশি সরকার ও বিভিন্ন সংস্থাগুলো যখন জানাচ্ছে যে, বর্তমানে হিন্দুরা পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি নিরাপত্তায় রয়েছে, তখন ভারতের ইশারায় ইসকন মিথ্যা তথ্য ও গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্র করছে।

বক্তারা বলেন, আমরা মনে করি, ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে ইসকনের মাধ্যমে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে চট্টগ্রামের আদালত পাড়ায় মুসলমানদের পবিত্রতম স্থান মসজিদ ভাঙচুর করে সংখ্যাগরিষ্ট নাগরিকদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। পূর্বপরিকল্পিত ছক অনুযায়ীই আদালতপ্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও জবাই করে শহীদ করেছে ইসকন সদস্যরা।

দাবি জানিয়ে তারা বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জোরালো দাবি, এমন ভয়াবহ অবস্থায় অনতিবিলম্বে ইসকনের সকল কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং মসজিদ ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

সমাবেশে হেফাজত নেতারা বলেন, বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসনকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। সরকার যদি ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে গরিমসি করে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আগামীতে ধারাবাহিক আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন হেফাজত নেতৃবৃন্দ।




দুর্গাপুরে সিরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বিশ্বমানবতার মুক্তিরদূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে, মানব জীবনে তার বাস্তব প্রতিফলন করার লক্ষ্যে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সিরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুর দ্বীনি আলিম মাদরাসা ময়দানে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দুর্গাপুর সিরাত মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে ইসলামী আরবী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে, প্রভাষক সফিকুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন, বিশিষ্ট ইসলামী শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. নুরুল্লাহ (আল মাদানী)। বিশেষ আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন, ইসলামী শিক্ষাবিদ মুফতি মো. তাহের কাসেমী, অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, দুর্গাপুর দ্বীনি আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহমান, কৈলাটি ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ শিহাব উদ্দীন, তেরী বাজার বড় মসজিদ দারুল উলুম মাদরাসার মুহ্তামিম মুফতি হুমায়ুন কবীর, চন্ডিগড় বাজার মাদরাসার মুহ্তামিম হাফেজ মাওলানা মো. ইব্রাহীম প্রমুখ।

এছাড়া অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট আব্দুস সালাম, বিএনপি নেতা এডভোকেট এম এ জিন্নাহ, এডভোকেট ড. আব্দুর রাশিদ, এম রফিকুল ইসলাম সহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত অধ্যক্ষ, প্রভাষক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগণ ।

মাহফিলে বক্তারা বলেন, মহান¬ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে এই পৃথিবীতে রহমত স্বরুপ প্রেরণ করেছেন। শান্তি, ভালোবাসা ও সম্মানের ধর্ম ইসলাম নিয়ে তিনি এই পৃথিবীতে আর্বিভূত হয়েছিলেন। তার বরকতে আমরা পৃথিবীতে সুন্দরভাবে বেঁচে আছি। আল কোরআনের শাসন ব্যবস্থা ছাড়া মানুষের মুক্তির কোন বিকল্প পথ নেই। বিশ্ব মানবতার কল্যাণ চাইলে ইসলামী আদর্শ ও শাসন ব্যবস্থা ছাড়া কোন উপায় নেই। সকলকে বিশ^নবীর জীবন আদর্শের আলোকে জীবন গড়তে আহবান জানানো হয়।




প্রায় কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে (টিম এইচ সি এস বি)।

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রায় এক কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে জাতীয় সেবা সংস্থা হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (টিম এইচ সি এস বি)। বাংলাদেশ থেকে এবারই প্রথম কোনো জাতীয় সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ালো।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মিশর পৌঁছেছে সংস্থাটির ৬ সদস্যের একটি টিম। এই টিমে আছেন সংস্থাটির পরিচালক নওমুসলিম মুহাম্মদ রাজ, নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ডক্টর মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইবরাহিম খলিল, মুফতি তাওহিদুল ইসলাম, এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-পরিচালক মাওলানা ইমরান নাফিস।

৬ দিনের এই সফরে মিশরের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া ফিলিস্তিনিদের সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করে গাজা ও খান ইউনিসেও সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন তারা।

সংস্থাটির পরিচালক নওমুসলিম মুহাম্মদ রাজ বলেন, ফিলিস্তিনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বায়ান্ন হাজার মানুষ মিশরে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা এর আগেও সীমিত পরিসরে তাদের জরুরি সহায়তা দিয়েছি।

নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই সহায়তা নতুন নয়। ইতোমধ্যেই আমরা মিশরের ‘রেট ক্রিসেন্ট হাসপাতাল’ এবং ‘মাহাদ নাসির হাসপাতালে’ পঞ্চাশ জন রোগীকে চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছি। এবার আরেকটু বিস্তৃত পরিসরে সহায়তা দিতে মিশর সফরে এসেছি। এই সফরে আমরা নগদ অর্থ বিতরণের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের দুইশত পরিবারকে সাড়ে ঊনিশ লাখ টাকার সহায়তা প্রদান করছি। পাশাপাশি আহত ও রোগীদের পাঁচ লাখ টাকার চিকিৎসা সহায়তা, আল আজহারের ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের তিন লাখ টাকা, দারিদ্র বিমোচনে আড়াই লাখ টাকার সহায়তা দিচ্ছি। এছাড়াও খান ইউনিসে বিশ লাখ টাকার এবং মিশরের শরণার্থী শিবিরে পাঁচ লাখ টাকার খাবার ও পানি বিতরণ করছি এবং পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি আলহামদুলিল্লাহ।

উল্লেখ্য,হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ ( টিম এইচ সি এস বি ) সরকারি নিবন্ধনভূক্ত একটি অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক সেবা সংস্থা। দেশের শীর্ষ আলেমগণের তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হয়।




তিন দিন ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলছে শ্রমিক অবরোধ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তিন ধরে চলছে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে পোশাকশ্রমিক বিক্ষোভ ও অবরোধ। বকেয়া বেতনের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করছেন গাজীপুরের টিএনজেড অ্যাপারেলস কারখানার শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পরও বেতন না পাওয়ায় মহাসড়কটি অবরোধ করে রেখেছেন তারা। সোমবার সকাল আটটার দিকে নগরের মালেকের বাড়ি এলাকায় শ্রমিকদের এ কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে তারা বিরতিহীনভাবে এ অবরোধ পালন শুরু করেন।

শিল্প পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের মোগরখাল এলাকায় টিএনজেড অ্যাপারেলসের ছয়টি কারখানার প্রায় তিন হাজার শ্রমিক গত তিন মাস বেতন পাচ্ছেন না। কয়েক দফা আন্দোলনের সময় শিল্প পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছিলেন। শ্রমিকরা তা মেনে নিয়ে আবার কাজে ফিরে যান। কিন্তু কয়েক দফায় বেতন পরিশোধের দিন নির্ধারিত হলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ তা করেনি।

এতে শ্রমিকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত শনিবার সকাল আটটা থেকে কারখানার সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। ওই দিন সকাল পৌনে নয়টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এরপর থেকেই মহাসড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যানবাহন চলাচল করতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা। অনেকে ট্রেনে বা বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে গন্তব্যে যাতায়াতের চেষ্টা করছেন।

সোমবার শ্রমিকদের কেউ রাস্তায় বসে আছেন, কেউ কেউ স্লোগান দিচ্ছেন। তাদের অনেকের হাতেই লাঠিসোঁটা। কোনো যানবাহন যাওয়ার চেষ্টা করলেই সেগুলো আটকানোর চেষ্টা করছেন। রাতে যেসব শ্রমিক সড়কে অবস্থান করেছেন, তাদের অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন, আবার নতুন করে মহাসড়কে এসে অবস্থান নিচ্ছেন শ্রমিকদের আরেকটি অংশ। এতে মহাসড়কটির উভয় পাশে সোমবারও দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

হাবিবুর রহমান নামে এক শ্রমিক গণমাধ্যমকে বলেন, দুই মাস ধরে তারা ঘরভাড়া দিতে পারছে না। দোকানের বাকিও শোধ করতে পারছে না। অথচ বেতন দেওয়া হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হয়েছে।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, মালিকপক্ষকে একাধিকবার সময় দেওয়া হয়েছিল, তারা বারবার বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে শ্রমিকরা এখন আর আমাদের কথা বিশ্বাস করছে না। আমরা তাদের একাধিকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওরা নাছোড়বান্দা, মহাসড়ক ছাড়বে না।




জানুয়ারি থেকে স্মার্ট কার্ডেই মিলবে টিসিবির পণ্য

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

২০২৫ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আঞ্চলিক কার্যালয়ে রমজান উপলক্ষে আগাম প্রস্তুতিবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবীর বলেন, রমজান উপলক্ষে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, সেসবেরও প্রস্তুতি নেওয়া শেষ। রমজানে পণ্যের কোনো সংকট হবে না।

তিনি বলেন, তেল, ডাল, চিনির পাশাপাশি খেজুর ও ছোলা ঢাকা ও অন্য সিটি করপোরেশন এলাকায় দেওয়া হবে। ছোলা ও খেজুরের জন্য এরইমধ্যে চুক্তি হয়ে গেছে। জানুয়ারির ভেতর পণ্য টিসিবির গুদামে চলে আসবে।

হুমায়ুন কবীর বলেন, পণ্য স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে বিঘ্ন হচ্ছে না। তবে মনিটরিংটা ঠিকমতো হচ্ছে না। ভোক্তার কাছে সঠিকভাবে যেতে যে সহযোগিতা দরকার, সেটাতে কমতি রয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সভার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, একটি পরিবার থেকে যেন এক ব্যক্তির বেশি না পায়। এজন্য স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করা হচ্ছে। ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন ডিলার নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ভবিষ্যতে ডিলারের প্রয়োজন হলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।