ইসলাম কায়েমের জন্য আপনাদের প্রয়োজন নেই, জামায়াতকে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ইসলাম কায়েম করার জন্য আপনাদের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের মানুষ নামাজ, রোজা, হজ-জাকাতে বিশ্বাস করে। নতুন করে আমাদের ধর্ম শেখাতে হবে না।

বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত মুনাফেকি করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনারা কোনো দিন দেশের মঙ্গল চাননি। জিয়াউর রহমান সুযোগ দিয়েছিল বলেই আপনারা রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন। আর সেই দলকে রক্তচক্ষু দেখাবেন, এটা কেউ মেনে নেবে না।

টুকু আরও বলেন, রাখে আল্লাহ মারে কে? শেখ হাসিনা আমাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। এই দেশের অত্যাচারকারী, নিপীড়নকারী, দুর্নীতিবাজ, দেশের সম্পদ লুটকারী সবাই চেয়েছিল টুকু যেন জীবিত না থাকি। আমি ভেবেছি, আমার বন্ধু সাদেক হোসেন খোকা যেমন বিদেশে গিয়ে জীবিত ফিরতে পারে নাই। আমারও মনে হয়, বাক্সের মতো বন্দি হয়ে আসতে হবে।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আপনাদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এবং দেশবাসীর সেবা করার জন্য বিএনপি আমাকে আবারও ধানের শীষ তুলে দিয়েছে। চিরকাল আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো।  নির্বাচিত হলে শ্রমিকদের জন্য যা যা করলে কল্যাণকর, সেসব কিছু করব। আপনাদের সেবা করে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে চাই।

এর আগে বিকেল ৩টায় সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়ে এসে পৌঁছান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এ সময় জেলা, উপজেলা, শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতাকর্মী তাকে সংবর্ধনা দেন। এরপর ছাদখোলা গাড়িতে কড্ডার মোড় থেকে জেলা শহরে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে করতে আসেন।




আ. লীগের লকডাউন প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বিএনপির বিক্ষোভ ও সমাবেশ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা, বিভিন্নস্থানে অগ্নিসংযোগ ও আগামী ‎কালের ডাকা কথিত লকডাউনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দুর্গাপুর পৌর বিএনপি। বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান ফরিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারেজ গণির সঞ্চালনায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি‘র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, যুগ্ন-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আসাদ, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এস এম কাইয়ুম, পৌর যুবদলের আহ্বাযক আবু সিদ্দিক রুক্কু, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইউসুফ খান ও পৌর ও যুবদলের সদস্য সচিব সম্রাট গণি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মির্জা নজরুল সদস্য সচিব হিমেল ছাত্রদল নেতা আলমগীর হোসেন, নুরুজ্জামান জনি সহ বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণ।

বক্তারা বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেশজুড়ে সন্ত্রাস ও নাশকতার রাজনীতি শুরু করেছে। চোরাগুপ্ত ভাবে থাকা ছাত্রলীগ-যুবলীগ দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে। আগামীকালের কথিত লকডাউন সাধারণ জনগণ কোনোভাবেই সফল হতে দেবে না। দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেয়া অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।




নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে কানাডীয় সাত সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধিদল।

বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাতে প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান। সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহযোগিতা আরও জোরদার করা এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা এই প্রতিনিধিদলকে দেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ও আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, আপনারা এমন এক সময় বাংলাদেশে এসেছেন, যখন দেশটি এক ঐতিহাসিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে—একটি তরুণ-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে। এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে।

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি কানাডার দীর্ঘদিনের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের আট বছর পেরিয়ে গেছে। তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনই একমাত্র টেকসই সমাধান—এর কোনো বিকল্প নেই। প্রায় ১২ লাখ মানুষ এখানে বসবাস করছে। হাজার হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে, বড় হচ্ছে—কিন্তু তারা জানে না তাদের নাগরিকত্ব কী, ভবিষ্যৎ কী। তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। এখন আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান জানান, তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বক্তব্য দেবেন এবং এ বিষয়ে কানাডার অব্যাহত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলছি। এটি একটি গুরুতর মানবিক উদ্বেগের বিষয়। বিশ্বের উচিত তাদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগী হওয়া।

তিনি প্রফেসর ইউনুসকে ধন্যবাদ জানান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তার অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য।

প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সংসদ সদস্য সালমা জাহিদ (স্কারবোরো সেন্টার–ডন ভ্যালি ইস্ট, লিবারেল), সামির জুবেরি—বৈচিত্র্য, অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক মন্ত্রীর সংসদীয় সচিব এবং পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য; মাহমুদা খান, হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনালের (এইচসিআই) গ্লোবাল সিইও; মাসুম মাহবুব, হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ (এইচসিইউএসএ)-এর সিইও; আহমদ আতিয়া, জেস্টাল্ট কমিউনিকেশনসের সিইও; এবং উসামা খান, ইসলামিক রিলিফ কানাডার সিইও।




প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব গেল মন্ত্রণালয়ে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে বছরে অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৮৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

সম্প্রতি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে লিখিতভাবে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এর আগে একই প্রস্তাব অর্থ বিভাগেও পাঠানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কাজের পরিমাণ ও গুণগত মান আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তাছাড়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার বিষয়ে সম্মতি থাকায়, সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা যৌক্তিক বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।

বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। প্রস্তাব অনুযায়ী ১১তম গ্রেডে উন্নীত হলে প্রত্যেকের বেতন গড়ে কয়েক হাজার টাকা বৃদ্ধি পাবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি ও পেশাগত মর্যাদা বিবেচনায় নিয়েই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। এখন অর্থ বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদনের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

এরই মধ্যে ৩ দফা দাবিতে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।

তাদের তিন দফা দাবি হলো:
১️. সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন প্রদান,
২️. উচ্চতর গ্রেডের জটিলতার স্থায়ী সমাধান,
৩️. সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত। চলমান কর্মবিরতির কারণে দ্বিতীয় দিনেও এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সরকার প্রধান শিক্ষকদের ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সহকারী শিক্ষকরা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন।




আশঙ্কার কোনো কারণ নেই, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে: আইন উপদেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর।

আজ (রোববার) সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিস পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর বা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য অনেক কথা বলে। কিছু কথা তারা আন্তরিকভাবেও বলে। সব শুনে মনে হতে পারে নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা আছে। কিন্তু আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। এটাকে বিলম্বিত করার কোনো ইস্যু আছে বলে আমরা মনে করি না। এ নিয়ে দ্বিতীয় কোনো চিন্তা বা না হলে কী হবে, তা আমরা মাথায় রাখছি না।’

নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যে যা-ই বলুক, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, তারা নির্বাচনীব্যবস্থায় বিশ্বাস করেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের প্রতি আস্থা ও আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা যা করণীয়, সবই করব।’

দেশে দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ভোট দিতে না পারায় মানুষের ‘ভোটের অভ্যাস’ চলে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, ‘দেশে অনেক মানুষ আছে, যাদের বয়স ৩২ থেকে ৩৪ বছর, কিন্তু জীবনে একবারও ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। সম্ভবত প্রায় ৫ কোটি মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। নির্বাচন দেরি থাকলেও এর মধ্যেই পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে, মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।’

আইন উপদেষ্টা তার রাজশাহী সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, ‘গতকাল টিটিসি পরিদর্শনে এসেছিলাম। আজ এসেছি লিগ্যাল এইড অফিস দেখতে। আমরা লিগ্যাল এইড সহায়তায় বড় পরিবর্তন এনেছি। আইনগত সহায়তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’

আইন উপদেষ্টা জানান, মামলার চাপ কমাতে একজন বিচারকের জায়গায় তিনজন বিচারক দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ২০টি জেলাকে বাছাই করে এর মধ্যে ১২টিতে পরীক্ষামূলকভাবে (পাইলটিং) কাজ চলছে। রাজশাহীতেও খুব দ্রুত এ কার্যক্রম শুরু হবে।

রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসের স্থান সংকুলানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক আমাদের বারান্দার দিকে কয়েকটি কক্ষ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আইনগত সংস্কারের প্রভাব তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যায় না, কিন্তু এতে মানুষের খুব উপকার হবে। মামলার খরচ ও ঝামেলা কমে যাবে।’

আসামিদের জামিন পাওয়া না-পাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জামিন শুধু বিচারকের ওপর নির্ভর করে না, পুলিশ কী প্রতিবেদন দিচ্ছে তার ওপরও নির্ভর করে। ভিডিও ফুটেজ বা কণ্ঠস্বর শোনার মতো প্রমাণ থাকলে ব্যতিক্রম হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে জামিন পাওয়ার যোগ্য, সেখানে জামিন পেতেই পারে। তবে যারা জামিন পেয়ে একই ধরনের অপরাধ করতে পারে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে পারে বা নিষিদ্ধ সংগঠনের তৎপরতা চালাতে পারে, তাদের বেশি জামিন হলে আমরা আতঙ্কিত হব।’




আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো জোট গঠন করবে না বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী: ডা. শফিকুর রহমান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো জোট গঠন করবে না বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, জামায়াত এবার জোট নয়, বরং নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটবে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা কোনো জোট করার সিদ্ধান্ত নিইনি, জোট করবও না। তবে নির্বাচনী সমঝোতা করতে পারি। শুধু ইসলামী দল নয়, দেশপ্রেমিক ও প্রতিশ্রুতিশীল যারা আছেন, তারা সবাই এতে যুক্ত হচ্ছেন। আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে দেশ গড়ে তুলতে।”

তিনি আরও বলেন, “গণভোট আগে না হলে জাতীয় নির্বাচন কিসের ভিত্তিতে হবে? আমরা চাই গণভোট আগে হোক এবং জুলাই সনদ আইনিভিত্তি পাক।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন আদায় করতে হবে, নইলে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে।”

দলীয় রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করে জামায়াত আমির বলেন, “আওয়ামী লীগ নিজেরাই তো নির্বাচন চায়নি। তাদের ওপর জোর করে নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া কোনো সমাধান নয়। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করা ঠিক হবে না।”

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “গণতন্ত্রের সৌন্দর্যই হলো একাধিক দল ও আদর্শের অংশগ্রহণ। আমাদের প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পি আর) পদ্ধতির দাবি জনগণের জন্যই। বিশ্বের বহু দেশে এই পদ্ধতি ফ্যাসিবাদ রোধে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। জনগণ যদি এটাকে সমর্থন করে, তাহলে দেশে আর স্বৈরাচার ফিরে আসবে না।”

সাম্প্রতিক বিদেশ সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিদেশে প্রবাসীদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাদের বুকভরা ভালোবাসা ও প্রত্যাশা এই জাতির প্রতি। তারা সম্মান ও অংশগ্রহণ চায়, বিনিময়ে কিছু নয়।”

তৃতীয় মেয়াদে জামায়াতের আমির নির্বাচিত হওয়ার পর এদিনই প্রথম নিজ জন্মভূমি সিলেটে ফিরে আসেন তিনি। বিমানবন্দরে দলীয় নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন ডা. শফিকুর রহমান।




দুর্দশাগ্রস্ত শরিয়াহ ভিত্তিক ৫ ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

দুর্দশাগ্রস্ত ৫ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করে একটি বৃহৎ ইসলামি ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষে ব্যাংকগুলোর বোর্ড ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের চিঠি দিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বোর্ড ভেঙে দেওয়া ব্যাংকগুলো হলো- এক্সিম, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ ৫ ব্যাংকের মধ্যে ৪টি মালিকানায় ছিল এস আলম। একটির মালিকানায় ছিল নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ওই সময়ে ব্যাংকগুলো থেকে নামে-বেনামে হাজার হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়। ফলে ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে।

এতে গ্রাহকের জমানো অর্থ ফেরত দিতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে এসব ব্যাংকে একীভূত করার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সরকারও সম্মতি দিয়েছে।




মাওলানা মামুনুল হকের পছন্দের আসনে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি, নেপথ্যে কী?

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মাওলানা মামুনুল হকের (ইবনে শাইখুল হাদিস) নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কোন জোট বা বলয়ে যাবে সেই আলোচনা চলছে অনেক দিন ধরেই। বর্তমানে দলটি জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল নিয়ে গঠিত প্লাটফর্মে রয়েছে। জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতিসহ পাঁচ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনেও সক্রিয়। তবে আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের কদর রয়েছে বিএনপির কাছে। শেষ পর্যন্ত তিনি এবং তার দল বিএনপি বলয়ে যেতে পারে বলেও গুঞ্জন আছে।

বিএনপি গতকাল প্রাথমিকভাবে ২৩৭টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। বাকি ৬৩টি আসন ফাঁকা রেখেছে দলটি। সেই আসনগুলোর মধ্যে একটি বড় অংশ জোটসঙ্গীদের ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বিএনপি। এছাড়া নিজেদের আভ্যন্তরীণ জটিলতার কারণেও কিছু আসনে প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত রেখেছে দলটি।

বিএনপি যেসব আসনে প্রার্থী দেয়নি এর মধ্যে তিনটি আসন এমন রয়েছে, যেখান থেকে নির্বাচন করার ব্যাপারে নিজের আগ্রহের কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন মাওলানা মামুনুল হক। তবে তিনটি আসনের মধ্যে একটিতে ইতোমধ্যে অন্য দলের একজন প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়ার কথা জানা গেছে।

সম্প্রতি মাওলানা মামুনুল হক জানিয়েছিলেন, তিনি নির্বাচন করার ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে ততটা আগ্রহী না। তবে দল তাকে প্রার্থী করার প্রয়োজন বোধ করলে তিনি নির্বাচন করবেন। সে ক্ষেত্রে তিনটি আসন তার পছন্দের তালিকায় রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ঢাকায় এবং একটি বাগেরহাটে।

মাওলানা মামুনুল হক জানিয়েছিলেন, তার কর্মক্ষেত্র রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় হওয়ায় ঢাকা-১৩ আসনে তিনি প্রার্থী হতে আগ্রহী। তিনি বেড়ে উঠেছেন লালবাগ এলাকায়। সে ক্ষেত্রে ঢাকা-৭ আসনও তার পছন্দের তালিকায় আছে। এছাড়া নানার বাড়ি এবং বাবার কিছুদিনের কর্মস্থল হিসেবে বাগেরহাট-১ আসনেও তিনি নির্বাচন করতে পারেন।

বিএনপি ঘোষিত তালিকায় দেখা যায়, তিনটি আসনই ফাঁকা রাখা হয়েছে। তবে এর মধ্যে মোহাম্মদপুর আসনে ইতোমধ্যে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে এবং তিনি কাজও শুরু করেছেন। বাকি দুটি আসন অবশ্য মাওলানা মামুনুল হকের সঙ্গে সমঝোতা হলে বিএনপি ছাড়তে রাজি বলে জানা গেছে।

মাওলানা মামুনুল হক সম্প্রতি নিজেই জানিয়েছেন, নির্বাচনে তিনি কোন জোট বা বলয়ে যাবেন সেটা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। তবে তিনি আট দলের সঙ্গে আছেন। নির্বাচনি সমঝোতা যে কারও সঙ্গে হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রে বিএনপির সঙ্গেও তার একটা বোঝাপড়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বিষয়টি চূড়ান্ত হতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।




‘দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ (সোমবার) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জুলাই জাতীয় সনদ, সংবিধান সংস্কার চূড়ান্ত করা এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় লক্ষ করা হয়, দীর্ঘদিন আলোচনা করার পরেও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশের বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। এ ছাড়া গণভোট কবে ও তার বিষয়বস্তু কী হবে—এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

আসিফ নজরুল বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, কবে অনুষ্ঠিত হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমত প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে—এগুলোসহ ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়। এসব ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলো নিজ উদ্যোগ নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে, সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত সহজ হবে।

আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। সেটি সভায় বিবেচনায় রাখা হয়। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

প্রশ্নের জবাবে যা বললে আইন উপদেষ্টা

সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক জানতে চান, কবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি হতে পারে?

জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে একটু সময় দিতে চাই। যে বিষয়টি উল্লেখ করলাম, আমরা একটু দেখি।’

রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার জন্য এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। তারা যদি আলোচনায় ব্যর্থ হয়, তাহলে সরকার কী করবে, কী সিদ্ধান্ত নেবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা কোনো আলটিমেটাম দিইনি, আহ্বান জানিয়েছি। আমরা অপেক্ষা করব। তারপর সরকার সরকারের মতো পদক্ষেপ নেবে।’

সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য আলোচনার আয়োজন করে দেবে কি না— এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, সরকার বহু আলোচনা করেছে। সরকার আর কোনো আয়োজন করতে যাচ্ছে না। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ১৫ বছরে আলোচনা করে বহু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ে একসঙ্গে আন্দোলন করেছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তারা নিজেরা আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা সরকার করছে।

আরেকজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, একটি বড় রাজনৈতিক দলের পক্ষে অভিযোগ করা হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশনে যে বিষয়গুলো আলাপ-আলোচনা করা হয়েছিল, বাস্তবায়ন সুপারিশে এসে, সেই আলাপ-আলোচনার বিষয়গুলোর ব্যত্যয় ঘটেছে বা সম্পূর্ণভাবে সেগুলো রক্ষা করা হয়নি।

এর জবাবে কোনো মন্তব্য নেই বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে এই বিষয়েও আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা করছি। ওনারা যদি আলাপ-আলোচনা করেন, আমাদের জন্য কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়। ওনারা যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।’#




জামায়াত ক্ষমতায় আসলে কওমি ও সুন্নিদের অস্তিত্ব থাকবে না: আল্লামা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন,আওয়ামী লীগ ইসলামের দুশমন আর জামায়াতে ইসলামী কওমি মাদ্রাসার দুশমন।

তিনি দাবি করেন, যদি কখনও জামায়াত ক্ষমতায় আসে, তাহলে দেশে কওমি দেওবন্দী ধারা ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ধারার মাদ্রাসাগুলোর অস্তিত্ব টিকবে না।

সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক সমাবেশে অংশ নিয়ে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

মহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, আল্লাহ তা না করুক, যদি এই ফেরাউনের জাত আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে, তাহলে এ দেশের মাদ্রাসাগুলোর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আমি কসম করে বলছি, তারা কওমি ও সুন্নিয়ত ধারার মাদ্রাসা মুছে ফেলবে।

তিনি আরও বলেন, জামায়াত ইসলামী মুখে ইসলামের কথা বললেও বাস্তবে তারা ইসলামী শিক্ষার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে। এই দলের নেতারা ক্ষমতায় থাকাকালীন কওমি মাদ্রাসাকে নানা প্রকারভাবে অবমূল্যায়ন করেছে। তারা ইসলামী রাজনীতির নামে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে।

হেফাজত আমিরের এ মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এক বিবৃতিতে বলেন, “মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর বক্তব্য সম্পূর্ণ মনগড়া ও ভিত্তিহীন।

জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশে অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে জামায়াতের দুইজন মন্ত্রী ক্ষমতায় থাকাকালীন কওমি মাদ্রাসাকে বরং মুক্তহস্তে সহায়তা দিয়েছেন।”