নামাজের সময় মসজিদে গুলি করে ৪৪ জনকে হত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আফ্রিকার দেশ নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। শুক্রবারের ওই হামলায় আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২২ মার্চ) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বুরকিনা ফাসো এবং মালি লাগোয়া নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোকোরো শহরের ফোমিতা গ্রামের মসজিদে শুক্রবার নামাজের সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিম আফ্রিকার সশস্ত্র গোষ্ঠী ইআইজিএস এই হামলা চালিয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এ হামলার জন্য নাইজারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী ইআইজিএস গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে। তবে এই হামলার বিষয়ে গোষ্ঠীটির মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারী অস্ত্রে সজ্জিত লোকেরা একটি মসজিদ ঘিরে রাখে। সেখানে পবিত্র রমজান মাসে নামাজের জন্য জড়ো হওয়া লোকজনের ওপর ‘বিরল নিষ্ঠুর গণহত্যা’চালায়।

এই হামলার ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেশটিতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।




গাজায় গণহত্যা ও দেশে সহিংসতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বিক্ষোভ

ডিএরনিব নিউজ ডেস্ক :

সারাদেশে ধর্ষণ-নিপীড়নের বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দুর্গাপুর উপজেলা সংসদ। শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে প্রেসক্লাব মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি জাদুঘরের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলপুর্ব আলোচনা সভায়, ছাত্র ইউনিয়ন দুর্গাপুর উপজেলা সংসদের সভাপতি জহির রায়হানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সিপিবি উপজেলা কমিটির সভাপতি আলকাছ উদ্দিন মীর, সাধারণ সম্পাদক রুপন কুমার সরকার, জেলা কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম, উপজেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি শামসুল আলম খান, উপজেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি কবিরুল ইসলাম, রমজান আলী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সারাদেশে ধর্ষণ-নিপীড়ন ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্ব মানবাধিকার নিয়ে অনেকেই কথা বলে, কিন্তু যখনই ফিলিস্তিনের উপর হামলা হয়, তখন সবাই নিশ্চুপ থাকে। যুদ্ধ বিরোধী চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সোচ্চার হতে হবে। ফিলিস্তিনিদের রক্ষা এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানানো হয়।




আল্লাহর ইচ্ছায় অসম্ভবও সম্ভব হয়; আমেরিকা ও ইসরাইলের ওপর গাজা বিজয়ী হয়েছে: সর্বোচ্চ নেতা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে অনুষ্ঠিত ৪১তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষক, ক্বারী ও হাফেজদের সঙ্গে বৈঠকে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ইমাম হুসাইন (আ.)’র শুভ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তেহরানে ইমাম খোমেনী (রহ.) হুসাইনিয়াতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তিনি কুরআনের শব্দ, গঠন, বিষয়বস্তু এবং ঐশী রীতি- এই সব কিছুকে মুজিযা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী জোর দিয়ে বলেন, যদি এই মহা মুজিযাকে সঠিক ভাবে কাজে লাগানো হয়, তাহলে মানবজাতির সব সমস্যার সমাধান হবে এবং মানব জীবনে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

তিনি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর মুজিযা আমাদের মাঝে বিদ্যমান থাকাকে মানবতা তথা গোটা বিশ্বের জন্য এক বিরাট আশীর্বাদ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, কুরআন নিয়ে কাজ করার সময় ও তেলাওয়াত করার সময় পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে সর্বশেষ নবীর মুজিযা আমার সামনে। পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত তাওয়াক্কুল (আল্লাহর উপর আস্থা) সম্পর্কে ব্যাখ্যা তুলে ধরতে গিয়ে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, পবিত্র কুরআনে যেমনটি বলা হয়েছে কেউ আল্লাহর উপর ভরসা করলে তিনিই তার জন্য যথেষ্ট; আল্লাহর ওপর নির্ভরতার শর্তাবলী পূর্ণ হলে এই ঐশী প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, কুরআন এক চিরন্তন মুজিযা। এই মুজিযার সঙ্গে অন্যান্য মুজিযার পার্থক্য হলো, অন্যান্য মুজিযা সম্মানিত নবীর যুগের সাথে সম্পর্কিত। মূসা (আ.)’র লাঠি কেবল ঐ যুগের মানুষ দেখতে পেত। কিন্তু ইসলামের নবীর মুজিযা পবিত্র কুরআন হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ দেখতে পাবেন।

সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় অসম্ভবও সম্ভব হয়ে ওঠে। যদি বলা হতো যে, গাজা আমেরিকার সরকারের মতো একটি বৃহৎ শক্তির সাথে লড়াই করবে এবং গাজা তাতে বিজয়ী হবে। তাহলে কি আপনি বিশ্বাস করতেন?! না, বিশ্বাস করতেন না। এগুলো অসম্ভব বিষয়গুলোর মধ্যে পড়ে। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় তা সম্ভব হয়েছে।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী আরও বলেন, অন্যান্য জাতির সাথে ইরানি জাতির পার্থক্য হলো- ইরানি জাতি আমেরিকাকে আগ্রাসী, মিথ্যাবাদী এবং প্রতারক বলার সাহস রাখে। কিন্তু অন্যরা সাহস দেখায় না এবং তাদের ভূমিকা পালন করে না। যখন এটা করা হয় না তখন ফলও পাওয়া যায় না। গত ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের সব দাম্ভিক শক্তি ইরানের বিরুদ্ধে চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু ইরানি জাতি আঘাতপ্রাপ্ত হয় নি বরং অগ্রগতি লাভ করেছে। আজকের ইরান আর ৪০ বছর আগের ইরান এক নয়। আমরা সব ক্ষেত্রেই উন্নতি করেছি।#

পার্সটুডে




গাজা যুদ্ধবিরতির আওতায় ৩ ইসরাইলি বন্দির বিনিময়ে মুক্তি পাচ্ছেন ১১০ ফিলিস্তিনি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দি বিনিময়ের তৃতীয় ধাপ হিসেবে তিনজন ইসরাইলি বন্দির বিনিময়ে ৩০ জন নাবালকসহ ১১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত ইসরাইল।

গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব এ্যাডভোকেসি গ্রুপ জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ১১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে। এতে আরো বলা হয়েছে, বন্দিরা দুপুরের দিকে রামাল্লার রাদানা এলাকায় পৌছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বন্দিদের তালিকা প্রকাশ করে গ্রুপটি জানিয়েছে যে ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৩০ জন নাবালক,৩২ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং ৪৮ জন বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ভোগ করছেন। ক্লাবের মতে, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে ২০ জনকে নির্বাসনে পাঠানো হবে। এছাড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে বন্দি বিনিময়ের তৃতীয় ধাপে পাঁচ থাই নাগরিকসহ তিন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে। শেষ দুটি বিনিময়ে হামাস ২৯০ জন বন্দির বিনিময়ে সাতজন ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে।

এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে যে শনিবার চতুর্থ ধাপে তিনজন ইসরাইলিকে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে। তিনজন ইসরাইলি বন্দির বিনিময়ে ৯০ জন ফিলিস্তিনির মুক্তির মাধ্যমে গত ১৯ জানুয়ারী গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল।

এদিকে, ইসরাইল চুক্তির আওতায় মুক্তি পেতে যাওয়া ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এদের মধ্যে ২৩০ জনের বেশি বন্দি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করেছেন এবং মুক্তির পর তাদেরকে স্থায়ীভাবে নির্বাসনে পাঠানো হবে।




ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর সবচেয়ে বড় চুক্তিটি হলো বাংলাদেশের সঙ্গে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে নন-বাইন্ডিং চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশের। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর বাংলাদেশে ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন তরল গ্যাস সরবরাহ করবে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) আর্জেন্ট এলএনজি এ তথ্য জানায় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এটি প্রথম বড় মার্কিন এলএনজি সরবরাহ চুক্তি। তাদের মতে, এটি নতুন প্রশাসনের জ্বালানি-বান্ধব নীতির প্রতি শিল্পের আস্থা প্রতিফলিত করে। বাংলাদেশের সঙ্গে আর্জেন্ট এলএনজির চুক্তি প্রমাণ করছে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর এই খাত সংশ্লিষ্টদের আস্থা রয়েছে।

আর্জেন্ট এলএনজি লুজিয়ানাতে ২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন পার এনুম (এমটিপিএ) অবকাঠামো তৈরি করছে। যা তাদের সরবরাহ ব্যবস্থাকে অনেক শক্তিশালী করবে।

যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই, সেসব দেশে গ্যাস পাঠানোর ক্ষেত্রে মার্কিন জ্বালানি বিভাগ লাইসেন্স প্রদান স্থগিত করে রেখেছিল। তবে গত সোমবার ক্ষমতা গ্রহণের পর নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এটি রহিত করেন ট্রাম্প। কারণ তিনি বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে চান। বর্তমানে বিশ্বের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তারা ২০২৮ সালের মধ্যে সরবরাহের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চায়।

লুজিয়ানার পোর্ট ফোরচনে আর্জেন্ট এলএনজির অবকাঠামো তৈরি সম্পন্ন হলে তারা বাংলাদেশের পেট্রোবাংলার কাছে গ্যাসের কার্গো বিক্রি করা শুরু করতে পারবে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী রয়টার্সকে বলেছেন, এই চুক্তি শুধুমাত্র আমাদের বর্ধমান শিল্পের গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করবে না, সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক শক্তিশালী করবে।

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই জ্বালানি চাহিদার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজছে। এক্ষেত্রে তরলীকৃত গ্যাসের দিকে ঝুঁকছে সরকার। তবে ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর বিশ্বব্যাপী যখন গ্যাসের দাম বেড়ে যায় তখন কম দামি কয়লার দিকে আবারও ঝোঁকা শুরু করে ঢাকা।




সীমান্তের ঘটনা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলেছে বিএসএফ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কিরণগঞ্জ সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশিদের আম গাছের ডাল কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বিএসএফ ও ভারতীয়রা। এ সময় বিজিবি স্থানীয়দের সাথে নিয়ে তাদের এই কার্যক্রমকে রুখে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে দুইজনের নাম নিশ্চিত করেছে এলাকাবাসী।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কিরণগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ঝাইটন আলীর ছেলে আসমাউল (১৮) এবং একই এলাকার বাবু (২৬)।

বিজিবি জানিয়েছে, এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলেছে বিএসএফ।

বিজিবির তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে ভারতীয়রা পিছু হটে এবং বিকেল ৪টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে গাছ কাটার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ঘটা ঘটনায় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলেছে বিএসএফ।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে বিএসএফ ও শতাধিক ভারতীয় মিলে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ করে এবং বাংলাদেশ প্রান্তের ১২ থেকে ১৫টি আম গাছ কেটে ফেলে। পরে বিজিবির টহল দল মাইকিং করে স্থানীয়দের সহযোগিতার আহ্বান জানান। এ সময় স্থানীয়রা বিজিবিকে সহযোগিতা করতে সীমান্ত এলাকায় ছুটে আসেন। দুই পাশে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিএসএফ সদস্যরা ৪টি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। স্থানীয় ভারতীয়রা পাথর ছুঁড়ে মারে। এতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। পরে ভারতীয়রা কাটা গাছ ও ডালপালা ফেলে পালিয়ে যায়।

বিনোদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিজিবির সহযোগিতার মাইকিং শুনে বিজিবিকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসি। এ সময় বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিকরা সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, ককটেল ও পাথর নিক্ষেপ করে। এছাড়া ভারতীয়রা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয় এবং বাংলাদেশের নাগরিকরা নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার স্লোগান দেয়। পরে আমাদের পাল্টা ধাওয়ায় তারা কাটা গাছ ফেলে পালিয়ে যায়।

৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সৃষ্টি হয়। পরে বিজিবির তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে ভারতীয়রা পিছু হটে এবং বিকেল ৪টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে গাছ কাটার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ঘটা ঘটনায় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলেছে বিএসএফ। বর্তমানে পরিস্থিতির স্বাভাবিক আছে।




গাজার পূর্ণ দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ : আব্বাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গাজা উপত্যকার পূর্ণ দায়িত্ব নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফিলিস্তিনের সরকারি জোট ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ)। শুক্রবার ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট এবং পিএ জোটের বৃহত্তম শরিক ফাতাহের শীর্ষ নেতা মাহমুদ আব্বাসের দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রেসিডেন্ট আব্বাসের নির্দেশনা অনুযায়ী গাজা উপত্যকার পূর্ন দায়দায়িত্ব নিতে যাবতীয় প্রস্তুতির শেষ করেছে ফিলিস্তিনের সরকার। এই দায়িত্ব পালনের জন্য যেসব প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা টিম প্রয়োজন, সেসব গঠনের কাজও শেষ হয়েছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ফিরিয়ে আনা, পানি ও বিদ্যুতসহ জরুরি সব পরিষেবা ফের চালু করা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং উপত্যকার ভবন, রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের কাজে নেতৃত্ব দেবে পিএ।

গাজা উপত্যকায় এক সময় ফাতাহ ক্ষমতাসীন ছিল। ২০০৬ সালের নির্বাচনে সেখানে হামাস জয়ী হয়। তারপর ২০০৭ সাল শেষ হওয়ার আগেই ফাতাহকে উপত্যকা থেকে বিদায় করে হামাস। বস্তুত ২০০৬ সালের পর আর কোনো নির্বাচন হয়নি গাজায়।

ফলে, গত প্রায় ১৯ বছর ধরে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করছে হামাস। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে যে অতর্কিত হামলা ঘটেছিল, তার মূল পরিকল্পনাকারী এবং নেতৃত্বের ভূমিকায়ও ছিল হামাস। নজিরবিহীন সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন। পাশাপাশি ২৫০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস ও প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা।

হামলার জবাব দিতে এবং আটক জিম্মিদের উদ্ধার করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী, যা পুরোপুরি শেষ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। ১৫ মাসের ভয়াবহ এই অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৭ শতাধিক এবং আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এছাড়া উপত্যকার প্রায় ২২ লাখ জনসমষ্টির অধিকাংশই বাড়িঘর ছেড়ে উদ্বাস্তু হতে বাধ্য হয়েছেন।




গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকি ট্রাম্পের: হুঁশিয়ারি দিল জার্মানি ও ফ্রান্স

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড দখল করতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের যে হুমকি দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ন্যাটো জোটের সদস্য জার্মানি ও ফ্রান্স।

ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড দখল করতে সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে পারেন। ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “গ্রিনল্যান্ড বা পানামা খাল দখলের জন্য সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি প্রয়োগ থেকে আমি বিরত থাকব, এমন নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। আমাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য এগুলো প্রয়োজন।” এর আগে ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম মেয়াদে গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প।

তবে ডেনমার্ক পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয় এবং দ্বীপটি তার বাসিন্দাদের সম্পত্তি।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎ
এদিকে, গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেছেন, “সীমানার অখণ্ডতার নীতি প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তা খুব ছোট বা খুব শক্তিশালী দেশ যাই হোক না কেন।”

তিনি আরও বলেন, “ন্যাটো আমাদের প্রতিরক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার এবং আটলান্টিক মহাসাগর উপকূলীয় দেশগুলোর সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু।”

অন্যদিকে, ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাঁ-নোয়েল ব্যারো বলেছেন, “এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, কখনোই বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সার্বভৌম সীমান্তে আক্রমণ করতে দেবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন।”

বুধবার ফ্রান্স ইন্টার রেডিওকে দেওয়া সক্ষাৎকারে তিনি বলেন: “আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন আমেরিকা, গ্রিনল্যান্ড আক্রমণ করবে কি না। আমার উত্তর হবে- না। আমরা কি এমন এক যুগে প্রবেশ করেছি যেখানে আবারও শক্তিশালীদের টিকে থাকার নিয়ম দেখা দিচ্ছে? তাহলে এর উত্তর হবে- হ্যাঁ। তাহলে কি আমাদের নিজেদেরকে ভয় ও উদ্বেগে কাবু হতে দেওয়া উচিত, অবশ্যই না। আমাদের জেগে উঠতে হবে এবং নিজেদের শক্তি গড়ে তুলতে হবে।”

গ্রিনল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র ৫৭ হাজার। দ্বীপটি ব্যাপক স্বায়ত্তশাসন ভোগ করলেও অর্থনীতির ক্ষেত্রে কোপেনহেগেনের ভর্তুকির ওপর নির্ভরশীল এবং এটি এখনো ডেনমার্কের রাজ্যের অংশ। গ্রিনল্যান্ডে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিরল খনিজের মজুদ রয়েছে, যা ব্যাটারি এবং উচ্চপ্রযুক্তি পণ্যের নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ।
# পার্সটুডে




গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে ইসরাইল: জাতিসংঘ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তর।

ইহুদিবাদী বাহিনী উত্তর গাজার সবগুলো হাসপাতালকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। গাজার সবচেয়ে বড় শিফা হাসাপাতালসহ বহু হাসপাতাল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। যেগুলোর ভবন এখনও দাঁড়িয়ে আছে সেগুলোরও স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার মতো অবস্থা নেই। দখলদার ইহুদিবাদীরা উত্তর গাজাকে সম্পূর্ণ জনমানবশূন্য করে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর গতকাল (মঙ্গলবার) প্রকাশিত ২৮ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে আরো বলেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি সেনারা গাজার ২৭টি হাসপাতাল ও ১২টি ক্লিনিকে অন্তত ১৩৬ বার হামলা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনে এসব হামলার প্রতিটি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এসব হামলায় চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল স্টাফ, রোগী ও আশ্রয়প্রার্থীরা ব্যাপক মাত্রায় হতাহত হয়েছেন এবং এসব বেসামরিক অবকাঠামোর ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর আরো বলেছে, ইসরাইলের এসব হামলায় গাজা উপত্যকার চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। এর ফলে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুবিধা থেকে সেখানকার ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি নাগরিক বঞ্চিত হচ্ছেন। উত্তর গাজার কোনো হাসপাতালের আর চিকিৎসা সেবা দেয়ার অবস্থা নেই। এ অবস্থার অবসান ঘটানোর জন্য প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। #

# পার্সটুডে




‘ইসলাম-আতঙ্ক ছড়ানোর’ বিরুদ্ধে কথিত সংগ্রামের মার্কিন সরকারের সনদ কেন মুসলমানদের কাছে ঘৃণ্য?

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক :

বাইডেন সরকার সম্প্রতি ইসলাম-বিদ্বেষ ও ‘ইসলাম-আতঙ্ক ছড়ানোর’ বিরুদ্ধে কথিত ‘সংগ্রামের কৌশল বা নীতির গাইড’ নামের এক অদ্ভুত ইশতেহার বা সনদ প্রকাশ করেছে।

বাইডেনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন সরকার যখন গাজায় ইসরাইলি গণহত্যাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে সমর্থন করে যাচ্ছে তখন নিজের চেহারাকে পবিত্র দেখাতে বা ফেরেশতাসুলভ সৎভাবের ইমেজ দেখাতে মার্কিন মুসলমানদের বিরুদ্ধে সরকারি সহিংসতার শেকড়গুলোর বিষয় উল্লেখ করে ‘ইসলাম-আতঙ্কের বিরুদ্ধে সংগ্রাম’ নামক একটি প্রতীকি অনুমোদন করে। এ ছাড়াও গত ১২ ডিসেম্বর ইসলাম-আতঙ্ক ও আরব-বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে কথিত ‘সংগ্রামের কৌশল বা নীতির গাইড’ নামের এক অদ্ভুত ইশতেহার বা সনদ প্রকাশ করেছে। এই সনদ ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

প্রতীকি এই পদক্ষেপ সম্পর্কে ‘মিডল-ইস্ট আই’ নামক ওয়েবসাইট এক প্রতিবেদনে লিখেছে, কথিত এই গাইড মুসলিম সমাজের সঙ্গে বাইডেন সরকারের অগভীর যোগাযোগ ও মূলত প্রতীকি যোগাযোগের সর্বশেষ প্রদর্শনী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের জন্য হোয়াইট হাউজে একজন সম্পর্ককারীর প্রয়োজন নেই। তারা যা চান তা হল তাদের বিরুদ্ধে সরকারি সহিংসতার অবসান। এই প্রতিবেদনের অন্য অংশে বাইডেনের একটি শ্লোগান উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবার জন্য স্বাধীনতা ও সুযোগ! অথচ এই শ্লোগান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতিগত শুদ্ধি অভিযান বা সব সময় গণহত্যায় জড়িত থাকার ইতিহাস-ঐতিহ্য, অন্য জাতিগুলোকে কোণঠাসা করে রাখা, অন্য জাতিগুলোকে প্রত্যাখ্যান করা ও নানা হিংস্রতার আলোকে উপনিবেশবাদী এই সরকারের মিথ্যাচারকেই স্পষ্ট করছে। কিন্তু এই কল্পকাহিনীর বেশি তিক্ত দিকটি হল এইসব প্রকাশ্য মিথ্যাচার সত্ত্বেও মার্কিন সরকার তার ওইসব কাজ এখনও অব্যাহত রেখেছে।

গত ১৫ মাস ধরে গাজায় চলছে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি গণহত্যা বা জাতিগত নির্মূল অভিযান যার প্রতি রয়েছে সর্বাত্মক মার্কিন মদদ। আর ওই কথিত সনদ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরব ও মুসলমানদের ব্যাপার হোয়াইট হাউজের সর্বশেষ পদক্ষেপ।

বাইডেনের কথিত এই কৌশল বা নীতির গাইড শুরু হয়েছে ছয় বছর বয়সের মার্কিন ফিলিস্তিনি মুসলিম শিশুর শিরচ্ছেদের ঘটনার পর থেকে। ওই শিশুকে ছুরি মেরে হত্যা করে তার বাড়ির মালিক। এই সনদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিবেশকে ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতির সাথে তুলনা করা হয়েছে যখন দেশটির মুসলিম, আরব ও এশিয় নাগরিকরা সহিংসতার শিকার হত। এইসব সমাজের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রতি বাইডেনের নিন্দা এ বিষয়ে মার্কিন সরকারের অবহেলাকে ম্লান করারই চেষ্টা।

যা-ই হোক, বাইডেন মুসলমানদের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারি সহিংসতার এক বিশেষ দৃষ্টান্তকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছেন। আর এই বিশেষ বিষয়টি হল মুসলমানদের ওপর ট্রাম্প সরকারের নিষেধাজ্ঞা। এরপর নিজের আত্মপ্রশংসা করে বাইডেন বলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি দেশের মুসলমানদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ভুল নীতি তিনি তার প্রেসিডেন্সি শুরু হওয়ার প্রথমেই বাতিল করেছিলেন।

ইসলাম-আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে বাইডেন সরকারের সংগ্রামের শ্লোগান বাস্তবে পরিহাসপূর্ণ হয়েছে যখন এই সরকার গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি গণহত্যাকে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে মার্কিন মুসলিম ও আরবদের অধিকার লঙ্ঘন এবং তাদের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপকে গুরুত্ব না দেয়ার পাশাপাশি নিজেই এ জাতীয় অপরাধের এক বড় সংঘটকে পরিণত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফিলিস্তিন বিষয়ক দপ্তরের সাবেক সচিব মাইকেল কিসি বলেছেন, ওয়াশিংটন ফিলিস্তিনিদের ব্যথা ও বেদনায় উদ্বিগ্ন নয়, বরং ইসরাইলের স্বার্থই রক্ষা করে যাচ্ছে। গাজায় ইসরাইলি পদক্ষেপ যে ভুল তা জানা সত্ত্বেও ইসরাইলি গণহত্যার প্রতি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন যা পুরোপুরি লজ্জাজনক। এ বিষয়টি এতটাই প্রতিবাদ ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে যে মার্কিন ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘জেনোসাইড জো’ তথা ‘গণহত্যাকারী জো’ উপাধি পেয়েছেন।

অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম ও আরব-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে কথিত মুক্ত ও ন্যায়-ভিত্তিক মার্কিন সমাজে প্রতিরোধের গুরুত্ব সম্পর্কে বাইডেনের গালভরা বুলি উচ্চারণ বিরাজমান বাস্তবতার বিপরীত। এ ধরনের দাবি বা শ্লোগানের ফলে মুসলমান ও আরবদের ওপর সহিংসতা বা ঘৃণার মাত্রা মোটেই কমছে না বা এই সংকটকে ধামাচাপা বা ম্লান করে দেখানোও সম্ভব হবে না। বরং এর উদ্দেশ্য হল মার্কিন সরকার আরব ও মুসলমানদের নিরাপত্তা ও কল্যাণে আগ্রহী এমন বিভ্রান্তিকর ভাব তুলে ধরে তাদেরকে শান্ত রাখারই চেষ্টা মাত্র।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম-আতঙ্ক ছড়ানোর বিষয়টি খুবই পরিকল্পিত ও সংঘবদ্ধ ঘটনা যা দিনকে দিন নানা নতুন মাত্রা লাভ করছে। ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের ঘটনা সেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, মিডিয়া-কেন্দ্রীক ও শারীরিক মাত্রা পেয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম-বিদ্বেষ ও ইসলাম-আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়ার তৎপরতা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে। ইসলাম ও মুসলমানদের বিকৃত চেহারা উপস্থাপন এবং মুসলমানদের ওপর নানা সীমাবদ্ধতা আরোপ, বৈষম্য এবং আইনি ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে ক্রমবর্ধমান গতিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোনো কর্মকর্তা ইসলাম-বিদ্বেষের আগুনে ঘি ঢালছেন। এক্ষেত্রে রিপাবলিকান দলীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা বিশেষভাবে স্মরণীয় । মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা ছড়িয়ে দেয়ার এ প্রচেষ্টাকে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে গোটা পাশ্চাত্যেও জোরদার করেছেন।

ট্রাম্পের শাসনামলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উগ্র ডানপন্থী গ্রুপগুলোর সংখ্যা বেড়েছে লক্ষণীয় মাত্রায়। মুসলমান মনে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যে শিখদেরকেও গালাগালি করা হচ্ছে অনেক সময়। শিক্ষা ও বিভিন্ন পেশার চাকরি বা কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও মুসলমানরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে পাশ্চাত্যে। #

পার্সটুডে