দুর্গাপুরে বনবিভাগের গাছ করাত কলে, জানেন না বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের মাধবপুর এলাকা থেকে বন বিভাগের শাল-গজারি গাছ কেটে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ রয়েছে, বিট কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগ সাজশে চলছে গাছ কর্তন। তবে বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন দুর্গাপুর বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী।

স্থানীয়রা জানান, দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগাড় ইউনিয়নের বিজয়পুর, মাইজপাড়া ও মাধবপুর এলাকায় রয়েছে বনবিভাগের বিশাল সেগুন ও গজারী বাগান। প্রতিবছর বর্ষা ও শীতকালীন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে কাটা হয় বাগানের গাছ। তবে অধিকাংশই বন বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হয়ে থাকে। এ বছরও বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে কাটা গাছগুলো ক্রয় করেছেন ডাকুমারা এলাকার কাঠ ব্যবসায়ি শাহআলম ও দুলাল মিয়া। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাইজপাড়া এলাকার বাগান থেকে বেশ কিছু শাল-গজারি গাছ কেটে ডাকুমারা এলাকায় এক করাত কলের পিছনে এনে রাখেন শ্রমিকরা। এছাড়া মাধবপুর গ্রামের আব্দুল করিমের বাড়ীর সামনে এনে রাখা হয়েছে বেশ কিছু সদ্য কাটা গজারী গাছ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গাছকাটা শ্রমিক জানান, আজ নিয়ে তিন দিন ধরে পাঁচজনে মিলে প্রায় ৫০টি গাছ কেটেছেন। বিভিন্ন বাগান থেকে বাকি আরও ৫০টি‘র মতো গাছ কাটবেন। রাতের আঁধারে গাছ গুলো কেটে এলাকার বিভিন্ন বাড়ীতে রাখা পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব। আরেক গ্রæপ রয়েছে ওই বাড়ী গুলো থেকে নদীর পাড়ে এনে দেয়। পরে গাড়ীতে করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়।

কাকড়াকান্দা গ্রামের সমাজকর্মী আমিনুল ইসলাম বলেন, রাতের অন্ধকারে প্রায় সময়ই সরকারি সেগুন- গজারী গাছ গুলো কাটা হয়। গাছগুলো কেটে করাত কলে সাইজ কাঠ বানিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়। এই গাছ কাটার সাথে বন-বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত আছেন। বন-বিভাগের লোকদের জিজ্ঞেস করলে তারা ওয়াকসনের গাছ কাটা হচ্ছে বলে জানান।

ডাকুমারা এলাকার করাত কলের মালিক ফরিদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে করাত কলে আসার সময় ডাকুমারা এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী শাহআলম ও দুলাল বেশ কিছু গজারী গাছ ঠেলাগাড়ীতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি বাঁধা দেই এবং পরবর্তিতে বন-কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংবাদিক এবং এলাকাবাসীকে অবগত করি।

সরকারি গাছ কাটা নিয়ে কাঠ ব্যবসায়ী সাহালমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সরকারি গাছ ক্রয়ের কথা অস্বীকার করেন পরে, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এ নিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।

দুর্গাপুর বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, বিষয়টি আগে জানতাম না। ঝড়ে পড়ে গিয়েছিলো এমন কিছু গাছ কেটে দুর্গাপুর রেঞ্জ অফিসে আনার কথা ছিলো। গাছ কাটার বিষয়টি জানার পর গাছ কাটতে বিট অফিসার আব্দুর রহিমকে নিষেধ করে দিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তি ব্যবস্থা নেবো।




দুর্গাপুর মুজাহিদ কমিটি ও ফজলুল উলুম কারীমিয়া মাদ্রাসার যৌথ উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি দুর্গাপুর উপজেলা শাখা ও ফজলুল উলুম কারীমিয়া মাদ্রাসার যৌথ উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) বাদ এশা ফজলুল উলুম কারীমিয়া মাদ্রাসা খরস এর মাঠে ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি, দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব ডাঃ মাওলানা আলী আকবর সাহেবের সভাপতিত্বে ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, দুর্গাপুর উপজেলার সভাপতি মাওলানাআজিজুল হক এর সহ-সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শায়েখে চরমোনাই নায়েবে আমিরুল মুজাহিদীন শাইখুল হাদিস হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, সিনিয়র সহ সভাপতি-জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, গাজীপুর জেলা, মাওলানা মুফতি নুরুল ইসলাম হাকিমী, সভাপতি – ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নেত্রকোণা জেলা, মাওলানা মুফতি ওয়ালিউল্লাহ, সহ সভাপতি-জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নেত্রকোনা জেলা, মাওলানা সাইফুল ইসলাম মুহতামীম-হিফজুল উলুম মাদ্রাসা, বারহাট্টা সহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।

এসময় আশপাশের উপজেলা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি ও চরমোনাই পীরের ভক্ত-মুরিদানের উপস্থিতে মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়।
বক্তব্য শেষে চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।




গাইবান্ধায় এইচপিভি টিকা নিয়ে ১৬ ছাত্রী অসুস্থ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে কিশোরীদের হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেওয়ার পর একটি বিদ্যালয়ের ১৬ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। অক্টোবর বুধবার দুপুরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়া সবাই উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডা. নুরুল হক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ছাত্রী।

তবে চিকিৎসক বলেন, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় নয়, তারা ভয়ে অসুস্থ হয়েছে।

দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে এইচপিভি টিকা দেওয়া হচ্ছিল। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ছাত্রীদের টিকা দেন। দুপুর দেড়টার দিকে কয়েকজন ছাত্রী টিকা নেওয়ার পর শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা বোধ করে। একে একে ১৬ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অসুস্থ ছাত্রীরা জানায়, টিকা নেওয়ার পরই তাদের পেট ব্যথা, শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়।

এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জায়েদ জামান জিতি বলেন, ছাত্রীরা ভয় ও আতঙ্কে অসুস্থ হয়েছে। বড় কোনো সমস্যা নেই। টিকা নেওয়ার কারণে তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।




নরসিংদীর শীর্ষস্থানীয় আলেম হাফেজ মাওলানা আহমদ আলীর ইন্তেকাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নরসিংদী জেলার শীর্ষস্থানীয় আলেমেদ্বীন, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম গনেরগাঁও শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্সে মাদরাসার শায়খুল হাদিস ও মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী ইন্তেকাল করেছেন।

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মরহুমের জামাতা মুফতি সাকিবুল ইসলাম কাসেমী আওয়ার ইসলামকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর সোয়া দুইটার দিকে তিনি রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর।
এর আগে গতরাত থেকে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করলে আজ ভোরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।’

তিনি জানান, আজ রাত ১০টায় হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী রহ. -এর নিজ হাতে সাজানো ইলমি বাগান জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম গনেরগাঁও শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্স ময়দানেই প্রবীণ এই আলেমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জানাযার নামাজে ইমামতি করবেন তার একমাত্র সাহেবজাদা হাফেজ নেয়ামতুল্লাহ। এরপর মরহুমের অসিয়ত অনুযায়ী গনেরগাঁও শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্স কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী রহ. মৃত্যুকালে এক ছেলে, তিন মেয়ে, অসংখ্য শাগরেদ ও গুণমুগ্ধ রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে নরসিংদীর আলেম সমাজ ও দ্বীন দরদি মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নরসিংদী জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ আলেমেদ্বীন ছিলেন দ্বীনি আন্দোলন-সংগ্রাম ও বুদ্ধিবৃত্তিক পদক্ষেপের অগ্রনায়ক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি তিনি।

তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে হলেও জীবনের প্রায় পুরোটা সময় তিনি কাটিয়েছেন নরসিংদীতে। নরসিংদী জেলার আঞ্চলিক শিক্ষাবোর্ড তানযিমুল মাদারিসিল কওমিয়ার সহসভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

এছাড়া তিনি নবীনগর ওলামা পরিষদের সভাপতি, নরসিংদীর মনোহরদীর প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া আশরাফুল উলুম বড় মির্জাপুর মাদরাসার শায়খুল হাদিসের দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

তিনি নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম সাহেপ্রতাপ ও রেইছা আজীজিয়া কারীমিয়া কওমিয়া মাদরাসা নবাববাড়ীরও প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এক সময়।
তার মৃত্যুতে নরসিংদী জেলার ইলমি অঙ্গনে অপূরণীয় এক শূন্যতা তৈরি হলো।




সংবিধানের দোহাই দিয়ে ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠার কোন সুযোগ নেই: চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সংবিধান মানুষের জন্যে। সংবিধানের জন্য মানুষ নয়। যে সংবিধান মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়, এমন সংবিধান হতে পারে না। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার নিজেদের স্বার্থে সংবিধানকে বার বার সংশোধন করেছে। এখন সংবিধান সংশোধন করলে অসুবিধা কোথায়? কাজেই সংবিধানের দোহাই দিয়ে ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠার কোন সুযোগ নেই।

ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে চিটাগাংরোডস্থ গ্রীণ গার্ডেন মিলনায়তনে শায়েখ (রহ.) এর রাজনৈতিক দর্শন শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।

সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ জোবায়ের আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুর রশীদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর শরীয়াহ উপদেষ্টা মুফতি ওমর ফারুক সন্দীপী, মুফতী বদরুল আলম সিলেটী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, সহ সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারী মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম,নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সেক্রেটারী সুলতান মাহমুদ। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারকে দেশকে সবদিক থেকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করার ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তিনি পাচারকৃত টাকা ফেরত এনে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমার করার দাবি জানান। সেইসাথে পাচারকারীদেরকেও গ্রেফতার এবং সন্ত্রাস, দুর্নীতিবাজ এবং পেশীশক্তিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানিয়ে এ প্রসঙ্গে আইন পাশ করার আহ্বান জানান।

ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, ফজলুল করীম রহ. রাজনীতিতে আদর্শিক ও গুণগত পরিবর্তনে কাজ করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। তিনি ইবাদতের রাজনীতির দর্শন প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তাঁর চিন্তা চেতনা জগৎবাসীর জন্যে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত থাকবে। জাতি তাকে আজীবন স্মরণ রাখবে।

তিনি জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনেই কেবল জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব। এছাড়া ফলপ্রসূ জাতীয় সরকার সম্ভব নয়। আর জাতীয় সরকার ছাড়া দেশকে ছাত্র-জনতার আগামীর বাংলা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। দুর্নীতিবা ও চাঁদাবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ দূর্নীতি করার সাহস না পায়। গণহত্যার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির বিধান পাশ করতে হবে।




‘প্রতিটি হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিডিআর বিদ্রোহ থেকে শুরু করে জুলাই বিপ্লব পর্যন্ত সংগঠিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

শনিবার সকালে চৌমুহনী রেলওয়ে ময়দানে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নোয়াখালী জেলা উত্তর আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।

মামুনুল হক বলেন, বিজয় অর্জন করা যতটা সহজ, স্বাধীনতা রক্ষা করা ততটাই কঠিন- আমাদের সবাইকে সজাগ এবং সোচ্চার থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ক্রীতদাসী ও সেবাদাসী হিসেবে বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা রাখার জন্য ভারতের ১৫ বছরের বাংলাদেশ নীতিকে আমরা ধিক্কার জানাই।

নোয়াখালী জেলা উত্তর সভাপতি মাওলানা মো. সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ, খুরশিদ আলম কাসেমীসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।




পশ্চিমবঙ্গে শুরু ভারী বৃষ্টি, দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি, তৈরি উড়িষ্যাও

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ বুধবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় রূপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে তা স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

উড়িষ্যার ভিতরকণিকা এবং ধামারের মাঝে ঘূর্ণিঝড়ের ‘ল্যান্ডফল’ হতে পারে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এই মুহূর্তে ‘ডানা’ উড়িষ্যার পারাদ্বীপ উপকূল থেকে প্রায় ৫২০ কিলোমিটার, পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৬০০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলার জন্য রাজ্য প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে দুর্যোগের কারণে প্রশাসন থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক কর্মসূচি বাতিল হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) মন্ত্রিসভার বৈঠকে চার মন্ত্রীকে যোগ দিতে নিষেধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জোর দিতে বলা হয়েছে। ঝড়ের কারণে বাতিল হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরও।

দুর্যোগের কারণে কলকাতা, হাওড়া-সহ একাধিক পুরসভায় জরুরি বিভাগকে আগেভাগে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। খোলা হয়েছে একাধিক কন্ট্রোল রুম। রাজ্যের চার মন্ত্রীকে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি তদারকির বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল সংলগ্ন এলাকায়। ওই দুই জেলাতেও আলাদা করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।

প্রবল বৃষ্টির রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে শুক্রবার পর্যন্ত। এই জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট।

কলকাতা পুরসভায় প্রস্তুতি

বুধবার দুপুর থেকে শনিবার পর্যন্ত কলকাতা পুরসভায় জরুরি বিভাগে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিকাশি, বিদ্যুৎ, আলো, উদ্যান, স্বাস্থ্য, নাগরিক সুরক্ষা এবং জঞ্জাল অপসারণ বিভাগকে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।#

পার্সটুডে




তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে এবার জামায়াতের আবেদন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের বিষয়ে রিভিউ আবেদন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (২৩ অক্টোবর) জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এ রিভিউ আবেদন করেন। তাদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

গত ১৬ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিকে গত আগস্ট মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার পৃথক রিভিউ আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানে এরশাদ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন একটি সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন হলেও তখন বিষয়টি সংবিধানে যুক্ত করা হয়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিরোধীদলগুলোর আন্দোলনের চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান এনে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংসদে পাস করে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিন জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। পরে বিএনপি সরকারের সময়ে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট সেই রিট খারিজ হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বৈধ থাকে। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে আপিল করেন রিটকারীরা। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে জরুরি অবস্থা জারির পর গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর ক্ষমতায় থাকার পর এ পদ্ধতির দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ২০১০ সালের ১ মার্চ আপিল বিভাগে ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে আপিল আবেদনকারী এবং রাষ্ট্রপক্ষ ছাড়াও অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে শীর্ষস্থানীয় ৮ জন আইনজীবী বক্তব্য দেন। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও এর পক্ষে মত দেন।

২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে পরবর্তী ১০ম ও ১১তম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আদালত। রায়ে বলা হয় এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে সংসদে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।




সব সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

বুধবার সকালে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৫৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এটি অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’য় রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় গুমট পরিবেশ বিরাজ করছে। থেমে থেমে গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে এবং আকাশ মেঘলাচ্ছন্ন রয়েছে। ভ্যাপসা গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপকূলের মানুষ।

এদিকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উত্তাল হয়ে উঠছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে পানির উচ্চতা। আতঙ্ক বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের।

তাই উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সমুদ্রে সকল প্রকার মাছধরা ট্রলার ও নৌযানগুলোকে নিরাপদ অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।

পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মো. দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বলেন, ‘নদ-নদী ও সাগরে ১১ অক্টোবর থেকে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। বর্তমানে তা বলবৎ আছে। তাই উপকূলের সকল ট্রলারই মহিপুর শিববাড়িয়া নদীতে অবস্থান করে নিষেধাজ্ঞা পালন করছে।’




বায়তুল মোকাররমের নতুন খতিব মুফতি আব্দুল মালেকের বর্ণাঢ্য জীবন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব নিযুক্ত হয়েছেন দেশের বরেণ্য আলেম ইসলামি আইন বিশেষজ্ঞ মুফতি আবদুল মালেক। হাদিসশাস্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণামূলক লেখালেখির জন্য তিনি দেশের গন্ডি পেরিয়ে পুরো মসলিম বিশ্বে সুপরিচিত।

জন্ম ও পরিবার:

মুফতি আবদুল মালেক ১৯৬৯ সালের ২৯ আগস্ট কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার সারাশপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তার পিতা শামসুল হক একজন আলেম ছিলেন। তাঁর বড় ভাই মুফতি আবুল হাসান আব্দুল্লাহ দেশের উচ্চতর গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার পরিচালক।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা:

মুফতি আব্দুল মালেক নিজের পরিবারে কুরআন ও প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন। তারপর তিনি চাঁদপুরের খিড়িহারা কওমি মাদ্রাসায় মিশকাত জামাত পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন।

উচ্চতর শিক্ষা:

১৯৮৮ সালে তিনি পাকিস্তানের জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়ায় দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন। এরপর তিনি এই মাদরাসার উচ্চতর হাদিস বিভাগে ভর্তি হয়ে তিন বছর আব্দুর রশীদ নোমানীর তত্ত্বাবধানে হাদিস অধ্যয়ন করেন। ১৯৯২ সালে তিনি দারুল উলুম করাচিতে ভর্তি হয়ে দুই বছর তাকি উসমানির তত্ত্বাবধানে উচ্চতর ফিকহ ও ফতোয়া অধ্যয়ন করেন।

১৯৯৫ সালে তিনি সৌদি আরব গমন করে আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহর তত্ত্বাবধানে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রায় আড়াই বছর হাদিসশাস্ত্রসহ অন্যান্য গবেষণামূলক কাজের গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবন:

১৯৯৬ সালে তিনি সহ আরও কয়েকজন আলেম ঢাকায় উচ্চতর ইসলামি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাসচিব ও উচ্চতর হাদিস গবেষণা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া ঢাকার শায়খুল হাদিস এবং ঢাকার শান্তিনগরের আজরুন কারিম জামে মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন। কওমি মাদ্রাসার সরকারি স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ২০১২ সালে বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন গঠিত হলে তিনি এর সদস্য মনোনীত হন। ২০১৯ সালে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের জাতীয় চাঁদ দেখা উপকমিটির প্রধান মনোনীত হন।

সাহিত্যকর্ম:

২০০৫ সালে তাঁর তত্ত্বাবধানে মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার মুখপত্র হিসেবে ‘মাসিক আলকাউসার’ প্রকাশিত হয়। এ পত্রিকায় হাদিসশাস্ত্রের নবউদ্ভাবিত বিভ্রান্তির নিরসনমূলক রচনাসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে তার লেখা প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত গ্রন্থাবলি:

মুফতি আব্দুল মালেক বাংলা ও আরবি ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ রচনা করেছেন। তন্মধ্যে উল্লখযোগ্য হলো:

★ আল মাদখাল ইলা উলুমিল হাদিসিশ শরিফ (আরবি: المدخل إلى علوم الحديث الشريف)

★উম্মাহর ঐক্য পথ ও পন্থা (আরবি: وحدة الأمة واتباع السنة)

★আল ওয়াজিজ ফি শাইয়ি মিন মুসত্বলাহিল হাদিসিশ শরিফ (আরবি: الوجيز في شيء من مصطلح الحديث الشريف)

★মুহাদিরাত ফি উলুমুল হাদিস (আরবি: محاضرات في علوم الحديث)

★ ইনায়াতুর রহমান ফি আদাদি আয় আল কুরআন (আরবি: عنايات الرحمن في عدد آي القرآن)

★ তাসাওউফ তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ (আরবি: التصوف بين عرض ونقد)

★ তালিবানে ইলম পথ ও পাথেয় (আরবি: زاد طلاب علم النبوة)

★ ঈমান সবার আগে (আরবি: الإيمان هو ا الأول)

★ প্রচলিত ভুল (আরবি: الأغلاط الشائعة)

★ তাওতিদ আল উখওয়াত আল ঈমানিয়াত বায়নাল মুসলিমিন আজদার বিআলমুহাওলাত মিন তাওহিদ আল আহলাত ওয়াল আয়াদ (আরবি: توطيد الأخوة الإيمانية بين المسلمين أجدر بالمحاولة من توحيد الأهلة والأعياد)

★ নির্বাচিত প্রবন্ধ (আরবি: مجموع البحوث والمقالات)

★ তাবলীগ জামাত: বর্তমান পরিস্থিতি ও উত্তরণের উপায় (আরবি: جماعة التبليغ : الأزمة الراهنة وطريق التقصي عنها)

সম্পাদিত গ্রন্থাবলি:

★ আররুয়াত আসসিকাত আল মুতাকাল্লিম ফিয়হিম বিমা লা ইউজিবু রাদাহুম (আরবি: الرواة الثقات المتكلم فيهم بما لا يوجب ردهم)

★ এসব হাদিস নয় (আরবি: ليس بحديث)[১১]
মাযহাব কী ও কেন? (আরবি: منزلة التقليد في الشريعة الإسلامية)

★ নবীজির নামাজ (আরবি: صلاة النبي)
হাদিসের আলো (আরবি: من صحاح الأحاديث القصار للناشئة الصغار)

★ তাওযীহুল কুরআন (আরবি: تفسير توضيح القرآن)

★ তাকসিম আল আখবার ওয়াদালালাতুহা ইনদাস সাআদাতাল হানাফিয়াহ (আরবি: تقسيم الأخبار ودلالتها عند السادة الحنفية)

★ কিতাবুল জিহাদ (আরবি: كتاب الجهاد)

★ ফজলুল বারী শরহে সহীহ বুখারী (আরবি: فضل الباري شرح صحيح البخاري)

★ ইঞ্জিল ও প্রচলিত ইঞ্জিল একটি পর্যালোচনা (আরবি: كفاية المغتذي في شرح جامع الترمذي)