শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় চলছে নৌকা মেরামতের কাজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরেও মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল স্কুলের ভবন খালি পড়ে আছে। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পাঠদানের পরিবেশ। শুধু তাই নয়, এই সুযোগে স্কুলের মাঠে এবং স্কুলের বারান্দায় বেঁধে রাখা হচ্ছে গরু-ছাগল। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দাতেই চলছে কাঠ মিস্ত্রির দোকান নষ্ট হচ্ছে অবকাঠামোগত পরিবেশও।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার এলাকার বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, করোনা কালিন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়, স্কুলের কক্ষ, বারান্দা এবং মাঠে বেঁধে রাখা হচ্ছে গরু-ছাগল। উত্তর ফারংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দাতেই চলছে কাঠ মিস্ত্রির দোকান। এমকেসিএম সরকারি স্কুলের বারান্দায় চলছে লাকড়ির ব্যাবসা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রাথমিক শিক্ষক বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান না খোলায় বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা ও বারান্দায় গরু-ছাগল বেধে রাখে। স্কুলের প্রহরীগন নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করায় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষের সামনে গো-বিচরণ করতে দেখা যায়। এ সকল কাজ থেকে স্থানীয়দের বিরত রাখতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সরকারি কঠোর নির্দেশনা দিলেও প্রতিষ্ঠান প্রধানগন তা আমলেই নিচ্ছেনা।

এ নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা এ প্রতিনিধি কে বলেন, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গো-বিচরণ করছে এমন খবর পেয়ে ওইসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কঠোর সতকর্তা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খোলার আভাস পেয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজও চলছে। স্কুল খোলা হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদানে প্রস্তত রয়েছে প্রতিষ্ঠান গুলো। #




করোনার সংক্রমণ থেকে মানুষকে বাঁচাতে সরকার আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মানুষকে বাঁচাতে সরকার ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭১তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী

করোনা ভাইরাস মহামারির ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এ সময় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারাও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলবেন। সবাইকে উৎসাহিত করবেন। মাস্ক পরবেন। ঘরে ফিরে গরম পানির ভাপ নেবেন। গড়গড়া করবেন। করোনার মধ্যে জীবন-জীবিকা চালিয়ে নিতে হবে।’

বিসিএস কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করবো। আপনাদের ওপরই ওই দায়িত্ব পড়বে। ৪১-এ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মূল সৈনিক আপনারা। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০-২১ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নিয়েছিলাম। করোনার কারণে অনেক কিছু করতে পারিনি। তবে সব ভূমিহীন ও গৃহহীনকে ঘর দিচ্ছি, কেউ যেন বাদ না যায় সবাই এদিকে নজর দিন। তিনি বলেন, ‘গ্রামে শহরের সেবা দেব, এটা নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য মাঠ প্রশাসনের সবাই আমাকে সহযোগিতা করছেন, কাজ করছেন। এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’ এ সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে কোর্সে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।




সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার

করোনাভাইরাস মহামারী মধ্যে অনুষ্ঠিত অন্য অধিবেশনগুলোর মত এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংসদ চলবে। এক্ষেত্রে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ থাকা সংসদ সদস্যরাই অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন। অন্য অধিবেশনগুলোর মত এবারও সংসদ সদ্যসরা তালিকা অনুযায়ী বৈঠকে যোগ দেবেন।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় প্রথম বৈঠক শোক প্রস্তাব গ্রহণের মধ্য দিয়েই শেষ হবে। চলমান সংসদের কোনো আইনপ্রণেতা মারা গেলে সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে সংসদের বৈঠক মুলতবির রেওয়াজ রয়েছে।

চলতি সংসদের সদস্য সিলেট-৩ আসনের মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী গত ১১ মার্চ মারা যান।

করোনাভাইরাস সংক্রমণকালে অনুষ্ঠেয় এ অধিবেশনে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সংসদ। সংসদ সচিবালয়ের অধিবেশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্যদের সংসদে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

সংসদ ভবনে দর্শনার্থী এবং গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ থাকলে সংসদের বৈঠকের পর সাংবাদিকরা সংসদ ভবনে ঢুকতে পারবেন।

যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অধিবেশন চলাকালে সংসদে দায়িত্ব পালন করবেন তাদের থাকতে হবে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ।

এজন্য সংসদ সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংসদের মেডিকেল সেন্টারের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতায় এ অধিবেশন হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংসদ সদস্যরা করোনা পরীক্ষা করে বৈঠকে যোগ দেবেন। আমরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্যদের নিরুৎসাহিত করেছি।

“বৈঠকে উপস্থিতির বিষয় কেবল কোরাম পূর্ণ হওয়ার ওপর জোর দেওয়া হবে। করোনাকালের অন্য অধিবেশনের মত এবার সংসদ সদস্যরা তালিকার ভিত্তিতে যোগ দেবেন।”

মহামারীর মধ্যে বসতে যাওয়া সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে বসতে যাওয়া এ অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হতে পারে।

সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, অধিবেশন তিন থেকে পাঁচদিন চলতে পারে।

গত ১৫ মার্চ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ অধিবেশন আহ্বান করেন। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় সংসদের একাদশ অধিবেশন।

সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী সংসদের দুইটি অধিবেশনের মধ্যে ৬০ দিনের বেশি বিরতি থাকার সুযোগ নেই। যে কারণে এ অধিবেশন ডাকতে হয়েছে।

অধিবেশনে সংসদে উঠতে পারে ৯টি বিল

বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে ৯টি বিল উত্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া একটি বিল কমিটিতে পরীক্ষাধীন। সংসদের এ অধিবেশনে এই বিলগুলো ওঠার কথা রয়েছে। অবশ্য অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হলে এর মধ্যে কয়েকটি বাদও রাখা হতে পারে।

যে বিলগুলোর উত্থাপনের কথা রয়েছে সে সেগুলো হলো- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট বিল-২০২১, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশর (সংশোধন) বিল-২০২১, ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য বিল-২০২১, বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালন) বিল-২০২১, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বিল-২০২১, মেডিকেল ডিগ্রি (রিপিল) বিল-২০২১, মেডিকেল ডিগ্রি (গভর্নিং বডিস) (রিপিল) বিল-২০২১, হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিল-২০২১।

এছাড়া কমিটিতে পরীক্ষাধীন আছে আয়োডিনযুক্ত লবন বিল-২০২১।




দেয়া হয়নি লকডাউন, ১৮ দফা নির্দেশনা

ডিএনবি নিউজ: বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ এক ভিডিও কনফারেন্সে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনার কথা জানান।

এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-

১. সকল ধরণের জনসমাগম (সামাজিক/রাজনৈতিক ধর্মীয়/ অন্যান্য) সীমিত করতে হবে। উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলকায় সকল ধরণের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলো। বিয়ে /জন্মদিন সহ যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে।

২. মসজিদসহগ সকল উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

৩. পর্যটন/ বিনোদন কেন্দ্র/সিনেমা হলে জনসমাগম সীমিত করতে হবে এবং সকল ধরণের মেলা আয়োজন নিরুৎসাহিত করতে হবে।

৪.গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারনক্ষমতার ৫০ভাগের অধিক যাত্রী বহন করা যাবে না।

৫.সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে আন্ত:জেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে, প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হবে।

৬.বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের ১৪দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

৭.নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী খোলা/উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনপূবর্ক ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ওষুধের দোকানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

৮ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহে মাস্ক পরিধানসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এচলা নিশ্চিত করতে হবে।

৯.শপিং মলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

১০. সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে মাস্ত পরিধানসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

১১.অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা/আড্ডা বন্ধ করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর বাইরে বের হওয়া নিয়ন্ত্রিত করতে হবে।

১২.প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্ক পরিধনসহ সকল ধরণের স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরিধান না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

১৩.করোনায় আক্রান্ত/ করোনার লক্ষযুক্ত ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিক করতে হবে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের্ও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

১৪. জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল সরকারি/বেসরকারি অফিস /প্রতিষ্ঠাস/ শিল্প কলকারখানাসমূহ ৫০ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী/অসুস্থ/বয়স ৫৫ উর্দ্ধ কর্মকর্তা/কর্মচারীর বাড়িতে অবস্থান করে কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১৫.সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালা যথা সম্ভব অনলাইনে আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে।

১৬.স্বশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন যে কোন ধরণের গণপরীক্ষার ক্ষেতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

১৭. হোটেল-রেঁস্তোরাসমূহে ধারণ ক্ষমতার ৫০ভাগের অধিক মানুষের প্রবেশ বারিত করতে হবে।

১৮. কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সর্বদা বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

-কেএল




দুর্গাপুরে স্ত্রী-শাশুরীর মানসিক নির্যাতনে লাশ হলো বিল্লাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে বিল্লাল মিয়া (২৮) নামে এক যুবক বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষ পানকরে বিল্লাল। ঘটনার পরদিন শনিবার (২৬ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বিল্লাল মিয়া উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের কাপাসাটিয়া গ্রামের আবুল হাসেমের পুত্র।


নিহতের পিতা-মাতা ও অন্যান্য স্বজনরা জানান, গত শুক্রবার সকালে একই ইউনিয়নের বিরমারালা গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে থাকা স্ত্রী রোজিনা (২১) ও ছয় মাস বয়সী শিশু সিফাতকে আনতে যান বিল্লাল মিয়া। সেখানে স্ত্রী রোজিনা খাতুন স্বামীকে তাঁর সংসার করবে না সাব জানিয়ে দেয়। এসময় বিল্লালকে নানা ধরণের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করেন শ্বাশুড়ী ফাতেমা। শুক্রবার সন্ধ্যার পর কোন একসময় সবার অগোচরে বিষ পান করে বিল্লাল। টের পেয়ে তাৎক্ষনিক দুর্গাপুর সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বিল্লাল। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বিষ খাওয়ার দুদিন পেরিয়ে গেলেও পাষন্ড স্ত্রী রোজিনা খাতুন, শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী এক নজর দেখতে আসেননি বিল্লালকে। মারা যাওয়ার খবর পেয়ে বাড়ি থেকে আত্মগোপনে চলে যান স্ত্রী রোজিনা ও তাঁর বাবা-মা। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সরেজমিনে গেলে নিহতের চাচাতো ভাই মোস্তফা, সহোদর ভাই জালাল উদ্দিন প্রতিবেদককে ঘটনার  সত্যতা নিশ্চিত করেন। স্থানীয়রা জানান স্ত্রী রোজিনা ও শ্বাশুড়ীর সাথে ক্ষোভের কারণেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বিল্লাল মিয়া। ঘটনাটি তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবীও জানানো হয়।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার কর্মকর্তা ইন-চার্জ (ওসি) শাহ নুর-এ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্ত্রীর সাথে রাগ করে বিল্লাল মিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। এ ব্যাপারে পরিবারের কাছ থেকে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




দুর্গাপুরে হেফাজতে ইসলামের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল

 

ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মোদীবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে চারজন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন নিহতের ঘটনায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে হেফাজতে ইসলাম দুর্গাপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় মারকাজ মসজিদ থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে মোদীবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হেফাজত ইসলাম দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুফতি মামুনূর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ রুহুল আমীন সিরাজী, হাফেজ মাওঃ অলিউল্লাহ, ডা. তোফাজ্জল হোসেন, মুফতি আব্দুল্লাহ, মুফতি আঃ কাদির, মুফতি আশরাফ কাশেমী, মাওঃ মুজিবুর রহমান, মাাওঃ সিরাজুল হক, মাওঃ নূরউদ্দীন, মাওঃ হাবিবুর রহমান, মুফতি হাবিবুর রহমান, মাওঃ আঃ জলিল প্রমুখ। এতে এলাকার হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।




ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি ছাড়া যত্রযত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করা যাবে না: মন্ত্রণালয়

ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি ছাড়া যত্রযত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না। সারা দেশের ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার জন্য সমন্বিত পথনকশা (রোডম্যাপ) প্রণয়ন করছে সরকার। এই পথনকশা প্রণয়ের আগে কোথাও কোনো ধর্মীয় স্থাপনা বা বাড়ি নির্মাণ করতে হলে সংশ্লিস্টদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি বা ছাড়পত্র নিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, রেবেকা মমিন, মো. শাহে আলম, মো. ছানোয়ার হোসেন ও আব্দুস সালাম মূর্শেদী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ আওতাধীন এলাকাকে একটি পরিকল্পিত পরিকল্পনার আওতায় আনতে একটি পথনকশা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এই পথনকশা প্রণয়ন করার আগে কোন ব্যক্তি চাইলেই যত্রযত্র কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা বসতভিটা বা কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। যদি কোন ব্যক্তি কোন স্থাপনা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন -সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

সূত্র আরো জানায়, এর আগে সংসদীয় কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়নে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে যাতে অনুসরণ করা হয় সেজন্য সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ইতোপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়।

এদিকে কমিটির আগামী বৈঠকে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’-এর কার্যক্রম বাস্তবায়নের হালনাগাদ তথ্য প্রজেকশনের মাধ্যমে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে।




আজ সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচার করা হবে।

দীর্ঘ সংগ্রামের পথ ধরে ১৯৭১ সালে উদিত হয়েছিল বাঙালির স্বাধীনতার সূর্য। সেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে শুক্রবার।

আর যার হাত ধরে স্বাধীনতা এসেছিল, সেই মহান নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদযাপন চলছে গতবছরের মার্চ থেকে। এবারের মার্চে তা মিলছে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর উদযাপনের সঙ্গে। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম নেন বাঙালির মুক্তির মহানায়ক শেখ মুজিব। তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর পূর্ণ হয়।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার ঠিক আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এরপর শুরু হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ।

নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন থেকে দশ দিনের বড় আয়োজনে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে বাংলাদেশ।

প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরাও এ আয়োজনে বাংলাদেশের সঙ্গী হচ্ছেন। শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসে প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।




বিনা ভুলে পুরো কুরআন শরীফ শুনিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করলো হাফেজ যাকারিয়া

এক বৈঠকে বিনা ভুলে পবিত্র কুরআনুল কারিমের পুরো ৩০ পারা তার উস্তাদকে শুনিয়েছেন মৌলভীবাজার নুরুল কুরআন মাদরাসার হিফজুল কোরআন বিভাগের ছাত্র হাফেজ শরীফ আহমদ যাকারিয়া।

প্রিয় ছাত্রের এ অনন্য দক্ষতায় অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে হাফেজ যাকারিয়ার উস্তাদ হাফেজ মাওলানা লোকমান আল মাহমুদ বলেন, ‘নামাজের সময়টুকু আর খাবারের সংক্ষিপ্ত বিরতি ছাড়া ফজরের পর থেকে টানা ১৭ ঘন্টায় পূর্ণ কুরআনুল কারিম শুনালো শরীফ আহমদ যাকারিয়া। হদর শুনেছি। গড়ে প্রতি পারায় ২৫ মিনিটের মতো সময় লেগেছে।

তিনি বলেন, তাকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, খতম শুরু করলে শেষ হবার আগ পর্যন্ত কুরআন শরীফ আর দেখতে পারবে না। আর আমি মনে মনে নিজেকে শর্ত দিয়েছিলাম, নিজের হিফজ বা মুখস্তের উপর ভিত্তি নয়; বরং হারফান হারফান দেখে দেখে তার পূর্ণ কুরআন শরিফ শুনবো। আলহামদুলিল্লাহ সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।




দুর্গাপুরে ব্যতিক্রমধর্মী পাঠাগার উদ্বোধন করলেন ইউএনও

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সিনিয়র সিটিজেন ও তরুণ প্রজন্মসহ সব শ্রেণির মানুষকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তোলার লক্ষে দুর্গাপুর পৌরশহরের নাজিরপুর মোড় এলাকায় উদ্বোধন করা হয়েছে পথ পাঠাগার এর ১৫তম শাখা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার  (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান শনিবার দুপুরে এ ব্যতিক্রমধর্মী পাঠাগার উদ্বোধন করেন।

পৌরশহরের নাজিরপুর মোড় এলাকায় অলম্যান জেন্স সেলুনে এ শাখা উদ্বোধনের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাব আহবায়ক সাহাদাত হোসেন কাজল, সাবেক সভাপতি মো. মোহন মিয়া, সহসভাপতি মো. তোবারক হোসেন খোকন, পথ পাঠাগারের সভাপতি কবি নাজমুল হুদা সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা প্রমুখ।

ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, নতুন প্রজন্ম সহ সর্ব শ্রেণির মানুষকে বই পড়া ও সাহিত্য আড্ডায় মনোনিবেশ করতে এই পাঠাগারের সূচনা।

আমরা পথ পাঠাগার স্থাপনের মাধ্যমে মানুষের কাছে বই পৌঁছানোসহ জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে চাই। পর্যায়ক্রমে এই পাঠাগারের কার্যক্রম দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সাহিত্যপ্রেমীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান ইউএনও।