সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা পার পাবে না: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা পার পাবে না। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যেই মামলা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে বিএনপির সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

এসময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।’
মানুষ হত্যা করে তারা কী রাজনীতি করতে চায়- এমন প্রশ্নও করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বিএনপি জানে, নির্বাচনে এলে তারা পরাজিত হবে। তাই নির্বাচন বানচালে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে দলটি।’




আমরা যা বলি তা বাস্তবায়ন করি : শেখ হাসিনা

 

 

 

 

 

 

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা থাকা সত্ত্বেও সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে সব সময় যে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি, এমন দাবি করব না। তবে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কথামালার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা যা বলি তা বাস্তবায়ন করি’।

বুধবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আওয়ামী লীগের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।

তিনি বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে সরকার পরিচালনার পথ-পরিক্রমায় যা কিছু ভুলত্রুটি তার দায়ভার আমাদের। সাফল্যের কৃতিত্ব আপনাদের। আমাদের ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা কথা দিচ্ছি, অতীতের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন তারই প্রমাণ। তবে মাঝেমধ্যে মনুষ্যসৃষ্ট, প্রাকৃতিক এবং বৈশ্বিক বাধাবিপত্তি আমাদের চলার গতিপথকে মন্থর করেছে। ২০১৩-১৬ সময়ে বিএনপি -জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ বিস্তারের চেষ্টা মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হয়েছে। ২০০৯ সালের পর থেকে বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়েছে। সবচেয়ে বড় আঘাত এসেছে ২০২০ সালে যখন বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ে। এ মহামারি গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিয়েছিল। আমাদের সরকার একবিংশ শতাব্দীর এ ভয়াবহ মহামারি সফলভাবে মোকাবিলা করার পাশাপাশি অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।’




এবার ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ঘোষণা বিএনপির

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবরের পর থেকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসা বিএনপি এবার অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে’ ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন। বর্তমান অবৈধ সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল এবং অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন। ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কিনা সেটি ভাবুন। মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত লাখ লাখ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা আজ থেকে আদালতে মামলায় হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।




আজ হযরত শাহজালালের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেট সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে ঘিরে ইতিমধ্যে সিলেটে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও রাস্তাঘাটসহ পুরো সিলেট নগরী নতুন সাজে সজ্জিত করা হয়েছে।

বিশেষ করে নগরীর বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, রিকাবিবাজার, লামাবাজার, সুরমা পয়েন্ট, তালতলা, দরগাহ গেট, আম্বরখানা, বিমানবন্দর সড়ক সংস্কার করা হচ্ছে। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে শোভা বর্ধনকারী ফুল গাছ লাগানো হচ্ছে। প্রস্তুত করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্হল সিলেট নগরীর ঐতিহাসিক আলিয়া মাদ্রাসাহ মাঠ। মঞ্চ নির্মাণ কাজ ও সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসরণ করে জনসভাস্হলকে প্রস্তুত করা হয়েছে। জনসভায় ঐতিহাসিক কলরেডী মাইক লাগানো হয়েছে।

মঞ্চের সামনে বাঁশ দিয়ে চারদিকে শক্ত বেষ্টনী গড়ে তুলা হয়েছে। এসকল কাজ তদারকি করছে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। একাজে সার্বিক সহযোগিতা করছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে কয়েক লাখ লোকের জনসমাগম ঘটাতে তৎপরতা চালাচ্ছে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিলেট সফরে প্রধানমন্ত্রী ওলিকুল শিরোমণি হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহপরান (র.) এর মাজার জিয়ারত করবেন। বিকালে সিলেট সরকারি আলীয়া মাদ্রাসাহ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন।

এর আগেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সে সময় হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত এবং সিলেটে সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনী সফর শুরু করেছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জাতির পিতার কন্যা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমাদের শ্রদ্ধা ও হৃদয়ের সকল ভালোবাসা দিয়ে তাক বরণ করে নিতে সিলেট প্রস্তুত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে সিলেট নগরীকে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরের মতো পবিত্র নগরী সিলেট থেকে তার আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করবেন। সিলেটের উন্নয়নে তার অসামান্য অবদানের জন্য আমরা তার কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। সিলেটবাসী আসন্ন নির্বাচনে এর প্রতিদান দেবেন বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।




তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন, নারী–শিশুসহ নিহত ৪

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার পর এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, ভোর ৫টা ৪ মিনিটে আমাদের কাছে সংবাদ আসে তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ৩টি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আমাদের ৩টি ইউনিট সকাল পৌনে ৭টার দিকে আগুন নির্বাপন করে। এ সময় ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন—নাদিরা আক্তার পপি (৩২) ও তার ৩ বছরের ছেলে ইয়াছিন। বাকি দুজন পুরুষ। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। চারজনের লাশ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় আসছিল। বিমানবন্দর স্টেশন পার হয়ে ট্রেন খিলক্ষেতে আসলে যাত্রীরা আগুন দেখতে পান। এরপর চালক ট্রেনটি তেজগাঁওয়ে থামান।

পুলিশ বলেছে, আগুন নেভানো ও লাশগুলো উদ্ধারের পর ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।




বিশ্ব ইজতেমার প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হলো

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল রবিবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল আনুষ্ঠানিকভাবে এ কাজের উদ্বোধন করেন।

প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব ইজতেমা মাঠে প্যান্ডেলের খুঁটি পুঁতে এই কাজের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, ‘আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন করতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নির্ধারিত সময়ে সব কাজ শেষ করতে এখন থেকেই প্যান্ডেলের কাজ শুরু হলো।

মাওলানা যোবায়ের আহমেদ পন্থীদের আয়োজনে ২০২৪ সালের ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

মাওলানা সাদ পন্থীদের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।

এর আগে ১৫ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাওলানা যোবায়ের আহমেদ পন্থীদের প্রথম পর্ব ও মাওলানা সাদ পন্থীদের দ্বিতীয় পর্বের তারিখ জানানো হয়।




এবার সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ১৮৯৬

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সারাদেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৮৯৬ জনে।

রবিবার নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

জাহাংগীর আলম বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল করেন দুই হাজার ৭১৬ প্রার্থী। বাছাইয়ে বাতিল হন ৭৩১ জন, আপিল দায়ের করেন ৫৬০ জন। আপিল মঞ্জুর হয় ২৮৬ জনের ও আপিল নামঞ্জুর হয় ২৭৪ জনের।
তিনি আরও বলেন, আজ সারাদেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে ৩৪৭টি, স্থগিত আছে পাঁচটি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে ২৭টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে এখন মোট বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৮৯৬ জন।




জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মহান বিজয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ছয়টার পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।

পরে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। শ্রদ্ধা জানানোর পর রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলেও পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের নেতাদের সঙ্গে আরও একবার জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।




বিজয় দিবস উদযাপনে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রস্তুত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এদিন দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে জাতি। এ জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ঢাকার সাভারের অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশ বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ সকলের শ্রদ্ধা নিবেদন নির্বিঘ্ন করতে নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা।

স্মৃতিসৌধ চত্বরে ধোয়া-মোছার কাজ সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষে বাহারি রংয়ের ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে। পুরোনো ফুলগাছগুলোর ডালপালা ছাটাইসহ বিভিন্ন সিঁড়িতে ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পড়েছে রং তুলির আঁচড়।

স্মৃতিসৌধ চত্বর গিয়ে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধ চত্বরে ধোয়া মোছার কাজ শেষ করা হয়েছে। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়েছে চত্বরের বিভিন্ন সড়ক। লেকের ময়লা সরিয়ে ফেলা হয়েছে নির্দিষ্ট স্থানে।

‘বীরের এ রক্তস্রোত, মাতার এ অশ্রুধারা এর যত মূল্য সে কি ধরার ধূলায় হবে হারা। স্বর্গ কি হবে না কেনা। বিশ্বের ভাণ্ডারী শুধিবে না এত ঋণ?’ প্রায় মুছে যাওয়া এ লোখাটিতে কালো রং দিয়ে তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বাহারি রঙের ফুলগাছসহ টবগুলো সুসজ্জিতভাবে স্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। পূর্বের ফুল গাছের পরিচর্যা করে সেগুলোকে সতেজ করেছেন মালিরা। বিভিন্ন সড়ক বাতিগুলোর লোহার পাইপে নতুন করে সবুজ রং করা হয়েছে।

শুধু স্মৃতিসৌধ চত্বরেরই নয়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়েকের বিভিন্ন স্থানে চলছে সংস্কারসহ সৌন্দর্যবর্ধণের কাজ। সড়ক ডিভাইডারে নতুন করে রং করা হচ্ছে। কিছু অংশে দুটি লেনের মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় রোপণ করা হয়েছে ফুলসমেত বিভিন্ন ধরণের ফুলের গাছ। স্থানটি পরিষ্কারও করা হচ্ছে। এছাড়া প্রয়োজন অনুসারের সড়কের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে পিচের আস্তরণ দেওয়া হচ্ছে।

সাভার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, দেড় মাস ধরে স্মৃতিসৌধ চত্বর ধোয়া-মোছা ও পরিষ্কারের কাজ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। স্মৃতিসৌধের মূল বেদিসহ অন্যন্য স্থান ধোয়-মোছা ও রংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বিজয় দিবস উদযাপন করতে পারবো।

মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে যেন কোন ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে না পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান।

নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মহান বিজয় দিবসে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন কুটনৈতিক মিশনের প্রধানগণসহ সকলে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধ আত্মোৎসর্গকারী শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সকলের নিরাপত্তার লক্ষে চার স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বহিরাগত কেউ আশপাশের এলাকায় অবস্থান করলে সে বিষয়ে পুলিশকে জানানোর জন্য স্থানীয়দের অনুরোধ করা হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান এসপি।

তিনি বলেন, শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মহান বিজয় দিবসে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওইদিন প্রত্যুষে স্মৃতিসৌধে আসবেন এবং অধিক লোকের জমায়েত হবে এ বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রেখে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কিছু নির্দেশনা রয়েছে। যে সকল গাড়ি উত্তরবঙ্গের দিক থেকে ঢাকায় আসবে সেগুলো ওইদিন চন্দ্রা ও গাজীপুর হয়ে এবং মানিকগঞ্জের দিক থেকে আসা গাড়ি নবীনগর মোড় হয়ে আশুলিয়া দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করবে। এছাড়া ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গাড়ীগুলো গাবতলী থেকে বেড়িবাঁধ হয়ে আশুলিয়া বা উত্তরা দিয়ে গাজিপুর হয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে যাবে এবং মানিকগঞ্জের দিকের গাড়িগুলো বেড়িবাঁধ দিয়ে আশুলিয়া এবং নবীনগরমোড়ের এই সড়কটি ব্যবহার করবে।




শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। পাশাপাশি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার দেয় ৩ বাহিনীর একটি চৌকস দল।

এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ সমাধিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে আবারও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানো শেষে সর্বস্তরের মানুষ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা জানান শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরাও। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও রাজধানীর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এদেশের বরেণ্য গুণীজনদের হত্যা করা হয়। এদেশ যাতে কখনোই মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সমৃদ্ধির আলোয় উদ্ভাসিত হতে না পারে, এদেশকে চিরতরে পঙ্গু করে দেওয়াই ছিল রাজাকার-আলবদর বাহিনীর লক্ষ্য। এ হত্যাকাণ্ড ছিল বিশ্বের ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বরতার এক উদাহরণ। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর-রায়েবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রাখে।

১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর পরই নিকট-আত্মীয়রা মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে স্বজনের লাশ খুঁজে পায়। বুদ্ধিজীবীদের নিথর দেহজুড়েই ছিল আঘাতের চিহ্ন। তাদের চোখ, হাত-পা ছিল বাঁধা, কারও কারও শরীরে একাধিক গুলি এবং কাউকে কাউকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যাও করা হয়েছিল। লাশের ক্ষতচিহ্নের কারণে অনেকেই তাদের প্রিয়জনের লাশ শনাক্তও করতে পারেননি।