মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে টিনসেড পাকা ঘর। ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর উপহার পাচ্ছেন আরো ৩৫ পরিবার। শনিবার দুপুরে ওইসব ঘরের নির্মাণ কাজের গুনগত মান নিশ্চিত শেষে এ কথা জানান ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ – ২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার কে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন, কাকৈরগড়া, চন্ডিগড় ও কুল্লাগড়া ইউনিয়নে উপহার হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো আরো ৩৫টি ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্তাবধানে সরকারি খাসজমিতে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারি ঘর গুলো। যাদের থাকার জমি ও ঘর নেই সে ধরনের পরিবারদের পুনর্বাসনের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর ও বসত ঘরের সাথেই থাকছে টয়লেট। ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে গৃহহীনদের মাঝে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে। ঘরের নির্মাণ কাজের সার্বিক তদারিক করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এছাড়াও ওই কাজে সহযোগিতা করছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার এবং সরকারি নানা দপ্তরে কর্মরত অফিসার গন।
সরকারি ঘরপ্রাপ্ত গৃহহীন রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘‘আমার কোন ঘর বাড়ী নাই, বউ এক বাড়িত কাম করতো, আর আমি দোহান ঘর নাইলে ইস্কুল ঘরের বারিন্দাদ ঘুমাইতাম, টেউনু সাইবের কাছে গেছলাম, হেইলা আমার নাম লেকছইন, শেখ হাসিনা আমারে একটা পাক্কি করা ঘর দিছইন, আমি জীবনেও ভাবজিনা এমত একটা ঘর হাইবাম, এহন আর বারিন্দাত থাহন লাগত না, আমি শেখ হাসিনার লাগিন দুই আত তুইল্লা দোয়া হরবাম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান বলেন, ইতোমধ্যে ১ম পর্যায়ের কাজ শেষে ২৫টি পরিবার তাদের ঘরে বসবাস করছেন। এই প্রকল্পের আওতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২য় পর্যায়ের ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। ঘর নির্মান কাজের গুণগতমান নিশ্চিতকরণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করা হচ্ছে। ঘর নির্মান কাজে কোন প্রকার ক্রুটি বা মালামাল সরবরাহে কোন গলদ থাকলে তা গ্রহন করা হচ্ছে না। সঠিক সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করে তালিকাভুক্ত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে ঘর গুলো হস্তান্তর করা হবে।