গাজা সিটিতে আগ্রাসন চালাতে গিয়ে ইসরাইলের আরো এক কমান্ডো নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাজধানী গাজা সিটিতে আগ্রাসন চালাতে গিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আরো এক সেনা নিহত হয়েছে। নিহত সেনার নাম সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস তাল লাহাত এবং তার বয়স ২১ বছর।

নিহত এই সেনা ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর ম্যাগলান কমান্ডো ইউনিটে কর্মরত ছিল এবং মঙ্গলবার বিকেলে গাজার স্নাইপারদের গুলিতে সে নিহত হয়।

এদিকে, গতকাল গাজা সিটিতে যুদ্ধের সময় আলেকযানদ্রোনি ব্রিগেডের দুই রিজার্ভ সেনা মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই দুই সেনা বোমার বিস্ফোরণে আহত হয়।

অন্যদিকে, ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ গুপ্তচর সংস্থা শিনবেতের দক্ষিণাঞ্চলীয় ইউনিটের প্রধান পদত্যাগ করেছেন। গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাস-সহ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরাইলের ভেতরে যে অভিযান চালিয়েছিল তা মোকাবেলায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে শিনবেতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান পদত্যাগ করে। ইসরাইলের হিব্রু ভাষার গণমাধ্যম গতকাল এ খবর দিয়েছে। হামাসের অভিযান ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য শিনবেতের এই কর্মকর্তা ইসরাইলিদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে।#

পার্সটুডে




ইসরাইলের দুটি অবস্থানে ড্রোন হামলা চালালো ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধারা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনের যোদ্ধারা।

ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট বা পিএমইউ আজ (বুধবার) সকালে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরাইলের হাইফা বন্দরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। আজ সকালেই এই হামলা চালানো হয় বলে পিএমইউ উল্লেখ করেছে।
এছাড়া, ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাজেরা এলাকার অরোত রাবিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও ইরাকি যোদ্ধারা ড্রোন দিয়ে হামলা চালায়।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর সেনারা নারী ও শিশুদের ওপর যে আগ্রাসন ও গণহত্যা চালাচ্ছে তার জবাব হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রতিশোধমূলক হামলা অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা করেছে পিএমইউ।
গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইরাক এবং সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক অবস্থানেও হামলা চালিয়ে আসছে। এছাড়া, সম্প্রতি ইহুদিবাদী ইসরাইল লেবাননের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের যে হুমকি দিয়েছে তার জবাবে ইরাকি যোদ্ধারা বলেছে, এ ধরনের আগ্রাসন চালালে তারা হিজবুল্লাহর পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।#
পার্সটুডে




ইসরায়েলি মেজরকে হত্যা করল হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজার রাফাহতে অভিযান চালানোর সময় এক ইসরায়েলি মেজর নিহত হয়েছেন। দেশটির সামরিক বাহিনীর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

রোববার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি বলছে, নিহত এই কর্মকর্তার নাম মেজর জালা ইব্রাহিম। ২৫ বছর বয়সী এই মেজর সাজুর ড্রুজ শহর থেকে আসা কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পসের ৬০১ তম ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই মৃত্যুর ফলে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযানে নেমে নিহত ইসরাইলি সেনার সংখ্যা ৩২৬ জনে দাঁড়াল।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক মানুষ। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।




গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় শহীদ আরও ৪০ ফিলিস্তিনি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩৭ হাজার ৮৩০ জনে। এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮৭ হাজার ফিলিস্তিনি। খবর আনাদোলুর ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা ভূখণ্ডে চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে মোট মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮৩৪ জনে পৌঁছেছে বলে শনিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় আরও ৮৬ হাজার ৮৫৮ জন আহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৪০ জন নিহত এবং আরও ২২৪ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।




চীন সীমান্তে ভারতীয় ৫ সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতের লাদাখে চীন সীমান্তবর্তী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি)পাঁচ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁরা নিহত হন।

ভারত সরকার বলছে,  লাদাখের লেহের দৌলত বেগ অল্ডি এলাকায় রাত ১টার দিকে সেনা মহড়ার সময় একটি নদী পার হতে গেলে দুর্ঘটনায় ওই পাঁচ সেনা মারা যান। তাঁরা একটি ট্যাঙ্কের ভেতর ছিলেন।

কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত সেনারা প্রশিক্ষণে ছিলেন। তাঁরা বোধি নদী অতিক্রম করছিল। এসময় নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের ট্যাঙ্ক ডুবে যায়।

এ ঘটনার পর উদ্ধার কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।




আমেরিকাকে তুলোধুনো করলেন ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি বলেছেন, সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অবিলম্বে, সম্পূর্ণ ও নিঃস্বার্থভাবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা জরুরি।

আমির সাঈদ ইরাভানি আরো বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিবর্তে মার্কিন সেনারা আল-নুসরার মতো জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে। এর পাশাপাশি মার্কিন সেনারা সিরিয়ার জনগণের তেল এবং অন্যান্য সম্পদ লুট করছে।

গতকাল (মঙ্গলবার) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি এসব কথা বলেন। মধ্যপ্রাচ্য ও সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে গতকাল আলোচনা হয়।

ইরানের প্রতিনিধি বলেন, “সিরিয়া থেকে সম্পূর্ণভাবে ঝুঁকি দূর না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াই অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে। এ সময় সিরিয়ার সাধারণ জনগণের জীবনের নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।”

সিরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব লংঘন করে ইহুদিবাদী ইসরাইল মাঝেমধ্যেই যে আগ্রাসন চালাচ্ছে তার কঠোর নিন্দা জানান ইরানের প্রতিনিধি। এছাড়া, গোলান মালভূমিতে ইহুদিবাদী ইসরাইল যে দখলদারিত্ব কায়েম করে রেখেছে তারও কঠোর নিন্দা জানান আমির সাঈদ ইরাভানি।#

পার্সটুডে




ফিলিস্তিনি শিশুদের ১০ লাখ ডলার অনুদান দুই মার্কিন মডেল বেলা হাদিদ ও জিজি হাদিদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মার্কিন সুপার মডেল বেলা হাদিদ ও জিজি হাদিদ। সম্পর্কে তারা দুই বোন। চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন নিয়ে বেশ সরব তারা। ফিলিস্তিনে নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিকবার মোটা অঙ্কের টাকা পাঠিয়েছে এই দুই বোন। এ জন্য ক্যারিয়ারে তাদেরকে পড়তে হয়েছে নানান বিপত্তিতে। এ ছাড়া তাদেরকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকিও দিয়ে গেছে ইসরায়েল।

কিন্তু কোনো হুমকি-ধামকির তোয়াক্কা করেননি বেলা-জিজি। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ মানুষের জন্য ১০ লাখ ডলারের অনুদান পাঠিয়েছেন এই সহদোর মডেল।

দ্য হলিউড রিপোর্টের খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের শিশু ও পরিবারগুলোর জন্য দুই বোন এই অনুদান পাঠিয়েছেন। যা পাঠানো হবে চারটি দাতব্য সংস্থার হাত দিয়ে। ইতোমধ্যে এই অর্থ বিভিন্ন সংস্থায় সমানভাবে বরাদ্দ করে দিয়েছেন তারা।

দাতব্য ওই সংস্থাগুলো হলো হিল প্যালেস্টাইন, প্যালেস্টাইন চিলড্রেনস রিলিফ ফান্ড (পিসিআরএফ), ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) এবং ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি (ইউএনআরডব্লিওএ)। সামগ্রিকভাবে এই সংস্থাগুলো বাস্তুচ্যুত পরিবারের সহায়তায় খাদ্য, চিকিৎসা কার্যক্রমের মতো মানবিক কর্মকাণ্ডে কাজ করে।

সম্প্রতি কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছিলেন বেলা হাদিদ। সেখানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক লাল কেফিয়াহ পোশাক পরে ফ্রান্সের কান সৈকত থেকে দ্যুতি ছড়ান তিনি। তার ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে বেলা হাদিদ লিখেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা হোক। এটি সর্বদা আমার মনে, রক্তে এবং হৃদয়ে মিশে রয়েছে। যদিও আমাকে এখনও এই ভয়াবহতার মধ্যেই কাজ করে যেতে হবে, আমরা আমাদের (ফিলিস্তিনিদের) সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করছি। আমরা যেখানেই যাই না কেন, সারা বিশ্ব ফিলিস্তিনকে দেখতে পাবে। পরনের এমন কেফিয়াহ পোশাক ফিলিস্তিনকে উপস্থাপন করছে। গাজায় এই মুহূর্তে গণহত্যার মত যা ঘটছে, সে সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করুন।’

উল্লেখ্য, জিজি হাদিদ ও বেলা হাদিদের বাবা মোহামেদ হাদিদ একজন ফিলিস্তিনি। এবং মার্কিন মা ইয়োলান্ডা হাদিদের সন্তান তারা। জিজি-বেলার বাবা মোহামেদ একজন বড় ব্যবসায়ী। এদিকেমডেলিংয়ের দুনিয়ায় মা ইয়োলান্ডা একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।




অনাহার ও ধ্বংসস্তুপের মধ্যে গাজায় ঈদ পালন

অনাহার ও ধ্বংসস্তুপের মধ্যে গাজায় বিবর্ণ ঈদ গাজাবাসী আজ রোববার উদযাপন করেছে। আজ সকালে বিধ্বস্ত এলাকার মধ্যেই ঈদের জামাত হয়েছে।

গাজায় ইসরাইলি হামলার আজ ২৫৪তম দিন। এত দিনের ইসরাইলি তাণ্ডবে গাজার সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। তাদের জীবন, জীবিকা কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। তাদের বাসভবন, মসজিদ- সবাই গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে ঈদের আনন্দ বলতে আর কিছু নেই।

গাজার দোকানপাট আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে। যে দুই-একটি আছে, সেগুলোও বন্ধ রয়েছে। ঈদুল আজহার অন্যতম বিষয় কোরবানি দেয়া। বেশ ধুমধাম করে কোরবানির আয়োজন করে থাকে গাজাবাসী। কিন্তু এবার কোরবানির পশু কেনার মতো সামর্থ্য তাদের নেই।

তবে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা কিছু পশু কোরবানি করে বিভিন্ন পরিবারের মধ্যে বিতরণের চেষ্টা করছে।

এবারের ঈদুল আজহার ওইসব পরিবারের জন্য আরো কঠিন হয়ে পড়েছে যাদের পরিবারের সদস্য নিহত হয়েছে বা আহত হয়ে কাতরাচ্ছে। ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি গুরুতর আহত হয়েছে। তারা চিকিৎসা পর্যন্ত পাচ্ছে না।

এছাড়া ইসরাইল আট হাজারের বেশি লোককে ধরে নিয়ে গেছে। তারা কোথায়, কিভাবে আছে, কেউ জানে না।

জাবালিয়া মসজিদের ইমাম ঈদের জামাতের খুতবায় বলেন, দখলদার বাহিনী গাজার মানুষের মনোভাব ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ অব্যাহত রয়েছে। তারা দখলদারদের কঠোর আঘাত হানা অব্যাহত রাখবে। ইসরাইলি দখলদারিত্বের কারণে আমরা আমাদের ধর্মীয় অনুশাসনও পালন করতে পারছি না।

উল্লেখ্য, গাজায় ইসরাইলি হামলায় ইতোমধ্যে ৩৭ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে। গাজার তিন-চতুর্থাংশের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা 




গাজা নিয়ে আমেরিকার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব কেন পাশ হল?

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেটি এর আগে ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর সমর্থনে অনেক যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে গাজায় ইসরাইলি সেনাদের বর্বরোচিত হামলা জিইয়ে রেখেছিল সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করেছে। নিরাপত্তা পরিষদে ১৪টি হ্যা ভোটে এটি অনুমোদন লাভ করে এবং রাশিয়া এতে ভোট দানে বিরত ছিল।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে উত্থাপিত প্রস্তাব সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে কোনো বিরোধিতা বা ভেটো ছাড়াই অনুমোদিত হয়। ৭ দফা প্রস্তাবে তিনটি পর্যায়সহ ব্যাপক যুদ্ধবিরতি চুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এই প্রস্তাবে জোর দেওয়া হয়েছে যে যদি প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় ৬ সপ্তাহের বেশি সময় লাগে তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আলোচনা চলছে ততক্ষণ যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে এবং সমস্ত চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারের প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে। এরপর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতে পারে বলে জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অনুমোদিত প্রস্তাবের বিষয়ে চুক্তির পরে এই প্রস্তাবের শর্তাবলী মেনে চলার ব্যাপারে জোর দেয়া হয়েছে এবং সমস্ত সদস্য রাষ্ট্র এবং জাতিসংঘকে এর বাস্তবায়নে সমর্থন করতে বলা হয়েছে।

আমেরিকা যেটি ইহুদিবাদী শাসনের সমর্থনে অনেক প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল এই সংকটময় মুহূর্তে এই শাসক গোষ্ঠীর প্রধান সমর্থক হিসাবে পরিচিত দেশটি বিভিন্ন কারণে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব আনতে বাধ্য হয়েছিল।

প্রথম কারণ হল ইহুদিবাদী শাসন আগের চেয়ে অনেক বেশি ভাঙনের সম্মুখীন হচ্ছে। বেনি গ্যান্টজ এবং গাডি আইজেনকোট যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। হ্যালি ট্রুপার গ্যান্টজের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের একজন হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতানিয়াহুর জোট মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তাই অধিকৃত অঞ্চলে রাজনৈতিক ও সামরিক ভাঙন এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য একটি প্রস্তাব পাস করা  হলে অধিকৃত অঞ্চলে এই ভাঙন ঢেকে রাখার একটি সুযোগ হতে পারে।

এরপর কারণ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রাক্কালে অভ্যন্তরীণ জনমতকে প্ররোচিত করা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফিলিস্তিনের সমর্থনে এবং ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর প্রতি মার্কিন নীতির নিন্দায় ব্যাপক পরিসরে বিক্ষোভ হয়েছে  যার মধ্যে ছাত্র বিক্ষোভ এবং আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সহযোগীতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাইডেনের মন্ত্রিসভা বিক্ষোভকারীদের চাপে পড়েছিল। যদিও আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খুব বেশি সময় বাকি নেই বাইডেন প্রশাসন গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ ও লক্ষ্য হাসিলের জন্য ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিব ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর নাম শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের কালো তালিকায় রেখেছেন। ইহুদিবাদী শাসক যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে গাজার শিশুদের বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ করেছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অনুমোদন করে আমেরিকা এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ ও সমালোচনা কমানোর চেষ্টা করছে।

আরেকটি কারণ হল গাজা যুদ্ধে প্রতিরোধকামী যোদ্ধারা যেকোনো যুদ্ধ বিরতিতে তাদের শর্তে অটল থাকা। তাদের অটল মনোবল এবং কার্যকর প্রতিরোধ শক্তি ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর জন্য পরিস্থিতিকে কঠিন করে তুলেছিল এবং এই শাসক গোষ্ঠীর অব্যাহত অস্তিত্বের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য করেছিল। যাইহোক ইহুদিবাদী ইসরাইলের ইতিহাসের দিকে তাকালে এটা বলা যায় যে  এটি ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক নিয়ম নীতি মেনে চলবে না।

পরিশেষে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, গত ৮ মাসে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর আচরণ থেকে বোঝা যায় যে এই সরকার জাতিসংঘ এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের প্রতি ভ্রুক্ষেপ নেই। ইহুদিবাদী ইসরাইল সম্পর্কে জাতিসংঘের কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের কোনো গ্যারান্টি নেই। কারণ এখন পর্যন্ত ইসরাইল জাতিসংঘে পাশ হওয়ার কোনো প্রস্তাবের উপর কাজ করেনি এবং বেশিরভাগ প্রস্তাব একটি প্রদর্শনী এবং প্রচারণামূলক শো ছাড়া আর কিছুই নয়।#

পার্সটুডে




গোলান মালভূমিতে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনা হতাহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় কয়েকজন ইহুদিবাদী সেনা নিহত কিংবা আহত হয়েছে।

ইসরাইলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, গোলান মালভূমির আপার গ্যালিলিতে কয়েক ডজন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এরমধ্যে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র রামিম ক্লিফ, আল মানারা এবং আরো কয়েকটি অবৈধ ইহুদি বসতিতে আঘাত হানে।

গতকালের এই হামলার মধ্য দিয়ে আরো স্পষ্ট হলো যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে অস্থিরতা বাড়ছে। গাজা উপত্যকায় ইসরাইল আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা উত্তর ইসরাইলের বিভিন্ন ইহুদিবাদী অবস্থানে হামলা চালাতে শুরু করে। গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এই হামলা চালাচ্ছে।

গতকালের হামলা সম্পর্কে ইসরাইলের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে যে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে উত্তর ইসরাইলের কাৎজ্‌রিন এলাকায় আঘাত আনা হয়েছে।

উত্তর ইসরাইলের যেসব ইহুদি বসতি এখনো খালি করা হয়নি সেসব জায়গায় সাইরেন বাজানো হয়। ইসরাইলের কোনো কোনো গণমাধ্যম জানিয়েছে, লেবানন থেকে গোলান মালভূমি লক্ষ্য করে অন্তত ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।#

পার্সটুডে