ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসন ভাগাভাগির আলোচনায় আট দল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ আটটি দল একসঙ্গে কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এবার দলগুলো আগামী নির্বাচনে একবাক্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

আটটি দল একসঙ্গে হলেও তারা এটাকে কোনো জোট বলতে নারাজ। তারা এটাকে নির্বাচনি সমঝোতা বা মোর্চা বলতে চাচ্ছে। দলগুলো হলো— বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

দলগুলো সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ দফা দাবির আন্দোলন ও প্রার্থী বাছাইয়ের কার্যক্রম একসঙ্গে চলায় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।

ঐক্যভুক্ত দলগুলোর নেতাদের মতে, ডিসেম্বরের শুরুতেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এখন চলছে আসন ভাগাভাগির আলোচনা। কোন দল কত আসনে প্রার্থী দেবে—তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ে চলছে দরকষাকষি। বিভিন্ন দল সম্ভাব্য আসন চাহিদা তুলে ধরলেও সবকিছু নির্ভর করছে আলোচনার ফলাফলের ওপর।

ইসলামি দলগুলোর একাধিক সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, আসন ভাগাভাগি হবে আলোচনার ভিত্তিতে। স্থানীয় অবস্থান ও শক্তিমত্তা বিবেচনায় করা হবে প্রার্থী নির্ধারণ। যেখানে যে দলের অবস্থান শক্তিশালী, তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ঐক্য টিকিয়ে রাখতে সব দলের ‘ত্যাগের মানসিকতা’ প্রয়োজন বলেও দলগুলো মনে করে।

আগামী ফেব্রুয়ারির শুরুতেই দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্রদের অনুপস্থিতিতে একদিকে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা এবং অপর দিকে জামায়াত ও তাদের সঙ্গীদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিলে দৃশ্যপট অন্যদিকে মোড় নিতে পারে বলেও কেউ কেউ মনে করেন।




সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী: সেনাপ্রধান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনকে সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

রবিবার (২৩ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বীরত্বপূর্ণ কাজ ও বাহিনীতে অসামান্য অবদানের জন্য ৬৪ সেনাসদস্যকে পদক এবং ৭৫ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করেন সেনাপ্রধান। এরমধ্যে ২০২৪-২০২৫ ও ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে নানা অবদানের জন্য ৯ জনকে সেনাবাহিনী পদক, ১৭ জনকে অসামান্য সেবা পদক এবং ৩৮ সেনা সদস্যকে বিশিষ্ট সেবা পদক প্রদান করা হয়।

এসময় সেনাপ্রধান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের দেখানো পথ অনুযায়ী দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করে যাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।




আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও আনন্দময় করে তুলতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন।: প্রধান উপদেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও আনন্দময় করে তুলতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুর সেনানিবাসের ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কোর্স-২০২৫ গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ ২৪টি দেশের সামরিক বাহিনীর তরুণ অফিসারদের মধ্যে সনদ তুলে দেন প্রধান

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত এই নির্বাচনকে সত্যিকার অর্থে একটি শান্তিপূর্ণ উৎসব এবং আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত করতে আমাদের সেনাবাহিনীর সহায়তা একান্তভাবে কামনা করছি।

এর আগে তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা স্মরণ করে বলেন, ‘সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং এই কারণে আমি তাদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করি।’

এবারের কোর্সে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের ২৪টি দেশের ৩১১ জন তরুণ সামরিক অফিসার অংশগ্রহণ করেন। কোর্স সম্পন্নকারী অফিসাররা তাদের অর্জিত জ্ঞান ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে কাজে লাগিয়ে দেশের যে কোনো সংকটময় মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

কোর্সে অংশ নেওয়া এক বাংলাদেশি অফিসার বলেন, ‘ডিএসসিএসসি-তে এই কোর্সে আমরা যে নেতৃত্ব, কৌশল এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছি, তা আমাদের দেশের এবং এর বাইরে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করবে। বিশেষ করে যে কোনো জাতীয় সংকটে আমরা আমাদের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করতে প্রস্তুত।’

চীনের এক অফিসার বলেন, ‘বাংলাদেশের এই সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চলেছে। ২৩টি দেশের সহকর্মীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাওয়ায় আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমরা আশা করি, এই জ্ঞান ভবিষ্যতে আমাদের নিজ নিজ দেশকে নিরাপত্তা দিতে কাজে লাগবে।’

বাংলাদেশি আরেক অফিসার বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যে কথাগুলো বলেছেন, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা আশা করি, আমরা যারা এই কোর্স সম্পন্ন করলাম, তারা দেশ রক্ষায় এবং প্রয়োজনে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে, যেমন: একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ায়, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত থাকব।’




ইসলাম কায়েমের জন্য আপনাদের প্রয়োজন নেই, জামায়াতকে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ইসলাম কায়েম করার জন্য আপনাদের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের মানুষ নামাজ, রোজা, হজ-জাকাতে বিশ্বাস করে। নতুন করে আমাদের ধর্ম শেখাতে হবে না।

বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত মুনাফেকি করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনারা কোনো দিন দেশের মঙ্গল চাননি। জিয়াউর রহমান সুযোগ দিয়েছিল বলেই আপনারা রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন। আর সেই দলকে রক্তচক্ষু দেখাবেন, এটা কেউ মেনে নেবে না।

টুকু আরও বলেন, রাখে আল্লাহ মারে কে? শেখ হাসিনা আমাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। এই দেশের অত্যাচারকারী, নিপীড়নকারী, দুর্নীতিবাজ, দেশের সম্পদ লুটকারী সবাই চেয়েছিল টুকু যেন জীবিত না থাকি। আমি ভেবেছি, আমার বন্ধু সাদেক হোসেন খোকা যেমন বিদেশে গিয়ে জীবিত ফিরতে পারে নাই। আমারও মনে হয়, বাক্সের মতো বন্দি হয়ে আসতে হবে।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আপনাদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এবং দেশবাসীর সেবা করার জন্য বিএনপি আমাকে আবারও ধানের শীষ তুলে দিয়েছে। চিরকাল আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো।  নির্বাচিত হলে শ্রমিকদের জন্য যা যা করলে কল্যাণকর, সেসব কিছু করব। আপনাদের সেবা করে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে চাই।

এর আগে বিকেল ৩টায় সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়ে এসে পৌঁছান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এ সময় জেলা, উপজেলা, শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতাকর্মী তাকে সংবর্ধনা দেন। এরপর ছাদখোলা গাড়িতে কড্ডার মোড় থেকে জেলা শহরে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে করতে আসেন।




আ. লীগের লকডাউন প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বিএনপির বিক্ষোভ ও সমাবেশ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা, বিভিন্নস্থানে অগ্নিসংযোগ ও আগামী ‎কালের ডাকা কথিত লকডাউনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দুর্গাপুর পৌর বিএনপি। বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান ফরিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারেজ গণির সঞ্চালনায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি‘র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, যুগ্ন-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আসাদ, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এস এম কাইয়ুম, পৌর যুবদলের আহ্বাযক আবু সিদ্দিক রুক্কু, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইউসুফ খান ও পৌর ও যুবদলের সদস্য সচিব সম্রাট গণি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মির্জা নজরুল সদস্য সচিব হিমেল ছাত্রদল নেতা আলমগীর হোসেন, নুরুজ্জামান জনি সহ বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণ।

বক্তারা বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেশজুড়ে সন্ত্রাস ও নাশকতার রাজনীতি শুরু করেছে। চোরাগুপ্ত ভাবে থাকা ছাত্রলীগ-যুবলীগ দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে। আগামীকালের কথিত লকডাউন সাধারণ জনগণ কোনোভাবেই সফল হতে দেবে না। দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেয়া অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।




নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে কানাডীয় সাত সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধিদল।

বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাতে প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান। সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহযোগিতা আরও জোরদার করা এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা এই প্রতিনিধিদলকে দেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ও আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, আপনারা এমন এক সময় বাংলাদেশে এসেছেন, যখন দেশটি এক ঐতিহাসিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে—একটি তরুণ-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে। এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে।

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি কানাডার দীর্ঘদিনের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের আট বছর পেরিয়ে গেছে। তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনই একমাত্র টেকসই সমাধান—এর কোনো বিকল্প নেই। প্রায় ১২ লাখ মানুষ এখানে বসবাস করছে। হাজার হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে, বড় হচ্ছে—কিন্তু তারা জানে না তাদের নাগরিকত্ব কী, ভবিষ্যৎ কী। তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। এখন আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান জানান, তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বক্তব্য দেবেন এবং এ বিষয়ে কানাডার অব্যাহত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলছি। এটি একটি গুরুতর মানবিক উদ্বেগের বিষয়। বিশ্বের উচিত তাদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগী হওয়া।

তিনি প্রফেসর ইউনুসকে ধন্যবাদ জানান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তার অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য।

প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সংসদ সদস্য সালমা জাহিদ (স্কারবোরো সেন্টার–ডন ভ্যালি ইস্ট, লিবারেল), সামির জুবেরি—বৈচিত্র্য, অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক মন্ত্রীর সংসদীয় সচিব এবং পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য; মাহমুদা খান, হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনালের (এইচসিআই) গ্লোবাল সিইও; মাসুম মাহবুব, হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ (এইচসিইউএসএ)-এর সিইও; আহমদ আতিয়া, জেস্টাল্ট কমিউনিকেশনসের সিইও; এবং উসামা খান, ইসলামিক রিলিফ কানাডার সিইও।




প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব গেল মন্ত্রণালয়ে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে বছরে অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৮৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

সম্প্রতি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে লিখিতভাবে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এর আগে একই প্রস্তাব অর্থ বিভাগেও পাঠানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কাজের পরিমাণ ও গুণগত মান আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তাছাড়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার বিষয়ে সম্মতি থাকায়, সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা যৌক্তিক বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।

বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। প্রস্তাব অনুযায়ী ১১তম গ্রেডে উন্নীত হলে প্রত্যেকের বেতন গড়ে কয়েক হাজার টাকা বৃদ্ধি পাবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি ও পেশাগত মর্যাদা বিবেচনায় নিয়েই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। এখন অর্থ বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদনের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

এরই মধ্যে ৩ দফা দাবিতে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।

তাদের তিন দফা দাবি হলো:
১️. সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন প্রদান,
২️. উচ্চতর গ্রেডের জটিলতার স্থায়ী সমাধান,
৩️. সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত। চলমান কর্মবিরতির কারণে দ্বিতীয় দিনেও এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সরকার প্রধান শিক্ষকদের ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সহকারী শিক্ষকরা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন।




আশঙ্কার কোনো কারণ নেই, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে: আইন উপদেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর।

আজ (রোববার) সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিস পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর বা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য অনেক কথা বলে। কিছু কথা তারা আন্তরিকভাবেও বলে। সব শুনে মনে হতে পারে নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা আছে। কিন্তু আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। এটাকে বিলম্বিত করার কোনো ইস্যু আছে বলে আমরা মনে করি না। এ নিয়ে দ্বিতীয় কোনো চিন্তা বা না হলে কী হবে, তা আমরা মাথায় রাখছি না।’

নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যে যা-ই বলুক, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, তারা নির্বাচনীব্যবস্থায় বিশ্বাস করেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের প্রতি আস্থা ও আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা যা করণীয়, সবই করব।’

দেশে দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ভোট দিতে না পারায় মানুষের ‘ভোটের অভ্যাস’ চলে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, ‘দেশে অনেক মানুষ আছে, যাদের বয়স ৩২ থেকে ৩৪ বছর, কিন্তু জীবনে একবারও ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। সম্ভবত প্রায় ৫ কোটি মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। নির্বাচন দেরি থাকলেও এর মধ্যেই পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে, মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।’

আইন উপদেষ্টা তার রাজশাহী সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, ‘গতকাল টিটিসি পরিদর্শনে এসেছিলাম। আজ এসেছি লিগ্যাল এইড অফিস দেখতে। আমরা লিগ্যাল এইড সহায়তায় বড় পরিবর্তন এনেছি। আইনগত সহায়তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’

আইন উপদেষ্টা জানান, মামলার চাপ কমাতে একজন বিচারকের জায়গায় তিনজন বিচারক দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ২০টি জেলাকে বাছাই করে এর মধ্যে ১২টিতে পরীক্ষামূলকভাবে (পাইলটিং) কাজ চলছে। রাজশাহীতেও খুব দ্রুত এ কার্যক্রম শুরু হবে।

রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসের স্থান সংকুলানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক আমাদের বারান্দার দিকে কয়েকটি কক্ষ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আইনগত সংস্কারের প্রভাব তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যায় না, কিন্তু এতে মানুষের খুব উপকার হবে। মামলার খরচ ও ঝামেলা কমে যাবে।’

আসামিদের জামিন পাওয়া না-পাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জামিন শুধু বিচারকের ওপর নির্ভর করে না, পুলিশ কী প্রতিবেদন দিচ্ছে তার ওপরও নির্ভর করে। ভিডিও ফুটেজ বা কণ্ঠস্বর শোনার মতো প্রমাণ থাকলে ব্যতিক্রম হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে জামিন পাওয়ার যোগ্য, সেখানে জামিন পেতেই পারে। তবে যারা জামিন পেয়ে একই ধরনের অপরাধ করতে পারে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে পারে বা নিষিদ্ধ সংগঠনের তৎপরতা চালাতে পারে, তাদের বেশি জামিন হলে আমরা আতঙ্কিত হব।’




আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো জোট গঠন করবে না বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী: ডা. শফিকুর রহমান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো জোট গঠন করবে না বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, জামায়াত এবার জোট নয়, বরং নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটবে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা কোনো জোট করার সিদ্ধান্ত নিইনি, জোট করবও না। তবে নির্বাচনী সমঝোতা করতে পারি। শুধু ইসলামী দল নয়, দেশপ্রেমিক ও প্রতিশ্রুতিশীল যারা আছেন, তারা সবাই এতে যুক্ত হচ্ছেন। আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে দেশ গড়ে তুলতে।”

তিনি আরও বলেন, “গণভোট আগে না হলে জাতীয় নির্বাচন কিসের ভিত্তিতে হবে? আমরা চাই গণভোট আগে হোক এবং জুলাই সনদ আইনিভিত্তি পাক।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন আদায় করতে হবে, নইলে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে।”

দলীয় রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করে জামায়াত আমির বলেন, “আওয়ামী লীগ নিজেরাই তো নির্বাচন চায়নি। তাদের ওপর জোর করে নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া কোনো সমাধান নয়। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করা ঠিক হবে না।”

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “গণতন্ত্রের সৌন্দর্যই হলো একাধিক দল ও আদর্শের অংশগ্রহণ। আমাদের প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পি আর) পদ্ধতির দাবি জনগণের জন্যই। বিশ্বের বহু দেশে এই পদ্ধতি ফ্যাসিবাদ রোধে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। জনগণ যদি এটাকে সমর্থন করে, তাহলে দেশে আর স্বৈরাচার ফিরে আসবে না।”

সাম্প্রতিক বিদেশ সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিদেশে প্রবাসীদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাদের বুকভরা ভালোবাসা ও প্রত্যাশা এই জাতির প্রতি। তারা সম্মান ও অংশগ্রহণ চায়, বিনিময়ে কিছু নয়।”

তৃতীয় মেয়াদে জামায়াতের আমির নির্বাচিত হওয়ার পর এদিনই প্রথম নিজ জন্মভূমি সিলেটে ফিরে আসেন তিনি। বিমানবন্দরে দলীয় নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন ডা. শফিকুর রহমান।




দুর্দশাগ্রস্ত শরিয়াহ ভিত্তিক ৫ ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

দুর্দশাগ্রস্ত ৫ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করে একটি বৃহৎ ইসলামি ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষে ব্যাংকগুলোর বোর্ড ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের চিঠি দিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বোর্ড ভেঙে দেওয়া ব্যাংকগুলো হলো- এক্সিম, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ ৫ ব্যাংকের মধ্যে ৪টি মালিকানায় ছিল এস আলম। একটির মালিকানায় ছিল নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ওই সময়ে ব্যাংকগুলো থেকে নামে-বেনামে হাজার হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়। ফলে ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে।

এতে গ্রাহকের জমানো অর্থ ফেরত দিতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে এসব ব্যাংকে একীভূত করার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সরকারও সম্মতি দিয়েছে।