ইসরাইলি আগ্রাসী হামলার বিরুদ্ধে ইরানের সুন্নি আলেম সমাজের তীব্র নিন্দা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাম্প্রতিক আগ্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এদেশের সুন্নি আলেম সমাজ। তারা বলেছেন, পশ্চিম এশিয়ায় ইসরাইলি ঔদ্ধত্বের পেছনে আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতা মূল কারণ হিসেবে কাজ করছে।

যেকোনো হঠকারিতার ব্যাপারে অবৈধ ও অপরাধী ইসরাইল সরকারের বিরুদ্ধে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইহুদিবাদী সরকার ২৬ অক্টোবর শনিবার ভোররাতে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়ে ইরানের তেহরান, খুজিস্তান ও ইলাম প্রদেশের কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরাইলের বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করে দেয়।

পার্সটুডের রিপোর্ট অনুসারে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের এই আগ্রাসী হামলার বিরুদ্ধে ইরানের নানা অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা বিশেষ করে সুন্নি আলেম সমাজ নিন্দা জানিয়েছেন:

ইরানের কুর্দি অধ্যুষিত সানান্দাজ শহরের জুমার নামাজের ইমাম ওস্তাদ ফায়েক রুস্তামি এ সম্পর্কে বলেন: ইরান পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ শক্তি এবং বিশ্ববাসী ইরানের সামরিক শক্তিমত্তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল রয়েছে। ইরানে আগ্রাসন চালিয়ে ইসরাইল বাঘের লেজে পা দিয়েছে এবং নিঃসন্দেহে তাকে এজন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।

ওস্তাদ রুস্তামি আরো বলেন, ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ইতিহাস প্রমাণ করে যে, যেখানেই ইরানের ভূমিতে আগ্রাসন চালানো হয়েছে সেখানেই আগ্রাসী শক্তিকে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলকে এখন ইরানের দাঁতভাঙা জবাবের অপেক্ষায় থাকতে হবে।

ইরানের অপর প্রখ্যাত সুন্নি আলেম ও দেহগালান শহরের জুমার নামাজের ইমাম ওস্তাদ আব্দুস সালাম মোহাম্মাদি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন: ফিলিস্তিন, গাজা ও লেবানন বর্তমান সময়ে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। গাজা ও লেবাননে বর্তমানে গণহত্যা ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চলছে যা ইহুদিবাদী সরকারের বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা ও কুকর্মের বাস্তব উদাহরণ।

দেহগালান শহরের জুমার নামাজের ইমাম বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল নিজের সম্ভাব্য পতনের খবর জানে এবং অচিরেই তার অনিবার্য ধ্বংস সম্পর্কে অবগত রয়েছে। তিনি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের জেনে রাখা উচিত যে, ইরানের জনগণ, প্রতিরোধ অক্ষ, আলেম সমাজ ও মুসলিম চিন্তাবিদরা ইসলাম, বিপ্লব ও ফিলিস্তিনি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং তারা কোনো অবস্থায় ইরানের ভূমিতে কাউকে আগ্রাসন চালাতে দেবেন না।

এদিকে ইরানের কেরমানশাহ শহরের সুন্নি আলেম ও জুমার নামাজের ইমাম ওস্তাদ আব্দুর রহমান মোরাদি পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে ইসরাইলি ঔদ্ধত্বের কারণ হিসেবে আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতাকে দায়ী করে বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলকে এই আগ্রাসী হামলার জন্য মূল্য দিতে হবে।

ইরানের আরেক সুন্নি আলেম ও রাওয়ানসার শহরের জুমার নামাজের ইমাম মোহাম্মাদ মাহমুদিও ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং বলেন: অপরাধী ইসরাইল সরকার ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে অনেক আগেই নিজের পাশবিক সত্ত্বাকে বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচনা করে দিয়েছে। এবার সে ইরানের কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে প্রমাণ করেছে, ইসরাইল অপরাধযজ্ঞ ছাড়া আর কিছু চেনে না এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তার বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই।#

– পার্সটুডে




হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের চার সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

লেবাননে শক্তিশালী সশস্ত্র মুক্তিকামী সংগঠন হিজবুল্লাহ’র হামলায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলের আরও চার সেনা নিহত এবং অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী রবিবার এই তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় লেবাননের একটি গ্রামে অবস্থান করার সময় এই সন্ত্রাসীরা হিজবুল্লাহর হামলার শিকার হন।

ইসরায়েলি সন্ত্রাস বাহিনী জানায়, নিহত সেনারা সবাই একই ব্রিগেডের সদস্য ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার, একজন উপকমান্ডার, একজন সামরিক রাব্বি এবং একজন সাধারণ সেনা রয়েছেন। আহত ১৪ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

টাইমস অব ইসরায়েলের বরাতে জানা যায়, এই হামলায় হিজবুল্লাহর তিন সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ইসরায়েল লেবাননে অবৈধ স্থল অভিযান শুরু করে।

ইমরাইলের এ সন্ত্রাসী অভিযানে হিজবুল্লাহ’র মুক্তিকামী যোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর পাল্টা জবাব দেয়।

উল্লেখ্য, ০১ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত লেবাননে হিজবুল্লাহর প্রতিরোধে ইসরায়েলের ৩১ সন্ত্রাসী সেনা নিহত হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় আক্রমণ ও প্রতিরোধের পাশাপাশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরায়েলের অবৈধ বসতিগুলোকেও লক্ষ্য করে ড্রোন ও রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

আজ রোববারও সীমান্তে হিজবুল্লাহর ড্রোন ও রকেট ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।




পশ্চিম এশিয়ায় সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ প্রকাশ

ডিএনিব নিউজ ডেস্ক :

পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি একটি ‘পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ প্রতিহত করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা’ চালানোরও আহ্বান জানিয়েছেন।

ইহুদিবাদী ইসরাইল শনিবার ভোররাতে ইরানের তিন প্রদেশের সামরিক স্থাপনাগুলোতে আগ্রাসী হামলা চালানোর পর গুতেরেস এ উদ্বেগ প্রকাশ করলেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিচ এক বিবৃতিতে একথা জানান। তিনি বলেন, গুতেরেস সকল পক্ষকে সব ধরনের সামরিক তৎপরতা বিশেষ করে গাজা ও লেবাননে সামরিক তৎপরতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব সংঘাত-সংঘর্ষ এড়িয়ে কূটনৈতিক উপায়ে সংকট সমাধানের আহ্বান জানান।

ইরানের তেহরান, খুজিস্তান ও ইলাম প্রদেশের সামরিক স্থাপনাগুলোতে ইহুদিবাদী ইসরাইল হামলা চালিয়েছে বলে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করার পর গুতেরেসে উদ্বেগ প্রকাশের খবর পাওয়া গেল। ইসরাইলি হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বেশিরভাগ আকাশে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী। এই বাহিনী বলেছে, ইসরাইলি আগ্রাসনে চার ইরানি সৈন্য শহীদ হয়েছেন।#

# পার্সটুডে




গাজার যুদ্ধে ফিরতে চাইছে না বহু ইসরাইলি সেনা

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বহু সংখ্যক সেনা গাজা উপত্যকার যুদ্ধ-ময়দানে আর ফিরতে চাইছে না। যুদ্ধের ময়দানে ফিরতে অস্বীকৃতি জানানো এই সেনার সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

এক বছরের বেশি সময় ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজায় বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা চালালেও এখনো সেখানকার বিরাট অংশ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইসরাইলের গণমাধ্যম হামাকোম সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তারা ২০ জন সেনা ও তাদের মা-বাবার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সেই সাক্ষাৎকারের ভেতর দিয়ে প্রকাশ হয়েছে যে, সেনা সদস্য এবং তাদের পরিবারের লোকজন যুদ্ধের ব্যাপারে অসন্তুষ্ট।

সাক্ষাৎকার দেয়া লোকজন বলেছে, টানা ১২ মাসের বেশি যুদ্ধ করার পরেও কোনো সমাধান আসেনি এবং সেনারা এখন ক্লান্ত। হামাকোম বলছে, এর অর্থ হচ্ছে যুদ্ধের কারণে সেনারা তাদের নৈতিক মনোবল হারিয়েছে।

সাক্ষাৎকার দেয়া সেনারা জানিয়েছে, তারা হতাশ, অনুৎসাহিত এবং মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। গাজা উপত্যকায় একের পর এক ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞ দেখে তাদের এই মানসিক বৈকল্য সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে।

পাশাপাশি সহকর্মীদের মৃত্যুতেও তারা ভীষণভাবে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে জাবালিয়া, যাইতুন এবং সুজাইয়া এলাকায় ইসরাইলি সেনারা ব্যাপক মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছে।#

পার্সটুডে




এবার গাজাবাসীকে ‘স্বেচ্ছায়’ উপত্যকা ত্যাগ করার আহ্বান ইসরাইলি মন্ত্রীর

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনি জনগণকে গাজা উপত্যকা থেকে অন্য কোথাও চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইহুদিবাদী ইসরাইলের উগ্র ডান-পন্থি মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির। তিনি দাবি করেছেন, গাজা একটি ‘ইসরাইলি ভূখণ্ড’ এবং সে কারণে ফিলিস্তিনিদের এই উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।

গতকাল (সোমবার) নিজের উগ্র সমর্থকদের নিয়ে ‘গাজায় পুনরায় বসতি স্থাপনের প্রস্তুতি’ শীর্ষক বিক্ষোভ মিছিল করেন বেন-গাভির। তিনি সেখানে এক বক্তৃতায় গাজাবাসীকে ‘স্বেচ্ছায়’ অবরুদ্ধ এই উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানান।

ইহুদিবাদী এই মন্ত্রী বলেন, “আমরা গাজার সকল অধিবাসীকে স্বেচ্ছায় এই উপত্যকা ত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদেরকে আমরা অন্যান্য দেশে চলে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, কারণ, এই ভূখণ্ড আমাদের।”

বেন-গাভিরের পাশাপাশি ইসরাইলের উগ্র অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ গত এক বছর ধরে গাজাবাসীকে উৎখাত করে এই উপত্যকার দখল নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। তবে এই প্রথমবার বেন-গাভির গাজাবাসীকে ‘স্বেচ্ছায়’ তাদের আবাসভূমি ত্যাগ করার আহ্বান জানালেন।

ইসরাইলি এই মন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, বিশ্বব্যাপী বহু দেশ ইসরাইলের মিত্র এবং তারা গাজাবাসীকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

বেন-গাভির এমন সময় গাজাকে ইসরাইলের অংশ বলে দাবি করলেন যখন বাস্তবতা হচ্ছে, গোটা ইসরাইলি ভূখণ্ডের মালিক গাজাবাসী ফিলিস্তিনিরা। তাদের ভূখণ্ড জবরদখল করে ১৯৪৮ সালে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র গঠিত হয়।

সে সময় এই ভূখণ্ডের মূল অধিবাসী ফিলিস্তিনিরা ইহুদিবাদীদের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বাঁচতে গাজায় এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের পক্ষে আর কোনোদিন তাদের জন্মভূমিতে ফেরত যাওয়ার সুযোগ হয়নি।#

পার্সটুডে




সিনওয়ার ঝড়ে ধ্বংস হবে ইহুদিবাদী ইসরাইল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও সাবেক প্রধান খালেদ মাশআল বলেছেন, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নেতৃত্বে ইসরাইল-বিরোধী যে সংগ্রাম শুরু হয়েছে তা দখলদার ইসরাইলকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।

খালেদ মাশআল তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে সিনওয়ারের সম্মানে আয়োজিত এক শোক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন। গত বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকার দক্ষিণে ইহুদিবাদী সেনাদের সাথে লড়াই করতে করতে শহীদ হন ফিলিস্তিনের বীর যোদ্ধা ইয়াহিয়া সিনওয়ার।

খালেদ মাশআল বলেন, “সিনওয়ার ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে একটি ঝড় তুলেছিলেন এবং ভূমিকম্পের মতো বিরাট ঝাঁকুনি দিয়েছেন যা ইসরাইলকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।”

মাশআল আরো বলেন, শত্রুরা সিনওয়ারকে প্রতিকূল ভাগ্যের মুখোমুখি করতে চেয়েছিল, কিন্তু মহান আল্লাহ তার জন্য একটি সম্মানজনক ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন। তিনি ছিলেন সাহসী অস্তিত্ব এবং সম্মানজনকভাবে তিনি শাহাদাতবরণ করেছেন।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো ইসরাইলি নৃশংসতার মোকাবেলা অব্যাহত রাখবে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার আদায় নিশ্চিত করে- এমন যেকোন পদ্ধতিকে স্বাগত জানাবে।#

পার্সটুডে




প্রতিরোধকামী যোদ্ধাদের হামলায় ২৪ ঘন্টায় ৫৩ দখলদার সেনা আহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন প্রতিরোধকামী সংগঠনের প্রতিশোধমূলক হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় এসব সংগঠনের হামলায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের অন্তত ৫৩ জন সেনা আহত হয়েছে যার মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা গুরুতর। ইসরাইলের বর্বর সামরিক বাহিনী এসব হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে।

এদিকে, লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের হামলায় আক্কা, শ্লোমি এবং হাইফা শহরে ১৭ জন অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীও আহত হয়েছে। এছাড়া, সাতটি সেনা সমাবেশ লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহ হামলা চালিয়েছে। এর পাশাপাশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা গতকালও ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর একটি মারকাভা ট্যাঙ্কে গাইডেড মিসাইল দিয়ে হামলা চালায়। এতে ট্যাংকটি ধ্বংস হয় এবং নিশ্চিতভাবে ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছে।

অন্যদিকে, ইসরাইলি সেনারা দক্ষিণ লেবাননের কয়েকটি জায়গা দিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা তাদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রতিরোধের মুখে ইসরাইলি সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।#

পার্সটুডে




সিনওয়ারের শাহাদাতে প্রতিরোধ ফ্রন্ট থামবে না; হামাস বেঁচে আছে, থাকবে: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের শাহাদাতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ীর বার্তা:

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

প্রিয় মুসলিম জাতিগুলো!

এই অঞ্চলের প্রিয় সাহসী যুবকেরা!

বীর মুজাহিদ কমান্ডার ইয়াহিয়া সিনওয়ার তাঁর শহীদ বন্ধুদের কাছে চলে গেছেন। তিনি ছিলেন প্রতিরোধ ও সংগ্রামের এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি।

ইয়াহিয়া সিনওয়ার জালিম ও আগ্রাসী শত্রুর বিরুদ্ধে ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি সুপরিকল্পনা ও সাহসিকতার সাথে শত্রুকে চপেটাঘাত করেছেন এবং শত্রুর ওপর ৭ অক্টোবরের (আল-আকসা তুফান অভিযান) অপূরণীয় আঘাতের মাধ্যমে এই অঞ্চলে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। এরপর তিনি সম্মান ও মর্যাদার সাথে শহীদদের মিছিলে যোগ দিতে ঊর্ধ্বগমন করলেন।

দখলদার ও জালিম শত্রুর বিরুদ্ধে সারা জীবন লড়াই করেছেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তাঁর মতো ব্যক্তির জন্য শাহাদাত ভিন্ন অন্য কোনো প্রতিদান উপযুক্ত নয়।

ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হারানো প্রতিরোধ ফ্রন্টের জন্য অবশ্যই বেদনাদায়ক, তবে শেখ আহমাদ ইয়াসিন, ফাতি শাকাকি, রানতিসি এবং ইসমাইল হানিয়ার মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শাহাদাতের কারণে প্রতিরোধ ফ্রন্টের অগ্রযাত্রা থেমে যায় নি; আল্লাহর ইচ্ছায়, সিনওয়ারের শাহাদাতেও তা এক মুহুর্তের জন্য থামবে না। হামাস বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবে। আল্লাহর সাহায্য ও নির্দেশনায় আমরা বরাবরের মতো ফিলিস্তিনের মুজাহিদ ও একনিষ্ঠ সংগ্রামীদের পাশে থাকব।

আমি আমাদের ভাই ইয়াহিয়া সিনওয়ারের শাহাদাতে তাঁর পরিবার, তাঁর সহযোদ্ধাবৃন্দ ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর প্রতি অনুরক্তদের প্রতি অভিনন্দন এবং তাঁর অনুপস্থিতির জন্য শোক জানাচ্ছি।

আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী

ফার্সি ২৮ মেহের ১৪০৩ (১৯ অক্টোবর ২০২৪)




নেতানিয়াহুর বাসভবনের কাছে আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর ড্রোন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

লেবানন থেকে উৎক্ষেপণ করা হিজবুল্লাহর একটি ড্রোন ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় শহর সিজারিয়াতে আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবন এই শহরেই রয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।-খবর আল জাজিরার।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, লেবানন থেকে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় শহর লক্ষ্য করে তিনটি ড্রোন ছোড়া হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। তবে একটি ড্রোন সিজারিয়ার একটি ভবনে আঘাত হেনেছে।

এ ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে আইডিএফ। বিশদ কোনো বিবরণও তারা প্রকাশ করেনি।

আইডিএফ বলছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত সিজারিয়ায় যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার মোতায়েন করার খবর জানিয়েছে।




মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, সামরিক ঘাঁটি ‘রেঞ্জের মধ্যেই’: আইআরজিসি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামির উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইব্রাহিম জাব্বারি ইরানের বিরুদ্ধে যেকোন বোকামিপূর্ণ কাজ করার বিরুদ্ধে আমেরিকাকে সতর্ক করে বলেছেন, “মার্কিন জাহাজ, সামরিক ঘাঁটি এবং স্বার্থ আমাদের অস্ত্রের নাগালের মধ্যে রয়েছে।”

জেনারেল জাব্বারি বলেন, “মার্কিনিদের জানা উচিত যে, তারা যদি একদিন যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করে এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে চায় তাহলে তাদের ঘাঁটি, স্বার্থ এবং জাহাজ আমাদের অস্ত্রের নাগালের মধ্যে থাকবে।”

তিনি বলেন, “আমাদের সাহসী এবং সক্ষম বাহিনী রয়েছে যারা অবশ্যই মার্কিনীদের যেকোন সীমা লঙ্ঘনের জবাব দেবে।” জেনারেল জব্বারি বলেন, ওয়াশিংটনের এমন “বোকামিপূর্ণ কাজ” করার সম্ভাবনা নেই।

তিনি আরো বলেন, “যদিও মার্কিনিরা ইসরাইলকে সমর্থন করে, তবে এটি অসম্ভব যে, তারা মূর্খতা করবে এবং ইরানের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হবে।

ইরানের এ জেনারেল জোর দিয়ে বলেন, “আমেরিকা আমাদের, প্রতিরোধের অক্ষ এবং মুসলিম বিশ্বের মোকাবেলা করার জন্য মোটেও প্রস্তুত নয়।

পার্সটুডে