মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর ৫ প্রস্তাব

dnb news

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে ৫টি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ‘ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ (ইউএইচসি)’ বিষয়ক ইউএনজিএ উচ্চস্তরের বৈঠকে ভাষণদানকালে এ আহ্বান জানান।

ক্ষেত্রগুলো হলো-

১. শিশু, মা ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের জন্য উন্নয়ন সহায়তা বজায় রাখা এবং অভিবাসীদের স্বাস্থ্য ও জলবায়ু স্বাস্থ্য চক্র মোকাবেলা করা।

২. সবার জন্য স্বাস্থ্য আইডিসহ একটি আন্ত চালিত, ডাটানির্ভর স্বাস্থ্য তথ্য সিস্টেম বিকাশে দক্ষতা বিনিময় করা।

৩. আমাদের উপযোগী একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্য বীমা স্কিম বিকাশে সহায়তা করা।

৪. দ্রুত বর্ধনশীল স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্টআপসহ স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো।

৫. জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পেটেন্ট প্রকাশ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের ‘ট্রিপ’ (ট্রাফিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন পার্টনারশিপ) বাধ্যবাধকতা মেনে চলা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সবার জন্য স্বাস্থ্যেসেবার সুযোগ নিশ্চিতকরণে আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিশেষায়িত মেডিক্যাল হাসপাতাল পর্যন্ত দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা তৃণমূলে বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ লভ্যাংশ দিয়েছে; কারণ বাংলাদেশ প্রতি এক লাখ জন্মে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬৩-এ নামিয়ে এনেছে। এগুলো ছাড়াও প্রতি হাজার জন্মে নবজাতকের মৃত্যুহার ১৫ এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী মৃত্যুহার ২৮-এ নেমে এসেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘শিশু টিকাদানের ওপর আমাদের গুরুত্ব সর্বজনীন কভারেজ অর্জন করেছে। আমাদের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছরের কাছাকাছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ কভিড-১৯ মহামারি ব্যবস্থাপনায় বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।

‘আমরা এখন ডেঙ্গু মোকাবেলায় হাই অ্যালার্টে কাজ করছি। আমরা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের জন্য উন্নত চিকিৎসা চালু করছি,’ বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক ও শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে চিকিৎসাসেবা প্রদানের মান প্রতিষ্ঠা করেছে। মানসিক স্বাস্থ্য ও স্নায়বিক রোগের বিষয়ে বাংলাদেশের নীতি ও পদক্ষেপ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কৃতিগতভাবে সংবেদনশীল পদ্ধতিতে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করি। আমরা পুষ্টি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা এবং পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াচ্ছি।’

জলবায়ু সংকট এড়াতে সৎ হতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসন্ন সংকট এড়াতে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন এবং আসন্ন সংকট এড়াতে তাদের ন্যায্য অংশীদারির বিষয়ে সৎ থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ইসিওএসওসি চেম্বারে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা প্রদান : ত্বরান্বিত উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং অভিযোজন ও সবার জন্য প্রাথমিক সতর্কবার্তা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক জলবায়ু উচ্চাকাঙ্ক্ষা শীর্ষ সম্মেলনের উচ্চস্তরের বিষয়ভিত্তিক অধিবেশনে এই মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে অভিযোজন ও আগাম সতর্কতায় বিনিয়োগ করা সঠিক। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা জলবায়ু ন্যায্যতা প্রদানের জন্য এই সুযোগগুলো কাজে লাগাবে।’

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিবিএনজেতে স্বাক্ষর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশি মাছ ধরা এবং অন্যান্য মানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে ভঙ্গুর সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষতির হাত থেকে বিশ্বের মহাসাগর ও নদীগুলোকে রক্ষায় মেরিন বায়োডাইভারসিটি অব এরিয়াজ বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন (বিবিএনজে) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।




বাংলাদেশের হাফেজদের ভূয়সী প্রশংসা করলেন সৌদি রাষ্ট্রদূত

dnb news :

বাংলাদেশে কুরআন ও ধর্মীয় শিক্ষা যথেষ্ট অগ্রগামী মন্তব্য করে এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান। এ বিষয়ে সৌদি সরকারের সবধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সৌদি দূতাবাসের রিলিজিয়াস অ্যাটাসি অফিস কর্তৃক আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সৌদি রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের প্রশংসা করে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের ক্ষুদে হাফেজরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতাতেও সবসময় ভালো অবস্থান করছে। গত বছর সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সালেহ আহমাদ তাকরীম তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রতিযোগীতাতেও বাংলাদেশের দুইজন ক্ষুদে হাফেজ পুরস্কার পেয়েছে। বাংলাদেশে কুরআনকেন্দ্রিক পড়াশোনার অবস্থান অনেক ভালো। এ দেশে প্রচুর হাফেজ, কারি ও আলেম রয়েছেন যা বিশ্বের অন্যান্য দেশে সাধারণত পাওয়া যায় না।

পবিত্র কুরআনের প্রচার প্রসারে সৌদি সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ বলেন, সৌদি সরকার সারাবিশ্বে পবিত্র কুরআনের প্রচার প্রসারে বিভিন্ন কার্যক্রম করে থাকে। সে ধারাবাহিকতায় গত বছর শুধু বাংলাদেশেই ১০ লাখ কুরআনের কপি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া হিফজ প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন অনন্য উচতায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তির ওপর ভিত্তি করে সৌদি-বাংলাদেশের মধ্যে গভীর ও দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ সৌদি আরবকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়, যা বাংলাদেশের জীবনযাত্রার মান ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছে। বাংলাদেশে সৌদি আরবের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশিদেরও সৌদি আরবে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা সাদওয়াদ সায়াদ, প্রতিযোগিতার বিচারক হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাইখ আব্দুল হক, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান, সৌদি দূতাবাসের রিলিজিয়াস অ্যাটাসি অফিসের গণসংযোগ কর্মকর্তা ড. এমদাদুল হক খান, মাসউদুর রহমান, আবদুস সোবহান আজহারী প্রমুখ।

জানা যায়, রাজকীয় সৌদি দূতাবাসের রিলিজিয়াস অ্যাটাসি অফিস আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা গত দুমাস ধরে চলে আসছে। প্রথমে বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিভাগীয় পর্যায়ে এবং সর্বশেষ সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঢাকায় চুড়ান্ত প্রতিযোগিতা শেষে ১৫ পারা ও ৩০ পারা বিভাগে ৫ জন করে মোট ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সৌদি রাষ্ট্রদূত বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও সম্মানী হিসেবে নগদ টাকা তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে ১৫ পারা ও ৩০ পারা দুই গ্রুপে মোট ১০ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় ১৫ পারা গ্রুপে তানযিমুল উম্মাহ হিফজ মাদ্রাসার মো. শুয়াইব হাসান প্রথম, মৌলভীবাজারের মারকাজু তালিমুল কুরআন মাদ্রাসার আবদুল্লাহ তাইয়্যিব দ্বিতীয় ও সিলেটের জামিয়া ইসলামিয়া ফরিদাবাদের আবদুর রহমান জামী তৃতীয় হয়েছে।

এছাড়া উত্তর যাত্রাবাড়ী তাহফিজুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদরাসার হুযায়ফা চতুর্থ ও নেত্রকোনার জামালুল কুরআন মাদ্রাসার আনাস মাহফুজ পঞ্চম হয়েছে।

৩০ পারা গ্রুপে রাজধানীর দক্ষিণখানের আন নূর মাদরাসার আবদুল্লাহ বিন নূর প্রথম, মিরপুরের মারকাযুত তানজিল মাদ্রাসার আনাস প্রধান দ্বিতীয় ও মারকাজু ফয়জিল কুরআনের শাহরিয়ার শাহরিয়ার তৃতীয় হয়েছে। এছাড়া একই মাদ্রাসার নুমান চতুর্থ ও নেত্রকোনার জামালুল কুরআন মাদ্রাসার মুস্তাকিম বিল্লাহ পঞ্চম হয়েছে।




নেত্রকোনা ১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী- রোটারিয়ান আতাউর রহমান খান আঁখির

dnb news:

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ১৫৭ নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্তত: ডজন পেড়িয়ে যাবে। অনেক আগে থেকেই যার যার অবস্থান থেকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

তম্মধ্যে এই আসনের কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী গ্রামের বাসিন্দা রোটারিয়ান মোঃ আতাউর রহমান খান আঁখির দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ দলীয় নেতা-কর্মীসহ দুই উপজেলার সাধারণ মানুষের সাথে মিশে আছেন তিনি। বন্যাসহ যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থেকে ঘর,শুকনো খাবার,নগদ অর্থ সহ বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন তিনি,তার যথেষ্ট প্রমানও রয়েছে। তাছাড়া প্রতি বছর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,এতিমখানায় ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপন করারও দৃষ্টান্ত রয়েছে। তিনি কেন্দ্রীয়ভাবে একজন সফল ব্যবসায়ী,স্থানীয়ভাবে কোন ব্যবসার সাথে জরিত নন। তিনি কলমাকান্দা উপজেলার জন্মগতভাবে আওয়ামী এবং সনামধন্য সম্ভান্ত পরিবারের সন্তান, আঁচার-আঁচরণের দিকথেকেও প্রসংসার দাবী রাখেন সে এবং দৈর্যশীল,পারিবারিকভাবে তারা ৫ভাই ৫বোন সে দ্বিতীয়, তাঁর স্ত্রী একজন আইনজীবি, সবাই উচ্চ শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত। তাঁর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সুলতান আহম্দে খান(প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান)এবং একজন প্রবীন আওয়ামীলীগার। তার রাজনীতির সংক্ষিপ্ত পরিচয়ে দেখাগেছে সে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, ঢাকা কলেজ। সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটি। তাছাড়া লিডারশীপ ফর সোসাল ডেভেলপমেন্ট এর চেয়ারম্যান এবং ম্যাকটেক্স গ্রুপ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৭ নেত্রকোনা-১(দুর্গাপুর-কলমাকান্দা)আসনে তিনিই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতার অধীকারী,দুই উপজেলার বেশীরভাগ মানুষের প্রত্যাশা এবং দাবী তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হউক।

দুই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে স্খানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মনোনয়ন প্রাপ্তি প্রত্যাশায় তার কর্মকান্ডের সংক্ষিপ্ত ফিরিস্থি তুলে ধরেণ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার যোগ্যতার মাপকাঠি বিবেচনা করে নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিবেন বলে আমি আশাবাদী। মনোনয়ন পেলে সকলের সহযোগিতায় আমি বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। পরে তিনি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেণ।

এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন উলামালীগ সাবেক সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লা আলমামুন (সাহান), পৌর আওয়ামী লীগ সদস্য ফয়জুর রহমান বাবুল,ছাত্রলীগ কর্মী হ্নদয় হাসান, অ্যাডভোকেট জাকির খান, মোঃ এমদাদ খান প্রমুখ।




খানাখন্দ-কাঁদায় সড়কের বেহাল দশা, জনভোগান্তি চরমে

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিক মহাসড়কের বিরিশিরি হতে শান্তিপুর এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশায় চরম জনভোগান্তি দেখা দিয়েছে। এই ভোগান্তি এক দিনের নয়,বছরের পর বছরের।
প্রধান এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই লাখো মানুষের জেলা শহর,বিভাগসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত। এই দুর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়কের খানাখন্দ-কাদা ও যানজট। ভেজা ও অতিবোঝাই বালু পরিবহনে সড়ক নষ্ট হয়ে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্ত। এতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকছে। অন্যদিকে এইসব বালুর গাড়ি থেকে চুইয়ে পড়া পানিতে সবসময়ই সড়কটি কাদাপানিতে একাকার থাকে। ফলে সবাইকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ সড়ক দিয়ে যেমন যেতে হয় জেলাশহর ও বিভাগ শহরে অপরপথে যেতে হয় উপজেলা সদর,অফিস-আদালতসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তাছাড়া সোমেশ্বরী নদী,সাদামাটির পাহাড় ও পাহাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে সারাবছরই বেড়াতে আসেন বিপুলসংখ্যক পর্যটক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে তাঁদেরও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এ পথের উপজেলার ১২ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কই বেহাল। খানাখন্দ আর কোথাও কোথাও প্রায় দুই ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই গর্তে জমেছে পানি। আর পুরো সড়ক জুড়ে কাদা আর কাদা। যেন পা ফেলাই দায়। ওই সড়কটি দিয়েই শত শত যানবাহনসহ মানুষ চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন।
এদিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায় সড়ক সংস্কারের অংশ হিসেবে ২৪শত মিটার পৃথক পৃথক স্থানে আরসিসি সড়ক নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। তবে সড়কের কিছু স্থানে এক পাশের কাজ শেষ হলেও ফেলে রাখা হয়েছে অন্যপাশের অংশটি। এতে সড়কের একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলে দীর্ঘ সময়ের যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অসংখ্য যানবাহন চলাচল থাকায় সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রেখে এক সঙ্গে দুইপাশের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভেজা ও অতিরিক্ত বালু বহন করায় সড়কের বারটা বেজে গেছে। সর্বদাই কাদায় ডুবে থাকছে এবং দীর্ঘ সময় যানজট লেগে থাকে। এতে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন জানান, কাঁদা আর ট্রাকের জ্যামে অতিষ্ঠ সবাই। আমার বাড়ি লক্ষীপুর থেকে দুর্গাপুর যেতে ২০ মিনিটের রাস্তা এখন দুই ঘন্টাও লাগে। এই দুরাবস্থা যেন দেখার কেউ নেই।
আব্দুল আলী জানান, সড়কটি দিয়ে অসুস্থ রোগী নিয়ে উপজেলা সদর হাসপাতালে যেতে হয়। তাছাড়াও জরুরি রোগীদের ময়মনসিংহ নিয়েও যেতে হয়। কিন্তু সড়কের এই অবস্থায় সময় মতো পৌঁছানোটাই ঝুঁকি হয়ে যায়।
এইচএসসি পরিক্ষার্থী উজ্জ্বল মিয়া জানান,বাড়ি থেকে সকাল সাড়ে ছয়টায় বের হই। সড়কের এই পরিস্থিতিতে অটোরিক্সাও যেতে চায় না । যার কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে আর কতক্ষনে কেন্দ্রে পৌঁছাবো এই টেনশনে থাকি।
এ প্রসঙ্গে নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আলনূর সালেহীন জানান, ওই সড়কে বালুর ট্রাক চলাচলে রাস্তা টিকিয়ে রাখায় মুসকিল হয়ে পড়েছে। মানুষের কষ্ট তো থাকছেই। সড়কের পৃথক পৃথক স্থানে মোট ২৪শত মিটার আর সিসি’র কাজ চলমান রয়েছে।
আরও জানান,সড়কের এক পাশের কাজ শেষ করে ২৮দিন পর অপর পাশের কাজ ধরতে হচ্ছে। এ সড়কে অনেক গাড়ি চলাচল রয়েছে তাই সড়ক বন্ধ রেখে কাজ করা যায় না।

আল নোমান শান্ত
০১৮১৪৬১৭৮৩৪




১৯ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

dnb news :

দেশের ১৯টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেটের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বুধবার (২ আগস্ট) রাতে আবহাওয়ার সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।




‘হাফেজ রেজাউল হত্যাকারীদের শাস্তি ও পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে’

dnb news desk :

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, হাফেজ রেজাউল করীম একজন পথচারী ও নিরীহ নিরপরাধ মাদ্রাসাছাত্র। সে কোন দলীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত নয়। তারপরেও তার উপরে যারা হামলা করে হত্যা করেছে তারা মানবতার শত্রু। শান্তি সমাবেশে নিজেরা নিজেরা সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনারও নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। ঘৃণিত এই হত্যাকাণ্ডের চারদিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার তো দূরের কথা, সরকারের সরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কারো থেকে এখন পর্যন্ত দোষীদের গ্রেফতার এবং বিচারের কোন আশ্বাসবাণীও শোনা যায়নি। অবিলম্বে রেজাউল করীম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শহীদ রেজাউল করীমের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনসমূহের শান্তি সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় নিরীহ মাদ্রাসাছাত্র হাফেজ রেজাউল করিমের হত্যার বিচার ও যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ জাকির বিল্লাহর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোফাচ্ছির হোসাইন, ঢাকা মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আবুল হাসান কাসেমী, ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুর আলম, ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর সভাপতি হাফেজ আব্দুর রহমান, জামিয়া নূরিয়া শাখা সভাপতি মেরাজুল ইসলাম, সহসভাপতি আলী হোসাইন প্রমূখ।




জারিয়া হইতে দুর্গাপুর রেললাইন সম্প্রসাণের দাবিতে মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনা জেলার জারিয়া হইতে দুর্গাপুর রেললাইন সম্প্রসাণ ও ঢাকা টু জারিয়া-ঝাঞ্জাইল আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।

সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে দুর্গাপুরবাসীর আয়োজনে পৌরশহরের প্রেসক্লাব মোড়ে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুলের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জামাল তালুকদারের সঞ্চালনায় ট্রেনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন-দুর্গাপুর হিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার,উপজেলা সিপিবি’র সভাপতি আলকাছ উদ্দিন মীর,দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ড. আব্দুর রাশীদ,নিরাপদ সড়ক চাই উপজেলা শাখার সভাপতি মো. নুরুল আলম,এনজিও কর্মকর্তা মো. সামছুল আলম খান,কৃষক নেতা মো. মোরশেদ আলম,সাংবাদিক জুয়েল রানা,আদিবাসী নেতা অবণী হাজং প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য,অবিলম্বে জারিয়া ঝাঞ্জাইল – ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চালু ও জারিয়া হতে দুর্গাপুর পর্যন্ত ট্রেনলাইন সম্প্রসাণের দাবিতে আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে । এরই ধারাবাহিকতায় দুর্গাপুরবাসী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।

নিজস্ব প্রতিনিধি:
আল নোমানশান্ত
৩১ জুলাই ২০২৩
০১৮১৪৬১৭৮৩৪




বিএনপির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত: কাদের

dnb news :

নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকার প্রবেশপথ অবরোধের কর্মসূচি দেওয়ায় বিএনপির মার্কিন ভিসানীতির আওতায় পড়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, গোলাপবাগে হোঁচট খেয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই গেলো। অনুমতি নিয়েই তো গেলো। অনুমতি আর নেবো না। দখল করে ফেলছি ঢাকা, বাংলাদেশ। এত সোজা রাজনীতি? তাদের উদ্দেশ্য তারা একটি লাশ ফেলবে। পুলিশের ওপর যে হামলাটা, পুলিশ তো বাধা দেবেই।

তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড বন্ধ করে দিলে পুলিশ চোখ বন্ধ করে রাখবে? আমি পুলিশকে দোষ দেবো না। জনগণের জানমাল রক্ষা করার দায়িত্ব পুলিশের।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমরা কোনো উত্তেজনায় যাবো না। আমরা নির্বাচন চাই। উত্তেজনা হলে তো আমাদের চলবে না। নির্বাচনে জনগণ চাইলে আমরা আবারও থাকবো, না চাইলে থাকবো না।




দেশ আমাদের এখানে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: মুফতি ফয়জুল করিম

dnb news:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে সিনিয়র আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, ‘দেশ আমাদের, নির্বাচনও আমাদের। সুতরাং আমার দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কীভাবে হবে? এখানে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।’

তিনি বলেছেন, ‘ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সরকার জনগণের ভোট ও নাগরিক অধিকার হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাপ্রেমী। তাই যেকোনোভাবে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।’

সোমবার (২৪ জুলাই) বিকাল ৩টায় খুলনার খালিশপুর গোয়ালখালী সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ) ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ওলামা সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, ‘দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রয়োজন। দেশে এখন কোথাও কোনও জবাবদিহিতা নেই, ভেঙ্গে পড়েছে চেইন অব কমান্ড। বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।’

তিনি অবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগসহ জাতীয় সরকার গঠন করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে। কেউ কাউকে মানছে না। বিদেশিদের কাছে যেয়ে কোনও লাভ নেই। আমাদের সমস্যার সমাধান আমাদেরই করতে হবে। বিদেশিরা আজ বলছে আমাদের সেন্টমার্টিন দাও, কাল বলবে আমাদের পুরো দেশটাই দিয়ে দাও। তাই একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হবে।’

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে ও নগর সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া ও মুফতি ইমরান হুসাইনের সঞ্চালনায় ওলামা সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির আব্দুল আউয়াল, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতি গোলামুর রহমান, দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মোসতাক আহমেদ, খুলনা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ আ খ ম জাকারিয়া প্রমুখ।

মুফতি ফয়জুল করিম রাতে নিউমার্কেট সংলগ্ন টেক্সটাইল মিল জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল ও হালকা জিকিরে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করবেন।




ঢাকার দুই সিটির ১১ এলাকা ‘রেডজোন’ ঘোষণা

dnb news :

রাজধানীতে প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে-লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। এমন অবস্থায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১১টি এলাকাকে ‘রেডজোন’ ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রাজধানীর ১৮ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সাধারণত কোনো এলাকার ৫ শতাংশ বাড়িতে লার্ভা পাওয়া গেলে ওই পরিস্থিতিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

যে ১১টি এলাকাকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ছয়টি এলাকা এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পাঁচটি এলাকা রয়েছে। এগুলো হলো- যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, মানিকনগর, সবুজবাগ, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও ও বাড্ডা।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেই নানান ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও ঢাকায় এডিস মশাবাহিত এ রোগের প্রকোপ স্মরণকালের ভয়াবহ পরিস্থিতি পার করছে। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৬৮৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৬৭ জনের।

তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম এর মতে, ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনও জরুরি অবস্থা জারি করার মতো হয়নি।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, ডেঙ্গুর পিক টাইম এখনও শুরু হয়নি। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে নিঃসন্দেহে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ডেঙ্গু রোগীর জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি ফ্লুয়েড ম্যানেজমেন্ট। সঠিক সময়ে এটা না হলে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি।