সমাজ ও রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ইসলামের বিকল্প নেই: চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, মুসলিম উম্মাহ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ঢাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের নামাজের জায়গা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। ইসলামী শিক্ষাকে ঐচ্ছিক করে দিয়ে ইসলামী শিক্ষা ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। অপরদিকে ডারউইনের মতবাদ শিক্ষা সূচিতে পাঠ্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করে জাতিকে নাস্তিক বানানোর চক্রান্ত চলছে।

মঙ্গলবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখা আয়োজিত ওলামা ও সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, ওলামায়ে কেরাম জাতির শ্রেষ্ঠ ও জাগ্রত বিবেক, নায়েবে নবী। সমাজ ও রাষ্ট্রে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ দীনে হক তথা কুরআন সুন্নাহর আইন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আলেমদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র্রের অবস্থা অত্যন্ত করুন। সুশাসনের অভাবে মানুষ অসহায় জীবন যাপন করে। অধিকার বঞ্চিত মানুষ অধিকার ফিরে পেতে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করছে। অত্যাচারিত অসহায় ও মজলুম মানুষের আহাজারিতে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছে। এ প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন করে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ওলামায়ে কেরামগণকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। সমাজের নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব আলেমদের।

‘আজ যেখানে আলেম সমাজ তথা আল্লাহভীরু জনপ্রতিনিধি নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেখানকার মানুষ অনেক ভাল আছেন। আজ যদি রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে আলেম সমাজের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়, তখন সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। ওলামায়ে কেরামগণ পিছিয়ে থাকায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুর্নীতিবাজ নেতানেত্রীগণ। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। এ উপলব্ধি যত তাড়াতাড়ি আলেমগণ করতে পারবেন, ততই সমাজ, রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণ হবে। জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আলেম সমাজের অবদান রাখতে হবে।’




সাজেদা চৌধুরীর আসন শূন্য ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সদ্য প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নির্বাচনি আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সাজেদা চৌধুরীর নির্বাচনি এলাকা ফরিদপুর-২ আসনকে শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১১ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের-২১২ ও ফরিদপুর-২ আসনটি ওই দিন (১১ সেপ্টেম্বর) শূন্য হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা।




২ লাখ ইভিএম কিনতে প্রস্তাব উঠছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমানে ইসির হাতে দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে। যার ফলে আরও প্রায় ২ লাখ ইভিএম প্রয়োজন।

আজ মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কমিশনের বৈঠকে এ- সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাবের খসড়া তোলা হবে। কমিশনের মতামত নিয়ে প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করার পর তা অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

জানা গেছে, ইভিএমের নতুন প্রকল্প প্রস্তাব বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে রাখা হয়েছে। আলোচনায় প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে প্রকল্প অনুমোদনের জন্য।

জাতীয় নির্বাচন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। যার ফলে প্রকল্প দ্রুত পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আর থাকবে না নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটির হাতে।




সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিলে সাজার কথা ভাবছে ইসি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নির্বাচনের খবর সংগ্রহে সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কারাদণ্ড ও জরিমানার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।

এরই মধ্যে সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডসহ বেশ কিছু সুপারিশ পাঠানো হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।

মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘আমরা কিছু কিছু আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছি। যেহেতু আপনারা (সাংবাদিক) আমাদের চোখ, কান এবং আমাদের বদলে আপনারা হাজির থেকে সঠিকভাবে নির্বাচন কাভার করেন। আপনাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা আইনে নতুন একটা বিধান সংযোজন করেছি। সেটা হচ্ছে—কেউ যদি আপনাদের বাধাগ্রস্ত করে, যদি আপনাদের অ্যাসল্ট করে, যদি আপনাদের ইকুইপমেন্ট এবং সঙ্গী-সাথী যারা আছেন, তাদের কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন বছর এবং ন্যূনতম এক বছর জেলের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া জরিমানার বিধান রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ক্যামেরাই আমাদের চোখ। আমাদের চোখে যেন প্রত্যেকটা অনিয়ম ধরা পড়ে। এজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। আমার (ইসির) অন্যায়গুলো আপনার চোখে ধরা পড়লে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অনিয়ম, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। এজন্য এই নির্বাচনে ২৬৫টি ভোটকক্ষে ৩৬৫টি সিসি ক্যামেরা রেখেছি। কন্ট্রোল রুম আমাদের ইসিতেই আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেখানে যেটা অনিয়ম ধরা পড়েছে, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। জোরপূর্বক একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, সেটা আমরা চিহ্নিত করেছি। মাঠ প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতিা নিশ্চিত হওয়া ছাড়াও যারা সন্ত্রাসী, জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে, তারা ভয়ের মধ্যে থাকে। ১১টা বুথে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা অনিয়মে জড়িতদের সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় এনেছি।’

আহসান হাবিব খান আরও বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনেও সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেওয়ার আন্তরিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা থাকবে। এটার সঙ্গে আর্থিক ও টেকনিক্যাল সাপোর্টের বিষয় আছে। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটও নাই। তবে আমাদের ইচ্ছা আছে।’

এ নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘বাজেট বরাদ্দের ঘাটতি থাকলে ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা দেব। ইচ্ছা আছে পুরো নির্বাচনটাই সিসি ক্যামেরার মধ্যে আনা। সংসদের আগে যত নির্বাচন হবে সবগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করবো এবং সিসি ক্যামেরা থাকবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজনীতা বাড়ছে। এটা লাক্সারি নয়, এটা এখন প্রয়োজন।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবিব খান বলেন, ‘আস্থা বিশ্বাস হচ্ছে নিজস্ব ব্যাপার। আমার ওপর আমার বিশ্বাস আছে। কিন্তু, আপনার কি আছে? আস্থা ফেরানোর চেষ্টা শেষ পর্যন্ত আমরা করব। আমাদের নিজের ওপর শতভাগ আত্মবিশ্বাস আছে।’




দুর্গাপুরে বিষপানে গৃহবধূর মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিষপানে জোসনা আক্তার (৩৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে বিষপানের এ ঘটনা ঘটে। পরে তাৎক্ষণিক তাকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে ভর্তি করেন চিকিৎসক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে মারা যান জোসনা আক্তার নামের ওই গৃহবধূ। নিহত গৃহবধূ দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের গোলাপ জহর’ এর স্ত্রী।

জানা গেছে, স্বামীর সাথে ঝগড়া করে শনিবার সকালে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন ওই জোসনা আক্তার। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলেও পরদিন ভোর ৫টার দিকে মারা যান গৃহবধূ জোসনা আক্তার।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি মো. শিবিরূল ইসলাম জানান, হাসপাতাল থেকে মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন সোমবার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করবেন। এদিন লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের নানা প্রশ্নের জবাবও দেবেন।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্য গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তারা জানিয়েছেন, সোমবার ভারত সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ৫ সেপ্টেম্বর চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে হায়দারাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পায়।




দুর্গাপুরে সিপিবি‘র প্রতিবাদ সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সিপিবি‘র সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মোরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুপন কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সিপিবি সভাপতি আলকাছ উদ্দিন মীরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি’র কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ডা. দিবালোক সিংহ। সিপিবি নেতা নজরুল ইসলাম, মোরশেদ আলম, রহম আলী, শামছুল আলম খান প্রমূখ।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, কলমাকান্দায় সিপিবি’র শান্তিপুর্ন সমাবেশে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার মধ্য দিয়ে সরকারের প্রকৃত স্বৈরাচারি রুপ প্রকাশ পেয়েছে। বর্তমান সরকার রাজনৈতিক ভাবে এতোটাই দেউলিয়া যে, বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ মিছিল সমাবেশ দেখেও আতংকিত হয়ে উঠে। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে দমন-পীড়ন করেই তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। অতীতের মতো সরকার, গণমানুষের দাবি-দাওয়ার আন্দোলন দমনে ভীতি ছড়িয়ে গদি রক্ষায় দমন-পীড়ন ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। অবিলম্বে হামলার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানানো হয়।




জনগণের বেঁচে থাকার জন্য যা প্রয়োজন সবকিছুই দিয়েছে ভারত: কাদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশের বর্তমান বাস্তবতায় জনগণের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই দিয়েছে ভারত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।

বিএনপি নেতারা যদি হাতের তালু দিয়ে চোখ ঢেকে রাখেন তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কোনো অর্জন দেখতে না পাওয়ারই কথা বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হলেও বিএনপির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, কারণ তারা চায় প্রতিবেশীর সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশ কী পেয়েছে, তা এক কথায় তিনি বলেন, বৈশ্বিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান বাস্তবতায় জনগণের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই দিয়েছে ভারত।

প্রকাশ্যে বৈরিতা দেখিয়ে আবার দূতাবাসের দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকাই বিএনপির রাজনীতি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা দুই দেশের মধ্যে গড়ে তুলেছে সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল, ছড়িয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প। বিএনপি তাদের শাসনামলে দ্বিপক্ষীয় কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে রচনা করেছেন উভয় দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের সফরও পারস্পরিক বন্ধুত্ব এবং উন্নয়নের পথরেখায় সম্ভাবনার নতুন আলো ছড়িয়েছে।




ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশের অবকাঠামো, জ্বালানি ও পরিবহন খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নয়াদিল্লির হোটেল আইটিসি মৌরিয়াতে ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা, আকর্ষণীয় প্রণোদনা নীতি এবং ধারাবাহিক সংস্কারসহ এই অঞ্চলে বাংলাদেশের রয়েছে সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি।

বিনিয়োগ এবং দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উৎসাহিত মাধ্যমে শিল্পায়নের প্রসার এবং বহুমুখীকরণ, কর্মসংস্থান, উৎপাদন এবং রপ্তানি বাড়াতে সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৮টি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার এবং এর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সস্তা খরচ এবং বিপুল ভোক্তার সুবিধা নেওয়ার সময় এসেছে।

সফরের কর্মসূচি হিসেবে বুধবার বিকেলে মুজিব স্কলারশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদ এবং যুদ্ধাহত ভারতীয় সৈনিকদের পরিবারের সদস্যদেরকে এ স্কলারশিপ দেয়া হবে।

চারদিনের সফরে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন দুপুরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে নয়াদিল্লি পৌঁছান তিনি। সেখানে তাকে লালগালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম।

সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। সফর শেষে আগামীকাল দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।




আমরা যা চেয়েছি ভারত সব দিয়েছে: কাদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আমরা যা চেয়েছি ভারত সব দিয়েছে বলে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’-এ একথা বলেন তিনি।

সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপের উপস্থাপনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যা যা চেয়েছি ভারত সব দিয়েছে। শেখ হাসিনা তিস্তার কথা বলতে ভুলে যাননি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কিছুটা আপত্তি আছে। আশা করি, সেটিও হয়ে যাবে। বিএনপির তো না পাওয়ার হতাশা। আমাদের না পাওয়ার হতাশা নেই। আপনারা ভারতের সঙ্গে দেওয়াল তুলেছেন, আমরা সেই দেওয়াল ভেঙে দিয়েছি। কোন দেশের ছিটমহল এতো শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি। আপনারা তো ভুলেই যান আসল কথা বলতে। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। বন্ধুত্ব থাকলে যে সমস্যা সেগুলো সমাধান হবে।

দলের দায়িত্বে থাকার একটা বয়সের সীমারেখা থাকা উচিত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রীর কোন বয়স নেই। মুহিত সাহেব অর্থমন্ত্রী ছিলেন ৮০ বছর পার হওয়া পর্যন্ত। রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে তিনি মন্ত্রী ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতির কোন সময়সীমা থাকা উচিত না, যতক্ষণ তিনি সক্ষম থাকবেন। সে যদি মনে করে আমি অবসরে যেতে চাই সে ছেড়ে দিতে পারে। তার অভিমত প্রকাশের পর দল যদি মনে করে তাকে অবসর দিতে পারে। তাকে সম্মানজনক উপদেষ্টা পদ দেওয়া যেতে পারে। শেষ বয়সে যদি রাজনীতি করতে না পারেন তাহলে তো মৃত্যুর আগেই মরে গেল। সাধারণ সম্পাদক বিষয়ে নেত্রীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন, তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিই কার্যকর হবে।