আবুল সরকারের শাস্তির দাবিতে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাউল আবুল সরকারের মহান আল্লাহ, কুরআন ও ইসলাম নিয়ে চরম কটূক্তির প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুলসংখ্যক তৌহিদি জনতা অংশগ্রহণ করেন।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর পল্টন জোনের উদ্যোগে এই সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, আবুল সরকার যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, তা কোনো মুসলমান কখনো মেনে নিতে পারে না। এটি শুধু ধর্ম অবমাননা নয়, বরং মুসলমানদের ঈমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য আঘাত। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল জোনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতি জুবায়ের রশিদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী ও মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাস‌উদ খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি ফখরুল ইসলাম,মুফতি জাবের কাসেমী, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা হোসাইন আকন্দ, মুফতি খলিলুর রহমান, মাওলানা জুবায়ের আহমদ, মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার আজমী, মুফতি আসাদুল্লাহ জাকির প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, যারা এই অপরাধীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে, কিংবা তৌহিদী জনতার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে, তাদেরকেও মনে রাখতে হবে—এই দেশের ঈমানদার জনতা নিঃশব্দে বসে থাকবে না। যদি অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও আবুল সরকারের বিচার না হয়, তাহলে তৌহিদী জনতা রাজপথে নামবে এবং প্রয়োজনে দেশ অচল করে দেওয়া হবে।

বক্তারা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ধর্মদ্রোহীদের রক্ষা করা মানেই ইসলামবিদ্বেষীদের মদদ দেওয়া। মুসলমানরা তা কখনো মেনে নেবে না। ইনশাআল্লাহ, এই জাতি উপযুক্ত জবাব দিতে জানে।




প্লট দুর্নীতির ৩ মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ঢাকার পূর্বাচলের নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির পৃথক তিন মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ বছর করে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে একটি মামলায় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে আরেক মামলায় পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের পৃথক তিন মামলায় বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে ২৩ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে একই আদালত আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

 

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে গত ১৪ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আট জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

অপরদিকে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ আরো দু’জনসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। এ মামলায় আদালতে ২৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

রাজধানীর পূর্বাচলে ১০ কাঠার প্লট জালিয়াতির অভিযোগে গত ১২ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরবর্তীতে তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এই তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

এর আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।

গত ১৭ নভেম্বর দুপুরে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন।




ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন!

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবেই যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে। নির্বাচন কত তারিখে হবে সে ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কয়েকটি তারিখ নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে জোরালো মতামত এসেছে ৮ ফেব্রুয়ারির ব্যাপারে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, তিনটি তারিখ বিবেচনায় নিয়ে এগোচ্ছে ইসি। এক্ষেত্রে ৮ ফেব্রুয়ারিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এটি প্রায় চূড়ান্ত। এর বাইরে ৫ ও ১২ ফেব্রুয়ারিকেও ইসি তাদের চিন্তায় রেখেছে। বিগত সময়ে সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন সাধারণ ছুটি থাকলেও এবার পরদিনও ছুটি রাখার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।

কমিশন সূত্র জানায়, পোস্টাল ভোটসহ বেশকিছু বিষয় বিবেচনায় রেখে এবার তফসিল ঘোষণা ও ভোটগ্রহণের মধ্যে বেশি সময় হাতে রাখতে চাইছে কমিশন। অন্যান্য সময় তফসিল থেকে ভোটগ্রহণে সর্বোচ্চ দেড় মাসের মতো ব্যবধান থাকলেও এবার প্রায় দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে ৭ অথবা ৮ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এক অনুষ্ঠানে বলেন, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। একই দিনে ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদকে উদ্ধৃত করে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল একই সঙ্গে ঘোষণা করা হবে।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তের কথা জানান।




দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের কর্মসংস্থানে তিন মন্ত্রণালয়কে ধর্ম উপদেষ্টার ডিও লেটার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওয়ায়ে হাদিসকে ২০১৮ সালে মাস্টার্স সমমান দিয়েছে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। তবে সাত বছরেও এই সনদ কার্যকারিতা পায়নি। সরকারি কিছু দফতরে এই সনদ গ্রহণ করার কথা থাকলেও সেটা করা হয়নি। সনদের স্বীকৃতি দেওয়া আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে বিদায় নিয়েছে গণঅভ্যুত্থানে। প্রায় দেড় বছর ধরে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায়। এই সরকারের আমলে কওমি সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়নের দাবি উঠছে নানা মহল থেকে। কিছু ক্ষেত্র নির্ধারণ করে এই সনদের কার্যকারিতার সুপারিশ করেছে কওমি মাদরাসার বোর্ডসমূহের সর্বোচ্চ অথরিটি আল-হাইয়্যাতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়াও।

এবার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মূল্যায়ন এবং কিছু ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। যদিও বিষয়টি তার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নয়, তবু তিনি এর কার্যকারিতার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এই ধারাবাহিকতায় তিনি তিন মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার বা আধা সরকারি চিঠি পাঠিয়েছেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে তিনটি ডিও লেটার পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি দাওরায়ে হাদিসের সনদধারীদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে সুপারিশ করেছেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারকে লেখা চিঠিতে ধর্ম উপদেষ্টা উল্লেখ করেন-

আপনি নিশ্চয় অবগত রয়েছেন যে, বাংলাদেশে প্রায় ২০ হাজারের অধিক কওমি মাদরাসা রয়েছে। এসকল মাদরাসা হতে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদ লাভ করে থাকেন। গত ১০/০৯/২০১৮ খ্রি. মহান জাতীয় সংসদে ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’ পাস হয় এবং তা একই তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।

আপনার মন্ত্রণালয়াধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইসলাম শিক্ষা’ পাঠ্য বই চালু আছে। মাধ্যমিক স্তরে ইসলাম শিক্ষা পাঠদানের জন্য ‘সহকারী শিক্ষক (ধর্ম)’ নিয়োগদান করা হয়ে থাকে। আরবি বা ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদেরকে বর্ণিত পদে নিয়োগ দানের বিধান রয়েছে। উল্লিখিত পদে নিয়োগ লাভের যোগ্যতা হিসেবে কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে অন্তর্ভুক্ত না করার কারণে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীরা উক্ত পদে নিয়োগ লাভের জন্য আবেদন করতে পারছেন না। ফলে ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’ এর কোনো সুফল দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদধারীরা অদ্যাবধি পাননি। এতে আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে এবং কওমি অঙ্গনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বর্ণিতাবস্থায় ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮ বাস্তবায়ন এবং দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদধারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আপনার মন্ত্রণালয়াধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ‘সহকারী শিক্ষক (ধর্ম)’ বা অনুরূপ পদসমূহে নিয়োগদানের ক্ষেত্রে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগ দানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সহযোগিতা কামনা করছি।

একই বিবরণ সম্বলিত আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯ অনুসারে নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স প্রদান করা হয়ে থাকে। উল্লিখিত বিধিমালায় নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স পাবার যোগ্যতা হিসেবে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা মাদরাসা বোর্ড কর্তৃক নিবন্ধিত কোন মাদরাসা হতে আলিম সার্টিফিকেটধারী হওয়ার বিধান রয়েছে। নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স পাবার ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধানের পাশাপাশি কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে অন্তর্ভূক্ত করা হলে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীরাও উক্ত লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

বর্ণিতাবস্থায় ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮ বাস্তবায়ন এবং দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদধারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আপনার মন্ত্রণালয়াধীন নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদেরকে অগ্রাধিকার দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সহযোগিতা কামনা করছি।

আর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আশরাফ উদ্দিনকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়-

আপনার মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে ‘ধর্মীয় শিক্ষক’ এর পদ রয়েছে। উল্লিখিত পদে আবেদনকারী শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত কোন মাদরাসা হতে ফাজিল পাশের কথা উল্লেখ রয়েছে। কামিল অথবা ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি ইত্যাদি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি পাশ। প্রার্থীদেরকে অগ্রাধিকার দেয়ার বিধান রয়েছে। উল্লিখিত পদে নিয়োগদানের ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধানের পাশাপাশি কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে অন্তর্ভূক্ত করা হলে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীরাও উক্ত পদের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

বর্ণিতাবস্থায়, ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮ বাস্তবায়ন এবং দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদধারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আপনার মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে ‘ধর্মীয় শিক্ষক’ নিয়োগের ক্ষেত্রে দাওরায়ে হাদীস সনদধারীদের নিয়োগ দানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সহযোগিতা কামনা করছি।

প্রসঙ্গত, ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন কওমি মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন। এজন্য নিজ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন না হওয়ার পরও শুরু থেকেই তিনি কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি বাস্তবায়নের ব্যাপারে আন্তরিকতা প্রদর্শন করে আসছেন। তিনি কওমি মাদরাসার সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে বারবার অনুরোধ করেছেন, এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার।

কয়েক মাস আগে হাইয়্যাতুল উলয়ার একটি প্রতিনিধি দল ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ ব্যাপারে করণীয় বলে দেন। পরে তিনিসহ একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং প্রধান উপদেষ্টাকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। সেখানে দাওরায়ে হাদিসের সনদকে কোন কোন ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায় সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করা হয়।




২৬ নভেম্বর, বুধবার চরমোনাই শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিকতার দেশব্যাপী বিস্তৃত, সংগঠিত ও জনপ্রিয় ধারা চরমোনাই তরিকার তিন দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল আগামীকাল বুধবার (২৬ নভেম্বর (বুধবার) শুরু হচ্ছে। গত শতকের ২০ এর দশকে শুরু হওয়া এই ঐতিহ্যবাহী মাহফিল প্রতি বছর অগ্রহায়ণ ও ফাল্গুন মাসে অনুষ্ঠিত হয়।

আগামীকাল জোহরের নামাজের পরে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির প্রধান আমীরুল মুজাহিদিন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই-র উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে মাহফিলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। তিন দিনব্যাপী মাহফিলে প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় মোট সাতটি প্রধান বয়ান অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী ও সমাপনী বয়ান পেশ করেন পীর সাহেব চরমোনাই আর মাঝের তিনটি বয়ান পেশ করেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, শায়েখে চরমোনাই। এছাড়াও দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম বিভিন্ন সময়ে বয়ান করেন।

চরমোনাই জামেয়া রশিদিয়া আহসানাবাদ কর্তৃক আয়োজিত মাহফিলের ব্যবস্থাপনায় থাকে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি। মাহফিলের ২য় দিন ২৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে দশটা থেকে দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ৩য় দিন একই সময়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।

১৯২৪ সালে মাহফিলের সূচনা হয়। কালক্রমে এই মাহফিল ও এই আধ্যাত্মিকধারা দেশের প্রধানতম আধ্যাত্মিকধারায় পরিণত হয়। এই ধারারই প্রধান মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম রাহিমাহুল্লাহ ১৯৮৭ সালে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন নামে প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেন যা এখন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নামে পরিচিত। বাংলাদেশের আধ্যাত্মিকতা ও রাজনীতিতে এই মাহফিল ও ধারার শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে।

মাহফিলে আগত মুসল্লিদের সেবা ও শৃঙ্খলার জন্য সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। চিকিৎসার জন্য একশত শয্যার হাসপাতাল রয়েছে যেখানে দেশের শীর্ষ চিকিৎসকগণ সার্বক্ষণিক জরুরী সেবা প্রদান করবেন। দুইটি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সসহ পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে রোগীদের জরুরি স্থানান্তরের জন্য। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ-আনসার বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত থাকবে। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল সদাপ্রস্তত অবস্থায় থাকবে।




ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসন ভাগাভাগির আলোচনায় আট দল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ আটটি দল একসঙ্গে কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এবার দলগুলো আগামী নির্বাচনে একবাক্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

আটটি দল একসঙ্গে হলেও তারা এটাকে কোনো জোট বলতে নারাজ। তারা এটাকে নির্বাচনি সমঝোতা বা মোর্চা বলতে চাচ্ছে। দলগুলো হলো— বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

দলগুলো সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ দফা দাবির আন্দোলন ও প্রার্থী বাছাইয়ের কার্যক্রম একসঙ্গে চলায় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।

ঐক্যভুক্ত দলগুলোর নেতাদের মতে, ডিসেম্বরের শুরুতেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এখন চলছে আসন ভাগাভাগির আলোচনা। কোন দল কত আসনে প্রার্থী দেবে—তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ে চলছে দরকষাকষি। বিভিন্ন দল সম্ভাব্য আসন চাহিদা তুলে ধরলেও সবকিছু নির্ভর করছে আলোচনার ফলাফলের ওপর।

ইসলামি দলগুলোর একাধিক সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, আসন ভাগাভাগি হবে আলোচনার ভিত্তিতে। স্থানীয় অবস্থান ও শক্তিমত্তা বিবেচনায় করা হবে প্রার্থী নির্ধারণ। যেখানে যে দলের অবস্থান শক্তিশালী, তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ঐক্য টিকিয়ে রাখতে সব দলের ‘ত্যাগের মানসিকতা’ প্রয়োজন বলেও দলগুলো মনে করে।

আগামী ফেব্রুয়ারির শুরুতেই দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্রদের অনুপস্থিতিতে একদিকে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা এবং অপর দিকে জামায়াত ও তাদের সঙ্গীদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিলে দৃশ্যপট অন্যদিকে মোড় নিতে পারে বলেও কেউ কেউ মনে করেন।




সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী: সেনাপ্রধান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনকে সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

রবিবার (২৩ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বীরত্বপূর্ণ কাজ ও বাহিনীতে অসামান্য অবদানের জন্য ৬৪ সেনাসদস্যকে পদক এবং ৭৫ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করেন সেনাপ্রধান। এরমধ্যে ২০২৪-২০২৫ ও ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে নানা অবদানের জন্য ৯ জনকে সেনাবাহিনী পদক, ১৭ জনকে অসামান্য সেবা পদক এবং ৩৮ সেনা সদস্যকে বিশিষ্ট সেবা পদক প্রদান করা হয়।

এসময় সেনাপ্রধান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের দেখানো পথ অনুযায়ী দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করে যাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।




আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও আনন্দময় করে তুলতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন।: প্রধান উপদেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও আনন্দময় করে তুলতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুর সেনানিবাসের ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কোর্স-২০২৫ গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ ২৪টি দেশের সামরিক বাহিনীর তরুণ অফিসারদের মধ্যে সনদ তুলে দেন প্রধান

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত এই নির্বাচনকে সত্যিকার অর্থে একটি শান্তিপূর্ণ উৎসব এবং আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত করতে আমাদের সেনাবাহিনীর সহায়তা একান্তভাবে কামনা করছি।

এর আগে তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা স্মরণ করে বলেন, ‘সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং এই কারণে আমি তাদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করি।’

এবারের কোর্সে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের ২৪টি দেশের ৩১১ জন তরুণ সামরিক অফিসার অংশগ্রহণ করেন। কোর্স সম্পন্নকারী অফিসাররা তাদের অর্জিত জ্ঞান ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে কাজে লাগিয়ে দেশের যে কোনো সংকটময় মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

কোর্সে অংশ নেওয়া এক বাংলাদেশি অফিসার বলেন, ‘ডিএসসিএসসি-তে এই কোর্সে আমরা যে নেতৃত্ব, কৌশল এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছি, তা আমাদের দেশের এবং এর বাইরে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করবে। বিশেষ করে যে কোনো জাতীয় সংকটে আমরা আমাদের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করতে প্রস্তুত।’

চীনের এক অফিসার বলেন, ‘বাংলাদেশের এই সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চলেছে। ২৩টি দেশের সহকর্মীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাওয়ায় আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমরা আশা করি, এই জ্ঞান ভবিষ্যতে আমাদের নিজ নিজ দেশকে নিরাপত্তা দিতে কাজে লাগবে।’

বাংলাদেশি আরেক অফিসার বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যে কথাগুলো বলেছেন, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা আশা করি, আমরা যারা এই কোর্স সম্পন্ন করলাম, তারা দেশ রক্ষায় এবং প্রয়োজনে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে, যেমন: একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ায়, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত থাকব।’




ইসলাম কায়েমের জন্য আপনাদের প্রয়োজন নেই, জামায়াতকে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ইসলাম কায়েম করার জন্য আপনাদের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের মানুষ নামাজ, রোজা, হজ-জাকাতে বিশ্বাস করে। নতুন করে আমাদের ধর্ম শেখাতে হবে না।

বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত মুনাফেকি করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনারা কোনো দিন দেশের মঙ্গল চাননি। জিয়াউর রহমান সুযোগ দিয়েছিল বলেই আপনারা রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন। আর সেই দলকে রক্তচক্ষু দেখাবেন, এটা কেউ মেনে নেবে না।

টুকু আরও বলেন, রাখে আল্লাহ মারে কে? শেখ হাসিনা আমাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। এই দেশের অত্যাচারকারী, নিপীড়নকারী, দুর্নীতিবাজ, দেশের সম্পদ লুটকারী সবাই চেয়েছিল টুকু যেন জীবিত না থাকি। আমি ভেবেছি, আমার বন্ধু সাদেক হোসেন খোকা যেমন বিদেশে গিয়ে জীবিত ফিরতে পারে নাই। আমারও মনে হয়, বাক্সের মতো বন্দি হয়ে আসতে হবে।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আপনাদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এবং দেশবাসীর সেবা করার জন্য বিএনপি আমাকে আবারও ধানের শীষ তুলে দিয়েছে। চিরকাল আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো।  নির্বাচিত হলে শ্রমিকদের জন্য যা যা করলে কল্যাণকর, সেসব কিছু করব। আপনাদের সেবা করে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে চাই।

এর আগে বিকেল ৩টায় সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়ে এসে পৌঁছান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এ সময় জেলা, উপজেলা, শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতাকর্মী তাকে সংবর্ধনা দেন। এরপর ছাদখোলা গাড়িতে কড্ডার মোড় থেকে জেলা শহরে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে করতে আসেন।




আ. লীগের লকডাউন প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বিএনপির বিক্ষোভ ও সমাবেশ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা, বিভিন্নস্থানে অগ্নিসংযোগ ও আগামী ‎কালের ডাকা কথিত লকডাউনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দুর্গাপুর পৌর বিএনপি। বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান ফরিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারেজ গণির সঞ্চালনায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি‘র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, যুগ্ন-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আসাদ, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এস এম কাইয়ুম, পৌর যুবদলের আহ্বাযক আবু সিদ্দিক রুক্কু, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইউসুফ খান ও পৌর ও যুবদলের সদস্য সচিব সম্রাট গণি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মির্জা নজরুল সদস্য সচিব হিমেল ছাত্রদল নেতা আলমগীর হোসেন, নুরুজ্জামান জনি সহ বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণ।

বক্তারা বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেশজুড়ে সন্ত্রাস ও নাশকতার রাজনীতি শুরু করেছে। চোরাগুপ্ত ভাবে থাকা ছাত্রলীগ-যুবলীগ দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে। আগামীকালের কথিত লকডাউন সাধারণ জনগণ কোনোভাবেই সফল হতে দেবে না। দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেয়া অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।