দুর্গাপুরে বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির ৩ নেতা গ্রেপ্তার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির ৩ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের সাব রেজিস্টার কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ইমাম হাসান আবুচাঁন,দুর্গাপুর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হারেজ গণি,বাকলজোড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহŸায়ক সাদেকুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়,২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে দুর্গাপুর থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক মামলায় আজ বুধবার দুপুরে ৩ জনকে আটক করা হয়। পরে বিকেলে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপির নেতাদের দাবী,তাদের এক দফা দাবির আন্দোলন দমনের উদ্দেশে বিএনপির নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক বজলুর রহমান পাঠান বলেন,দেশে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে কোর্ট আঙ্গিয়াও বিএনপির লোকজন নিরাপদ না। আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে,আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নেতারা কোর্টে গিয়েছিল হাজিরা দেওয়া জন্য। পরে হাজিরা দিয়ে বের হলে পথে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং তাদের মুক্তি দাবী করছি।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরুল আলম জানান,বিস্ফোরক মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতে পাঠানো হয়।




বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ নিবিড় ও অব্যাহতভাবে যুক্তরাষ্ট্র মনিটরিং করছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সহকারী প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেল। এসব ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (৬ নভেম্বর) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্পষ্টভাবে তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র।’

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ থেকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও পুলিশ সদস্যকে হত্যার মাধ্যমে দলটির নেতাকর্মীদের সহিংসতা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় টানা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। এসব কর্মসূচিতে অবরোধকারীরা একাধিক গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করেছে। এতে বেশ কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক নিহতের খবরও গণমাধ্যমে এসেছে। অগ্নি সংযোগসহ এসব সহিংসতার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীরাই সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ এরই মধ্যে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।

ব্রিফিংয়ে মুশফিক ফজল আনসারী প্রশ্ন করলে স্পষ্টভাবে বেদান্ত প্যাটেল জানিয়ে দেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার, বিরোধী দলসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে ওয়াশিংটন।’

এদিকে সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে- সেটি নিয়ে কোনো পক্ষই মুখ খোলেনি।




ইসরাইলকে থামাতে ব্যর্থ হলে আমেরিকাকে কঠোর আঘাত করা হবে: ইরান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আশতিয়ানির হুঁশিয়ারি

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমেরিকাকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, মার্কিন সরকার যদি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরাইলের বর্বর যুদ্ধ মেশিন বন্ধ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে ওয়াশিংটনকে চড়া মূল্য দিতে হবে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ রেজা আশতিয়ানি গতকাল (রোববার) তেহরানে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “মার্কিনীদের প্রতি আমাদের উপদেশ হচ্ছে, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে একটি অস্ত্রবিরতি প্রতিষ্ঠা করা হোক। তা না হলে আমেরিকার বিরুদ্ধে কঠোর আঘাত হানা হবে।” তিনি বলেন, “আমরা সব সময় ইহুদিবাদী সরকারের প্রতি সমর্থন করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমেরিকাকে পরামর্শ দিয়ে এসেছি।”

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু কৌশলগত ভুল করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন ইরানকে যে বার্তা পাঠিয়েছে তা মার্কিন সরকারের ভয় ও হতাশা থেকে উৎসারিত। জেনারেল আশতিয়ানি বলেন, মার্কিনীরা এখন ইসরাইলিদের সঙ্গে [গাজা উপত্যকার] জলাভূমিতে হাবুডুবু খাচ্ছে এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তড়পাচ্ছে।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করার পর ইহুদিবাদী ইসরাইল তার বর্বর যুদ্ধ মেশিন চালু করে। সেদিন থেকে এ পর্যন্ত দখলদার সেনাদের পাশবিক হামলায় ৪,৮০০ শিশু ও ২,৫৫০ নারীসহ ৯,৭৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীর জ্বালানী, বিদ্যুৎ, খাদ্য ও খাবার পানির সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দিয়েছে তেল আবিব। ইসরাইল গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার পর ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন সেনা ঘাঁটিগুলোর ওপর প্রতিরোধ যোদ্ধারা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছেন।

এদিকে, গত ১ নভেম্বর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী গাজা উপত্যকার ওপর বর্বরতা বন্ধ করতে ইসরাইলকে বাধ্য করার জন্য তেল আবিবের কাছে তেল ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দিতে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।#

সূত্র: পার্সটুডে




দেশের বিভিন্ন স্থানে ১২ ঘণ্টায় ১০ বাসে আগুন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১২ ঘণ্টায় অন্তত ১০টি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয়েও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল এসব তথ্য জানিয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, শনিবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে আজ রোববার সকাল সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১২টি অগ্নিসংযোগের তথ্য পেয়েছে তারা।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের তথ্যানুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার গাউছিয়া মার্কেটের সামনে মিরপুর লিংক নামের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে গ্রিন ইউনিভার্সিটির একটি বাসে আগুন দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর সায়েদাবাদের জনপথ মোড়ে রাইদা পরিবহন নামের বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়।

রাত আটটায় রাজধানীর গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটের সামনে মনজিল পরিবহন নামের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

রাত ১১টা ৪২ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় অনাবিল নামের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় ভোলার চরফ্যাশনের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যমুনা এক্সপ্রেস নামের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

দিবাগত রাত ২টা ৫৫ মিনিটে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাদলপুর আওয়ামী লীগের অফিসে আগুন দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

দিবাগত রাত ৩টা ৫২ মিনিটে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের তিন রাস্তার মোড়ে গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ারে আগুন দেওয়া হয়।

আজ ভোর ৪টায় রাজধানীর ডেমরার মাতুয়াইলের সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

প্রায় একই সময় রাজধানীর শ্যামপুরের জুরাইন বালুর মাঠ এলাকায় তুরাগ নামের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বরে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

সকাল ৬টা ২৪ মিনিটে গাজীপুরের ভোগরায় একটি বাসে আগুন দেওয়ার তথ্য পায় ফায়ার সার্ভিস।




দুর্গাপুরে জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণা‘র দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজনে নানা কর্মসুচীর মাধ্যমে ‘‘জাতীয় সংবিধান দিবস’’ পালিত হয়েছে। শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

‘বঙ্গবন্ধুর ভাবনা সংবিধানের বর্ণনা’ এই প্রতিপাদ্য মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুসঙ্গ ডিগ্রি কলেজ এর প্রভাষক ড. আব্দুর রাশিদ। পরবর্তিতে আলোচনা সভায় উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বিজন কান্তি ধর। অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, সুসঙ্গ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক ড. আব্দুর রাশিদ, আরডিও দীনা আক্তার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভিন আক্তার, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল তালুকদার, সহকারী প্রোগ্রামার শামিউল ইসলাম সহ বিভিন্ন সমবায় সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এবছর দ্বিতীয় বারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। গত বছর ৪ নভেম্বর তারিখ কে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় সংবিধান দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হলে প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হয়।




দুর্গাপুরে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণা‘র দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগ এর আয়োজনে ৫২তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। ‘‘সমবায়ে গড়ছি দেশ-স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’’ এই প্রতিপাদ্যে শনিবার (৪ নভেম্বর) নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে পতাকা উত্তোলন ও র‌্যালী শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বিজন কান্তি ধর। অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, সুসঙ্গ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক ড. আব্দুর রাশিদ, আরডিও দীনা আক্তার, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান পারভিন আক্তার, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল তালুকদার, সহকারী প্রোগ্রামার শামিউল ইসলাম সহ বিভিন্ন সমবায় সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে পিপুলনারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: কে শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়।




দুর্গাপুরে রোটারী ক্লাবের ঘর পেলেন ১০ পরিবার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে রোটারী ক্লাব অব গুলশান সেন্ট্রাল এর পক্ষ থেকে ‘‘রোটারী আলয়’’ শীর্ষক পরিবেশ বান্ধব ঘর পেলেন ১০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের মাঝে এ ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

ঘর হস্তান্তরের পুর্বে স্থানীয় জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প উদ্বোধন এবং দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নেত্রকোনা – ১ আসনের নানা মুখি উন্নয়ন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় করা হয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী রোটারিয়ান আতাউর রহমান খান আখির এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর কমিশনার রোটারিয়ান ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রোটারিয়ান মিয়া মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ, এস এম এমদাদ হোসোইন, মহসীনা আহমেদ দীনা, মনজুরুল হক সোহেল, মহিউদ্দিন আলম, দীলিপ চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, রোটারি ক্লাব অব গুলশান, দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে মানবতার সেবায় কাজ করে আসছে। দেশের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি নানামুখি উন্নয়ন কার্যক্রমে সহায়তা করে থাকে রোটারি ক্লাব। নেত্রকোনা ১ আসনের বিভিন্ন এলাকায় রোটারিয়ান আখির এর দিক-নির্দেশনায় যুব সমাজ তথা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবন-মান উন্নয়নের লক্ষে নানামুখি কার্যক্রম গ্রহন করা হবে। এ কাজে সহায়তা করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন রোটারিয়ান ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী।




ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মৎস্য ভবন মোড় থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে চারদিকের রাস্তায় সারি সারি বাস পার্কিং করা। বাস থেকে নেমে স্লোগান উঠছে ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার।’ তারপর মিছিল নিয়ে বাসের লোকজন প্রবেশ করছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এছাড়া যারা ঢাকার আশপাশ থেকে পায়ে হেঁটে এসেছেন তারা সরাসরি মিছিল নিয়ে প্রবেশ করছেন উদ্যানে। মূলত এরা সবাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মী।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমাবেশের আয়োজন করেছে। সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

উদ্যান ঘুরে দেখা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতারা মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন। আর সকাল থেকে যেসব কর্মী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বা ঢাকা শহর থেকে এই সমাবেশ সফল করতে এসেছেন তারা মনোযোগ দিয়ে সেই বক্তব্য শুনছেন।

এছাড়া আরও দেখা গেছে, নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গাছ তলায় শুয়ে বসে বিশ্রাম করছেন। অনেকে উদ্যানের উত্তর দক্ষিণ অংশে অর্থাৎ ছবির হাট টিএসসি গেট অংশের ঘোরাফেরা করছে। কেউ কেউ সেলফি তোলাও ব্যস্ত।

সমাবেশ সূত্রে জানা গেছে, জুমা নামাজের পর মূল সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

এর আগে গত ১ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তাদের ২০ শর্তে সমাবেশ করতে অনুমতি দেয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ৩ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো।




আজ জেলহত্যা দিবস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আজ ৩ নভেম্বর। শোকাবহ কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস। মানবসভ্যতার ইতিহাসে বেদনাবিধুর একটি দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। শহীদ চার নেতা হলেন- বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান। একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন জাতির সেরা সন্তান এ চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল।

ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদের প্ররোচনায় একশ্রেণির উচ্চাভিলাষী মধ্যমসারির জুনিয়র সেনা কর্মকর্তা এ নির্মম হত্যাকান্ড ঘটায়। জাতীয় এ চার নেতা ১৯৭১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সামরিক জান্তার হাতে আটক বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দান করেন। বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। পরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

বঙ্গবন্ধুর অন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগী এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ এবং জাতির পিতার দুই খুনি কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান এবং লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশীদ জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার এ পরিকল্পনা করে। জাতি আজ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এ কালো অধ্যায়টি স্মরণ করবে। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের উদ্যোগে সারা দেশে পালিত হবে শোকাবহ এ দিনটি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা শহীদ জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জমায়েত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে শহীদ জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। একইভাবে রাজশাহীতে জাতীয় নেতা শহীদ কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।

এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া ধানমন্ডি ৩২ প্রাঙ্গণে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী হবে। ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর নাতি শেহেরিন সেলিম রিপন জানান, আজ প্রদর্শনীটির উদ্বোধন হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থেকে ৫ নভেম্বর অবধি চলবে।




সাংবাদিকদের আবাসন-কল্যাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সাংবাদিকদের আবাসন, দশম ওয়েজবোর্ড গঠন ও কল্যাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকসহ ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টসের (বিএফইউজ) সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের এদেশে কোনো অধিকার নাই। তারা মানুষের কল্যাণ বা এদেশের কল্যাণ চায় না।
তিনি বলেন, আন্দোলন আমরাও করেছি। আন্দোলনের নামে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা হয়, সেটি দুঃখজনক। বিএনপি ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করবে কথা দিয়েছিল। কিন্তু তারা তা করেনি। সেখানে যেভাবে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে, এটা অমানবিক। আমার মনে হয়, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা আর দেখা যায়নি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকের মোটরসাইকেল ভেঙে পুড়িয়ে দিয়েছে, পিটিয়ে আহত করেছে। আমরা সাধ্যমতো সহযোগিতা করবো। তবে, চাই তারা সুচিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়ে উঠুক।

শেখ হাসিনা বলেন, সেখানে তো আমাদের কেউ ছিল না। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা শুধু শান্তিরক্ষা বা শৃঙ্খলা রক্ষার কথা বলেছি। তারাও হামলার শিকার হয়েছে।

এসময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা ২০১৩-১৪ তেও এরকম অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। তারা হত্যা-খুন-গুম এগুলো ভালো পারে। এত অমানবিক আচরণ একটা রাজনৈতিক দলের হয় না। বিএনপির আমলে প্রেস ক্লাবে পুলিশ ঢুকিয়ে দিয়ে পিটিয়ে ছিল।

এসময় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কোনো কোনো পত্রিকা এটা (২৮ অক্টোবরের ঘটনা) কভার দেওয়ারও চেষ্টা করে, তাদের ধিক্কার জানাই। দেখা গেলো, যুবদলের একজন নেতা প্রেস লেখা জ্যাকেট পরে আগুন দিচ্ছে, পুলিশ পেটাচ্ছে। তারা ভেবেছিল, রেহাই পেয়ে যাবে। ধরা তো পরে গেছে। এর শাস্তি হবে।
গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো সামান্য কিছু হলেই বিবৃতি দেয়। এখন তারা কোথায়? আমাদের দেশের সুশীল বাবুরা কোথায়? শুধু আওয়ামী লীগে কিছু হলেই বড় করে দেখায়? মানবাধিকার সংগঠনগুলো চুপ কেন? এদের বিবেক বলে কিছু নেই? আওয়ামী লীগের পান থেকে চুন খসলেই তাদের কণ্ঠে অনেক জোর দেখা যায়। এখন বিড়ালের মতো মিউ মিউ করলেও তো দেখতাম। তাও তো দেখা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে যেভাবে হাসপাতালে হামলা হয়েছে, এখানেও। জানি না তারা এই শিক্ষাটা ইহুদিদের থেকে পেয়েছে কি না।

এসময় সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তিনি বলেন, একটা জমির আবেদন দিয়েছেন আমি দেখবো। জেলাভিত্তিক আবাসন প্রকল্প তৈরি করে দেবো। সেখান থেকে আপনারা আবাসন যাতে পান, সে ব্যবস্থা করবো।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা উচ্চমানের। এ পেশা মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আছে। আমি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেবো। মালিকরাও কিছু কিছু দিয়েন। কারা দিলেন আমরা কিন্তু দেখবো।

তিনি বলেন, মালিকরা কেন কল্যাণ ট্রাস্টে অনুদান দেয় না? না দিলে বন্ধ করে দিতে পারি। করতে চাই না। কিন্তু ব্যবস্থা আছে। কল্যাণ ট্রাস্টে ফান্ড দেবে, তারপর চলবে। এখানে অনেক মালিক আছে তো তাই বললাম। দেখি ভয়ে পেয়ে কিছু দেয় নাকি!

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন মালিকদের দায়িত্ব। সেটা বাস্তবায়ন না করে মামলা করলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। দশম ওয়েজবোর্ডের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেটা আমরা দেবো। টেলিভিশনের সাংবাদিকদেরও আমরা ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনবো। অনেক সময় আপনাদের মধ্যে নানামতের কারণে অনেক কিছু সময়মতো করা যায় না, এটায় আমাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। তবে ঢাকার বাইরের সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ডে নিয়ে আসতে হবে। সামনে ওয়েজবোর্ড গঠনে মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছি। এর বাইরেও প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে অসুস্থ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা দিয়ে থাকি। আজ এখানে আসার আগেও কিছু ফাইল দেখে এসেছি, সাধ্যমতো দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ যত বেশি, সংবাদপত্র তার চেয়েও বেশি। উন্নত দেশেও এত সংবাদপত্র নেই। এর বাইরেও দেশে বর্তমানে ৩৩টি বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে। আরও ১৫টা সম্প্রচারের অপেক্ষায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা নিজেও সাংবাদিক ছিলেন। যার কারণে আপনাদের মাঝে এলে আমি দাবি করি, আমি আপনাদেরই পরিবারের একজন। সাংবাদিক কলাকুশলীদের যাতে কর্মসংস্থান হয়, সমস্ত কিছু বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তথ্য অধিকার আইন, তথ্য কমিশন ও জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ করেছি।

তিনি বলেন, আমি ফিরে এসেছিলাম এমন একটি দেশে, যেখানে আমি আমার বাবা-মার হত্যার বিচার চাইতে পারবো না। ইনডেমনিটি দিয়ে সেটির পথ রুদ্ধ করে রেখেছিল। যে আদর্শ নিয়ে এদেশের মানুষ জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা এনেছে, সেটি বৃথা যেতে পারে না। স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমি এসেছি। আমাদের প্রচেষ্টা দেশের মানুষের জন্য কাজ করা।

সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএফইউজে প্রতিনিধি সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য, সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। সমেলনে এখন বক্তব্য রাখছেন বিভিন্ন জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতিরা। দ্বিতীয় পর্বে বিকেল ৩টায় একই স্থানে দেশের সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।