বরিশালে মুফতি ফয়জুল করীমকে সিটি মেয়র ঘোষণা করুন: চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২০২৩ এর জুনে অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন পতিত ফ্যাসিজমের একটি নিকৃষ্ট মহড়া ছিল। জনরায়কে পদদলিত করতে এবং ভোট জালিয়াতির নগ্ন ও চুড়ান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছিল সেই নির্বাচনে। বরিশাল সিটি নির্বাচন একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও সেই নির্বাচনের ফলাফল জালিয়াতির সাথে পতিত ফ্যাসিবাদের শীর্ষমহলও জড়িত ছিল। তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিলে তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কথায়। একজন প্রার্থীকে রক্তাক্ত করার প্রশ্নে সে বলেছিল, ‘তিনি কি ইন্তেকাল করেছেন?’ কতটা নির্মম ও জঘন্য রসিকতা ছিল।  আওয়ামী লীগ সরকারের একটা বীভৎস উদাহরণ রচিত হয়েছিল সেদিন। এখন সময় এসেছে এর প্রতিকার করার।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, সেই নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের প্রতি যেভাবে জনতার আগ্রহ ও উৎসাহ দেখা গেছে এবং নির্বাচনের দিন সকল বুথ থেকে হাতপাখার এজেন্টদের মারধোর করে বের করে একতরফা ভোট জালিয়াতি করার পরেও অল্পসময়ে হাতপাখায় যে পরিমাণ ভোট পড়েছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, সেই নির্বাচনে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম-ই প্রকৃত বিজয়ী। এই প্রকৃত বিজয়ীকে তার প্রাপ্য দিতে ব্যর্থ হলে জুলাই আন্দোলনের চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাষ্ট্রের মালিক নাগরিকের রায়ের প্রতি অসন্মান করা হবে। তাই হাতপাখার প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে বরিশাল সিটি নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করতে হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাতে ইনসাফের দাবি ছিল তাঁকে তার প্রাপ্য অধিকার রাষ্ট্র স্বউদ্যোগে বুঝিয়ে দেওয়া। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো তা করা হয় নাই। তাই জনতার রায় বাস্তবায়ন করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদের নির্মমতার শিকার ব্যক্তিকেই আদালতে মামলা করতে হলো। আমরা আশা করি, কালবিলম্ব না করে দ্রুততার সাথে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে বরিশাল সিটি করপোরেশনে জনতার রায়ের প্রতি সন্মান রেখে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, জনতার রায়ের প্রতি সন্মান দেখানো এবং জনরায়কে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের সংগ্রাম অবিরত ছিল, আগামীতেও অবিরাম থাকবে; ইনশাআল্লাহ।




সিলেটে মসজিদের ইমামকে ‘রাজকীয় সংবর্ধনা’য় বিদায়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে ইমামতি করে বিদায়ের সময় রাজকীয় সংবর্ধনা পেয়েছেন একজন ইমাম। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের তুরুকভাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমামকে এভাবে বিদায় জানান এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) আয়োজিত অনুষ্ঠানে মসজিদটির ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল মান্নান চৌধুরী অবসর গ্রহণ করায় তাকে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনারসদৃশ ‘রাজকীয় সংবর্ধনা’ দেওয়া হয়। এতে অংশ নেন শত শত মানুষ। এলাকাবাসীর এমন ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ইমাম সাহেব।

মাওলানা আব্দুল মান্নান চৌধুরী গোলাপগঞ্জ উপজেলার রণকেলী দক্ষিণ ভাগ এলাকার বাসিন্দা। ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইমামের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। এর মধ্যে তুরুকভাগ জামে মসজিদে টানা ছয় বছর ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তার অবসর উপলক্ষে তুরুকভাগ তরুণ প্রজন্ম ও গ্রামবাসীর উদ্যোগে এই ব্যতিক্রমী বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে তাকে ক্রেস্ট,স্মরণিকা, হাদিয়া ও নানা উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।

ইমাম সাহেব বলেন, আমি এই ভালোবাসায় সত্যিই বিমোহিত। এতো সম্মান পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আল্লাহ যেন আপনাদের সবাইকে উত্তম প্রতিদান দেন।

বিদায় সংবর্ধনা শেষে মসজিদ থেকে শুরু হয় এক ব্যতিক্রমধর্মী শোভাযাত্রা। যুবসমাজের আয়োজনে রাজকীয় সাজে ইমামকে সুসজ্জিত অবস্থায় তার নিজ বাড়ি রণকেলীতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, মাওলানা মান্নান চৌধুরী শুধু একজন ইমাম নন, ছিলেন ধর্মীয়, নৈতিক ও সামাজিক শিক্ষার অনুপ্রেরণা। তার প্রস্থানে গ্রামবাসীর চোখে ছিল অশ্রু, মনে ছিল কৃতজ্ঞতা।




কিশোরগঞ্জে অটোরিকশার ধাক্কায় মসজিদের ইমাম ও এক কলেজছাত্রী নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

কিশোরগঞ্জে অটোরিকশার ধাক্কায় মসজিদের ইমাম ও এক কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের বটতলা এলাকায় এবং সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের চরশোলাকিয়া বনানী মোড় এলাকায় দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

নিহতরা হলেন মাওলানা মো. আলী আকবর (৫৫) ও শিক্ষার্থী ঊর্মী শিখা (২০)। মো. আলী আকবর জেলা প্রশাসক ডাকবাংলো মসজিদের ইমাম এবং ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের মক্তবের শিক্ষক। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইলের সিংরইল গ্রামে। আর ঊর্মী শিখা শহরের চরশোলাকিয়া এলাকার মো. মহরম আলীর মেয়ে। তিনি গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে শহরের বটতলা এলাকায় কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সামনে রাস্তা পারাপার হওয়ার আলী আকবরকে একটি অটোরিকশা ধাক্কা দিলে তিনি পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেল চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে শিক্ষার্থী ঊর্মী শিখা প্রতিদিন বনানী মোড় এলাকার এক বাসায় দর্জির কাজ শিখতে যান। প্রতিদিনের মতো সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছিলেন তিনি। তখন উল্টোদিক থেকে দ্রুতবেগে আসা একটি অটোরিকশা ঊর্মীকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।




দুর্গাপুরে নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, বিএনপি, সিপিবি, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, শিল্পকলা একাডেমি, পথ পাঠাগার, সময় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এর অংশগ্রহনে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ 1432। সোমবার দিনব্যাপি নানা কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে এ দিবস পালিত যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জাতীয় সংগীত ও বৈশাখের গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিবসের সুচনা ঘটে। পরবর্তিতে এক বর্ণাঢ্য ‘‘বর্ষবরণ শোভাযাত্রা’’ আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাভিদ রেজওয়ানুল কবীরের সভাপতিত্বে উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগণ, বিভিন্ন্ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির সাংবাদিকগণ সহ অন্যান্য সকল দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

এছাড়া সুসঙ্গ সরকারি মহাবিদ্যালয়, দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ, ডন বসকো কলেজ, সুসঙ্গ আদর্শ বিদ্যানিকেতন, এডভান্স মডেল স্কুল, সিপিবি, পথ পাঠাগার, বিরিশিরি বর্ষবরণ উদযাপন কমিটি, দুর্গাপুর ঘুড়ি প্রতিযোগিতা কমিটি, সময় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক পৃথক আলোচনা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, ঘুড়ি উড়ানো সহ লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।




‘আমাদের নববর্ষ, আমাদের সংস্কৃতি’ প্রতিপাদ্যে রাজধানীতে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বরণ করে নিতে ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’রাজধানীতে ‘বাঙলা নবযাত্রা ১৪৩২’ নামে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে এই শোভাযাত্রা বের হয়। এটি মুক্তাঙ্গন থেকে শিল্পকলার দিকে যায়।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন জাতীয় মৎস্য ভবন সড়কে। ‘আমাদের নববর্ষ, আমাদের সংস্কৃতি’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এই উৎসবে রয়েছে রঙিন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, শোভাযাত্রা, মেজবান এবং কবিতা-সংগীত-কথার এক মিলনমেলা।

দুপুর ১২টায় আয়োজন করা হবে ‘বাঙলা মেজবান’ — যেখানে ভাত-গরু-মিষ্টান্নসহ ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য (শুভেচ্ছা মূল্যে)। বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে ‘বাংলা সাংস্কৃতিক উৎসব’, যেখানে সংগীত, কবিতা ও কথন পরিবেশন করবেন দেশজুড়ে খ্যাতিমান শিল্পী, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। এছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনায় উৎসবটি আরও প্রাণবন্ত করে তোলা হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কবি মুহিব খান। আরও উপস্থিত থাকবেন দেশের শতাধিক জনপ্রিয় শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ এবং বরেণ্য আলেম চিন্তাবিদ, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবিগণ। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই উৎসব মূলত বিজাতীয় সংস্কৃতির মোকাবিলায় দেশীয় সংস্কৃতি ছড়িয়ে লক্ষ্যে আয়োজন করা হচ্ছে। জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে এই উৎসব জাতীয় সংস্কৃতির গৌরব ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।




ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতে ওয়াক্‌ফ বিলের ‘বিতর্কিত সংশোধন’ বাতিল ও সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটি এ আহ্বান জানায়।

বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, আধুনিক ভারত রাষ্ট্র গঠন হওয়া এমনকি ভারতে হিন্দুত্ববাদের বিকাশের আগেই ওয়াক্‌ফর প্রচলন ছিল। ভারতসহ এই অঞ্চলের শিক্ষা ও নাগরিক সমাজ গড়ে উঠেছে ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি ব্যবহার করে। সভ্যতা বিকাশের সেই ঐতিহাসিক পদ্ধতিকে বিজেপি সরকার অন্যায্য ও সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসার বশীভূত হয়ে বিকৃত করে ভারতজুড়ে মুসলিম নিধনের নতুন উপলক্ষ তৈরি করেছে।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ‘ভারতের প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদেরও কিছু করণীয় আছে। ভারত ১৯৭১ সালে আমাদের নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আজকে যখন ভারতে মানুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তখন তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই সরকারকে বলব, সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে ভারতকে কঠোর বার্তা দিন। নিরীহ মানুষকে রক্ষায় প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে ভারতে মুসলিম নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তার প্রতিকারে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান করুন।’




নতুন করে আবারো পাসপোর্টে যুক্ত হলো ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশের পাসপোর্টে দীর্ঘদিন ধরে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ বা ইসরায়েল ব্যতীত কথাটি উল্লেখ ছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকার গোপনে এই বিষয়টি পাসপোর্ট থেকে বাদ দিয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সেই কথাটি আবার পাসপোর্টে যুক্ত করল।

রোববার (১৩ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব নীলিমা আফরোজ বলেন, পাসপোর্টে নতুন করে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ বিষয়টি বহাল করা হয়েছে। এ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।

আগে বাংলাদেশের পাসপোর্টে লেখা থাকত, ‘এই পাসপোর্ট বিশ্বের সব দেশের জন্য বৈধ, ইসরায়েল ব্যতীত’। তবে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০২০ সালে দেশে নতুন ই-পাসপোর্ট চালু করলে সেই পাসপোর্টগুলো থেকে এই লেখা বাদ দেয়। এমনকি এ বিষয়ে কোনো ঘোষণাও দেওয়া হয়নি।

এর আগে, শনিবার (১২ এপ্রিল) ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের কর্মসূচি ‘মার্চ ফর গাজা’র ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ (ইসরায়েল ব্যতীত) লেখাটি আবারও উল্লেখ করার দাবি জানানো হয়েছিল।




‘মার্চ ফর গাজা’র ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামায় যা রয়েছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা পাঠ করা হয়েছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েতে ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা পাঠ করেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক। তাঁর মোনাজাতের মাধ্যমে অল্প সময়ে সম্পন্ন হয় গণজমায়েত।

মাহমুদুর রহমানের পাঠ করা ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামাটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম। আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরাক্রমশালী, যিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকারী, যিনি মজলুমের পাশে থাকেন, আর জালেমের পরিণতি নির্ধারণ করেন।

আজ আমরা, বাংলাদেশের জনতা-যারা জুলুমের ইতিহাস জানি, প্রতিবাদের চেতনা ধারণ করি-সমবেত হয়েছি গাজার মৃত্যুভয়হীন জনগণের পাশে দাঁড়াতে। আজকের এই সমাবেশ কেবল প্রতিবাদ নয়, এটি ইতিহাসের সামনে দেওয়া আমাদের জবাব, একটি অঙ্গীকার, একটি শপথ।

এই পদযাত্রা ও গণজমায়েত থেকে আজ আমরা চারটি স্তরে আমাদের দাবিসমূহ উপস্থাপন করব-

আমাদের প্রথম দাবিগুলো জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি।

যেহেতু-জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সকল জাতির অধিকার রক্ষার, দখলদারিত্ব ও গণহত্যা রোধের সংকল্প প্রকাশ করে;

এবং আমরা দেখেছি, গাযায় প্রতিদিন যে রক্তপাত, যে ধ্বংস চলছে, তা কোনো একক সরকারের ব্যর্থতা নয়-বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক ব্যর্থতার ফল; এবং এই ব্যর্থতা শুধু নীরবতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়-বরং পশ্চিমা শক্তিবলয়ের অনেক রাষ্ট্র সরাসরি দখলদার ইজরায়েলকে অস্ত্র, অর্থ ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে এই গণহত্যাকে দীর্ঘস্থায়ী করেছে; এবং এই বিশ্বব্যবস্থা দখলদার ইজরায়েলকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে বরং রক্ষা করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে; সেহেতু আমরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো দাবি জানাচ্ছি।

এবং-গাযা আমাদের জন্য এক আয়না যেখানে আমরা দেখতে পাই, কীভাবে বিশ্বাসী হওয়া মানে কেবল বেঁচে থাকা নয়, সংগ্রামে দৃঢ় থাকা; সেহেতু আমরা এই মাটির মানুষ, এই মুসলিম ভূখণ্ডের নাগরিক, এই কওমের সন্তান এবং সর্বোপরি মুসলিম উম্মাহর সদস্য-একটি অঙ্গীকার করছি:

১। আমরা সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বয়কট করবো-প্রত্যেক সেই পণ্য, কোম্পানি ও শক্তিকে যারা ইজরায়েলের দখলদারিত্বকে টিকিয়ে রাখে;

২। আমরা আমাদের সমাজ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করবো-যারা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সকল প্রতীক ও নিদর্শনকে সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করবে, ইনশাআল্লাহ;

৩। আমরা আমাদের সন্তানদের এমনভাবে গড়ে তুলবো-যারা নিজেদের আদর্শ ও ভূখণ্ড রক্ষায় জান ও মালের সর্বোচ্চ ত্যাগে প্রস্তুত থাকবে;

৪। আমরা বিভাজিত হবো না-কারণ আমরা জানি, বিভক্ত জনগণকে দখল করতে দেরি হয় না।

আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো, যাতে এই বাংলাদেশ কখনো কোনো হিন্দুত্ববাদী প্রকল্পের পরবর্তী গাজায় পরিণত না হয়।

আমরা শুরু করবো নিজেদের ঘর থেকে-ভাষা, ইতিহাস, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সমাজ-সবখানে এই অঙ্গীকারের ছাপ রেখে।

আমরা মনে রাখবো:

গাযার শহীদরা কেবল আমাদের দো’আ চান না-তাঁরা আমাদের প্রস্তুতি চান।

শেষকথা: 

শান্তি বর্ষিত হোক গাযার সম্মানিত অধিবাসীদের উপর-তাঁদের উপর, যাঁরা নজিরবিহীন সবর করেছেন, যাঁরা অবিচল ঈমানের প্রমাণ দিয়েছেন। যাঁরা ধ্বংসস্তূপের মাঝেও প্রতিরোধের আগুন জ্বেলেছেন।

বিশ্বের নীরবতা ও উদাসীনতার যন্ত্রণা হাসিমুখে বুকের মাঝে ধারণ করেছেন। শান্তি বর্ষিত হোক তাদের উপর, যাঁরা নাম রেখে গেছেন ইজ্জতের খতিয়ানে-

শান্তি বর্ষিত হোক হিন্দ রজব, রীম এবং ফাদি আবু সালেহ সহ সকল শহীদেরর উপর, যাঁদের রক্ত দ্বারা গাজার পবিত্রভূমি আরো পবিত্র হয়েছে, যাঁদের চোখে ছিল প্রতিরোধের অগ্নিশিখা।

শান্তি বর্ষিত হোক বাইতুল মাকদিসের গর্বিত অধিবাসীদের উপর, যাঁদের হৃদয়ে এখনো ধ্বনিত হয় ‘আল-কুদস লানা’, আল কুদস আমাদের!

গাজার জনগণকে অভিনন্দন-

আপনারা ঈমান, সবর আর কুরবানীর মহাকাব্য রচনা করেছেন। দুনিয়াকে দেখিয়েছেন-ঈমান আর তাওয়াক্কুলের শক্তি আমরা, বাংলাদেশের মানুষ-শাহ জালাল আর শরীয়াতুল্লাহর ভূমি থেকে দাঁড়িয়ে, আপনাদের সালাম জানাই, আপনাদের শহীদদের প্রতি ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই, আর আমাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় এই দো’আ-হে আল্লাহ, গাজার এই সাহসী জনপদকে তুমি সেই পাথর বানিয়ে দাও, যার উপর গিয়ে ভেঙে পড়বে জায়োনিস্টদের সব ষড়যন্ত্র।

বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ।




 ‘মার্চ ফর গাজা’ ফিলিস্তিনের পতাকায় ছেয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ পুরো ঢাকা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলিদের আগ্রাসন ও নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই যোগ দিচ্ছেন এ মুক্তির মিছিলে। প্যালেস্টাইনবাসীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনের পতাকায় ছেয়ে গেছে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশেপাশে এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর চারপাশ থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করছে মুসলমানরা। হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা আর কপালে কালিমার পতাকা নিয়ে ফিলিস্তিন বাসীদের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে যখন বিক্ষোভ- প্রতিবাদের ঢেউ উঠছে, তখন বাংলাদেশেও ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে আয়োজিত হচ্ছে  ‘মার্চ ফর গাজা’। এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী গণসমাবেশ।

এই কর্মসূচির লক্ষ্য গাজার নিরস্ত্র জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ, বিশ্বজনমত গঠন, এবং মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে সোচ্চার হওয়া।

আজ বিকেল ৩টা থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এতে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। সারা দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক লাখ লোকের সমাগম হতে পারে আজকের এই আয়োজনে।

এই আয়োজনে বিশিষ্টজনদের মধ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট দাঈ শায়খ আহমাদুল্লাহ, প্রখ্যাত বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল করীম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদির, এনসিপির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনূস আহমদ, গাজী আতাউর রহমান, জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম বুলবুল, শিবির সভাপতি জাহিদুর রহমান, সাদিক কায়্যিম, কবি মুহিব খান, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা রেজাউল কারীম আবরার, মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ অনেক বিশিষ্টজন উপস্থিত থাকবেন।




মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে দলমত নির্বিশেষে অংশ নেওয়ার আহবান : খতিব মুফতি আবদুল মালেক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে যে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে তাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঈমানের তাগিদে অংশ নেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক। আগামী শনিবার (১২ এপ্রিল) মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক’র সভাপতিত্বে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে এই কর্মসূচি পালিত হবে।

আজ (১০এপ্রিল বৃহষ্পতিবার) সোস্যাল মিডিয়া (ফেইসবুক)-এ একটি অডিও বার্তায় তিনি সবাইকে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

জাতীয় মসজিদের খতিব বলেন, জায়নবাদী ইসরায়েল ফিলিস্তিনের নিরপরাধ মানুষের ওপর বিশেষ করে নারী শিশুর ওপর যে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে একে গণহত্যা বললেও কম বলা হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এর দ্বারা তারা গোটা মানবতার শত্রুতে পরিণত হয়েছে। এমন অমানবিক পরিস্থিতিতে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করার লক্ষ্যে এবং বর্বরোচিত গণহত্যা ও জাতিগত নিধন বন্ধের দাবিতে আগামী শনিবার ১২ এপ্রিল প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মার্চ ফর গাজার ডাক দেওয়া হয়েছে। দল-মত নির্বিশেষে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করি। আল্লাহ তায়ালা এই প্রচেষ্টা সফল করুন এবং কবুল করুন।
‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিরোনামে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে দেশের শীর্ষ আলেম, দাঈ, স্কলার, ওয়ায়েজ এবং বিভিন্ন অঙ্গনের সেলিব্রেটিরা অংশ নেবেন।

ইতোমধ্যে এই আয়োজন সফল করতে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিশিষ্ট দাঈ শায়েখ আহমাদুল্লাহ, খ্যাতিমান স্কলার মিজানুর রহমান আজহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, বিশিষ্ট ওয়ায়েজ ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, ড. আসাদুল্লাহ আল গালিব, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ শামছুল আলম, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়ক হাসানাত আব্দুল্লাহ, সেলেব্রেটিদের মধ্যে আরজে কিবরিয়া, আইমান সাদিক, তামিম মৃধা, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাহিদ রানা প্রমুখ।

আরও ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বিশিষ্ট স্কলার মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজা, ড. মুখতার আহমদ, ইসলামি আলোচক মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমদ, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের গাজী আতাউর রহমান, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, হেফাজতে ইসলামের আজিজুল হক ইসলামাবাদী, গণপরিষদ আন্দোলনের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুর রহমান শিবলী, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি,

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. ফয়জুল হক, ইসলামিক স্কলার ড. হারুন আজিজী নদভী, শায়খ ওসমান গনি সালেহী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতি আরিফ বিন হাবিব, ড. মুফতি ইউসুফ সুলতান, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মুফতী রেজাউল কারীম আবরার, শায়খ আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা ইয়াহইয়া তাকী, আস-সুন্নাহ ট্রাস্টের উসামা খোন্দকার, মাস্তুল ফাউন্ডেশনের কাজী রিয়াজ রহমান, জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক সাদিক কায়িম প্রমুখ।