ভারতে লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জিতে ইতিহাস গড়া কে এই মুসলিম প্রার্থী?

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল গত মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এককভাবে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে। যদিও বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট তিন শ আসন ছুঁতে পারেনি। দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে কংগ্রেসের উদ্যোগে গড়া ‘ইন্ডিয়া’ জোট।

ভোটের লড়াইয়ে ব্যক্তিগত চমক দেখিয়েছেন অনেক প্রার্থী। তাদের মধ্যে একজন রাকিবুল হুসেইন। তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন আসামের ধুবুরি আসন থেকে। কংগ্রেসের এই প্রার্থী এবার জিতেছেন ১০ লাখ ১২ হাজার ভোটের ব্যবধানে।

বিস্ময়কর ব্যাপার হল রাকিবুল যাকে হারিয়েছেন তিনিও একজন একজন মুসলিম তবে কোনও সাদামাটা প্রার্থী নন, অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ) এর প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। তার দলকে আসামের তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আসামের ১৪টি আসনের মধ্যে মাত্র তিনটি জিতেছে কংগ্রেস। এর মধ্যে একটি রাকিবুলের ধুবুরি।

রাকিবুল যে ধুবরিতে এত বড় ব্যবধানে জিতলেন সেটা তার নিজের এলাকা নয়। সেখান থেকে প্রায় তিনশো কিলোমিটার দূরে সামাগুড়ি থেকে তিনি বারবার বিধায়ক হয়েছেন। ২০০৯ সাল থেকেই জিতে আসছেন রাকিবুল। ২০১১ সালে প্রফুল্ল মহন্তাকে হারিয়ে দিয়েছিলেন, যিনি সেবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। ২০১৬ সালে যখন বিজেপির জোয়ার চলছিল তখনও সামাগুরিতে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন তিনি।

রাকিবুল জয়ী হওয়ার কিছুক্ষণ পরে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাকে‌ ‘হিরো অব দ্যা ডে’ (দিনের নায়ক) বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, তার আলোচনা সামনে আসা উচিত।

অথচ এই হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে রকিবুলের সম্পর্ক খুবই উত্তেজনাকর! এমনকি নির্বাচনের আগে হিমন্তের বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন রাকিবুল।

৪ জুনের ফলাফল শুধু ধুবরিতে নির্বাচনী ইতিহাসই রচনা করেনি, রাকিবুলের মেধার প্রমাণ যেমন হয়েছে তেমনি যারা তার প্রার্থিতা নিয়ে সন্দেহ করেছিলেন তাদেরও চুপ করিয়ে দিয়েছে।

ভূমিধস বিজয়ের পর স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে নির্বাচনী কার্যালয় থেকে শংসাপত্র গ্রহণ করতে যান রাকিবুল। যে কাগজটি হয়তো শোভা পাবে তার ড্রয়িং রুম কিংবা রিডিং রুমের দেয়ালে। যাতে রাকিবুলের নামের পাশে ভোটের সংখ্যাটি ১৪ লাখ ৭১ হাজার ৮৮৫। যখন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজমলের নামে পাশে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪০৯ ভোট। বিজয়ের ব্যবধান বিস্ময়কর, ১০ লাখ ১২ হাজার ৪৭৬ ভোট।

জানা যায়, রাকিবুল হুসেইনের জন্ম ৭ আগস্ট ১৯৬৪। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন। তিনি সামাগুড়ি থেকে বিধায়ক এবং ২০২১ সাল থেকে আসাম বিধানসভায় বিরোধী দলের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার ধুবরি থেকে ইতিহাস গড়া জয় পেয়ে লোকসভায় যাবার অপেক্ষায় আছেন।

তার বাবা নুরুল হোসেনও বিধায়ক ছিলেন। রাকিবুল ২০০১ সাল থেকে আসাম বিধানসভার সামাগুড়ি নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছেন। ২০০২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তরুণ গগৈ সরকারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রিত্বও করেছেন। আসামের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কংগ্রেস সরকারেও মন্ত্রীত্ব করেছেন। হেমন্তর মতো তুখোড় নেতাও একবার নির্বাচনে হেরেছেন কিন্তু রাকিবুল কখনও হারেননি।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া




জাবালিয়া থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার: ১২০ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়া থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা সরে যাওয়ার পর ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে আরো ৫০ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দখলদার সেনাদের প্রত্যাহার করার পর জাবালিয়া থেকে উদ্ধার হওয়া ফিলিস্তিনিদের লাশের সংখ্যা ১২০ ছাড়িয়ে গেল।

ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, রোববার গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগের অনুসন্ধানী দলগুলো ৫০টি মরদেহ উদ্ধার করে। ইসরাইলি সেনাদের নির্বিচার বোমাবর্ষণ ও গোলা নিক্ষেপে বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নীচে চাপা পড়ে নিহত হন এসব হতভাগ্য ফিলিস্তিনি যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।

এর আগে শনিবার জাবালিয়া থেকে ২০ শিশুসহ অন্তত ৭০ জনের নিষ্প্রাণ দেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে আরো মরদেহ পাওয়া যাবে বলে ধারনা করছেন উদ্ধারকারী দলগুলোর সদস্যরা।

গত শুক্রবার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ২০ দিনব্যাপী গণহত্যা ও তাণ্ডবের অবসান ঘোষণা করে ইসরাইলি বাহিনী। ওই ২০ দিনে জাবালিয়ায় অন্তত ২০০টি বিমান হামলা চালায় দখলদার সেনারা। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০ দিনে জাবালিয়ার ৭০ শতাংশ ভবন ধ্বংস করার মাধ্যমে অন্তত এক লাখ ফিলিস্তিনিকে পথে বসিয়ে দেয় ইহুদিবাদীরা।

দখলদার সেনারা চলে যাওয়ার পর পালিয়ে যাওয়া গাজাবাসী তাদের ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন যদিও ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা এত বেশি যে, বেশিরভাগ মানুষই তাদের ঘরবাড়ি চিনতে পারছেন না।#

পার্সটুডে




আরো ২ ইহুদিবাদী সেনা নিহত; এ পর্যন্ত মারা গেছে ২৯৪ জন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বর আগ্রাসন চালাতে গিয়ে ইসরাইলের আরো দুই সেনা নিহত হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় এই দুই সেনা নিহত হয়।

নিহত সেনাদের নাম সার্জেন্ট আদার গ্যাভরিয়েল এবং সার্জেন্ট ইয়েহোনাথান ইলিয়াস। তাদের বয়স ২৪ ও ২০ বছর। এরমধ্যে আদার গ্যাভরিয়েল রিজার্ভ সেনা হিসেবে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল।

বর্বর ইহুদিবাদী বাহিনী জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে প্রচণ্ড সংঘর্ষের সময় গ্যাভরিয়েল নিহত হয়। অন্যদিকে, দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ছোঁড়া ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে পরে মারা গেছে ইলিয়াস। ওই হামলায় একজন সেনা অফিসার মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।

ইসরাইলের এই দুই সেনা নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে গাজায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে মোট নিহত সেনার সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯৪-এ। তবে ইসরাইলের এই হিসাবের বিষয়ে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা আপত্তি জানিয়ে বলছে, ইসরাইলি নিহত সেনার সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে এর চেয়ে অনেক বেশি।#

পার্সটুডে




আর আলোচনা নয়, গাজায় শান্তি স্থাপনে যে শর্ত দিলো হামাস

 

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আর কোনো আলোচনায় অংশ নিতে রাজি নয় তারা; তবে ইসরায়েল যদি গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করে— তাহলে সব জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি স্থায়ী শান্তি চুক্তির জন্য ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’ রয়েছে গোষ্ঠীটি।

বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়েছে হামাসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘গাজায় আমাদের জনগণ, পরিবার-পরিজনদের ওপর গণহত্যা চলছে। যারা বেঁচে আছে, তারা প্রতিদিন আগ্রাসন-দুর্ভিক্ষ-দখলদারিত্বের শিকার হচ্ছে। হামাস এবং ফিলিস্তিনের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠী মনে করে, এই পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাসের অংশগ্রহণ সার্বিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হবে না।’

‘তবে আজ ( ৩০ মে ) আমরা আমাদের মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়ে দিয়েছি যে যদি দখলদার বাহিনী গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করে, তাহলে গাজা ইস্যুতে একটি সম্পূর্ণ ( শান্তি )চুক্তির জন্য আমরা প্রস্তুত। এই চুক্তিতে ( সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত ) একটি বিস্তৃত সমঝোতাও অন্তর্ভুক্ত হবে।’

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। লাখ লাখ বেসামরিক ফিলিস্তিনি শহরটিতে অবস্থান করছেন। গাজার বিভিন্ন এলাকায় গত প্রায় ৮ মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান অভিযানের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে রাফায় এসে আশ্রয় নিয়েছেন এই ফিলিস্তিনিরা।

সম্প্রতি জাতিসংঘের অন্যতম অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান বন্ধের আদেশ দিয়ে রায় দিয়েছে; কিন্তু সেই রায় উপেক্ষা করে সেখানে সেনাঅভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। কিছুদিন আগে রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় ৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, যাদের সবাই সাধারণ বেসামরিক।

ওই ঘটনার পর থেকে বিশ্বজুড়ে যখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা চলছে, সে সময়ই এই বিবৃতি দিলো হামাস।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্তত ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে গাজায় নিয়ে এসেছিল হামাস যোদ্ধারা। অতর্কিত সেই হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনও চলছে। গত প্রায় আটমাস ধরে চলমান এই ভয়াবহ অভিযানে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, পুরো উপত্যকা পরিণত হয়েছে ধ্বংস্তূপে।

গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া এক অস্থায়ী বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০৮ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। তারপর আর কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে কয়েকজন জিম্মি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র : রয়টার্স




গাজা উপত্যকার সংঘর্ষে ইসরাইলি সেনাকে আটক করার দাবি করল হামাস

জাবালিয়ায় একটি টানেলের মুখে ভয়াবহ সংঘর্ষ

গাজা উপত্যকার উত্তরে শনিবার এক সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনাকে হতাহত করার পাশাপাশি অন্তত একজন দখলদার সেনাকে আটক করার খবর দিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। গত বছরের অক্টোবর মাসে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এই প্রথম কোনো দখলদার সেনাকে আটক করার খবর দিল হামাস।

হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা আজ (রোববার) ভোররাতে এই বাহিনীর অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রচারিত এক অডিও বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শনিবার উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামাস যোদ্ধারা একটি ‘জটিল অভিযান’ চালান। তারা ইহুদিবাদী সেনাদেরকে ফাঁদে ফেলে একটি টানেলের মধ্যে নিয়ে যান। সেখানে তাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালানো হয় যাতে বেশ কয়েকজন দখলদার সেনা হতাহত হয়।

আবু উবায়দা বলেন, আল-কাসসাম যোদ্ধারা অত্যন্ত কাছে থেকে ইসরাইলি সেনাদের ওপর হামলা চালান। এ সময় দখলদার সেনাদের সাহায্যে  ইসরাইলের আরেকটি সেনাদল এগিয়ে এলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদেরকেও ঘায়েল করা হয়।

হামাসের এই সামরিক মুখপাত্র জানান, ভয়াবহ ওই সংঘর্ষের পর হামাস যোদ্ধারা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে টানেলটির মুখ বন্ধ করে দেন এবং অন্তত একজন ইসরাইলি সেনাকে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যান।

হামাসের পক্ষ থেকে ইসরাইলি সেনা আটক করার খবর প্রচার হলে গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরাও উল্লাস প্রকাশ করেন। ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় হামাসকে অভিনন্দন জানিয়েছে। অবশ্য ইহুদিবাদী ইসরাইল তাদের কোনো সেনার আটক হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে।#

পার্সটুডে




ইসরায়েলে আবারও ২০ রকেট হামলা হিজবুল্লাহর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইসরায়েলে আবারও রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। উত্তর ইসরায়েলের আপার গ্যালিলি এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে অন্তত ২০টি রকেট ছোড়া হয়েছে।

বলা হয়েছে, লেবানন থেকে ছোড়া এই রকেটে ইসরায়েলের ডোভেভ ও মানারা এলাকায় বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এ সব রকেট যে লেবানন থেকে ছোড়া হয়েছে তাও নিশ্চিত করেছে দখলদার বাহিনী।
তবে দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় হিজবুল্লাহর সামরিক অবকাঠামোতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এই সংগঠনটিকে সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকে ইরান। তবে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলাও চালাচ্ছে ইসরায়েল।

তবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশকে নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, জঘন্য ও বিরক্তিকর বলে অভিহিত করেছে ইসরায়েল। তাছাড়া দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে তাও মিথ্যা বলে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা শহরে হামলা বন্ধের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই আদালতের ১৫ বিচারকের একটি প্যানেল এই আদেশ দেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এরপর থেকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৮৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮০ হাজার ২৯৩।

সূত্র: আল-জাজিরা




ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট রায়িসি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পলিটব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, গাজা সংকট সমাধানের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের শহীদ প্রেসিডেন্ট সাইয়েদ ইব্রাহিম রায়িসি। গতকাল (বুধবার) রাজধানী তেহরানে প্রেসিডেন্ট রায়িসির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।

ইসমাইল হানিয়া বলেন, “ইরানের শহীদ প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমি সংগ্রামী ফিলিস্তিনি জাতির পক্ষ থেকে এখানে এসেছি। গত রমজান মাসে তেহরান সফরের সময় প্রেসিডেন্ট রায়িসির সাথে আমার বৈঠক হয় এবং তিনি সেই বৈঠকে আবারো জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, ফিলিস্তিনের ব্যাপারে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান অপরিবর্তনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছে। আমরা প্রেসিডেন্ট রায়িসি সেই কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছিলাম।”

ইসমাইল হানিয়া বলেন, ফিলিস্তেনের মুক্তির জন্য ইরান তার সমস্ত সক্ষমতা ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুটি কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি মুসলিম উম্মাহর বিশ্বাসের গভীরে রয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেছিলেন, “ফিলিস্তিনের মুক্তির বিষয়টি উপলব্ধি করার জন্য প্রতিরোধ সংগ্রাম আমাদের কাছে একটি কৌশলগত পছন্দ।”

ইসমাইল হানিয়া স্মৃতিচারণ করে বলেন, প্রেসিডেন্ট রয়িসি বলেছিলেন, “আল-আকসা স্টর্ম অপারেশন” এমন একটি যুদ্ধ যা ইহুদিবাদী ইসরাইলের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে এবং বৈশ্বিক স্তরে একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সৃষ্টি করেছে।#

পার্সটুডে




মসজিদে ইসরায়েলের হামলা, শিশুসহ নিহত ১৬

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাজার একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১০ জন শিশুসহ ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে এসব শিশুসহ অনেক নারীও ওই মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০ শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। বলা হয়েছে, গাজায় রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এরই একপর্যায়ে উত্তর গাজা শহরের ফাতিমা আল-জাহরা মসজিদে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের সংখ্যা ১০ জন বলে জানানো হলেও পরে তা বেড়ে ১৬ জনে পৌঁছায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন বাস্তুচ্যুত নারী ও শিশু। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে তারা মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এদিকে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন বলে ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে।




প্রেসিডেন্ট রায়িসির অস্তিত্বজুড়েই ছিল সততা, আন্তরিকতা ও জনসেবা: ইরাকের প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মাদ শিয়া আস সুদানি আজ (বুধবার) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ও তার সফরসঙ্গীদের শাহাদাতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় শহীদ রায়িসি ও তার সফরসঙ্গীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তিনি তেহরান সফরে এসেছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ইরাকের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে ইরানের জনগণ ও সরকারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। জনাব রায়িসির অস্তিত্বজুড়েই ছিল সততা, ইখলাস, পবিত্রতা, চেষ্টা-প্রচেষ্টা ও জনসেবা।’

জনসেবার কারণেই শহীদ রায়িসির শেষবিদায় অনুষ্ঠানে মানুষের ঢল নেমেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাইরের সকল চাপ ও নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের জনগণ ও সরকারের মধ্যে সম্পর্ক অটুট রয়েছে বলে মনে করেন।

এ সময় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা তেহরানে এসে সমবেদনা প্রকাশের জন্যে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমরা একজন অসামান্য ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছি। প্রেসিডেন্ট রায়িসি ছিলেন খুবই দক্ষ, যোগ্য ও আন্তরিক রাষ্ট্রনেতা।

তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী মোহাম্মাদ মুখবের নির্বাহী বিভাগ পরিচালনার গুরু দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি ইরাক সরকারের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন এবং চুক্তিগুলোর বাস্তবায়ন করে যাবেন। #

পার্সটুডে




আল জাজিরাকে সহযোগীতার অভিযোগে এপির সরঞ্জাম জব্দ করল ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ  ডেস্ক :

ইসরায়েলে নিষিদ্ধ কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে সংবাদ সরবরাহের অভিযোগে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এর সম্প্রচার সরঞ্জাম জব্দ করেছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (২১ মে) টাইমস অফ ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ইসরায়েলে বার্তা সংস্থা এপির একটি ক্যামেরা ও সম্প্রচার সরঞ্জাম জব্দ করেছে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। তারা অভিযোগ করেছে, বার্তা সংস্থাটি ইসরায়েলে নিষিদ্ধ সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে ছবি সরবরাহ করে ইসরায়েলের নতুন মিডিয়া আইন লঙ্ঘন করেছে।

এ সময় কর্মকর্তারা বলেন, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে রাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে ক্ষতি করে, এমন যেকোনো সম্প্রচারকে সীমিত করার জন্য যত ধরনের পদক্ষেপ নিতে হয়, সব পদক্ষেপ নেয়া অব্যাহত থাকবে।

বার্তা সংস্থা এপি ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, কাতারি স্যাটেলাইট চ্যানেলটি তাদের অন্যতম সংবাদগ্রাহক। তারা বার্তা সংস্থাটি থেকে নিয়মিত লাইভ ভিডিও ফিড গ্রহণ করে থাকে।

বার্তা সংস্থাটির কর্পোরেট কমিউনিকেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ইস্টন বলেছেন, আমরা ইসরায়েলের এহেন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাই, তারা যেনো আমাদের সরঞ্জাম ফিরিয়ে দেয়। আমরা যেনো বিশ্বের হাজার হাজার গণমাধ্যমকে এই গুরুত্বপূর্ণ ভিজ্যুয়াল সাংবাদিকতা প্রদান চালিয়ে যেতে পারি।’

উল্লেখ্য, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সেডরোটে এপি অফিস থেকে সরঞ্জামগুলো জব্দ করেন। তারা এপিকে যোগাযোগ মন্ত্রী শ্লোমো কার্হির স্বাক্ষরিত একটি নথি হস্তান্তর করেছে। সেখানে অভিযোগ করা হয় যে বার্তাসংস্থাটি দেশের বিদেশী সম্প্রচারকারী আইন লঙ্ঘন করছে।

সরঞ্জাম জব্দ করার কিছুক্ষণ আগে বার্তাসংস্থাটি উত্তর গাজার একটি দৃশ্য সম্প্রচার করছিল। সেখানে এলাকাজুড়ে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।

সূত্র : টাইমস অফ ইসরাইল